প্রধানমন্ত্রীর-কার্যালয়
মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে হুমকি দেওয়ায় আ. লীগ নেতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
একজন বিদেশি কূটনীতিককে প্রকাশ্যে ভাষণে হুমকি দেওয়া ব্যক্তির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শুক্রবার (১০ অক্টোবর) পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ কূটনৈতিক বিষয়ে সব নিয়ম ও দায়িত্বকে সম্মান করে এবং অপর পক্ষের কাছ থেকেও অনুরূপ ব্যবহার আশা করে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী এ নির্দেশনা দেন।
এর আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বলেছিল, তারা আশা করে স্বাগতিক দেশের সরকার তাদের (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের) কর্মীদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা বজায় রাখার জন্য সব ধরনের উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবে।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রধান উপ-মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেলকে স্থানীয় এক ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা মুজিবুল হক চৌধুরীর মন্তব্য সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, ‘আমাদের কূটনৈতিক কর্মীদের নিরাপত্তা ও কূটনৈতিক সুযোগ-সুবিধা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমি মনে করি এই ধরনের হিংসাত্মক বক্তব্য খুবই অসৌজন্যমূলক।’
প্যাটেল ভিয়েনা কনভেনশনের অধীনে দেশগুলোর বাধ্যবাধকতা এবং এর অধীনে থাকা কূটনৈতিক কনভেনশনের কথাও উল্লেখ করেছেন।
আরও পড়ুন: সুষ্ঠু-নিরপেক্ষ নির্বাচনই আমাদের মূল লক্ষ্য: প্রধানমন্ত্রী
আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ এ আরাফাত বলেন, যদিও জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণত ইউনিয়ন পর্যায়ের যেকোনো নেতাকে যেকোনো অন্যায়ের জন্য সতর্ক করে, তবে সেক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ মুজিবুল হককে কারণ দর্শাতে বলবে এবং সতর্ক করবে।
তিনি তার এক্সে অ্যাকাউন্টে (পূর্বে টুইটার) লিখেছেন, ‘কোনো সন্দেহ নেই বাংলাদেশ সরকার ভিয়েনা কনভেনশন এবং কূটনৈতিক কনভেনশনের অধীনে থাকা বাধ্যবাধকতার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে কূটনীতিক ও তাদের কর্মী এবং সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা বজায় রাখার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা নেবে।’
ইউনিয়ন পর্যায়ের আওয়ামী লীগ নেতা মুজিবুল তার জনসাধারণের বক্তৃতায় বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসকে ‘মারধর’ করার হুমকি দেন।
আরাফাত বলেন, ‘ইউনিয়ন হলো দলের সর্বনিম্ন পর্যায় এবং সেই পর্যায়ের হাজার হাজার মানুষ প্রতিদিন এমন অনেক কথা বলে যা আমরা খুব একটা গুরুত্ব দেই না। আওয়ামী লীগ কোনো রেজিমেন্টেড দল নয়, তাই তৃণমূল নেতারা বাকস্বাধীনতা ভোগ করেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘তবে এই বিশেষ ক্ষেত্রে, আমি আওয়ামী লীগের ইউনিয়ন পর্যায়ের নেতার করা ঘৃণ্য বক্তব্যের নিন্দা জানাই। আমি তৃণমূলের সব নেতার আওয়ামী লীগ নেতাদের সতর্কতা অবলম্বন করার এবং কোনো কূটনৈতিক শিষ্টাচার লঙ্ঘন না করার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।’
আরও পড়ুন: মেট্রোরেলের আগারগাঁও থেকে মতিঝিল অংশের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
অগ্নিসংযোগকারীদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলুন: দলীয় সদস্যদের প্রতি শেখ হাসিনা
চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেললাইন শনিবার উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বহুল প্রতীক্ষিত ১০২ কিলোমিটার দীর্ঘ চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেললাইনের উদ্বোধন করবেন। এর মাধ্যমে দেশের পর্যটন কেন্দ্রের সঙ্গে বন্দর নগরী চট্টগ্রামের মধ্যে রেল যোগাযোগ স্থাপন হবে।
প্রধানমন্ত্রী নবনির্মিত কক্সবাজার রেলওয়ে স্টেশনে আনুষ্ঠানিকভাবে ট্রেন চলাচলের জন্য নতুন রেলপথের (চট্টগ্রামের দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত) উদ্বোধন করবেন।
আরও পড়ুন: ১১ নভেম্বর দোহাজারী-কক্সবাজার রেলপথের উদ্বোধন
প্রধানমন্ত্রী কক্সবাজার রেলওয়ে স্টেশন থেকে রামু রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত একটি ট্রেনেরও উদ্বোধন করবেন।
নতুন এই রেললাইনের ফলে চট্টগ্রাম থেকে পর্যটন নগরী কক্সবাজার পর্যন্ত দ্রুত ও নির্বিঘ্নে ট্রেন চলাচল নিশ্চিত হবে।
ভবিষ্যতে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেললাইন মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দরের সঙ্গে যুক্ত হবে।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারের পথে প্রথম পরিদর্শন ট্রেন
১০২ কিলোমিটার এই রেলপথে সাতকানিয়া, লোহাগাড়া, চকরিয়া, ডুলাহাজরা, ঈদগাও, রামু, কক্সবাজার সদর, উখিয়া ও গুমদুমে নয়টি স্টেশন রয়েছে।
কক্সবাজার রেলওয়ে স্টেশনটি ঝিনুকের আকৃতিতে নির্মিত হওয়ায় এটি একটি আইকনিক স্টেশন। এতে পাওয়া যাবে আধুনিক সব সুযোগ-সুবিধা।
এই স্টেশনগুলোতে সম্পূর্ণ কম্পিউটারভিত্তিক ইন্টারলকিং সিগন্যাল সিস্টেম এবং একটি সম্পূর্ণ ডিজিটালাইজড টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্ক রয়েছে।
২০১১ সালের ৩ এপ্রিল শেখ হাসিনা তার সরকারের অগ্রাধিকার প্রকল্প দোহাজারী-কক্সবাজার রেলপথ নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
আরও পড়ুন: শনিবার প্রধানমন্ত্রীর সফরকে ঘিরে উৎসবমুখর কক্সবাজার
রাজধানীতে 'মৃত্যুঞ্জয়ী প্রাঙ্গণ' উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাঙালি জাতির স্বাধীনতা সংগ্রামে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভূমিকা তুলে ধরে রাজধানীর বিজয় সরণিতে নির্মিত 'মৃত্যুঞ্জয়ী প্রাঙ্গণ' উদ্বোধন করেছেন।
'মৃত্যুঞ্জয়ী প্রাঙ্গণ' এর মাঝখানে বঙ্গবন্ধুর একটি বিশাল ভাস্কর্য ৭ দেওয়ালের ম্যুরালসহ স্থাপন করা হয়েছে।
ম্যুরালে ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ পর্যন্ত বাঙালির মুক্তি সংগ্রামের ইতিহাস তুলে ধরা হয়েছে।
এর আগে ২০২১ ও ২০২২ সালে বিজয় দিবসের কুচকাওয়াজে 'মৃত্যুঞ্জয়' নামে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যটি প্রদর্শিত হয়েছিল।
আরও পড়ুন: শনিবার প্রধানমন্ত্রীর সফরকে ঘিরে উৎসবমুখর কক্সবাজার
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জাতির পিতার এই ভাস্কর্যটি নিছক একটি ভাস্কর্য নয়, এটি একটি ইতিহাস। আমাদের দেশকে জানার জন্য এটি একটি ইতিহাস।’
ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে অন্যান্য আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধসহ বাঙালি জাতির মুক্তির সংগ্রামে জাতির পিতার নেতৃত্ব ও অবদান বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কর্তৃক নির্মিত এই প্রাঙ্গণের দেয়ালে চিত্রিত হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী 'মৃত্যুঞ্জয়ী প্রাঙ্গণ' ঘুরে দেখেন এবং পরে সেখানে উপস্থিত শিক্ষার্থী এবং সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে ছবি তোলেন।
সেনাপ্রধান এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন এবং ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
আরও পড়ুন: সুষ্ঠু-নিরপেক্ষ নির্বাচনই আমাদের মূল লক্ষ্য: প্রধানমন্ত্রী
মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দরের আবিষ্কারক প্রধানমন্ত্রী: নৌপ্রতিমন্ত্রী
একনেকে ৩৯০৯৪ কোটি টাকার ৪৪ প্রকল্প অনুমোদন
৩৯ হাজার ৯৪ কোটি টাকা ব্যয়ে ৪৪টি প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) ।
বৃহস্পতিবার(৯ নভেম্বর) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরএনইসি সম্মেলন কক্ষে প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় এ অনুমোদন দেওয়া হয়।
বৈঠকে মোট ৪৫টি প্রকল্প উপস্থাপন করা হয়। তবে ৪৪টি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে এবং মাত্র একটি প্রকল্প ফেরত পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।
৩৯ হাজার ৯৪ কোটি ৩৩ লাখ টাকার পাস করা প্রকল্পগুলোতে জাতীয় কোষাগার থেকে ২৯ হাজার ৯৫৩ কোটি ৪৪ লাখ টাকা, বৈদেশিক উৎস থেকে সাত হাজার ৫৭৯ কোটি ৭৩ লাখ টাকা এবং সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব তহবিল থেকে এক হাজার ৫৬১ কোটি ১৬ লাখ টাকা ব্যয় করা হবে।
ব্যয়ের দিক থেকে সবচেয়ে বড় তিনটি নতুন প্রকল্প হলো- ছয় হাজার ১৪০ কোটি ১৯ লাখ টাকা ব্যয়ে 'ভাঙ্গা-যশোর-বেনাপোল মহাসড়ক চার লেনে উন্নীতকরণের জন্য ভূমি অধিগ্রহণ ও ইউটিলিটি হস্তান্তর' প্রকল্প; ৪ হাজার ৪০ কোটি টাকা ব্যয়ে 'এক্সটেন্ডেড ঢাকা ওয়াটার সাপ্লাই রেজিলিয়েন্স' প্রকল্প; এবং ১ হাজার ৬৪২ কোটি ৭৩ লাখ টাকা ব্যয়ে 'যশোর রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল' প্রকল্প।
আরও পড়ুন: একনেকে ৮৮টি পৌরসভায় নগর শাসন ও অবকাঠামো উন্নয়নে ৬,৩৪৫ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন
অন্যান্য বৃহৎ প্রকল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে ১ হাজার ৫৯৫ কোটি ৬২ লাখ টাকা ব্যয়ে 'সারাদেশে নগর ও ইউনিয়ন ভূমি অফিস নির্মাণ (পর্যায়-২)' প্রকল্প; ১ হাজার ৪৫৯ কোটি ৭৪ লাখ টাকা ব্যয়ে 'সম্প্রসারিত এলাকাসহ সিলেট সিটি করপোরেশনের সমন্বিত অবকাঠামো উন্নয়ন' প্রকল্প; ১ হাজার ৪০৪ কোটি ৪৬ লাখ টাকা ব্যয়ে 'বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্প নগরের সঙ্গে লক্ষ্মীপুর, নোয়াখালী ও ফেনী জেলার সংযোগ সড়ক যথাযথ মান ও প্রশস্তকরণ' প্রকল্প; ১ হাজার ১৯৫ কোটি ৩২ লাখ টাকা ব্যয়ে মহেশখালী অর্থনৈতিক অঞ্চল-৩ (ধোলঘাটা)- এর জন্য গ্যাস, বিদ্যুৎ ও যোগাযোগ অবকাঠামো নির্মাণ এবং ১ হাজার ১৮১ কোটি ৫০ লাখ টাকা ব্যয়ে 'ইমপ্রুভমেন্ট অব আরবান পাবলিক হেলথ প্রিভেন্টিভ সার্ভিসেস' প্রকল্প।
আরও পড়ুন: একনেকে ১৮ হাজার কোটি টাকার ১৯ প্রকল্প অনুমোদন
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রীয় কোষাগারের বোঝা কমাতে বিভিন্ন খাত বিশেষ করে বিদ্যুৎ ও পানি খাতে ভর্তুকি প্রদানের প্রবণতা থেকে ধীরে ধীরে বেরিয়ে আসার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান।
প্রধানমন্ত্রীকে উদ্বৃত করে মান্নান বলেন, ‘পর্যায়ক্রমে ভর্তুকি প্রথা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। বিদ্যুৎ এবং পানির মতো পরিষেবাগুলো সর্বজনীন এবং সকলেই ব্যবহার করে। একজন মন্ত্রী থেকে শুরু করে পরিচ্ছন্নতাকর্মী পর্যন্ত সবাই সমানভাবে এই ধরনের ভর্তুকি সুবিধা ভোগ করেন।’
প্রধানমন্ত্রী বিদ্যুৎ ও পানি পরিষেবার জন্য এলাকাভিত্তিক ও আয়ভিত্তিক চার্জ নির্ধারণের পরামর্শ দেন বলে জানান মান্নান।
আরও পড়ুন: একনেকে অনুমোদন পেল ডিএসসিসির ৮ লেনের সড়ক নির্মাণ প্রকল্প
সুষ্ঠু-নিরপেক্ষ নির্বাচনই আমাদের মূল লক্ষ্য: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন তার সরকারের প্রধান লক্ষ্য।
তিনি বলেন, 'নির্বাচন আসছে এবং এটি জনগণের গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক অধিকার। এই অধিকার রক্ষা এবং একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করাই সরকারের লক্ষ্য।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ তার সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের (এএলসিডব্লিউসি) সভায় সূচনা বক্তব্যে এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, এ পর্যন্ত জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার আওয়ামী লীগের আন্দোলন-সংগ্রামের ফসল।
অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আওয়ামী লীগের অবদান বলে মন্তব্য করেন তিনি।
ক্ষআওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, তার দল জনগণের গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক অধিকারে বিশ্বাস করে।
শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ বারবার জনগণের ভোট নিয়ে ক্ষমতায় এসেছে, সরকার গঠন করেছে এবং জনগণের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন করেছে।
আরও পড়ুন: সৌদি আরব থেকে আজ রাতে দেশের উদ্দেশে রওনা হবেন প্রধানমন্ত্রী
বিএনপির কঠোর সমালোচনা করে তিনি বলেন, যখনই মানুষ শান্তিতে বসবাস করে, তখনই বিএনপি আগুন সন্ত্রাসের মাধ্যমে নৈরাজ্য সৃষ্টিতে সক্রিয় হয়ে ওঠে।
তিনি বলেন, 'এই অস্থিরতা ও অগ্নিসন্ত্রাস থেকে জনগণকে বাঁচাতে হবে, এটাই মূল কাজ।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশকে অর্থনৈতিকভাবে পঙ্গু করার জন্য স্বার্থান্বেষী মহল ষড়যন্ত্র করছে।
তিনি বলেন, তারা অগ্নিসন্ত্রাস ও মানুষ হত্যার মাধ্যমে দেশে অস্বাভাবিক পরিস্থিতি সৃষ্টির জন্য সব দিক থেকে ষড়যন্ত্র করছে। এসব প্রতিকূলতা মোকাবিলা করে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।
আগামী দিনগুলোতে কেউ যেন দেশের অগ্রযাত্রা থামাতে না পারে সেজন্য সবাইকে সজাগ থাকার অনুরোধ জানান তিনি।
আরও পড়ুন: সৌদি আরব থেকে দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী
বাংলাদেশের মাটিতে অগ্নিসন্ত্রাসী, জঙ্গি ও দুর্নীতিবাজদের অতীতের মতো প্রতিহত করার আহ্বান জানান শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ২০১৩-১৪ সালে জনগণই অগ্নিসংযোগকারী, দুর্নীতিবাজ ও জঙ্গিদের প্রতিহত করেছিল।
ষড়যন্ত্রকারী, দুর্নীতিবাজ, অর্থ পাচারকারী, অস্ত্র চোরাকারবারি ও অগ্নিসন্ত্রাসীদের প্রতিহত করার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ গণতন্ত্র, শান্তি ও উন্নয়নে বিশ্বাস করে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'এই বিশ্বাস নিয়েই বাংলাদেশ অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে এবং ভবিষ্যতেও এই অগ্রগতি অব্যাহত রাখতে হবে।’
শেখ হাসিনা বলেন, দেশের জনগণকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে যে তারা জঙ্গিবাদ, অগ্নিসংযোগ, অস্ত্র চোরাচালান, দুর্নীতিবাজ ও এতিমদের অর্থ আত্মসাৎকারীদের চায়, নাকি তারা আওয়ামী লীগের উন্নয়নের ধারাবাহিকতা চায়।
ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি হামলার প্রসঙ্গ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ইসরাইলিদের মতো বিএনপি-জামায়াতও সাধারণ মানুষ, হাসপাতাল ও পুলিশের ওপর হামলা চালাচ্ছে।
শেখ হাসিনা বলেন, গত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগের জনপ্রিয়তা কমেনি, বরং জনগণের আস্থা, বিশ্বাস ও নির্ভরতা অনেক বেশি।
বিভিন্ন জরিপের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের ৭০ শতাংশ মানুষের আওয়ামী লীগের ওপর আস্থা রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে গার্মেন্টস শ্রমিকদের উসকানির তীব্র সমালোচনা করে বলেন, এক্ষেত্রে উগ্র ডানপন্থী জামায়াত ও কমিউনিস্টসহ উগ্র বাম সংগঠনগুলো একযোগে কথা বলছে।
এ সময় তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, আন্দোলনের নামে ভাঙচুরের কারণে কোনো কারখানা ধ্বংস হলে উৎপাদন ও রপ্তানি ব্যাহত হবে, শ্রমিকদের রুটি-রুজি ও ভরণপোষণ ব্যাহত হবে।
তিনি বলেন, মালিকপক্ষ শ্রমিকদের মজুরি ন্যূনতম ১২ হাজার ৫০০ টাকায় উন্নীত করলেও স্বার্থান্বেষী মহল গার্মেন্টস শিল্পকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে।
শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার দেশের উন্নয়নকে শুধু মেট্রোরেল, কর্ণফুলী টানেল বা বড় ফ্লাইওভারের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখেনি।
তিনি বলেন, 'আমরা শহরাঞ্চলের চেয়ে গ্রামাঞ্চলের উন্নয়নে গুরুত্ব দিয়েছি।’
সৌদি আরব থেকে দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সৌদি আরবে 'ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স অন উইমেন ইন ইসলামে' যোগদান এবং ওমরাহ পালন শেষে দেশে ফিরেছেন।
প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি বাণিজ্যিক ফ্লাইট সকাল ৭টা ৪১ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
এর আগে মঙ্গলবার স্থানীয় সময় রাত ১০টা ৫৪ মিনিটে ফ্লাইটটি বাদশাহ আবদুল আজিজ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে।
৫ নভেম্বর ৩ দিনের সফরে সৌদি আরবে যান প্রধানমন্ত্রী। ওই দিন তিনি মদিনায় মসজিদে নববীতে আছর নামাজের পর মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর রওজা মোবারক জিয়ারত করেন এবং ফাতেহা পাঠ করেন।
আরও পড়ুন: সৌদি আরব থেকে আজ রাতে দেশের উদ্দেশে রওনা হবেন প্রধানমন্ত্রী
এরপর তিনি মক্কার উদ্দেশে রওনা হন এবং একই দিনে এশার নামাজের পর মসজিদুল হারামে (কাবা শরীফ) পবিত্র ওমরাহ পালন করেন।
৬ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী সম্মেলনে যোগ দেন এবং ভাষণ দেন।
সম্মেলনের সাইডলাইনে তিনি ওআইসি (ইসলামি সহযোগিতা সংস্থা) ও সদস্য দেশগুলোর শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গেও বৈঠক করেন।
সম্মেলনে যোগ দেওয়ার পাশাপাশি তিনি উইমেন ইন ইসলাম প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেন এবং তার সম্মানে আয়োজিত নৈশভোজে অংশ নেন।
ওআইসি’র সাধারণ সচিবালয়ের সহযোগিতায় সৌদি আরব ৬-৮ নভেম্বর এ সম্মেলনের আয়োজন করে।
আরও পড়ুন: মক্কায় ওমরাহ পালন করলেন প্রধানমন্ত্রী
ইসলামে নারীবিষয়ক সম্মেলনে যোগ দিতে মদিনা পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী
সৌদি আরব থেকে আজ রাতে দেশের উদ্দেশে রওনা হবেন প্রধানমন্ত্রী
ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স অন উইমেন ইন ইসলামে অংশগ্রহণ এবং ওমরাহ পালন শেষে মঙ্গলবার রাতে দেশের উদ্দেশে রওনা হবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি বাণিজ্যিক ফ্লাইট স্থানীয় সময় রাত ১০টায় সৌদি আরবের বাদশাহ আবদুল আজিজ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করবে।
ফ্লাইটটি বুধবার সকাল ৮টার দিকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের কথা রয়েছে।
এর আগে ৫ নভেম্বর বিকালে প্রধানমন্ত্রী মদিনার প্রিন্স মোহাম্মদ বিন আবদুল আজিজ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন এবং মদিনার মসজিদে নববীতে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর রওজা মোবারক জিয়ারত করেন এবং আসরের নামাজের পর সেখানে ফাতেহা পাঠ করেন।
আরও পড়ুন: নেপালে ভূমিকম্পে হতাহতদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর শোক
এরপর মদীনা থেকে মক্কায় পৌঁছান তিনি। পরে প্রধানমন্ত্রী এশার নামাজের পর আল মসজিদুল হারামে (কাবা শরীফ) পবিত্র ওমরাহ পালন করেন।
গত ৬ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী সম্মেলনে যোগদান করে ভাষণ দেন।
সম্মেলনের ফাঁকে তিনি ওআইসি ও সদস্য দেশগুলোর শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন।
সম্মেলনে যোগ দেওয়ার পাশাপাশি তিনি উইমেন ইন ইসলাম প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেন এবং তার সম্মানে নৈশভোজে অংশ নেন।
ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) জেনারেল সেক্রেটারিয়েটের সঙ্গে সমন্বয় করে সৌদি আরব ৬-৮ নভেম্বর এ সম্মেলনের আয়োজন করে।
আরও পড়ুন: মহানবীর (সা.) রওজা মোবারক জিয়ারত করলেন প্রধানমন্ত্রী
মহানবীর (সা.) রওজা মোবারক জিয়ারত করলেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পবিত্র নগরী মদিনায় মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর রওজা মোবারক জিয়ারত করেছেন।
রবিবার (৫ নভেম্বর) তিনি আসরের নামাজ শেষে মসজিদে নববীতে মহানবী (সা.) এর রওজা মোবারক জিয়ারত করেন।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জেদ্দায় অনুষ্ঠেয় 'ইসলামে নারী: মর্যাদা ও ক্ষমতায়ন' শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যোগ দিতে তিন দিনের সফরে রবিবার সৌদি আরবে পৌঁছান।
প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি বাণিজ্যিক ফ্লাইট স্থানীয় সময় দুপুর ১টা ১০ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় বিকাল ৪টা ১০ মিনিটে) মদিনার প্রিন্স মোহাম্মদ বিন আবদুল আজিজ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
আরও পড়ুন: সৌদি আরবের উদ্দেশে আগামীকাল ঢাকা ত্যাগ করবেন প্রধানমন্ত্রী
ফ্লাইট চলাকালে প্রধানমন্ত্রী বিমানের চারপাশে ঘুরে সাধারণ যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলেন। যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলতে এবং প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তাদের ছবি তুলতে দেখা গেছে।
শেখ হাসিনা তাদের সুস্থতার খোঁজ-খবর নেন এবং শিশুদের সঙ্গে কথা বলেন।
তিনি এশার নামাজের পর জেদ্দার উদ্দেশে মদিনা ত্যাগ করবেন এবং এরপর রবিবার মক্কায় ওমরাহ পালন করেন।
সোমবার তিনি ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স অন উইমেন ইন ইসলাম’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন এবং সেখানে অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেবেন।
এছাড়া প্রধানমন্ত্রী ইরানের নারী ও পরিবার বিষয়ক বিভাগের ভাইস প্রেসিডেন্ট এনসেইহ খাজালি, ওআইসির নারী উন্নয়ন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক ড. আফনান আলশুয়াইবি এবং সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহানের সঙ্গে পৃথক বৈঠক করবেন।
আরও পড়ুন: নেপালে ভূমিকম্পে হতাহতদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর শোক
একই দিন (০৬ নভেম্বর) প্রিন্সেস নুরা বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত উইমেন ইন ইসলাম প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন তিনি।
মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী মসজিদুল হারামে নামাজ আদায় করবেন।
শেখ হাসিনা বুধবার (০৮ নভেম্বর) রাতে মক্কা ত্যাগ করে বুধবার সকালে দেশে ফিরবেন।
ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) জেনারেল সেক্রেটারিয়েটের সহযোগিতায় সৌদি আরব ৬ থেকে ৮ নভেম্বর এই সম্মেলনের আয়োজন করছে।
মুসলিম উম্মাহর পণ্ডিতদের ব্যাপক অংশগ্রহণে ইসলামে নারীর অধিকার ও দায়িত্ব, বিশেষ করে ইসলামের শিক্ষা ও কাজের অধিকারকে স্পষ্ট করার লক্ষ্যে ইসলামে নারী বিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
আরও পড়ুন: সৌদি আরবের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রীর ঢাকা ত্যাগ
নেপালে ভূমিকম্পে হতাহতদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর শোক
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নেপালে শুক্রবার ভূমিকম্পে দেড় শতাধিক মানুষের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
তিনি বলেন, ‘নেপালে বহু মূল্যবান জীবন কেড়ে নেওয়া এবং বহু মানুষ আহত হওয়া একটি বিধ্বংসী ভূমিকম্পের খবর শুনে আমি গভীরভাবে মর্মাহত ও দুঃখিত।’
রবিবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের প্রেস উইংয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নেপালে সাম্প্রতিক ভূমিকম্পে দেশটির প্রধানমন্ত্রী পুষ্প কমল দাহাল প্রচণ্ডকে একটি শোকপত্র পাঠিয়েছেন শেখ হাসিনা।
স্বাক্ষরিত চিঠিতে তিনি আরও উল্লেখ করেন, বাংলাদেশের জনগণও গভীর শোক প্রকাশে তার সঙ্গে যোগ দিয়েছে।
আরও পড়ুন: জিনাতুন নেসা তালুকদারের মৃত্যুতে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর শোকপ্রকাশ
তিনি বলেন, ‘আমরা শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি যারা তাদের প্রিয় পরিবারের সদস্য এবং তাদের বন্ধুদের হারিয়েছেন। আমরা আন্তরিকভাবে ভূমিকম্পে আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি।’
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী পুনর্ব্যক্ত করেন, বাংলাদেশের জনগণ এই কঠিন সময়ে ভ্রাতৃত্বের চেতনায় নেপালের জনগণের পাশে রয়েছে।
আরও পড়ুন: ড. সালিমুল হকের মৃত্যুতে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর শোক
সৌদি আরবের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রীর ঢাকা ত্যাগ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জেদ্দায় অনুষ্ঠিতব্য 'ওয়েমেন ইন ইসলাম: স্ট্যাটাস অ্যান্ড এম্পাওয়ারমেন্ট' শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যোগ দিতে সৌদি আরবের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেছেন।
ইসলামি সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) সাধারণ সচিবালয়ের সঙ্গে সমন্বয় করে সৌদি আরব ৬ থেকে ৮ নভেম্বর এই সম্মেলনের আয়োজন করছে।
প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি বাণিজ্যিক ফ্লাইট সকাল ৯টা ১০ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে।
আরও পড়ুন: নারীর ক্ষমতায়নে প্রধানমন্ত্রী একজন 'গ্লোবাল স্টার': মোমেন
স্থানীয় সময় দুপুর দেড়টার দিকে মদিনার প্রিন্স মোহাম্মদ বিন আবদুল আজিজ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তার পৌঁছানোর কথা রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী রবিবার আসর নামাজের পর মহানবী (সা.) এর রওজা মোবারকে ফাতেহা পাঠ করবেন। এরপর শেখ হাসিনা জেদ্দার উদ্দেশে মদিনা ত্যাগ করবেন এবং মক্কায় ওমরাহ পালন করবেন।
সোমবার প্রধানমন্ত্রী ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স অন উইমেন ইন ইসলামের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন এবং সেখানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে ভাষণ দেবেন।
পাশাপাশি, তিনি ইরানের নারী ও পরিবার বিষয়ক বিভাগের ভাইস প্রেসিডেন্ট এনসেইহ খাজালি, ওআইসি নারী উন্নয়ন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক ড. আফনান আলশুয়াইবি এবং সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহানের সঙ্গে বৈঠক করবেন।
একই দিন (৬ নভেম্বর) প্রিন্সেস নোরা বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত উইমেন ইন ইসলাম প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানেও যোগ দেবেন তিনি।
আরও পড়ুন: সৌদি আরবের উদ্দেশে আগামীকাল ঢাকা ত্যাগ করবেন প্রধানমন্ত্রী
মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী মসজিদ আল-হারামে নামাজ আদায় করবেন।
প্রধানমন্ত্রী স্থানীয় সময় রাত ১০টা ৪৫ মিনিটে (মঙ্গলবার) বাদশাহ আবদুল আজিজ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি বাণিজ্যিক ফ্লাইটে দেশের উদ্দেশে মক্কা ত্যাগ করবেন। বুধবার (৮ নভেম্বর) সকাল ৮টায় ফ্লাইটটি ঢাকায় অবতরণের কথা রয়েছে।
ইসলামে নারীর অধিকার ও দায়িত্ব, বিশেষ করে মুসলিম উম্মাহর আলেম-ওলামাদের ব্যাপক অংশগ্রহণে ইসলামের শিক্ষা ও কাজের অধিকারকে স্পষ্ট করার লক্ষ্যে ইসলামে নারী বিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলনের আয়োজন করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: বিএনপি-জামায়াত অগ্নিসংযোগ বন্ধ না করলে, আমরাই রুখে দেব: প্রধানমন্ত্রী