প্রধানমন্ত্রীর-কার্যালয়
জি-২০ সম্মেলনে যোগ দিতে নয়াদিল্লির উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ প্রধানমন্ত্রীর
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে শুক্রবার ঢাকা ত্যাগ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি বিশেষ ফ্লাইট বেলা ১১টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে।
ফ্লাইটটি স্থানীয় সময় দুপুর ১টা ১৫ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় দুপুর ১টা ৪৫ মিনিট) নয়াদিল্লির পালাম বিমানবন্দরে অবতরণের কথা রয়েছে।
নয়াদিল্লিতে পৌঁছানোর কয়েক ঘণ্টা পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শুক্রবার সন্ধ্যায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরে তিনটি সমঝোতা স্মারক সই হতে পারে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বিকাল সাড়ে ৫টা থেকে ৭টা পর্যন্ত বৈঠকের জন্য তার ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে পৌঁছানোর কথা রয়েছে।
বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, বৈঠকে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ দ্বিপক্ষীয় বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের আগে কৃষি গবেষণা, সাংস্কৃতিক বিনিময় কর্মসূচি এবং বাংলাদেশ ও ভারতীয় রুপির (দুই দেশের সাধারণ মানুষের) মধ্যে লেনদেন সহজীকরণ বিষয়ে ৩টি সমঝোতা স্মারক সই হবে বলে আশা করা হচ্ছে।’
৩ দিনের সফরে প্রধানমন্ত্রী শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) নয়াদিল্লির প্রগতি ময়দানের ভারত মণ্ডপম সেন্টারে 'এক পৃথিবী, এক পরিবার ও এক ভবিষ্যৎ' প্রতিপাদ্য নিয়ে শুরু হতে যাওয়া জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনের দুটি অধিবেশনে ভাষণ দেবেন।
তিনি গ্লোবাল সাউথে জলবায়ু পরিবর্তন, কোভিড-১৯ পরবর্তী অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার এবং ইউরোপে চলমান যুদ্ধের কারণে জ্বালানি, খাদ্য ও সার এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় পণ্যের বৈশ্বিক সরবরাহ ব্যাহত হওয়ার মতো বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের বিষয়ে আলোকপাত করবেন। তিনি সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী বিশ্ব নেতৃবৃন্দের কাছে বিভিন্ন আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অবিশ্বাস্য সাফল্যের অভিজ্ঞতা তুলে ধরবেন।
আরও পড়ুন: সংখ্যালঘু বলে নিজেদের অবজ্ঞা করবেন না: হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতি প্রধানমন্ত্রী
মোমেন বলেন, সম্মেলনের ফাঁকে প্রধানমন্ত্রী শনিবার সফররত আরও ৪ থেকে ৫ নেতার সঙ্গে বৈঠক করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, সৌদি ক্রাউন প্রিন্স ও প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন সালমান বিন আবদুল আজিজ, আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট আলবার্তো অ্যাঞ্জেল ফার্নান্দেজ, সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান এবং কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের সম্ভাবনা রয়েছে।
৯ ও ১০ সেপ্টেম্বর নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিতব্য জি-২০ সম্মেলনে বাংলাদেশসহ ৯টি দেশকে অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ জানিয়েছে ভারত। ভারত সম্মেলনটির সভাপতি দেশ। জি-২০ হচ্ছে ১৯টি দেশ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের সমন্বয়ে গঠিত একটি আন্তঃসরকারি ফোরাম।
১০ সেপ্টেম্বর (রবিবার) দুপুর সাড়ে ১২টায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি চার্টার্ড ফ্লাইটে দেশের উদ্দেশে নয়াদিল্লি ত্যাগ করবেন প্রধানমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: কৃষি গবেষণায় সহযোগিতা করতে পারে ঢাকা-ইসলামাবাদ: পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূতকে প্রধানমন্ত্রী
সংখ্যালঘু বলে নিজেদের অবজ্ঞা করবেন না: হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতি প্রধানমন্ত্রী
হিন্দু সম্প্রদায়কে তাদের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সদস্য হিসেবে বিবেচনা না করে, বাংলাদেশে সমান অধিকার ভোগ করে তাদের জীবনডাপনের আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘আপনি কেন নিজেকে সংখ্যালঘু বলবেন? এখানে সংখ্যালঘু ও সংখ্যাগরিষ্ঠ বলে কিছু নেই। বরং এখানে সব নাগরিক সমান অধিকার ভোগ করবে। সংখ্যালঘু হিসেবে নিজেকে ছোট করবেন না। যখন এই দেশের মানুষ তখন আপনি কেন এমন মনে করছেন?’
বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) পবিত্র জন্মাষ্টমী উপলক্ষে তার সরকারি বাসভবন গণভবন প্রাঙ্গণে হিন্দু সম্প্রদায়ের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে একথা বলেন প্রধানমন্ত্রী ।
হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষের দিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, ‘যারা এই মাটিতে জন্মেছে, তারা এই মাটির সন্তান এবং এই মাটির নাগরিক হিসেবে তাদের অধিকার আছে। "সুতরাং, আপনি সেই অনুযায়ী জীবনযাপন করবেন।’
আরও পড়ুন: কৃষি গবেষণায় সহযোগিতা করতে পারে ঢাকা-ইসলামাবাদ: পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূতকে প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার সর্বদা বাংলাদেশে ধর্মীয় ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে চেষ্টা করছে। একই সঙ্গে সামাজিক সংহতি বজায় রাখার চেষ্টা করছে যেখানে একজন আরেকজনকে হেয় করবে না এবং সব মানুষ সমান অধিকার উপভোগ করে জীবনযাপন করবে।
তিনি বলেন, ‘আমরা জানি সব জায়গায় কিছু স্বার্থান্বেষী লোক আছে, যারা কিছু সমস্যা তৈরি করতে চায়। সবাইকে মনোযোগ দিতে হবে যাতে কেউ সমস্যা তৈরি করতে না পারে।’
শেখ হাসিনা বলেন, দেশে কিছু লোক আছে, যারা বিদেশে গিয়ে বাংলাদেশের বদনাম করে। তিনি বলেন, “আমি সবাইকে এ ব্যাপারে সতর্ক থাকার জন্য অনুরোধ করছি।’
অনুষ্ঠানে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান এবং এলজিআরডি ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৭৫ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর বাংলাদেশের অসাম্প্রদায়িক চেতনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সামরিক শাসক জিয়াউর রহমান অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলের পর হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ বারবার দমন-পীড়নের শিকার হয়।
তিনি বলেন, আমরা আবারও সংবিধান সংশোধন করে সব ধর্ম ও বর্ণের মানুষের জন্য সমান অধিকার ও ধর্মীয় স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে সক্ষম হয়েছি। হাসিনা তার দলকে ভোট দিয়ে ক্ষমতায় আনার জন্য এবং বাংলাদেশে অসাম্প্রদায়িক চেতনা পুনরুদ্ধার করার সুযোগ দেওয়ার জন্য দেশের জনগণকে ধন্যবাদ জানান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যেহেতু তারা আমাদের ভোট দিয়ে দেশের সেবা করার সুযোগ দিয়েছে, তাই আমরা সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে আবারও অসাম্প্রদায়িক চেতনা পুনরুদ্ধার করতে এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে সমুন্নত রাখতে সক্ষম হয়েছি এবং আমরা সুযোগ পেয়েছি মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ বাস্তবায়ন করতে।
ধর্মনিরপেক্ষতা মানে সব ধর্মের মানুষ স্বাধীনভাবে নিজ নিজ ধর্ম পালন করবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, তার সরকার অসাম্প্রদায়িক চেতনা পুনরুদ্ধার করেছে এবং একটি স্লোগান ঘোষণা করেছে যে, ধর্ম যার যার, উৎসব সবার।
তিনি বলেন, ‘আমি চাই আপনারা সবাই নিজ নিজ ধর্ম যথাযথভাবে পালন করুন। (সরকারি) চাকরির ক্ষেত্রে বৈষম্য ছিল, কিন্তু এই বৈষম্য এখানে আর নেই।’ তিনি বলেন, সরকার সরকারি চাকরিতে পদোন্নতির ক্ষেত্রে যোগ্যতা ও কর্মক্ষমতা মূল্যায়ন করে।
আরও পড়ুন: ফেরদৌস আরার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী
জাপানি ব্যবসায়ীদের শিল্পকারখানা স্থাপনের জন্য জায়গা দেওয়ার প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রীর
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) বলেছেন, বেশ কয়েকটি কোম্পানি দেশে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী হলে বাংলাদেশ শিল্পকারখানা স্থাপনের জন্য জাপানকে আরও জায়গা বরাদ্দ করবে।
তাদের দেশের অনেক কোম্পানি বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী, জাপানের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদল প্রধানিমন্ত্রীকে এ তথ্য জানালে উত্তরে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
এসময় শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশ ইপিজেডে জাপানকে জায়গা দিয়েছে, জাপান শিল্পকারখানা স্থাপন করতে চাইলে আমরা আরও (জায়গা) দিতে পারি।’
আরও পড়ুন: সরকার উৎখাতের হুমকি বা নিষেধাজ্ঞা দিয়ে কোনো লাভ হবে না: প্রধানমন্ত্রী
এদিন জাপানের জেনারেল অ্যাফেয়ার্স বিষয়ক কমিটির পরিচালক ও হাউস অব কাউন্সিলর নাকানিশি ইউসুকের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দল প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে সাক্ষাৎ করেন।
সাক্ষাৎ শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
জাপানি প্রতিনিধি দল বলেন, জাপান ও বাংলাদেশের মধ্যে বিদ্যমান উন্নয়ন অংশীদারিত্বকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে এবং আরও জোরদার করতে হবে।
প্রতিনিধি দল বলেন, জাপান বাংলাদেশে মেট্রোরেলসহ বিভিন্ন মেগা প্রকল্পে কাজ করছে। ‘জাপান অবকাঠামোগত উন্নয়নে, বিশেষ করে বাংলাদেশের মেগা প্রকল্পে অবদান রাখছে।’
ঢাকা ও নারিতা সরাসরি ফ্লাইট চালুর প্রশংসা করে তারা বলেন, এতে যোগাযোগের উন্নতি হবে।
জাপানি প্রতিনিধিদল ভারত মহাসাগরকে ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য শান্তিপূর্ণ রাখার প্রয়োজনীয়তার ওপরও জোর দিয়েছে।
আরও পড়ুন: ভুয়া সার্টিফিকেট নিয়ে বিদেশে চাকরি করতে যাওয়া ব্যক্তিদের চিহ্নিত করার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
তারা নারীর ক্ষমতায়ন ও শিক্ষায় বাংলাদেশের সাফল্যের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছেলেদের তুলনায় মেয়েরা অনেক বেশি, কারণ সরকার মেয়েদের বিনামূল্যে শিক্ষা দিচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে একটি সামুদ্রিক অ্যাকোয়ারিয়াম নির্মাণে জাপানের সহায়তাও চেয়েছেন।
এর আগে নিপ্পন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ইয়োহেই সাসাকাওয়া গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
বৈঠকে ইয়োহেই সাসাকাওয়া প্রধানমন্ত্রীকে জানান, ভাসানচরে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য নিপ্পন ফাউন্ডেশন ৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার দেবে।
রোহিঙ্গাদের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাদের নিজ দেশ মিয়ানমারে ফিরে যেতে হবে।
তিনি আরও বলেন, মিয়ানমার আমাদের প্রতিবেশী দেশ। আমরা তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছি এবং বলছি যে তাদের নাগরিকদের (রোহিঙ্গা) তাদের নিজ দেশে ফিরিয়ে নিতে হবে।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে বেঁচে যাওয়া ৮৪ বছর বয়সী ইয়োহেই সাসাকাওয়া বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে বন্ধুত্বের কথা তুলে ধরেন।
তিনি কুষ্ঠরোগ নির্মূল এবং কুষ্ঠরোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের পুনর্বাসনে বাংলাদেশের প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন।
নিপ্পন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান সাসাকাওয়া চলতি বছরের অক্টোবরে ঢাকায় অনুষ্ঠেয় জাতীয় কুষ্ঠ সম্মেলনে যোগ দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানান।
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব এম তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া, পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন এবং বাংলাদেশে জাপানের রাষ্ট্রদূত আইডব্লিউএএমএ কিমিনন উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ সবার সঙ্গে সমানভাবে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখেছে: প্রধানমন্ত্রী
আরও দুটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হবে
নারায়ণগঞ্জ ও সাতক্ষীরায় আরও দুইটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনে পৃথক দু’টি আইনের খসড়ার অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
আইনগুলোর শিরোনাম হলো, “জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, নারায়ণগঞ্জ আইন-২০২৩’ এবং ‘সাতক্ষীরা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আইন-২০২৩’।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে তার কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়।
বৈঠক শেষে বাংলাদেশ সচিবালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন।
আরও পড়ুন: বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতির চেয়ারম্যান শেখ কবির ও সেক্রেটারি জেনারেল কাজী আনিস
এখন দেশে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে ৫৪টি। আরও একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের প্রস্তাবিত আইন সম্প্রতি মন্ত্রিসভায় অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
সুতরাং, এই দু’টি নিয়ে দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা হবে ৫৭টি। এছাড়া দেশে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে ১১৩টি।
তাছাড়া, ২০১৩ সালে জাতীয়করণকৃত ২৬ হাজার ১৯৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জন্য সময়সীমা বাড়ানোর জন্য বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক (চাকরির শর্ত নির্ধারণ) বিধি, ২০১৩-এর ধারা-২(চ) সংশোধনের প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। নতুন সময়সীমা ২০২৫ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে শিক্ষকদের শর্ত পূরণ করতে হবে।
সভায় জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমি আইন-২০২৩ -এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়।
শিক্ষার্থীরা সরকারি প্রতিষ্ঠানেও ইন্টার্নশিপ করতে পারে।
মন্ত্রিসভা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি সরকারি প্রতিষ্ঠানে উচ্চশিক্ষা গ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের জন্য ইন্টার্নশিপ করার সুযোগ তৈরি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
প্লাস্টিক শিল্প উন্নয়ন নীতি ২০২৩- এর খসড়াও অনুমোদন করেছে মন্ত্রিসভা।
আরও পড়ুন: নওগাঁয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনে সংসদে বিল পাস
ভুয়া সার্টিফিকেট নিয়ে বিদেশে চাকরি করতে যাওয়া ব্যক্তিদের চিহ্নিত করার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভুয়া সার্টিফিকেট নিয়ে বিদেশে চাকরি করতে যাওয়া এবং তাদের সহায়তাকারীদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন।
সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) নিজ কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে সভাপতিত্বকালে তিনি এ নির্দেশনা দেন প্রধানমন্ত্রী।
সভা শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন জানান, এখানে অনেকে ভুয়া সার্টিফিকেট নিয়ে বিভিন্ন চাকরির জন্য বিদেশে যাচ্ছেন। এমনকি চিকিৎসক ও প্রকৌশলীর জাল সনদও এসব কাজে ব্যবহার করা হয় বলে অভিযোগ রয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ সবার সঙ্গে সমানভাবে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখেছে: প্রধানমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, ‘তারা কীভাবে এই জাল সার্টিফিকেট পায়, কীভাবে তারা জাল সার্টিফিকেট নিয়ে যায় এবং কারা তাদের সহায়তা করে প্রধানমন্ত্রী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে তা চিহ্নিত করে দোষীদের আইনের আওতায় আনার নির্দেশ দিয়েছেন।’
তিনি আরও বলেন, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে সহায়তা করবে।
বৈঠকে ‘ফরেন এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড ইমিগ্রেশন (সংশোধন) আইন ২০২৩’-এর খসড়া অনুমোদন করা হয়। এছাড়া বৈঠকে প্লাস্টিক শিল্প উন্নয়ন নীতির অনুমোদনসহ আরও কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
মন্ত্রিসভার বৈঠকে বৈদেশিক কর্মসংস্থান ও প্রবাসী আইন (সংশোধন) ২০২৩-এর খসড়া অনুমোদন করা হয়।
আরও পড়ুন: শনিবার ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী
বিশ্বের কিছু বড় শক্তি বাংলাদেশে তাদের অনুগত সরকার চায়: প্রধানমন্ত্রী
আরেকটি স্বপ্ন পূরণ হলো: দেশের প্রথম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) দেশের প্রথম ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের ১৯ দশমিক ৭৩ কিলোমিটারের মধ্যে বিমানবন্দর-ফার্মগেট ১১ দশমিক ৫ কিলোমিটার অংশের উদ্বোধন করেছেন।
দীর্ঘ প্রতীক্ষিত এক্সপ্রেসওয়ে বর্তমান সরকারের মেগা প্রকল্পগুলোর মধ্যে একটি।
রবিবার সকালে যান চলাচলের জন্য এটি উন্মুক্ত করা হবে।
এর সাহায্যে একটি গাড়ি ঘন্টায় ৬০ কিলোমিটার বেগে কাওলা থেকে ফার্মগেটে পৌঁছতে মাত্র ১০ মিনিট সময় লাগবে।
বিদেশি বিনিয়োগে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের (পিপিপি) আওতায় পরিবহন খাতে এটিই প্রথম প্রকল্প।
এক্সপ্রেসওয়েটি প্ল্যাকার্ড ও পতাকা দিয়ে সজ্জিত করা হয়েছে। আগামীকাল (রবিবার) সকাল ৬টায় যান চলাচল শুরুর আগে এগুলো সরিয়ে নেওয়া হবে।
প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী গাড়িটি টোল প্লাজায় টোল পরিশোধের পর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছে কাওলা এলাকায় উত্তর প্রান্ত থেকে এক্সপ্রেসওয়েতে প্রবেশ করে।
তিনি আগারগাঁওয়ের পুরাতন বাণিজ্য মেলা মাঠে নাগরিক সমাবেশে যোগ দিতে তেজগাঁও এলাকায় এক্সপ্রেসওয়ে থেকে নামেন।
আরও পড়ুন: ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবহার করতে পারবে যে সকল যানবাহন
প্রকল্প কর্মকর্তারা বলছেন, প্রতিদিন প্রায় ৮০ হাজার যানবাহন ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে যেতে পারবে।
এক্সপ্রেসওয়েটি ঢাকা শহরের উত্তর অংশের সঙ্গে মধ্য, দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব অংশের মধ্যে যোগাযোগ উন্নত করে শহরের অভ্যন্তরে এবং আশেপাশে ট্রাফিক সক্ষমতা বাড়াবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এর ফলে আশেপাশের ওভারলোডেড রাস্তাগুলোর যান চলাচলও সহজ হবে।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জানিয়েছেন, সম্পূর্ণভাবে সম্পন্ন হলে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে রাজধানীর কাওলা থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুতুবখালী এলাকা হয়ে কুড়িল-বনানী-মহাখালী-তেজগাঁও-মগবাজার-কমলাপুর-সায়েদাবাদ-যাত্রাবাড়ী পর্যন্ত চলাচল করবে।
এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবহার করার জন্য যানবাহনগুলোকে টোল দিতে হবে। চারটি ক্যাটাগরিতে টোল আদায় করা হবে।
প্রাইভেট কার, মাইক্রোবাস (১৬ আসনের কম) এবং মিনি-ট্রাক (৩ টনের কম) ৮০ টাকা, মাঝারি আকারের ট্রাক (৬ চাকা পর্যন্ত) এবং ৬ চাকার বেশি বড় ট্রাক যথাক্রমে ৩২০ টাকা এবং ৪০০ টাকা দিতে হবে।
এদিকে, ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাওলা-ফার্মগেট অংশে ১৬বা তার বেশি আসন বিশিষ্ট সব বাস ও মিনিবাসকে দিতে হবে ১৬০ টাকা।
এক্সপ্রেসওয়েতে মোটরসাইকেল, সাইকেল ও থ্রি-হুইলার চলাচলের অনুমতি দেওয়া হবে না।
ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পটি ২০১১ সালে হাতে নেওয়া হয়েছিল।
আরও পড়ুন: ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে কত টাকা টোল দিয়ে চলবে গাড়ি
২০১৩ সালের ১৫ ডিসেম্বর বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ প্রকল্পের বিনিয়োগকারী কোম্পানি ফার্স্ট ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে কোম্পানি লিমিটেডের সাথে একটি সংশোধিত চুক্তি সই করে।
এটি থাইল্যান্ড ভিত্তিক ইতালিয় থাই ডেভেলপমেন্ট পাবলিক কোম্পানি লিমিটেড (৫১ শতাংশ), চায়না শানডং ইন্টারন্যাশনাল ইকোনমিক অ্যান্ড টেকনিক্যাল কোঅপারেশন গ্রুপ (৩৪ শতাংশ) এবং সিনোহাইড্রো করপোরেশন লিমিটেড (১৫ শতাংশ) এর অংশীদারিত্বে নির্মিত হচ্ছে।
প্রকল্পটি তিন ধাপে শেষ হচ্ছে। বনানী পর্যন্ত প্রথম অংশের ৯৮ শতাংশ এবং বনানী থেকে মগবাজার পর্যন্ত ৫৪ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে।
এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ঢাকার উত্তর থেকে দক্ষিণে বিকল্প সড়ক হিসেবে কাজ করবে। এটি হেমায়েতপুর-কদমতলী-নিমতলী-সিরাজদিখান-মদনগঞ্জ-ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক-মদনপুরকে সরাসরি সংযুক্ত করবে।
অন্যদিকে, দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল ও পূর্বাঞ্চলের যানবাহন ঢাকায় প্রবেশ না করে সরাসরি উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে প্রবেশ করতে পারবে। যার ফলে ঢাকায় যাতায়াতের সময় ও যানজট কমবে।
প্রকল্প কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তারা যানবাহন চলাচল নির্বিঘ্ন করতে কুড়িল এলাকায় একটি নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র স্থাপন করেছে।
চীনা ফার্ম চায়না শানডং ইন্টারন্যাশনাল ইকোনমিক অ্যান্ড টেকনিক্যাল করপোরেশন, পিপিপি প্রকল্পের তিনটি ব্যক্তিগত অংশীদারের মধ্যে একটি নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র পরিচালনা করবে।
কুড়িল, বনানী, মহাখালী ও তেজগাঁও হয়ে বিমানবন্দর-ফার্মগেট অংশটি শহরের অন্যতম ব্যস্ত রুট বিমানবন্দর থেকে আসা-যাওয়ার বিকল্প রুট হিসেবে কাজ করবে।
১৫টি র্যাম্প সহ এটি যানবাহনগুলোকে যানজটপূর্ণ রাস্তা এড়িয়ে চলতে সহায়তা করবে। আজ ১৩টি র্যাম্প খোলা হয়েছে।
সূত্র অনুসারে, অন্যান্য যানবাহন শুরুতে ঘন্টায় সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার গতিতে চলাচল করবে।
ড. ইউনূস অন্যায়ের সম্মুখীন কি-না মূল্যায়নে বিদেশি বিশেষজ্ঞদের আমন্ত্রণ প্রধানমন্ত্রীর
ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা স্থগিতের বিষয়ে বিশ্বের ১৬০ জন বিশিষ্ট ব্যক্তির সাম্প্রতিক বিবৃতির কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশের বিচার বিভাগ সম্পূর্ণ স্বাধীন এবং আইন তার নিজস্ব গতিতেই চলবে।
মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ভদ্রলোকের যদি এতই আত্মবিশ্বাস থাকতো যে তিনি কোনো অপরাধ করেননি, তাহলে ওই আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিবৃতি ভিক্ষা করে বেড়াতেন না।’
তিনি বলেন, বিবৃতি না দিয়ে তারা বিশেষজ্ঞ পাঠাক। যদি এতই দরদ থাকে তারা আইনজীবী পাঠাক। মামলার সমস্ত দলিল-দস্তাবেজ খতিয়ে দেখুন। তারাই দেখে বিচার করে যাক এখানে কোনো অপরাধ আছে কি না।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ এখনই ব্রিকসের সদস্য হওয়ার অনুরোধ করেনি: প্রধানমন্ত্রী
ব্রিকস সম্মেলনে অংশ নেওয়ায় বিশ্ব নেতারা বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের ভালো ধারণা পেয়েছেন: প্রধানমন্ত্রী
বাংলাদেশ এখনই ব্রিকসের সদস্য হওয়ার অনুরোধ করেনি: প্রধানমন্ত্রী
ব্রিকসের সদস্য হওয়ার জন্য বাংলাদেশের পক্ষ থেকে এখনই কোনো অনুরোধ নেই বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘আমরা এখনই কাউকে আমাদের (ব্রিকসের) সদস্য করার জন্য বলতে যাইনি।’
মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সাম্প্রতিক দক্ষিণ আফ্রিকা সফর এবং সেখানে ১৫তম ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনে অংশগ্রহণ প্রসঙ্গে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: ব্রিকস সম্মেলনে বিদেশি নেতারা প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশের উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করেন: মোমেন
ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন এবং দক্ষিণ আফ্রিকার ব্রিকস নেতারা অবশ্য আরও ৬ দেশকে সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করতে সম্মত হয়েছেন। দেশগুলো হলো- আর্জেন্টিনা, মিশর, ইথিওপিয়া, সৌদি আরব, ইরান ও সংযুক্ত আরব আমিরাত।
তিনি বলেন, এটা নিয়ে হায়-হুতাশ হবে জানি। কিন্তু বাংলাদেশ কিছু চেয়ে পাবে না, এটা কিন্তু ঠিক না।
দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসার আমন্ত্রণে গত ২২-২৪ আগস্ট জোহানেসবার্গে এই সম্মেলনে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আরও পড়ুন: ব্রিকস সম্মেলনে অংশ নেওয়ায় বিশ্ব নেতারা বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের ভালো ধারণা পেয়েছেন: প্রধানমন্ত্রী
দ. আফ্রিকা সফর নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন মঙ্গলবার
দক্ষিণ আফ্রিকা সফর এবং ১৫তম ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনে অংশগ্রহণ সম্পর্কে মঙ্গলবার বিকালে সংবাদ সম্মেলন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সোমবার (২৮ আগস্ট) প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, মঙ্গলবার বিকাল ৪টার দিকে এ সংবাদ সম্মেলন শুরু হবে।
দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসার আমন্ত্রণে গত ২২-২৪ আগস্ট জোহানেসবার্গে অনুষ্ঠিত এই সম্মেলনে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আরও পড়ুন: জোহানেসবার্গ থেকে দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী
ঢাকার উদ্দেশে জোহানেসবার্গ ত্যাগ করেছেন শেখ হাসিনা
জোহানেসবার্গ থেকে দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী
দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে ১৫তম ব্রিকস সম্মেলনে যোগদান শেষে রবিবার সকালে দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসার আমন্ত্রণে ২২-২৪ আগস্ট অনুষ্ঠিত সম্মেলনটিতে যোগ দেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী দুবাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দুই ঘণ্টার যাত্রাবিরতি শেষে সকাল ৮টা ৩১ মিনিটে এমিরেটস এয়ারলাইন্সের একটি নিয়মিত ফ্লাইটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন।
আরও পড়ুন: আজ ঢাকার উদ্দেশে জোহানেসবার্গ ত্যাগ করবেন প্রধানমন্ত্রী
ব্রিকস সম্মেলনে বিদেশি নেতারা প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশের উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করেন: মোমেন