%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80%E0%A6%B0-%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A7%9F
যারা আপনাদের বেতন দেয়, তাদের জন্য কাজ করুন: সরকারি কর্মচারীদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারি কর্মচারীদের বেতন, আরাম-আয়েশ ও বিলাসের জন্য কর প্রদানকারী জনগণের কল্যাণে আত্মনিয়োগ করতে বলেছেন।
তিনি বলেন, ‘আপনারা সকলেই জনগণের ট্যাক্স হিসেবে দেয়া অর্থ থেকে বেতন ও সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছেন। আপনাদের আরাম-আয়েশসহ সবই জনগণের টাকা থেকে আসছে। তাই আপনাদের তাদের জন্য, তাদের স্বার্থ ও কল্যাণে কাজ করতে হবে।’
শনিবার ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জাতীয় জনসেবা দিবস ও বঙ্গবন্ধু জনপ্রশাসন পুরস্কার ২০২২ বিতরণ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন শেখ হাসিনা।
তিনি তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি এই কর্মসূচিতে যোগ দেন।
তিনি বলেন, তৃণমূলের মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নই সরকারের প্রধান লক্ষ্য।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এবং আমাদের সরকার সেই লক্ষ্যকে মাথায় রেখে কাজ করে যাচ্ছে।’
তিনি বলেন, সরকার প্রশাসনিক ব্যবস্থাকে জনগণের দোরগোড়ায় নিয়ে যেতে চায়, যাতে প্রজাতন্ত্রের প্রতিটি কর্মচারী দেশের সংবিধান অনুযায়ী সুনির্দিষ্ট দায়িত্ব পালন করতে পারে।
আরও পড়ুন: দলমত নির্বিশেষে আমি প্রতিটি নাগরিকের প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী বলেন, একটি দেশের উন্নয়ন করতে হলে একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্য, একটি সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা ও উদ্দেশ্য থাকতে হবে।
তিনি বলেন, আর সে জন্য কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন ও তার যথাযথ বাস্তবায়ন থাকতে হবে। তার মানে জনগণের প্রতি কর্তব্য পালন করা সকলের প্রধান দায়িত্ব।
তিনি উল্লেখ করে বলেন, সরকার কর্মক্ষেত্রে একটি অনুকূল পরিবেশ তৈরি করছে, যাতে সরকারি কর্মচারীরা নির্ভয়ে ও নির্বিঘ্নে তাদের দায়িত্ব পালন করতে পারে।
তিনি বলেন,‘এর জন্য সরকার বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। প্রশাসনিক কাঠামোকে সময় উপযোগী করে তোলাই আমাদের লক্ষ্য।’
তিনি বলেন, ‘আমরা আপনাদের পরিবারের জন্য আপনাদের দুশ্চিন্তা কমানোর পদক্ষেপ নিয়েছি, যাতে আপনারা মানুষের কথা ভাবতে পারেন।’
তিনি সরকারি কর্মচারীদের অত্যন্ত নিষ্ঠার সঙ্গে জনগণের প্রতি তাদের দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানান।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ও রাশিয়ার ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, নিষেধাজ্ঞা আরোপের মাধ্যমে একটি দেশকে শিক্ষা দেয়া হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘কিন্তু সবাই এখন সেই ফল ভুগছে। সবাই এর দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।’
তিনি বলেন, বিশ্বব্যাপী মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। ব্রিটেন ও আমেরিকার মতো উন্নত দেশগুলো শক্তি ও জ্বালানি ব্যবহারে কঠোরতা বজায় রাখতে শুরু করেছে।
আরও পড়ুন: পঞ্চগড় ও মাগুরা জেলাকে ভূমিহীনমুক্ত ঘোষণা প্রধানমন্ত্রীর
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তাদের অবস্থা খুবই শোচনীয়।’
বাংলাদেশ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা এখন পর্যন্ত যেভাবে আমাদের দায়িত্ব আন্তরিকতা ও দক্ষতার সঙ্গে পালন করেছি, বিশ্বের অনেক দেশের তুলনায় আমরা এগিয়ে যাচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, ‘তবে ভবিষ্যতের কথা বিবেচনা করে আমাদের মিতব্যয়ীতা বজায় রাখতে হবে এবং অপচয় এড়াতে হবে। আমাদের এ বিষয়ে বিশেষ মনোযোগ দিতে হবে।’
বিরোধী দল ও মিডিয়া রিপোর্টের সমালোচনার কথা উল্লেখ করে তিনি কর্মকর্তাদের কোন ত্রুটি হয়েছে কিনা তা পরীক্ষা করার জন্য অনুরোধ করেন।
তিনি আমলাদের বলেন, ‘আপনাদের আত্মবিশ্বাস থাকতে হবে যে আপনারা যা করছেন তা জনগণের কল্যাণের জন্য করছেন।’
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এইচএন আশিকুর রহমান, মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম, জনপ্রশাসন সচিব কে এম আলী আজম প্রমুখ বক্তব্য দেন।
এর আগে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন।
অনুষ্ঠানে একটি তথ্যচিত্রও প্রদর্শন করা হয়।
আরও পড়ুন: আবারও জীবনের সকল ক্ষেত্রে মিতব্যয়ীতা অনুশীলন করার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়ার মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
গাইবান্ধা-৫ আসনের সংসদ সদস্য এবং জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বী মিয়ার মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শনিবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই শোক জানানো হয়।
শোকবার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ছাত্রজীবন থেকেই ফজলে রাব্বী মিয়া আইয়ুব বিরোধী আন্দোলন এবং ৬২-এর শিক্ষা কমিশন বিরোধী আন্দোলনে জড়িত ছিলেন। মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি ১১নং সেক্টরে যুদ্ধ করেছিলেন। সংসদীয় গণতন্ত্রে অসামান্য ভূমিকার জন্য তিনি স্মরণীয় হয়ে থাকবেন।
আরও পড়ুন: আবদুল গাফ্ফার চৌধুরীর মেয়ের মৃত্যুতে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর শোক
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানান।
প্রসঙ্গত, ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট মো. ফজলে রাব্বী মিয়া যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৬ বছর। মৃত্যুকালে তিন মেয়ে, আত্মীয়স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তার স্ত্রী আনোয়ারা রাব্বি ২০২০ সালের মে মাসে মারা যান।
দলমত নির্বিশেষে আমি প্রতিটি নাগরিকের প্রধানমন্ত্রী
দলমত নির্বিশেষে প্রতিটি গৃহহীন নাগরিক বাংলাদেশে একটি করে ঘর পাবে উল্লেখ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৃহস্পতিবার বলেছেন, আমি ‘প্রত্যেক নাগরিকের প্রধানমন্ত্রী’।
তিনি বলেন, ‘দেশটি আমাদের সকলের। আমি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। তার মানে বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিকের দেখাশোনা করা আমার দায়িত্ব।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, মানুষের মধ্যে মতামত বা আদর্শের পার্থক্য থাকতে পারে তবে ‘আমি প্রতিটি মানুষকে মানুষ হিসাবে বিবেচনা করি।’
তিনি বলেন, ‘আমি চাই প্রতিটি নাগরিকের একটি সুন্দর জীবন হোক। এটাই আমার পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শিক্ষা।’
তিনি দলমত নির্বিশেষে অন্যান্য রাজনৈতিক দলসহ সকলকে ভূমিহীন ও গৃহহীন আছে কি না সরকারকে জানানোর অনুরোধ করেন যাতে তাদের জন্য ঘরের ব্যবস্থা করতে পারেন।
তিনি বলেন, ‘আমি সমস্ত সরকারি কর্মচারী এবং সমস্ত রাজনৈতিক দলকে যে কোনও ভূমিহীন এবং গৃহহীন লোকদের সম্পর্কে তথ্য দেয়ার জন্য অনুরোধ করছি যাতে আমরা তাদের একটি বাড়ি এবং ঠিকানা দিতে পারি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা তাদের জন্য ঘর তৈরি করব, তাদের একটি ঠিকানা দেব এবং তাদের জন্য জীবিকার ব্যবস্থা করব।’
আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় সারাদেশে ভূমিহীন পরিবারের মধ্যে মোট ২৬ হাজার ২২৯টি ঘর হস্তান্তর করার সময় প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন।
এসময় তিনি সরকারের আশ্রয়ণ প্রকল্পের এক যুগান্তকারী অর্জনে পঞ্চগড় ও মাগুরা জেলাকে ভূমিহীন ও গৃহহীন হিসেবে ঘোষণা করেন।
তিনি বলেন, মুজিববর্ষ উপলক্ষে গৃহহীন সকলের আশ্রয় নিশ্চিত করার সরকারের প্রতিশ্রুতির অংশ হিসেবে পঞ্চগড় ও মাগুরার নয়টি উপজেলাসহ বিভিন্ন জেলার মোট ৫২টি উপজেলায় ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার নেই।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাদের দেয়া ঘরগুলো সংরক্ষণ করা সুবিধাভোগীদের দায়িত্ব।
ভূমিহীন ও গৃহহীনদের দেয়া ঘর প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এটা নিছক ঘর নয়, এটা আপনার পরিবার ও আপনার পরবর্তী প্রজন্মের আশ্রয়, ঠিকানা ও ভবিষ্যৎ।’
পড়ুন: পঞ্চগড় ও মাগুরা জেলাকে ভূমিহীন ঘোষণা প্রধানমন্ত্রীর
শেখ হাসিনা বলেন, করোনাভাইরাস মহামারি, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ পরবর্তী সময়ে রাশিয়ার ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞার কারণে সরকার সার ও খাদ্য সংগ্রহে সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘শুধু বাংলাদেশে নয়, বিশ্বব্যাপী মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বাড়ানো হয়েছে, সারা বিশ্বে খাদ্যের অভাব চলছে, এমনকি উন্নত দেশগুলোতেও এর প্রভাব পড়েছে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, উন্নত দেশগুলোও বিদ্যুৎ ও জ্বালানির সাশ্রয়ে ব্যবস্থা নিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশ বেশ ভালোভাবে চালাচ্ছি, তবে আমাদের এখন থেকে সতর্ক থাকতে হবে। আমরা সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়েছি।’
তিনি বিদ্যুৎ, পানি, জ্বালানি সাশ্রয় এবং খাদ্য উৎপাদনের জন্য তাদের জমির প্রতিটি ইঞ্চি ব্যবহার করার আহ্বান জানান।
আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের পরিচালক আবু সালেহ মোহাম্মদ ফেরদৌস খান প্রকল্পের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে একটি পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন দেন।
প্রকল্পের ওপর একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়।
পরে প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে পঞ্চগড়, মাগুরা, বাগেরহাট, লক্ষ্মীপুর ও ময়মনসিংহের বেশ কয়েকজন উপকারভোগীর সঙ্গে কথা বলেন।
পড়ুন: আশ্রয়ণ: বাগেরহাটে শেফালীসহ ৪৫ পরিবারের স্বপ্ন পুরণ করলেন প্রধানমন্ত্রী
পঞ্চগড় ও মাগুরা জেলাকে ভূমিহীনমুক্ত ঘোষণা প্রধানমন্ত্রীর
সরকারের আশ্রয়ণ প্রকল্পের এক যুগান্তকারী অর্জনে বৃহস্পতিবার পঞ্চগড় ও মাগুরা জেলাকে ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত হিসেবে ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যোগ দিয়ে সারাদেশে ভূমিহীন ও গৃহহীন ২৬ হাজার ২২৯টি ঘর হস্তান্তরের সময় এ ঘোষণা দেন।
তিনি বলেন, আমরা খুব আনন্দিত যে দুই জেলার সব উপজেলায়ই এখন সম্পূর্ণরূপে ভূমিহীন ও গৃহহীন মানুষমুক্ত হয়েছে। ‘আমাদের উদ্যোগের ফলে আজ এই সাফল্য অর্জিত হয়েছে’।
এর বাইরে দেশের বিভিন্ন জেলার আরও ৪৩টি উপজেলাও একই মর্যাদা পেয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, এটা একটা বড় অর্জন। আমি আশা করি বাংলাদেশের সব জেলা ও উপজেলা একদিন ভূমিহীন ও গৃহহীন মানুষ মুক্ত হবে। ‘দেশের প্রতিটি মানুষের একটি বাড়ি এবং ঠিকানা থাকবে।’
পঞ্চগড়ের জেলা প্রশাসক মো. জহিরুল ইসলাম বলেন, পঞ্চগড়ে ৪ হাজার ৮৫০টি ভূমিহীন ও গৃহহীন লোক খুঁজে পেয়েছে সরকার এবং তাদের সবার জন্য ঘর নির্মাণ করা হয়েছে।
সরকারি সূত্রে জানা গেছে, মাগুরা জেলায় ৬৭৮টি পরিবারের জন্য ঘর তৈরি করা হয়েছে।
মুজিববর্ষ উপলক্ষে গৃহহীন সকলের জন্য আশ্রয় নিশ্চিত করার সরকারের প্রতিশ্রুতির অংশ হিসেবে পঞ্চগড় ও মাগুরা জেলার সবগুলো উপজেলাসহ দেশের ৫২টি উপজেলাকে ভূমিহীন ও গৃহহীন উপজেলা হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
এই ৫২টি উপজেলায় মোট ১৯ হাজার ৭৮০টি ভূমিহীন পরিবারকে পুনর্বাসন করা হয়েছে বলে প্রকল্পের সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
তারা বলেন, দুই জেলা ও ৫২টি উপজেলায় কাউকে ভূমিহীন পাওয়া গেলে দ্রুত তাদের জমিসহ ঘর দেয়া হবে।
ইতোমধ্যে স্থানীয় প্রশাসনকে এ বিষয়ে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
ভূমিহীন ৫২ উপজেলা হলো ঢাকার নবাবগঞ্জ, মাদারীপুর সদর, শরীয়তপুরের ডামুড্যা, কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী, টাঙ্গাইলের গোপালপুর, মানিকগঞ্জের ঘিওর ও সাটুরিয়া, রাজবাড়ীর কালুখালী, ফরিদপুরের নগরকান্দা, নেত্রকোণার মদন, ময়মনসিংহের ভালুকা, নান্দাইল, ফুলপুর ও ফুলবাড়িয়া, জামালপুরের বকশীগঞ্জ, চট্টগ্রামের পটিয়া, কর্ণফুলী, সাতকানিয়া ও লোহাগাড়া, লক্ষ্মীপুরের রায়পুর ও রামগঞ্জ, ফেনীতে ফেনী সদর, ছাগলনাইয়া, ফুলগাজী ও পরশুরাম, গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ, পঞ্চগড়ের আটোয়ারী, পঞ্চগড় সদর, দেবীগঞ্জ, তেতুলিয়া ও বোদা, দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ, ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী, নীলফামারীর ডিমলা, নওগাঁর রানীনগর, জয়পুরহাটের পাঁচবিবি, রাজশাহীর মোহনপুর, চারঘাট ও বাঘা, বগুড়ার নন্দীগ্রাম ও দুপচাঁচিয়া, নাটোরের বাগাতিপাড়া, পাবনার ঈশ্বরদী, চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ, ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু, সাতক্ষীরার তালা, মাগুরায় মাগুরা সদর, শ্রীপুর, মোহাম্মদপুর ও শালিখা, ঝালকাঠির কাঁঠালিয়া ও পটুয়াখালীর দশমিনা।
পড়ুন: আশ্রয়ণ: বাগেরহাটে শেফালীসহ ৪৫ পরিবারের স্বপ্ন পুরণ করলেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় জানিয়েছে, আশ্রয়ণ-২-এর তৃতীয় প্রকল্পে ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের মধ্যে মোট ৬৭ হাজার ৮০০টি ঘর দেয়া হচ্ছে।
এর মধ্যে গত ২৬ এপ্রিল ৩২ হাজার ৯০৪টি ঘর হস্তান্তর করা হয়েছে, ২১ জুলাই হস্তান্তর করা হয়েছে ২৬ হাজার ২২৯টি এবং বাকি ৮ হাজার ৬৬৭টি ঘর নির্মাণাধীন রয়েছে।
এর আগে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে ২০২১ সালের ২৩ জানুয়ারি এবং ২০ জুন প্রথম দুই দফায় দেশে গৃহহীনদের মধ্যে ভূমিসহ এক লাখ ১৭ হাজার ৩২৯টি আধা-পাকা ঘর হস্তান্তর করা হয়েছে।
প্রকল্পের আওতায় ২০২১-২০২২ অর্থবছরে আশ্রয়ণ ঘরের জন্য প্রায় ৪ হাজার ২৯কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল।
সরকার সারা দেশে গৃহহীনদের জন্য ঘর নির্মাণের জন্য প্রায় ৫ হাজার ৫১২ একর খাস জমি উদ্ধার করে। এই জমির আনুমানিক বাজার মূল্য ২ হাজার ৯৬৭ কোটি টাকা।
এছাড়া আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় ঘর নির্মাণের জন্য সরকার ১৩৪ কোটি টাকা ব্যয়ে ১৯১ দশমিক ৭৯ একর জমি ক্রয় করেছে। আর এ পর্যন্ত ৮ হাজার ৪৬২টি ভূমিহীন পরিবারকে সংগৃহীত জমিতে পুনর্বাসন করা হয়েছে।
এই আবাসন প্রকল্প গ্রামীণ অর্থনীতিকে প্রাণবন্ত করতে অবদান রাখবে। বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক সংকট সত্ত্বেও সরকার আশ্রয়-২ প্রকল্প বাস্তবায়ন চালিয়ে যাবে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
পড়ুন: স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়নে সরকারের ব্যাপক পরিকল্পনা
জনবল সংকটে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে আইসিইউ ও এইচডিইউ সেবা বন্ধ
আবারও জীবনের সকল ক্ষেত্রে মিতব্যয়ীতা অনুশীলন করার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৈশ্বিক মুল্যস্ফীতি পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে বিদ্যুৎ ব্যবহারসহ জীবনের সব ক্ষেত্রে মিতব্যয়ীতা বজায় রাখার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
তিনি আরও বলেন, সংশ্লিষ্ট সবাই যদি মিতব্যয়ী হতে পারে, তাহলে দীর্ঘমেয়াদে দেশ লাভবান হবে।
মঙ্গলবার রাজধানীর এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) প্রথম বৈঠকে সভাপতিত্বকালে প্রধানমন্ত্রী এ আহ্বান জানান।
এসময় তিনি তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি বৈঠকে যোগ দেন।
বৈঠক শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী সকল ক্ষেত্রে মিতব্যয়ীতা বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছেন।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘সরকার প্রধান বলেছেন মিতব্যয়ী হতে হবে। আসুন সবাই মিতব্যয়ী হই। তিনি গোটা আমলাতন্ত্রসহ সরকার এবং সরকারের বাইরে যারা সাধারণ নাগরিক আছেন সবাইকে মিতব্যয়ী হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।’
বর্তমান বৈশ্বিক পরিস্থিতি ও জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির কারণে বাংলাদেশ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
মন্ত্রী বলেন, ‘যে পণ্যগুলো আমরা নিজেরা উৎপাদন করি না, সেগুলোর অভিঘাত মোকাবিলায় আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। প্রধানমন্ত্রী মূলত এ কারণে দেশবাসীকে মিতব্যয়ীতা বজায় রাখার পরামর্শ দিয়েছেন।’
পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শামসুল আলম বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সব সময় সবাইকে মিতব্যয়ীতা বজায় রাখার পরামর্শ দিয়েছেন।
তিনি প্রতিনিয়তই নাগরিক পরিষেবা খাতগুলোর অপব্যবহার বন্ধ করারও আহ্বান জানিয়েছেন। যেমন- গরমের সময় অফিসে কোট-স্যুট না পরতে। এছাড়া সরকারি অফিসগুলোর এসি একটি নির্দিষ্ট মাত্রায় চালানোর জন্য বলেছিলেন। অপচয় না করতে প্রধানমন্ত্রী সবসময়ই বলে আসছেন।
আরও পড়ুন: জনদুর্ভোগ সৃষ্টির জন্য যুদ্ধ দায়ী: প্রধানমন্ত্রী
জনদুর্ভোগ সৃষ্টির জন্য যুদ্ধ দায়ী: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে কোনো ধরনের যুদ্ধের নিন্দা জানিয়ে বলেছেন, এটা সর্বদাই জনগণের দুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
মঙ্গলবার সফররত ভারতীয় সেনাপ্রধান জেনারেল মনোজ পান্ডে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে সাক্ষাৎকালে তিনি এ কথা বলেন।
সাক্ষাৎ শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
প্রধানমন্ত্রীকে উদ্ধৃত করে তিনি বলেন, ‘এমনকি মার্কিন সরকারও আমেরিকান জনগণকে বার্তা পাঠিয়ে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয় করতে বলছে।’
চলমান রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘যুদ্ধের কারণে যুক্তরাষ্ট্রসহ সবাই দুর্ভোগের সম্মুখীন হচ্ছে।’
শেখ হাসিনা আবারও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাঙালির ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে ভারত সরকার, সশস্ত্র বাহিনী ও ভারতের জনগণের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কথা স্মরণ করেন।
তিনি ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন, যারা ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় তাদের জীবন দিয়েছেন এবং যারা আহত হয়েছেন।
বাংলাদেশের বর্তমান বন্যা পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আসাম, মেঘালয় ও অরুণাচলের সাম্প্রতিক আকস্মিক বন্যার কারণে এটি ঘটেছে।
আরও পড়ুন: বিশেষ শিশুদের জন্য সমন্বিত শিক্ষা ব্যবস্থা প্রণয়নের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ যে কোনো ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় ভারতের সঙ্গে একসঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত রয়েছে। শেখ হাসিনা বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্ককে চমৎকার বলে বর্ণনা করেন।
তিনি বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর প্রধান লক্ষ্য হওয়া উচিত দারিদ্র্যের অবসান এবং এ অঞ্চলের জনগণের অবস্থা দূরীকরণে একসঙ্গে কাজ করা।
ভারতীয় সেনাপ্রধান দুই দেশের মধ্যে চলমান সামরিক সহযোগিতা নিয়ে কথা বলেছেন। আগামীকাল কক্সবাজারের রামু সেনানিবাসে যাবেন বলে জানান তিনি।
মনোজ পান্ডে বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শনে তিনি গভীরভাবে অনুপ্রাণিত হয়েছেন। ‘এই জাদুঘরটি ত্যাগের প্রতীক হিসেবে রয়ে গেছে এবং এটি নতুন প্রজন্মকে তাদের দেশকে ভালবাসতে অনুপ্রাণিত করবে।’
জেনারেল পান্ডে বলেন, দুই দেশের সশস্ত্র বাহিনীর কর্মকর্তাদের নিয়মিত শীর্ষ পর্যায়ের সফর তাদের সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করবে।
ভারতে বিজয় দিবস উদযাপনের কথা উল্লেখ করে জেনারেল পান্ডে বলেন, বাংলাদেশের প্রতিনিধিরাও সেই অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন, যা বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক সুসংহত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
তিনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পরিচালিত একটি বিশেষ প্রতিষ্ঠান ‘প্রয়াস’-এরও প্রশংসা করেন। যা বহুমাত্রিক কর্মসূচির মাধ্যমে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের সার্বিক শিক্ষাগত উন্নয়নে সেবা প্রদান করে।
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আহমদ কায়কাউস উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: কঠিন সময়ে বিদ্যুৎ ভর্তুকি কমাতে জনগণের সমর্থন কামনা প্রধানমন্ত্রীর
গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছে সরকার
কাল থেকে এলাকাভিত্তিক ২ ঘণ্টা লোডশেডিং
বিদ্যুতের তীব্র সংকট মোকাবিলায় মঙ্গলবার থেকে প্রতি এলাকায় দৈনিক দুই ঘণ্টা লোডশেডিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়।
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক শেষে ড. তৌফিক ইলাহী এ সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের লক্ষ্যে আলোকসজ্জা না করার নির্দেশনা
তিনি বলেন, বিদ্যুৎ বিতরণকারী সংস্থাগুলো একটি নির্দিষ্ট সময়সূচির অধীনে লোডশেডিং পরিচালনা করবে,যাতে জনগণ তা গ্রহণ করতে প্রস্তুত হয় এবং কোনো ঝামেলা অনুভব না করে।
তবে প্রতিটি স্পেলে আধা ঘণ্টার বেশি লোডশেডিং চলবে না।
তিনি বলেন, পেট্রোলিয়াম জ্বালানি সাশ্রয়ের জন্য পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত ডিজেলচালিত বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো বন্ধ থাকবে এবং শপিংমল ও বাজার রাত ৮টার মধ্যে বন্ধ করতে হবে।
তিনি বলেন, সপ্তাহে একদিন পেট্রোল পাম্প বন্ধ রাখার মতো কিছু বিকল্প নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, সরকারি অফিসের সময় পুনঃনির্ধারণ করা হতে পারে এবং শারীরিক উপস্থিতির পরিবর্তে ভার্চুয়াল মিটিং অনুষ্ঠিত হবে।
আরও পড়ুন: বিদ্যুৎ ঘাটতির কারণে সরকার অফিসের সময় পরিবর্তনের কথা ভাবছে: জ্বালানি উপদেষ্টা
কঠিন সময়ে বিদ্যুৎ ভর্তুকি কমাতে জনগণের সমর্থন কামনা প্রধানমন্ত্রীর
বিশেষ শিশুদের জন্য সমন্বিত শিক্ষা ব্যবস্থা প্রণয়নের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অটিজম ও নিউরো-ডেভেলপমেন্ট প্রতিবন্ধী (এনডিডি) বিশেষ শিশুদের মেধা ও সৃজনশীলতা বিকাশে সহায়তার জন্য শিক্ষার সমন্বিত পরিবেশ নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘বিশেষ শিশুদের মেধা ও সৃজনশীলতা বিকাশের জন্য সমন্বিত শিক্ষার পরিবেশ খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’
বুধবার প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি ‘ন্যাশনাল একাডেমি ফর অটিজম অ্যান্ড নিউরো-ডেভেলপমেন্ট ডিসঅ্যাবিলিটিস (এনএএএনডি) কমপ্লেক্স’-এর স্থাপত্য নকশা প্রত্যক্ষ করার সময় এসব কথা বলেন।
অটিজম ও এনডিডি শিশুদের ন্যায্য ও সমান শিক্ষা নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক মানের কমপ্লেক্স নির্মাণ করা হচ্ছে।
এসময় শেখ হাসিনা বলেন, অটিজম ও এনডিডি আক্রান্ত শিশুদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশে উন্মুক্ত ও প্রাকৃতিক পরিবেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
আরও পড়ুন: কঠিন সময়ে বিদ্যুৎ ভর্তুকি কমাতে জনগণের সমর্থন কামনা প্রধানমন্ত্রীর
তিনি শহরগুলোতে যে কোনও নতুন আবাসিক ভবন নির্মাণে ক্রস ভেন্টিলেশন নিশ্চিত করার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
তিনি অটিজম ও এনডিডি শিশুদের জন্য বিদ্যমান শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ আপগ্রেড করার পাশাপাশি নতুন প্রশিক্ষক ও শিক্ষক তৈরির ওপর জোর দেন।
প্রধানমন্ত্রী সূর্যের আলো ব্যবহার করা, খোলা বাতাস বা অক্সিজেনের ব্যবহার নিশ্চিত করা, প্রয়োজনীয় জলাধার সংরক্ষণ, উপযুক্ত অগ্নি নির্বাপক ব্যবস্থা ও এনএএএনডি কমপ্লেক্স ডিজাইন করার জন্য পর্যাপ্ত খোলা জায়গার আহ্বান জানান।
বৈঠকে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি, শিক্ষা উপমন্ত্রী মুহিবুল হাসান চৌধুরী, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সিনিয়র সচিব মো. তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আবু বকর সিদ্দিক উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছে সরকার
স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে দেশের প্রথম বিজনেস ইনকিউবেটর উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
ড. এনামুল হকের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
স্বাধীনতা পদক এবং একুশে পদকপ্রাপ্ত বিশিষ্ট প্রত্নতত্ববিদ, ইতিহাস ও শিল্পকলা বিশারদ এবং বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের সাবেক মহাপরিচালক প্রফেসর ড. এনামুল হকের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রবিবার এক শোকবার্তায় শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি প্রফেসর ড. এনামুল হকের ছিল প্রগাঢ় ভালোবাসা এবং গভীর শ্রদ্ধাবোধ। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যায়নের সময় সাহিত্য পত্রিকা উত্তরণের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ছিলেন। মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি লন্ডন এবং নিউইয়র্ক সফর করে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে বিশ্বজনমত সৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর প্রতিষ্ঠাসহ জাতীয় পর্যায়ে রবীন্দ্র ও নজরুল জয়ন্তী উদযাপন প্রচলনের ক্ষেত্রে তাঁর প্রয়াস অত্যন্ত প্রশংসনীয়। প্রত্নতত্ত্বে বিশেষ অবদানের জন্য বন্ধুপ্রতীম ভারত সরকারও তাঁকে ২০২০ সালে পদ্মশ্রী পদক প্রদান করে।
প্রধানমন্ত্রী মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানান।
প্রসঙ্গত রবিবার রাজধানীতে নিজে বাসভবনে মারা যান ড. এনামুল হক।
পড়ুন: বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু মুসা চৌধুরীর মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
জাপানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর ঈদুল আজহার উপহার
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রবিবার ত্যাগের উৎসব ঈদুল আজহা উপলক্ষে দেশের বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শুভেচ্ছা উপহার পাঠিয়েছেন।
রাজধানীর মোহাম্মদপুরের গজনবী রোডে শহীদ ও যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা পুনর্বাসন কেন্দ্রে (মুক্তিযোদ্ধা টাওয়ার-১) যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা এবং শহীদ পরিবারের সদস্যদের জন্য ফুল, ফল ও মিষ্টি পাঠান প্রধানমন্ত্রী।
রবিবার সকালে প্রধানমন্ত্রীর সহকারী একান্ত সচিব-২ গাজী হাফিজুর রহমান লিকু ও সহকারী প্রেস সচিব এবিএম সরওয়ার-ই-আলম সরকার তাদের হাতে উপহার তুলে দেন।
যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদস্যরা প্রতিটি জাতীয় দিবস এবং স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, ঈদ ও পহেলা বৈশাখের মতো উৎসবে তাদের স্মরণ করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
তারা জাতীয় উন্নয়ন ও জনগণের কল্যাণে প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র কাটিয়ে পদ্মা সেতু নির্মাণ করায় শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানান তারা।
এছাড়াও তারা প্রধানমন্ত্রীর সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করেন।
আরও পড়ুন: দেশবাসীকে ঈদুল আযহার শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রীর
মালয়েশিয়ার রাজা-প্রধানমন্ত্রীকে আম উপহার শেখ হাসিনার