প্রধানমন্ত্রীর-কার্যালয়
উদ্বোধন হওয়া ৩ উন্নয়ন প্রকল্প থেকে বাংলাদেশ ও ভারত উভয় দেশের জনগণ উপকৃত হবে: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যৌথভাবে উদ্বোধন করা ভারতের সহায়তায় ৩টি উন্নয়ন প্রকল্প এই উপ-অঞ্চলের পাশাপাশি বাংলাদেশ ও ভারত উভয় দেশের জনগণকে উপকার করবে।
তিনি বলেন, ‘ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও আমি ১ নভেম্বর যৌথভাবে ৩টি উন্নয়ন প্রকল্প চালু করেছি। আমি আশা করি এই প্রকল্পগুলো উভয় দেশ এবং এই উপ-অঞ্চলের জনগণের উপকার করবে।’
শুক্রবার সন্ধ্যায় গণভবনে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে এসব কথা বলেন তিনি।
বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
আরও পড়ুন: নারীর ক্ষমতায়নে প্রধানমন্ত্রী একজন 'গ্লোবাল স্টার': মোমেন
প্রকল্প ৩টি হলো- ১২ দশমিক ২৪ কিলোমিটার আখাউরা-আগরতলা আন্তঃসীমান্ত রেল সংযোগ, খুলনা-মোংলা বন্দর রেললাইন; এবং মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্টের ইউনিট-২।
প্রধানমন্ত্রী ২০২৪ সাল থেকে শুরু হওয়া ৫ বছরের মেয়াদে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের নতুন আঞ্চলিক পরিচালক হিসেবে সায়মা ওয়াজেদের প্রার্থিতা সমর্থন করায় ভারত সরকার ও নরেন্দ্র মোদিকে ধন্যবাদ জানান।
আরও পড়ুন: বিএনপির আসল চরিত্র বিশ্বের সামনে তুলে ধরুন: সাংবাদিকদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী
১ নভেম্বর অনুষ্ঠিত নির্বাচনে শেখ হাসিনার একমাত্র মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ নেপালের একমাত্র প্রার্থীকে পরাজিত করে বিজয়ী হন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দুই দেশেই সাধারণ নির্বাচন ঘনিয়ে আসছে।
তিনি বলেন, ‘উভয় দেশের একে অপরের সংবেদনশীলতা সম্পর্কে সচেতন হওয়া উচিৎ।’
সাক্ষাৎকালে দু'দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক ও অর্থনৈতিক সহযোগিতার অবস্থা নিয়ে দু'জনেই সন্তোষ প্রকাশ করেন।
বৈঠকে অ্যাম্বাসেডর-অ্যাট-লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের (পিএমও) সচিব মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: সাংবাদিকদের জন্য আরও ১০ কোটি টাকা অনুদান ঘোষণা প্রধানমন্ত্রীর
অগ্নিসংযোগকারীদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলুন: দলীয় সদস্যদের প্রতি শেখ হাসিনা
জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সুসংগঠিতভাবে প্রতিটি এলাকায় অগ্নিসংযোগকারীদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে দলের সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
শুক্রবার (৩ নভেম্বর) বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ আহ্বান জানান।
শেখ হাসিনা বলেন, 'এখন শুধু ঢাকা শহরে নয়, দেশের সব অঞ্চলে এই অগ্নিসংযোগকারীদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।’
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে সরকারের অর্জন নিয়ে ১১৩৭ ভিডিও কন্টেন্ট প্রকাশ
জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
১৯৭৫ সালের এই দিনে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বঙ্গবন্ধুর অনুপস্থিতিতে মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দানকারী জাতীয় চার নেতা তাজউদ্দীন আহমদ, সৈয়দ নজরুল ইসলাম, ক্যাপ্টেন মনসুর আলী ও এএইচএম কামারুজ্জামানকে হত্যা করে বঙ্গবন্ধুর খুনিরা।
অগ্নিসংযোগের ঘটনায় জড়িতদের খুঁজে বের করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে হস্তান্তরের মাধ্যমে জনগণের জানমালের সুরক্ষা দিতে দলের নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, 'তারা (বিএনপি-জামায়াত) যদি কোনো জায়গায় এ ধরনের অগ্নিসংযোগ করে, তাহলে আপনাকে সেখানে কতজন বিএনপি বা জামায়াতের লোক আছে তা খুঁজে বের করতে হবে এবং তাদের (আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী) কাছে হস্তান্তর করতে হবে।’
তিনি বলেন, জনগণের জানমালের সুরক্ষা নিশ্চিত করা তার দলের দায়িত্ব, যাতে এসবের কোনো ক্ষতি না হয় তা দেখা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন , ‘আমাদের কিছুই নেই। আমাদের কোনো পরামর্শদাতা নেই (মুরুব্বি)। আমাদের বাংলাদেশের জনগণ আছে। তাদের সঙ্গে নিয়ে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।’
আরও পড়ুন: আঞ্চলিক সংযোগ-জ্বালানি নিরাপত্তা জোরদার: ১ নভেম্বর ৩ প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন শেখ হাসিনা-মোদি
শেখ হাসিনা তার দলের সব নেতা-কর্মীকে এমনভাবে সংগঠিত হওয়ার আহ্বান জানান, যাতে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় জড়িত একজন অপরাধীও ছাড়া না পায়। তিনি বলেন, 'আগুন লাগানোর সময় যদি কেউ হাতেনাতে ধরা পড়ে, তাহলে তাকে একই আগুনে নিক্ষেপ করতে হবে। যে হাত দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়, সেই পুড়িয়ে দেন... ইট মারলে পাটকেল খেতে হবে। যদি তাই হয়, তাহলে তারা শিক্ষা নেবে।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সিনিয়র নেতা শাজাহান খান, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, মির্জা আজম, তাজউদ্দীন আহমদের মেয়ে সিমিন হোসেন (রিমি), সৈয়দ নজরুল ইসলামের মেয়ে সৈয়দা জাকিয়া নূর লিপি অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে ভাষা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট হত্যাযজ্ঞ, ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর জেলহত্যা, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলাসহ গণতন্ত্রপন্থী আন্দোলনের সব শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
আরও পড়ুন: ফিলিস্তিনের ইসরায়েলি হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান শেখ হাসিনার
সাংবাদিকদের জন্য আরও ১০ কোটি টাকা অনুদান ঘোষণা প্রধানমন্ত্রীর
বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টকে (বিজেডব্লিউটি) আরও ১০ কোটি টাকা অনুদান দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৃহস্পতিবার(২ নভেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের ডেলিগেটস কনফারেন্স-২০২৩-এ তিনি এ ঘোষণা দেন।
তিনি বলেন, 'আমি যেহেতু এটি (বিজেডব্লিউটি) প্রতিষ্ঠা করেছি এবং এবারও এখানে এসেছি, তাই আমি বিজেডব্লিউটিকে আরও ১০ কোটি টাকা অনুদান দেব।’
শেখ হাসিনা বলেন, দেশের সাংবাদিকদের কল্যাণে বিজেডব্লিউটি গঠনের সময় তিনি নগদ টাকা দিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: ব্যয়বহুল ডলার সাশ্রয়ে প্রথমবারের মতো স্থানীয় কারেন্সি কার্ড 'টাকা পে' উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৪ সালে ৫ কোটি টাকার নগদ টাকা দিয়ে ট্রাস্ট ফান্ডের সূচনা করেন।পরে তিনি বিভিন্ন সময়ে আরও অনুদানও দেন।
বিএফইউজের প্রতিনিধি সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার সাংবাদিকদের কল্যাণকে অগ্রাধিকার দিয়েছে।
তিনি বলেন, সাংবাদিক সহায়তা কর্মসূচিকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে আমরা 'সাংবাদিক সহায়তা ভাতা ও অনুদান নীতিমালা-২০১২' এবং 'বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট আইন-২০১৪' প্রণয়ন করেছি।
তিনি বলেন, এই আইনের অধীনে একটি ট্রাস্টি বোর্ড গঠন করা হয়েছে।
২০১৮ সালের অক্টোবরে প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টে ২০ কোটি টাকা অনুদান দেন।
আরও পড়ুন: বিএনপির আসল চরিত্র বিশ্বের সামনে তুলে ধরুন: সাংবাদিকদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, ২০১৫-১৬ অর্থবছর থেকে ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত ৩ হাজার ৪৩৩ জন সাংবাদিক ও সাংবাদিক পরিবারকে কল্যাণ অনুদান হিসেবে মোট ২৯ কোটি ৮১ লাখ ৫০ হাজার টাকা বিতরণ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, কোভিড-১৯ সময়ের প্রথম পর্যায়ে বিজেডব্লিউটি ২০১৯-২০ অর্থবছরে সারাদেশে ক্ষতিগ্রস্ত ৩ হাজার ৩৫০ জন সাংবাদিকের মধ্যে ৩ কোটি ৩৫ লাখ টাকা বিতরণ করেছে।
দ্বিতীয় ধাপে ২০২০-২১, ২০২১-২০২২ এবং ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত সাংবাদিকদের জন্য বিজেডব্লিউটি থেকে আরও ১০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয় সরকার।
প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ আর্থিক সহায়তার আওতায় এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত ৬ হাজার ৭২৭ জন সাংবাদিককে ১০ হাজার টাকা করে মোট ৬ কোটি ৭২ লাখ ৭০ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: দুই দেশের জনগণের সমৃদ্ধি নিশ্চিত করতে ভারতের সহায়তায় ৩ প্রকল্প: প্রধানমন্ত্রী
বিএনপির আসল চরিত্র বিশ্বের সামনে তুলে ধরুন: সাংবাদিকদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী
আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সামনে বিএনপির আসল চেহারা উন্মোচন করার জন্য সাংবাদিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, 'দায়িত্ব পালনকালে যারা আপনাদের ওপর হামলা চালিয়েছে, তাদের আসল চরিত্র আন্তর্জাতিকভাবে তুলে ধরা উচিত।’
বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে বিএফইউজে-বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের ডেলিগেটস কনফারেন্স-২০২৩-এ প্রধান অতিথির ভাষণে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
বাংলাদেশে স্বাধীনতাবিরোধী শক্তির কোনো অধিকার নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘যারা সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদে বিশ্বাস করে তাদের এখানে কোনো অধিকার নেই। তারা এ দেশের মানুষের কল্যাণ চায় না এবং তারা জনগণের শত্রু।’
আরও পড়ুন: দুই দেশের জনগণের সমৃদ্ধি নিশ্চিত করতে ভারতের সহায়তায় ৩ প্রকল্প: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী বলেন, গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির নেতা-কর্মীদের হামলায় প্রায় ৩০ জন সাংবাদিক আহত হওয়ায় সাংবাদিক ও পুলিশের ওপর হামলাকারীদের অবশ্যই শাস্তি পেতে হবে।
তিনি বলেন, বিএনপি কর্মীরা সেদিন ছদ্মবেশে হামলা চালিয়েছিল, তারা মনে করেছিল তাদের শনাক্ত করা যাবে না এবং শাস্তি থেকে বাঁচতে পারে। কিন্তু অবশেষে তারা ধরা পড়েছে।
তিনি বলেন, ‘তারা এভাবেই অপকর্ম করেছে। যারা সাংবাদিক ও পুলিশের ওপর হামলা ও হত্যা করবে তাদের অবশ্যই শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে।’
সাংবাদিক ও পুলিশের ওপর বিএনপি হামলা চালানোয় তীব্র নিন্দা জানান শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, 'সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করাই তাদের চরিত্র।’
তিনি এই হামলার বিষয়ে নীরব থাকার জন্য রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারসসহ সাংবাদিকদের বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার সমালোচনা করেন।
তিনি বলেন, ‘তারা এখন কোথায়? আমরা তাদের দেখি না এবং তাদের কাছ থেকে কোনো কথাও শুনি না। তারা হঠাৎ কোথায় উধাও হয়ে গেল?’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রায় ৩০ জন সাংবাদিক আহত হয়েছেন এবং কয়েকজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ‘কিন্তু আমরা তাদের কারো কাছ থেকে কিছু শুনি না।’
তিনি পুলিশ হাসপাতালে বিএনপির হামলাকে ফিলিস্তিনের একটি হাসপাতালে ইসরায়েলের বোমা হামলার সঙ্গে তুলনা করেন।
ইসরায়েল যেভাবে ফিলিস্তিনের একটি হাসপাতালে বোমা হামলা চালিয়ে নারী ও শিশুদের হত্যা করেছে, ঠিক সেভাবেই তারা (বিএনপি) এখানে একটি হাসপাতালে হামলা চালিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'আমি জানি না তারা ইহুদিদের কাছ থেকে শিক্ষা নিচ্ছে কি না।’
সাংবাদিকদের জন্য নবম ওয়েজবোর্ড প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটি বাস্তবায়নের দায়িত্ব মালিকদের। এটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক যে তারা এটি বাস্তবায়নের পরিবর্তে একটি মামলা দায়ের করেছে।
তিনি বলেন, দশম ওয়েজবোর্ড গঠনের প্রস্তুতি অব্যাহত এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকদের ওয়েজ বোর্ডের আওতায় আনার পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে।
তিনি ঢাকার বাইরে কর্মরত সাংবাদিকদের মজুরি বোর্ডের আওতায় আনার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
আরও পড়ুন: ব্যয়বহুল ডলার সাশ্রয়ে প্রথমবারের মতো স্থানীয় কারেন্সি কার্ড 'টাকা পে' উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টকে আরও ১০ কোটি টাকা অনুদান দেওয়ার ঘোষণা দেন। প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া নগদ অর্থ দিয়ে এই তহবিল গঠন করা হয়।
তিনি ঢাকার বাইরে কর্মরত সাংবাদিকদের জেলাভিত্তিক আবাসন প্রকল্পের আওতায় প্লট দেওয়ার আশ্বাস দেন।
বাংলাদেশে বিপুল সংখ্যক সংবাদপত্র রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, অনেক উন্নত ও ধনী দেশেও সংবাদপত্রের সংখ্যা এত বেশি নয়। তিনি বলেন, দেশে ৩ হাজার ২৪১টি সংবাদপত্র রয়েছে।
বাংলাদেশের উন্নয়নের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ২০০৯ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত গণতন্ত্র ও সরকারের ধারাবাহিকতায় আজকের বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা অর্জন করেছে।
বিএফইউজে সভাপতি ওমর ফারুকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
বিএফইউজে মহাসচিব দীপ আজাদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) সভাপতি সোহেল হায়দার চৌধুরীসহ বিএফইউজের বিভিন্ন ইউনিটের নেতারা বক্তব্য দেন।
অনুষ্ঠানে বিএফইউজের সাবেক নেতাদের সম্মাননা ক্রেস্ট দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: গ্লোবাল গেটওয়ে ফোরামের জন্য বেলজিয়াম সফরকে সফল বলে বর্ণনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী
দুই দেশের জনগণের সমৃদ্ধি নিশ্চিত করতে ভারতের সহায়তায় ৩ প্রকল্প: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ভারতের সহায়তায় সদ্য চালু হওয়া তিনটি উন্নয়ন প্রকল্প বাংলাদেশ ও ভারতের জনগণের সমৃদ্ধি নিশ্চিত করবে।
তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি, আজ আমরা যে তিনটি প্রকল্প উদ্বোধন করেছি তা উভয় দেশের জনগণের সমৃদ্ধি নিশ্চিত করবে। আমি বিশ্বাস করি, এসব প্রকল্প আঞ্চলিক যোগাযোগ জোরদারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।’
ঢাকায় গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের নয়াদিল্লি থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভার্চুয়াল প্লাটফর্মের মাধ্যমে যৌথভাবে তিনটি ভারতীয় অনুদানপ্রাপ্ত প্রকল্পের উদ্বোধন করার পর এ কথা বলেন।
প্রকল্পগুলো হলো- আখাউড়া (বাংলাদেশ)-আগরতলা (ভারত) ডুয়েলগেজ রেলসংযোগ, খুলনা-মোংলা বন্দর রেলওয়ে নির্মাণ প্রকল্প এবং বাগেরহাটের রামপাল মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্টের ইউনিট-২।
আরও পড়ুন: নির্বাচন যথাসময়ে হবে, ঠেকাতে পারবে না বিএনপি: সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী
মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্ট-২ ও ৬৫ কিলোমিটার খুলনা-মোংলা বন্দর রেলসংযোগ ভারতীয় নিয়ন্ত্রণ রেখার (লাইন অব ক্রেডিট) আওতায় এবং আখাউড়া-আগরতলা (ভারত) রেলসংযোগ ভারতীয় অনুদানে বাস্তবায়িত হয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, এসব গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পের যৌথ উদ্বোধন দুই দেশের অসামান্য বন্ধুত্ব ও পারস্পরিক সহযোগিতার প্রতিফলন।
তিনি বলেন, ‘আমরা প্রমাণ করেছি যে প্রতিবেশীদের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক দেশগুলোর উন্নয়নে উৎসাহিত করে। তবে আমি মনে করি এটি বিশ্বের জন্য একটি উদাহরণ।’
তিনি বলেন, সাম্প্রতিক দিনগুলোতে উভয় দেশ যৌথ প্রচেষ্টায় অনেক সাফল্য অর্জন করেছে। এর মধ্যে রয়েছে- ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা এবং চট্টগ্রাম বন্দর ও মোংলা বন্দরের মাধ্যমে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সঙ্গে ভারতের অন্যান্য রাজ্যের যোগাযোগ সহজ করা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ধর্মনিরপেক্ষতা, গণতন্ত্র ও অন্যান্য অগণিত ইস্যুতে বাংলাদেশ ও ভারতের মূল্যবোধ একই।
তিনি বলেন, ‘ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারে বাংলাদেশ সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আমরা বিভিন্ন ক্ষেত্রে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতায় সাফল্য অর্জন করেছি।’
এসব সাফল্যের মধ্যে রয়েছে- যোগাযোগ ও সাংস্কৃতিক বন্ধন জোরদার করা, ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধি, উন্নয়ন সহায়তা বৃদ্ধি ও জনগণের মধ্যে যোগাযোগ সহজ করা।
তিনি বলেন, ‘বিদ্যুৎ উৎপাদন ও যোগাযোগের ক্ষেত্রে সহযোগিতা দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে দাঁড়িয়েছে।’
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, এই দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতার আরও অনেক সাফল্যের গল্প আগামী দিনগুলোতে দেখা যাবে।
তিনি বলেন, ‘আমি আশাবাদী, আগামী দিনগুলোতে আমাদের দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতার প্রতিফলন হিসেবে সাফল্যের আরও অনেক দৃষ্টান্ত স্থাপন করা হবে, যা দু'দেশের সম্পর্ককে আরও জোরদার করবে।’
আখাউড়া-আগরতলা রেলসংযোগ দুই দেশের জনগণের মধ্যে বিশেষ করে ভারত-বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের জনগণের মধ্যে যোগাযোগ ও বাণিজ্য জোরদার করবে এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করবে।
তিনি বলেন, খুলনা-মোংলা বন্দর রেলসংযোগ প্রকল্প মোংলা বন্দরকে রেলনেটওয়ার্কের সঙ্গে সংযুক্ত করেছে। যা দেশের অভ্যন্তরে সাশ্রয়ী মূল্যে মোংলা বন্দরের পণ্য পরিবহনে সহায়তা করবে।
আরও পড়ুন: ক্যাশলেস সোসাইটির দিকে এগোচ্ছে বাংলাদেশ: 'টাকা পে' কার্ড উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, ব্যয়বহুল বিদ্যুৎ উৎপাদনের উৎসের উপর নির্ভরতা কমিয়ে আরও সাশ্রয়ী মূল্যে নির্ভরযোগ্য ও নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ উৎপাদনের মাধ্যমে বাংলাদেশের জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্ট বিশেষ অবদান রাখবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, চট্টগ্রাম-মোংলা বন্দর ও চট্টগ্রাম বিমানবন্দর ভারতীয়দের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে, যাতে তারা বন্দরগুলো ব্যবহার করতে পারে।
তিনি বলেন, ‘আমরা চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দরে আঞ্চলিক সহযোগিতার ক্ষেত্রগুলো উন্মুক্ত করেছি।’
তার সরকারের ভিশন ও সাফল্যের কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, সরকার ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি উন্নত, সমৃদ্ধ ও স্মার্ট দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে চায়।
তিনি বলেন, ‘আমাদের সরকার অবকাঠামোগত উন্নয়নে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ গত বছর নিজস্ব অর্থায়নে নির্মিত পদ্মা বহুমুখী সেতু উদ্বোধন করে এবং ঢাকায় প্রথমবারের মতো মেট্রোরেল চালু করে।
তিনি বলেন, ‘পদ্মা বহুমুখী সেতু দুই দেশের মধ্যে যোগাযোগ ও আঞ্চলিক যোগাযোগে বিশেষ অবদান রাখবে।’
এ ছাড়া গত সেপ্টেম্বরে ঢাকায় প্রথম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে এবং গত অক্টোবরে পদ্মা সেতুর মাধ্যমে রেল সেবা চালু করা হয়।
দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম দেশ হিসেবে বাংলাদেশ কিছুদিন আগে চট্টগ্রামে কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল উদ্বোধন করেছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারত-বাংলাদেশ যৌথপ্রযোজিত জীবনীভিত্তিক চলচ্চিত্র ‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’- এর জন্য ভারত সরকার বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।
আরও পড়ুন: ব্যয়বহুল ডলার সাশ্রয়ে প্রথমবারের মতো স্থানীয় কারেন্সি কার্ড 'টাকা পে' উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
ব্যয়বহুল ডলার সাশ্রয়ে প্রথমবারের মতো স্থানীয় কারেন্সি কার্ড 'টাকা পে' উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘ভিসা’ ও ‘মাস্টারকার্ডের’ মতো আন্তর্জাতিক কার্ড স্কিমের ওপর নির্ভরতা কমাতে এবং অতি প্রয়োজনীয় মার্কিন ডলার সাশ্রয় করতে স্থানীয় মুদ্রা কার্ড ‘টাকা পে’ চালু করেছেন।
দেশে প্রথমবারের মতো এ ধরনের কার্ড চালু করল বাংলাদেশ ব্যাংক।
বুধবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে এই কার্ডের উদ্বোধন করেন। তিনি রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন সোনালী ব্যাংক, বেসরকারি সিটি ব্যাংক ও ব্র্যাক ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের সঙ্গে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সহযোগিতায় এই ৩ ব্যাংককে টাকা পে কার্ড ইস্যু করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক পরিচালিত ইলেকট্রনিক পেমেন্ট প্ল্যাটফর্ম 'দ্য ন্যাশনাল পেমেন্ট সুইচ অব বাংলাদেশ' ব্যবহারের মাধ্যমে 'টাকা পে' জাতীয়ভাবে একই সেবা প্রদান করবে।
প্রাথমিকভাবে, কার্ডটি দেশের মধ্যে ব্যবহার করা যেতে পারে। পরে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ‘টাকা-রুপি’ কার্ড চালু করবে যা প্রতিবেশি দেশ ভারতে কেনাকাটার জন্য ব্যবহার করা যাবে।
আরও পড়ুন: গ্লোবাল গেটওয়ে ফোরামের জন্য বেলজিয়াম সফরকে সফল বলে বর্ণনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী
ব্যাংক ও অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানসহ ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের ভিসা ও মাস্টারকার্ড পেমেন্ট নেটওয়ার্কের মাধ্যমে টাকার ইলেকট্রনিক ট্রান্সফার করা হয়।
এই মাধ্যমগুলো ক্রেডিট, ডেবিট ও প্রিপেইড কার্ডের জন্য ব্র্যান্ডেড পেমেন্ট প্রসেসিং পরিষেবা সরবরাহ করে। অভ্যন্তরীণ কার্ড 'টাকা পে' একই সেবা দেবে বলে বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে।
বিদেশি ব্যাংক ও প্রতিষ্ঠান প্ল্যাটফর্মের সঙ্গে অংশীদারিত্ব করলে এটি বিদেশে ব্যবহার করা যেতে পারে। এতে বৈদেশিক মুদ্রার খরচ কমবে। কারণ বিদেশি কোম্পানিগুলোকে সার্ভিস চার্জবাবদ অনেক অর্থ খরচ করতে হয়।
শুরু থেকেই দেশের সব এটিএম, পয়েন্ট অব সেলস এবং অনলাইন প্লাটফর্মে এই কার্ড ব্যবহার করা যাবে।
প্রাথমিকভাবে এটি ডেবিট কার্ড হিসেবে ব্যবহার করা হলেও ভবিষ্যতে টাকা পে ক্রেডিট কার্ডও আসবে।
এই কার্ডের নিরাপত্তার জন্য ম্যাগনেটিক স্ট্রিপ ব্যবহার করা হয়। কিন্তু এখন সব ব্যাংকের কার্ডে বাড়তি নিরাপত্তাসহ নতুন ইএমভি প্রযুক্তি চালু করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে ইএমভি প্রযুক্তির সঙ্গে টাকা পে কার্ডও চালু করা হবে।
আরও পড়ুন: আমরা অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে বদ্ধপরিকর: দক্ষিণ এশীয় নির্বাচন কমিশনারদের প্রধানমন্ত্রী
প্যারিস ভিত্তিক কনসালটেন্সি ‘ফাইম’ কার্ডটি তৈরি করেছে।
বাংলাদেশের প্রতিবেশি দেশগুলোতেও তাদের কারেন্সি কার্ড রয়েছে। ভারতের কার্ড 'রুপি', পাকিস্তানের 'পাকপে', শ্রীলঙ্কার 'লঙ্কাপে', সৌদি আরবের 'মাদা'।
অনুষ্ঠানের শুরুতে টাকা পে'র ওপর একটি ভিডিও ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়।
সোনালী ব্যাংকের মুক্তিযোদ্ধা দুই গ্রাহক টাকা পে কার্ড ব্যবহার করে সিটি ব্যাংকের এটিএম থেকে টাকা উত্তোলন করেন।
গণভবনে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষয়ক্ষতি তহবিল সম্পূর্ণরূপে চালু করুন: ধনী দেশগুলোর প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান
নির্বাচন যথাসময়ে হবে, ঠেকাতে পারবে না বিএনপি: সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী
বিএনপি ২০১৪ ও ২০১৮ সালে সহিংসতা চালিয়ে নির্বাচন বানচাল করতে ব্যর্থ হওয়ায় আগামী জাতীয় নির্বাচন ঠেকাতে পারবে না বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘এভাবে (সহিংসতার মাধ্যমে) তারা নির্বাচন ঠেকাতে পারবে না। ২০১৩ ও ২০১৮ সালের নির্বাচন তারা ঠেকাতে পারেনি। এবারও তারা তা করতে পারবে না। ইনশাল্লাহ যথাসময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।’
মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) সাম্প্রতিক বেলজিয়াম সফরের ফলাফল নিয়ে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, যারা বাস পুড়িয়েছে তাদের চিহ্নিত করা হবে, গ্রেপ্তার করা হবে এবং শাস্তি দেওয়া হবে।
এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি বাসে আগুন দেওয়ার জন্য তারা যে হাত ব্যবহার করে তা অবিলম্বে পুড়িয়ে ফেলা উচিত। যদি তাই হয়, তাহলে তারা শিক্ষা পাবে নইলে অন্য কিছু হবে।’
প্রধানমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন, বিএনপি সহিংসতা বন্ধ করবে। ‘যদি তারা থেমে না যায়, তাহলে তারা এর পরিণতি ভোগ করবে।’তিনি বলেন, এই বিষয়গুলোতে শাস্তি না দিয়ে চলতে দেওয়া হবে না।’
আরও পড়ুন: আরও ৫০টি মডেল মসজিদ উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
অপর এক প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, গত ২৮ অক্টোবর সহিংসতার মাধ্যমে বিএনপি আবারও প্রমাণ করেছে যে তারা একটি সন্ত্রাসী দল।
তিনি বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াত জোট সন্ত্রাসী। বিএনপি একটি সন্ত্রাসী দল, যা তারা আবারও প্রমাণ করেছে’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, কানাডার একটি আদালত এর আগেও বেশ কয়েকবার তাদের ডেকেছে।
সরকার তাদের কর্মসূচিতে বাধা দেয়নি উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিএনপি ধীরে ধীরে জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস ফিরে পেতে শুরু করেছে, তারা (সাম্প্রতিক দিনগুলোতে) সুস্থভাবে রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করছে।’
সেদিন পুলিশ ও সাংবাদিকদের ওপর বিএনপি নেতাকর্মীদের হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে তিনি বলেন,‘কিন্তু ২৮ অক্টোবরের ঘটনার পর তারা জনগণের ঘৃণা ছাড়া আর কিছুই পাবে না।’
আরও পড়ুন: আমরা অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে বদ্ধপরিকর: দক্ষিণ এশীয় নির্বাচন কমিশনারদের প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার তাদের সঙ্গে যতই ভালো আচরণ করুক না কেন, তাদের (বিএনপি) অভ্যাস বদলাবে না।
তিনি বলেন, 'আমি মনে করি তারা নির্বাচন চায় না, তারা একটি অস্বাভাবিক পরিস্থিতি তৈরি করতে চায়।’
জনগণের দুর্ভোগ সৃষ্টি করাই তাদের চরিত্র বলেও উল্লেখ করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘বিএনপি একটি সন্ত্রাসী সংগঠন। আমি মনে করি এখন আমাদের উচিত সন্ত্রাসীদের একটি শিক্ষা দেওয়া,যা তাদের প্রাপ্য। সুতরাং, আমরা এটি করব।’
ইউরোপীয় কমিশনের (ইসি) প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লেয়েনের আমন্ত্রণে গত ২৫-২৬ অক্টোবর ব্রাসেলসে অনুষ্ঠিত 'গ্লোবাল গেটওয়ে ফোরাম ২০২৩'-এ যোগ দিয়ে বেলজিয়ামে তিন দিনের সরকারি সফর শেষে গত ২৭ অক্টোবর দেশে ফেরেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আরও পড়ুন: গ্লোবাল গেটওয়ে ফোরামের জন্য বেলজিয়াম সফরকে সফল বলে বর্ণনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী
গ্লোবাল গেটওয়ে ফোরামের জন্য বেলজিয়াম সফরকে সফল বলে বর্ণনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) বলেছেন, গ্লোবাল গেটওয়ে ফোরামে যোগ দিতে তার সাম্প্রতিক বেলজিয়াম সফর অত্যন্ত সফল হয়েছে।
তিনি তার সরকারি বাসভবন গণভবনে ২৪-২৬ অক্টোবর বেলজিয়াম সফরের ফলাফল সম্পর্কে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘এই সফরের কারণে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সঙ্গে অংশীদারিত্ব একটি নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে।"
শেখ হাসিনা বলেন, জিজিএফ-এ তার অংশগ্রহণ বাংলাদেশের নবায়নযোগ্য জ্বালানি, সংযোগ, শিক্ষা ও গবেষণা, ডিজিটাল অবকাঠামো এবং চিকিৎসা সরঞ্জাম উৎপাদনের জন্য নতুন দ্বার উন্মোচন করেছে।
তিনি বলেন, ‘এই সফরের মাধ্যমে আমি আশা করি বেলজিয়াম ও লুক্সেমবার্গের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও গভীর হবে এবং সহযোগিতার সুযোগ আরও বিস্তৃত হবে।’
আরও পড়ুন: আমরা অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে বদ্ধপরিকর: দক্ষিণ এশীয় নির্বাচন কমিশনারদের প্রধানমন্ত্রী
বেলজিয়ামে তিন দিনের সরকারি সফর শেষে শুক্রবার সকালে দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ব্রাসেলসে প্রধানমন্ত্রী ইউরোপীয় কমিশনের (ইসি) প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লেয়েনের আমন্ত্রণে ‘গ্লোবাল গেটওয়ে ফোরাম-২০২৩’-এ যোগ দেন।
ব্রাসেলসে অবস্থানকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইউরোপীয় দেশগুলোর নেতৃবৃন্দ, ইউরোপীয় কমিশন (ইসি), ইউরোপীয় বিনিয়োগ ব্যাংক (ইআইবি) এবং ইউরোপীয় পার্লামেন্টের সঙ্গে একাধিক বৈঠক করেন এবং ফোরামের সাইডলাইনে এক কমিউনিটি রিসেপশনে যোগ দেন।
আরও পড়ুন: বেলজিয়াম সফর নিয়ে মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলন করবেন প্রধানমন্ত্রী
জ্ঞান অর্জন ও বিজ্ঞান চর্চা কর: ঢাবির সমাবর্তনে তরুণদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী
আমরা অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে বদ্ধপরিকর: দক্ষিণ এশীয় নির্বাচন কমিশনারদের প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তার সরকার আসন্ন জাতীয় নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করতে বদ্ধপরিকর।
ভারত, মালদ্বীপ, শ্রীলংকা ও নেপালের বর্তমান ও সাবেক নির্বাচন কমিশনারদের একটি দল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সংসদ ভবনে তার কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করতে আসে। সেখানে তাদের এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁর মধ্যে আলোচনা চলছে
প্রতিনিধি দলে ছিলেন- ভারতের সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার ড. এস ওয়াই কুরেশি, মালদ্বীপের নির্বাচন কমিশনের চেয়ারম্যান ফুওয়াদ তৌফিক, শ্রীলঙ্কার নির্বাচন কমিশনের চেয়ারম্যান আরএমএল রথনায়েকে, নেপালের নির্বাচন কমিশনার সাগুন শমশের জেবি রানা এবং নেপালের সাবেক নির্বাচন কমিশনার ইলা শর্মা।
প্রতিবেশী দেশগুলোর বর্তমান ও সাবেক নির্বাচন কমিশনারদের সমন্বয়ে গঠিত ইলেকশন মনিটরিং ফোরামের (ইএমএফ) আমন্ত্রণে তারা বাংলাদেশ সফর করছেন।
বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সংসদে পাস হওয়া একটি আইনের অধীনে বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ২০২২ সালের আইন অনুযায়ী প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ অন্যান্য কমিশনার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনকে সম্পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়েছে সরকার।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, ইসি ইতোমধ্যে সংসদীয় উপনির্বাচন ও স্থানীয় সরকার নির্বাচনসহ সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন পরিচালনার বেশ কিছু দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।
আরও পড়ুন: মেরিটাইম শিল্পে নারীর ক্ষমতায়নের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্ব আইএমও-তে প্রশংসিত
আপনার অর্জন খুবই আকর্ষনীয়: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্দেশে বাইডেন
বেলজিয়াম সফর নিয়ে মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলন করবেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সাম্প্রতিক বেলজিয়াম সফরের ফলাফল নিয়ে মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) সংবাদ সম্মেলন করবেন।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের প্রেস উইং সূত্রে জানা গেছে, বিকাল ৪টায় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে এ সংবাদ সম্মেলন শুরু হবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বেলজিয়ামে তিন দিনের সরকারি সফর শেষে শুক্রবার সকালে দেশে ফিরেছেন।
আরও পড়ুন: আরও ৫০টি মডেল মসজিদ উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
ইউরোপীয় কমিশনের (ইসি) প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লেয়েনের আমন্ত্রণে ব্রাসেলসে ২৫ ও ২৬ অক্টোবর 'গ্লোবাল গেটওয়ে ফোরাম-২০২৩' এ যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী।
ব্রাসেলসে অবস্থানকালে ইউরোপীয় দেশগুলোর নেতা, ইউরোপীয় কমিশন (ইসি), ইউরোপিয়ান ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক (ইআইবি) ও ইউরোপীয় পার্লামেন্টের সঙ্গে বেশ কয়েকটি বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষয়ক্ষতি তহবিল সম্পূর্ণরূপে চালু করুন: ধনী দেশগুলোর প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান