প্রধানমন্ত্রীর-কার্যালয়
‘হাইড্রোজেন বিদ্যুৎ’ উৎপাদনের বিকল্প খতিয়ে দেখা হচ্ছে: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সমুদ্রের পানি থেকে হাইড্রোজেন বিদ্যুৎ উৎপাদনে আলোচনা চলছে।
সমুদ্রের পানি থেকে হাইড্রোজেন বিদ্যুৎ উৎপাদনের নতুন ধারণার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ বিষয়ে যেসব কোম্পানি প্রস্তাব দিয়েছে তাদের সঙ্গে আলোচনা চলছে।
ক্ষমতাসীন দলের সদস্য আনোয়ার হোসেন খানের এক প্রশ্নের জবাবে জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সম্ভব হলে মাতারবাড়ী, মহেশখালী বা বাঁশখালীতে হাইড্রোজেন বিদ্যুৎ উৎপাদনের সম্ভাব্যতা যাচাই করা হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্বের কিছু দেশে সমুদ্রের জোয়ার ব্যবহার করে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয়, যা ব্যয়বহুল এবং বাণিজ্যিকভাবে সফল হয়নি।
তিনি বলেন, ‘আপাতত ব্যয়বহুল হওয়ায় এ ধরনের বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের কোনো পরিকল্পনা নেই।’
তিনি সমুদ্রের পানি থেকে হাইড্রোজেন বিদ্যুৎ উৎপাদনের ধারণার কথা জানান।
এটি অত্যন্ত ব্যয়বহুল উল্লেখ করে তিনি বলেন, ভবিষ্যতে এ ধরনের বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে ব্যয় কমে গেলে বিদ্যুৎ উৎপাদনে বঙ্গোপসাগরের জোয়ার ব্যবহার করে বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করা যেতে পারে।
ক্ষমতাসীন দলের সংসদ সদস্য কাজিম উদ্দিন আহমেদের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকারের পদক্ষেপের ফলে ২০২২ সালে রেকর্ড সংখ্যক ১১ লাখ ১৩ হাজার ৩৭৪ জন কর্মী বিদেশে কাজে যোগ দিয়েছেন। তাদের মধ্যে নারী শ্রমিকের সংখ্যা এক লাখ পাঁচ হাজার ৪৬৬ জন।
শেখ হাসিনা বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশ ১৬৮টি দেশে জনশক্তি রপ্তানি করে এবং সরকার মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে জনশক্তি রপ্তানি নির্ভরতা কমাতে চায়।
তিনি বলেন, ‘সেই উদ্দেশ্যে, পূর্ব ইউরোপ এবং পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতে জনশক্তি রপ্তানির একটি পদক্ষেপ অব্যাহত আছে।’
ক্ষমতাসীন দলের এমপি মাহফুজুর রহমানের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকারের আমলে এক হাজার ৫৫৮টি সেতু ও সাত হাজার ৪৯৮টি কালভার্ট নির্মাণ বা পুনর্নির্মাণ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন:‘গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত না থাকলে উন্নয়নের এই স্তরে পৌঁছাত না বাংলাদেশ’: প্রধানমন্ত্রী
৯০৪ দশমিক ৪৯ কিলোমিটার রাস্তা চার লেন বা তার বেশি উন্নত করার কাজ চলছে। এর মধ্যে ২৩৫ দশমিক ০৩ কিলোমিটার রাস্তা ইতোমধ্যে চার লেন বা তার বেশি করা হয়েছে।
জাতীয় পার্টির সাংসদ রুস্তম আলী ফরাজীর প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত ১০ হাজার ৪৯৩ দশমিক ২৬ মিলিয়ন ডলারের অভ্যন্তরীণ রেমিট্যান্স প্রবাহ ছিল।
ক্ষমতাসীন দলের সদস্য একেএম রহমতুল্লাহর প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে এক লাখ ৮৭ হাজার ২৯০ জন মুক্তিযোদ্ধার মধ্যে এক লাখ ৮২ হাজার ৩৫২ জনকে ডিজিটাল সার্টিফিকেট এবং ৯৫ হাজার ২৪৫ জনকে স্মার্ট আইডি কার্ড দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল বন্ধ করেছে সংবিধানের ১৫তম সংশোধনী: প্রধানমন্ত্রী
অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল বন্ধ করেছে সংবিধানের ১৫তম সংশোধনী: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী দেশের গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করেছে এবং বেআইনিভাবে রাষ্ট্রক্ষমতা দখলের পথ বন্ধ করেছে। একই সঙ্গে কারা ক্ষমতায় যাবে সেই সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতা দিয়েছে জনগণকে।
তিনি বলেন, ‘সংবিধানের ১৫তম সংশোধনীর পর থেকে দেশে স্থিতিশীলতা বিরাজ করছে যা দীর্ঘ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার দিকে পরিচালিত করে। তাই আজকাল কোনো অনির্বাচিত ব্যক্তি অবৈধভাবে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করতে পারে না।’
মঙ্গলবার রংপুর সিটি করপোরেশনের নবনির্বাচিত মেয়র ও কাউন্সিলরদের শপথ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
সংবিধানে কিছু উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন করে ২০১১ সালের ৩০ জুন ১৫তম সংশোধনী সংসদে পাস হয়। যার ফলে অবৈধ ক্ষমতা দখলের অবসান ঘটে।
তিনি বলেন, সুপ্রিম কোর্ট দেশের সংবিধান লঙ্ঘন করে সামরিক আইন জারি করে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখলকে অবৈধ ঘোষণা করেছে এবং এতে দেশের জনগণের ভোট ও গণতান্ত্রিক অধিকার নিশ্চিত হয়েছে।
আরও পড়ুন: বিরোধীরা আমার ব্যর্থতা খুঁজে পেলে সংশোধন করব: সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা ঘোষণার (সর্বোচ্চ আদালতের রায়) পর সংবিধানে (১৫তম) সংশোধনী এনে দেশের গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করেছি। এই গণতন্ত্রের উদ্দেশ্য হলো জনগণের ক্ষমতাকে শক্তিশালী করা এবং কে ক্ষমতায় যাবে বা যাবে না, তা সিদ্ধান্ত নিতে তাদের ক্ষমতায়ন করা।’
কিন্তু, জনগণের ক্ষমতায়ন তথাকথিত বুদ্ধিজীবীদের একটি অংশের জন্য হৃদয় জ্বালার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ তারা কখনই জনগণের ভোটে ক্ষমতায় আসে না।
তিনি বলেন, তারা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করার চেষ্টা করেছে এবং আবারও করছে।
তিনি আরও বলেন, ‘তারা, যারা কখনই জনগণের ভোটে নির্বাচিত হতে পারে না এবং জনগণের মুখোমুখি হতে ভয় পায়, এই কারণে তাদের ভেতরের জ্বালা আছে।’
বাংলাদেশের ইতিহাসে একমাত্র আওয়ামী লীগ সরকারই ১৯৯৯ থেকে ২০০১ মেয়াদে শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর করেছিল বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।
তবে তিনি উল্লেখ করেন, অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোটের প্রস্তাব অনুযায়ী স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স ও ছবিসহ ভোটার তালিকা প্রণয়ন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে প্রধানমন্ত্রী ২৫টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন রবিবার
শেখ হাসিনা বলেন, নির্বাচন কমিশনকে আরও স্বচ্ছ ও জবাবদিহি করতে তার সরকারের প্রণীত নতুন আইন অনুযায়ী সার্চ কমিটির মাধ্যমে গঠন করা হয়েছে। একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সরকার কমিশনকে পূর্ণ আর্থিক স্বাধীনতা দিয়েছে।
জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত রংপুর সিটি কর্পোরেশনের (আরসিসি) নতুন মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফাকে শপথবাক্য পাঠ করান প্রধানমন্ত্রী।
এছাড়া সংরক্ষিত আসন থেকে নির্বাচিত কাউন্সিলরদের শপথ পরিচালনা করেন এলজিআরডি ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।
এসময় মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন এলজিআরডি ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য এবং সঞ্চালনা করেন স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মুহাম্মদ ইব্রাহিম।
গত ২৭ ডিসেম্বর রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে টানা দ্বিতীয়বারের মতো মেয়র পদে জয়ী হন জাতীয় পার্টির প্রার্থী মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা।
আরও পড়ুন: ‘গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত না থাকলে উন্নয়নের এই স্তরে পৌঁছাত না বাংলাদেশ’: প্রধানমন্ত্রী
‘গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত না থাকলে উন্নয়নের এই স্তরে পৌঁছাত না বাংলাদেশ’: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, শুধুমাত্র গণতান্ত্রিক ধারা এবং নির্বাচিত সরকারের ধারাবাহিকতার কারণেই বাংলাদেশ অবিশ্বাস্য অগ্রগতি অর্জন করেছে।
সোমবার প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি রমনা বটমূলে (রমনা পার্ক)গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অধীনে সদ্য সমাপ্ত ১১টি প্রকল্পের উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত না থাকলে বাংলাদেশ উন্নয়নের এই স্তর অর্জন করতে পারত না।
প্রকল্পগুলো ২০২১-২০২২ অর্থবছরে গণপূর্ত বিভাগ, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) এবং জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ বাস্তবায়ন করে।
আরও পড়ুন: আ.লীগ পালাবে না, বাংলাদেশের উন্নয়ন অব্যাহত রাখবে: রাজশাহীতে প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা বলেন, তার সরকার পরিকল্পনা অনুযায়ী বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে গেছে এবং ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ একটি উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা অর্জন করেছে।
তিনি বলেন, ‘শুধুমাত্র গণতন্ত্র ধারাবাহিকভাবে প্রতিষ্ঠিত এবং নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা ২০০৯ সাল থেকে ক্ষমতায় থাকায় এটা সম্ভব হয়েছে।
বাংলাদেশের উন্নয়নে তার সরকারের পদক্ষেপের প্রতি আলোকপাত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা দেশ ও জনগণের সার্বিক উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছি। আজ জনগণের নির্বাচিত সরকার ক্ষমতায় থাকার কারণেই (এ ধরনের উন্নয়ন কাজ সম্পন্ন করা) সম্ভব।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার উন্নয়নে কাজ করায় ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনে জনগণ আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়ে ক্ষমতায় এনেছে। গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত থাকলে জনগণ উন্নয়ন দেখবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, ‘আমি আশা করি আপনারা সবাই গত ১৪ বছরে (২০০৯-২০২৩) বাংলাদেশে যে পরিবর্তন দেখেছেন তার দিকে লক্ষ্য করলে দেখবেন এটা সম্ভব হয়েছে শুধুমাত্র আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকায় কারণে।’
অনুষ্ঠানে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ, গৃহায়ন ও গণপূর্ত সচিব কাজী ওয়াসি উদ্দিন স্বাগত বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে ১ হাজার ৩৩৩ কোটি টাকার ২৬টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
রাজশাহীতে প্রধানমন্ত্রীর সমাবেশে নেতাকর্মীদের ঢল
রাজশাহীতে প্রধানমন্ত্রী ২৫টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন রবিবার
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজশাহী নগরীসহ সারা জেলায় রবিবার এক হাজার ৩১৭ কোটি টাকা ব্যয়ে সম্পন্ন ২৫টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন।
অনুষ্ঠানে তিনি রাজশাহী নগরী ও জেলায় নতুন তথ্য ভবন কমপ্লেক্সসহ ৩৭৬ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ছয়টি নতুন উন্নয়ন প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন।
সম্প্রতি সমাপ্ত উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে- মোহনপুর রেলক্রসিংয়ে ফ্লাইওভার, রাজশাহী পুলিশ সদর দপ্তর ভবন, রাজশাহী সিভিল সার্জন অফিস ভবন, শেখ রাসেল শিশু পার্ক, রাজশাহী সরকারি বালিকা মহাবিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য ছয় তলা ফাউন্ডেশনসহ দোতলা হোস্টেল, রাজশাহী চারঘাট টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজে পাঁচতলা একাডেমিক ভবন, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বহুমুখী ভবন, রাজশাহীর চারঘাট ও বাঘা উপজেলায় পদ্মা নদী রক্ষা বাঁধ, চারঘাট ও বাঘা উপজেলায় পদ্মা নদী ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে ভূমি পুনরুদ্ধার ও নৌচলাচল বৃদ্ধি।
আরও পড়ুন: উন্নয়ন প্রকল্পে পরিবেশের ওপর গুরুত্ব দেয়ার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
প্রকল্পগুলো উদ্বোধন শেষে বিকালে রাজশাহী মাদরাসা মাঠে জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী।
সারদা পুলিশ প্রশিক্ষণ একাডেমিতে ৩৮তম বিসিএস পুলিশ ক্যাডারের প্রবেশনারি সহকারী পুলিশ সুপারদের পাসিং আউট প্যারেডে যোগ দিয়ে রাজশাহী সফর শুরু করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বিসিএস পুলিশ ক্যাডারের ৩৮তম ব্যাচের মোট ৯৭ জন এএসপি সারদা পুলিশ একাডেমিতে বছরব্যাপী প্রশিক্ষণে অংশ নিচ্ছেন।
আরও পড়ুন: একনেকে ৬ উন্নয়ন প্রকল্প অনুমোদন
রাঙামাটিতে ৬ কোটি টাকার ৫ উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন
অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সরকার প্রস্তুতি নিচ্ছে: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানিয়েছেন, সরকার দেশের আগামী সাধারণ নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করতে সব ধরনের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
তিনি বলেছেন, আগামী নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে, আমরা সব ধরনের প্রস্তুতি নিচ্ছি।
বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী তার সংসদ ভবন কার্যালয়ে বিদায়ী সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত নাথালি চুয়ার্ডের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে এ কথা বলেন।
সাক্ষাৎ শেষে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য লেখক এম নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, নির্বাচন কমিশন আইন প্রণয়ন করে সার্চ কমিটির মাধ্যমে সরকার নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠন করেছে।
তিনি বলেন, দেশের নির্বাচন তদারকি করতে বিদেশি পর্যবেক্ষকরা আসবেন এবং তারা স্বাধীনভাবে তাদের কাজ করবেন।
শেখ হাসিনা বলেন, নির্বাচন কমিশন সম্পূর্ণ স্বাধীন এবং এর ওপর ও এর বাজেটের ওপর সরকারের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের প্রধান রাজনৈতিক দল, যার ভিত্তি তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত রয়েছে।
তিনি বলেন, এই রাজনৈতিক দলের জন্ম জনগণ থেকে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি ও জাতীয় পার্টির জন্ম সেনানিবাসে। এই দুই দলের প্রধানরা প্রথমে অবৈধভাবে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে রাষ্ট্রপতি হন, পরে নিজেদের রাজনৈতিক দল গঠন করেন।
আরও পড়ুন: খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে ডিসিদের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
তিনি বলেন, জনগণের মধ্যে তাদের কোনো ভিত্তি নেই।
জামায়াতে ইসলামী সম্পর্কে শেখ হাসিনা বলেন, ‘১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় তারা মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত ছিল। জনগণের মধ্যেও তাদের কোনো ভিত্তি নেই।’
তিনি বলেন, ‘আগামী নির্বাচনে জনগণ আওয়ামী লীগকে ভোট দিলে সরকার গঠন করবে। গত ১৪ বছরে সরকার দেশের ব্যাপক পরিবর্তন করেছে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘২০০৮ সালের নির্বাচনে জনগণ আওয়ামী লীগ ও তার জোটকে দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা দিয়ে ভোট দেয়ায় এটা সম্ভব হয়েছে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সবসময় জনগণের শক্তিতে বিশ্বাস করে এবং গণতন্ত্রের বিকাশে কাজ করে।
রোহিঙ্গা ইস্যু প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, এখানে বসবাসরত ১০ লাখের বেশি মিয়ানমারের নাগরিক বাংলাদেশের জন্য বোঝা।
আরও পড়ুন: বিরোধীরা আমার ব্যর্থতা খুঁজে পেলে সংশোধন করব: সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
বিরোধীরা আমার ব্যর্থতা খুঁজে পেলে সংশোধন করব: সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিরোধী দলগুলো তার সরকারের কোনও ব্যর্থতা জানতে পারলে তা সংশোধনের জন্য প্রস্তুত তিনি।
বুধবার সংসদে প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্নোত্তর পর্বে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য ফখরুল ইমামের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘জনগণ সফলতা এবং ব্যর্থতার বিচার করবে। এটা বিচার করার দায়িত্ব আমার নয়। জনগণের কল্যাণে সততা ও সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য নিয়ে কাজ করলে কেন ব্যর্থ হবো? আমার সফলতা বা সাফল্যের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে জনগণ।’
তিনি জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্যের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘যেহেতু আপনি খুব আগ্রহী, অনুগ্রহ করে আমার ব্যর্থতাগুলো খুঁজে বের করুন, আমি সেগুলো সংশোধন করব।’
তিনি বলেন, সরকার গঠনের পর তৃণমূলের মানুষ ভালো থাকবেন সেই আকাঙ্খা নিয়ে কাজ করেছেন।
তিনি বলেন, ‘মানুষ এখন সুবিধা পাচ্ছে। গত ১৪ বছরে বাংলাদেশে যে আমূল পরিবর্তন হয়েছে তা প্রবীণরা বুঝতে পারবেন’
কিন্তু, তিনি বলেছিলেন যে আজকের প্রজন্ম তা বুঝতে পারবে না।
আরও পড়ুন: মেট্রোরেলের জন্য কমলাপুর স্টেশন ভাঙার প্রস্তাব আমি মেনে নেইনি: প্রধানমন্ত্রী
ক্ষমতাসীন দলের সংসদ সদস্য একেএম রহমতুল্লাহর এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর প্রয়াত জেনারেল জিয়াউর রহমান অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করেন এবং যুদ্ধাপরাধীদের মুক্ত করে পুনর্বাসন করেন।
সংবিধানের দু’টি ধারা পরিবর্তন করে জিয়া তাদের রাজনীতি করতে দেন এবং ভোটের অধিকার দেন।
‘গোলাম আযমসহ অনেক যুদ্ধাপরাধীকে পাকিস্তান থেকে ফিরিয়ে এনে নাগরিকত্ব দেয়া হয়েছে। জিয়া যুদ্ধাপরাধীদের উপদেষ্টা ও মন্ত্রী বানিয়েছেন।’
তিনি বলেন, জিয়ার স্ত্রী খালেদা জিয়াও ক্ষমতায় আসার পর যুদ্ধাপরাধীদের মন্ত্রিসভায় স্থান দিয়েছেন।
‘এভাবে যুদ্ধাপরাধীদের পৃষ্ঠপোষকতা করা একটি জাতির জন্য লজ্জাজনক। প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধারা জিয়ার সঙ্গে হাত মেলাতে রাজি না হওয়ায় মুক্তিযোদ্ধার তালিকা থেকে তাদের বাদ দেয়া হয়। জিয়া অমুক্তিযোদ্ধাদের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করায় তারা অপমানিত হন। তারা প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান দিতে চায়নি।
ক্ষমতাসীন দলের সংসদ সদস্য বেনজীর আহমেদের প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, করোনা মহামারি এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বিশ্ব অর্থনীতিতে প্রভাব ফেলেছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশকে ঋণ দিতে আইএমএফ’র কোনো শর্ত নেই: সংসদে প্রধানমন্ত্রী
‘বাংলাদেশও এর ব্যতিক্রম নয়। অন্যান্য সামগ্রিক অর্থনৈতিক ও সামাজিক নেতিবাচক প্রভাবের পাশাপাশি, এটি দৈনন্দিন প্রয়োজনীয় জিনিসের বাজার মূল্যকে প্রভাবিত করেছে বলেও স্বীকার করেন তিনি।
ক্ষমতাসীন দলের সংসদ সদস্য মোজাফফর হোসেনের সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের পোশাক শিল্প ব্যাপকভাবে বিস্তৃত হয়েছে, কিন্তু সেখানে কারিগরি ব্যক্তি খুঁজে পেতে অসুবিধা হচ্ছে।
তিনি বলেন, বিদেশ থেকে অনেককে এনে চাকরি দেয়া হয়।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তার সরকার এ খাতে দক্ষ জনশক্তি তৈরির লক্ষ্যে টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ প্রতিষ্ঠা করেছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই মুহূর্তে বিসিএসে নতুন কোনো ক্যাডার তৈরির কোনো পরিকল্পনা সরকারের নেই। ‘তবে ভবিষ্যতে এটি বিবেচনা করা যেতে পারে।’
আরও পড়ুন: জলবায়ু পরিবর্তনে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে বিশ্বব্যাংকের সহযোগিতা করা উচিৎ: প্রধানমন্ত্রী
খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে ডিসিদের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি, বিদ্যুৎ ও সরকারি তহবিল ব্যবহারে সাশ্রয়ী, বর্তমান পরিস্থিতি মোকাবিলায় কম গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প পরিহার এবং ২০৪১ সালের মধ্যে 'স্মার্ট বাংলাদেশ' বিনির্মাণে নিবেদিত হতে জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) নির্দেশ দিয়েছেন।
মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী তার কার্যালয়ের শাপলা হলে জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) তিন দিনব্যাপী সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ নির্দেশনা দেন।
তিনি তার প্রথম নির্দেশনায় বলেন, ‘খাদ্য উৎপাদন বাড়ানোর জন্য আপনাদের সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাতে হবে। কোথাও কোনো জমি যেন অব্যবহৃত না থাকে… সারা বাংলাদেশে অনাবাদি জমি আছে, এগুলোকে চাষের উপযোগী করে তুলতে পারলে খাদ্য উৎপাদন ও বৈচিত্র্য আনতে আমাদের কোনো সমস্যা হবে না।’
শেখ হাসিনা বলেন যে বৈশ্বিক খাদ্য সংকটে বাংলাদেশ যাতে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেজন্য তিনি এখন কৃষি উৎপাদনকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছেন।
দ্বিতীয় নির্দেশনায় তিনি বলেন, ‘বিদ্যুৎ ও জ্বালানি ব্যবহারে আপনাদেরকে মিতব্যয়ী হওয়ার পাশাপাশি এ বিষয়ে সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে হবে।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে টেকসই খাদ্য উৎপাদন নিশ্চিত করতে ছাদ কৃষি প্রয়োজন: এফএও
জনগণ যাতে সরকারি অফিস থেকে সময়মতো সেবা পায় এবং সেবাগ্রহীতাদের সন্তুষ্টি অর্জন করে তা নিশ্চিত করতে জেলা প্রশাসকদের প্রতি আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন, মুখ্য সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়া, রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার জিএসএম জাফরুল্লাহ, নরসিংদী ও বান্দরবানের জেলা প্রশাসক আবু নাঈম মোহাম্মদ মারুফ খান ও ইয়াসমিন পারভীন তিবরিজি বক্তব্য রাখেন।
বৃহস্পতিবার শেষ হতে যাওয়া জেলা প্রশাসক সম্মেলন-২০২৩-এ এবার বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে ২০টি ওয়ার্কিং সেশনসহ মোট ২৬টি সেশন অনুষ্ঠিত হবে।
এ উপলক্ষে জেলা প্রশাসকরা রাষ্ট্রপতি, প্রধান বিচারপতি ও স্পিকারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন এবং তাদের কাছ থেকে নির্দেশনা নেবেন।
সম্মেলনে ডিসিরা সরকারের বিভিন্ন নীতি, কৌশল ও নির্দেশনা বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন।
সরকারের বিভিন্ন নির্দেশনা ও নীতিমালা বাস্তবায়নের সময় তারা যে সব চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হন, মাঠ পর্যায়ে যে অভিজ্ঞতা অর্জন করেন তার ওপর ভিত্তি করে তারা বিভিন্ন সংস্কার প্রস্তাব নিয়ে আসেন।
কর্মকর্তারা জানান, এ বছর বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও জেলা প্রশাসকদের কাছ থেকে মোট ২৪৫টি প্রস্তাব এসেছে।
আরও পড়ুন: যেকোনো সংকট এড়াতে খাদ্য উৎপাদন বাড়ান: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
দেশকে দুর্ভিক্ষমুক্ত রাখতে খাদ্য উৎপাদন বাড়ানোর আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
বার্ষিক জেলা প্রশাসক সম্মেলনের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) তিন দিনব্যাপী বার্ষিক সম্মেলনের উদ্বোধন করেন।
মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শাপলা হলে সম্মেলনটির উদ্বোধন করা হয়।
বৃহস্পতিবার শেষ হতে যাওয়া জেলা প্রশাসক সম্মেলন-২০২৩-এ এবার বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে ২০টি ওয়ার্কিং সেশনসহ মোট ২৬টি সেশন অনুষ্ঠিত হবে।
এ উপলক্ষে জেলা প্রশাসকরা রাষ্ট্রপতি, প্রধান বিচারপতি ও স্পিকারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন এবং তাদের কাছ থেকে নির্দেশনা নেবেন।
আরও পড়ুন: জলবায়ু পরিবর্তনে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে বিশ্বব্যাংকের সহযোগিতা করা উচিৎ: প্রধানমন্ত্রী
সম্মেলনে ডিসিরা সরকারের বিভিন্ন নীতি, কৌশল ও নির্দেশনা বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন।
সরকারের বিভিন্ন নির্দেশনা ও নীতিমালা বাস্তবায়নের সময় তারা যে সব চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হন, মাঠ পর্যায়ে যে অভিজ্ঞতা অর্জন করেন তার ওপর ভিত্তি করে তারা বিভিন্ন সংস্কার প্রস্তাব নিয়ে আসেন।
কর্মকর্তারা জানান, এ বছর বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও জেলা প্রশাসকদের কাছ থেকে মোট ২৪৫টি প্রস্তাব এসেছে।
অনুষ্ঠানে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন, মুখ্য সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়া, রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার জিএসএম জাফরুল্লাহ, নরসিংদী ও বান্দরবানের জেলা প্রশাসক আবু নাঈম মোহাম্মদ মারুফ খান ও ইয়াসমিন পারভীন তিবরিজি বক্তব্য রাখেন।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে বাংলাদেশের উন্নয়ন এজেন্ডা ও চ্যালেঞ্জ নিয়ে সেমিনার
উন্নয়নের জন্য নিজস্ব তহবিল সংগ্রহ করুন: পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান
জলবায়ু পরিবর্তনে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে বিশ্বব্যাংকের সহযোগিতা করা উচিৎ: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোভিড-১৯ মহামারি, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর প্রতি তাদের সহযোগিতা জোরদার করতে বিশ্বব্যাংক ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
সোমবার সকালে বিশ্বব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অ্যাক্সেল ভ্যান ট্রটসেনবার্গ তার কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য লেখক মো. নজরুল ইসলাম।
শেখ হাসিনা বলেন, কোভিড-১৯ শুরু হওয়ার আগে বাংলাদেশ আকর্ষণীয় ৮ শতাংশের বেশি জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছিল। কিন্তু মহামারির কারণে তা হ্রাস পেয়েছে। বাংলাদেশ যখন প্রবৃদ্ধির গতি পুনরুদ্ধার করছিল, তখন রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে আবারও আঘাত হানে।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে বাংলাদেশের উন্নয়ন এজেন্ডা ও চ্যালেঞ্জ নিয়ে সেমিনার
তিনি বলেন, বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলো খাদ্য ও জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি সহ অর্থনৈতিক পতনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করছে।
প্রধানমন্ত্রী সবুজ বলয়, বনায়ন, টেকসই আবাসন এবং জীবিকা তৈরির মাধ্যমে বিরূপ প্রভাব প্রশমিত করার জন্য জলবায়ু ট্রাস্ট ফান্ড থেকে অর্থায়নে গৃহীত প্রকল্পগুলোসহ জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য তার সরকারের পদক্ষেপ এবং প্রচেষ্টার ওপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করেছেন।
তিনি বলেন, উন্নত দেশগুলো জলবায়ু পরিবর্তনের দায়িত্ব ভাগ করে নেয়, কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত, তারা জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোকে সহায়তা করার প্রতিশ্রুতি পালন করছে না।
বিশ্বব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের অবিশ্বাস্য উন্নয়ন যাত্রার প্রশংসা করেন।
বাংলাদেশে মাথাপিছু আয় ছিল ১৯৭২ সালে মাত্র ৫০ মার্কিন ডলার, যা এখন ২৮২৪ মার্কিন ডলার।
বর্তমান প্রেক্ষাপট সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে অ্যাক্সেল ভ্যান ট্রটসেনবার্গ বলেন, কোভিড-১৯ মহামারি এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সৃষ্ট বর্তমান চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলোতে যুবকদের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনের জন্যও কর্মসংস্থান সৃষ্টি প্রয়োজন।
তিনি বলেন, বিশ্বব্যাংক ১৯৭২ সাল থেকে বাংলাদেশকে সহায়তা করে আসছে এবং দেশের পাশে থাকবে।
বিশ্বব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, ‘বাংলাদেশের সঙ্গে বিশ্বব্যাংকের অংশীদারিত্ব জোরদার করতে আমি এখানে এসেছি।
বাংলাদেশের উন্নয়ন সম্পর্কে শেখ হাসিনা বলেন, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার ধারাবাহিকতা, রাজনৈতিক ভিশন বাস্তবায়নে সরকারের অক্লান্ত পরিশ্রম এবং জনগণের জন্য কাজ করার ইচ্ছার কারণে গত ১৪ বছরে দেশ দ্রুত উন্নয়ন করেছে।
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ডক্টর গওহর রিজভী, অ্যাম্বাসেডর-অ্যাট-লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব এম তোফাজ্জল হোসেন মিয়া এবং অর্থ সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: উন্নয়নের জন্য নিজস্ব তহবিল সংগ্রহ করুন: পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান
বাংলাদেশকে ঋণ দিতে আইএমএফ’র কোনো শর্ত নেই: সংসদে প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে বাংলাদেশের উন্নয়ন এজেন্ডা ও চ্যালেঞ্জ নিয়ে সেমিনার
বাংলাদেশের উন্নয়ন এজেন্ডা ও চ্যালেঞ্জ নিয়ে বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের করবী হলে একটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। গভর্নেন্স ইনোভেশন ইউনিটের আয়োজিত সেমিনারটিতে দেশের ভবিষ্যৎ উন্নয়ন এজেন্ডা সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।
বাংলাদেশের সিভিল সার্ভিসের সক্ষমতা উন্নয়ন বিষয়ে হার্ভার্ড কেনেডি স্কুলের এএসএইচ সেন্টার ফর ডেমোক্রেটিক গভর্নেন্স অ্যান্ড ইনোভেশন এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের গভর্নেন্স ইনোভেশন ইউনিটের মধ্যে সই হওয়া সমঝোতা স্মারকের অংশ হিসেবে এ সেমিনার আয়োজন করা হয়।
সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন- প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. গওহর রিজভী এবং সভাপতিত্ব করেন গভর্নেন্স ইনোভেশন ইউনিটের মহাপরিচালক ড. মোহাম্মদ আবদুল লতিফ।
এতে হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির এএসএইচ সেন্টার ফর ডেমোক্রেটিক গভর্নেন্সের বিশিষ্ট অনুষদ সদস্যরা বিভিন্ন বিষয়ে তাদের বক্তৃতা দেন।
যার মাঝে রয়েছে- পাবলিক ভ্যালু ও পাবলিক এডমিনিস্ট্রেশন, এডমিনিস্ট্রেটিভ রিফর্ম, কস্ট অব ক্লাইমেট চেন্জ-ডিজাস্টার রেসপন্স এবং এনার্জি ট্রানজিশন এর মত বিষয়গুলো।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে বাংলাদেশ-ব্রুনাই দ্বিপক্ষীয় আলোচনা সম্পন্ন
বাংলাদেশের উন্নয়ন এজেন্ডা এবং চ্যালেঞ্জ নিয়ে আলোচনার জন্য বিভিন্ন পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষদ সদস্যরা যেমন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির সাউথ এশিয়ান ইনস্টিটিউট অব পলিসি অ্যান্ড গভর্নেন্স, ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব গভর্নেন্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট, ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনালের সেন্টার ফর এনার্জি রিসার্চ, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ এবং বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব গভর্নেন্স অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট-এর গবেষকদের আমন্ত্রণ জানানো হয় এবং তারা আলোচনায় অংশ নেন।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, অর্থ বিভাগের পেশাজীবী কর্মকর্তাগণও সেমিনারে অংশগ্রহণ করেন। বাংলাদেশ পাবলিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ট্রেনিং সেন্টার, বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন একাডেমি এবং ইনস্টিটিউট অব পাবলিক ফাইন্যান্সের অনুষদ সদস্যরাও এতে অংশ নেন।
অংশগ্রহণকারী ও অতিথিরা তাদের মূল্যবান অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন এবং বাংলাদেশের আসন্ন ভবিষ্যত উন্নয়ন এজেন্ডা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।
আরও পড়ুন: জরুরি সেবা চালু রাখতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ৬ নির্দেশনা
শুধু সেনা ও নৌবাহিনীর ত্রাণ দেয়ার সংবাদ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের খারিজ