প্রধানমন্ত্রীর-কার্যালয়
দেশের জ্বালানি খাতে বিনিয়োগে আগ্রহী আরব আমিরাত
বাংলাদেশের জ্বালানি খাতে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী সংযুক্ত আরব আমিরাত। দেশটির শিল্প ও উন্নত প্রযুক্তিবিষয়ক মন্ত্রী ড. সুলতান আহমেদ আল জাবের এ আগ্রহের কথা জানান।
বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই)প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে সংযুক্ত আরব আমিরাতের মন্ত্রী এ আগ্রহ প্রকাশ করেন।
বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে বলেন, ‘তারা প্রচলিত জ্বালানির পাশাপাশি জ্বালানি খাতে বিশেষ করে নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে খুবই আগ্রহী।’
জ্বালানি কোম্পানি মাসদারের চেয়ারম্যান এবং আবুধাবি ন্যাশনাল অয়েল কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালকও ডক্টর আহমেদ। তিনি বলেন যে, তারা সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে বাংলাদেশে দুটি দল পাঠাবেন। এর মধ্যে এক দল নবায়নযোগ্য শক্তি নিয়ে আলোচনা করবে এবং আরেকটি ব্যবসা নিয়ে আলোচনা করবে।
বৈঠকে প্রধানত জলবায়ু পরিবর্তন, অর্থনৈতিক সহযোগিতাসহ দ্বিপাক্ষিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয় বলে জানান প্রেস সচিব।
আরও পড়ুন: স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে শিক্ষা ব্যবস্থায় বৈচিত্র্য আনতে হবে: শিক্ষাবিদদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী
সুলতান আহমেদ জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিশেষ দূত এবং ২৮তম কনফারেন্স অব দ্য পার্টিস (কপ-২৮)-এর প্রেসিডেন্ট জলবায়ু পরিবর্তন ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশংসা করেন এবং এই বিষয়ে তার আরও সমর্থন আশা করেন।
তিনি জলবায়ু পরিবর্তন ও খাদ্য নিরাপত্তা ইস্যুতেও প্রধানমন্ত্রীর সহায়তা কামনা করেন। ড. সুলতান আহমদ বলেন, ‘আমরা পরিবর্তনের ক্রীড়নক হতে চাই।’ তিনি বলেন আরও, তারা কপ-২৮ এর আগেই সমস্যা সমাধানের জন্য জলবায়ু তহবিল সংগ্রহের উপর চাপ প্রয়োগ করছেন।
সংযুক্ত আরব আমিরাত সবুজ হয়ে উঠছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, তারা সংযুক্ত আরব আমিরাতের কপ-২৮ থেকে একটি ইতিবাচক প্রভাব পেতে চান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, কপ-২৮ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কারণ এতে প্যারিস চুক্তির বৈশ্বিক হিসাব-নিকাশ জড়িত থাকবে।
আরও পড়ুন:কলাগাছের তন্তু থেকে তৈরি কলাবতী শাড়ি গ্রহণ করলেন প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘আমরা আশা করি সংযুক্ত আরব আমিরাত এ বিষয়ে অগ্রগতির ও ঘাটতির বাস্তব মূল্যায়নের ক্ষেত্রে সহায়তা করবে। যা বিশ্বব্যাপী ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি তাপমাত্রা বজায় রাখার জন্য সহায়ক হবে।
বাংলাদেশ ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের মধ্যে অনেক বিষয়ে মিল রয়েছে।
এ সময় প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান, প্রধানমন্ত্রীর অ্যাম্বাসেডর অ্যাট-লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন,পরিবেশ সচিব ফারহিনা আহমেদ এবং বাংলাদেশে সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূত আবদুল্লাহ আলী আল হামুদি উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: দেশের অফশোর উইন্ড এনার্জিতে বিনিয়োগের প্রস্তাব ডেনমার্কের
বিএনপি-জামায়াত ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড করলে ছাড় দেওয়া হবে না: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিএনপি-জামায়াতের রাজনৈতিক কর্মসূচিতে বাধা দেওয়ার কোনো ইচ্ছা সরকারের নেই। তবে তারা কোনো ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডের পুনরাবৃত্তি করলে ছাড় দেওয়া হবে না।
২০১৩-২০১৫ সাল পর্যন্ত বিএনপি-জামায়াতের সহিংসতার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা তাদের রাজনীতিতে বাধা দেব না এবং বাধা দিচ্ছি না। তবে তারা যদি আবার রেলে আগুন দেয় বা জনগণের কোনো ক্ষতি করে তবে তারা রেহাই পাবে না।’
বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) আখাউড়া-লাকসাম ডাবল লাইন রেলপথ প্রকল্পের আওতায় নবনির্মিত ৭২ কিলোমিটার ডুয়েল গেজ ডাবল লাইনে ট্রেন চলাচলের উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতাদের পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনার চেষ্টা চলছে: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে কুমিল্লার লাকসামে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
নবনির্মিত ৭২ কিলোমিটার ডুয়েল গেজ ডাবল লাইনের মাধ্যমে ৩২১ কিলোমিটার দীর্ঘ ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটটি ডাবল লাইনে পরিণত হয়েছে। এতে, এই রুটে ভ্রমণের সময় ৩০ মিনিট থেকে এক ঘণ্টার সাশ্রয় হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, এই রুটের সর্বত্র ক্যামেরা থাকবে এবং যেকোনো ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপের ক্ষেত্রে অপরাধীদের চিহ্নিত করে যথাযথ শাস্তি দেওয়া হবে।
বিএনপি ও জামায়াতকে সন্ত্রাসী দল আখ্যায়িত করে শেখ হাসিনা বলেন, তারা ধ্বংস করতে জানে, কিন্তু তারা জানে না কীভাবে কিছু তৈরি করতে হয় বা জনগণের সেবা করতে হয়।
তিনি বলেন, ‘তারা জানে কীভাবে লুট করতে হয়, কীভাবে দুর্নীতি করতে হয় এবং নিজেদের লাভ করতে হয়।’
আরও পড়ুন: দুর্নীতি না করলে অসাধ্য সাধন করা যায়: সরকারি কর্মকর্তাদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী বিএনপি-জামায়াতের হাত থেকে রক্ষা পেতে দেশের জনগণকে সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘আমরা চাই তাদের হাত থেকে দেশ রক্ষা পাক।’
লাকসাম থেকে রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। এদিকে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী তাজুল ইসলাম (লাকসাম-মনোহরগঞ্জের স্থানীয় সংসদ সদস্য), আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক (আখাউড়া-কাশবা আসনের স্থানীয় সংসদ সদস্য) এবং বাংলাদেশে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) কান্ট্রি ডিরেক্টর এডিমন গিন্টিং অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন রেলপথ সচিব হুমায়ুন কবীর।
আরও পড়ুন: কলাগাছের তন্তু থেকে তৈরি কলাবতী শাড়ি গ্রহণ করলেন প্রধানমন্ত্রী
দেশের অফশোর উইন্ড এনার্জিতে বিনিয়োগের প্রস্তাব ডেনমার্কের
বাংলাদেশে অফশোর উইন্ড এনার্জিতে উৎপাদনে ১ দশমিক ৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করতে চায় ডেনমার্ক।
দেশটির বিদায়ী রাষ্ট্রদূত উইনি ইস্ট্রুপ পিটারসেন বুধবার (১৯ জুলাই) একথা জানিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে বুধবার সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে রাষ্ট্রদূত এ প্রস্তাব দেন।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম।
আরও পড়ুন: সরকার সব সময় আপনাদের পাশে আছে: ব্যবসায়ীদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়নে বন্ধুপ্রতীম দেশগুলোর সহায়তা প্রয়োজন।
এ প্রসঙ্গে তিনি উল্লেখ করেন, বাংলাদেশ সারা দেশে ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপন করছে। যেখানে বিদেশি ও দেশীয় উভয় ধরনের বিনিয়োগ প্রয়োজন।
প্রেস সচিব ইহসানুল করিম বলেন, প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রদূত উভয়েই বাংলাদেশ ও ডেনমার্কের মধ্যে ৫০ বছরের উন্নয়ন অংশীদারিত্বের প্রশংসা করেন।
বৈঠকে ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
সরকার দেশে দারিদ্র্যের মাত্রা উল্লেখযোগ্যভাবে কমিয়ে এনেছে বলে রাষ্ট্রদূতকে জানান শেখ হাসিনা।
নারীদের উন্নয়নের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, তারা নারীদের খেলাধুলার উন্নয়নে গুরুত্ব দিয়েছেন।
দেশে গণতন্ত্রের উন্নয়ন প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশে গণতন্ত্রের জন্য আমাদের দীর্ঘ সংগ্রামের ইতিহাস রয়েছে।
ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত বলেন, তার দেশ বিশ্বব্যাপী আইসিটি খাতে ষষ্ঠ বৃহত্তম রপ্তানিকারক দেশ।
এ প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের আইসিআই সেক্টরের প্রসারও খুব দ্রুত হচ্ছে।
রাষ্ট্রদূত পিটারসেন বলেন, মানব উন্নয়নসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে দুই দেশ সহযোগিতা বাড়াতে পারে।
তিনি আরও বলেন, সহযোগিতার মাধ্যমে আমরা অনেক কিছু অর্জন করেছি।
রাষ্ট্রদূত বলেন, তিনি বাংলাদেশে ভালো বন্ধুদের সঙ্গে ভালো সময় কাটিয়েছেন।
রাষ্ট্রদূত দুই দেশের মধ্যে ৫০ বছরের উন্নয়ন অংশীদারিত্ব উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীকে বই উপহার দেন।
এসময় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: কলাগাছের তন্তু থেকে তৈরি কলাবতী শাড়ি গ্রহণ করলেন প্রধানমন্ত্রী
স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে শিক্ষা ব্যবস্থায় বৈচিত্র্য আনতে হবে: শিক্ষাবিদদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী
কলাগাছের তন্তু থেকে তৈরি কলাবতী শাড়ি গ্রহণ করলেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মন্ত্রিসভা কক্ষে কলাগাছের তন্তু থেকে তৈরি কলাবতী শাড়ি ও হস্তশিল্পজাত পণ্য উপহার হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
আজ (১৭ জুলাই) দুপুরে বান্দরবানের জেলা প্রশাসক ইয়াসমিন পারভিন তিবরীজি কলাগাছের তন্তু থেকে প্রস্তুত ৩টি শাড়ি ও ২টি জুয়েলারি বাক্স এ সময় প্রধানমন্ত্রীর কাছে হস্তান্তর করেন।
দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো কলাগাছের তন্তু হতে মণিপুরী নকশার এই শাড়ি তৈরি করেন মৌলভীবাজারের তাঁতশিল্পী রাধাবতী দেবী। আর প্রধানমন্ত্রীকে উপহার দেওয়া শাড়ি ৩টি তৈরি করেছেন অঞ্জলী দেবী ও দত্ত সিংহ।
এছাড়া, পার্বত্য এলাকায় বাসোপযোগী আশ্রয়ণের একটি বিশেষ মাচাং ঘরের মডেল, জেলা ব্র্যান্ডের ক্যালেন্ডার এবং ব্র্যান্ড বুকও বান্দরবানের জেলা প্রশাসক প্রধানমন্ত্রীকে প্রদান করেন।
আরও পড়ুন: ক্যান্টিনে কাজ করা ১১ বছরের রাব্বির দায়িত্ব নিলেন প্রধানমন্ত্রী
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর জন্য আম পাঠালেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী
১০ দফা দাবিতে হাবিপ্রবি উপাচার্যের বাসভবনের সামনে ছাত্রীদের অবস্থান
১০ দফা দাবিতে হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (হাবিপ্রবি) উপাচার্যের বাসভবনের সামনে প্রায় ৪ ঘন্টা ধরে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের নবনির্মিত আবাসিক হলের ছাত্রীরা। শনিবার রাত সাড়ে নয়টা থেকে ১টা পর্যন্ত কর্মসূচি পালন করে তারা।
অবশেষে দাবি পূরণের আশ্বাস পেয়ে উপাচার্যের বাসভবনের সামনের অবস্থানস্থল থেকে হলে ফিরেন তারা।
ভুক্তভোগী ছাত্রীদের অভিযোগ, গত শুক্রবার রাত থেকে নবনির্মিত আবাসিক ছাত্রী হলে বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় রয়েছেন তারা। পরদিন সকালে সামান্য সময়ের জন্য বিদ্যুৎ মিললেও আবার চলে যায়। এভাবে আসা-যাওয়ার মধ্যে গতকাল শনিবার রাতে আবারো বিদ্যুৎ চলে গিয়ে আর আসেনি। এতে লেখাপড়া খাওয়া-দাওয়াসহ নিত্যকার কাজকর্ম করতে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন তারা।
সমস্যা সমাধানে ১০ দফা দাবি তুলেছেন তারা।
আরও পড়ুন: করোনাভাইরাস: হাবিপ্রবির শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের নির্দেশ
তাদের দাবির মধ্যে রয়েছে- নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করা, রান্নার সুবিধার্থে প্রতিটি ব্লকে হিটার স্থাপন, প্রতিটি ফ্লোরে সুপেয় পানির ব্যবস্থা, বাথরুম ও করিডোরে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা, বিদ্যুতের লাইনে থ্রি-প্লাগ সুইচ , ডাইনিংয়ে খাবারের মান উন্নতকরণ, হলে প্রবেশের সর্বশেষ সময় রাত সাড়ে ৮টা করা, হিটার চেকের নামে হেনস্তা বন্ধ করা, গেস্ট অ্যালাও, অভিভাবদেরকে যথেষ্ট সম্মান দিয়ে কথা বলা এবং লিফ্ট ও রিডিংরুমের ব্যবস্থাসহ বিশেষ কারণে রাতে হলে ফিরতে দেরি হলে অকথ্য ও অপমানসূচক ভাষা পরিহার করা।
এছাড়াও নবনির্মিত আবাসিক ছাত্রী হলের স্থায়ী নামকরণের দাবি জানায়েছেন ছাত্রীরা।
এ ব্যাপারে নবনির্মিত ছাত্রী হলের হল সুপার অধ্যাপক ড. আফরোজা খাতুন জানান, ছাত্রীদের ১০ দফা দাবির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে আলোচনায় বসবেন তারা। যৌক্তিক দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মামুনুর রশীদ জানান, বিদ্যুৎ বিভ্রাট সমাধানে চেষ্টা চালাচ্ছেন তারা। যৌক্তিক দাবির বিষয়ে কর্তৃপক্ষীয় বৈঠকে বসবেন তারা।
আরও পড়ুন: হাবিপ্রবিতে দেশের প্রথম ভ্রাম্যমাণ ভেটেরিনারি ক্লিনিকের যাত্রা শুরু
হাবিপ্রবিতে জাতীয় বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি
স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে শিক্ষা ব্যবস্থায় বৈচিত্র্য আনতে হবে: শিক্ষাবিদদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০৪১ সালের মধ্যে দেশকে স্মার্ট বাংলাদেশে পরিণত করতে শিক্ষা ব্যবস্থায় বৈচিত্র্য আনার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন।
তিনি বলেন, ‘আমাদের দরকার স্মার্ট দক্ষ জনশক্তি, স্মার্ট অর্থনীতি, স্মার্ট সরকার ও স্মার্ট সমাজ। আমরা বাংলাদেশকে এভাবেই গড়ে তুলতে চাই। এজন্য সর্বাধিক প্রয়োজন শিক্ষা ব্যবস্থায় বৈচিত্র্য আনা।’
রবিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজগুলোর অধ্যক্ষদের জাতীয় সম্মেলন এবং বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন যে তার সরকার তরুণ প্রজন্মকে দক্ষ জনশক্তি হিসেবে গড়ে তুলতে চায়।
তিনি উল্লেখ করেন যে সরকার ৩৯টি হাইটেক পার্ক প্রতিষ্ঠা করেছে। যা কম্পিউটার ও ইনকিউবেশন সেন্টারগুলোতে প্রশিক্ষণ, ন্যানো প্রযুক্তি এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার শিক্ষা প্রদান করছে।
আরও পড়ুন: সরকার সব সময় আপনাদের পাশে আছে: ব্যবসায়ীদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তরুণ প্রজন্ম যাতে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করতে পারে সেজন্য আমরা এটা করছি। তারা আরও এগিয়ে যেতে পারে এবং তাদের ভবিষ্যত প্রজন্মও একই কাজ করতে পারে।’
তিনি বলেন, সরকার বাংলাদেশকে উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির দিকে নিয়ে যেতে চায়। সেটাই হবে স্মার্ট বাংলাদেশ।
শিক্ষার্থীরা যাতে দেশকে স্মার্ট দেশে পরিণত করার জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতা অর্জন করতে পারে সেজন্য তিনি শিক্ষকদের আরও আন্তরিকতার সঙ্গে পাঠদানের অনুরোধ জানান।
তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি আজকের তরুণ প্রজন্মই ভবিষ্যত বাংলাদেশের নেতা হবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন যে তার সরকার বিভিন্ন ধরনের মানবসৃষ্ট ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।
বিভিন্ন মানবসৃষ্ট ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘২০০৯ সাল থেকে দেশে অব্যাহত গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার সঙ্গে একটি স্থিতিশীল সরকার রয়েছে।’
আরও পড়ুন: ক্যান্টিনে কাজ করা ১১ বছরের রাব্বির দায়িত্ব নিলেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিক্ষার্থীদের দক্ষতা বৃদ্ধি এবং চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের অংশীদার হওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকতে আধুনিক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ে জ্ঞান অর্জনের জন্য তাদের পড়াশোনায় আরও মনোযোগী হওয়ার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ‘দেশকে এবং দেশের মানুষকে ভালোবাসতে হবে। দেশের মানুষের প্রতি কর্তব্যপরায়ণতা থাকতে হবে। শুধু নিজেকে নিয়ে থাকলে হবে না। দেশের মানুষ যত উন্নত হবে, তত বেশি তোমরা উন্নত হবে।’
তিনি আশা প্রকাশ করেন, ২০৪১ সালের মধ্যে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত স্মার্ট সোনার বাংলাদেশ বিনির্মাণে শিক্ষার্থীরা চালিকাশক্তি হিসেবে নিজেদের প্রস্তুত করবে।
শেখ হাসিনা দেশের শিক্ষার সার্বিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে তার সরকারের পদক্ষেপের কথা সংক্ষেপে বর্ণনা করেন।
তিনি বলেন, ‘বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির যুগে প্রতিনিয়ত পরিবর্তনশীল বিশ্বের সঙ্গে মানিয়ে নিতে প্রজন্মের পর প্রজন্মকে যোগ্য করে গড়ে তুলতে সরকার সম্ভাব্য সব ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। আমরা পিছিয়ে থাকতে চাই না। আমাদের সন্তানরা মেধাবী হওয়ায় বৈশ্বিক শিক্ষার গতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হবে।’
আরও পড়ুন: ঢাকার বাইরেও পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা পৌঁছে দিন: প্রধানমন্ত্রী
সরকার সব সময় আপনাদের পাশে আছে: ব্যবসায়ীদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্ভাবনী ধারণা কাজে লাগিয়ে নতুন পণ্য ও রপ্তানির নতুন বাজার খুঁজে বের করতে ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা সব সময় আপনাদের (ব্যবসায়ীদের) পাশে আছি।’
শনিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে 'বিজনেস কনফারেন্স অন বিল্ডিং স্মার্ট বাংলাদেশ' অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে বেসরকারি খাতের ভূমিকা নিয়ে তিন দিনব্যাপী এ সম্মেলনের আয়োজন করে দেশের শীর্ষ বাণিজ্য সংগঠন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই)।
আরও পড়ুন: ক্যান্টিনে কাজ করা ১১ বছরের রাব্বির দায়িত্ব নিলেন প্রধানমন্ত্রী
বিদেশি বিনিয়োগকারী, শীর্ষ করপোরেট, সেক্টরভিত্তিক অ্যাসোসিয়েশন এবং শীর্ষ ব্যবসায়ী নেতৃরা, এফবিসিসিআই'র চেম্বার ও অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ পরিষদের সদস্যরা সম্মেলনে যোগ দেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আওয়ামী লীগ কখনই ব্যবসায়ীদের রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা দেখে বিচার করে না। ব্যবসায়ীদের রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ নয়। আমরা সব সময় দেশের মানুষের কল্যাণের কথা ভাবি।’
এ প্রসঙ্গে তিনি উল্লেখ করেন, রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা নির্বিশেষে সরকার সবাইকে সুযোগ দিয়েছে, যা দেশের মানুষের জন্য কল্যাণকর।
এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন তার স্বাগত বক্তব্যে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের কথা তুলে ধরে বলেন, দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতি অব্যাহত রাখতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্ব প্রয়োজন।
তিনি বলেন, ‘দেশের ব্যবসা, উন্নয়ন ও অগ্রগতির জন্য শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হতে হবে।’
অনুষ্ঠানে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন এবং স্বাগত বক্তব্য রাখেন এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন।
আরও পড়ুন: স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী ও সংগঠকের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
সকল ব্যবসায়ী নেতারা তাদের বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রতি বিশ্বাস ও আস্থা প্রকাশ করেন।
তারা আরও বলেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও অগ্রগতির জন্য আগামী দিনগুলোতে শেখ হাসিনার নেতৃত্ব প্রয়োজন।
ব্যবসায়ী নেতারা বিগত সাড়ে ১৪ বছরে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থার অভূতপূর্ব পরিবর্তন ঘটানো বর্তমান সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ড বিশেষ করে মেগা প্রকল্পসমূহ তুলে ধরেন।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ বিজনেস সামিট ২০২৩ এর ফলাফলের ওপর তৈরি প্রতিবেদন উন্মোচন করেন।
সম্মেলনের শুরুতে এফবিসিসিআই'র ৫০ বছর এবং দেশের অর্থনীতি ও উন্নয়নে এফবিসিসিআইয়ের অবদানের ওপর একটি থিম সঙ পরিবেশন করা হয়। বাংলাদেশ বিজনেস সামিট-২০২৩ এর ফলাফলের ওপর একটি অডিও-ভিজ্যুয়ালও প্রদর্শন করা হয়।
আরও পড়ুন: ঢাকার বাইরেও পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা পৌঁছে দিন: প্রধানমন্ত্রী
ক্যান্টিনে কাজ করা ১১ বছরের রাব্বির দায়িত্ব নিলেন প্রধানমন্ত্রী
জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের ক্যান্টিনে কাজ করা ১১ বছর বয়সী রাব্বির দায়িত্ব নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শনিবার সকালে সাধারণ রোগীর ন্যায় ১০ টাকার টিকিট কেটে প্রধানমন্ত্রী জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে চোখের চিকিৎসা নিয়েছেন।
চিকিৎসা শেষে হাসপাতাল ছেড়ে যাওয়ার সময় তিনি চিকিৎসা নিতে আসা রোগী ও তাদের স্বজন, চিকিৎসক, নার্স, কর্মচারীসহ উপস্থিত সকলের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন ও ছবি তোলেন।
এ সময় ভিড়ের মাঝে দাঁড়িয়ে থাকা শিশু রাব্বির দিকে দৃষ্টি পড়লে তিনি তার কাছে এগিয়ে যান এবং আদর করেন।
আরও পড়ুন: স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী ও সংগঠকের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
প্রধানমন্ত্রী রাব্বির কাছে জানতে চান যে সে কী করে, কার সঙ্গে হাসপাতালে এসেছে, কোন ক্লাসে পড়ে।
এগার বছর বয়সী রাব্বি জানায়, সে চক্ষুবিজ্ঞান হাসপাতালের ক্যান্টিনে কাজ করে। সেখানেই থাকে। তার বাবা মারা গেছেন। মা রাবেয়া বেগম সুতার কারখানায় কাজ করত। এখন চাঁদপুরে রাম দাসদি আশ্রয়ণ প্রকল্পের একটি ঘরে থাকেন।
রাব্বি আরও জানিয়েছে যে তার সৎ বাবা জাহাঙ্গীর আলম দিন মজুর। ক্যান্টিনে কাজ নেওয়ার আগে ক্লাস টু পর্যন্ত পড়েছে সে।
রাব্বি প্রধানমন্ত্রীকে আরও বলে যে সে চাঁদপুরে মায়ের কাছে যেতে চায়। আবার পড়াশোনা করতে চায়।
প্রধানমন্ত্রী রাব্বির কথা শুনে আবেগাপ্লুত হন। তিনি রাব্বিকে সান্তনা দেন এবং তার পড়াশোনাসহ আনুষঙ্গিক দায়িত্ব নেন এবং এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ ও তা যথাযথভাবে বাস্তবায়নের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেন।
এ সময় সেখানে এক আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়।
আরও পড়ুন: ঢাকার বাইরেও পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা পৌঁছে দিন: প্রধানমন্ত্রী
ঢাকার বাইরেও পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা পৌঁছে দিন: প্রধানমন্ত্রী
পর্যায়ক্রমে সব বিভাগীয় শহর, জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে পানি পরিশোধন ও পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা চালু করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘এর জন্য আপনাদের একটি মাস্টার প্ল্যান তৈরি করতে হবে। একটা মডেল তৈরি করে আমরা যদি স্থানগুলো নির্বাচন করতে ও নির্মাণকাজ শুরু করতে পারি… আমরা তা বাস্তবায়নে সফল হব।’
বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এক অনুষ্ঠানে দেশে প্রথমবারের মতো দাশেরকান্দি পয়ঃনিষ্কাশন কেন্দ্রের কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
এই অনুষ্ঠানে তিনি বিশ্বব্যাংক ও এশিয়ান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকের (এআইআইবি) সহায়তায় পাগলা স্যুয়েজ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টের পুনর্গঠন ও সম্প্রসারণের ভিত্তিপ্রস্তরও স্থাপন করেন। এই স্যুয়েজ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টের ২০০ মিলিয়ন টন নর্দমা শোধন করার ক্ষমতা রয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, সরকার ইতোমধ্যে ‘আমার গ্রাম, আমার শহর’ ঘোষণা করেছে। যেখানে কোনো গ্রাম পিছিয়ে থাকবে না, প্রতিটি গ্রাম পাবে শহরের মতো সুবিধা।
আরও পড়ুন: দাশেরকান্দিতে দক্ষিণ এশিয়ার সর্ববৃহৎ পয়ঃশোধনাগার উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
তিনি উল্লেখ করেন, ইতোমধ্যে দেশের ৯৮ শতাংশ মানুষ স্যানিটেশনের আওতায় এসেছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা ইতোমধ্যে পানীয় জল সরবরাহ শুরু করেছি। এই উদ্যোগকে টেকসই করতে আমাদের একটি সুপরিকল্পিত পরিকল্পনার মাধ্যমে এটি বাস্তবায়ন করতে হবে।’
এ বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে তিনি কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান।
পানি ও বিদ্যুত ব্যবহারে জনগণকে মিতব্যয়ী হওয়ারও আহ্বান জানিয়েছেন শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘অপ্রয়োজনে পানি ও বিদ্যুৎ ব্যবহার করবেন না, অনুগ্রহ করে এগুলো ব্যবহারে মিতব্যয়ী হন। আপনারাও এতে উপকৃত হবেন, কারণ এতে বিল কম আসবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ঢাকা ওয়াসা একটি সেবামুখী বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান।
তিনি বলেন, ‘নাগরিক সেবা বৃদ্ধি ও উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন এবং দক্ষ ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলার জন্য আমি ঢাকা ওয়াসাকে আরও সক্রিয় হতে বলছি।
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মুহাম্মদ ইব্রাহিম, বাংলাদেশে চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন এবং ঢাকা পানি সরবরাহ ও পয়ঃনিষ্কাশন কর্তৃপক্ষের (ওয়াসা) ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তাকসিম এ খান অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।
আরও পড়ুন: যুদ্ধের জন্য নয়, সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সশস্ত্র বাহিনীর উন্নয়ন: প্রধানমন্ত্রী
এসডিজি অর্জনে একসঙ্গে কাজ করার এখনই সময়: প্রধানমন্ত্রী
অবাধ নির্বাচন আয়োজনে সরকারের অঙ্গীকারের সম্পূরক মার্কিন ভিসা নীতি: প্রধানমন্ত্রীকে আজরা জেয়া
সফররত মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বেসামরিক নিরাপত্তা, গণতন্ত্র ও মানবাধিকারবিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি আজরা জেয়া বলেছেন, অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অঙ্গীকারের সম্পূরক হিসেবে নতুন ভিসা নীতি ঘোষণা করেছে তার দেশ।
বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই) প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে সাক্ষাৎকালে তিনি এ কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
জেয়া বলেন, ‘কোনো দলের প্রতি আমাদের কোনো পক্ষপাতিত্ব নেই; আমরা একটি নিরপেক্ষ, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন চাই।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, দেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠান তার অঙ্গীকার।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গাদের সহায়তায় বিশ্বব্যাপী অংশীদারদের আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র: আজরা জেয়া
তিনি বলেন, ‘আমরা সবসময় দেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য লড়াই করেছি। আমরা ইতোমধ্যে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করেছি।’
তিনি উল্লেখ করেন, ‘আওয়ামী লীগ সবসময় জনগণের অধিকারের জন্য লড়াই করেছে। আমরা সবসময় জনগণের প্রতিনিধি নির্বাচনের অধিকারের জন্য লড়াই করি।’
শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপিই দেশে ভোট কারচুপি শুরু করেছিল। এ ব্যাপারে নির্বাচনের জন্য স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স চালু করা হয়।
শেখ হাসিনা ২০১৩-২০১৫ সালে বিএনপি ও তাদের মিত্রদের নৃশংসতা, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড এবং অগ্নিসংযোগের কথা স্মরণ করেন, যেসব ঘটনায় ৫০০ মানুষ নিহত হয়েছিল।
জেয়া প্রধানমন্ত্রীকে বলেন, তিনি রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেছেন এবং মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত মানুষের সঙ্গে কথা বলেছেন।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের আন্ডার সেক্রেটারি আজরা জেয়া ঢাকায় পৌঁছেছেন
তিনি মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসন নিশ্চিত করতে সমন্বিত আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টা জোরদারের উপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি উল্লেখ করেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোর কার্যক্রম পরিচালনাজনিত খরচ বাবদ যুক্তরাষ্ট্র প্রায় ৭৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সহায়তা দেবে।
তিনি বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশে আশ্রয় দেওয়ার জন্য শেখ হাসিনার ভূয়সী প্রশংসা করেন জেয়া।
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ বর্তমানে দেশের দুটি পৃথক অঞ্চলে ১০ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়েছে।
এসব ক্যাম্পে মানব পাচার ও অসামাজিক কার্যকলাপ চলছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, যা দেশের নিরাপত্তার জন্য অত্যন্ত উদ্বেগজনক।
প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান, পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন, যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান, দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক ব্যুরোর মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু এবং যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: আজরা জেয়ার সফর: রোহিঙ্গা, শ্রম, মানবাধিকার ও নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হবে