প্রধানমন্ত্রীর-কার্যালয়
পূর্ব-পশ্চিমের বিমান চলাচলের প্রবেশদ্বার হয়ে উঠবে বাংলাদেশ: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশ ভবিষ্যতে পূর্ব ও পশ্চিমের মধ্যে বিমান চলাচলের প্রবেশদ্বার এবং সংযোগস্থল হবে।
বুধবার ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি হাসান জাহিদ তুষার সাংবাদিকদের জানান, প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবনে ‘হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল সম্প্রসারণ’ প্রকল্পের অগ্রগতি প্রদর্শনকালে এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের ভৌগোলিক সুবিধা কাজে লাগিয়ে দেশকে সমৃদ্ধির পথে নিয়ে যেতে বিমানবন্দরে তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণ, রানওয়ে সম্প্রসারণ এবং কক্সবাজার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের উন্নয়নের বৈশিষ্ট্য তুলে ধরেন।
কক্সবাজার বিমানবন্দরকে জ্বালানি সরবরাহের জন্য ব্যবহার করলে আন্তর্জাতিক রুটের দূরত্ব কমবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, কক্সবাজার বিমানবন্দর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি বলেন, ‘কক্সবাজার একটি গেটওয়ে হয়ে উঠবে যেভাবে সবাই এখন দুবাইকে বিমানের রিফুয়েলিংয়ের গেটওয়ে হিসাবে ব্যবহার করে।’
তিনি আরও বলেন, আন্তর্জাতিক রুটে জ্বালানি সরবরাহের জন্য কক্সবাজার অল্প দূরত্বের মধ্যে হবে এবং এয়ারলাইন্স বেশি দূর যেতে পারবে না। তারা কক্সবাজার থেকে সরাসরি এই সুবিধা নিতে পারেন।
তিনি উল্লেখ করেন, কক্সবাজারে আন্তর্জাতিক ফ্লাইটে জ্বালানি সেবা থেকে দেশের আয় বাড়বে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালে সবকিছুই ডিজিটাল পদ্ধতিতে পরিচালিত হবে।
তিনি বলেন, ‘মানুষ দ্রুত এবং সহজে আন্তর্জাতিক মানের সেবা পেতে সক্ষম হবে। তাই বিমানবন্দরের পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব একটি বিদেশি কোম্পানিকে দেয়া হবে।’
বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান বাংলাদেশ এয়ার ভাইস মার্শাল এম মফিদুর রহমান 'হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল সম্প্রসারণ' প্রকল্পের হালনাগাদ তথ্য প্রধানমন্ত্রীর সামনে তুলে ধরেন।
আগামী বছরের অক্টোবরে তৃতীয় টার্মিনাল উদ্বোধনের জন্য প্রয়োজনীয় সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হবে বলে জানান তিনি।
এ পর্যন্ত তৃতীয় টার্মিনালের ৬১ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আগামী বছরের অক্টোবরের মধ্যে মোট প্রকল্পের ৯৩ শতাংশ কাজ শেষ হবে। কিছু ছোটখাটো কাজ বাকি থাকবে।
আরও পড়ুন: ২০২৩ সালের একুশে পদক প্রদান করলেন প্রধানমন্ত্রী
ডলারের মূল্যবৃদ্ধি ও বিভিন্ন পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির কারণে প্রকল্পের ব্যয় ২২ হাজার কোটি টাকা থেকে ২৭ হাজার কোটি টাকায় বাড়তে পারে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
সিভিল এভিয়েশনের চেয়ারম্যান বলেন, খরচ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা ও দক্ষতা বাড়বে।
ফরাসি রাডার প্রস্তুতকারক থ্যালেসের রাডার ইনস্টলেশন নিয়েও আলোচনা হয়েছিল।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃপক্ষকে দ্রুত রাডার স্থাপনের কাজ শেষ করতে বলেছেন।
তিনি বলেন, নতুন রাডার স্থাপনের ফলে এভিয়েশন সেক্টরে আয় বাড়বে এবং এর থেকে ভালো আয় আসবে।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের আকাশসীমার উপর দিয়ে যাওয়া ফ্লাইটগুলো ট্র্যাক করা সহজ হবে এবং তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন ধরণের ফি নেয়া সহজ হবে।’
সিভিল এভিয়েশন সূত্রে জানা গেছে, নতুন রাডার স্থাপনের প্রকল্পটি ২০২১ সালের অক্টোবরে নেয়া হয়েছিল এবং ২০২৪ সালের জুনের মধ্যে এটি সম্পূর্ণ করার সময়সীমা ছিল।
তবে তৃতীয় টার্মিনাল এবং রাডার দু’টি একই সময়ে উদ্বোধন করা হবে বলে সূত্র জানায়।
সূত্র আরও জানায় যে রাডারের ক্ষমতা ভারত ও মিয়ানমার থেকে পাওয়া সমুদ্রসীমা পর্যন্ত প্রসারিত হবে। বিমান যোগাযোগ ব্যবস্থা হবে আরও আধুনিক ও নিরাপদ।
অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব এম. তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন সচিব মো. মোকাম্মেল হোসেন এবং বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (সিএএবি) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এম মফিদুর রহমান।
আরও পড়ুন: মাতৃভাষা সংরক্ষণ, পুনরুজ্জীবিত ও বিকাশে গবেষণা অত্যাবশ্যক: প্রধানমন্ত্রী
মাতৃভাষা সংরক্ষণ, পুনরুজ্জীবিত ও বিকাশে গবেষণা অত্যাবশ্যক: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বের মাতৃভাষা সংরক্ষণ, পুনরুজ্জীবিত ও বিকাশে গবেষণার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন।
তিনি বলেন,‘আমি সবসময় গবেষণার উপর জোর দিই। কারণটি হলো গবেষণা ছাড়া কোনও কিছুর সমৃদ্ধি সম্ভব নয়।
মঙ্গলবার শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস-২০২৩ উপলক্ষে সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের চার দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, সরকার আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে ভাষা গবেষণার জন্য ফেলোশিপ দেয়ার পদক্ষেপ নেবে।
তিনি বলেন,‘আমি মনে করি এই ইনস্টিটিউটের দায়িত্ব আছে পৃথিবীর সব ভাষা সংরক্ষণ করা, এগুলো নিয়ে গবেষণা করা এবং ভাষার ইতিহাস জানা। আমি মনে করি এটি করা যেতে পারে।’
শেখ হাসিনা বলেন, প্রয়োজনে ভাষা গবেষকদের ফেলোশিপ দেয়ার জন্য তিনি তহবিলের ব্যবস্থা করবেন।
তিনি আরও বলেন, গবেষণার সুবাদে বাংলাদেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে। ‘এখন বিজ্ঞান ও স্বাস্থ্য সহ বিভিন্ন খাতে ব্যাপকভাবে গবেষণার প্রয়োজন।’
এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার বাংলাদেশের দুই কোটি ৪০ লাখ শিক্ষার্থীকে ফেলোশিপ ও উপবৃত্তি এবং স্কুল শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক প্রদান করছে।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর কোনো টুইটার অ্যাকাউন্ট নেই
তিনি বলেন, তার সরকার ১৯৯৬ থেকে ২০০১ মেয়াদে সাক্ষরতার হার মাত্র ৪৫ শতাংশ থেকে ৬৫ দশমিক পাঁচ শতাংশে উন্নীত করেছিল এবং সেই সময়ে এই অর্জনের জন্য ইউনেস্কোর কাছ থেকে পুরস্কার পেয়েছিল। তারপর তার সরকার উচ্চ শিক্ষার জন্য উপবৃত্তি প্রদানের জন্য পুরস্কারের অর্থ দিয়ে একটি তহবিল গঠন করে।
তিনি বলেন, ‘২০০৯ সালে ক্ষমতায় এসে আমরা এখন সাক্ষরতার হার ৭৫ দশমিক দুই শতাংশে উন্নীত করেছি। সুতরাং, আমরা (শিক্ষার ক্ষেত্রে) অগ্রসর হচ্ছি।’
শেখ হাসিনা ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদানের কথা স্মরণ করেন।
অনুষ্ঠানে ইনস্টিটিউটের প্রধান পৃষ্ঠপোষক শেখ হাসিনা চার প্রাপকের হাতে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা জাতীয় পদক এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা আন্তর্জাতিক পদক তুলে দেন।
হাবিবুর রহমান এবং রঞ্জিত সিংহকে জাতীয় পদক প্রদান করা হয় এবং মাতৃভাষা সংরক্ষণ, পুনরুজ্জীবন ও উন্নয়নে অসাধারণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ মহেন্দ্র কুমার মিত্র এবং মাতৃভাষা প্রেমীদের ওয়ার্ল্ড সোসাইটি, ভ্যাঙ্কুভার, কানাডাকে আন্তর্জাতিক পদক প্রদান করা হয়।
মাদার ল্যাংগুয়েজ লাভারস অব ওয়ার্ল্ড সোসাইটির সভাপতির পক্ষে পদক গ্রহণ করেন মো. আমিনুল ইসলামের।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি, শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী (নওফেল) এবং বাংলাদেশে ইউনেস্কোর অফিস প্রধান ও প্রতিনিধি সুসান মারি ভাইজ।
আরও পড়ুন: মিরপুর-কালশী ফ্লাইওভার রবিবার উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী
'বহুভাষিক বিশ্বে বহুভাষিক শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা' বিষয়ক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ভারতের রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য প্রফেসর ড. পবিত্র সরকার।
স্বাগত বক্তব্য দেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব সুলেমান খান এবং ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. হাকিম আরিফ।
অনুষ্ঠানের শুরুতে ভাষা আন্দোলনের বীর শহীদদের আত্মত্যাগের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
অনুষ্ঠানে ‘বঙ্গবন্ধু ও ভাষা আন্দোলন’ শীর্ষক একটি ভিডিও ডকুমেন্টারি প্রদর্শিত হয়।
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ, ভারত, অস্ট্রেলিয়া, আলজেরিয়া, জাপান, চীন, রাশিয়া ও ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশের শিশুরা প্রধানমন্ত্রীকে তাদের নিজস্ব মাতৃভাষায় শুভেচ্ছা জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: ২০২৩ সালের একুশে পদক প্রদান করলেন প্রধানমন্ত্রী
২০২৩ সালের একুশে পদক প্রদান করলেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ১৯ জন বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব ও দুটি প্রতিষ্ঠানকে ‘একুশে পদক ২০২৩’ প্রদান করেছেন।
সোমবার ঢাকার ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে তিনি দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার একুশে পদক তুলে দেন।
অমর একুশে ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
পুরস্কারপ্রাপ্তদের মধ্যে খালেদা মঞ্জুর-ই খুদা, মুক্তিযোদ্ধা একেএম শামসুল হক (মরণোত্তর) এবং হাজী মোহাম্মদ মজিবর রহমান ভাষা আন্দোলনে তাদের ভূমিকার জন্য পুরস্কার পেয়েছেন।
আরও পড়ুন: একুশে পদক পাচ্ছে বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনসহ ২টি প্রতিষ্ঠান ও ১৯ ব্যক্তিত্ব
অভিনয়ে অবদানের জন্য মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার পেয়েছেন মাসুদ আলী খান এবং শিমুল ইউসুফ। সঙ্গীতের জন্য মনোরঞ্জন ঘোষাল, গাজী আবদুল হাকিম এবং ফজল-ই-খুদা (মরণোত্তর)। আবৃত্তির জন্য জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায় ও শিল্পকলার (কলা) জন্য নওয়াজিশ আলী খান এবং ছবি আঁকার জন্য কনক চানপা চাকমা।
এছাড়া মুক্তিযুদ্ধ ক্যাটাগরিতে মমতাজ উদ্দিন (মরণোত্তর), সাংবাদিকতায় মো. শাহ আলমগীর (মরণোত্তর), গবেষণায় ডা. মো. আব্দুল মজিদ, শিক্ষায় অধ্যাপক ডা. মাজহারুল ইসলাম (মরণোত্তর), সমাজসেবায় সাইদুল হক, রাজনীতিতে অ্যাডভোকেট ড. মঞ্জুরুল ইসলাম (মরণোত্তর) ও আখতার উদ্দিন মিয়া (মরণোত্তর) এবং ভাষা ও সাহিত্যে ড. মনিরুজ্জামান।
শিক্ষা ক্যাটাগরিতে বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর এবং সমাজসেবায় বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন পুরস্কার পেয়েছে।
প্রত্যেক পুরস্কারপ্রাপ্ত ব্যক্তি একটি স্বর্ণপদক, একটি পদকের রেপ্লিকা, একটি সম্মাননা সনদ এবং চার লাখ টাকার চেক পেয়েছেন।
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংস্কৃতিবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ, মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন এটি সঞ্চালনা করেন এবং পুরস্কারপ্রাপ্তদের নাম ঘোষণা করেন।
স্বাগত বক্তব্য দেন সংস্কৃতি বিষয়ক সচিব মো. আবুল মনসুর।
১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের শহীদদের স্মরণে প্রবর্তিত হয় একুশে পদক।
আরও পড়ুন: একুশে পদকপ্রাপ্ত নৃত্যশিল্পী গোলাম মোস্তফা মারা গেছেন
মিরপুর-কালশী ফ্লাইওভার রবিবার উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী
মিরপুর-কালশী ফ্লাইওভার রবিবার উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এতে মিরপুর, মিরপুর ডিওএইচএস, পল্লবী, কালশী, মহাখালী, বনানী, উত্তরা ও বিমানবন্দরে যানবাহন চলাচল সহজ হবে।
এদিন সকাল ১০টায় রাজধানীর বালুর মঠ সংলগ্ন কালশী মোড়ে একটি অনুষ্ঠান থেকে প্রধানমন্ত্রী যান চলাচলের উদ্বোধন করবেন।
দুই হাজার ৩৩৫ মিটার দীর্ঘ ফ্লাইওভারটি ইসিবি স্কয়ার থেকে মিরপুর পর্যন্ত সড়ক প্রশস্তকরণ ও উন্নয়ন প্রকল্পের অধীনে কালশী সার্কেল ফ্লাইওভার নির্মাণ প্রকল্প ২০১৮ সালের ৯ জানুয়ারে একনেকে অনুমোদন পায়।
এটি ইসিবি স্কোয়ার থেকে কালশী পর্যন্ত তিন দশমিক ৭০ কিলোমিটার রাস্তা প্রশস্ত করেছে।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনী (২৪ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্রিগেড) প্রায় এক হাজার ১২ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করেছে।
প্রকল্পের তথানুযায়ী, ফ্লাইওভারটি দেখতে ইংরেজি বর্ণমালা ‘ওয়াই’-এর মতো।
যাত্রীদের যাতায়াতের সুবিধার্থে এর আগে চার লেনের রাস্তাগুলোকে ছয় লেনে প্রশস্ত করা হয়েছে।
প্রধান চার লেনের ফ্লাইওভারটি ইসিবি স্কোয়ার থেকে কালশী এবং মিরপুর ডিওএইচএসের দিকে সংযু্ক্ত হয়েছে এবং একটি দুই লেনের র্যাম্প কালশী মোড় থেকে কালশী রোড পর্যন্ত নেমেছে।
আরও পড়ুন: সমু্দ্র অর্থনীতি ও নিরাপত্তা জোরদারে কোস্টগার্ড আরও শক্তিশালী হবে: প্রধানমন্ত্রী
প্রকল্পের মধ্যে একটি পিসি গার্ডার ব্রিজ সম্প্রসারণ, দুটি ফুট ওভারব্রিজ নির্মাণ, একটি পাবলিক টয়লেট, দুটি পুলিশ বক্স, একটি সাত দশমিক ৪০ কিলোমিটার আরসিসি ড্রেন এবং প্রসস্ত ড্রেন, একটি একহাজার ৭৫৫ মিটার আরসিসি পাইপ ড্রেন, রিটেইনিং ওয়াল, তিন হজার ৩৮৩ মিটার যোগাযোগ নালা, ৮ লাখ-লিনিয়ার মিটার বালির কম্প্যাকশন পাইল, পৃথক সাইকেল লেন এবং ছয়টি বাস বে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এলজিআরডি ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, ঢাকা উত্তর সিটির মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম, সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এসএম শফিউদ্দিন আহমেদ, ঢাকা-১৬ আসনের সংসদ সদস্য মো. ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লা, স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মুহাম্মদ ইব্রাহিম উপস্থিত থাকবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর কোনো টুইটার অ্যাকাউন্ট নেই
প্রধানমন্ত্রীর কোনো টুইটার অ্যাকাউন্ট নেই
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার টুইটার বা অন্য কোনো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কোনো অ্যাকাউন্ট নেই।
প্রধানমন্ত্রীর সহকারী প্রেস সচিব এম. এম ইমরুল কায়েস ইউএনবিকে বলেছেন, এখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অফিসিয়াল অ্যাকাউন্ট হিসাবে একটি টুইটার অ্যাকাউন্ট ছড়িয়ে দেয়া হচ্ছে, যা মোটেও সত্য নয়।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ফেসবুক, টুইটার বা অন্য কোনো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কোনো অ্যাকাউন্ট নেই।
তাই এ ব্যাপারে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য সবাইকে অনুরোধ করা যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: বীর নিবাস: অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের ৫ হাজার বাড়ির চাবি তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী
আগামী জাতীয় নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে: মার্কিন কর্মকর্তাকে প্রধানমন্ত্রী
আগামী জাতীয় নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে: মার্কিন কর্মকর্তাকে প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও অবাধ হবে, কারণ তিনি গণতন্ত্রের প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ এবং নির্বাচন কমিশন সম্পূর্ণ স্বাধীন।
বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাউন্সেলর ডেরেক শোলে-এর নেতৃত্বে একটি মার্কিন প্রতিনিধিদল প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে সৌজন্য সাক্ষাৎ কালে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু ও অবাধ হবে। আমি সারাজীবন গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করেছি।’
বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
আরও পড়ুন: ‘আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়ে যারা বিভ্রান্ত তাদের বাংলাদেশের ইতিহাস পড়া উচিত’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আগামী নির্বাচনে জনগণ যদি আওয়ামী লীগকে ভোট দেয়, তাহলে তার দল দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নেবে। ভোট কারচুপির মাধ্যমে আমি কখনোই ক্ষমতায় আসতে চাই না।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি সবসময় জনগণের খাদ্য ও ভোটাধিকারের জন্য সংগ্রাম করেছেন। প্রথম নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন আইন সংসদে পাস হয় এবং তারপর আইনের ভিত্তিতে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচন কমিশন সম্পূর্ণ স্বাধীন। এর প্রশাসনিক ও আর্থিক স্বাধীনতা রয়েছে।
আরও পড়ুন: জাতীয় নির্বাচনে পুলিশের ভূমিকা সম্পর্কে জাপানি রাষ্ট্রদূতের মন্তব্য ‘অনাকাঙ্ক্ষিত’: পুলিশ সংগঠন
বীর নিবাস: অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের ৫ হাজার বাড়ির চাবি তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আর্থিকভাবে অসচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে পাঁচ হাজার ‘বীর নিবাস’-এর চাবি হস্তান্তর করেছেন।
বুধবার ঢাকার ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় আয়োজিত অনুষ্ঠানে মন্ত্রী আ. ক. ম. মোজাম্মেল হকের সভাপতিত্বে পাঁচ হাজার বাড়ির চাবি হস্তান্তর করেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
মুজিববর্ষ ও বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে উপহার হিসেবে মুক্তিযোদ্ধাদের বাড়িগুলো দেয়া হচ্ছে।
গত বছরের ২১ মার্চ একনেকে (জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি) অনুমোদিত 'অসচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য আবাসন নির্মাণ' শীর্ষক প্রকল্পটি সরকারি তহবিল থেকে চার হাজার ১২২ কোটি টাকা ব্যয়ে বাস্তবায়িত হচ্ছে।
প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধা, বীরাঙ্গনা, শহীদ ও প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধাদের বিধবা ও সন্তানদের জন্য ৩০ হাজার 'বীর নিবাস' নির্মাণ করা।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতি নির্বাচন, বঙ্গভবনে বর্তমান রাষ্ট্রপতির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ
'বীর নিবাস' নামে পরিচিত প্রতিটি ৬৩৫ বর্গফুট বাড়িতে দুটি শোবার ঘর, দুটি শৌচাগার, একটি খাবার ঘর ও একটি রান্নাঘর রয়েছে।
এই প্রকল্পটি আর্থিকভাবে প্রান্তিক মুক্তিযোদ্ধাদের পাশাপাশি প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধাদের বিধবা ও সন্তানদের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি উদ্যোগ।
সরকারি সূত্রে জানা গেছে, প্রতিটি বাড়ি নির্মাণে খরচ হয়েছে ১৪ লাখ ১০ হাজার ৩৮২ টাকা।
প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে নড়াইল, মাদারীপুর, গোপালগঞ্জ, গাজীপুর ও কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসকরা নিজ নিজ এলাকায় চাবি হস্তান্তর করেন।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করলেন ডায়াবেটিক সমিতির নেতারা
সমু্দ্র অর্থনীতি ও নিরাপত্তা জোরদারে কোস্টগার্ড আরও শক্তিশালী হবে: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, রূপকল্প ২০৩০ ও রূপকল্প ২০৪১-এর আধুনিকীকরণ পরিকল্পনা অনুযায়ী সমুদ্রে নীল অর্থনীতি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কোস্টগার্ডের জন্য জাহাজ, সরঞ্জাম ও জনবল বাড়ানোর পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে সরকার।
সোমবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের ২৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও পদক প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘গভীর সমুদ্রে টহল দেয়ার জন্য আরও চারটি ওপিভি, ৯টি প্রতিস্থাপনকারী জাহাজ, দুটি মেরিটাইম সংস্করণ হেলিকপ্টার সংগ্রহের অনুমোদন দেয়া হয়েছে।’
বাংলাদেশ কোস্টগার্ডকে আধুনিক ও শক্তিশালী করার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, খুব শিগগিরই এই বাহিনীতে উন্নত প্রযুক্তির জাহাজ, মেরিটাইম সার্ভিলেন্স সিস্টেম, হোভারক্রাফট এবং হাইস্পিড বোট যুক্ত হতে যাচ্ছে।
তিনি উল্লেখ করেন, গভীর সাগরে বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের যোগাযোগ ব্যবস্থায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনতে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ এর সঙ্গে ডিজিটাল সংযোগ স্থাপনেরও উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, ২০০৯ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত কোস্টগার্ডকে দক্ষ ও শক্তিশালী করতে দেশের উপকূলীয় ও প্রত্যন্ত অঞ্চলে কোস্টগার্ড স্টেশন ও ফাঁড়িতে কোস্টাল ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট সেন্টারসহ বিভিন্ন ধরনের অবকাঠামো নির্মাণ করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বিভিন্ন আকারের জাহাজ তৈরি করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় কোস্টগার্ড এলাকায় আবাসন, ব্যারাক ও প্রশাসনিক ভবন নির্মাণ করা হয়েছে।
বিসিজি বেস অগ্রযাত্রা' নামে পটুয়াখালীতে নিজস্ব প্রশিক্ষণ ঘাঁটি স্থাপনের মাধ্যমে কোস্টগার্ডের জনবলের প্রশিক্ষণ সক্ষমতাও বাড়ানো হয়েছে বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পের আওতায় বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের জন্য অভ্যন্তরীণ টহল জাহাজ, ভাসমান ক্রেন, টাগ বোট এবং বিভিন্ন ধরনের হাইস্পিড বোট তৈরি করা হয়েছে।
‘সম্প্রতি বাহিনীটির জন্য যুদ্ধের ইউনিফর্ম চালু করা হয়েছে, যা আমার বিশ্বাস সকল সদস্যদের মনোবল বাড়াতে সাহায্য করবে।’
আরও পড়ুন: গ্রামের মানুষকে চাষাবাদের কাজে সাহায্য করুন: আনসার ও ভিডিপি’র সদস্যদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা বলেন, এই বাহিনীর মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণের সক্ষমতা বাড়াতে মুন্সীগঞ্জ জেলার গজারিয়ায় একটি ডকইয়ার্ড নির্মাণ করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের জলসীমায় সামুদ্রিক সম্পদের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে কোস্টগার্ড বিশেষ ভূমিকা পালন করছে।
এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, এই বাহিনীর মূলমন্ত্র হলো ‘গার্ডিয়ানস অ্যাট দ্য সি’। এর অর্থ সমুদ্র ও উপকূলীয় এলাকায় জনগণের প্রকৃত বন্ধু হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ কোস্টগার্ড ইতোমধ্যে দেশের উপকূলীয় এলাকার নিরীহ-নিপীড়িত মানুষের কাছে অন্যায় ও অপকর্ম প্রতিরোধ করে নিজেদেরকে প্রকৃত বন্ধু হিসেবে দেখিয়েছে।
তিনি বলেন, এই বাহিনীর প্রতিটি সদস্য এখন দেশপ্রেম ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বলিষ্ঠ।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, ঝুঁকির মধ্যেই কোস্টগার্ড সদস্যরা দেশের স্বার্থে অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।
তিনি বলেন, এই বাহিনী সমুদ্র বন্দরের নিরাপত্তা, মাদক ও অস্ত্র চোরাচালান, মানব পাচার, অবৈধ ও অনিয়ন্ত্রিত মাছ ধরা, সমুদ্র ও নদী দূষণ ও জলদস্যুতা নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ করে।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী কোস্টগার্ড সদস্যদের সাহসিকতা ও বিশেষ কৃতিত্বের জন্য পদক তুলে দেন।
অনুষ্ঠানে কোস্টগার্ডের কার্যক্রমের ওপর একটি ভিডিও ডকুমেন্টারি প্রদর্শিত হয়।
তিনি বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান প্রত্যক্ষ করেন এবং একটি গাছের চারা রোপণ করেন।
আরও পড়ুন: আরও বেশি সংখ্যক নারীকে বিজ্ঞানে উৎকর্ষতা লাভের সুযোগ দিন: আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি প্রধানমন্ত্রী
অনির্বাচিত সরকারের দুঃস্বপ্ন থেকে বেরিয়ে আসুন: প্রধানমন্ত্রী
গ্রামের মানুষকে চাষাবাদের কাজে সাহায্য করুন: আনসার ও ভিডিপি’র সদস্যদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আনসার ও ভিডিপি’র সদস্যদেরকে বলেছেন, গ্রামের মানুষকে চাষাবাদের কাজে সাহায্য করুন।
রবিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গাজীপুরের সফিপুরে আনসার ও ভিডিপি একাডেমিতে বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপির ৪৩তম জাতীয় সম্মেলন-২০২৩-এ প্রধান অতিথির ভাষণে এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ আর কখনো পেছনে ফিরে তাকাবে না এবং উন্নত, সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার পথে এগিয়ে যাবে।
তিনি বলেন, ‘ইনশাআল্লাহ, এ দেশ আর কখনো পেছনে ফিরে তাকাবে না… আমাদের দেশ হবে 'স্মার্ট বাংলাদেশ'। আমরা ‘সোনার বাংলা'পাব।’
আরও পড়ুন: সীতাকুণ্ডে আনসার ভিডিপির প্রশিক্ষকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ
তিনি আরও বলেন, ‘মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে দেশ স্বাধীন হয়েছে। আজ বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের স্বীকৃতি পেয়েছে এবং আমরা আরও এগিয়ে যেতে চাই। আমরা আর্থ-সামাজিক অগ্রগতি নিশ্চিত করার পাশাপাশি বাংলাদেশকে একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে চাই।’
শেখ হাসিনা বলেন, দেশের মানুষ কারও কাছে ভিক্ষা চাইবে না। করোনা মহামারি আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অর্থনীতির ওপর ব্যাপক চাপ সৃষ্টি করেছে। অন্যদিকে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ কেবল বাংলাদেশে নয়, বিশ্বব্যাপী মন্দা সৃষ্টি করেছে।
তিনি বলেন, ‘আমি সবাইকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পদাঙ্ক অনুসরণ করার আহ্বান জানাচ্ছি… আবাদি জমির এক ইঞ্চিও অব্যবহৃত রাখবেন না।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সে জন্য আনসার ও ভিডিপি বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারে। তারা গ্রামের লোকদের সাহায্য করতে পারে এবং তাদের ফসল উৎপাদন ও সংরক্ষণের জন্য বিভিন্ন চাষাবাদের কাজে নিযুক্ত করতে পারে। আমি আশা করি আপনারা অবদান রাখবেন।’
অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল, জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব আমিনুল ইসলাম খান এবং বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল এ কে এম আমিনুল হক প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান।
প্রধানমন্ত্রী নিজ নিজ ক্ষেত্রে অসামান্য অবদানের জন্য ১৮০ জন আনসার ও ভিডিপি সদস্যের হাতে পদক তুলে দেন।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধু ফেডারেশন কাপ হ্যান্ডবল: টিম হ্যান্ডবল ঢাকাকে হারাল আনসার ও ভিডিপি
আরও বেশি সংখ্যক নারীকে বিজ্ঞানে উৎকর্ষতা লাভের সুযোগ দিন: আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আরও বেশি সংখ্যক নারী ও মেয়েদের বিজ্ঞানে উৎকর্ষতা লাভের সুযোগ দিতে সবার মানসিকতা পরিবর্তনে এবং শিক্ষার পরিবেশের প্রতিবন্ধকতা মোকাবিলায় কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘এটি দুর্ভাগ্যজনক যে বিশ্বব্যাপী মাত্র ১২ শতাংশ নারী বিজ্ঞানী এবং ২০ শতাংশ নারী গবেষকদের প্রতিনিধিত্ব করেন। আমাদের অবশ্যই মানসিকতা এবং শিক্ষার পরিবেশের প্রতিবন্ধকতাগুলো মোকাবিলা করার জন্য কাজ করতে হবে, যাতে আরও বেশি নারী ও মেয়েরা বিজ্ঞানে পারদর্শী হতে পারে।’
শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত বিজ্ঞান সমাবেশে অষ্টম আন্তর্জাতিক নারী ও বালিকা দিবসে প্রদর্শিত এক ভিডিও বিবৃতিতে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘আজ আমরা সেই নারী ও মেয়েদের নিয়ে গৌরব করি যারা বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল এবং গণিতের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।’
শেখ হাসিনা নারী ও মেয়েদের নিজেদের পরিবর্তনের এজেন্ট হিসেবে কাজ করার আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: এসডিজি বাস্তবায়নে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে: প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘ নারী ও মেয়েদের মনে রাখতে হবে যে তারা একা নন। তারা যে পদক্ষেপগুলো নেয়, তা তাদের সারা বিশ্বের বোনদের জন্য আরও দুয়ার (সুযোগ) উন্মুক্ত করতে সাহায্য করবে।’
তিনি বাংলাদেশের নারীদের উন্নয়নে তার সরকারের পদক্ষেপের ওপর আলোকপাত করেন।
বাংলাদেশের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘প্রতিটি ক্ষেত্রে আমাদের নারী ও মেয়েদের নেতৃত্ব দেয়ার বিষয়টিকে আমি অগ্রাধিকার দিয়েছি। গবেষণা ও উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে আমাদের নারীরা খুব ভালো করছে।’
তিনি বলেন, বাংলাদেশে কৃষি, শিল্প, স্বাস্থ্য, বিজ্ঞান, শিল্প ও তথ্যপ্রযুক্তি- সব ক্ষেত্রে গবেষণা করার জন্য মেয়েদের বৃত্তি দেয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, মেয়েদের উত্সাহিত করার জন্য সারা বাংলাদেশে ৫ হাজার ২৭৫টি ডিজিটাল সেন্টার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার ছেলে ও মেয়েদের জন্য সারা দেশে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছে। হাই-টেক পার্কগুলো একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক পরিবেশ তৈরি করেছে, যেখানে দেশের ছেলেদের পাশাপাশি আমাদের মেয়েরাও উন্নতি করতে পারে।
শেখ হাসিনা বিজ্ঞানের উদ্ভাবন ও সৃজনশীলতার সম্ভাবনাপূর্ণ নারী ও মেয়েদের দেখতে চান।
তিনি বলেন, ‘উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলোতে তাদের জন্য থাকা সুযোগের অসামঞ্জস্যতাগুলো অবশ্যই আমাদের পূরণ করতে হবে। আমরা চাই আমাদের মেয়েরা স্মার্ট ও জ্ঞানভিত্তিক সমাজ গঠনে অংশগ্রহণ করুক।’
প্রধানমন্ত্রী এই আন্তর্জাতিক নারী ও কন্যাশিশু দিবসে সকল নারী ও মেয়েদের অভিনন্দন জানিয়েছেন।
রয়্যাল একাডেমি অব সায়েন্স ইন্টারন্যাশনাল ট্রাস্ট (আরএএসআইটি) এবং সহ-সংগঠক সদস্য রাষ্ট্রগুলো জাতিসংঘের সদর দপ্তরে বিজ্ঞানে নারী ও মেয়েদের আন্তর্জাতিক দিবস উদযাপন করেছে।
এবারের সমাবেশের প্রতিপাদ্য হল- ‘ইনোভেট. ডিমোন্সস্ট্রেট. এলেভেট. এডভান্স. (আই.ডি.ই.এ.) টু ব্রিং কমিউনিটিস ফরওয়ার্ড ফর সাসটেইনেবল এন্ড ইকুইটেবল ডেভেলপমেন্ট।’
আরও পড়ুন: জলবায়ু পরিবর্তনে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে বিশ্বব্যাংকের সহযোগিতা করা উচিৎ: প্রধানমন্ত্রী
বাংলাদেশকে ঋণ দিতে আইএমএফ’র কোনো শর্ত নেই: সংসদে প্রধানমন্ত্রী