প্রধানমন্ত্রীর-কার্যালয়
ওয়াশিংটন ডিসিতে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শনিবার সন্ধ্যায় (স্থানীয় সময়) যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে পৌঁছেছেন।
শনিবার স্থানীয় সময় বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে লোটে নিউ ইয়র্ক প্লেস অব রেসিডেন্স ত্যাগ করে সন্ধ্যা ৬টায় সড়কপথে ওয়াশিংটন ডিসিতে পৌঁছান তিনি।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁর মধ্যে আলোচনা চলছে
প্রধানমন্ত্রী ২৯ সেপ্টেম্বর যুক্তরাজ্যের লন্ডনের উদ্দেশে ওয়াশিংটন ডিসি ত্যাগ করবেন।
৩ অক্টোবর পর্যন্ত তিনি লন্ডনে অবস্থান করবেন।
সফর শেষে প্রধানমন্ত্রী দেশের উদ্দেশে লন্ডন ত্যাগ করবেন এবং ৪ অক্টোবর ঢাকায় পৌঁছানোর কথা রয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দিতে গত ১৭ সেপ্টেম্বর নিউ ইয়র্কে পৌঁছান।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের আসন্ন জাতীয় নির্বাচন নিয়ে শেখ হাসিনার সঙ্গে আলোচনা করেছেন আজরা জেয়া: মার্কিন দূতাবাস
আপনার অর্জন খুবই আকর্ষনীয়: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্দেশে বাইডেন
ওয়াশিংটনের উদ্দেশে নিউইয়র্ক ত্যাগ করেছেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৭৮তম জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের (ইউএনজিএ) অধিবেশন এবং অন্যান্য উচ্চ পর্যায়ের পক্ষ ও দ্বিপক্ষীয় অনুষ্ঠানে যোগদানের পর শনিবার সকালে যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসির উদ্দেশে নিউইয়র্ক ত্যাগ করেন।
তিনি সকাল ১১টা ৪০ মিনিটে সড়কপথে লোটে নিউইয়র্কের আবাসিক এলাকা ত্যাগ করেন এবং বিকালে ওয়াশিংটন ডিসিতে পৌঁছবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী ২৯ সেপ্টেম্বর যুক্তরাজ্যের রাজধানী লন্ডনের উদ্দেশে ওয়াশিংটন ডিসি ত্যাগ করবেন। ৩ অক্টোবর পর্যন্ত লন্ডনে থাকবেন তিনি।
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্যসেবার উন্নতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ ৫টি ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক সহায়তা চাইলেন প্রধানমন্ত্রী
সফর শেষ করে প্রধানমন্ত্রী দেশের উদ্দেশে লন্ডন ত্যাগ করবেন এবং ৪ অক্টোবর ঢাকায় পৌঁছানোর কথা রয়েছে।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী ১৭ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে পৌঁছান।
আরও পড়ুন: আগামী নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য হবে: নিউইয়র্কে নাগরিক সংবর্ধনায় প্রধানমন্ত্রী
আগামী নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য হবে: নিউইয়র্কে নাগরিক সংবর্ধনায় প্রধানমন্ত্রী
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য করার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘ইনশাআল্লাহ বাংলাদেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে।’
শুক্রবার সন্ধ্যায় একটি হোটেলে নিউইয়র্ক সিটি আওয়ামী লীগ আয়োজিত নাগরিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের (ইউএনজিএ) ৭৮তম অধিবেশনে যোগ দিতে প্রধানমন্ত্রী এখন নিউইয়র্কে রয়েছেন।
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেছেন, বিএনপি নির্বাচন চায় না।
আরও পড়ুন: বাইরের কেউ যেন বাংলাদেশের নির্বাচনে বাধা না দেয়: নিউইয়র্কে প্রধানমন্ত্রীর সতর্কবার্তা
তিনি প্রশ্ন তুলে বলেন, ‘আসলে বিএনপি কি নির্বাচন চায়? তারা কীভাবে নির্বাচন চায়? তাদের নেতা কে?’
প্রধানমন্ত্রী বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, ‘পলাতক আসামি, টাকা চোর, অস্ত্র চোরাকারবারি, খুনি, ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলাকারী (তাদের নেতা); তিনি যদি একটি দলের নেতা হন, তবে মানুষ কেন সেই দলকে এবং তাকে ভোট দেবে।’
তিনি উল্লেখ করেন, বিএনপি ২০০৮ সালের নির্বাচনে ভোট পায়নি। সেই কারণে ২০১৪ সালের নির্বাচনে অংশ নেয়নি।
বিএনপি নির্বাচন ঠেকানোর নামে অগ্নিসংযোগ করে মানুষ হত্যা করেছে বলেও উল্লেখ করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি।
তিনি বলেন, ‘কত প্রাণ কেড়ে নিয়েছে? এখনো যদি দেখেন সেই পোড়া মানুষগুলোর মুখ; কী বীভৎস! যারা এটা করেছে তারা ঘৃণিত।’
জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে আসন্ন নির্বাচনের বিষয়ে হাসিনা অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করার অঙ্গীকার করেছেন। ‘মানুষ সঠিকভাবে ভোট দেবে,’ বলেন তিনি।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ অন্তত এটা বুঝতে পেরেছে যে নৌকায় (আ. লীগের নির্বাচনী প্রতীক) ভোট দিয়ে তারা স্বাধীনতা পেয়েছে।
নৌকায় ভোট দেওয়ার ফলে জনগণের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়েছে বলে আবারও উল্লেখ করেন তিনি।
হাসিনা বলেন, সারা বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হয়েছে।
আরও পড়ুন: সামুদ্রিক সম্পদের উপযুক্ত ব্যবহারের লক্ষ্যে বিবিএনজে চুক্তি সই করেছে বাংলাদেশ
প্রধানমন্ত্রী স্বার্থান্বেষী মহলের অপপ্রচারে কর্ণপাত না করার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানান।
শেখ হাসিনা বলেন, 'বিশ্ব নেতারা যখন আজ (বাংলাদেশের সাফল্য) স্বীকৃতি দিচ্ছেন, তখন কিছু লোক কী বলছে তাতে আমাদের মনোযোগ দেওয়ার দরকার নেই।’
তিনি উল্লেখ করেন, সাজাপ্রাপ্তরা, যারা বিভিন্ন অপরাধ করেছে, তারা বিভিন্ন উপায়ে তাদের চাকরি হারিয়েছে।
‘এখন তারা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আশ্রয় নিয়েছে এবং তাদের অপকর্ম ঢাকতে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও অ্যাপের মাধ্যমে অপবাদ ছড়াচ্ছে,’ তিনি বলেন।
নিন্দুকদের মুখোশ উন্মোচন করার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানিয়ে হাসিনা বলেন, মিথ্যাচার করলে তাদের চরিত্র উন্মোচন করা উচিত।
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্যসেবার উন্নতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ ৫টি ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক সহায়তা চাইলেন প্রধানমন্ত্রী
শুক্রবার ইউএনজিএ-তে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী
নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৮তম অধিবেশনে শুক্রবার ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে ১৭তম বারের মতো ভাষণ দেবেন তিনি।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর পদাঙ্ক অনুসরণ করে বিগত বছরের মতো এবারও তিনি বাংলায় ভাষণ দেবেন। বঙ্গবন্ধু ১৯৭৪ সালে ইউএনজিএ-তে প্রথম বাংলায় ভাষণ দিয়েছিলেন।
জলবায়ু পরিবর্তন, রোহিঙ্গা সংকট, ইউক্রেন যুদ্ধ এবং অন্যান্য জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী তার ভাষণে বাংলাদেশের অবস্থান তুলে ধরবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: সামুদ্রিক সম্পদের উপযুক্ত ব্যবহারের লক্ষ্যে বিবিএনজে চুক্তি সই করেছে বাংলাদেশ
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৮তম অধিবেশনের মূল প্রতিপাদ্য 'আস্থা পুনর্গঠন ও বৈশ্বিক সংহতি পুনরুজ্জীবিত করা: সবার জন্য শান্তি, সমৃদ্ধি, অগ্রগতি ও স্থায়িত্বের লক্ষ্যে ২০৩০ এজেন্ডা এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার ওপর পদক্ষেপ ত্বরান্বিত করা'।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ইউএনজিএ-তে যোগ দিতে নিউইয়র্কে পৌঁছেন ১৭ সেপ্টেম্বর।
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্যসেবার উন্নতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ ৫টি ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক সহায়তা চাইলেন প্রধানমন্ত্রী
স্বাস্থ্যসেবার উন্নতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ ৫টি ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক সহায়তা চাইলেন প্রধানমন্ত্রী
আন্তর্জাতিক অংশীদাররা দেশের সার্বজনীন স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নতিতে তাদের সহায়তা প্রসারিত করতে পারে এমন পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রকে চিহ্নিত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৃহস্পতিবার(২১ সেপ্টেম্বর) জাতিসংঘ সদর দপ্তরে ‘ইউনিভার্সাল হেলথ কভারেজ (ইউএইচসি)’ বিষয়ক ইউএনজেএ’র উচ্চ পর্যায়ের সভায় দেওয়া বক্তেব্যে এই পরামর্শ দেন তিনি।
তিনি প্রথম যে ক্ষেত্রটি উল্লেখ করেছেন তা হলো- শিশু, মা এবং কিশোর-কিশোরীদের স্বাস্থ্যের জন্য টেকসই উন্নয়ন সহায়তা এবং অভিবাসীদের স্বাস্থ্য এবং জলবায়ু-স্বাস্থ্য সম্পর্কের সঙ্গে সম্পর্কিত।
তার দ্বিতীয় পরামর্শটি ছিল সকলের জন্য স্বাস্থ্য আইডিসহ একটি আন্তঃ-পরিচালন পদ্ধতি, ডেটা-চালিত স্বাস্থ্য তথ্য সিস্টেম বিকাশে দক্ষতা ভাগ করে নেওয়া।
তিনি বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে উপযোগী একটি শক্তিশালী স্বাস্থ্য বিমা প্রকল্প গড়ে তুলতে সহায়তা কামনা করেন।
প্রধানমন্ত্রীর চতুর্থ আহ্বানটি ছিল দ্রুত বর্ধনশীল স্বাস্থ্য-প্রযুক্তি স্টার্ট আপ সহ স্বাস্থ্যখাতে বিনিয়োগ বাড়ানো।
আরও পড়ুন: জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৮তম অধিবেশনে যোগ দিতে নিউইয়র্কে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী
তার পঞ্চম প্রস্তাবে তিনি জনস্বাস্থ্য রক্ষার জন্য পেটেন্ট প্রকাশ এবং প্রযুক্তি স্থানান্তরের বিষয়ে টিআরআইপি বাধ্যবাধকতা মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রজন্ম ইউএইচসি প্রচার করে ইতিহাস পরিবর্তন করতে পারে। আসুন আমরা সকলে এটি সম্ভব করার জন্য হাত একতাবদ্ধ হই।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সার্বজনীন স্বাস্থ্য সেবা প্রদান সবচেয়ে উচ্চাভিলাষী অথচ এসডিজি’র অর্জনযোগ্য লক্ষ্যমাত্রা।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে সবার জন্য স্বাস্থ্যসেবার প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করা সরকারের সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
তিনি উল্লেখ করেন, ‘আমরা কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে বিশেষায়িত মেডিকেল হাসপাতাল পর্যন্ত একটি দেশব্যাপী স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করেছি। আমরা তৃণমূলে বেসরকারি অংশীদারদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করি।’
তিনি উল্লেখ করেন, স্বাস্থ্য খাতে ক্রমবর্ধমান বিনিয়োগ লভ্যাংশ দিচ্ছে। সরকার মাতৃমৃত্যুর হার প্রতি এক লাখ জীবিত জন্মে ১৬৩ জনে নামিয়ে এনেছে। নবজাতকের মৃত্যুহার প্রতি হাজারে ১৫ এবং পাঁচ বছরের কম বয়সীদের মৃত্যুহার ২৮ জনে নেমেছে।
অধিবেশনে তিনি বলেন,‘শিশুদের টিকাদানের উপর আমাদের জোর প্রচেষ্টায় সার্বজনীন কভারেজ অর্জন করেছে। আমাদের গড় আয়ু এখন ৭৩ বছরের কাছাকাছি।’
শেখ হাসিনা আরও জানান, বাংলাদেশ কোভিড-১৯ মহামারি মোকাবিলায় বিশ্বের অন্যতম সেরা দেশ হিসেবে স্বীকৃত হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা এখন ডেঙ্গু মোকাবিলায় হাই অ্যালার্টে কাজ করছি।’ সরকার ক্যান্সার, ডায়াবেটিস ও হৃদরোগের জন্য উন্নত চিকিৎসা চালু করছে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: বাইডেনের নৈশভোজে যোগ দিলেন প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ মানবিক ও শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে চিকিৎসা সেবা প্রদানের মান নির্ধারণ করেছে।’
মানসিক স্বাস্থ্য এবং স্নায়বিক রোগের বিষয়ে সরকারের নীতি ও হস্তক্ষেপ ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হয়েছে বলে উল্লেখ কর তিনি বলেন, এটি সাংস্কৃতিকভাবে সংবেদনশীল পদ্ধতিতে প্রজনন স্বাস্থ্য সেবা প্রদান করে।
তিনি বলেন, সরকার অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্সের বিরুদ্ধে প্রস্তুতি নিতে 'ওয়ান হেলথ অ্যাপ্রোচ' প্রচার করছে।
তিনি আরও বলেন,‘আমরা পুষ্টি, দৃষ্টি প্রতিবন্ধকতা এবং ডুবে যাওয়া সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াচ্ছি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের জনস্বাস্থ্য সুবিধা শূন্য বা সর্বনিম্ন খরচে সেবা প্রদান করে, যা জনসংখ্যার প্রায় ৮০ শতাংশকে কভার করে।
তিনি বলেন, ‘আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি স্বাস্থ্য ব্যয়ের জন্য কেউ কষ্ট পাবে না। একটি প্রশিক্ষিত কর্মী বাহিনী দিয়ে তাদের পরিষেবার গুণমান উন্নত করার দিকে আমাদের দৃষ্টি রয়েছে।’
তিনি বলেন, তার সরকারের পরবর্তী টার্গেট হলো খরচ পরিশোধের জন্য একটি কার্যকর অর্থায়ন মডেল তৈরি করা।
বাংলাদেশে ওষুধের চাহিদার ৯৮ শতাংশ অভ্যন্তরীণ উৎপাদনের মাধ্যমে পূরণ করা হয় বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: সামুদ্রিক সম্পদের উপযুক্ত ব্যবহারের লক্ষ্যে বিবিএনজে চুক্তি সই করেছে বাংলাদেশ
সামুদ্রিক সম্পদের উপযুক্ত ব্যবহারের লক্ষ্যে বিবিএনজে চুক্তি সই করেছে বাংলাদেশ
টেকসই উপায়ে সামুদ্রিক সম্পদ রক্ষা ও ব্যবহারের জন্য বাংলাদেশ মেরিন বায়োডাইভারসিটি অব এরিয়াস বিয়ন্ড ন্যাশনাল জুরিসডিকশনে (বিবিএনজে) সই করেছে, যা ‘ট্রিটি অব দ্য হাই সিস’ নামেও পরিচিত।
বুধবার জেনারেল অ্যাসেম্বলি বিল্ডিংয়ের ট্রিটি ইভেন্ট এলাকার নিচ তলায় ইউনাইটেড নেশনস কনভেনশন অন দ্য ল অব দ্য সি’র (ইউএনসিএলওএস) অধীনে এই চুক্তি সই করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন নিউইয়র্কে প্রধানমন্ত্রীর কার্যক্রম সম্পর্কে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এসব কথা বলেন।
বিবিএনজে ইউএনসিএলওএস’র কাঠামোয় বিকশিত একটি নতুন উপকরণ।
আরও পড়ুন: আসন্ন জলবায়ু সংকট এড়াতে প্রধান অর্থনীতিগুলোকে অবশ্যই ন্যায্য অংশীদারিত্ব করতে হবে: জাতিসংঘে প্রধানমন্ত্রী
মোমেন বলেন, তিনি সিঙ্গাপুরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভিভিয়ান বালাকৃষ্ণান এবং নেদারল্যান্ডের বৈদেশিক বাণিজ্য ও উন্নয়ন সহযোগিতা বিষয়ক মন্ত্রী লাইজে শ্রেইনেমাকারের সঙ্গে কয়েকটি দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে যোগদানের পাশাপাশি জলবায়ু গতিশীলতার ওপর প্রাতঃরাশ শীর্ষ সম্মেলন এবং ১৮তম এশিয়া সহযোগিতা সংলাপসহ বেশ কয়েকটি উচ্চ পর্যায়ের ইভেন্টে অংশ নিয়েছেন।
জলবায়ু সম্মেলনে মোমেন বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় বাংলাদেশ বাকি দেশগুলোর কাছে রোল মডেলে পরিণত হয়েছে।’
তিনি বলেন, ধনী দেশগুলো মূলত কার্বন নির্গমনের জন্য দায়ী। এক্ষেত্রে উন্নয়নশীল দেশগুলোর অবদান মাত্র শূন্য দশমিক ৪৭ শতাংশ।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ধনী দেশগুলোকে প্রতি বছর জলবায়ু তহবিলে ১০০ বিলিয়ন ডলার দেওয়ার প্রতিশ্রুতি মেনে চলার আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে এসডিজি অর্জনের অঙ্গীকার প্রধানমন্ত্রীর
জাতিসংঘের প্রথম নারী মহাসচিব পাওয়ার সময় এসেছে: ইউএনজিএ প্ল্যাটফর্মে প্রধানমন্ত্রী
কোভিড-১৯ এর মতো আরেকটি মহামারি প্রতিরোধে বিশ্বকে অতীতের ভুল থেকে শিক্ষা নিতে হবে: জাতিসংঘের উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোভিড-১৯ এর মতো ভবিষ্যত মহামারি মোকাবিলায় উত্তম চর্চা বাড়িয়ে ও অতীতের ভুলগুলো এড়িয়ে সম্মিলিত শিক্ষা গ্রহণের জন্য বিশ্ব নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
বুধবার প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘ সদর দপ্তরে মহামারি প্রতিরোধ, প্রস্তুতি ও প্রতিক্রিয়া (পিপিপিআর) বিষয়ক এক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে বলেন, ‘সমতা ও সংহতি অবশ্যই আমাদের প্রচেষ্টার প্রাণভোমরা তৈরি করবে।’
এই লক্ষ্য অর্জনের জন্য তিনি ৫টি অগ্রাধিকারের কথা উল্লেখ করেছেন, যেগুলো হলো:
প্রথম- উন্নয়নশীল দেশগুলোতে স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করার জন্য রেয়াতযোগ্য আন্তর্জাতিক অর্থায়ন;
দ্বিতীয়- মহামারি নজরদারি, প্রতিরোধ, প্রস্তুতি ও বিজ্ঞানভিত্তিক পদ্ধতিতে মোকাবিলার জন্য সম্পদ ও দক্ষতা একত্রিত করা;
তৃতীয়- সকলের জন্য ভ্যাকসিনসহ মানসম্পন্ন, সাশ্রয়ী ও কার্যকর মহামারি পণ্যগুলোর ন্যায়সঙ্গত ও অবাধ প্রাপ্যতা নিশ্চিত করা;
চতুর্থ- প্রযুক্তির প্রাপ্যতা ও বাস্তব জ্ঞানের মাধ্যমে মহামারি পণ্যগুলোর উৎপাদন বৈচিত্রকরণ;
পঞ্চম- বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) নেতৃত্বে সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর মধ্যে প্রাপ্যতা ও সুবিধা ভাগ করে নেওয়ার জন্য একটি আন্তর্জাতিক সহযোগিতা কাঠামো তৈরি করা।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে জাতিসংঘ স্বীকৃত কমিউনিটি ক্লিনিক মডেলের জন্য সম্মাননা পেলেন প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘এ লক্ষ্যে আমরা একটি মহামারি চুক্তি ও আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য বিধিমালার (২০০৫) সংশোধনী থেকে ন্যায্য এবং সুনির্দিষ্ট ফলাফল দেখার আশা করি। বাংলাদেশ উভয় প্রক্রিয়ার সঙ্গে গঠনমূলকভাবে জড়িত থাকবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, কোভিড-১৯ মহামারি আমাদের সকলের জন্য একটি টার্নিং পয়েন্ট হিসেবে হাজির হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা সারা বিশ্বে অনেককে হারিয়েছি। আমরা বুঝতে পেরেছি, মানুষের হস্তক্ষেপের জন্য প্রকৃতির নিজস্ব সীমা রয়েছে। আমরা বিশ্ব সংহতির অভূতপূর্ব অভিজ্ঞতাও পেয়েছি। আমরা স্বীকার করেছি, সবাই নিরাপদ না হওয়া পর্যন্ত আমরা কেউই নিরাপদ নই।’
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ কোভিড-১৯ এর প্রভাবের বাইরে ছিল না।
তিনি বলেন, ‘তবুও, আমরা কোভিড-১৯ পুনরুদ্ধারের ক্ষেত্রে একটি বৈশ্বিক সূচকে ৫ম স্থানে রয়েছি। শুরু থেকেই আমাদের জীবন বাঁচানো ও জীবিকা রক্ষার মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখতে হয়েছে।’
তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে সরকার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সহায়তায় একটি জাতীয় প্রস্তুতি ও প্রতিক্রিয়া পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।
প্রথম দিকে ডব্লিউএইচও’র সহায়তায় একটি জাতীয় প্রস্তুতি ও পরিস্থিতি মোকাবিলা পরিকল্পনা গ্রহণ করার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা গরিবদের জন্য বিনামূল্যে ওষুধ ও পিপিই (ব্যক্তিগত প্রতিরক্ষামূলক সরঞ্জাম) সরবরাহ নিশ্চিত করি। আইসিইউ শয্যা সংখ্যা দ্বিগুণেরও বেশি করি।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে জাতিসংঘ স্বীকৃত কমিউনিটি ক্লিনিক মডেলের জন্য সম্মাননা পেলেন প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, শূন্য থেকে ৮৮৫টি কেন্দ্রে পরীক্ষাগার স্থাপন করা হয়। প্রায় সমস্ত হাসপাতালে অক্সিজেন সরবরাহ নিশ্চিত করা হয়। কয়েক মাসের মধ্যে প্রায় ১১ হাজার ডাক্তার ও ১৩ হাজার মেডিকেল সাপোর্ট স্টাফ নিয়োগ করা হয়। মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৬ শতাংশে সীমিত রাখাসহ আমাদের ফ্রন্টলাইন কর্মীরা বিস্ময়করভাবে কাজ করেছে।
তিনি আরও বলেন, সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ভ্যাকসিন পরিচালনার জন্য একটি ডেডিকেটেড ডিজিটাল অ্যাপ চালু করা হয়।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা কমপক্ষে দ্বিতীয় ডোজ দিয়ে ৯৩ শতাংশ ভ্যাকসিন কভার করেছি। আমি মহামারি ভ্যাকসিনগুলোকে বিশ্বব্যাপী জনসাধারণের পণ্য হিসেবে বিবেচনা করার আহ্বান জানিয়েছি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার ২৬ দশমিক ৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের একটি প্রণোদনা প্যাকেজ চালু করে।
তিনি বলেন, ‘আমরা ৪ কোটিরও বেশি নিম্ন আয়ের মানুষকে সরাসরি খাদ্য সহায়তা দিয়েছি। বাংলাদেশ অন্যান্য বন্ধুত্বপূর্ণ দেশগুলোর পাশাপাশি বিদেশে অবস্থানরত অভিবাসী কর্মীদের দিকেও সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে।’
আরও পড়ুন: বাইডেনের নৈশভোজে যোগ দিলেন প্রধানমন্ত্রী
বাইডেনের নৈশভোজে যোগ দিলেন প্রধানমন্ত্রী
জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে (ইউএনজিএ) যোগদানকারী বিশ্ব নেতাদের সম্মানে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আয়োজিত নৈশভোজে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানদের সম্মানে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মেট্রোপলিটন মিউজিয়াম অব আর্ট- এ নৈশভোজের আয়োজন করেন বাইডেন।
আরও পড়ুন: নিউইয়র্কে জয়শঙ্কর আয়োজিত নৈশভোজে পররাষ্ট্রমন্ত্রী
নিউইয়র্কে প্রধানমন্ত্রীর ব্যস্ততার বিষয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন হাসিনার উপস্থিতির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
প্রধানমন্ত্রীর মেয়ে এবং ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরামের (সিভিএফ) থিম্যাটিক অ্যাম্বাসেডর সায়মা ওয়াজেদ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন।
ভোজসভায় প্রধানমন্ত্রী বিশ্বের অন্যান্য নেতাদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন।
আরও পড়ুন: সালমান এফ রহমানের নৈশভোজে মার্কিন প্রতিনিধি দল
বাজেট পরবর্তী নৈশভোজে প্রধানমন্ত্রী
উন্নয়নশীল বিশ্বে কমিউনিটি ক্লিনিকের প্রচার করুন: উন্নয়ন সহযোগীদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উন্নয়নশীল বিশ্বে কমিউনিটি-কেন্দ্রিক স্বাস্থ্যসেবা প্রদানে বহুপক্ষীয় অর্থায়ন প্রতিষ্ঠানসহ উন্নয়ন অংশীদারদের সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘আমাদের পক্ষ থেকে, বাংলাদেশ আগ্রহীদের সঙ্গে আমাদের অন্তর্দৃষ্টি ও দক্ষতা ভাগ করে নিতে প্রস্তুত। সকল সুখের মূলে রয়েছে স্বাস্থ্য। আমরা কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে চারিদিকে সুখ ছড়িয়ে দিতে চাই।’
মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘ সদর দপ্তরে 'শেখ হাসিনা ইনিশিয়েটিভ অব কমিউনিটি ক্লিনিকস: ইনোভেশন অ্যাপ্রোচ টু অ্যাচিভিং ইউনিভার্সাল হেলথ কাভারেজ ইনক্লুসিভ অব মেন্টাল হেলথ অ্যান্ড ডায়াবেটিস' শীর্ষক উচ্চ পর্যায়ের সাইড-ইভেন্টের প্লেনারি সেশনে প্রধান অতিথির ভাষণে এসব কথা বলেন।
অ্যান্টিগুয়া ও বারবুডা, বাংলাদেশ, ভুটান, চীন এবং মালয়েশিয়া যৌথভাবে এই উচ্চ পর্যায়ের ইভেন্ট আয়োজন করে।
তিনি উল্লেখ করেন, সর্বজনীন স্বাস্থ্য কভারেজ অর্জনের মূল চাবিকাঠি হলো কমিউনিটিভিত্তিক প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা।
তিনি বলেন, ‘গ্লোবাল সাউথের উদীয়মান কণ্ঠস্বর হিসেবে বাংলাদেশ অর্থবহ আন্তর্জাতিক অংশীদারিত্বের সম্ভাব্য উপায় হিসেবে এই ইস্যুটিকে সমর্থন করবে।’
আরও পড়ুন: জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৮তম অধিবেশনে যোগ দিতে নিউইয়র্কে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা কমিউনিটি ক্লিনিকের জন্য ৫টি অগ্রাধিকারের বিষয়ে তার দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরেন।
সেগুলো হলো:
প্রথম: কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোকে তৃণমূল পর্যায়ে দ্বাররক্ষী হিসেবে কাজ করা, যাতে স্বাস্থ্যসেবার জন্য পকেটের বাইরে বিপুল অর্থ প্রদান রোধ করা যায়;
দ্বিতীয়: কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোকে উন্নত ডিজিটাল স্বাস্থ্য এবং ডায়াগনস্টিক পরিষেবা প্রদানে সক্ষম করা, বিশেষত এনসিডিগুলোর জন্য;
তৃতীয়: ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাবের মতো ক্রমবর্ধমান জলবায়ু জনিত স্বাস্থ্য সংকট মোকাবিলায় কমিউনিটি ক্লিনিকের সক্ষমতা আরও উন্নত করা;
চতুর্থ: মানসিক স্বাস্থ্য ও স্নায়বিক ব্যাধিগুলোর জন্য স্ক্রিনিং ও চিকিৎসা সুবিধাগুলো উন্নত করা, যাতে আক্রান্ত ব্যক্তি ও তাদের পরিবারগুলোকে প্রবেশযোগ্য পরিষেবা সরবরাহ করা যায়
পঞ্চম: কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোকে একটি শক্তিশালী ডেটা-চালিত স্বাস্থ্য ও পুষ্টি কর্মসূচির জন্য প্রাথমিক বিল্ডিং ব্লক হিসেবে ব্যবহার করা
আরও পড়ুন: জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দিতে রবিবার নিউইয়র্ক যাবেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বর্তমানে সারা দেশে প্রায় সাড়ে ১৪ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক চালু রয়েছে। যেগুলোকে স্বাস্থ্য, পরিবার পরিকল্পনা এবং পুষ্টি সম্পর্কিত পরিষেবাগুলোর জন্য একটি ওয়ান-স্টপ সেন্টার হিসেবে কাজ করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে।
তিনি বলেন, নবজাতক, শিশু ও মাতৃমৃত্যুর হার কমাতে কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
তিনি উল্লেখ করেন, প্রায় ৩ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক দক্ষ জন্মদানের জন্য সুবিধা প্রদান করে থাকে। কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতে প্রতি মাসে গড়ে সাড়ে ৯ থেকে ১০ লাখ মানুষ সেবা নিতে আসেন। সেবাপ্রত্যাশীদের মধ্যে প্রায় ৮০ শতাংশই নারী ও শিশু।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো সার্বজনীন টিকাদানের স্থানীয় কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। এগুলোতে কোভিড-১৯ টিকা কভারেজ নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।
আরও পড়ুন: মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সম্পর্কে সজাগ থাকুন: প্রধানমন্ত্রী
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৮তম অধিবেশনে যোগ দিতে নিউইয়র্কে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের (ইউএনজিএ) ৭৮তম অধিবেশনে যোগ দিতে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী এবং তার সফরসঙ্গীরা রবিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় সময় রাত ১০টা ৪২ মিনিটে নিউইয়র্কে জেএফ কেনেডি বিমানবন্দরে পৌঁছায়।
জাতিসংঘে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ও স্থায়ী প্রতিনিধি মুহাম্মদ আবদুল মুহিত এবং যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ ইমরান বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানান।
আরও পড়ুন: ৭৮তম ইউএনজিএ অধিবেশনে যোগ দিতে নিউইয়র্ক যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী
এছাড়া প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে বিমানবন্দরে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।
১৭ থেকে ২২ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে অবস্থানকালে প্রধানমন্ত্রী ১৯ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ সদর দপ্তরের সাধারণ পরিষদ হলে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৮তম অধিবেশনের উচ্চ পর্যায়ের সাধারণ বিতর্কের প্রথম দিনে যোগ দেবেন এবং ২২ সেপ্টেম্বর স্থানীয় সময় দুপুর ১টা থেকে ২টার মধ্যে ভাষণ দেবেন।
১৯ সেপ্টেম্বর মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আয়োজিত নৈশভোজে যোগ দিতেও শেখ হাসিনাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে তিনি রোহিঙ্গা ও জলবায়ু পরিবর্তন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি), সার্বজনীন স্বাস্থ্য ও অর্থায়নসহ বেশ কয়েকটি উচ্চ পর্যায়ের সাইড ইভেন্টে যোগ দেবেন।
প্রধানমন্ত্রী ১৮ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কের রকফেলার সেন্টারে ইউনিডো ও ডেলয়েট আয়োজিত 'থট ফর ফুড-কোলাবরেটিং ফর ফুড সাপ্লাই চেইন ইনোভেশন টু অ্যাক্সিলারেট দ্য এসডিজি’স' শীর্ষক উচ্চ পর্যায়ের সম্মেলনে বক্তব্য পেশ করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সম্পর্কে সজাগ থাকুন: প্রধানমন্ত্রী
একই দিন ট্রাস্টিশিপ কাউন্সিল চেম্বারে 'এসডিজি সামিট-লিডার্স ডায়ালগ-৪' (এসডিজি অর্জনে সমন্বিত নীতি ও সরকারি প্রতিষ্ঠানসমূহকে শক্তিশালী করা) শীর্ষক আরেকটি সম্মেলনে ভাষণ দেবেন তিনি।
সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী নিউইয়র্কে লেক্সিংটন ভেন্যুতে জাতিসংঘ মহাসচিবের গ্লোবাল এডুকেশন বিষয়ক বিশেষ দূত গর্ডন ব্রাউন এবং গ্লোবাল বিজনেস কোয়ালিশন ফর এডুকেশনের এক্সিকিউটিভ চেয়ার সারাহ ব্রাউন আয়োজিত জাতিসংঘের ২০২৩ টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) শীর্ষ সম্মেলন উপলক্ষে আয়োজিত একটি উচ্চ পর্যায়ের ব্যক্তিগত নৈশভোজে যোগ দেবেন।
তিনি ১৯ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ সদর দপ্তরের সিআর-১৬ এ স্পেনের প্রধানমন্ত্রী এবং ইউরোপীয় কাউন্সিল ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) প্রেসিডেন্ট আয়োজিত 'টুওয়ার্ডস আ ফেয়ার ইন্টারন্যাশনাল ফাইন্যান্সিয়াল আর্কিটেকচার' শীর্ষক উচ্চ পর্যায়ের গোলটেবিল বৈঠকে ভাষণ দেবেন।
একই দিন শেখ হাসিনা জাতিসংঘ সদর দপ্তরের সিআর-১১ এ বাংলাদেশ, অ্যান্টিগুয়া ও বারবুডা, ভুটান, চীন, মালয়েশিয়া, চ্যাথাম হাউস এবং সূচনা ফাউন্ডেশনের যৌথ আয়োজনে চিকিৎসা সেবাভিত্তিক কমিউনিটি ক্লিনিক বিষয়ক একটি উচ্চ পর্যায়ের সাইড ইভেন্টে যোগ দেবেন।
প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘ সদর দপ্তরের দ্বিপক্ষীয় বুথে ডেনমার্কের প্রধানমন্ত্রী মেটে ফ্রেডেরিকসেন এবং শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন।
অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার পর তিনি ২৩ সেপ্টেম্বর সকাল ৯টায় (নিউইয়র্ক সময়) ওয়াশিংটন ডিসির উদ্দেশে নিউইয়র্ক ত্যাগ করবেন এবং সেখানে ২৩-২৯ সেপ্টেম্বর অবস্থান করবেন।
এরপর ২৯ সেপ্টেম্বর ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে (বিএ-২৯২) লন্ডনের উদ্দেশে ওয়াশিংটন ডিসি ত্যাগ করবেন এবং ৩০ সেপ্টেম্বর সকাল ১১টায় লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দরে অবতরণ করবেন।
যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানাবেন।
প্রধানমন্ত্রী ৩ অক্টোবর রাত ৮টা ৩৫ মিনিটে (লন্ডন সময়) বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের (বিজি ২০৮) একটি ফ্লাইটে ঢাকার উদ্দেশে লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দর ত্যাগ করবেন এবং ৪ অক্টোবর বাংলাদেশ সময় দুপুর সাড়ে ১২টায় ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করবেন।
আরও পড়ুন: জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দিতে রবিবার নিউইয়র্ক যাবেন প্রধানমন্ত্রী