প্রধানমন্ত্রীর-কার্যালয়
বাংলাদেশের প্রথম সাবমেরিন ঘাঁটি স্থাপন গৌরবময় অধ্যায়ের সূচনা: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, কক্সবাজারে প্রথম সাবমেরিন ঘাঁটি স্থাপনের মাধ্যমে দেশের সামরিক ইতিহাসে এক গৌরবময় অধ্যায়ের সূচনা হয়েছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে একটি পূর্ণাঙ্গ ও আধুনিক সাবমেরিন ঘাঁটি চালু হওয়ায় বাংলাদেশের সামরিক ইতিহাসে একটি গৌরবময় অধ্যায়ের সূচনা হয়।
সোমবার প্রধানমন্ত্রী এখানে তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে কক্সবাজারের পেকুয়ায় বাংলাদেশ নৌবাহিনীর প্রথম সাবমেরিন ঘাঁটি ‘বিএনএস শেখ হাসিনা’- কমিশনিং অনুষ্ঠানে দেয়া বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, তার সরকার ২০১৭ সালের ১২ মার্চ নৌ বহরে দুটি সাবমেরিন (বিএনএস নবযাত্রা ও বিএনএস জয়যাত্রা) যুক্ত করে বাংলাদেশ নৌবাহিনীকে একটি পূর্ণাঙ্গ ত্রিমাত্রিক বাহিনী হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছে।
শেখ হাসিনা বাংলাদেশ নৌবাহিনীর সদস্যদের তাদের পেশাগত দায়িত্বের পাশাপাশি দেশ গড়ার জন্য কাজ করতে এবং সুনীল অর্থনীতির সম্ভাবনাকে উন্মোচনে সহায়ক ভূমিকা পালন করতে বলেন।
আরও পড়ুন: জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে বাংলাদেশ-ভারত জ্বালানি পাইপলাইন: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি আশা করি দেশপ্রেমের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর প্রতিটি সদস্য তাদের পেশাগত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি জাতির পিতার স্বপ্নের ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত, উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ হিসেবে দেশ গড়ার প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবেন। কারণ, আমরা আমাদের বিশাল সামুদ্রিক সম্পদ অন্বেষণ করার জন্য একটি সুনীল অর্থনীতি কর্মপন্থা নিয়েছি।’
তিনি বলেন, সরকার দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে সামুদ্রিক সম্পদকে কাজে লাগানোর পদক্ষেপ নিয়েছে। এছাড়া বাংলাদেশের পর্যটন শিল্প বিকাশের অনেক সুযোগ রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে হামলা হলে তার সরকার দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সশস্ত্র বাহিনীকে সক্ষম হিসেবে গড়ে তুলছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা কারও সঙ্গে যুদ্ধ করতে চাই না। কিন্তু, আমাদের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় যথেষ্ট দক্ষতা অর্জন করতে হবে। যদি বাংলাদেশ এমন পরিস্থিতিতে পড়ে, এটা মাথায় রেখে আমরা আমাদের বাহিনী প্রস্তুত করছি’।
তিনি বলেন, গত ১৪ বছরে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর বহরে ৪টি ফ্রিগেট, ৬টি করভেট, ৪টি বড় প্যাট্রোল ক্রাফট, ৫টি প্যাট্রোল ক্রাফট এবং ২টি প্রশিক্ষণ জাহাজসহ মোট ৩১টি যুদ্ধজাহাজ যুক্ত হয়েছে।
শেখ হাসিনা বাংলাদেশ নৌবাহিনীকে ধন্যবাদ জানান, কারণ এই বাহিনী শুধু বাংলাদেশের জন্য জাহাজ নির্মাণই করছে না, বিভিন্ন জলযান নির্মাণ করে বিভিন্ন দেশে রপ্তানিও করছে।
পেকুয়া ভেন্যু থেকে স্বাগত বক্তব্য দেন নৌবাহিনী প্রধান এডমিরাল মোহাম্মদ শাহীন ইকবাল।
প্রধানমন্ত্রীর অনুমতিক্রমে নৌবাহিনী প্রধান সাবমেরিন ঘাঁটির কমান্ডিং অফিসার কমডোর এম আতিকুর রহমানের কাছে কমিশনিং ফরম্যান (অর্ডার) হস্তান্তর করেন।
অনুষ্ঠানে বিএনএস শেখ হাসিনার নামফলক উন্মোচন করা হয়।
নবনির্মিত সাবমেরিন ঘাঁটিতে একসঙ্গে মোট ছয়টি সাবমেরিন এবং আটটি যুদ্ধজাহাজ থাকতে পারে।
আরও পড়ুন: ময়মনসিংহে ৭৩টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন, আরও ৩০টির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন প্রধানমন্ত্রীর
ময়মনসিংহে প্রধানমন্ত্রী ২৩টি প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন শনিবার
মুক্তিযোদ্ধা আবু তাহেরের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
লক্ষ্মীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা মো. আবু তাহের -এর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রবিবার এক শোক বার্তায় তিনি বলেন, আবু তাহেরের মৃত্যুতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ একজন ত্যাগী নেতাকে হারাল।
প্রধানমন্ত্রী তার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
আরও পড়ুন: সংসদ সদস্য মোসলেম উদ্দিনের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
তুরস্ক ও সিরিয়ায় ভূমিকম্পে অসংখ্য মানুষ হতাহতের ঘটনায় প্রধানমন্ত্রীর শোক
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে যুক্তরাজ্যের ক্রস-পার্টি প্রতিনিধিদলের সাক্ষাৎ, রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে আলোচনা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে শনিবার সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন যুক্তরাজ্যের ক্রস-পার্টির একটি প্রতিনিধিদল।
প্রতিনিধিদলে ছিলেন পল ব্রিস্টো এমপি, জেন হান্ট এমপি, পলেট হ্যামিল্টন এমপি, এন্টনি হিগিনবোথাম এমপি ও টম হান্ট এমপি। বৈঠকে রোহিঙ্গা সমস্যা, বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক অগ্রগতি, উন্নয়ন ও নারীর ক্ষমতায়ন বিষয়ে আলোচনা হয়।
সাক্ষাৎ শেষে প্রধানমন্ত্রীর ডেপুটি প্রেস সচিব কে এম শাখাওয়াত মুন সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
প্রধানমন্ত্রী প্রতিনিধিদলকে স্বাগত জানান এবং বাংলাদেশের সার্বিক উন্নয়নে তার সরকারের গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপ সম্পর্কে অবহিত করেন।
প্রতিনিধিদল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য বিশেষ করে ওষুধ ও নারী উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য সাফল্য ও অর্জনের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
আরও পড়ুন: জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে বাংলাদেশ-ভারত জ্বালানি পাইপলাইন: প্রধানমন্ত্রী
তারা মানসিক স্বাস্থ্য মোকাবিলায় শেখ হাসিনার উপদেষ্টা সায়মা ওয়াজেদের ভূমিকার প্রশংসা করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, মানুষ মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কে খুব বেশি সচেতন ছিল না এবং তার মেয়ে সায়মা এটিকে দেশে পরিচিত করে তুলেছে।
প্রধানমন্ত্রী প্রতিনিধি দলকে বলেন, বাংলাদেশ বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন ওষুধ রপ্তানি করছে।
রোহিঙ্গা ইস্যু প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বাংলাদেশ চায় আলোচনার মাধ্যমে রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান হোক।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রণীত বৈদেশিক নীতির (সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বিদ্বেষ নয়) কথা উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘যে কোনো বড় সমস্যা আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা যেতে পারে।’
নারীর ক্ষমতায়ন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তার সরকার ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় আসার পরপরই ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করতে ব্যাপক পদক্ষেপ গ্রহণ করে।
এই পদক্ষেপের ধারাবাহিকতার অংশ হিসেবে নারীরা এখন সংসদের নেতা, উপনেতা ও স্পিকার, সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি, সরকারের সচিব এবং উচ্চপদস্থ বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে কেউ যেন গৃহহীন ও ভূমিহীন না থাকে সেজন্য তারা আবাসন প্রকল্প গ্রহণ করেছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের শিশুদের স্মার্ট নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে হবে: প্রধানমন্ত্রী
জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে বাংলাদেশ-ভারত জ্বালানি পাইপলাইন: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্বের অনেক দেশ যখন জ্বালানি সংকটের মধ্যে রয়েছে তখন বাংলাদেশে জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী পাইপলাইন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
তিনি বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সারাবিশ্বে যখন অনেক দেশ জ্বালানি সংকটের দ্বারপ্রান্তে, তখন এই পাইপলাইনটি আমাদের জনগণের জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
শনিবার দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে জ্বালানি খাতে সহযোগিতার অংশ হিসেবে ১৩১ দশমিক ৫৭ কিলোমিটার আন্তঃসীমান্ত 'ইন্দো-বাংলা ফ্রেন্ডশিপ পাইপলাইন' উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিতে দিনাজপুরে ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী পাইপলাইন: নসরুল হামিদ
এর মাধ্যমে ভারত থেকে পেট্রোলিয়াম বিশেষ করে ডিজেল আমদানি করবে বাংলাদেশ।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নবনির্মিত পাইপলাইনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।
হাসিনা তার সরকারি বাসভবন গণভবন এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নয়াদিল্লিতে তার কার্যালয় থেকে সংযুক্ত ছিলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ও ভারত উভয় দেশই সাম্প্রতিক অতীতে অনেক সম্ভাবনাকে বাস্তবায়িত করেছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী পাইপলাইন ডিজেল পরিবহনের ব্যাপক উন্নতি ঘটাবে: নয়া দিল্লি
তিনি বলেন, ‘আমরা আমাদের দ্বিপক্ষীয় সমস্যাগুলো একে একে সমাধান করেছি।
উভয় প্রতিবেশী দেশ তাদের উন্নয়নে একসঙ্গে কাজ করছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা ভারতের কাছ থেকে আমাদের উন্নয়নে সহযোগিতা পাচ্ছি।
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী পাইপলাইন উদ্বোধনের ফলে বাংলাদেশ বিভিন্নভাবে উপকৃত হবে।
তিনি আরও বলেন, ‘এই পাইপলাইনে ভারত থেকে ডিজেল আমদানির ফলে ব্যয়ের উল্লেখযোগ্য হার হ্রাস পাবে।’
দেশের উত্তরাঞ্চলের ১৬টি জেলায় ডিজেলের সরবরাহ স্থিতিশীল থাকবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
আরও পড়ুন: ‘ইন্দো-বাংলা ফ্রেন্ডশিপ পাইপলাইন’ উদ্বোধন করলেন শেখ হাসিনা ও মোদি
বাংলাদেশের শিশুদের স্মার্ট নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে হবে: প্রধানমন্ত্রী
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ অনুসরণ করে স্মার্ট নাগরিক হিসেবে গড়ে উঠতে শিশুদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব আর আমাদের মধ্যে নেই, কিন্তু আমাদের অনুসরণ করার জন্য তিনি তার আদর্শ রেখে গেছেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের শিশুদের অবশ্যই মানবিক গুণাবলী নিয়ে বেড়ে উঠতে হবে এবং খেলাধুলা ও শরীরচর্চার মাধ্যমে নিজেদেরকে বুদ্ধিমানভাবে গড়ে তুলতে হবে।
তিনি বলেন, ‘প্রত্যেক শিশুকে খেলাধুলা ও শরীরচর্চা করতে হবে, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে, শিক্ষক ও অভিভাবকদের আনুগত্য করতে হবে, এই নিয়মগুলো মেনে চলতে হবে এবং মানবিক গুণাবলী সম্পন্ন হতে হবে।’
শুক্রবার গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস-২০২৩ উপলক্ষে এক আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে দেয়া বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য হচ্ছে ‘স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্নে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন, শিশুদের চোখ সমৃদ্ধির স্বপ্নে রঙিন’।
আরও পড়ুন: জাতির পিতার জন্মবার্ষিকী: টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর প্রতি রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
প্রধানমন্ত্রী শিশুদের বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন বা ভিন্নভাবে সক্ষম ব্যক্তিদের প্রতি সহানুভূতিশীল হতে বলেছেন।
শিশুদের জাতির ভবিষ্যৎ হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, তাদের দেশের সক্ষম নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলাই তার সরকারের লক্ষ্য।
কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের একটি কবিতার উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি বলেন, তার সরকার এমন একটি বাংলাদেশ গড়ে তুলবে যেখানে কোনও শিশু ক্ষুধার্ত থাকবে না এবং দেশে সকলের বসবাসের উপযোগী শিক্ষা ও বাসস্থান থাকবে।
প্রধানমন্ত্রী এই বছরের থিম বাছাই করার জন্য মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়কে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, তার সরকার ২০৪১ সালের মধ্যে দেশকে একটি স্মার্ট বাংলাদেশে রূপান্তর করতে চায়।
তিনি বলেন, ‘আজকের শিশুরাই হবে ভবিষ্যতের স্মার্ট মানুষ, যারা বাংলাদেশকে সঠিকভাবে গড়ে তুলবে।’
শিশু প্রতিনিধি স্নেহা ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা, মহিলা ও শিশু বিষয়ক সম্পাদক মো. হাসানুজ্জামান কল্লোল।
এছাড়া অপর দুই শিশু রুবাবা তোহা জামান ও এএল শরফুদ্দিনের যৌথ পরিচালনায় অনুষ্ঠানে শিশুদের পক্ষে বক্তব্য রাখেন স্বপ্নীল বিশ্বাস।
মঞ্চে ছিলেন ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার মো. খলিলুর রহমান ও গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসক কাজী মাহবুবুল আলম।
‘বঙ্গবন্ধু ও শিশু অধিকার’- শীর্ষক একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্সের (এসএসএফ) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. মজিবুর রহমানের লেখা ‘শিশুদের শেখ মুজিব’- নামে একটি সচিত্র বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেন।
অনুষ্ঠানে মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্য, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
জেলা প্রশাসন বিভিন্ন বিভাগে শিশুদের মধ্যে একটি চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে, বঙ্গবন্ধুর বই 'অসমাপ্ত স্মৃতি', 'কারাগারের রোজনামচা' ও বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণের ওপর কুইজ এবং আবৃত্তি প্রতিযোগিতার আয়োজন করে।
প্রতিযোগিতার ৩২ জন বিজয়ী প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে ক্রেস্ট গ্রহণ করেন।
এছাড়া বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী ও শিশু দিবস উপলক্ষে ১০০ জন অসচ্ছল শিক্ষার্থী আর্থিক অনুদান হিসেবে আড়াই হাজার টাকা পেয়েছেন।
আরও পড়ুন: দ্রব্যমূল্যকে স্বাভাবিক পর্যায়ে আনার উপায় খুঁজুন: ব্যবসায়ী নেতাদের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী
সমাজ পরিবর্তনে জীবনমুখী চলচ্চিত্র নির্মাণ করুন: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
জুনের মধ্যে পাঁচ সিটি করপোরেশনের নির্বাচন
চলতি বছরের জুনে তিন ধাপে পাঁচ সিটি করপোরেশনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
বুধবার ঢাকার আগারগাঁওয়ে ইসি কার্যালয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের সভাপতিত্বে এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
বৈঠকে নির্বাচন কমিশন সচিবসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
নির্বাচন কমিশন সচিব জাহাঙ্গীর আলম জানিয়েছেন, আগামী জুনের মধ্যে গাজীপুর, রাজশাহী, সিলেট, খুলনা ও বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এপ্রিলের মাঝামাঝি এই সিটির নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে।
আরও পড়ুন: নির্বাচনকালীন পুলিশ নির্বাচন কমিশনের নিয়ন্ত্রণে থাকবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
নির্বাচন কমিশন বিটের সাংবাদিকদের নেতৃত্বে সাইদুর-হিমেল
ড. ইউনূসের পক্ষে ৪০টি নাম ব্যবহার করে বিজ্ঞাপন কেন: প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্ন
নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের পক্ষে ৪০ জনের নাম উল্লেখ করে বিদেশি সংবাদপত্রে কেন বিজ্ঞাপন দেয়া হবে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সাম্প্রতিক কাতার সফরের ফলাফল নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ইউএনবি সম্পাদক ফরিদ হোসেনের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি জানি না কি উত্তর দেব। কিন্তু আমার একটা প্রশ্ন আছে। যিনি এত নামীদামি নোবেল প্রাইজপ্রাপ্ত, তার জন্য এই ৪০ জনের নাম খয়রাত করে এনে অ্যাডভারটাইজমেন্ট (বিজ্ঞাপন) দিতে হবে কেন? তাও আবার বিদেশি পত্রিকায়।’
আরও পড়ুন: ড. ইউনূসের জন্য ৪০ জন বিশ্বনেতার আবেদনের সমালোচনা মোমেনের
তিনি আরও বলেন, ‘৪০ জন ড. ইউনূসের পক্ষে কোনো বিবৃতি দেয়নি, এটি ছিল একটি বিজ্ঞাপন। যেখানে আমাদের নির্দিষ্ট এক ব্যক্তির পক্ষে ৪০ জনের নাম ব্যবহার করা হয়েছে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশে আইন আছে এবং সেই আইন অনুযায়ী সবকিছু চলে, ব্যক্তি যেই হোক না কেন। আমাদের বিচার বিভাগ সম্পূর্ণ স্বাধীন। আমরা শ্রমিকদের অধিকার রক্ষা করি। কারা সঠিকভাবে কর প্রদান করে এবং কর সংগ্রহ করে তা তদারকি করার জন্য একটি পৃথক সংস্থা রয়েছে। কেউ যদি আইন ভঙ্গ করে বা শ্রমিকদের অধিকার কেড়ে নেয় তবে আমাদের একটি শ্রম আদালত রয়েছে।
সরকার প্রধান হিসেবে শেখ হাসিনা বলেন যে এসব বিষয়ে তার কিছু করার নেই।
তিনি আরও বলেন, ‘এর বেশি আমি আর কি বলতে পারি? কিন্তু আমি শুধু সবাইকে স্মরণ করিয়ে দিতে চাই যে আমরা পদ্মা সেতু নির্মাণ করেছি।’
আরও পড়ুন: মামলা স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন ড. ইউনূসের
নির্বাচন পরিচালনায় ইসি সম্পূর্ণ স্বাধীন: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পুনর্ব্যক্ত করেছেন যে দেশের আগামী সাধারণ নির্বাচন পরিচালনার জন্য নির্বাচন কমিশন (ইসি) সম্পূর্ণ স্বাধীন।
রবিবার সকালে গণভবনে তার সঙ্গে ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী (ইন্দো-প্যাসিফিক) ফরেন কমনওয়েলথ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অফিসের (এফসিডিও) অ্যান-মারি ট্রেভেলিয়ানের সৌজন্য সাক্ষাতকালে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
বৈঠকে তারা নির্বাচন, রোহিঙ্গা, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন, করোনা মহামারি এবং করোনাপরবর্তী পরিস্থিতিসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম।
আগামী সাধারণ নির্বাচন সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ওয়েস্টমিনস্টারের গণতন্ত্র অনুসরণ করে।
প্রধানমন্ত্রীকে উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে, ‘আমাদের মূল লক্ষ্য জনগণের কল্যাণ। নির্বাচন কমিশন সম্পূর্ণ স্বাধীন। তারাই নির্বাচন পরিচালনা করবে।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অঞ্চলে সৌদি বিনিয়োগকারীদের জমির প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রীর
মতপ্রকাশের স্বাধীনতা প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, এখানে গণমাধ্যম পূর্ণ স্বাধীনতা উপভোগ করে। দেশে একটি মাত্র টেলিভিশন চ্যানেল ছিল, তার সরকার বেসরকারি খাতে টেলিভিশন চ্যানেল চালু করে। এখন ২৪টি বেসরকারি টিভি চ্যানেল রয়েছে এবং আরও টিভি চ্যানেল পাইপলাইনে রয়েছে।
যুক্তরাজ্যের ইন্দো প্যাসিফিক প্রতিমন্ত্রী বলেন, স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) মর্যাদা থেকে উত্তোরণের পথে বাংলাদেশের জন্য উন্নয়নের পরবর্তী ধাপ খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
অ্যান-মেরি ট্রেভেলিয়ান বলেন, তিনি কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেছেন এবং বাস্তুচ্যুত মানুষকে আশ্রয় দেয়ার জন্য বাংলাদেশ ও শেখ হাসিনার প্রশংসা করেছেন।
রোহিঙ্গা শিবিরে সাম্প্রতিক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা সুন্দরভাবে মোকাবিলায় প্রশাসনের প্রশংসাও করেন তিনি।
এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রতিবছর বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীতে বিপুল সংখ্যক নতুন শিশুর জন্ম হয়, যা বাংলাদেশের ওপর বোঝা আরও বাড়িয়ে দেয়।
করোনা মহামারি সমগ্র বিশ্বকে প্রভাবিত করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশ আরও বেশি খাদ্য উৎপাদনের ওপর জোর দিয়েছে এবং সে অনুযায়ী পদক্ষেপ নিয়েছে।
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর অ্যাম্বাসেডর-অ্যাট-লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন এবং বাংলাদেশে যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটারটন ডিকসন উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: সমাজ পরিবর্তনে জীবনমুখী চলচ্চিত্র নির্মাণ করুন: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য সাহায্য বাড়ানোর কথা বিবেচনা করুন: প্রধানমন্ত্রী
চবি প্রশাসন থেকে প্রক্টরসহ ১৭ জনের পদত্যাগ
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) প্রশাসন থেকে প্রক্টরসহ বিভিন্ন দপ্তরের ১৭ জন পদত্যাগ করেছেন।
রবিবার (১২ মার্চ) দুপুর দেড়টার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার কে এম নূর আহমদ।
জানা গেছে, প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভূঁইয়া, সহকারী প্রক্টর ড. শহীদুল ইসলামসহ বিভিন্ন দপ্তরের মোট ১৭ জন পদত্যাগ পত্র জমা দিয়েছেন রেজিস্ট্রার বরাবর।
আরও পড়ুন: ২২ দফা দাবিতে চবির চারুকলার শিক্ষার্থীদের ক্লাস বর্জন ও আন্দোলন
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কে এম নূর আহমদ বলেন, আমি পদত্যাগকারীদের তালিকা তৈরি করছি। পরবর্তীতে জানাতে পারব কারা পদত্যাগ করেছেন।
পদত্যাগকারী সহকারী প্রক্টর ড. শহীদুল ইসলাম পদত্যাগপত্রের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
পদত্যাগের কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি আমার গবেষণা ও শিক্ষার্থীদের সময় দিতে চাই। তাই পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছি।
এর আগে গত ৭ মার্চ পদত্যাগ করেন চবির প্রথম নারী সহকারী প্রক্টর ও রসায়ন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মরিয়ম ইসলাম।
আরও পড়ুন: চবির চারুকলা সংস্কারকাজে এক মাস বন্ধ ঘোষণা
চবি ছাত্রদলের কমিটি বিলুপ্ত
ময়মনসিংহে ৭৩টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন, আরও ৩০টির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন প্রধানমন্ত্রীর
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ময়মনসিংহে ৭৩টি সদ্য সমাপ্ত উন্নয়ন কাজের উদ্বোধন এবং ৩০টি কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন।
২৩টি প্রকল্পের অধীনে ৫৭০ কোটি টাকা ব্যয়ে ৭৩টি উন্নয়ন কাজ বাস্তবায়িত হয়েছে এবং দুই হাজার ৭৬২ কোটি টাকা ব্যয়ে ১৪টি প্রকল্পের অধীনে ৩০টি অন্যান্য উন্নয়ন কাজ বাস্তবায়িত হবে।
শনিবার ময়মনসিংহ শহরের সার্কিট হাউস মাঠে এক বিশাল জনসভায় ভাষণ দেয়ার আগে প্রধানমন্ত্রী উন্নয়ন কাজের নামফলক উন্মোচন করেন।
আরও পড়ুন: আ.লীগ সরকারের অধীনে ১৪ বছরের উন্নয়নে ময়মনসিংহ যেভাবে বদলেছে
উদ্বোধন করা উন্নয়ন কাজের মধ্যে রয়েছে- ময়মনসিংহ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার সংলগ্ন ছবির ভিত্তিতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল উন্মোচন, সদর উপজেলার সিরতা গ্রামে ৫০ শয্যা বিশিষ্ট ডা.মুশফিকুর রহমান শুভ মেমোরিয়াল ইসলামিক মিশন হাসপাতাল, ত্রিশাল উপজেলায় ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজির ১০০০ আসন বিশিষ্ট একটি অডিটোরিয়াম ও কমিউনিটি সেন্টার নির্মাণ, ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙন থেকে গফরগাঁওয়ের চরআলগী ইউনিয়ন রক্ষা বাঁধ নির্মাণ, ময়মনসিংহ সদর উপজেলা পরিষদ নতুন হাসপাতাল নির্মাণ, জামালপুরের মাদারগঞ্জ, নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ ও খালিয়াজুরী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, হালুয়াঘাটে গোরবাকুড়া-কড়ইতলী স্থলবন্দর, জেলা আইনজীবী সমিতির মূল ভবন,শহীদ অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম ভবন ও বেগম ফজিলাতুন নেসা মুজিব মহিলা কলেজের নবনির্মিত চারতলা একাডেমিক ভবন, ৩২টি পৌরসভায় পানি সরবরাহ ও মানববর্জ্য ব্যবস্থাপনাসহ এনভায়রনমেন্টাল স্যানিটেশন প্রকল্প, ২১টি বিদ্যালয় ও কলেজের চারতলা বিশিষ্ট একাডেমিক ভবন নির্মাণ ইত্যাদি।
যেসব উন্নয়ন কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে- ময়মনসিংহের সড়ক ও ড্রেনেজ নেটওয়ার্কের উন্নয়ন, ময়মনসিংহ জোনে বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থা উন্নয়ন প্রকল্প, তিনটি সেতু নির্মাণ, ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়ায় কর্মজীবী নারীদের জন্য হোস্টেল নির্মাণ, দেশরত্ন নির্মাণ প্রকল্প, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ হাসিনা হল, শেখ রেহানা হল ও রোজী জামাল হল, সরকারি আনন্দ মোহন কলেজে ৫০০ শয্যার পাঁচতলা ছাত্র হোস্টেল নির্মাণ, বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের ৭টি আঞ্চলিক কার্যালয় নির্মাণ, চারতলা অফিস নির্মাণ এবং বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালকের জন্য ডরমেটরি ভবন ইত্যাদি।
আরও পড়ুন: ময়মনসিংহে প্রধানমন্ত্রী ২৩টি প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন শনিবার