প্রধানমন্ত্রীর-কার্যালয়
প্রযুক্তিনির্ভর বিশ্বে নিজেদের স্বতন্ত্রতা বজায় রেখে বাঙালি সংস্কৃতির বিকাশ ঘটান: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মঙ্গলবার প্রযুক্তির যুগে বাঙালি সংস্কৃতির স্বাতন্ত্র্য বজায় রেখে বিকাশের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘প্রযুক্তির যুগে আমাদের শিশুদের মানসিকতা পরিবর্তন হচ্ছে। সুতরাং, তাদের চিন্তাভাবনা ও চেতনার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে আমাদের সংস্কৃতিকে বিকাশ করতে হবে; যাতে তারা আমাদের বাঙালি সংস্কৃতিকে ভুলে না যায়।’
প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে রাজধানীর শাহবাগে বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে এসব কথা বলেন।
এসময় তিনি বলেন, ‘আমাদের অনন্যতা আছে। আমাদের এর স্বতন্ত্রতা রক্ষা করতে হবে এবং সেই অনুযায়ী পদক্ষেপ নিতে হবে।’
অনুষ্ঠানে তিনি পাবলিক লাইব্রেরি অধিদপ্তরের বহুতল ভবনসহ সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ছয়টি উন্নয়ন প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর উন্মোচন করেন।
এছাড়াও, তিনি বাংলাদেশের কপিরাইট অফিসের জন্য শহরে নবনির্মিত ১২ তলা কপিরাইট ভবনের উদ্বোধন করেন।
আরও পড়ুন: সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে ৬টি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর উন্মোচন করলেন প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা বলেন, তার সরকার বাঙালি জাতির ঐতিহ্য, স্থানীয় সংস্কৃতি ও ইতিহাস, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং শিল্প-সাহিত্য সংরক্ষণ, গবেষণা ও উন্নয়নের মাধ্যমে সংস্কৃতিমনা, সৃজনশীল ও মেধাবী জাতি গঠনে কাজ করে যাবে।
তিনি আরও বলেন যে ‘এখন প্রযুক্তির বিশ্ব। তাই আমরা আমাদের প্রজন্মকে প্রযুক্তিগত জ্ঞান ও দক্ষতা প্রদানের পাশাপাশি আধুনিক জ্ঞানসমৃদ্ধ একটি আধুনিক জাতি গঠনের লক্ষ্যে আমাদের সাংস্কৃতিক অনুশীলনে প্রযুক্তি ব্যবহার করতে চাই।’ এ বিষয়ে কিছু প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সাহিত্য, সঙ্গীত, চলচ্চিত্র, শিল্পকলা, সৃজনশীলতা ও প্রকাশনাসহ বাংলা ভাষার প্রতিটি শাখাকে সমৃদ্ধ ও সম্প্রসারণের মাধ্যমে সরকার বাংলা ভাষার প্রসারের উদ্যোগ নিয়েছে।
তিনি বলেন, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় প্রতিটি জেলায় সাংস্কৃতিক মেলার আয়োজন করে, যা তৃণমূলের সুপ্ত প্রতিভা বিকাশের পথ প্রশস্ত করে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ এখন আর পিছিয়ে নেই। সারা বাংলাদেশে ওয়াইফাই সংযোগ রয়েছে। তার সরকার প্রতিটি বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়েছে। এখন ইউনিয়ন পর্যায়েও মানুষের অবস্থা আমূল পরিবর্তন হয়েছে।
তৃণমূলের মানুষের কাছে সাংস্কৃতিক চর্চা পৌঁছে দেওয়ার ওপর জোর দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের তৃণমূলে অনেক প্রতিভা লুকিয়ে আছে। আমাদের তাদের প্রচার করতে হবে এবং জাতীয় মঞ্চে তাদের মূল্যায়ন করতে হবে। তাই আমাদের সাংস্কৃতিক চর্চাকে শুধু জেলা পর্যায়ে না রেখে তৃণমূল পর্যায়েও নিয়ে যেতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের মানুষ উদার মনের এবং অসাম্প্রদায়িক চেতনার। সুতরাং, এই মানসিকতা ও চেতনাকে আরও বিকাশের জন্য ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।
আরও পড়ুন: আ. লীগ সরকার অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রমাণ দিয়েছে: ৫ সিটি মেয়রের শপথ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, তার সরকার ইতোমধ্যে বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক চর্চাকে সমৃদ্ধ ও ঋদ্ধ করতে অনেক প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়েছে এবং এ বিষয়ে আরও পদক্ষেপ গ্রহণ অব্যাহত রাখবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নতি করছি। সুতরাং, আমরা একইভাবে সাংস্কৃতিক চর্চা এবং বুদ্ধিবৃত্তিকতা রক্ষার ক্ষেত্রে এগিয়ে যাব।’
অন্য পাঁচটি প্রকল্প হলো-পুরান ঢাকার রোজ গার্ডেন, ঢাকায় কবি নজরুল ইনস্টিটিউট ভবন, কিশোরগঞ্জের মিঠামইনে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ শিল্পকলা একাডেমি ও আঞ্চলিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র, ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা সাংস্কৃতিক কেন্দ্র এবং জাতীয় জাদুঘরে শিশু গ্রন্থাগার।
সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক খলিল আহমেদ।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করাই আমার লক্ষ্য: টুঙ্গিপাড়ায় প্রধানমন্ত্রী
সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে ৬টি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর উন্মোচন করলেন প্রধানমন্ত্রী
গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তরের বহুতল ভবনসহ সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ছয়টি উন্নয়ন প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর মঙ্গলবার উন্মোচন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের কপিরাইট অফিসের জন্য ঢাকায় নবনির্মিত কপিরাইট ভবনও উদ্বোধন করেন।
প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে ভিত্তিফলক উন্মোচন ও কপিরাইট ভবন উদ্বোধন করেন।
আরও পড়ুন: আ. লীগ সরকার অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রমাণ দিয়েছে: ৫ সিটি মেয়রের শপথ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী
অন্য পাঁচটি প্রকল্প হলো- পুরান ঢাকার রোজ গার্ডেন, ঢাকার কবি নজরুল ইনস্টিটিউট ভবন, রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ শিল্পকলা একাডেমি ও কিশোরগঞ্জের মিঠামইনের আঞ্চলিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র, ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা সাংস্কৃতিক কেন্দ্র এবং জাতীয় জাদুঘরে শিশু গ্রন্থাগার।
সংস্কৃতিবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংস্কৃতিবিষয়ক সচিব খলিল আহমদ।
আরও পড়ুন: নবনির্বাচিত পাঁচ সিটি মেয়রকে শপথ পাঠ করালেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
আ. লীগ সরকার অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রমাণ দিয়েছে: ৫ সিটি মেয়রের শপথ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, পাঁচটি সিটি করপোরেশনের সাম্প্রতিক নির্বাচন প্রমাণ করেছে যে তার আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে অনুষ্ঠিত হতে পারে।
তিনি বলেন, আমরা প্রমাণ করেছি যে আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে হয়েছে।
সোমবার প্রধানমন্ত্রী তার কার্যালয়ের শাপলা হলে গাজীপুর, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল ও সিলেট সিটি করপোরেশনের নবনির্বাচিত মেয়র ও কাউন্সিলরদের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, সিটি করপোরেশনের একের পর এক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে, যেখানে জনগণ তাদের পছন্দ অনুযায়ী নির্বিঘ্নে ভোট দিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতার কারণে এটা ঘটেছে।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আপনারা (নবনির্বাচিত মেয়র ও কাউন্সিলর) ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত হয়ে এখানে এসেছেন। জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দিয়েছে।’
আরও পড়ুন: নবনির্বাচিত পাঁচ সিটি মেয়রকে শপথ পাঠ করালেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
তিনি বলেন, ভোটারদের ওপর জবরদস্তি ও নিপীড়নের কারণে অতীতে দেশে ভোট ছিল বেদনাদায়ক।
নবনির্বাচিত মেয়রেরা হলেন- গাজীপুরের জায়েদা খাতুন, রাজশাহীর এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন, খুলনার তালুকদার আব্দুল খালেক, বরিশালের আবুল খায়ের আবদুল্লাহ ও সিলেটের আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী।
প্রথমে গাজীপুর, খুলনা ও বরিশালের নতুন মেয়রদের শপথবাক্য পাঠ করান প্রধানমন্ত্রী। এরপর রাজশাহী ও সিলেটের নতুন মেয়রদের শপথ গ্রহণ করা হয়।
এছাড়া একই ভেন্যুতে পৃথক দুটি অনুষ্ঠানে শপথ নেন প্রায় ২৩০ জন নবনির্বাচিত সাধারণ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর এবং পাঁচটি সিটি করপোরেশনের সংরক্ষিত আসনের মহিলা কাউন্সিলররা। স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম কাউন্সিলরদের শপথবাক্য পাঠ করান।
এছাড়া গাজীপুরে ৭৬ জন, খুলনায় ৪১ জন, রাজশাহীতে ৪০ জন, বরিশালে ৪০ জন এবং সিলেটে ৩৬ জন কাউন্সিলর রয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের রাজনৈতিক মত নির্বিশেষে জনগণের আস্থা ও আস্থার প্রতি শ্রদ্ধা দেখিয়ে জনগণের সেবা করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘আপনারা জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে এখানে এসেছেন। জনগণ আপনার ওপর তাদের বিশ্বাস ও আস্থা রেখেছে। সুতরাং, আপনারা যে দলেরই হোন না কেন জনগণের সেবা করা আপনাদের কর্তব্য।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করাই আমার লক্ষ্য: টুঙ্গিপাড়ায় প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, তার সরকার শুধু শহরেই নয়, তৃণমূলেও উন্নয়ন নিশ্চিত করতে অগ্রাধিকার দিয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, তার সরকার সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণা করেছে।
তার সরকারের লক্ষ্য হচ্ছে দেশে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিরাজ করবে এবং বাংলাদেশ উন্নত ও সমৃদ্ধ হবে।
প্রধানমন্ত্রী তাদের নিজ নিজ এলাকায় আন্তরিকভাবে কাজ করে বাংলাদেশের সার্বিক উন্নয়নে অবদান রাখতে বলেন।
তিনি বলেন, আমি চাই বাংলাদেশের সার্বিক উন্নয়নে আপনারা অবদান রাখুন।
তিনি তাদের নিজ নিজ এলাকায় বৃক্ষরোপণ ও খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য কাজ করতে বলেন।
তিনি সিলেটের নিরক্ষরতার হার এবং রাজশাহীতে বেকারত্বের হারের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট জনপ্রতিনিধিদের প্রতি আহ্বান জানান।
দেশের প্রতিটি কোণায় উন্নয়ন নিশ্চিত করতে জনপ্রতিনিধিদের কাজ করতে বলেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি রাজশাহী নগরীর ব্যাপক উন্নয়নে ভূমিকা রাখায় পুনঃনির্বাচিত মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের প্রশংসা করেন।
প্রধানমন্ত্রী জনপ্রতিনিধিদের স্বতঃস্ফূর্তভাবে নির্বাচিত করার কারণে জনগণের সেবা করতে এবং তাদের আকাঙ্খা পূরণের আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: আগামী জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে ভোট দিন: গোপালগঞ্জে প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘জনগণ আপনাদেরকে স্বতঃস্ফূর্ত ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছে। সুতরাং, তাদের আকাঙ্খা পূরণ করুন।’
তিনি আরও বলেন, ‘আপনারা জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে জনগণের সেবা করার সুযোগ পেয়েছেন। আমি চাই আপনারা জনসেবক হিসেবে আপনাদের নিজের এলাকায় কাজ করুন।’
শেখ হাসিনা বলেন, এখন বাংলাদেশকে কেউ অবহেলা করতে পারবে না এবং তার সরকারের ব্যাপক উন্নয়নের জন্য সারাবিশ্বে সবাই বাংলাদেশের প্রতি সম্মান দেখায়।
২০১৩-২০১৫ সালে বিএনপি-জামায়াতের অগ্নিসংযোগের দিকে ইঙ্গিত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগের পাশাপাশি বাংলাদেশকে মানবসৃষ্ট দুর্যোগের মুখোমুখি হতে হবে।
তিনি বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশে আর এমন পরিস্থিতির (মানবসৃষ্ট দুর্যোগ) পুনরাবৃত্তি চাই না। আমরা চাই বাংলাদেশে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত থাকুক এবং বাংলাদেশের মানুষ শান্তিতে বসবাস করুক। আমরা চাই সকল মানুষ উন্নত জীবন যাপন করুক।’
প্রধানমন্ত্রী তাদের নিজেদের এলাকার সার্বিক উন্নয়নের জন্য পরিকল্পনা প্রণয়ন এবং উন্নয়নমূলক কাজ করে জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস অর্জনের আহ্বান জানান।
নবনির্বাচিত পাঁচ সিটি মেয়রকে শপথ পাঠ করালেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
গাজীপুর, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল ও সিলেটের পাঁচ সিটি করপোরেশনের নবনির্বাচিত মেয়রদের সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শপথ গ্রহণ করান।
মেয়রেরা হলেন- গাজীপুরের জায়েদা খাতুন, রাজশাহীর এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন, খুলনার তালুকদার আব্দুল খালেক, বরিশালের আবুল খায়ের আবদুল্লাহ ও সিলেটের আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী।
প্রধানমন্ত্রী তার কার্যালয়ের শাপলা হলে প্রথমে গাজীপুর, খুলনা ও বরিশালের নতুন মেয়রদের শপথবাক্য পাঠ করান।
পৃথকভাবে একই স্থানে রাজশাহী ও সিলেটের নতুন মেয়রদের শপথবাক্য পাঠ করান প্রধানমন্ত্রী।
এছাড়া একই ভেন্যুতে পৃথক দুটি অনুষ্ঠানে শপথ নেন প্রায় ২৩০ জন নবনির্বাচিত সাধারণ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর এবং পাঁচটি সিটি করপোরেশনের সংরক্ষিত আসনের মহিলা কাউন্সিলররা।
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম কাউন্সিলরদের শপথবাক্য পাঠ করান।
গাজীপুরে ৭৬ জন, খুলনায় ৪১ জন, রাজশাহীতে ৪০ জন, বরিশালে ৪০ জন এবং সিলেটে ৩৬ জন কাউন্সিলর রয়েছেন।
আরও পড়ুন: আ. লীগ সরকার অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রমাণ দিয়েছে: ৫ সিটি মেয়রের শপথ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী
স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মুহাম্মদ ইব্রাহিম শপথ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন।
দুটি শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এলজিআরডি ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য।
২৫ মে গাজীপুর সিটি করপোরেশন (জিসিসি) নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী জায়েদা খাতুন ২ লাখ ৩৮ হাজার ৯৩৪ ভোট পেয়ে জয়ী হন, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আজমত উল্লাহ খানকে পরাজিত করেন যিনি ২ লাখ ২২ হাজার ৭৩৭ ভোট পেয়েছিলেন।
১২ জুন বরিশাল সিটি করপোরেশন (বিসিসি) নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী আবুল খায়ের আবদুল্লাহ (খোকন সেরনিয়াবাত) ৮৭ হাজার ৮০৭ ভোট পেয়ে জয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী মুফতি সৈয়দ মোহাম্মদ ফয়জুল করিম পেয়েছেন ৩৩ হাজার ৮২৮ ভোট।
খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি) নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী তালুকদার আব্দুল খালেক ১ লাখ ৫৪ হাজার ৮২৫ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. আব্দুল আউয়াল ১২ জুন অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ৬০ হাজার ৬৪ ভোট পেয়েছিলেন।
২১শে জুন রাজশাহী সিটি করপোরেশন (আরসিসি) নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. মুর্শিদ আলমকে ১৩ হাজার ৪৮৩ ভোটে পরাজিত করেন।
একই দিনে সিলেট সিটি করপোরেশন (এসসিসি) নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির নজরুল ইসলাম বাবুকে ৫০ হাজার ৩২১ ভোটে হারিয়ে ১ লাখ ১৮ হাজার ৬১৪ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করাই আমার লক্ষ্য: টুঙ্গিপাড়ায় প্রধানমন্ত্রী
আগামী জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে ভোট দিন: গোপালগঞ্জে প্রধানমন্ত্রী
'আপনি আর্জেন্টিনার জন্য গৌরব বয়ে এনেছেন': এমিলিয়ানো মার্টিনেজকে প্রধানমন্ত্রী
ফিফা বিশ্বকাপ কাতার ২০২২ বিজয়ী আর্জেন্টিনা দলের গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্টিনেজ সোমবার (৩ জুলাই) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন।
সাক্ষাৎকালে প্রধানমন্ত্রী আর্জেন্টিনার এই ফুটবলারের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের প্রশংসা করেন, যা আর্জেন্টিনাকে ফুটবল বিশ্বকাপ ২০২২ ট্রফি অর্জনে অবদান রেখেছিল।
এসময় শেখ হাসিনা বলেন, ‘আপনি সেই ব্যক্তি যিনি আর্জেন্টিনার জন্য গৌরব নিয়ে এসেছেন। আমি আপনার সাফল্য কামনা করি।’
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম।
শেখ হাসিনা বলেন, বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলা ফুটবল এবং বাংলাদেশিরা এটির প্রতি অনুরাগী।
তিনি উল্লেখ করেছেন যে তার পরিবারও ক্রীড়ামোদি।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করাই আমার লক্ষ্য: টুঙ্গিপাড়ায় প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমার বাবা ও দাদা ফুটবল খেলতেন।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ফুটবল ও অন্যান্য খেলাধুলার উন্নয়নে তার সরকার সারা বাংলাদেশে উপজেলা পর্যায়ের মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণ করছে।
ফিফা বিশ্বকাপ ২০২২-এর গোল্ডেন গ্লাভস বিজয়ী এমিলিয়ানো মার্টিনেজ বাংলাদেশের বিশাল ফ্যানবেস সম্পর্কে জানার পর অভিভূত হয়েছিলেন।
তিনি বলেন, ‘আমি এখানে এসে খুব খুশি এবং বাংলাদেশিদের মধ্যে ফুটবলের প্রতি আবেগের কথা জেনে খুশি।’
ভারতীয় সংগঠক ও ক্রীড়া প্রবর্তক সাতদ্রু দত্ত এবং মার্টিনেজের ব্যক্তিগত ব্যবস্থাপক সান্তিয়াগো লিওটা সফরকারী প্রতিনিধি দলের সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন।
এলজিআরডি ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান, এলজিআরডি ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এম শাহরিয়ার আলম, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব এম তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া, শেখ হেলাল উদ্দিন এমপি ও শেখ তন্ময় এমপি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আর্জেন্টিনার তারকা গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্টিনেজের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: আগামী জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে ভোট দিন: গোপালগঞ্জে প্রধানমন্ত্রী
আসুন সৌহার্দ্য ও ভ্রাতৃত্ববোধে উদ্বুদ্ধ হয়ে ঈদুল আজহার আনন্দ ভাগাভাগি করি: প্রধানমন্ত্রী
বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করাই আমার লক্ষ্য: টুঙ্গিপাড়ায় প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশের মানুষের অবস্থার উন্নয়নে কাজ করাই তার লক্ষ্য।
শনিবার নিজ জেলা গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় এক অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তব্যে তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করাই আমার লক্ষ্য।
প্রধানমন্ত্রী কোরবানির ঈদ উপলক্ষে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে স্থানীয় নেতৃবৃন্দ, আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের সদস্য, জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয় জনগণের সঙ্গে শুভেচ্ছা ও মতবিনিময় করছিলেন। তিনি এখন জেলায় দুই দিনের সফরে রয়েছেন।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা বলেন, তার সরকার ‘আমার বাড়ি, আমার খামাড়’, কমিউনিটি ক্লিনিক, ডিজিটাল বাংলাদেশ, ‘আমার গ্রাম, আমার শহর’সহ বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়নের মাধ্যমে দেশের ব্যাপক উন্নয়ন করেছে। পাশাপাশি প্রতিটি ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়েছে।
তিনি বলেন, এখন সবাই বাংলাদেশকে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে দেখছে।
আরও পড়ুন: নিজের নয়, দেশের ভাগ্য বদলাতে কাজ করে যাচ্ছি: প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা টুঙ্গিপাড়া-কোটালীপাড়া আসনের সংসদ সদস্য। সমগ্র বাংলাদেশের জন্য আরও বেশি সময় দেওয়ার এবং কাজ করার সুযোগ তৈরি করার জন্য নির্বাচনী এলাকার বিষয়ে তার নিজের দায়িত্ব কাঁধে নেওয়ার জন্য তার নির্বাচনী এলাকাবাসীকে কৃতিত্ব দেন।
এরপর আওয়ামী লীগ সভানেত্রী দলের স্থানীয় নেতা ও জনপ্রতিনিধিদের কাছ থেকে বিশেষ করে তার নির্বাচনী এলাকার উন্নয়নের কথা শোনেন।
শেখ হাসিনা বৃদ্ধ হওয়ার আবেদনে রাজনীতি থেকে অবসর নেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করলে স্থানীয় জনগণ তাকে এখন অবসরে না যাওয়ার অনুরোধ করেন কারণ তারা দেশের কল্যাণের স্বার্থে তাকে পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চান।
তারা শেখ হাসিনাই হবেন পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী এবং আগামী সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের হয়ে কাজ করার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য শেখ হেলাল উদ্দিন, শেখ সালাহউদ্দিন জুয়েল প্রমুখ।
টুঙ্গিপাড়া আ.লীগের সভাপতি শেখ আবুল বাশার খায়ের মঞ্চে উপস্থিতিতে সভা পরিচালনা করেন সাধারণ সম্পাদক মো. বাবুল শেখ।
এর আগে শনিবার কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মী ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি।
তিনি কোটালীপাড়া আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের জন্য নবনির্মিত ভবন উদ্বোধন করেন এবং সেখানে কার্যালয় প্রাঙ্গণে ফল, কাঠ ও ভেষজ গাছের তিনটি চারা রোপণ করেন।
রবিবার ঢাকায় ফেরার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার।
আরও পড়ুন: আগামী জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে ভোট দিন: গোপালগঞ্জে প্রধানমন্ত্রী
আগামী জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে ভোট দিন: গোপালগঞ্জে প্রধানমন্ত্রী
আসন্ন সাধারণ নির্বাচনে তার দলের নির্বাচনী প্রতীকে ‘নৌকা’ ভোট চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ দেশের স্বাধীনতা এনেছে, অর্থনৈতিক মুক্তি, আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন এবং দেশের মানুষের জন্য খাদ্য, বস্ত্র ও বাসস্থানের ব্যবস্থা করেছে। তাই আগামী নির্বাচনে নৌকায় ভোট দিন।’
ঈদুল আজহা উপলক্ষে কোটালীপাড়া উপজেলা কার্যালয়ে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের স্থানীয় নেতা ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে প্রধানমন্ত্রী এ আহ্বান জানান।
বাংলাদেশে পরবর্তী সাধারণ নির্বাচন চলতি বছরের শেষ বা আগামী বছরের শুরুতে অনুষ্ঠিত হতে পারে।
আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা বলেন, তার লক্ষ্য এদেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করা। তিনি বলেন, আমাদের লক্ষ্য শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা, জনগণের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন এবং অবকাঠামোগত উন্নয়ন করা।
যারা কখনই চায় না আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসুক তাদের প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে লক্ষ্যে দেশ স্বাধীন করেছিলেন তাকে অবশ্যই পূরণ করতে হবে।
তার সরকার সারা বিশ্বে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছে উল্লেখ করেন, অথচ দেশে যারা কোনো উন্নয়ন দেখতে পায় না তাদের সমালোচনা করেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘চোখ থাকা সত্ত্বেও যারা অন্ধ তাদের সম্পর্কে আমার কিছু বলার নেই। তারা দেখতে পায় না কিন্তু এগুলো (উন্নয়নের সুফল) উপভোগ করে।’
আরও পড়ুন: ঈদের দিন মুক্তিযোদ্ধাদের ফুল, ফল ও মিষ্টি পাঠালেন প্রধানমন্ত্রী
এর আগে তিনি কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের নবনির্মিত কার্যালয় উদ্বোধন করেন।
অফিসে পৌঁছে প্রধানমন্ত্রী আম, বকুল (স্প্যানিশ চেরি) এবং নিম (মারগোসাল) গাছের তিনটি চারা রোপণ করেন।
রৌদ্রোজ্জ্বল আবহাওয়ার মধ্যে সকাল ১১টা ২৭ মিনিটে সড়কপথে কোটালীপাড়ায় পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এর আগে সকালে তিনি তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে দুই দিনের সফরে নিজ জেলা গোপালগঞ্জে যান।
প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা ও ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় তার সঙ্গে ছিলেন।
গোপালগঞ্জ জেলায় রঙিন পোস্টার, ব্যানার এবং প্ল্যাকার্ড বিশেষ করে তিনি যে রাস্তাটি ব্যবহার করে অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছান সেগুলোকে সাজিয়ে উৎসবের আমেজ তৈরি করা হয়।
ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময়কালে অনেক স্থানীয় আ.লীগ নেতা ও জনপ্রতিনিধি প্রধানমন্ত্রীর সামনে তাদের অনুভূতি জানানোর সুযোগ দেওয়ার জন্য তাকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধু, বঙ্গমাতা ও প্রধানমন্ত্রীর নামে সেই গরু কোরবানি দিয়েছেন কিশোরগঞ্জের কৃষক দম্পতিদেশের আরও উন্নয়নের স্বার্থে আগামী নির্বাচনে পাঁচবারের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার জন্য তার বিজয় কামনা করেন তারা।
জবাবে, প্রধানমন্ত্রী তাদের তার জন্য প্রার্থনা করতে বলেছিলেন যাতে তিনি জনগণের সেবা করতে পারেন।
কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আয়নাল হোসেন শেখের সঞ্চালনায় মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য কাজী আকরাম উদ্দিন আহমেদ।
অনুষ্ঠানে যোগদান শেষে বিকালে প্রধানমন্ত্রী টুঙ্গিপাড়ার উদ্দেশে কোটালীপাড়া ত্যাগ করেন।
টুঙ্গিপাড়ায় তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান।
তিনি ফাতেহা পাঠ করেন এবং বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে মোনাজাতে যোগ দেন।
রবিবার সকালে আওয়ামী লীগ সভাপতি টুঙ্গিপাড়া উপজেলার স্থানীয় নেতাকর্মী, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও জনসাধারণের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। এরপর ওই দিনই তার ঢাকায় ফেরার কথা রয়েছে।
আরও পড়ুন: গোপালগঞ্জে দুই দিনের সফরে কোটালীপাড়ায় পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
গোপালগঞ্জে দুই দিনের সফরে কোটালীপাড়ায় পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শনিবার সকালে নিজ জেলা গোপালগঞ্জে দুই দিনের সফরে কোটালীপাড়ায় পৌঁছেছেন।
সকাল ৮টার দিকে গণভবন থেকে যাত্রা শুরু করে বেলা ১১টা ২৭ মিনিটে তার গাড়িবহর কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে পৌঁছায়।
প্রধানমন্ত্রী ঈদুল আজহা উপলক্ষে কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সাধারণ মানুষের সঙ্গে কুশল বিনিময় করবেন।
আরও পড়ুন: ঈদুল আজহা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বাংলাদেশিদের নরেন্দ্র মোদির শুভেচ্ছা
পরে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা শনিবার বিকালে টুঙ্গিপাড়ার উদ্দেশে কোটালীপাড়া ত্যাগ করবেন।
তিনি টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন, ফাতেহা পাঠ এবং মোনাজাতে যোগ দেবেন।
সফরে প্রধানমন্ত্রীর আইসিটিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় তার সফরসঙ্গীদের মধ্যে রয়েছেন।
আরও পড়ুন: ঈদের দিন মুক্তিযোদ্ধাদের ফুল, ফল ও মিষ্টি পাঠালেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঈদুল আজহা উপলক্ষে রবিবার সকালে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের স্থানীয় নেতাকর্মী, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও জনসাধারণের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন।
রবিবার (২ জুলাই) বিকালে প্রধানমন্ত্রীর ঢাকার উদ্দেশে টুঙ্গিপাড়া ত্যাগ করার কথা রয়েছে।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধু, বঙ্গমাতা ও প্রধানমন্ত্রীর নামে সেই গরু কোরবানি দিয়েছেন কিশোরগঞ্জের কৃষক দম্পতি
বঙ্গবন্ধু, বঙ্গমাতা ও প্রধানমন্ত্রীর নামে সেই গরু কোরবানি দিয়েছেন কিশোরগঞ্জের কৃষক দম্পতি
পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উপহার হিসেবে দেওয়া গরুটি কোরবানি দিয়েছেন কিশোরগঞ্জের এক কৃষক দম্পতি।
ঈদের দিন (বৃহস্পতিবার) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং বুলবুলের বাবা-মা, নিজের ও স্ত্রী ইসরাত জাহানের নামে কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার চরকাউনা গ্রামের কৃষক বুলবুল আহমেদ ও তার স্ত্রী ইসরাত জাহান গরুটি কোরবানি করেন।
প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিব হাসান জাহিদ তুষার বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: কোরবানির ঈদে কিশোরগঞ্জের দম্পতির উপহার হিসেবে গরু গ্রহণ করলেন প্রধানমন্ত্রী
২০২০ সালে প্রধানমন্ত্রীকে উপহার হিসেবে পার্শ্ববর্তী নেত্রকোণা জেলা থেকে আড়াই লাখ টাকায় গরুটি কিনে ঈদে কোরবানির জন্য লালন-পালন শুরু করেন এই দম্পতি।
কিশোরগঞ্জ জেলা আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বুলবুল বলেন, প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আবেগ ও ভালোবাসা থেকেই তিনি গরুটি কিনেছিলেন।
শেখ হাসিনা তার বিশেষ সহকারী ও কৃষিবিদ মশিউর রহমান হুমায়ুনের মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পেরে তার প্রতি দম্পতির ভালোবাসায় শ্রদ্ধা জানিয়ে উপহারটি গ্রহণ করেন।
আরও পড়ুন: মালয়েশিয়ার রাজা ও প্রধানমন্ত্রীর জন্য শেখ হাসিনার আম উপহার
তুষার বলেন যে ক্রস ব্রাহমা জাতের গরুটি থেকে ৫৬৫ কেজি মাংস হয়েছে, যা প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে মশিউর রহমানের উপস্থিতিতে কিশোরগঞ্জ জেলার পাকুন্দিয়া উপজেলার জাঙ্গালিয়া ও সুখিয়া ইউনিয়নের ১৬৬ জন ভূমিহীন ও গৃহহীন মানুষের মাঝে বিতরণ করা হয়।
বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতাসহ ১৫ আগস্টের শহীদদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু এবং দেশের অব্যাহত শান্তি, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি কামনা করেও মোনাজাত করা হয়।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে সাড়ে ৪ লাখ পরিবার পেল প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার
ঈদের দিন মুক্তিযোদ্ধাদের ফুল, ফল ও মিষ্টি পাঠালেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৃহস্পতিবার (২৯ জুন) পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে দেশের মুক্তিযোদ্ধাদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
ঢাকার মোহাম্মদপুর এলাকার গজনভী রোডের মুক্তিযোদ্ধা টাওয়ার-১-এ মুক্তিযুদ্ধে আহত মুক্তিযোদ্ধা এবং শহীদ পরিবারের সদস্যদের শ্রদ্ধা ও শুভেচ্ছা স্বরূপ ফুল, ফল ও মিষ্টি পাঠান তিনি।
প্রধানমন্ত্রীর সহকারী একান্ত সচিব-২ গাজী হাফিজুর রহমান লিকু এবং সহকারী প্রেস সচিব এবিএম সরওয়ার-ই-আলম সরকার তাদের হাতে পণ্য হস্তান্তর করেন।
স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, ঈদ ও পহেলা বৈশাখের মতো প্রতিটি জাতীয় দিবস ও উৎসবে মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদস্যরা প্রধানমন্ত্রীকে স্মরণ করার জন্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
আরও পড়ুন: আসুন সৌহার্দ্য ও ভ্রাতৃত্ববোধে উদ্বুদ্ধ হয়ে ঈদুল আজহার আনন্দ ভাগাভাগি করি: প্রধানমন্ত্রী
তারা মোহাম্মদপুরে ১৩ তলা বিশিষ্ট আবাসিক-বাণিজ্যিক ভবন মুক্তিযোদ্ধা টাওয়ার-১ নির্মাণ সহ তাদের পুনর্বাসন ও বাসস্থানের জন্য প্রধান পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।
তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং আশা প্রকাশ করেন যে আওয়ামী লীগ সরকার সকল বাংলাদেশির জন্য একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ ভবিষ্যত নিশ্চিত করবে।
ঈদের দিন প্রধানমন্ত্রীর সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করেন দেশের এই বীর সন্তানেরা।
আরও পড়ুন: সরকারের পদক্ষেপে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়তে পারে: সংসদে প্রধানমন্ত্রী
বাংলাদেশের অর্থনীতি এখন মর্যাদাপূর্ণ অবস্থানে রয়েছে: প্রধানমন্ত্রী