প্রধানমন্ত্রীর-কার্যালয়
বিজয় দিবস উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে সন্ধ্যায় ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী
মহান বিজয় দিবস ২০২২ উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং থেকে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ সম্প্রচার করবে রাষ্ট্রায়ত্ত বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতার।
আরও পড়ুন: আমরা বাংলাদেশে মানবাধিকার সমুন্নত রাখি: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস: রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর একাত্তরের বীরদের প্রতি শ্রদ্ধা
সংসদীয় গণতন্ত্রে ইতিবাচক ভূমিকা রাখায় জাপাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী
সংসদীয় গণতন্ত্রে ইতিবাচক ভূমিকা রাখায় জাপাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী
জাতীয় পার্টির (জাপা) নেতারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে মঙ্গলবার বিকালে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন। এসময় আশ্বস্ত করেন যে তারা সংসদ ও এর বাইরে গঠনমূলক ও কার্যকর ভূমিকা অব্যাহত রাখবেন।
বৈঠকে বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ, উপ-বিরোধীদলীয় নেতা ও জাপা চেয়ারম্যান জিএম কাদের এবং প্রয়াত রাষ্ট্রপতি এইচএম এরশাদের ছেলে রাহগীর আল মাহি এরশাদ (সাদ এরশাদ নামেই পরিচিত) উপস্থিত ছিলেন বলে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইংয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বিরোধীদলীয় নেতার খোঁজখবর নেন এবং শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
শেখ হাসিনা সংসদীয় গণতন্ত্রে গঠনমূলক ও ইতিবাচক ভূমিকা পালনের জন্য বিরোধী দল জাতীয় পার্টিকে ধন্যবাদ জানান।
সংসদ নেতা গণতন্ত্র ও সাংবিধানিক সরকার ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করতে বিশ্বব্যাপী বিরোধী দলগুলোর দায়িত্বশীল ভূমিকা নিয়েও আলোচনা করেন।
জাপা নেতারা বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনার আলোকে অনেক বাধা-বিপত্তি মোকাবিলা করে দেশে একটি স্থিতিশীল গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা কার্যকর রয়েছে।
দেশের মানুষ এই ব্যবস্থার সুফল পাচ্ছে এবং প্রতিটি সেক্টরে ইতিবাচক পরিবর্তন আসছে বলে জানান জাপা নেতারা।
তারা আরও বলেন, জাতীয় পার্টি তার রাজনৈতিক অবস্থান থেকে গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক সরকার ব্যবস্থা অব্যাহত রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
বিদায়ী জাপানি রাষ্ট্রদূতের আশা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত থাকবে: ডেপুটি প্রেস সচিব
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের শান্তি, স্থিতিশীলতা, আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের বিদায়ী রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি।
রবিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে সাক্ষাৎকালে তিনি এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি কে এম শাখাওয়াত মুন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, উভয়ে রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়েও আলোচনা করেছেন এবং একমত হয়েছেন যে ১০ লাখেরও বেশি জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিক বাংলাদেশের জন্য একটি বিশাল বোঝা।
আরও পড়ুন: সৌদি প্রধানমন্ত্রী ২০২৩ সালে বাংলাদেশ সফর করবেন: প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়
তারা মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের নিরাপদে স্বদেশে প্রত্যাবর্তনের ওপর জোর দিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী ভাসানচর দ্বীপের উন্নয়নের পর রোহিঙ্গাদের জন্য আশ্রয়স্থল স্থাপনে জাপানের সহায়তার ভূয়সী প্রশংসা করেন।
বাংলাদেশ বিনিয়োগের জন্য একটি লাভজনক স্থান হওয়ায় জাপানের ব্যবসায়ীদের বৃহত্তর বিনিয়োগে আসার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য আরও বাড়বে বলে আশা প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্র বন্দর, ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল এবং ঢাকা মেট্রোরেলের মতো বাংলাদেশের মেগাপ্রকল্প বাস্তবায়নে জাপানের সহায়তার প্রশংসা করেন।
প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের উন্নয়নে অব্যাহত সমর্থন কামনা করেন এবং জাপানের রাষ্ট্রদূত সবসময় দেশের উন্নয়ন প্রচেষ্টায় পাশে থাকার আশ্বাস দেন।
শেখ হাসিনা বিদেশিদের জন্য একটি ডেডিকেটেড ট্যুরিস্ট জোন গড়ে তুলতে জাপানের সহযোগিতাও কামনা করেন।
জাপানি রাষ্ট্রদূত এটিকে একটি ভালো উদ্যোগ হিসেবে বর্ণনা করেন এবং সহযোগিতা করার আগ্রহ প্রকাশ করেন।
শেখ হাসিনা বাংলাদেশে তার মেয়াদ সফলভাবে সমাপ্ত করার জন্য এবং বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য বৃদ্ধিতে তার ভূমিকার জন্য জাপানের রাষ্ট্রদূতকে অভিনন্দন জানান।
জাপানের রাষ্ট্রদূত বলেন, ১৯৭৩ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সফরের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে সম্পর্কের ভিত্তি তৈরি হয়েছিল।
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী সম্মানসূচক “গ্লোবাল এম্বাসেডর ফর ডায়াবিটিস”-এর উপাধিতে ভূষিত
মালয়েশিয়ার নতুন প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমকে প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা
জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা: বাস্তবায়নে আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সহায়তা চান প্রধানমন্ত্রী, প্রয়োজন ২৩০ বিলিয়ন ডলার
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০২৩ থেকে ২০৫০ সালে জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা বাস্তবায়নে বাংলাদেশের প্রচেষ্টাকে সমর্থন করতে আন্তর্জাতিক অংশীদারদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, এজন্য মোট ২৩০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রয়োজন।
রবিবার তিনি বলেন, ‘অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক উভয় সংস্থান থেকে আমাদের জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য আমাদের ২৩০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রয়োজন। বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক জলবায়ু অর্থায়ন থেকে অভিযোজন ও প্রশমনের মধ্যে ৫০-৫০ বন্টনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।’
প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ‘গ্লোবাল হাব অন লোকাললি লেড অ্যাডাপটেশন’ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।
আরও পড়ুন: অভিযোজন গ্লোবাল হাব উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা বলেন, ‘জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা আমাদের বাংলাদেশ ডেল্টা প্ল্যান ২১০০ ও মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনার অধীনে করা কাজের পরিপূরক হবে। আমি প্যারিস চুক্তির চেতনায় এই প্রচেষ্টায় আমাদের সঙ্গে যোগ দেয়ার জন্য আন্তর্জাতিক সরকারি ও বেসরকারি খাত থেকে আমাদের অংশীদারদের আমন্ত্রণ জানাচ্ছি।’
তিনি বলেন, বাংলাদেশ এখন জলবায়ু অভিযোজনে জিডিপির ৬-৭ শতাংশ ব্যয় করে। বাংলাদেশ এ পর্যন্ত ২০০৯ সালে নিজস্ব সম্পদে প্রতিষ্ঠিত একটি জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ডের অধীনে জলবায়ু অভিযোজন ও প্রশমন উভয়ের জন্য ৮০০টি প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে।
তিনি সমস্ত প্রধান কার্বন নির্গমনকারী দেশগুলোকে তাদের জাতীয়ভাবে নির্ধারিত অবদানের সুযোগ আরও বাড়ানোর আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘আমাদের সকলকে অবশ্যই বৈশ্বিক উষ্ণতা ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখার জন্য প্রচেষ্টাকে দ্বিগুণ করতে হবে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ দীর্ঘদিন ধরে অভিবাসনকে জলবায়ু প্রভাবের অভিযোজিত প্রতিক্রিয়া হিসেবে ব্যবহার করে আসছে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে মানুষের গতিশীলতা বৃদ্ধি প্রতিরোধ ও ব্যবস্থাপনা উভয়কেই আমাদের অগ্রাধিকার দিতে হবে।’
ফ্ল্যাগশিপ আশ্রয়ণ কর্মসূচির অধীনে তার সরকার গৃহহীন ও ভূমিহীন মানুষের জন্য প্রায় এক মিলিয়ন আধা পাকা দুর্যোগ সহনশীল বাড়ি নির্মাণ করেছে। কক্সবাজারের খুরুশকুলে জলবায়ু অভিবাসীদের জন্য বিশ্বের সবচেয়ে বড় বহুতল আবাসন প্রকল্প নির্মিত হচ্ছে। প্রায় পাঁচ হাজার জলবায়ু শরণার্থী পরিবার যারা বিভিন্ন দ্বীপ থেকে স্থানান্তরিত হয়েছে, তাদের ইতোমধ্যে সেখানে ১৩৯টি বহুতল ভবনে পুনর্বাসন করা হয়েছে।
স্থানীয় জলবায়ু স্থিতিস্থাপকতা সম্পর্কে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের মানুষ যুগ যুগ ধরে প্রাকৃতিক দুর্যোগ সহ্য করে আসছে। তারা বন্যা, জলোচ্ছ্বাস, ঘূর্ণিঝড় ও অন্যান্য বিপদের বিরুদ্ধে একধরনের স্থিতিস্থাপকতা অর্জন করেছে। তারা প্রকৃতির পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে শিখেছে। তাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টা বাংলাদেশকে জলবায়ু অভিযোজন হাবে পরিণত করেছে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে স্থানীয় সম্প্রদায়ের কাছে তাদের ঐতিহ্যগত জ্ঞান ও জলবায়ু অভিযোজনের সমাধান রয়েছে। সরকার সংস্থান ও উদ্ভাবনের সঙ্গে উক্ত সমাধানগুলোকে সমর্থন করে। এই সংমিশ্রণটি স্থানীয়ভাবে পরিচালিত অভিযোজন ব্যবস্থাগুলোর একটি ক্ষেত্র বিকাশে আমাদের ভালভাবে পরিবেশন করেছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসে বাংলাদেশ এখন রোল মডেল হিসেবে বিবেচিত।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে নারীর ক্ষমতায়নে বেগম রোকেয়ার স্বপ্ন পূরণ হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী
অগ্নিসন্ত্রাসী, স্বাধীনতা বিরোধী শক্তিকে ক্ষমতায় যেতে দেবেন না: প্রধানমন্ত্রী
বাংলাদেশে নারীর ক্ষমতায়নে বেগম রোকেয়ার স্বপ্ন পূরণ হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সংসদে উপনেতার পদ আবারও একজন নারী পূরণ করবেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা বেগম রোকেয়ার স্বপ্ন প্রায় পূরণ করেছি; কারণ আমরা সংসদে চারজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি- স্পিকার, সংসদ নেতা, বিরোধীদলীয় নেতা ও সংসদ উপনেতা নারী। দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমাদের উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী কিছুদিন আগে ইন্তেকাল করেছেন। আমরা আবার আরেকজন নারী শূন্যপদ পূরণ করব।’
শুক্রবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বেগম রোকেয়া দিবস-২০২২ উদযাপন এবং বেগম রোকেয়া পদক-২০২২ বিতরণ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা সমাজ, নারী শিক্ষা ও নারীর ক্ষমতায়নে অসামান্য অবদানের জন্য পাঁচ নারীর হাতে সম্মানজনক পদক তুলে দেন।
বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনের ১৪২তম জন্ম ও ৯০তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
আরও পড়ুন: ৫ নারীর হাতে বেগম রোকেয়া পদক তুলে দিলেন প্রধানমন্ত্রী
নারী শিক্ষায় অবদানের জন্য এ বছর বেগম রোকেয়া পদকপ্রাপ্ত পাঁচজন বিশিষ্ট নারী হলেন-ফরিদপুরের রহিমা খাতুন; নারী অধিকার প্রতিষ্ঠায় অবদানের জন্য চট্টগ্রাম থেকে অধ্যাপক কামরুন নাহার বেগম (অ্যাডভোকেট); নারীদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে বিশেষ অবদানের জন্য খুলনা থেকে ফরিদা ইয়াসমিন; নড়াইলের ড. আফরোজা পারভীন সাহিত্য ও সংস্কৃতির মাধ্যমে নারীর আলোকিতকরণে অবদানের জন্য এবং গ্রামীণ উন্নয়নে অবদানের জন্য ঝিনাইদহের নাসিমা বেগম।
প্রাপকদের পক্ষে ড.আফরোজা পারভীন এই অনুষ্ঠানে তার অনুভূতি শেয়ার করেন।
প্রত্যেক প্রাপক একটি স্বর্ণপদক, চার লাখ টাকার চেক ও প্রশংসাপত্র পান।
মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক সম্পাদক মো. হাসানুজ্জামান কল্লোল।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বেগম রোকেয়া স্বপ্ন দেখেছিলেন একদিন নারীরা বিচারক, ম্যাজিস্ট্রেট হবে, বিভিন্ন দায়িত্ব নেবে এবং সর্বত্র উপস্থিত থাকবে। ‘তিনি যা চেয়েছিলেন, আমরা এখন তা ধীরে ধীরে অর্জন করার পথে আছি।’
প্রধানমন্ত্রী ১৯৯৬ ও ২০০৯ সালে তার সরকার গঠনের পর উচ্চ আদালত, সশস্ত্র বাহিনী, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ, সচিব, জেলা প্রশাসক (ডিসি), পুলিশ সুপার (এসপি)ও অফিসার ইনচার্জ (ওসি) পদসহ বিভিন্ন সেক্টর ও পদে নারীদের উপস্থিতি নিশ্চিত করার জন্য তার প্রচেষ্টার কথা উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, আজ সর্বত্র নারীর উপস্থিতি।
শেখ হাসিনা বলেন, বেগম রোকেয়ার স্বপ্ন আমরা অনেকাংশে বাস্তবায়ন করেছি। আজ যদি তিনি (বেগম রোকেয়া) বেঁচে থাকতেন, তবে তিনি খুশি হতেন।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার তার (রোকেয়ার) নামে একটি কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছে এবং তার জন্মস্থানে নারীদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাও করেছে।
আরও পড়ুন: বেগম রোকেয়া পদক বিতরণ করলেন প্রধানমন্ত্রী
বেগম রোকেয়া পদকের জন্য চূড়ান্ত মনোনয়ন পেলেন ৫ নারী
অগ্নিসন্ত্রাসী, স্বাধীনতা বিরোধী শক্তিকে ক্ষমতায় যেতে দেবেন না: প্রধানমন্ত্রী
অগ্নিসন্ত্রাসী ও স্বাধীনতাবিরোধীদের ক্ষমতায় না যেতে দিতে জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘দেশে অগ্নিসন্ত্রাসীদের আর ক্ষমতায় আসতে দেয়া উচিত নয়। স্বাধীনতাবিরোধীদের ক্ষমতায় আসতে দেয়া উচিত নয়।’
প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের যৌথসভায় ভাষণ দেন।
আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা তার দলের নেতাদের প্রতিটি এলাকায় সতর্ক থাকতে বলেছেন যাতে তারা (বিএনপি-জামায়াত) কাউকে নির্যাতন করতে না পারে।
বিএনপির কড়া সমালোচনা করে তিনি বলেন, বিএনপিকে গণতন্ত্রের কথা বলা শোভা পায় না কারণ জিয়াউর রহমান কারফিউ-গণতন্ত্র দিয়েছিলেন এবং খালেদা জিয়া দেশে দুর্নীতির ব্যবস্থা করেছিলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের ভুলে যাওয়া উচিত নয় যে খালেদা জিয়ার দুটি গুণ (দক্ষতা) আছে-দুর্নীতি এবং মানুষ হত্যা।’
তিনি বলেন, তার সরকার দেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশে রূপান্তর করেছে, কিন্তু তারা (বিএনপি-জামায়াত) ডিজিটাল প্লাটফর্ম ব্যবহার করে সরকারের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে।
কক্সবাজারে ২৯ টি প্রকল্পের উদ্বোধন, ৪টি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করলেন প্রধানমন্ত্রী
কক্সবাজারে আওয়ামী লীগের জনসভা চলছে। সেখানে যোগ দিয়েছেন দলটির সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বিকাল তিনটা ৫০ মিনিট ২৯ টি প্রকল্পের উদ্বোধন ও চারটি নতুন প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। এরপর জনভায় তার ভাষণ দেয়ার কথা রয়েছে।
পর্যটন নগরীর শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বেলা ১২টার দিকে পবিত্র কুরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে জনসভা শুরু হয়। শুরুতেই জনসভার সভাপতি ও কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট ফরিদুর ইসলাম চৌধুরী বক্তব্য দেন। এরইমধ্যে নেতাকর্মীদের সমাগমে মুখর জনসভাস্থল।
এর আগে, ঢাকা থেকে হেলিকপ্টারে সকাল ১০টার দিকে কক্সবাজারের উখিয়ার ইনানী সৈকতে পৌঁছান শেখ হাসিনা। সেখান থেকে তিনি বাংলাদেশ নৌবাহিনী আয়োজিত তিন দিনব্যাপী ইন্টারন্যাশনাল ফ্লিট রিভিউ-২০২২ উদ্বোধন করেন। এ আয়োজনে যোগ দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্র, চীন ও ভারতসহ ২৮ দেশের নৌবাহিনীর সদস্যরা।
এদিকে, জনসভা দুপুরে শুরু হওয়ার কথা থাকলেও ভোরের আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গে জনসভাস্থলে আসতে শুরু করে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। কক্সবাজার জেলার বিভিন্ন এলাকার পাশাপাশি উপজেলা থেকেও মিছিল নিয়ে আসেন নেতাকর্মীরা। তাদের মিছিল-স্লোগানে মুখর হয়ে ওঠে সমুদ্র নগরীর সড়ক-মহাসড়ক।
প্রসঙ্গত, সর্বশেষ ২০১৭ সালের ৬ মে কক্সবাজার সফর করেন প্রধানমন্ত্রী। সে সময় দেশের দক্ষিণ-পূর্বের শহর কক্সবাজারকে প্রাচ্যের সুইজারল্যান্ড হিসেবে গড়ে তোলার ঘোষণা দিয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর সেই ঘোষণা অনুযায়ী কক্সবাজার জেলায় ৪০টি মেগা প্রকল্পসহ ৩ দশমিক ৫০ লাখ কোটি টাকা ব্যয়ে ৭৭টি উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে।
জনসভায় ২৮টি প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন এবং ৪টি মেগা প্রকল্পের উদ্বোধন করেন।
অর্থনৈতিক অঞ্চলে নারী উদ্যোক্তারা বিশেষ সুযোগ পেতে পারেন: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশের অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোতে নারী উদ্যোক্তারা বিশেষ সুযোগ পেতে পারেন।
তিনি বলেন, ‘নারী উদ্যোক্তারা এগিয়ে আসলে আমরা তাদের বিশেষ সুযোগ দেব। তাদের জন্য আলাদা প্লট দেওয়া হবে।’
মঙ্গলবার নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে বাংলাদেশ স্পেশাল ইকোনমিক জোন (যা ব্যাপকভাবে ‘জাপানি ইকোনমিক জোন’ নামে পরিচিত) উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে একথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে কার্যত যোগ দেন।
শেখ হাসিনা বলেন, তার সরকার পরিকল্পিত শিল্পায়নের মাধ্যমে আবাদি জমি ও পরিবেশ রক্ষা করে দেশের সার্বিক উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে।
বাংলাদেশে বিনিয়োগের চমৎকার পরিবেশ বিরাজ করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি বাংলাদেশ বিনিয়োগের জন্য সবচেয়ে আকর্ষণীয় গন্তব্য। আমরা সর্বোচ্চ (বিনিয়োগের) সুযোগ ও সুবিধা দিচ্ছি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিদেশি উদ্যোক্তারাও দেশে বিনিয়োগে আগ্রহ প্রকাশ করছেন।
তিনি বলেন, ‘ভৌগোলিক অবস্থানের দিক থেকে, বাংলাদেশ পূর্ব ও পশ্চিমের মধ্যে একটি সেতু হিসেবে পুরোপুরি অবস্থান করছে।’
শেখ হাসিনা বলেন, তার সরকার দক্ষিণ এশিয়া ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ জোরদার করছে। ভৌগলিক অবস্থা বিবেচনায় ৩০০ কোটিরও বেশি মানুষের বাজার হতে পারে বাংলাদেশ।
এছাড়া সরকার জনগণের ক্রয়ক্ষমতা বাড়িয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার তরুণ উদ্যোক্তাদের জন্য বিশেষ সুবিধাও দিচ্ছে যাতে তারা অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগ করতে পারে।
তিনি বাংলাদেশ ও জাপানের যৌথ উদ্যোগে এক হাজার একর জমিতে গড়ে ওঠা জাপানিজ অর্থনৈতিক অঞ্চলের বাণিজ্যিক কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।
অস্ত্র প্রতিযোগিতা বন্ধ করুন, স্বাস্থ্য-শিক্ষার জন্য সম্পদ ব্যবহার করুন: বিশ্ব নেতাদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিক অস্ত্র প্রতিযোগিতা বন্ধ করতে এবং স্বাস্থ্য ও শিক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় সম্পদ ব্যবহার করার জন্য বিশ্ব নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, সকল ডায়াবেটিস রোগী এবং সেবাকারীদের পক্ষ থেকে আমি বিশ্ব নেতাদের প্রতি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ অবিলম্বে বন্ধ করার আহ্বান জানাচ্ছি। আমাদের অবশ্যই আন্তর্জাতিক অস্ত্র প্রতিযোগিতা বন্ধ করতে হবে এবং আমাদের জনগণের স্বাস্থ্য ও শিক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় সম্পদ ব্যবহার করতে হবে।’
মঙ্গলবার পর্তুগালের লিসবনে ‘ডায়াবেটিসের বৈশ্বিক রাষ্ট্রদূত’ হিসেবে বিশ্ব ডায়াবেটিস কংগ্রেস-২০২২-এ প্রচারিত এক ভিডিও বার্তায় প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
এসময় তিনি বলেন, ডায়াবেটিস এবং সংশ্লিষ্ট সহ-অসুস্থতায় আক্রান্ত প্রত্যেকের জন্য সঠিক চিকিৎসা ও যত্ন নিশ্চিত করার জন্য আমাদের একটি শান্তিময় বিশ্ব থাকা দরকার।’
শেখ হাসিনা ইনসুলিন ও অন্যান্য জীবন রক্ষাকারী ওষুধ দরিদ্রদের জন্য সাশ্রয়ী করতে সম্মিলিত প্রচেষ্টার ওপর জোর দেন। ‘দরিদ্রদের জন্য সাশ্রয়ী মূল্যে ইনসুলিন এবং অন্যান্য জীবন রক্ষাকারী ওষুধের প্রাপ্যতা নিশ্চিত করা আমাদের সম্মিলিত দায়িত্ব।’
তিনি বলেন, কোভিড-১৯ মহামারি বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় অনেক ত্রুটি-বিচ্যুতি প্রকাশ করেছে। ডায়াবেটিস এবং অন্যান্য এনসিডিগুলোর জন্য আরও বেশি মারাত্মক হতে পারে এমন বৈষম্যগুলো মোকাবিলার জন্য জাতিগুলোকে সেই অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিতে হবে।
আরও পড়ুন: চলমান অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত প্রকল্পগুলো সম্পন্ন করুন: সচিবদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ডায়াবেটিস প্রতিরোধ, চিকিৎসা ও গবেষণায় বিনিয়োগের জন্য আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক সদিচ্ছাকে কার্যকর করতে হবে।
তিনি আন্তর্জাতিক ডায়াবেটিস ফেডারেশনকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং অন্যান্য প্রাসঙ্গিক বিশ্ব স্বাস্থ্য ক্রীড়ানকদের সঙ্গে গ্লোবাল ডায়াবেটিস কমপ্যাক্ট বাস্তবায়নে সহায়তা করার জন্য আহ্বান জানান।
তিনি আরও বলেন, ডায়াবেটিস প্রতিরোধ, চিকিৎসা ও গবেষণার জন্য আন্তর্জাতিক অর্থায়নের কোনো বিকল্প নেই।
প্রধানমন্ত্রী বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে (ডব্লুএইচও) উদ্ধৃত করে বলেন যে বিশ্বে প্রায় ৪২২ মিলিয়ন মানুষ ডায়াবেটিসে ভুগছে এবং এই রোগে প্রতি বছর প্রায় এক দশমিক পাঁচ মিলিয়ন প্রাণ যায়।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে শিশুসহ ৮ দশমিক ৫ মিলিয়নেরও বেশি মানুষ ডায়াবেটিস এবং এর সঙ্গে সম্পর্কিত সহ-অসুস্থতায় বসবাস করে।
তিনি বলেন, ডায়াবেটিসের ফলে হওয়া জটিলতা ও অকাল মৃত্যু প্রতিরোধ করা যায়।
নিয়মিত ব্যায়াম ও স্বাস্থ্যকর খাবারের মতো কিছু জীবনযাত্রার পরিবর্তন অনেক পরিবর্তন আনতে পারে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সঠিক ওষুধ ও সতর্কতার মাধ্যমে একজন ডায়াবেটিস রোগী স্বাভাবিক জীবন উপভোগ করতে পারেন।
তিনি বলেন, টেকসই উন্নয়নের জন্য ২০৩০ এজেন্ডা ডায়াবেটিসের মতো অসংক্রামক রোগকে একটি বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।
আরও পড়ুন: ২০২৩ সালে পাইপলাইনে ভারত থেকে জ্বালানি তেল আমদানি শুরু: প্রধানমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ ২০৩০ সালের মধ্যে ডায়াবেটিস এবং অন্যান্য প্রধান এনসিডি থেকে অকাল মৃত্যুহার এক-তৃতীয়াংশ কমিয়ে আনার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, তার সরকার একটি গণমুখী স্বাস্থ্যনীতি বাস্তবায়ন করছে, যা কমিউনিটি সচেতনতার মাধ্যমে ডায়াবেটিস প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণকে গুরুত্ব দেয়।
তিনি বলেন, তার সরকার দেশের সরকারি হাসপাতালে ডায়াবেটিস রোগীদের বিনামূল্যে চিকিৎসা প্রদান করে এবং সরকার সম্প্রতি বিনামূল্যে ইনসুলিন প্রদান শুরু করেছে।
তিনি বলেন, সারাদেশে ১৮ হাজারেরও বেশি কমিউনিটি ক্লিনিকে এবং ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রে প্রশিক্ষিত পেশাদার এবং ডায়াবেটিস পরীক্ষার সুবিধা রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ডায়াবেটিক অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ দেশব্যাপী ডায়াবেটিস যত্ন ও সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করে।
আরও পড়ুন: ৫০ শিল্প ইউনিট ও অবকাঠামো উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
বাংলাদেশকে গড়তে কমিশনপ্রাপ্তদের '২০৪১ সালের সৈনিক' হওয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, নবীন অফিসারদের হতে হবে ২০৪১ সালের সৈনিক, যারা দেশকে উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলবে।
রবিবার চটগ্রামে তিনি বলেন, ‘যেহেতু আমরা ২০২১ সালে একটি উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা অর্জন করেছি, তাই আমরা ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে চাই।’
শেখ হাসিনা ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তোলার জন্য নতুন কমিশনপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের আহ্বান জানান।
ভাটিয়ারীতে অবস্থিত বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমিতে (বিএমএ) ৮৩তম বিএমএ দীর্ঘ কোর্সের রাষ্ট্রপতি কুচকাওয়াজ-২০২২ এ ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী নবীন ক্যাডেটদের দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশের প্রতি তাদের পবিত্র দায়িত্ব পালন করতে বলেন।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্টের সাধারণ সভা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তার সরকার সবার সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখে বাংলাদেশকে উন্নয়নের ধারায় এগিয়ে নিচ্ছে।
রবিবার তিনি বলেন, ‘আমরা শান্তি চাই, যুদ্ধ নয়। জাতির পিতা বলেছিলেন, ‘কারও প্রতি বিদ্বেষ নয়, আমরা চাই সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব’। আমরা তা (বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতির মূলনীতি) স্পষ্টভাবে অনুসরণ করে চলছি এবং সে অনুযায়ী দেশকে উন্নয়নের পথে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি।’
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘দীর্ঘ প্রশিক্ষণ শেষে আজ আপনারা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একজন গর্বিত অফিসার হতে যাচ্ছেন। আমি বিশ্বাস করি, মাতৃভূমি এবং দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার শপথের মাধ্যমে যে পবিত্র দায়িত্ব আপনাদেরকে অর্পণ করা হয়েছে তা যথাযথভাবে পালন করবেন।’
প্রতিটি দুর্যোগ ও কঠিন সময়ে কার্যকর ভূমিকা রাখার জন্য সশস্ত্র বাহিনীর সকল সদস্যকে ধন্যবাদ জানান তিনি।
প্রধানমন্ত্রী সন্তানদের মাতৃভূমির সেবা করতে দেয়ায় নতুন কমিশনপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের অভিভাবকদের আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী বিএমএ প্যারেড গ্রাউন্ডে পৌঁছালে সেনাবাহিনী প্রধান, আর্মি ট্রেনিং অ্যান্ড ডকট্রিন কমান্ড (এআরটিডিওসি) এর জেনারেল অফিসার কমান্ডিং (জিওসি), বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর চট্টগ্রাম এরিয়া কমান্ডার, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর চট্টগ্রাম এরিয়া কমান্ডার ও ২৪ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি এবং বিএমএ কমান্ড্যান্ট।
প্রধানমন্ত্রী বিশেষভাবে সজ্জিত মঞ্চ থেকে সালাম গ্রহণ করেন এবং প্যারেড গ্রাউন্ডে প্রধান অতিথি হিসেবে একটি চিত্তাকর্ষক কুচকাওয়াজ উপভোগ করেন।
তিনি সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এসএম শফিউদ্দিন আহমেদ এবং বিএমএ কমান্ড্যান্ট মেজর জেনারেল এসএম কামরুল হাসানের সঙ্গে একটি খোলা গাড়িতে কুচকাওয়াজ পরিদর্শন করেন।
ব্যাটালিয়নের ৮৩তম বিএমএ লং কোর্সের সিনিয়র আন্ডার অফিসার লাবিব জোহাইর নূর আনান সেরা অলরাউন্ড ক্যাডেট হিসেবে ‘সোর্ড অব অনার’ পেয়েছেন। অন্যদিকে কোম্পানির সিনিয়র আন্ডার অফিসার এস এম জহিরুল ইসলাম নিলয় সামরিক বিষয়ে সেরা পারফরম্যান্সের জন্য ‘সেনা প্রধান স্বর্ণপদক’।
অসামান্য পারফরম্যান্সের জন্য প্রধানমন্ত্রী তাদের হাতে ‘সোর্ড অব অনার’ ও ‘সেনা প্রধান স্বর্ণপদক’ তুলে দেন।
আরও পড়ুন: চলমান অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত প্রকল্পগুলো সম্পন্ন করুন: সচিবদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা
কর্ণফুলী টানেলের অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী