প্রধানমন্ত্রীর-কার্যালয়
৭ জানুয়ারির নির্বাচন গণতন্ত্র ও জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করেছে: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ বিজয় বাংলাদেশ ও দেশের জনগণের বিজয় এবং গণতন্ত্র ও উন্নয়নের ধারাবাহিকতার বিজয়।
মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের টানা চতুর্থবার বিজয়ে অভিনন্দন জানাতে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে শতাধিক প্রবাসী আওয়ামী লীগ নেতাদের উদ্দেশে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আওয়ামী লীগের সভাপতি বলেন, তার সরকার এই মাসের নির্বাচনে জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে সক্ষম হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা জনগণের সাংবিধানিক অধিকার নিশ্চিত করেছি।’
তিনি আরও বলেন, নির্বাচনটি অত্যন্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হয়েছে। কারণ আওয়ামী লীগ সবাইকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সুযোগ দিয়েছে।
আরও পড়ুন: টানা চতুর্থবার প্রধানমন্ত্রী হওয়ায় শেখ হাসিনাকে মন্ত্রিসভার অভিনন্দন
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা আমাদের প্রার্থীদের নির্বাচনি প্রতীক নৌকা দিয়েছি এবং আগ্রহী দলের অন্যদের নির্বাচনে অংশ নিতে বলেছি।’
বিএনপি নির্বাচনে অংশ নেয়নি উল্লেখ করে তিনি প্রশ্ন করেন, তারা কীভাবে নির্বাচনে আসবে।
তিনি বলেন, ‘২০০৮ সালের নির্বাচনে বিএনপি তাদের ২০ দলীয় জোট নিয়ে মাত্র ৩০টি আসন পেয়েছিল এবং আওয়ামী লীগ একাই ২৩৩টি আসন পেয়েছিল।’
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘অনেকেই ভেবেছিলেন সাংগঠনিক শক্তি বিবেচনায় বিএনপি আওয়ামী লীগের সমান। কিন্তু ২০০৮ সালের নির্বাচনে তা ভুল প্রমাণিত হয়।’
আরও পড়ুন: রমজানে আগাম পণ্য ক্রয়ের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি কখনই নির্বাচন চায়নি। তারা নির্বাচন নষ্ট করতে অগ্নিসন্ত্রাস করে মানুষ হত্যা করেছে, ট্রেনে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘তারা (বিএনপি) যতই অগ্নিসংযোগ করবে, ততই জনগণ তাদের প্রত্যাখ্যান করবে। তারা জানে যে জনগণ তাদের প্রত্যাখ্যান করেছে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ কারণেই বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিতে চায় না।
তিনি বলেন, ‘বরং তারা নির্বাচন নষ্ট করতে চেয়েছিল এবং ক্ষমতায় আসার জন্য অবৈধ উপায় খুঁজছিল।’
আরও পড়ুন: দুর্নীতি সহ্য করা হবে না: নতুন মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী
রমজানে আগাম পণ্য ক্রয়ের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী
আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আসন্ন রমজান মাসে জনগণ যাতে সমস্যায় না পড়ে সেজন্য সরকার আগাম নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কেনার উদ্যোগ নিয়েছে।
তিনি বলেন, 'রমজান মাসে যা যা প্রয়োজন তা আগে থেকেই কেনার ব্যবস্থা আমরা নিয়েছি।’
আরও পড়ুন: আগামী ৫ বছর উন্নয়ন কাজের গতি বাড়ানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
সোমবার (১৫ জানুয়ারি) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ, উপদেষ্টা পরিষদ ও সহযোগী সংগঠনের যৌথ সভায় সভাপতিত্বকালে তিনি এসব কথা বলেন।
রমজানে দরিদ্রদের জন্য খাদ্য সহায়তা কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, জনগণ টিসিবি ফ্যামিলি কার্ডের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে পণ্য কিনতে পারবে এবং খোলা বাজার বিক্রির (ওএমএস) চাল কিনতে পারবে।
আরও পড়ুন: দুর্নীতি সহ্য করা হবে না: নতুন মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘জনগণ যাতে পণ্য কিনতে গিয়ে সমস্যার সম্মুখীন না হয়, সেজন্য আমরা যথাযথ ব্যবস্থা নিশ্চিত করব। মুদ্রাস্ফীতি আরও নিয়ন্ত্রণে আনতে আমরা পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেব।’
তিনি বলেন, দ্রব্যমূল্য এখন জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করছে। ‘হ্যাঁ, মুদ্রাস্ফীতি বেড়েছে, তবে আমরা এটি অনেকটা কমিয়ে এনেছি। কিন্তু কিছু স্বার্থান্বেষী মহল ষড়যন্ত্র করে দাম বাড়ায়।’
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আলজেরিয়ার প্রেসিডেন্টের অভিনন্দন
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তবে এটা সত্য যে জনগণের ক্রয়ক্ষমতা বেড়েছে। এছাড়া জনদুর্ভোগ লাঘবে সরকার খাদ্য সহায়তা কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে।
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, তার দল সাম্প্রতিক সাধারণ নির্বাচনে জয়লাভ করে সরকার গঠন করেছে। তিনি বলেন, ‘আমরা জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করেছি। এই বিশ্বাসকে সম্মান করে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।’
আরও পড়ুন: শিখা অনির্বাণে সশস্ত্র বাহিনীর শহীদ সদস্যদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের প্রতি জনগণের সমর্থন, বিশ্বাস ও আস্থা এই নির্বাচনে ব্যাপকভাবে প্রতিফলিত হয়েছে। একজন সাধারণ গ্রামবাসী আওয়ামী লীগকে বিশ্বাস করে। তিনি বলেন, অন্য কারো ওপর তাদের আস্থা ও বিশ্বাস নেই।
তিনি বলেন, ‘সুতরাং, আমাদের তাদের আকাঙ্ক্ষা পূরণ করতে হবে। দরিদ্র, কৃষক, দিনমজুর ও রিকশাচালকদের মতো সাধারণ মানুষের ভাগ্য কীভাবে পরিবর্তন করা যায় এবং জীবনযাত্রার উন্নতি করা যায় তা আমাদের সবসময় মনে রাখতে হবে।’
আরও পড়ুন: ষড়যন্ত্র অতিক্রম করে বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে: কোটালীপাড়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
তিনি বলেন, চলমান উন্নয়ন কাজগুলো সম্পন্ন করতে হবে। তিনি বলেন, সংশ্লিষ্ট পরিকল্পনা অনুযায়ী দেশের উন্নয়নের ধারা আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে এবং ত্বরান্বিত করতে হবে।
দুর্নীতি সহ্য করা হবে না: নতুন মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী
সরকারি ক্রয়সহ কোনো খাতে যেকোনো ধরনের দুর্নীতি ও অনিয়মের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘সরকারি ক্রয়সহ সব ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে আমি কোনো ধরনের দুর্নীতি ও অনিয়ম সহ্য করব না।’
সোমবার (১৫ জানুয়ারি) প্রধানমন্ত্রী তার কার্যালয়ে (পিএমও) অনুষ্ঠিত নতুন সরকারের প্রথম মন্ত্রিসভার বৈঠকে সূচনা বক্তব্যে এ বার্তা দেন।
আরও পড়ুন: টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর প্রতি প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রীদের শ্রদ্ধা
তিনি বলেন, সরকারি কর্মকাণ্ডে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে।
তিনি বলেন, ‘সরকারের রাজস্ব ব্যয়, সরকারি ক্রয় ও স্বচ্ছতার প্রতি বিশেষ নজর দিতে হবে। একই সঙ্গে জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে। আমি এখানে কোনো ধরনের দুর্নীতি ও অনিয়ম সহ্য করবো না।’
তিনি বলেন, দুর্নীতি কোনো দেশের জন্যই ভালো নয়।
আরও পড়ুন: পুনঃনির্বাচিত হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে মিশরের প্রেসিডেন্ট সিসির অভিনন্দন
তিনি বলেন, 'আমাদের যে সম্পদ আছে তা আমরা যথাযথভাবে ব্যবহার করব। আমরা আর্থিক শৃঙ্খলা বজায় রেখে এগিয়ে যাব।’
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের সম্পদ সীমিত, কিন্তু জনসংখ্যা বিশাল।
তিনি বলেন, ‘আমাদের সীমিত সম্পদ দিয়ে জনগণের কল্যাণ নিশ্চিত করতে হবে।’
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আলজেরিয়ার প্রেসিডেন্টের অভিনন্দন
সামাজিক নিরাপত্তা খাতে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সঠিক মানুষ যেন বার্ধক্য ও সামাজিক নিরাপত্তা ভাতা পায় সেদিকেও নজর দিতে হবে।
পাঁচবারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মাদক নিয়ন্ত্রণে ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান।
মুদ্রাস্ফীতির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিভিন্ন পণ্যের দাম বেশি হলেও পণ্যের কোনো ঘাটতি নেই।
আরও পড়ুন: ষড়যন্ত্র অতিক্রম করে বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে: কোটালীপাড়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
তিনি মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, 'তাহলেই বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ প্রবৃদ্ধির সুফল পাবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার ২০০৯ সাল থেকে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ১২ শতাংশ থেকে ৯ শতাংশে নামিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে।
তিনি বলেন, বাকি সবই ৮ শতাংশে নেমে এসেছে। তবে আমাদের তা আরও কমাতে হবে।’
আরও পড়ুন: টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর প্রতি প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রীদের শ্রদ্ধা
তিনি বলেন, খাদ্যদ্রব্যের দাম বাড়লে কৃষকরা খুশি হয়। ‘কিন্তু ভোক্তারা ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। তাদের ওপর চাপ রয়েছে। এটি ভারসাম্য বজায় রাখতে হবে, কীভাবে এটি সামঞ্জস্যপূর্ণ করা যায় সে সম্পর্কে আমাদের খুব দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে।’
তিনি জনগণের অর্থের অপচয় রোধ, এমনকি যেকোনো ধরনের উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ এবং জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে মিতব্যয়ী হওয়ার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেন।
শেখ হাসিনা মূল্য নির্ধারণকারীদের কঠোর নজরদারিতে রাখার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন
এ প্রসঙ্গে তিনি আসন্ন রমজানের কথা উল্লেখ করে বলেন, সীমিত সংখ্যক গোষ্ঠী খাদ্যপণ্য আমদানি করে।
তিনি বলেন, ‘তারাও সবসময় এখানে একটা ম্যাচ খেলতে চায়। সেক্ষেত্রে আমাদের নিজস্ব প্রস্তুতি নিতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, রমজানে যেসব পণ্যের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন সেগুলো সহনীয় মূল্যে রাখতে হবে। সেগুলো নিয়মিত বাজারে যাতে পাওয়া যায়, তাই সরবরাহ নিরবচ্ছিন্ন রাখতে হবে।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনাকে চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়ানের অভিনন্দন
‘এ বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।’
তিনি নির্বাচনি অঙ্গীকার বাস্তবায়নের ওপরও গুরুত্বারোপ করেন।
তিনি রপ্তানি পণ্যের বৈচিত্র্য আনতে এবং নতুন বাজার খুঁজে বের করার আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: পঞ্চমবারের মতো বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন শেখ হাসিনা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আলজেরিয়ার প্রেসিডেন্টের অভিনন্দন
নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন আলজেরিয়ার প্রেসিডেন্ট আবদেলমাদজিদ তেবউন।
তিনি নতুন মেয়াদে দায়িত্ব পালনে তার সাফল্য কামনা করেন।
প্রধানমন্ত্রীকে আলজেরিয়ায় সরকারি সফরে আবারও আমন্ত্রণ আলজেরিয়ার প্রেসিডেন্ট।
শেখ হাসিনাকে পাঠানো এক অভিনন্দন বার্তায় তিনি বলেন, 'আমি এই উপলক্ষে আমাদের বন্ধুত্ব ও সংহতির সম্পর্ককে সুসংহত করার পাশাপাশি আমাদের সম্পর্কের স্তর বৃদ্ধি এবং দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কাজ চালিয়ে যাওয়ার জন্য আমার নিরন্তর প্রস্তুতি ব্যক্ত করতে চাই, যাতে উভয় দেশের স্বার্থ রক্ষা করা যায়।’
আরও পড়ুন: ষড়যন্ত্র অতিক্রম করে বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে: কোটালীপাড়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির প্রতিবাদে ‘প্রধানমন্ত্রী স্বর্ণপদক’ প্রত্যাখ্যান
শিখা অনির্বাণে সশস্ত্র বাহিনীর শহীদ সদস্যদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সোমবার(১৫ জানুয়ারি) সকালে ঢাকা সেনানিবাসের চিরন্তন শিখা অনির্বাণে এ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী দায়িত্বে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের থাকায় শিখা অনির্বাণে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন তিনি। স্বাধীনতার সংগ্রামে যারা সর্বোচ্চ আত্মত্যাগ করেছেন তাদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে শ্রদ্ধার সঙ্গে কিছুক্ষণ নীরবতা পালন করেন।
আরও পড়ুন: মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ ও জনগণের ক্রয়ক্ষমতা বাড়ানোই সরকারের প্রধান কাজ: টুঙ্গিপাড়ায় প্রধানমন্ত্রী
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমান বাহিনীর একটি যৌথ কন্টিনজেন্ট গার্ড অব অনার প্রদান করে এবং শেষে বিউগলে বেজে ওঠে করুণ সুর, যা অনুষ্ঠানের গুরুত্বকে আরও বাড়িয়ে তোলে।
পুষ্পস্তবক অর্পণের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিখা অনির্বাণে দর্শনার্থী বইয়ে তার অনুভূতির কথা তুলে ধরেন, যা জাতির বীরদের সম্মান জানাতে তার সরকারের অঙ্গীকারের প্রতীকী ইঙ্গিত।
শিখা অনির্বাণে পৌঁছলে তিন বাহিনীর প্রধানদের উষ্ণ অভ্যর্থনার মধ্য দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফরের কার্যক্রম শুরু হয়। অনুষ্ঠান শেষে তিনি সশস্ত্র বাহিনী বিভাগে (এএফডি) যান। সেখানে প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা উপদেষ্টা এবং সামরিক প্রধানরা তাকে অভ্যর্থনা জানান।
আরও পড়ুন: আগামী ৫ বছর উন্নয়ন কাজের গতি বাড়ানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
আগামী ৫ বছর উন্নয়ন কাজের গতি বাড়ানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
আগামী পাঁচ বছর মধ্যে উন্নয়ন কাজ ত্বরান্বিত করতে প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘আমরা পাঁচ বছরের জন্য নির্বাচিত হয়েছি। আমাদের সময় একেবারেই নির্ধারিত। তাই আমি চাই আমাদের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের গতি বাড়ুক, যাতে আমরা দেশকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি।’
রবিবার (১৪ জানুয়ারি) গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় নিজ বাসভবনে মাঠ পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ নির্দেশনা দেন।
আরও পড়ুন: সমৃদ্ধির পথে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকবে: প্রধানমন্ত্রী
তিনি মাঠ প্রশাসনকে একটি উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ ও নকশা প্রণয়নের সময় সেখান থেকে কী পাওয়া যাবে তা বিবেচনা করার আহ্বান জানান।
শেখ হাসিনা বলেন, 'আপনি যখন কোনো প্রকল্প গ্রহণ করেন, তখন আপনাকে অবশ্যই মনে রাখতে হবে যে, প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে সেখান থেকে কী পাওয়া যাবে এবং দেশ ও জনগণ কতটা উপকৃত হবে।’
তিনি আরও বলেন, শুধু অর্থ ব্যয়ের জন্য কোনো প্রকল্প গ্রহণ করেন না তিনি।
তিনি বলেন, অনেক দেশ উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের পথ থেকে পিছলে গেছে, কিন্তু বাংলাদেশ সফলভাবে অনেক বাধা অতিক্রম করেছে এবং উন্নয়নশীল দেশ হওয়ার বিভিন্ন প্যারামিটারে স্থিতিশীল অবস্থান ধরে রাখতে পেরেছে।
আরও পড়ুন: দুই দিনের সফরে শনিবার গোপালগঞ্জ যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, 'তাই আমাদের সেই অনুযায়ী প্রস্তুতি নিতে হবে (উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে যাত্রার জন্য)।’
সরকারের সমালোচকদের সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এক শ্রেণির মানুষ আছে যারা কোনো কিছুতেই ভালো বোধ করে না। ‘তাদের অধিকাংশই আমার কাছে খুব পরিচিত। আমি আমার ছাত্রজীবন থেকেই তাদের কর্মকাণ্ড সম্পর্কে জানি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, শুধু স্থানীয়ভাবে নয়, আন্তর্জাতিকভাবেও বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র অব্যাহত রয়েছে। ‘সুতরাং, এগুলো দেখে ও শুনে মন খারাপ করবেন না। আমি এ বিষয়ে আগে থেকেই সব কিছু বলছি।’
দেশের বিরুদ্ধে নেতিবাচক মন্তব্যে কান না দিয়ে দেশ ও জনগণের কল্যাণ ও সাধারণ মানুষের উন্নয়নের জন্য যা যা করা দরকার তা অব্যাহত রাখার জন্য সংকল্প, আত্মবিশ্বাস ও আত্মমর্যাদাবোধ বাড়াতে সবার প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
আরও পড়ুন: টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর প্রতি প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রীদের শ্রদ্ধা
গত ১৫ বছরে বাংলাদেশ এত উন্নত হবে এবং এগিয়ে যাবে তা অনেক দেশ ভাবতেও পারেনি উল্লেখ করে তিনি বলেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশের সাফল্য ও উন্নয়ন দেখে অনেকেই ঈর্ষান্বিত।
সরকারি কর্মকর্তাদের দিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, ‘সুতরাং এগুলো (বাংলাদেশ সম্পর্কে গুজব ও নেতিবাচক মন্তব্য) দেখে উদ্বিগ্ন হবেন না, দ্বিধা করবেন না এবং কাজ বন্ধ করেবেন না। আপনাদের আত্মবিশ্বাস নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ৭ জানুয়ারির নির্বাচন ঠেকাতে অনেক ষড়যন্ত্র ও ষড়যন্ত্র হয়েছে।
নির্বাচনে স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের জন্য তিনি জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানে ভূমিকা রাখার জন্য নির্বাচন কমিশন, জনপ্রশাসন ও সশস্ত্র বাহিনীসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ধন্যবাদ জানান।
আরও পড়ুন: রমজানে পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি যথাযথভাবে বাস্তবায়ন, পরিবেশ রক্ষায় ইউনিয়ন পর্যায় পর্যন্ত বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করণ, প্রতিটি উপজেলাকে পরিকল্পিতভাবে উন্নয়ন এবং সর্বজনীন পেনশন স্কিম সম্পর্কে সাধারণ মানুষের মাঝে আরও প্রচার চালানোর জন্য মাঠ প্রশাসনকে নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী।
সরকার এখন গ্যাস ও বিদ্যুৎ খাতে ৪৫ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিচ্ছে উল্লেখ করে তিনি মুদ্রাস্ফীতি না বাড়িয়ে ধীরে ধীরে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
আরও পড়ুন: মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ ও জনগণের ক্রয়ক্ষমতা বাড়ানোই সরকারের প্রধান কাজ: টুঙ্গিপাড়ায় প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, বিদ্যুৎ উৎপাদন খরচ অনেক বেশি কিন্তু ভর্তুকি মূল্যে বিদ্যুৎ দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ ইতোমধ্যে রুপিতে ট্রেডিংয়ের জন্য ভারতের সঙ্গে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা ডলারের উপর নির্ভরতা কমাতে আরও কয়েকটি দেশের সঙ্গে তাদের মুদ্রায় বাণিজ্যের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি নতুন মন্ত্রিসভার শ্রদ্ধা
মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ ও জনগণের ক্রয়ক্ষমতা বাড়ানোই সরকারের প্রধান কাজ: টুঙ্গিপাড়ায় প্রধানমন্ত্রী
উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখা, মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করা এবং জনগণের ক্রয়ক্ষমতা বাড়ানোই নতুন সরকারের প্রধান কাজ হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শনিবার (১৩ জানুয়ারি) টুঙ্গিপাড়ায় আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে নিজ নির্বাচনি এলাকার (গোপালগঞ্জ-৩) নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নির্বাচন পরবর্তী শুভেচ্ছা বিনিময় সভায় প্রধান অতিথির ভাষণে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, 'গ্রামাঞ্চলে বড় কোনো সমস্যা দেখছি না, কিন্তু নিম্ন আয়ের মানুষ এবং ঢাকা শহরের বাসিন্দারা বিভিন্ন পণ্যের দাম নিয়ে বেশি ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।’
আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বাজারে খাদ্যের কোনো ঘাটতি নেই।
‘কিন্তু মনে হচ্ছে, কেউ কেউ মানুষকে হয়রানি করার জন্য ইচ্ছাকৃতভাবে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বাড়াচ্ছে। এজন্য আমাদের তদারকি যথাযথভাবে বাড়াতে হবে। আমাদের উৎপাদন বাড়াতে হবে।’
ইয়েমেনে হুতি বিদ্রোহীদের ওপর যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের হামলার কারণে বিশ্ব অর্থনীতিতে আরেকটি আঘাত আসতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।
তিনি বলেন, তার সরকারের বিরুদ্ধে এখনও ষড়যন্ত্র চলছে।
শেখ হাসিনা বলেন, 'এই ষড়যন্ত্র দুই ভাগে বিভক্ত। ষড়যন্ত্রকারীদের এক দলে রয়েছে বিচার নিশ্চিত হয়েছে এমন খুনি, অপরাধী ও যুদ্ধাপরাধী। আরেক দল ষড়যন্ত্র করছে আন্তর্জাতিক পর্যায় থেকে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের ৯০ শতাংশ মানুষ মুসলমান।
আরও পড়ুন: কে পেলেন কোন মন্ত্রণালয়
তিনি বলেন, 'আমি একজন নারী। একজন নারী হয়ে আমি পাঁচবার ক্ষমতায় এসেছি, যা অনেক দেশ মেনে নিচ্ছে না।’
তিনি বলেন, ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে অনেক দেশেরই বাংলাদেশের দিকে খারাপ দৃষ্টি রয়েছে।
দৃঢ়তার সঙ্গে তিনি বলেন, বাংলাদেশে বসে কাউকে অন্য কোনো দেশে সন্ত্রাসী হামলা চালাতে দেবেন না।
‘আমরা একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম দেশ, আমরা স্বাধীনভাবে এগিয়ে যাব, আমরা আকারে ছোট হতে পারি, কিন্তু আমাদের বিশাল জনসংখ্যা রয়েছে এবং তারা আমার সবচেয়ে বড় শক্তি।’
তাকে আবার ক্ষমতায় আসতে বাধা দেওয়ার জন্য ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল বলে মন্তব্য করেন তিনি ।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'যারা তাদের চরম অনুগত হয়ে থাকবে, তারা তাদের ক্ষমতায় বসিয়ে দেবে, যাতে তারা এ দেশের সঙ্গে খেলতে পারে। দেশের জনগণ নির্বাচনের মাধ্যমে এর উপযুক্ত জবাব দিয়েছে।’
তিনি বলেন, বিএনপি যে নির্বাচনে অংশ নেবে না এটাই স্বাভাবিক ছিল।
আরও পড়ুন: টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর প্রতি প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রীদের শ্রদ্ধা
তিনি বলেন, ‘এটা জানা ছিল। তাদের নেতা কোথায়? নেতা হিসেবে তাদের কেউ নেই। কিন্তু বিএনপি নির্বাচন বানচাল করতে চেয়েছিল।’
এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী ট্রেনে আগুন দেওয়ার মতো জঘন্য কর্মকাণ্ডের কথা উল্লেখ করেন, যার ফলে নিরপরাধ মানুষের মৃত্যু হয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আগামী দিনগুলোতে নতুন সরকারকে সর্বোচ্চ সতর্কতার সঙ্গে এগোতে হবে।
দ্রুত মন্ত্রিসভা গঠন নিয়ে বিএনপির সমালোচনার জবাবে তিনি বলেন, মন্ত্রিসভা গঠনে বিলম্বের যৌক্তিকতা কী হতে পারে।
তিনি বলেন, ‘আমরা সিদ্ধান্ত নিতে কখনো দ্বিধা করি না। আমরা জানতাম নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং আগেই পরিকল্পনা করা হয়েছিল যে, নির্বাচনে জিতলে বা হেরে গেলে আমরা কী করব, কেন আমরা সময় নেব, কেন আমি সময় নষ্ট করব।’
তিনি আরও বলেন, দেশের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে তিনি প্রতিটি দিন ব্যবহার করতে চান।
তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন বাস্তবায়নে দেশের উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে সব ধরনের ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে সবার কাছে দোয়া চান।
আরও পড়ুন: রমজানে পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
রমজানে পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
আসন্ন পবিত্র রমজান মাসে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে নবনিযুক্ত মন্ত্রীদের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, 'পবিত্র রমজান আসছে এবং এ মাসে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম যাতে না বাড়ে সেজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করুন।’
শনিবার (১৩ জানুয়ারি) গোপালগঞ্জে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাতে আসা মন্ত্রীদের সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
গত ৭ জানুয়ারির জাতীয় নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতায় বিজয়ী হওয়ার পর প্রথমবারের মতো রাজধানীর বাইরে সফরে সেখানে যান শেখ হাসিনা।
এই বিশাল ব্যবধানে এ জয়ে টানা চতুর্থ মেয়াদ এবং সামগ্রিকভাবে পঞ্চম মেয়াদে ক্ষমতায় আসীন হয়েছেন তিনি।
বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
আরও পড়ুন: কে পেলেন কোন মন্ত্রণালয়
তিনি বলেন, এটি মন্ত্রিসভার অনানুষ্ঠানিক বৈঠক।
তিনি আরও বলেন, বিশেষ করে রমজান মাসে পণ্যের কৃত্রিম সংকট তৈরি রোধ করতে বড় মজুদদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে মন্ত্রীদের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
এ বিষয়ে মন্ত্রীদের নিয়মিত মজুদবিরোধী অভিযান পরিচালনারও নির্দেশ দেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখুন, যাতে সাধারণ মানুষ স্বাচ্ছন্দ্যে জীবন যাপন করতে পারে।’
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব বলেন, প্রধানমন্ত্রী তার মন্ত্রিসভার সদস্যদের প্রথমে তার মন্ত্রণালয় সম্পর্কে তথ্য-উপাত্ত জানার নির্দেশনা দেন।
সালাউদ্দিন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মন্ত্রীদের কোনো প্রকল্প গ্রহণের সময় দেশ ও জনগণের কল্যাণের বিষয়টি বিবেচনা করতে বলেছেন।
আরও পড়ুন: টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর প্রতি প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রীদের শ্রদ্ধা
টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর প্রতি প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রীদের শ্রদ্ধা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নতুন মন্ত্রিসভা টানা চতুর্থবার ও মোট পঞ্চমবার সরকার গঠন উপলক্ষে টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে।
শনিবার (১৩ জানুয়ারি) টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিসৌধে প্রধানমন্ত্রী প্রথমে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
এ সময় তিন বাহিনী থেকে আগত একটি চৌকস দল রাষ্ট্রীয় সালাম প্রদান করে।
নতুন মন্ত্রিসভার সহকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা সমাধিসৌধের বেদিতে আরেকটি পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
পরে তিনি কোটালীপাড়া ও টুঙ্গিপাড়া আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দকে সঙ্গে নিয়ে আরও একটি পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর রুহের মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত ও ফাতেহা পাঠ করেন।
৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ২৯৮টি আসনের মধ্যে ২২২টি আসনে নিরঙ্কুশ বিজয় অর্জন করে।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর প্রতি নতুন মন্ত্রিসভার শ্রদ্ধা
প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি নতুন মন্ত্রিসভার শ্রদ্ধা
কে পেলেন কোন মন্ত্রণালয়
নতুন মন্ত্রিসভার সদস্য হিসেবে শপথ নিয়েছেন ৩৬ জন মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রী।
বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টায় বঙ্গভবনে তাদের শপথ বাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন।
এর মধ্যে ২৫ জন মন্ত্রী এবং ১১ জন প্রতিমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেনের সই করা এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।
মন্ত্রীরা হলেন-
আ ক ম মোজাম্মেল হক মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়; ওবায়দুল কাদের সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়; নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন শিল্প মন্ত্রণালয়; আসাদুজ্জামান খান কামাল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়; ড. হাছান মাহমুদ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়; ডা. দীপু মনি সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়; তাজুল ইসলাম স্থানীয় সরকার, পল্লি উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়; মো. ফারুক খান বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়; আবুল হাসান মাহমুদ আলী অর্থ মন্ত্রণালয়; অ্যাডভোকেট আনিসুল হক আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়; আব্দুস শহীদ কৃষি মন্ত্রণালয়; সাধন চন্দ্র মজুমদার খাদ্য মন্ত্রণালয়; র আ ম উবায়দুল মোক্তাদির চৌধুরী গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়; আব্দুর রহমান মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়; নারায়ণ চন্দ্র চন্দ ভূমি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন।
এ ছাড়াও আব্দুস সালাম পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়; মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল শিক্ষা মন্ত্রণালয়; ফরহাদ হোসেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়; ফরিদুল হক খান ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়; জিল্লুল হাকিম রেলপথ মন্ত্রণালয়; সাবের হোসেন চৌধুরী পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়; জাহাঙ্গীর কবির নানক বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়; নাজমুল হাসান পাপন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়; ইয়াফেস ওসমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এবং ড. সামন্ত লাল সেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন।
তাদের মধ্যে ইয়াফেস ওসমান ও ড. সামন্ত লাল সেন টেকনোক্র্যাট মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।
এদিকে প্রতিমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন- তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের জন্য মোহাম্মদ এ আরাফাত, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের জুনাইদ আহমেদ পলক, বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের জন্য নসরুল হামিদ, মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের জন্য সিমিন হোসেন রিমি, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জন্য রুমানা আলী, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের জন্য আহসানুল ইসলাম টিটু, প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের জন্য শফিকুর রহমান চৌধুরী, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের জন্য খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের জন্য জাহিদ ফারুক, ত্রিপুরা পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের জন্য কুজেন্দ্র লাল এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের জন্য মহিবুর রহমান।