প্রধানমন্ত্রীর-কার্যালয়
একনেকে ৪২৫২.৬৬ কোটি টাকার ১১ প্রকল্প অনুমোদন
জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) মোট চার হাজার ২৫২ কোটি ৬৬ লাখ টাকা ব্যয়ে মোট ১১টি প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছে।
মোট প্রকল্প ব্যয়ের মধ্যে তিন হাজার ৬৪৫ কোটি ২১ লাখ টাকা আসবে সরকারি তহবিল থেকে এবং প্রকল্প সহায়তা হিসেবে আসবে বাকি ৬০৭ কোটি ৪৫ লাখ টাকা।
মঙ্গলবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সাপ্তাহিক একনেক সভায় এ অনুমোদন দেওয়া হয়।
একনেক সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে বলেন, অনুমোদিত ১১টি প্রকল্পের মধ্যে ছয়টি নতুন এবং পাঁচটি সংশোধিত প্রকল্প।
অনুমোদিত প্রকল্পগুলো হলো- ২৪৬ কোটি টাকায় ঢাকা সিএমএইচ (২য় পর্যায়) ক্যান্সার সেন্টার স্থাপন, ঢাকা সংলগ্ন ১০টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় স্থাপন, ৭৬ কোটি ৯৪ লাখ টাকা অতিরিক্ত ব্যয়ে প্রথম সংশোধিত মাধ্যমিক শিক্ষা খাতে বিনিয়োগ কর্মসূচি, তৃতীয় সংশোধিত কোনো অতিরিক্ত খরচ ছাড়া।
আরও পড়ুন: একনেকে ৭ হাজার ১৮ কোটি টাকার ৬ প্রকল্প অনুমোদন
অন্যান্য প্রকল্পগুলো হলো- ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে স্বাধীনতা টাওয়ার নির্মাণ, ৩য় ধাপ, ১৩১ কোটি ৯১ লাখ টাকা অতিরিক্ত ব্যয়ে ১ম সংশোধিত, সারা বছর ফল উৎপাদনের মাধ্যমে পুষ্টি উন্নয়ন, ২য় পর্যায় ২১১ কোটি ৩২ লাখ টাকা অতিরিক্ত ব্যয়ে সংশোধিত এবং ৩০০ কোটি টাকা ব্যয়ে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্গঠনে জরুরি সহায়তা প্রকল্প।
বাকি প্রকল্পগুলো হলো- এক হাজার ১২৫ কোটি টাকায় জামালপুর জেলার অবকাঠামোগত উন্নয়ন, বাংলাদেশে ১৫৬ কোটি ২৫ লাখ টাকায় ওয়াশ সেক্টর স্ট্রেংথেনিং অ্যান্ড স্যানিটেশন মার্কেট সিস্টেম (সানমার্কস) উন্নয়ন প্রকল্প, বাংলাদেশে জলবায়ু সহনশীল টেকসই পানি সরবরাহ, স্যানিটেশন এবং স্বাস্থ্যবিধি প্রকল্প। ২৭৪ কোটি ৪৮ লাখ টাকা ব্যয়ে মোংলা বন্দর চ্যানেলের ভিতরের বারে ড্রেজিং, ১৯৮ কোটি ৫৪ লাখ টাকা অতিরিক্ত ব্যয়ে প্রথম সংশোধিত এবং এক হাজার ৫৩২ কোটি ২২ লাখ টাকা ব্যয়ে ভুলতা-আড়াইহাজার-বাঞ্ছারামপুর-নবীনগর-শিবপুর-রাধিকা আঞ্চলিক মহাসড়ক প্রশস্তকরণ ও উন্নয়ন।
আরও পড়ুন: দুর্যোগের ঝুঁকি কমাতে ৪ হাজার ৩২৩ কোটি টাকার প্রকল্প একনেকে অনুমোদন
জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষয়ক্ষতি প্রশমনে আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক প্রচেষ্টা জোরদার করুন: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তন ইস্যুতে পদক্ষেপ সফল করতে প্রতিক্রিয়াশীল নীতি, পরিকল্পনা ও শাসনের মাধ্যমে বৈশ্বিক ও স্বতন্ত্র দেশের প্রচেষ্টাকে সুসংহত করতে হবে।
মঙ্গলবার দুর্যোগ সহনশীল অবকাঠামো বিষয়ে দুই দিনব্যাপী পঞ্চম আন্তর্জাতিক সম্মেলনে পূর্ব-রেকর্ড করা ভাষণে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘যেহেতু জলবায়ু পরিবর্তনের উৎপত্তি বৈশ্বিক, তাই এর সমাধান ও ব্যবস্থাপনাও বৈশ্বিক হতে হবে।’
ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স অন ডিজাস্টার রেজিলিয়েন্ট ইনফ্রাস্ট্রাকচার (আইসিডিআরআই) হচ্ছে কোয়ালিশন ফর ডিজাস্টার রেজিলিয়েন্ট ইনফ্রাস্ট্রাকচার (সিডিআরআই) ও এর অংশীদারদের বার্ষিক সম্মেলন। এটি দুর্যোগ ও জলবায়ু সহনশীল অবকাঠামো সম্পর্কিত বৈশ্বিক আলোচনাকে শক্তিশালী করতে সদস্য দেশ, সংস্থা, প্রতিষ্ঠান ও অবকাঠামো উপাদান এবং স্টেকহোল্ডারদের একত্রিত করে।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দেশটির নয়াদিল্লিতে 'ডেলিভারিং রেজিলিয়েন্ট অ্যান্ড ইনক্লুসিভ ইনফ্রাস্ট্রাকচার: পাথওয়েজ ফর রিস্ক ইনফরমেশন সিস্টেমস, প্র্যাকটিসেস অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্টস' শীর্ষক থিম নিয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।
শেখ হাসিনা আশ্বস্ত করে বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক পর্যায়ে যেকোনো উদ্যোগে যোগ দিতে বাংলাদেশ প্রস্তুত রয়েছে। আমি জলবায়ু অভিযোজন, প্রশমন ও স্থিতিস্থাপক অবকাঠামোর জন্য সমন্বিত বৈশ্বিক প্রচেষ্টা ও অভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গির আহ্বান জানাই।’
আরও পড়ুন: বিদেশে চাকরি প্রত্যাশীদের প্রতারক ও মধ্যস্বত্বভোগীদের হাত থেকে রক্ষা করুন: প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, অপ্রত্যাশিত সংকট মোকাবিলায় অর্থায়ন প্রক্রিয়ার প্রতিশ্রুতি ও সম্মতি অপরিহার্য। আমাদের সকলের জন্য একটি টেকসই ও স্থিতিস্থাপক ভবিষ্যত গড়ে তোলার জন্য সরকার, আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক সংস্থা, বেসরকারি খাতগুলোর মধ্যে বৃহত্তর সংহতির অনুভূতি প্রয়োজন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, উদ্ভাবন, স্থিতিস্থাপক রূপান্তরকে অন্তর্ভুক্ত করে এই আলোচনায় আমাদের চিন্তাভাবনায় পরিবর্তন আনতে হবে।’
তিনি সবার জন্য একটি উন্নত বিশ্ব নিশ্চিত করতে বিশ্ব সম্প্রদায়ের সঙ্গে হাত মিলিয়ে কাজ করতে বাংলাদেশের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন।
ডিজাস্টার রেসিলিয়েন্ট ইনফ্রাস্ট্রাকচার ২০২৩ এর আন্তর্জাতিক সম্মেলন অবকাঠামোর স্থিতিস্থাপকতা উপলব্ধি করার জন্য পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বানের দিকে দৃশ্যমান সমাধানের দিকে একটি উদ্দেশ্যমূলক ফোকাস নিয়ে আসে।
আইসিডিআরআই ২০২৩ অবকাঠামো স্থিতিস্থাপকতার জন্য সমাধানে কাজ করতে সারা বিশ্ব থেকে সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী, চিন্তাশীল নেতা, একাডেমিয়া ও প্রতিষ্ঠানকে যুক্ত করবে।
আরও পড়ুন: চিকিৎসা বিজ্ঞানে বাংলাদেশের অগ্রগতির প্রশংসা প্রধানমন্ত্রীর
চিকিৎসা বিজ্ঞানে বাংলাদেশের অগ্রগতির প্রশংসা প্রধানমন্ত্রীর
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, স্বাস্থ্যসেবায় দেশ এগিয়ে যাওয়ায় বাংলাদেশের চিকিৎসকরা এখন কিডনি প্রতিস্থাপনসহ জটিল অপারেশন করতে সক্ষম।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ চিকিৎসার ক্ষেত্রে ব্যাপক অগ্রগতি করেছে। ডাক্তাররা এখন কিডনি প্রতিস্থাপনসহ অনেক জটিল অপারেশন করতে সক্ষম।’
সোমবার প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. শরফুদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল তার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি কে এম শাখাওয়াত মুন সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, তার সরকার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পদাঙ্ক অনুসরণ করে স্বাস্থ্যসেবা সবার দোরগোড়ায় পৌঁছে দিয়েছে।
তিনি বলেন, তার সরকার জনগণকে স্বাস্থ্যসেবা দেওয়াকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়েছে।
আরও পড়ুন: টেকসই গণতন্ত্রের কারণে বাংলাদেশের চমৎকার উন্নয়ন হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
যে চিকিৎসকরা সম্প্রতি ব্রেন-ডেড রোগী সারা ইসলামের প্রথম সফল অঙ্গ প্রতিস্থাপন করেছেন, তারাও সারার মায়ের সঙ্গে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন শামীমা আক্তার ও শবনম সুলতানা, যারা সফলভাবে সারার দান করা কিডনি গ্রহণ করেছেন।
বিএসএমএমইউ হাসপাতালের অধ্যাপক ডা. হাবিবুর রহমান দুলালের নেতৃত্বে চিকিৎসকদের একটি দল ১৯ জানুয়ারি সফল কিডনি প্রতিস্থাপন করেন।
এটি ছিল দেশে প্রথম ক্যাডাভেরিক কিডনি প্রতিস্থাপন।
গত ১৮ জানুয়ারি বিকালে ২০ বছর বয়সী সারা ইসলামকে ক্লিনিক্যালি ডেড ঘোষণা করা হয়েছিল। এরপর তার মায়ের সম্মতিতে তার দেওয়া দুটি কিডনি সফলভাবে দুজন রোগীর দেহে প্রতিস্থাপন করা হয়।
দেশে ১৯৮২ সালে জীবিত দাতাদের কাছ থেকে কিডনি প্রতিস্থাপন শুরু হয়েছিল। কিন্তু ২০১৮ সালে সংশোধিত না হওয়া পর্যন্ত ক্লিনিক্যালি ডেড রোগীর কাছ থেকে কিডনি নেওয়ার উপর আইনগত বাধ্যবাধকতা ছিল।
আরও পড়ুন: সকল গৃহহীন মানুষের ঘর নিশ্চিত করতে কাজ করছি: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
বাংলাদেশের প্রথম সাবমেরিন ঘাঁটি স্থাপন গৌরবময় অধ্যায়ের সূচনা: প্রধানমন্ত্রী
নির্বাচনে বাধা দিলে ২-৭ বছরের কারাদণ্ডের বিধানে অনুমোদন দিল মন্ত্রিসভা
মন্ত্রিসভা 'জনপ্রতিনিধিত্ব (সংশোধন) আইন-২০২৩'-এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে। এতে নির্বাচনের সময় নির্বাচনের পর্যবেক্ষক ও সাংবাদিকদের তাদের ‘পেশাগত ও আইনি’ দায়িত্ব পালনে বাধা দেয়ার জন্য দুই থেকে সাত বছরের কারাদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।
মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে ঢাকায় তার কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ অনুমোদন দেয়া হয়।
বাংলাদেশ সচিবালয়ে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার) মাহমুদুল হোসেন খান বলেন, ‘যদি কেউ গণমাধ্যম কর্মী ও নির্বাচন পর্যবেক্ষকদের তাদের বৈধ কাজ করতে বাধা দেয়, তাহলে ওই ব্যক্তির দুই থেকে সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড হতে পারে।’
তিনি বলেন, খসড়া আইন অনুসারে একজন প্রার্থীকে মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার অন্তত একদিন আগে সমস্ত ইউটিলিটি বিল ক্লিয়ার করতে হবে, অন্যথায় প্রার্থিতা বাতিল করা হবে।
সচিব বলেন, প্রার্থীকে একটি টিআইএন প্রশংসাপত্র এবং একটি মনোনয়নপত্রের সঙ্গে কর প্রদানের রসিদও সংযুক্ত করতে হবে।
বিদ্যমান আইন অনুযায়ী এখন কোনো ব্যক্তি মনোনয়ন পত্র দাখিলের সাত দিন আগে সরকারের কোনো সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের টেলিফোন, গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানি বা অন্য কোনো বিল পরিশোধে ব্যক্তিগতভাবে ব্যর্থ হলে নির্বাচনের অযোগ্য বলে বিবেচিত হবেন।
এছাড়া বাংলা ক্যালেন্ডার বছরের পরিবর্তে প্রতি অর্থবছরে ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে ভূমি উন্নয়ন কর আদায়ের বিধান রেখে ভূমি উন্নয়ন কর আইন- ২০২৩-এর খসড়া নীতিগতভাবে অনুমোদন করেছে মন্ত্রিসভা।
আরও পড়ুন: ৫ সিটি নির্বাচনে ইভিএম, সিসিটিভি ক্যামেরা ব্যবহার করবে ইসি: কমিশনার রাশেদা সুলতানা
তিনি বলেন, ‘সমস্ত ভূমি উন্নয়ন কর অনলাইনে পরিশোধ করতে হবে।’ ‘২৫ বিঘার কম (৮ দশমিক ২৫ একর) মালিকদের কর দিতে হবে না।
মাহমুদুল বলেন, ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা (তহসিলদার) প্রত্যেক জমির মালিকের জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণ করের উল্লেখ করে একটি তালিকা তৈরি করবেন এবং তালিকাটি সহকারী কমিশনারের (ভূমি) কাছে পাঠাবেন। যদি কেউ করের পরিমাণ নিয়ে সংক্ষুব্ধ হন তবে ব্যক্তি এসি ল্যান্ড এবং জেলা কালেক্টরের কাছে আপত্তি জানাতে পারেন। জেলা কালেক্টর ১৫ দিনের মধ্যে এটি নিষ্পত্তি করবেন বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
একাদশ জাতীয় সংসদের বিশেষ অধিবেশনে দেয়া রাষ্ট্রপতির খসড়া ভাষণের অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আগামী ৬ এপ্রিল সংসদের বিশেষ অধিবেশন বসবে।
আরও পড়ুন: টেকসই গণতন্ত্রের কারণে বাংলাদেশের চমৎকার উন্নয়ন হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
টেকসই গণতন্ত্রের কারণে বাংলাদেশের চমৎকার উন্নয়ন হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ২০০৮ সাল থেকে নিরবচ্ছিন্ন গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার কারণে বাংলাদেশের অভূতপূর্ব উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে।
তিনি বলেন, ২০০৮ সালের নির্বাচনে নির্বাচিত হওয়ার পর দেশে অবাধ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া বিরাজ করছে। এই মুহূর্তে যে উন্নয়ন প্রত্যক্ষ করা হচ্ছে তার জন্য এটি সম্ভব হয়েছে।’
দেশের জন্য অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ৯ ব্যক্তি ও একটি প্রতিষ্ঠানকে স্বাধীনতা পদক (স্বাধীনতা পুরস্কার) প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠান।
শেখ হাসিনা উল্লেখ করেন, ১৯৭৫ সালের পর কয়েকবার দেশের গণতন্ত্র থমকে গিয়েছিল।
আরও পড়ুন: সকল গৃহহীন মানুষের ঘর নিশ্চিত করতে কাজ করছি: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
তিনি বলেন, ‘গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সুষ্ঠুভাবে চলতে পারেনি এবং টেকসই গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ছিল না। ফলে বাংলাদেশ তার কাঙ্খিত পর্যায়ে এগোতে পারেনি।’
তিনি সেই সময়ের (১৯৭৫ সালের পর) শাসকদের চিন্তাধারা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের স্বাধীনতার জন্য জীবন উৎসর্গকারী শহীদদের আত্মত্যাগ বৃথা যেতে পারে না।
তিনি বলেন, ‘তাদের রক্ত এবং আত্মত্যাগ বৃথা যেতে পারে না, আমরা তা হতে দেব না, এটাই আমাদের প্রতিশ্রুতি এবং অঙ্গীকার।’
পুরস্কার বিজয়ীদের মধ্যে থেকে আইসিডিডিআরবির সিনিয়র ডিরেক্টর ডা. ফিরদৌসী কাদরী তার অনুভূতি ব্যক্ত করেন।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিজয়ীদের হাতে তুলে দিলেন স্বাধীনতা পুরস্কার
বিজয়ীদের হাতে স্বাধীনতা পুরস্কার তুলে দিলেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের জন্য অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ৯ ব্যক্তি ও একটি প্রতিষ্ঠানকে স্বাধীনতা পুরস্কার প্রদান করেছেন।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয় উক্ত সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান।
বীর মুক্তিযোদ্ধা কর্নেল (অব.) শামসুল আলম, প্রয়াত লেফটেন্যান্ট এজি মোহাম্মদ খুরশিদ (মরণোত্তর), শহীদ খাজা নিজামউদ্দিন ভূঁইয়া (মরনোত্তর)ও মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া ‘স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ’ বিভাগে এই পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছেন।
গবেষণা ও প্রশিক্ষণে অবদানের জন্য বেগম নাদিরা জাহান (সুরমা জাহিদ) এবং আইসিডিডিআরবি'র ভারপ্রাপ্ত জ্যেষ্ঠ পরিচালক ড. ফেরদৌসী কাদরীকে এই পুরস্কার প্রদান করা হয়।
আরও পড়ুন: বিদ্যুৎ বিভাগের ‘স্বাধীনতা পুরস্কার’ তুলে দেয়া হলো প্রধানমন্ত্রীর হাতে
সাহিত্যে অবদানের জন্য মরহুম মোহাম্মদ মাইনুদ্দিন আহমেদ (সেলিম আল দীন) এই পুরস্কার লাভ করেন।
সংস্কৃতি ও খেলাধুলায় অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ পবিত্র মোহন দে ও এএসএম রকিবুল হাসানকে এ সম্মাননা প্রদান করা হয়।
পাবলিক সার্ভিস বিভাগে পুরস্কৃত করা হয়েছে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স বিভাগকে।
বাংলাদেশ প্রতি বছর ২৬ মার্চ উদযাপিত স্বাধীনতা দিবসকে সামনে রেখে ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে এই পুরস্কার দিয়ে সম্মানিত করে। ১৯৭৭ সাল থেকে এই পুরস্কার প্রদান করা হয়।
আরও পড়ুন: ‘স্বাধীনতা পুরস্কার ২০২২’ তুলে দিলেন প্রধানমন্ত্রী
সকল গৃহহীন মানুষের ঘর নিশ্চিত করতে কাজ করছি: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তার সরকার সব গৃহহীন মানুষ যাতে জমিসহ বাড়ি পায় তা নিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে একজন মানুষও গৃহহীন বা ভূমিহীন থাকবে না। আমরা এই লক্ষ্য বাস্তবায়নের জন্য কাজ করছি।’
ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় ৪র্থ দফায় আরও ৩৯ হাজার ৩৬৫টি বাড়ি দুই দশমিক ৩৬ শতাংশ জমি প্রদানের সময় প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
তার পক্ষে জনপ্রতিনিধিরা-মন্ত্রী, সংসদ সদস্য ও উপজেলা চেয়ারম্যান--এর পাশাপাশি সরকারি কর্মকর্তা-বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা সারা দেশে ৪৯৩টি উপজেলার বিভিন্ন প্রকল্পের স্থানে উপস্থিত থেকে তারা সুবিধাভোগীদের হাতে বাড়ির সার্টিফিকেট ও জমির কাগজপত্র তুলে দেন।
আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের ৪র্থ ধাপের ঘর বিতরণের ফলে নয়টি জেলা ও ২১১টি উপজেলায় এখন বাড়ি ও ভূমিহীন কেউ নেই।
এর আগে, ২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের প্রকল্প আশ্রয়ণ-২-এর আওতায় প্রথম ধাপে ৬৩ হাজার ৯৯৯টি, দ্বিতীয় দফায় ৫৩ হাজার ৩৩০টি এবং তৃতীয় দফায় ৫৯ হাজার ১৩৩টি বাড়ি প্রদান করেন শেখ হাসিনা।
চতুর্থ দফায় ৩৯ হাজার ৩৬৫টি ঘর বিতরণের মাধ্যমে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় মোট সংখ্যা দাঁড়িয়েছে দুই লাখ ১৫ হাজার ৮২৭টি।
প্রধানমন্ত্রী আরও সাতটি জেলা এবং আরও ১৫৯টি উপজেলাকে গৃহহীন ও ভূমিহীন এলাকা হিসেবে ঘোষণা করেন। সাতটি জেলা হলো মাদারীপুর, গাজীপুর, নরসিংদী, জয়পুরহাট, রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও চুয়াডাঙ্গা।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের প্রথম সাবমেরিন ঘাঁটি স্থাপন গৌরবময় অধ্যায়ের সূচনা: প্রধানমন্ত্রী
বাংলাদেশের প্রথম সাবমেরিন ঘাঁটি স্থাপন গৌরবময় অধ্যায়ের সূচনা: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, কক্সবাজারে প্রথম সাবমেরিন ঘাঁটি স্থাপনের মাধ্যমে দেশের সামরিক ইতিহাসে এক গৌরবময় অধ্যায়ের সূচনা হয়েছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে একটি পূর্ণাঙ্গ ও আধুনিক সাবমেরিন ঘাঁটি চালু হওয়ায় বাংলাদেশের সামরিক ইতিহাসে একটি গৌরবময় অধ্যায়ের সূচনা হয়।
সোমবার প্রধানমন্ত্রী এখানে তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে কক্সবাজারের পেকুয়ায় বাংলাদেশ নৌবাহিনীর প্রথম সাবমেরিন ঘাঁটি ‘বিএনএস শেখ হাসিনা’- কমিশনিং অনুষ্ঠানে দেয়া বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, তার সরকার ২০১৭ সালের ১২ মার্চ নৌ বহরে দুটি সাবমেরিন (বিএনএস নবযাত্রা ও বিএনএস জয়যাত্রা) যুক্ত করে বাংলাদেশ নৌবাহিনীকে একটি পূর্ণাঙ্গ ত্রিমাত্রিক বাহিনী হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছে।
শেখ হাসিনা বাংলাদেশ নৌবাহিনীর সদস্যদের তাদের পেশাগত দায়িত্বের পাশাপাশি দেশ গড়ার জন্য কাজ করতে এবং সুনীল অর্থনীতির সম্ভাবনাকে উন্মোচনে সহায়ক ভূমিকা পালন করতে বলেন।
আরও পড়ুন: জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে বাংলাদেশ-ভারত জ্বালানি পাইপলাইন: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি আশা করি দেশপ্রেমের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর প্রতিটি সদস্য তাদের পেশাগত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি জাতির পিতার স্বপ্নের ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত, উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ হিসেবে দেশ গড়ার প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবেন। কারণ, আমরা আমাদের বিশাল সামুদ্রিক সম্পদ অন্বেষণ করার জন্য একটি সুনীল অর্থনীতি কর্মপন্থা নিয়েছি।’
তিনি বলেন, সরকার দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে সামুদ্রিক সম্পদকে কাজে লাগানোর পদক্ষেপ নিয়েছে। এছাড়া বাংলাদেশের পর্যটন শিল্প বিকাশের অনেক সুযোগ রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে হামলা হলে তার সরকার দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সশস্ত্র বাহিনীকে সক্ষম হিসেবে গড়ে তুলছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা কারও সঙ্গে যুদ্ধ করতে চাই না। কিন্তু, আমাদের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় যথেষ্ট দক্ষতা অর্জন করতে হবে। যদি বাংলাদেশ এমন পরিস্থিতিতে পড়ে, এটা মাথায় রেখে আমরা আমাদের বাহিনী প্রস্তুত করছি’।
তিনি বলেন, গত ১৪ বছরে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর বহরে ৪টি ফ্রিগেট, ৬টি করভেট, ৪টি বড় প্যাট্রোল ক্রাফট, ৫টি প্যাট্রোল ক্রাফট এবং ২টি প্রশিক্ষণ জাহাজসহ মোট ৩১টি যুদ্ধজাহাজ যুক্ত হয়েছে।
শেখ হাসিনা বাংলাদেশ নৌবাহিনীকে ধন্যবাদ জানান, কারণ এই বাহিনী শুধু বাংলাদেশের জন্য জাহাজ নির্মাণই করছে না, বিভিন্ন জলযান নির্মাণ করে বিভিন্ন দেশে রপ্তানিও করছে।
পেকুয়া ভেন্যু থেকে স্বাগত বক্তব্য দেন নৌবাহিনী প্রধান এডমিরাল মোহাম্মদ শাহীন ইকবাল।
প্রধানমন্ত্রীর অনুমতিক্রমে নৌবাহিনী প্রধান সাবমেরিন ঘাঁটির কমান্ডিং অফিসার কমডোর এম আতিকুর রহমানের কাছে কমিশনিং ফরম্যান (অর্ডার) হস্তান্তর করেন।
অনুষ্ঠানে বিএনএস শেখ হাসিনার নামফলক উন্মোচন করা হয়।
নবনির্মিত সাবমেরিন ঘাঁটিতে একসঙ্গে মোট ছয়টি সাবমেরিন এবং আটটি যুদ্ধজাহাজ থাকতে পারে।
আরও পড়ুন: ময়মনসিংহে ৭৩টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন, আরও ৩০টির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন প্রধানমন্ত্রীর
ময়মনসিংহে প্রধানমন্ত্রী ২৩টি প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন শনিবার
মুক্তিযোদ্ধা আবু তাহেরের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
লক্ষ্মীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা মো. আবু তাহের -এর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রবিবার এক শোক বার্তায় তিনি বলেন, আবু তাহেরের মৃত্যুতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ একজন ত্যাগী নেতাকে হারাল।
প্রধানমন্ত্রী তার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
আরও পড়ুন: সংসদ সদস্য মোসলেম উদ্দিনের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
তুরস্ক ও সিরিয়ায় ভূমিকম্পে অসংখ্য মানুষ হতাহতের ঘটনায় প্রধানমন্ত্রীর শোক
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে যুক্তরাজ্যের ক্রস-পার্টি প্রতিনিধিদলের সাক্ষাৎ, রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে আলোচনা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে শনিবার সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন যুক্তরাজ্যের ক্রস-পার্টির একটি প্রতিনিধিদল।
প্রতিনিধিদলে ছিলেন পল ব্রিস্টো এমপি, জেন হান্ট এমপি, পলেট হ্যামিল্টন এমপি, এন্টনি হিগিনবোথাম এমপি ও টম হান্ট এমপি। বৈঠকে রোহিঙ্গা সমস্যা, বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক অগ্রগতি, উন্নয়ন ও নারীর ক্ষমতায়ন বিষয়ে আলোচনা হয়।
সাক্ষাৎ শেষে প্রধানমন্ত্রীর ডেপুটি প্রেস সচিব কে এম শাখাওয়াত মুন সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
প্রধানমন্ত্রী প্রতিনিধিদলকে স্বাগত জানান এবং বাংলাদেশের সার্বিক উন্নয়নে তার সরকারের গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপ সম্পর্কে অবহিত করেন।
প্রতিনিধিদল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য বিশেষ করে ওষুধ ও নারী উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য সাফল্য ও অর্জনের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
আরও পড়ুন: জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে বাংলাদেশ-ভারত জ্বালানি পাইপলাইন: প্রধানমন্ত্রী
তারা মানসিক স্বাস্থ্য মোকাবিলায় শেখ হাসিনার উপদেষ্টা সায়মা ওয়াজেদের ভূমিকার প্রশংসা করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, মানুষ মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কে খুব বেশি সচেতন ছিল না এবং তার মেয়ে সায়মা এটিকে দেশে পরিচিত করে তুলেছে।
প্রধানমন্ত্রী প্রতিনিধি দলকে বলেন, বাংলাদেশ বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন ওষুধ রপ্তানি করছে।
রোহিঙ্গা ইস্যু প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বাংলাদেশ চায় আলোচনার মাধ্যমে রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান হোক।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রণীত বৈদেশিক নীতির (সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বিদ্বেষ নয়) কথা উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘যে কোনো বড় সমস্যা আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা যেতে পারে।’
নারীর ক্ষমতায়ন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তার সরকার ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় আসার পরপরই ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করতে ব্যাপক পদক্ষেপ গ্রহণ করে।
এই পদক্ষেপের ধারাবাহিকতার অংশ হিসেবে নারীরা এখন সংসদের নেতা, উপনেতা ও স্পিকার, সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি, সরকারের সচিব এবং উচ্চপদস্থ বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে কেউ যেন গৃহহীন ও ভূমিহীন না থাকে সেজন্য তারা আবাসন প্রকল্প গ্রহণ করেছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের শিশুদের স্মার্ট নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে হবে: প্রধানমন্ত্রী