প্রধানমন্ত্রীর-কার্যালয়
অনির্বাচিত সরকারের দুঃস্বপ্ন থেকে বেরিয়ে আসুন: প্রধানমন্ত্রী
অনির্বাচিত সরকারকে যারা ক্ষমতায় আনার স্বপ্ন দেখছেন তাদের এই দুঃস্বপ্ন থেকে বেরিয়ে আসতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘যারা অনির্বাচিত সরকারের স্বপ্ন দেখছেন, দয়া করে এই দুঃস্বপ্ন থেকে বেরিয়ে আসুন। এটা জীবনে কখনই ঘটবে না।’
বৃহস্পতিবার বর্তমান একাদশ জাতীয় সংসদের ২১তম অধিবেশনে সংসদ নেতা শেখ হাসিনা তার সমাপনী ভাষণে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, কিছু লোক বলছে যে একটি অনির্বাচিত সরকার যদি দুই থেকে তিন বছর ধরে দেশ চালায় তবে কোনও ক্ষতি হবে না এবং এটি মহাভারতকে অশুদ্ধ করবে না।
যারা অনির্বাচিত সরকার আনতে চায় তাদের বিরুদ্ধে দেশবাসীকে সতর্ক থাকতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘যারা এ ধরনের কথা বলেন, তারা কি আসলেই এদেশের মানুষের কল্যাণ চান? তারা ব্যক্তিগত লাভকে অগ্রাধিকার দেয়। সুতরাং, দেশের জনগণকে তাদের বিরুদ্ধে সতর্ক ও সাবধান থাকতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের মডেল হিসেবে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত। কিন্তু জাতির পরিবর্তন তাদের নজরে আসে না। এটিকে দুর্ভাগ্যজনক,’ বলে আখ্যা দেন তিনি।
আরও পড়ুন: জনগণকে হয়রানি না করে কর দিতে উৎসাহিত করুন: প্রধানমন্ত্রী
‘এখন তারা অনির্বাচিত সরকার আনতে চায়’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশের মানুষ ব্যবসা-বাণিজ্যের উন্নয়নের ধ্বংস প্রত্যক্ষ করেছে, দেশের উৎপাদন ব্যাহত করেছে এবং অতীতে অনির্বাচিত সরকারের আমলে ভীতিকর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘তারা কি দেশের মানুষকে আবারও ভীতিকর পরিস্থিতির দিকে নিয়ে যেতে চায়। জনগণের ভাগ্য আবারও অনিশ্চয়তায় ঠেলে দিতে চায়?
২০২৩ বর্ষপঞ্জির আলোকে বছরের প্রথম অধিবেশন ২৫টি বৈঠকের পর মূলতবি করা হয়।
বৃহস্পতিবার রাতে রাষ্ট্রপতির মূলতবির আদেশ পাঠ করেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।
এর আগে ৫ জানুয়ারি শুরু হওয়া নববর্ষের প্রথম অধিবেশনের শুরুতে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ তার ভাষণ দেন।
পরে, সংসদ সদস্যরা রাষ্ট্রপতির ভাষণে ধন্যবাদ প্রস্তাবের ওপর ৪০ ঘন্টা ২৭ মিনিট আলোচনার পরে, রাষ্ট্রপতিকে ধন্যবাদ জানানোর প্রস্তাব গৃহীত হয়।
আরও পড়ুন: এসডিজি বাস্তবায়নে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে: প্রধানমন্ত্রী
রূপপুর, শশীদল ও জয়দেবপুর রুটে নবনির্মিত ৩ রেললাইনের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
রূপপুর, শশীদল ও জয়দেবপুর রুটে যাত্রী ও মালামাল পরিবহন সহজ করতে নবনির্মিত তিনটি রেললাইনে একযোগে ট্রেন চলাচলের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি ৬৯ দশমিক ২০ কিলোমিটার লাইনের উদ্বোধন করেন।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় ৩৩৫ কোটি টাকা ব্যয়ে রূপপুর পর্যন্ত ১১ কিলোমিটার দীর্ঘ রেললাইন নির্মাণ করেছে।
নির্মাণ কাজ শুরু হয় ২০১৮ সালের এপ্রিলে। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে মালামাল পরিবহনের জন্য এটি একটি ডেডিকেটেড রেললাইন।
আরও পড়ুন: আ.লীগ সরকারের অধীনে নির্বাচন অবাধ ও নিরপেক্ষ হবে: প্রধানমন্ত্রী
প্রকল্পের অংশ হিসেবে, হার্ডিঞ্জ ব্রিজের কাছে একটি নতুন রেল স্টেশন নির্মিত হয়। এছাড়া ঈশ্বরদী বাইপাস স্টেশন থেকে রূপপুর প্লান্ট পর্যন্ত সাইডিং ও লুপ লাইনসহ ২৬ দশমিক ৫২ কিলোমিটার দীর্ঘ ডুয়েলগেজ রেললাইন স্থাপন করা হয়েছে।
টঙ্গী থেকে জয়দেবপুর পর্যন্ত ১১ কিলোমিটার দীর্ঘ ডুয়েলগেজ ডাবল লাইনটি ঢাকা-টঙ্গী-জয়দেবপুর রুটে ট্রেনের ট্রিপের সংখ্যা বাড়াতে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষকে সহায়তা করবে। যা বাংলাদেশ রেলওয়ের সমগ্র পশ্চিম জোনকে সংযুক্ত করে।
ভারতের অর্থায়নে এক হাজার ৩০০ কোটি টাকা ব্যয়ে দ্বিতীয় লাইনটি নির্মাণ করা হয়।
ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে ১৪ কিলোমিটার দীর্ঘ ডুয়েলগেজ ডাবল লাইনের সেকশনগুলো হলো কাশবা থেকে মান্দাবাগ এবং শশীদল থেকে রাজাপুর।
এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের অর্থায়নে একটি প্রকল্পের আওতায় এই নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে।
আরও পড়ুন: এসডিজি বাস্তবায়নে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে: প্রধানমন্ত্রী
দক্ষতা উন্নয়ন, বিশেষ করে আইসিটি বিষয়ে প্রশিক্ষণ গ্রহণ কর: এইচএসসির ফল প্রকাশকালে শিক্ষার্থীদের প্রধানমন্ত্রী
এসডিজি বাস্তবায়নে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তার সরকার দেশে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) বাস্তবায়নে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
বুধবার বেলজিয়ামের রানী ম্যাথিল্ড মেরি ক্রিস্টিন তার কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাতকালে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য লেখক মো. নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
জাতিসংঘের এসডিজি’র ২০২১-২০২৩ সালের পরিকল্পনায় সংযুক্ত ম্যাথিল্ডকে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ২০২১ থেকে ২০৪১ সালের পরিকল্পনার পরিপ্রেক্ষিতে ২০৩০ এর বৈশ্বিক পরিকল্পনা ও এসডিজি’র লক্ষ্যগুলো দেশের বর্তমান ৮ম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে।
বৈঠকে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী, নারীর ক্ষমতায়ন, মেয়েদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও জলবায়ু পরিবর্তনসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়।
আরও পড়ুন: ‘রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নোবেল পুরস্কার পাওয়া উচিত’
যুদ্ধ সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সারা বিশ্বের মানুষের দুর্ভোগ লাঘব করতে অবিলম্বে যুদ্ধ বন্ধ করতে হবে।
তিনি উল্লেখ করেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ সারা বিশ্বে অস্থিতিশীলতা এবং উচ্চ মুদ্রাস্ফীতির সৃষ্টি করেছে। দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে জনগণকে। এটি অবিলম্বে বন্ধ করা উচিত।’
সফররত বেলজিয়ামের রানী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিভিন্ন খাতে অর্জিত বাংলাদেশের অগ্রগতির ভূয়সী প্রশংসা করেন।
বিশেষ করে শিক্ষায় নারী ও শিশুদের উন্নয়নের প্রশংসা করেন তিনি।
ম্যাথিল্ড বলেন, বাংলাদেশের অগ্রগতি দেখে তিনি খুবই খুশি।
রাজনীতি, প্রতিরক্ষা ও বিচার বিভাগ নারী শিক্ষাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে নারীর ক্ষমতায়নের পাশাপাশি নারীর কর্মসংস্থান এবং ক্ষতিগ্রস্ত নারী- বয়স্ক নারী, বিধবা এবং বিয়ে বিচ্ছেদ হওয়া নারীদের সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় আনার বিষয়ে তার সরকারের পদক্ষেপ সম্পর্কে রানীকে অবহিত করেন শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, নারী ও শিশুরা মূলত সারাদেশে ১৮ হাজারেরও বেশি কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা পাচ্ছে। ক্লিনিক থেকে প্রায় ৩০ ধরনের ওষুধ বিনামূল্য দেয়া হয়।
রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ মানবিক কারণে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছে। সরকার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে হাজার হাজার গর্ভবতী মহিলার জন্য মাঠ হাসপাতাল স্থাপন করেছে যারা প্রাথমিকভাবে বাংলাদেশে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের সময় কক্সবাজারে এসেছিলেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ এ পর্যন্ত ৩৪ হাজার রোহিঙ্গাকে কক্সবাজার থেকে ভাষানচর দ্বীপে স্থানান্তর করে তাদের জন্য উন্নত পরিবেশ নিশ্চিত করেছে।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার ওপর আলোকপাত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশের সাফল্য বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত হয়েছে। সাম্প্রতিক ঘূর্ণিঝড় এবং অন্যান্য দুর্যোগে হতাহতের সংখ্যা ব্যাপকভাবে হ্রাস পেয়েছে।
তিনি বলেন, সরকার উপকূলীয় এলাকায় ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র ও টেকসই ঘর নির্মাণ করেছে এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার জন্য সারা দেশে ৮৫ হাজার স্বেচ্ছাসেবককে প্রশিক্ষণ দিয়েছে।
বাংলাদেশকে অন্যতম জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশ উল্লেখ করে শেখ হাসিনা জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় তার সরকারের উদ্যোগের কথা তুলে ধরেন। যার মধ্যে রয়েছে জলবায়ু ট্রাস্ট ফান্ড গঠন, সবুজ এলাকা তৈরি, বাঁধ নির্মাণ এবং উপকূলীয় এলাকায় টেকসই বাড়ি নির্মাণ।
বৈঠকে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব এম. তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সমুদ্র বিষয়ক সচিব রিয়ার অ্যাডমিরাল (অব.) মো. খুরশেদ আলম উপস্থিত ছিলেন।
বেলজিয়ামের রানী জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার (এসডিজি) প্রবক্তা হিসেবে তিন দিনের কার্যনির্বাহী সফরে সোমবার সকালে বাংলাদেশে এসেছেন।
রানী সোমবার ঢাকার ইউনিসেফ স্কুল নারায়ণগঞ্জে একটি পোশাক কারখানা পরিদর্শন করেন এবং মঙ্গলবার কক্সবাজারের কুতুপালং-এ বিশ্বের বৃহত্তম শরণার্থী শিবির পরিদর্শন করেন, যেখানে ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গা আশ্রয় নিয়েছে।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে প্রধানমন্ত্রী ২৫টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন রবিবার
বিরোধীরা আমার ব্যর্থতা খুঁজে পেলে সংশোধন করব: সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
তিন ফসলি জমি ধ্বংস করা যাবে না: প্রধানমন্ত্রী
যেসব জমিতে বছরে তিনটি ফসল রোপণ করা হয় সেসব জমি ধ্বংস না করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সোমবার তার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে সভাপতিত্বকালে তিনি এ নির্দেশনা দেন।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন বাংলাদেশ সচিবালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছেন যে তিন ফসলি জমি ধ্বংস করা যাবে না। তিন ফসলি জমিতে কোনো প্রকল্প নেয়া যাবে না। বরং এই জমিগুলোকে রক্ষা করতে হবে।’
তিনি বলেন, সরকার এখন নিয়মিত তিন ফসলি জমি রক্ষার বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করবে।
বিভিন্ন মন্ত্রণালয় সোলার ইনস্টলেশন ও ভবন নির্মাণের মতো উন্নয়নমূলক কাজে তিন ফসলি জমি ব্যবহারের জন্য কিছু প্রস্তাব পাওয়ার পর এই নির্দেশনা আসে।
আরও পড়ুন: জনগণকে হয়রানি না করে কর দিতে উৎসাহিত করুন: প্রধানমন্ত্রী
পাতাল মেট্রোরেল বাংলাদেশের অগ্রগতির আরেকটি মাইলফলক: প্রধানমন্ত্রী
‘হাইড্রোজেন বিদ্যুৎ’ উৎপাদনের বিকল্প খতিয়ে দেখা হচ্ছে: প্রধানমন্ত্রী
সংসদ সদস্য মোসলেম উদ্দিনের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
মুক্তিযোদ্ধা ও চট্টগ্রাম-৮ আসনের সংসদ সদস্য মোসলেম উদ্দিন আহমদের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
আরও পড়ুন: দুদু’র মৃত্যুতে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর শোক
সোমবার এক শোক বার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, চট্টগ্রাম দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি মোছালেম উদ্দিন ১৯৬৯ সালে সরকারি কমার্স কলেজের সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে সাড়া দিয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন।
তিনি বলেন, ১৯৭০ থেকে ১৮২ সাল পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের চট্টগ্রাম মহানগর ও জেলায় বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ২০০৫ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং ২০১৩ সাল পর্যন্ত চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
মোসলেম উদ্দিনের মৃত্যুতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ একজন নিবেদিতপ্রাণ নেতাকে হারালো।
আরও পড়ুন: সাংবাদিক তানজিম আনোয়ারের বাবার মৃত্যুতে ডিকাবের শোক
জনগণকে হয়রানি না করে কর দিতে উৎসাহিত করুন: প্রধানমন্ত্রী
গত ১৪ বছরে দেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থার আমূল উন্নতি হওয়ায় জনগণকে কর দিতে উদ্বুদ্ধ করতে তৃণমূলে প্রচারণা চালানোর জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে রবিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন।
‘আপনি যদি সেখানে (উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে) ভালোভাবে প্রচারণা চালান, তাহলে জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে (কর দিতে) এগিয়ে আসবে। তারা (করদাতারা) এখন সেবা পাচ্ছেন। সুতরাং, পরিষেবাগুলি পেতে কর দিতে হবে,’ তিনি বলেন।
রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে রাজস্ব সম্মেলন ২০২৩ উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
দেশের রাজস্ব ব্যবস্থাপনা ব্যবস্থার উন্নয়নে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) দুই দিনব্যাপী প্রথম এ ধরনের সম্মেলনের আয়োজন করে।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘গত ১৪ বছরে তৃণমূলসহ দেশের মানুষের আর্থ-সামাজিক অবস্থার আমূল পরিবর্তন হয়েছে। সুতরাং, উপজেলা এমনকি ইউনিয়ন পর্যায়েও এমন লোক আছে যাদের কর দেয়ার ক্ষমতা আছে।’
আরও পড়ুন: দেশের প্রথম পাতাল মেট্রোরেলের নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
এই প্রেক্ষাপটে, তিনি দেশের সমস্ত সক্ষম ব্যক্তিদের কর দিতে বলেন। কারণ সরকার তাদের জন্য পরিষেবা উন্নত করতে করের অর্থ ব্যয় করবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিদ্যমান মূল্যস্ফীতির মধ্যে করের হার না বাড়িয়ে সরকার কর নেট বাড়াতে চায়। ‘আমাদের করদাতার সংখ্যা বাড়াতে হবে,’ তিনি বলেছিলেন।
তিনি বলেন, দেশে আয়করদাতার সংখ্যা এখনও খুবই কম। প্রকৃতপক্ষে, এর কারণ হল মানুষ অনেক ঝামেলার সম্মুখীন হয় এবং এখানে সচেতনতার অভাব রয়েছে।
‘কোনো জবরদস্তি করা উচিত নয়। জনগণকে যেন কোনো ভীতিকর পরিস্থিতিতে ফেলা না হয়। জনগণকে অনুপ্রাণিত করতে হবে,’ প্রধানমন্ত্রী যোগ করেন।
কর ফাঁকি বন্ধ করে সুষ্ঠুভাবে ব্যবসা পরিচালনার জন্য জনগণের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
এনবিআরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রতি ইঙ্গিত করে প্রধানমন্ত্রী জনগণের সেবা করার মানসিকতা নিয়ে তাদের পেশাগত দায়িত্ব পালনেরও আহ্বান জানান।
তিনি এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আন্তরিকভাবে কাজ করে রাজস্ব আদায় বাড়ানোর পদক্ষেপ নিতে বলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এটি করের নেট প্রসারিত করতে হবে এবং জনগণকে উদ্বুদ্ধ করতে হবে যাতে বৃহত্তর সংখ্যক মানুষ কর প্রদান করে।’
দুই দিনের রাজস্ব সম্মেলনে ভ্যাট, শুল্ক, আয়কর এবং অনলাইন পরিষেবা সম্পর্কে আরও সচেতনতা বাড়াতে চায়।
সম্মেলনের সাইডলাইনে ভ্যাট, শুল্ক ও আয়কর নিয়ে তিনটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে। কর সংক্রান্ত বিষয়ে জনগণকে সচেতন করার জন্য তথ্য বুথও থাকবে।
সম্মেলন পরিদর্শন করে জনগণ ভ্যাট, শুল্ক ও আয়কর সম্পর্কে আরও জ্ঞান অর্জন করতে পারে।
অনুষ্ঠানে এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনীম এবং এনবিআর সদস্য আব্দুল মান্নান শিকদার ও প্রদ্যুত কুমার সরকার বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: পাতাল মেট্রোরেল বাংলাদেশের অগ্রগতির আরেকটি মাইলফলক: প্রধানমন্ত্রী
নবনির্মিত রাজস্ব ভবন উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
এছাড়াও রবিবার প্রধানমন্ত্রী রাজধানীর আগারগাঁও এলাকায় নবনির্মিত রাজস্ব ভবনের উদ্বোধন করেন, যেটি এনবিআরের প্রধান কার্যালয় হিসাবে ব্যবহৃত হবে।
তিনি ১২ তলা ভবনের নাম ফলক উন্মোচন করেন এবং সকালে রাজস্ব ভবন পরিদর্শন করেন।
৪১২ কোটি টাকা ব্যয়ে আধুনিক ও দৃষ্টিনন্দন ভবনটি নির্মাণ করেছে গণপূর্ত বিভাগ।
এ বছরের ১ মার্চ থেকে এনবিআর সম্পূর্ণভাবে নতুন ভবনে অফিস শুরু করবে।
আরও পড়ুন: বিদ্যুৎ ও আপ্যায়ন খরচ অর্ধেকে নামিয়ে এনেছে প্রধানমন্ত্রীর অফিস
বিদ্যুৎ ও আপ্যায়ন খরচ অর্ধেকে নামিয়ে এনেছে প্রধানমন্ত্রীর অফিস
সাশ্রয়ী নীতি অনুসরণ করে খরচের লাগাম টেনে ধরেছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অফিস। ইতোমধ্যে বিদ্যুৎ বিল ও আপ্যায়ন খরচ কমিয়ে প্রায় অর্ধেকে নামিয়ে আনা হয়েছে; আর জ্বালানি তেল খরচ কমানো হয়েছে প্রায় ৪ ভাগের এক ভাগ।
এছাড়া, বিভিন্ন খাতে বরাদ্দ কমিয়ে ২০২২-২০২৩ অর্থ বছরের সংসদীয় বাজেট থেকে ২৬ কোটি ৪৩ লাখ ফেরত দিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়।
গত অর্থবছরের জুন-সেপ্টেম্বর ২০২২ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ব্যয়ের হিসেব থেকে দেখা যায়, বিদ্যুৎ বিল হ্রাস পেয়েছে ৪৬ দশমিক ৮৪ শতাংশ, জ্বালানি তেল অকটেন ও ডিজেলের ব্যবহার কমানো হয়েছে ২৩ দশমিক ৩৪ শতাংশ এবং আপ্যায়ন খাতের ব্যয় কমানো হয়েছে ৪৫ দশমিক ৮৬ শতাংশ।
পযার্য়ক্রমে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও আপ্যায়ন খাতের ব্যয় কমিয়ে আনে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়।
২০২২ সালের জুন মাসে বিদ্যুৎ খাতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ব্যয় ছিল ২৩ লাখ আট হাজার ৮৩৮ টাকা। জুন থেকে ৭ দশমিক ৩০ শতাংশ কমিয়ে জুলাইয়ে হয় খরচ ২১ লাখ ৩৮ হাজার ৬২৫ টাকা। জুন থেকে খরচ ৩১ দশমিক ৮৪ শতাংশ কমিয়ে আগস্টের ব্যয় ১৫ লাখ ৭৩ হাজার ৮১৩ টাকা। জুন থেকে খরচ ৪৬ দশমিক ৮৪ শতাংশ (প্রায় অর্ধেক) কমিয়ে সেপ্টেম্বরে বিদ্যুৎ খাতের ব্যয় ১২ লাখ ২৭ হাজার ৩৫৩ টাকায় নামিয়ে আনা হয়।
২০২২ এর জুনে পরিবহনের জন্য জ্বালানি খাতে অকটেন ও ডিজেলের ব্যবহার ছিল ৪১ হাজার ৪০২ লিটার। জুন থেকে চার হাজার ৪০০ লিটার (১০ দশমিক ৬৩ শতাংশ) কমিয়ে জুলাইয়ে জ্বালানি তেলের ব্যবহার হয় ৩৭ হাজার ২ লিটার। জুন থেকে ১৫ দশমিক ৮৫ শতাংশ ব্যবহার কমিয়ে আগস্টে জ্বালানি তেলের ব্যবহার হয় ৩৪ হাজার ৮৪১ লিটার। আর জুন মাস থেকে ৯ হাজার ৬৬৬ লিটার তেল (২৩ দশমিক ৩৪ শতাংশ) কম ব্যবহার করে সেপ্টেম্বরে তেলের মোট ব্যবহার ৩১ হাজার ৭৩৬ লিটারে নামিয়ে আনা হয়।
আরও পড়ুন: দাম নিয়ন্ত্রণে কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়
জুনে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আপ্যায়ন ব্যয় ছিল তিন লাখ ২১ হাজার ৬৬৫ টাকা। জুন থেকে ১৬ দশমিক ৮১ শতাংশ খরচ কমিয়ে জুলাইয়ের আপ্যায়ন ব্যয় দুই লাখ ৬৭ হাজার ৫৭০ টাকায় নামিয়ে আনা হয়। জুন থেকে ৩২ দশমিক ১০ শতাংশ কমিয়ে আগস্টের আপ্যায়ন ব্যয় দুই লাখ ১৮ হাজার ৪১০ টাকা। জুন থেকে ৪৫ দশমিক ৮৬ শতাংশ খরচ কমিয়ে সেপ্টেম্বর আপ্যায়ন ব্যয় এক লাখ ৭৪ হাজার ১২০ টাকায় নামিয়ে আনা হয়।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, সেপ্টেম্বর পরবর্তী মাসগুলোতেও ব্যয় সাশ্রয়ের ধারা অব্যাহত রেখেছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মহাপরিচালক (প্রশাসন) মো. আহসান কিবরিয়া সিদ্দিকি বলেন, আমরা প্রধানমন্ত্রীর অফিসের ব্যয় কমানোর কাজটি অনেক আগে থেকে শুরু করেছি। বস্তুত দেশে যখন সকল মানুষকে টিকা দেয়ার কার্যক্রম হাতে নিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। তখনই তিনি নির্দেশনা দিয়েছিলেন, যেখান থেকে টাকা বাঁচানো যায় সেই টাকা বাঁচিয়ে আমরা যেন অর্থবিভাগকে বলি ওই টাকাটা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে দিতে। সেই কাজটি আমরা ২০২০ সাল থেকে শুরু করেছি।
তিনি বলেন, ২০২২ সালে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে অর্থনৈতিক সংকট শুরু হলো এবং ঢেউটা বাংলাদেশ পর্যন্ত আসলো তখন প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে আমরা আমাদের অফিসের ব্যয় আরও কমানোর কাজ শুরু করলাম। প্রথমত আমরা বিদ্যুতে হাত দিলাম। তারপরে আমরা পেট্রোল এবং লুব্রিকেন্টের খাত, সেখানেও খুবই বৈজ্ঞানিক উপায়ে গাড়িগুলোকে একটু রেশনিং করে আমরা সেটাও কমিয়ে এনেছি। একই ভাবে আপ্যায়ন খাতেও আমরা ব্যয় কমিয়ে নিয়ে এসেছি। আমরা যে আপ্যায়নের মেনুটি করেছি সেটি খুবই সাদামাটা।
বিভিন্ন খাতে বরাদ্দ কমিয়ে ২০২২-২০২৩ অর্থ বছরের সংসদীয় বাজেট থেকে ২৬ কোটি ৪৩ লাখ টাকা ফেরত দেয়ার কথা জানিয়ে আহসান কিবরিয়া বলেন, এবার বাজেট সংশোধন করতে গিয়ে আমরা দেখলাম বিভিন্ন খাত থেকে প্রায় ২৭ কোটি টাকা আমরা সরকারকে দিয়ে দিতে পারি। একই ভাবে আমরা যখন বাজেটের মিটিং করলাম অর্থ বিভাগের সঙ্গে, তখন আমরা দেখালাম কিছু খাত থেকে আমরা ব্যয় সাশ্রয় করতে পারবো। এভাবে আমাদের ২৬ কোটি ৪৩ লাখ টাকা বের হলো এবং এ টাকা আমরা সংসদীয় বাজেট থেকে আমরা অর্থবিভাগের কাছে সমর্পণ করেছি। এ টাকা সরকারের কোষাগারে চলে গেছে।
চলতি অর্থ বছরের শেষের দিকে প্রধানমন্ত্রীর অফিসের ব্যয় আরও কমে আসবে জানিয়ে তিনি বলেন, এভাবে আমরা একটা পরিকল্পনা ধরে, অর্থ বছরের শুরু থেকেই আমরা এই ব্যয়টি পর্যায়ক্রমে কমিয়ে নিয়ে এসেছি। আমরা চেষ্টায় আছি যেন অর্থবছরের শেষান্তে অর্থাৎ জুলাইতে গিয়ে আমরা আমাদের প্রধানমন্ত্রীর অফিসের ব্যয় আরও কমিয়ে ফেলতে পারি।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে বাংলাদেশ-ব্রুনাই দ্বিপক্ষীয় আলোচনা সম্পন্ন
জরুরি সেবা চালু রাখতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ৬ নির্দেশনা
পাতাল মেট্রোরেল বাংলাদেশের অগ্রগতির আরেকটি মাইলফলক: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের প্রথম পাতাল মেট্রোরেল নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেছেন। তিনি এটিকে (পাতাল মেট্রোরেল) তার নেতৃত্বে বাংলাদেশের অগ্রগতির পথে আরেকটি মাইলফলক হিসেবে অভিহিত করেছেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের উন্নয়ন যাত্রায় আরেকটি মাইলফলক অর্জিত হলো।’
বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী দেশের প্রথম পাতাল মেট্রোরেল প্রকল্প ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট লাইন-১ (এমআরটি-১) নির্মাণ কাজের উদ্বোধন উপলক্ষে ঢাকার উপকণ্ঠে পূর্বাচলে আয়োজিত এক সুধী সমাবেশে বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
এসময় প্রধানমন্ত্রী নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে নির্মাণকাজের ফলক উন্মোচন করে ৩১ দশমিক ২৪১ কিলোমিটার দীর্ঘ এমআরটি লাইন-১ এর উদ্বোধন করেন।
২০২৬ সালের মধ্যে আনুমানিক ৫২ হাজার ৫৬১ দশমিক ৪৩ কোটি টাকা ব্যয়ে পাতাল ও এলিভেটেড উভয় সুবিধা সম্বলিত এমআরটি লাইন-১ নির্মিত হবে।
হাসিনা বলেন, তার দলের ২০১৮ সালের নির্বাচনী ইশতেহারে ঘোষিত ‘সমৃদ্ধির পথে বাংলাদেশ’ স্লোগান অনুযায়ী বাংলাদেশ এক অদম্য গতিতে সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা একের পর এক আমাদের প্রতিশ্রুতিগুলো পূরণ করছি।’
আরও পড়ুন: দেশের প্রথম পাতাল মেট্রোরেলের নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, তার সরকার ২০০৮ সালের নির্বাচনের আগে ঘোষিত প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী রূপকল্প-২০২১ বাস্তবায়ন করেছে এবং সেইসঙ্গে মেট্রোরেল নির্মাণের মাধ্যমে তার ২০১৮ সালের নির্বাচনী ইশতেহারে দেয়া আরেকটি প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেছে।
শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ কোনো প্রতিশ্রুতি দিলে তা পালন করবে।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, কাজের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ জনগণের মন জয় করে ভোট পাচ্ছে।
আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, ২০০৮ সালের সংসদ নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াত জোট ৩০০ আসনের মধ্যে মাত্র ৩০টি আসন পেয়েছিল।
তিনি বলেন, এত বছর তার সরকার জনগণের কল্যাণে কাজ করায় জনগণ এখন আওয়ামী লীগকে ভোট দেয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা জনগণের মঙ্গল নিশ্চিত করেছি। তাই জনগণ আমাদের ভোট দিচ্ছে। আমরা জনগণের আস্থা ও ভরসা পাচ্ছি। আমরা ভোট পাচ্ছি, আমাদের কাজের মাধ্যমে মানুষের মন জয় করছি।’
বুধবারের সংসদীয় উপনির্বাচনের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, বগুড়া ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের উপনির্বাচনেও আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রতীক ‘নৌকা’ জয়ী হয়েছে।
আরও পড়ুন: পাতাল মেট্রোরেল উদ্বোধন ২ ফেব্রুয়ারি
যারা নৌকায় ভোট দিয়েছেন তাদের প্রতি আ.লীগ সভাপতি আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।
প্রথম পাতাল মেট্রো লাইনের দুটি অংশ থাকবে-হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে কমলাপুর (বিমানবন্দর রুট) পর্যন্ত একটি ১৯ দশমিক ৮৭২ কিলোমিটার অংশ ভূগর্ভস্থ এবং নতুন বাজার থেকে পূর্বাচল (পূর্বাচল রুট) পর্যন্ত প্রায় ১১ দশমিক ৩৭ কিলোমিটার এলিভেটেড লাইন।
বিমানবন্দর রুটের ১৬ দশমিক ৪ কিলোমিটার পাতাল অংশে ১২টি স্টেশন এবং পূর্বাচল রুটে সাতটি স্টেশন রয়েছে।
এমআরটি লাইন-১ বাস্তবায়নে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন (জাইকা) ৩৯ হাজার ৪৫০ দশমিক ৩২ কোটি টাকা অর্থায়ন করবে এবং বাকি ১৩ হাজার ১১১ দশমিক ১১ কোটি টাকা সরকারের তহবিল থেকে তোলা হবে।
এমআরটি লাইন-১ দিয়ে প্রতিদিন প্রায় আট লাখ যাত্রী যাতায়াত করতে পারবেন। বিমানবন্দর থেকে কমলাপুর পর্যন্ত ১২টি আন্ডারগ্রাউন্ড স্টেশনে বিরতিসহ যাত্রীদের মাত্র ২৫ মিনিট লাগবে এবং নতুন বাজার থেকে পূর্বাচল পর্যন্ত সাতটি স্টেশনে বিরতিসহ ২১ মিনিট সময় লাগবে।
এছাড়া যাত্রীরা কমলাপুর থেকে নতুন বাজার স্টেশনে ইন্টারচেঞ্জ দিয়ে ১৬টি স্টেশনে বিরতি দিয়ে মাত্র ৪০ মিনিটের মধ্যে পূর্বাচল পৌঁছাতে পারবেন।
২০৩০ সালের মধ্যে রাজধানী ঢাকায় মোট ছয়টি মেট্রোরেল রুট উদ্বোধন করা হবে।
জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) ২০১৯ সালে ৫২ হাজার ৫৬১ দশমিক ৪৩ কোটি টাকায় এমআরটি লাইন-১ প্রকল্প অনুমোদন করেছে।
গত বছরের ২৮ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী এমআরটি লাইন-৬ এর উত্তরা-আগারগাঁও অংশে (উত্তরা-আগারগাঁও-ফার্মগেট-টিএসসি-মতিঝিল-কমলাপুর) দেশের প্রথম মেট্রোরেল সেবার উদ্বোধন করেন। মতিঝিল পর্যন্ত এমআরটি-৬ লাইনের কাজ ২০২৩ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ হবে এবং ২০২৫ সালের জুনের মধ্যে কমলাপুর পর্যন্ত সম্প্রসারিত হবে।
এমআরটি-৫ (উত্তর রুট) নির্মাণ কাজ ২০২৩ সালের জুলাই মাসে উদ্বোধন করা হবে। এমআরটি-৫ (উত্তর রুট) লাইন হবে সাভারের হেমায়েতপুর থেকে গাবতলী, মিরপুর ও গুলশান হয়ে ভাটারা পর্যন্ত।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী ও স্থানীয় সংসদ সদস্য গোলাম দস্তগীর গাজী, বাংলাদেশে জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এবিএম আমিন উল্লাহ নূরী, ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) এমএএন সিদ্দিক এবং জাইকা বাংলাদেশের প্রধান প্রতিনিধি ইচিগুচি তোমোহাইড বক্তৃতা করেন।
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী, বাগেরহাট-১ আসনের সংসদ সদস্য এস.কে. হেলাল উদ্দিন, স্থানীয় নারায়ণগঞ্জের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান, একেএম সেলিম ওসমান, নজরুল ইসলাম বাবু ও লিয়াকত হোসেন খোকা মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ঢাকায় পাতাল রেল: নির্মাণ কাজের উদ্বোধন ২৬ জানুয়ারি
দেশের প্রথম পাতাল মেট্রোরেলের নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের প্রথম ৩১ দশমিক ২৪১ কিলোমিটার পাতাল মেট্রোরেল প্রকল্প রেল ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট লাইন-১ (এমআরটি-১) এর নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেছেন।
বৃহস্পতিবার তিনি নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের পূর্বাচলে এমআরটি লাইন-১ এর উদ্বোধনী ফলক উন্মোচন করেন।
২০২৬ সালের মধ্যে ৫২ হাজার ৫৬১ কোটি ৪৩ লাখ টাকা ব্যয়ে পাতাল ও এলিভেটেড সুবিধা সম্বলিত এমআরটি লাইন-১ নির্মাণ করা হবে।
প্রথম আন্ডারগ্রাউন্ড মেট্রো লাইনে দুটি অংশ থাকবে, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে কমলাপুর (বিমানবন্দর রুট) পর্যন্ত ১৯ দশমিক ৮৭২ কিলোমিটার এবং নতুন বাজার থেকে পূর্বাচল পর্যন্ত প্রায় ১১ দশমিক ৩৭ কিলোমিটার এলিভেটেড লাইন।
আরও পড়ুন: পাতাল মেট্রোরেল উদ্বোধন ২ ফেব্রুয়ারি
বিমানবন্দর-কমলাপুর অংশে ১২টি স্টেশনসহ ১৬ দশমিক ৪ কিলোমিটার পাতাল ও নতুন বাজার-পূর্বাচল অংশে সাতটি স্টেশন থাকছে।
২০৩০ সালের মধ্যে রাজধানীতে মোট ছয়টি মেট্রোরেল রুট উদ্বোধন করা হবে।
এমআরটি লাইন-১ বাস্তবায়নে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন (জাইকা) ৩৯ হাজার ৪৫০ কোটি ৩২ লাখ টাকা এবং বাকি ১৩ হাজার ১১১ কোটি ১১ লাখ টাকা সরকারের তহবিল থেকে নেয়া হবে।
এমআরটি লাইন-১ দিয়ে প্রতিদিন প্রায় আট লাখ যাত্রী যাতায়াত করতে পারবেন। বিমানবন্দর থেকে কমলাপুর পর্যন্ত ১২টি আন্ডারগ্রাউন্ড স্টেশনে বিরতি নিয়ে মাত্র ২৫ মিনিট এবং নতুন বাজার থেকে পূর্বাচল পর্যন্ত সাতটি স্টেশনে বিরতি নিয়ে ২১ মিনিট সময় লাগবে।
এছাড়া কমলাপুর থেকে নতুন বাজার স্টেশনে ইন্টারচেঞ্জের মাধ্যমে ১৬টি স্টেশনে বিরতি দিয়ে মাত্র ৪০ মিনিটের মধ্যে যাত্রীরা পূর্বাচলে পৌঁছাতে পারবেন।
আরও পড়ুন: ঢাকায় পাতাল রেল: নির্মাণ কাজের উদ্বোধন ২৬ জানুয়ারি
এলিভেটেড ও পাতাল উভয় স্টেশনেই লিফট, সিঁড়ি ও এসকেলেটর থাকবে।
জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) ২০১৯ সালে ৫২ হাজার ৫৬১ কোটি ৪৩ লাখ টাকা ব্যয়ে এমআরটি লাইন-১ প্রকল্পের অনুমোদন দেয়।
গত বছরের ২৮ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী এমআরটি লাইন-৬ এর উত্তরা-আগারগাঁও অংশে (উত্তরা-আগারগাঁও-ফার্মগেট-টিএসসি-মতিঝিল-কমলাপুর) দেশের প্রথম মেট্রোরেল পরিষেবার উদ্বোধন করেন। মতিঝিল পর্যন্ত এমআরটি-৬ লাইনের কাজ ২০২৩ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে ও ২০২৫ সালের জুনের মধ্যে কমলাপুর পর্যন্ত সম্প্রসারণ করা হবে।
এমআরটি-৫ (উত্তর রুট) এর নির্মাণ কাজ ২০২৩ সালের জুলাই মাসে উদ্বোধন করা হবে। এমআরটি-৫ লাইনটি সাভারের হেমায়েতপুর থেকে গাবতলী, মিরপুর ও গুলশান হয়ে ভাটারা পর্যন্ত হবে।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী, ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক এমএএন ছিদ্দিক ও জাইকা বাংলাদেশের প্রধান প্রতিনিধি তোমোহিদে ইচিগুচি এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে মেট্রোরেলের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কাজ শুরু
‘হাইড্রোজেন বিদ্যুৎ’ উৎপাদনের বিকল্প খতিয়ে দেখা হচ্ছে: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সমুদ্রের পানি থেকে হাইড্রোজেন বিদ্যুৎ উৎপাদনে আলোচনা চলছে।
সমুদ্রের পানি থেকে হাইড্রোজেন বিদ্যুৎ উৎপাদনের নতুন ধারণার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ বিষয়ে যেসব কোম্পানি প্রস্তাব দিয়েছে তাদের সঙ্গে আলোচনা চলছে।
ক্ষমতাসীন দলের সদস্য আনোয়ার হোসেন খানের এক প্রশ্নের জবাবে জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সম্ভব হলে মাতারবাড়ী, মহেশখালী বা বাঁশখালীতে হাইড্রোজেন বিদ্যুৎ উৎপাদনের সম্ভাব্যতা যাচাই করা হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্বের কিছু দেশে সমুদ্রের জোয়ার ব্যবহার করে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয়, যা ব্যয়বহুল এবং বাণিজ্যিকভাবে সফল হয়নি।
তিনি বলেন, ‘আপাতত ব্যয়বহুল হওয়ায় এ ধরনের বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের কোনো পরিকল্পনা নেই।’
তিনি সমুদ্রের পানি থেকে হাইড্রোজেন বিদ্যুৎ উৎপাদনের ধারণার কথা জানান।
এটি অত্যন্ত ব্যয়বহুল উল্লেখ করে তিনি বলেন, ভবিষ্যতে এ ধরনের বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে ব্যয় কমে গেলে বিদ্যুৎ উৎপাদনে বঙ্গোপসাগরের জোয়ার ব্যবহার করে বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করা যেতে পারে।
ক্ষমতাসীন দলের সংসদ সদস্য কাজিম উদ্দিন আহমেদের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকারের পদক্ষেপের ফলে ২০২২ সালে রেকর্ড সংখ্যক ১১ লাখ ১৩ হাজার ৩৭৪ জন কর্মী বিদেশে কাজে যোগ দিয়েছেন। তাদের মধ্যে নারী শ্রমিকের সংখ্যা এক লাখ পাঁচ হাজার ৪৬৬ জন।
শেখ হাসিনা বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশ ১৬৮টি দেশে জনশক্তি রপ্তানি করে এবং সরকার মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে জনশক্তি রপ্তানি নির্ভরতা কমাতে চায়।
তিনি বলেন, ‘সেই উদ্দেশ্যে, পূর্ব ইউরোপ এবং পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতে জনশক্তি রপ্তানির একটি পদক্ষেপ অব্যাহত আছে।’
ক্ষমতাসীন দলের এমপি মাহফুজুর রহমানের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকারের আমলে এক হাজার ৫৫৮টি সেতু ও সাত হাজার ৪৯৮টি কালভার্ট নির্মাণ বা পুনর্নির্মাণ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন:‘গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত না থাকলে উন্নয়নের এই স্তরে পৌঁছাত না বাংলাদেশ’: প্রধানমন্ত্রী
৯০৪ দশমিক ৪৯ কিলোমিটার রাস্তা চার লেন বা তার বেশি উন্নত করার কাজ চলছে। এর মধ্যে ২৩৫ দশমিক ০৩ কিলোমিটার রাস্তা ইতোমধ্যে চার লেন বা তার বেশি করা হয়েছে।
জাতীয় পার্টির সাংসদ রুস্তম আলী ফরাজীর প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত ১০ হাজার ৪৯৩ দশমিক ২৬ মিলিয়ন ডলারের অভ্যন্তরীণ রেমিট্যান্স প্রবাহ ছিল।
ক্ষমতাসীন দলের সদস্য একেএম রহমতুল্লাহর প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে এক লাখ ৮৭ হাজার ২৯০ জন মুক্তিযোদ্ধার মধ্যে এক লাখ ৮২ হাজার ৩৫২ জনকে ডিজিটাল সার্টিফিকেট এবং ৯৫ হাজার ২৪৫ জনকে স্মার্ট আইডি কার্ড দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল বন্ধ করেছে সংবিধানের ১৫তম সংশোধনী: প্রধানমন্ত্রী