প্রধানমন্ত্রীর-কার্যালয়
দাম নিয়ন্ত্রণে কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়
নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম, মজুদ ও সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে বাজার তদারকিসহ প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নিতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়।
রবিবার বিকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এ বিষয়ে এক মতবিনিময় অনুষ্ঠানে এ নির্দেশনা দেয়া হয়।
বৈঠকে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং, আমন ও রবি ফসলের উৎপাদন, সার মজুদসহ সাম্প্রতিক অন্যান্য বিষয়গুলো আলোচনা করা হয়।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে রমজান জুড়ে মাঠে থাকবে বাজার মনিটরিং টিম
সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আহমদ কায়কাউস।
বৈঠকটি সঞ্চালনা করেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সিনিয়র সচিব মো. তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া।
বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিব কে এম শাখাওয়াত মুন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠকে শিল্পসচিব, খাদ্য সচিব, কৃষি মন্ত্রণালয়, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়, আবহাওয়া অধিদপ্তরের প্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় কমিশনার ও উপকূলীয় জেলাগুলোর জেলা প্রশাসকরা বৈঠকে যুক্ত ছিলেন।
তিনি বলেন, সংশ্লিষ্ট মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা সার ও বাজারে নিত্যপণ্যের মজুদ ও সরবরাহ পরিস্থিতি সম্পর্কে মুখ্য সচিবকে বিস্তারিত অবহিত করেছেন।
এসময় প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব বিভিন্ন বিষয়ে কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেন।
সভায় সাম্প্রতিক সময়ে বাজারে চিনির ঘাটতি ও দাম বৃদ্ধি, বিশেষ করে চিনির মজুদ ও আমদানি পরিস্থিতি, সরবরাহকারী বা সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের পরিস্থিতি, অন্যান্য নিত্যপণ্য সরবরাহ পরিস্থিতি এবং টিসিবির কার্যক্রম নিয়েও আলোচনা হয়।
সভায় আবহাওয়ার সর্বশেষ তথ্য বিশেষ করে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং সম্পর্কে আলোচনা করা হয় এবং ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি পর্যালোচনা করা হয়।
এর আগে, সভার শুরুতে আশ্রয়ণ প্রকল্পের পরিচালক আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের প্রাথমিক উপস্থাপনা করেন।
আরও পড়ুন: পুঁজিবাজার টিকিয়ে রাখতে ১০ হাজার কোটি টাকার তহবিল দাবি বিএমবিএ’র
রূপপুর বিদ্যুৎ কেন্দ্রের দ্বিতীয় ইউনিটের চুল্লি বসছে বুধবার, উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের (আরএনপিপি) দ্বিতীয় ইউনিটে চুল্লি স্থাপন (রিঅ্যাকটর প্রেসার ভেসেল) হবে বুধবার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি এর উদ্বোধন করবেন।
মঙ্গলবার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এই কর্মসূচির কথা জানান।
তারা বলছেন, ইতোমধ্যে প্রকল্পের প্রথম ইউনিটের ভৌত কাজের ৭০ শতাংশ অগ্রগতি হয়েছে এবং দ্বিতীয় ইউনিটে চুল্লি স্থাপন করার মধ্য দিয়ে প্রকল্পের মোট ভৌত কাজের ৫৩ শতাংশ সম্পন্ন হবে।
পাবনা জেলার ঈশ্বরদীতে ১২ দশমিক ৬৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয়ে নির্মিত দেশের একমাত্র পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রটিতে দু’টি ইউনিট থাকবে। যার প্রতিটিতে এক হাজার ২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষমতা থাকবে।
রাশিয়ার রোসাটম স্টেট করপোরেশনের মহাপরিচালক আলেক্সি লিখাচেভ এই অনুষ্ঠানে শারীরিকভাবে উপস্থিত থাকতে ঢাকা আসছেন এবং প্রধানমন্ত্রী ঢাকার তার সরকারি বাসভবন থেকে ভার্চুয়ালি যোগ দেবেন।
গত বছরের অক্টোবরে প্রথম ইউনিটের চুল্লি স্থাপন উদ্বোধন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী।
বিদ্যুৎ উৎপাদনে দেশের বৃহত্তম প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ডা. মো. শওকত আকবর ইউএনবিকে বলেছেন, ‘চুল্লি স্থাপনের সঙ্গে প্রকল্পের দ্বিতীয় ইউনিটের ভৌত কাজের লক্ষ্যমাত্রার ৪৫ শতাংশেরও বেশি সম্পন্ন হবে।’
সরকার ২০০৯ সালে প্রকল্পটি হাতে নেয় এবং দীর্ঘ আলোচনার পর ২০১৬ সালের ২৬ জুলাই রাশিয়ান ফেডারেশনের সঙ্গে ১১ দশমিক ৩৮৫ বিলিয়ন ডলারের একটি ক্রেডিট চুক্তি সই করে যাতে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় পারমাণবিক শক্তি সংস্থা- রোসাটমকে এর ঠিকাদার হিসেবে নিয়োগের মাধ্যমে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হয়।
এছাড়াও ২০১৯ সালের ৬ আগস্ট বাংলাদেশ প্রকল্পের জন্য রাশিয়ার সঙ্গে একটি পারমাণবিক জ্বালানি সরবরাহ চুক্তি সই করে।
চুক্তি অনুযায়ী, রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন পারমাণবিক জ্বালানি সংস্থা টিভেল জয়েন্ট স্টক কোম্পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের পুরো জীবনকালের জন্য পারমাণবিক জ্বালানি সরবরাহ করবে।
বিদ্যুতকেন্দ্রের প্রতিটি ইউনিটকে প্রতি ১৮ মাস পর পর মোট প্রয়োজনীয় পারমাণবিক জ্বালানির এক তৃতীয়াংশ পুনরায় লোড করতে হবে এবং প্রথম, দ্বিতীয় এবং তৃতীয় পুনরায় লোড বিনামূল্যে রাশিয়ান ফার্ম প্রদান করবে।
প্রতিটি পারমাণবিক জ্বালানি পুনরায় লোড করতে খরচ হবে ৬২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা ৫৫০ কোটি টাকার সমান।
ড. শওকত আকবর বলেন, দ্বিতীয় ইউনিটে চুল্লি স্থাপনের পর যে বড় কাজগুলো অসমাপ্ত থাকবে তার মধ্যে রয়েছে প্রি-অপারেশনাল টেস্টিং এবং ফুয়েল লোডিং।
তিনি আরও বলেন, প্রকল্পটি চালু করার আগে আরও কিছু কাজ শেষ করতে হবে। ‘আমরা আশা করছি আগামী বছরের জুনের মধ্যে এই কাজগুলো শেষ করব।’
তিনি বলেন, ‘পাওয়ার গ্রিড লাইন নির্মাণ এবং যোগাযোগ ও নিরাপত্তা ব্যবস্থার নির্মাণ গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলোর মধ্যে যা রয়েছে তা আগামী ২০২৪ সালের মাঝামাঝি আগে সম্পন্ন করতে হবে।’
পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সঙ্গে চুক্তির জন্য একটি নিবেদিত কোম্পানি নিউক্লিয়ার পাওয়ার কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেড। এর (এনপিসিবিএল)-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. শওকত আকবর বলেছেন, ২০২৪ সালের দ্বিতীয়ার্ধে পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের এক হাজার ২০০ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতা সম্পন্ন প্রথম ইউনিটের বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু করার সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে এবং ২০২৫ সালে দ্বিতীয় ইউনিট।
প্রাথমিকভাবে প্রথম ইউনিটের বাণিজ্যিক কার্যক্রম ২০২২ এবং দ্বিতীয় ইউনিট ২০২৩ থেকে শুরু করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছিল এবং তারপর লক্ষ্য পিছিয়ে দেয়া হয়েছিল।
এনবিসিবিএল-এর কর্মকর্তারা বলেছেন, রাশিয়া এবং বেলারুশসহ বিভিন্ন পশ্চিমা দেশ থেকে প্রায় ১৪ হাজার বিদেশি কর্মী এখন বিভিন্ন কাজ সম্পাদনের জন্য ঠিকাদার এবং এর সাব-কন্ট্রাক্টরদের অধীনে এই প্রকল্পে নিযুক্ত রয়েছে।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর সময়মতো প্রকল্পের বাস্তবায়ন নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছিল।
কিন্তু এই প্রকল্পের রাশিয়ান ঠিকাদার রোসাটম এ বছরের ১ মার্চ একটি বিবৃতিতে এই ধরনের অনিশ্চয়তা উড়িয়ে দিয়ে বলেছে যে সময়মত প্রকল্পের কাজ শেষ করতে কোন ব্যাঘাত হবে না।
রোসাটম বলেছে, ‘রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের প্রতিশ্রুতি এবং কাজের সময়সূচিগুলোর মধ্যে কোন বাধার পূর্বাভাস দেয়া হয়নি।’
যদিও রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে বর্তমান যুদ্ধ সম্পর্কে বিবৃতিতে কিছুই উল্লেখ করা হয়নি, তবে ধারণা করা হয় যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং কিছু পশ্চিমা দেশ কর্তৃক রাশিয়ার ওপর আরোপিত আর্থিক নিষেধাজ্ঞা নিয়ে উদ্বেগের প্রেক্ষিতে রোসাটম এটি স্পষ্ট করেছে।
রোসাটমের কর্মকর্তারা দ্বিতীয় ইউনিটে চুল্লি স্থাপনকে একটি বিশেষ ঘটনা হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
তারা বলেন, নকশা অবস্থানে দ্বিতীয় পাওয়ার ইউনিটের ভিভিইআর-১২০০ রিঅ্যাক্টর প্রেসার ভেসেল স্থাপন করার কার্যক্রমটি বেশ কয়েকটি ধাপে পরিচালিত হয়েছিল।
একটি লিয়েবয়ার-১১৩৫০ ভারী ক্রলার ক্রেন চুল্লি সিলিন্ডারটিকে পাওয়ার ইউনিটের পরিবহন পোর্টালে তুলেছে।
এরপর একটি বিশেষ পরিবহন ট্রলিতে এটিকে চুল্লির বগির কেন্দ্রীয় হলে সরানো হয়েছিল। আরও একটি পোলার ক্রেনের সাহায্যে চুল্লি সিলিন্ডারটিকে একটি খাড়াভাবে তোলা হয়েছিল এবং চুল্লির যন্ত্রে একটি সাহায্যকারী ফ্রেমে স্থাপন করা হয়েছিল।
রোসাটম জানিয়েছে, এইএম প্রযুক্তিতে নির্মিত ভিভিইআর-১২০০ চুল্লি সিলিন্ডারটির ওজন ৩৩৩ দশমিক ৬ টন।
শহীদ শেখ রাসেলের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র শহীদ শেখ রাসেলের ৫৯তম জন্মবার্ষিকীতে মঙ্গলবার গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী তার ছোট ভাইয়ের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন এবং বনানী কবরস্থানে ফুলের পাপড়ি ছড়িয়ে দেন। এ সময় সঙ্গে ছিলেন তার বোন শেখ রেহানা।
পুষ্পস্তবক অর্পণের পর তারা কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালরাতে স্বাধীনতাবিরোধী ঘাতকচক্রের হাতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সপরিবারে নির্মমভাবে শহীদ হন। ঘাতকরা ১০ বছরের ছোট্ট রাসেলকেও সেদিন রেহাই দেয়নি।
তার দুই মেয়ে হাসিনা ও রেহানা সে সময় বিদেশে থাকায় প্রাণে বেঁচে যান।
প্রধানমন্ত্রী তার ছোট বোনকে নিয়ে সকাল ৬টা ৪৫ মিনিটে বনানী কবরস্থানে যান।
পড়ুন: শেখ রাসেলের ৫৯তম জন্মদিনে প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির বাণী
দুজনেই সেখানে ফাতেহা পাঠ করেন এবং ১৫ আগস্টের শহীদদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন।
বনানী কবরস্থানে প্রধানমন্ত্রীর মা বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব, ভাই শেখ কামাল, শেখ জামাল ও শেখ রাসেলসহ ১৫ আগস্টের অন্যান্য শহীদদের চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয়।
শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা তাদের পরিবারের অন্যান্য শহীদদের কবরে পাপড়ি ছড়িয়ে দেন।
শেখ রাসেলের জন্মদিন উপলক্ষে আজ দেশে যথাযথভাবে ‘শেখ রাসেল দিবস’ পালিত হচ্ছে।
শেখ রাসেল ১৯৬৪ সালের ১৮ অক্টোবর রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু ভবনে জন্মগ্রহণ করেন।
তিনি ঢাকার ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র ছিলেন।
সরকার ২০২১ সালে ১৮ অক্টোবরকে শেখ রাসেল দিবস হিসেবে ঘোষণা করে।
পড়ুন: ১৮ অক্টোবর পালিত হবে ‘শেখ রাসেল দিবস-২০২২’
অস্ত্রব্যয়ের একটি অংশ খাদ্য উৎপাদনে দিলে, কেউ ক্ষুধার্ত থাকবে না: প্রধানমন্ত্রী
খাদ্যের ঘাটতি ‘মানবসৃষ্ট’ বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, ‘বাস্তব অর্থে, পৃথিবীতে খাদ্যের কোন অভাব নেই। অভাবটি শুধু মনুষ্যসৃষ্ট। অস্ত্র তৈরিতে বিনিয়োগ করা অর্থের একটি ভগ্নাংশও যদি খাদ্য উৎপাদন এবং বিতরণে ব্যয় করা হয় তবে এই পৃথিবীতে কেউ ক্ষুধার্ত থাকবে না।’
সোমবার জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) ওয়ার্ল্ড ফুড ফোরাম ২০২২-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনের সময় প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। তিনি তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে এই অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যোগ দেন।
শেখ হাসিনা অভিযোগ করেন, খাদ্য নিয়ে রাজনীতি এবং ব্যবসায়িক স্বার্থ, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব, কীটপতঙ্গ ও রোগ সবই কৃষি ও খাদ্য ব্যবস্থার ওপর চাপ বাড়াচ্ছে।
শেখ হাসিনা বলেন, হিসেব অনুযায়ী ৮০ কোটিরও বেশি মানুষ বা বিশ্ব জনসংখ্যার ১০ শতাংশ নিয়মিত ক্ষুধার্ত অবস্থায় ঘুমায়।
তিনি বলেন, ‘রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং পরবর্তী নিষেধাজ্ঞা ও পাল্টা নিষেধাজ্ঞার সঙ্গে পরিস্থিতি এখন আরও খারাপ হয়েছে। যা বিশ্বব্যাপী খাদ্য সরবরাহ ব্যাহত করেছে এবং খাদ্যের জন্য খরচ বেড়েছে।’তিনি উল্লেখ করেছেন যে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উল্লেখযোগ্য অবদানের ফলে প্রচুর সম্পদ রয়েছে এমন একটি বিশ্বে, এটি (খাদ্য ঘাটতি) খুবই দুর্ভাগ্যজনক।
প্রধানমন্ত্রী আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে যুদ্ধ বন্ধ করতে, খাদ্য নিয়ে রাজনীতি বন্ধ করতে এবং খাদ্যের অপচয় বন্ধ করার অনুরোধ করেন।শেখ হাসিনা বলেন, ‘এর পরিবর্তে অনুগ্রহ করে এমন এলাকায় খাদ্য সরবরাহ নিশ্চিত করুন, যেখানে অভাব ও দুর্ভিক্ষ রয়েছে। মানুষ হিসেবে, আমাদের অবশ্যই বিশ্বাস করতে হবে যে প্রত্যেকেরই খাবার খেয়ে এবং একটি নিশ্চিন্ত জীবনযাপনের অধিকার রয়েছে।’
বাংলাদেশের কৃষি উন্নয়নের কথা বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর তিনি যে সব কৃষি কর্মসূচি ও অন্যান্য উন্নয়ন উদ্যোগ নিয়েছিলেন, তা বন্ধ হয়ে যায়। তারপর, কয়েক দশক এ ধারা অব্যাহত ছিল।
তিনি বলেন, ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় আসার পর তিনি বঙ্গবন্ধুর পদাঙ্ক অনুসরণ করেন এবং অবিলম্বে বাংলাদেশের সার্বিক উন্নয়নের জন্য, বিশেষ করে কৃষিতে ও খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের জন্য স্বল্প, মধ্যম ও দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা শুরু করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি যখন দায়িত্ব গ্রহণ করেন তখন চার মিলিয়ন মেট্রিক টন চালের ঘাটতি ছিল এবং যখন তিনি তার প্রথম মেয়াদ শেষ করেন তখন ২ দশমিক ৬ মিলিয়ন মেট্রিক টন চালের উদ্বৃত্ত ছিল।
তিনি আরও বলেন, ‘আমার বর্তমান মেয়াদে আমরা আবারও ধান উৎপাদনে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি করেছি। মোট ধান উৎপাদন ২০০৮ সালে ২৮ দশমিক ৯ মিলিয়ন মেট্রিক টন থেকে গত বছর ৩৮ মিলিয়ন মেট্রিক টনে উন্নীত হয়েছে। এটি আমাদের বাস্তবসম্মত নীতিমালা, প্রচুর প্রণোদনা এবং বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ হলো আমাদের কঠোর পরিশ্রমী কৃষকদের কারণে সম্ভব হয়েছে।’
শেখ হাসিনা বলেন, সরকারের নীতিমালায় খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য যান্ত্রিকীকরণ ও নতুন প্রযুক্তি অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে এবং কৃষকদের ৭০ শতাংশ পর্যন্ত ভর্তুকি হারে কৃষি উপকরণ প্রদান করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ২০১০ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত তাদের ৭১ হাজারেরও বেশি কৃষি যন্ত্রপাতি সরবরাহ করা হয়েছে। ‘আমরা ২০২৫ সালের মধ্যে আরও ৫১ হাজারের বেশি যন্ত্রপাতি সরবরাহের ব্যবস্থা করেছি।’
শেখ হাসিনা আরও বলেন, তার দ্বিতীয় মেয়াদে ২০০৯ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত ব্যক্তিগত ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থাকা দুই কোটি কৃষককে কৃষি উপকরণ সহায়তা কার্ড দেয়া হয়েছে।
এই কার্ডধারীদের সরাসরি তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ফসল উৎপাদনের জন্য ঋণ দেয়া হয় এবং কৃষি উপকরণের জন্য ভর্তুকি দেয়া হয়। এছাড়াও, কেন্দ্রীয় ব্যাংক কৃষিতে বিনিয়োগের জন্য একটি কৃষি ও গ্রামীণ ঋণ নীতি গ্রহণ করেছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘২০২০-২০২১ সময়ের মধ্যে ২ দশমিক ২৫ মিলিয়ন ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের জন্য দুই বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি ঋণ দেয়া হয়েছে।’
শেখ হাসিনা বলেন, এত কিছুর পরও বাংলাদেশের কৃষি খাত জলবায়ু পরিবর্তন ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে।তিনি বলেন, ‘সব মিলিয়ে বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যতম জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশ এবং, জলবায়ু পরিবর্তন টেকসই কৃষির জন্য একটি বড় হুমকি। তবুও, বাংলাদেশ এবং তার সহনশীল জনগণ জীবনের সর্বক্ষেত্রে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের জন্য অক্লান্তভাবে এগিয়ে চলেছে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, কৃষি পণ্যের পাশাপাশি বাংলাদেশ শাকসবজি, মাছ ও অন্যান্য কৃষিভিত্তিক পণ্যের উৎপাদন বৃদ্ধিতেও সফল হয়েছে, যার অনেকটাই রপ্তানি হয়।তিনি বলেন, বাংলাদেশ আজ পাট ও মিঠা পানির মাছ উৎপাদনে দ্বিতীয়, ধান ও সবজিতে তৃতীয়, চা উৎপাদনে চতুর্থ এবং ইলিশ মাছ উৎপাদনকারী দেশগুলোর মধ্যে প্রথম।
তিনি আরও উল্লেখ করেছেন যে আগামীকালের বিনিয়োগ ফোরামে বাংলাদেশ প্রদর্শিত ২০টি দেশের মধ্যে একটি হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশের জন্য মূল্য শৃঙ্খলসহ গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে বিনিয়োগের আকর্ষণীয় সুযোগ উপস্থাপন করব। আমরা আমাদের কৃষি খাতের প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনার দিকেও ফোকাস করব এবং অন্যান্য ব্যবসার সুযোগ তুলে ধরব।’
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ এখন সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগের জন্য একটি আকর্ষণীয় গন্তব্য। বাংলাদেশে কৃষি প্রক্রিয়াকরণ শিল্পের ভালো সম্ভাবনা রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি বিশেষ করে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কৃষি খাতে বিনিয়োগের জন্য আমন্ত্রণ জানাতে চাই।’
একনেকে ৭ হাজার ১৮ কোটি টাকার ৬ প্রকল্প অনুমোদন
জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) মঙ্গলবার ঢাকায় ৮৯৯ কোটি টাকা ব্যয়ে চারটি খাল সংস্কারসহ ছয়টি প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছে।
এই প্রকল্পের আওতায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) অধীনে কালুনগর, জিরানী, মান্দা ও শ্যামনগর-এর প্রায় ২০ কিলোমিটার চারটি খাল পুনরুদ্ধার করা হবে জলাবদ্ধতা নিরসনে এবং সৌন্দর্য বর্ধনের মাধ্যমে পরিবেশের উন্নয়নে।
এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় এ অনুমোদন দেয়া হয়। একনেক চেয়ারম্যান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন।
সভা শেষে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, ‘কমিটি পাঁচটি নতুন প্রকল্প এবং একটি সংশোধিত প্রকল্প অনুমোদন করেছে। সংশোধিত প্রকল্পসহ ছয়টি প্রকল্পের মোট আনুমানিক ব্যয় প্রায় সাত হাজার ১৮ দশমিক ৭৩ কোটি টাকা।
তিনি বলেন, এর মধ্যে সরকারের তহবিল থেকে চার হাজার ৩৬২ দশমিক ৬৩ কোটি টাকা, সংশ্লিষ্ট সংস্থার তহবিল থেকে ২৬৯ দশমিক ৬২ কোটি টাকা এবং বৈদেশিক ঋণ হিসাবে দুই হাজার ৩৮৬ দশমিক ৪৮ কোটি টাকা বহিরাগত উৎস থেকে সংগ্রহ করা হবে।
আরও পড়ুন: কুমিল্লা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া মহাসড়ক চার লেনসহ একনেকে ৬ প্রকল্প অনুমোদন
একনেক ঘোড়াশাল পলাশ ইউরিয়া সার প্রকল্পের প্রথম সংশোধনী অনুমোদন করেছে, যার ব্যয় ১০ হাজার ৪৬০ দশমিক ৯১ কোটি টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৫ হাজার ৫০০ দশমিক ২১ কোটি টাকা হয়েছে এবং প্রকল্পের সময়সীমা ২০২২ সালের জুন থেকে ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।
প্রকল্পের তথ্যপত্র অনুযায়ী, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন ৮৯৮ দশমিক ৭৩ কোটি টাকা ব্যয়ে চারটি খালের ১৯ দশমিক ৭৮ কিলোমিটার পুনরুদ্ধার বা সংস্কারের জন্য ২০২৬ সালের জুনের মধ্যে ‘খাল পুনরুদ্ধার ও সংস্কার এবং নান্দনিক পরিবেশ সৃষ্টি’- শীর্ষক প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে।
এর মধ্যে ৬২৯ কোটি ১১ লাখ টাকা সরকারি তহবিল থেকে এবং বাকি ২৬৯ কোটি ৬২ লাখ টাকা দেবে ডিএসসিসি।
প্রকল্পের আওতায় মান্ডা খালের আট দশমিক ৯ কিলোমিটার (দুই লাখ ১৭ হাজার ৫০০ বর্গমিটার), শ্যামনগর খালের চার দশমিক ৭৮ কিলোমিটার (৫৭ হাজার ৩৬০ বর্গমিটার), জিরানী খালের তিন দশমিক ৯ কিলোমিটার (৭৮ হাজার বর্গমিটার) এবং কালুনগর খালের দুই দশমিক চার কিলোমিটার (২৮ দশমিক ৮০ বর্গমিটার) খাল পুনরুদ্ধার বা সংস্কার করা হবে।
প্রকল্পের প্রধান কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে- খাল পরিষ্কার করা, পলি অপসারণ, ঢাল সুরক্ষা ও নিষ্কাশন কাঠামো নির্মাণ, ল্যান্ডস্কেপ তৈরি করা এবং সংশ্লিষ্ট এলাকা সবুজায়ন।
এছাড়া প্রকল্পের অধীনে নাগরিক সুবিধার জন্য ৩৮ দশমিক ছয় কিলোমিটার চোখ ধাঁধানো সুরক্ষা দেয়াল, ৩৬টি পথচারী সেতু, গাড়ি চলাচলের জন্য ১৯টি সেতু, ১০টি পাবলিক টয়লেট, ৩২ দশমিক ৪৪ কিলোমিটার হাঁটার পথ, চারটি প্লাজা ও সাইকেল লেন স্থাপন করা হবে এবং নান্দনিক ও মনোরম পরিবেশ সৃষ্টির জন্য ৭৭১টি বাতি স্থাপন করা হবে।
অন্য চারটি প্রকল্প হলো- ৫৯ দশমিক ১৪ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘সীমান্ত হোস্টেল কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণ’ (চট্টগ্রামের সল্টগোলায়); ১২২ দশমিক তিন কোটি টাকায় ‘ইন্টারডাকশন অব ইন্টেলিজেন্ট ট্রান্সপোর্ট সিস্টেম (আইটিএস)’ (মুন্সিগঞ্জের কেরানীগঞ্জ ও শ্রীনগর উপজেলায়) দ্বারা বাংলাদেশের জাতীয় মহাসড়ক করিডোরগুলিতে নির্ভরযোগ্যতা ও নিরাপত্তার উন্নতি করা; ৩৪৭ দশমিক চার কোটি টাকায় ‘ঘোনাপাড়া থেকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মাজার পর্যন্ত রাস্তাটি (শেখ লুৎফর রহমান সেতুর অ্যাপ্রোচসহ) যথাযথ মান ও প্রস্থে উন্নীতকরণ’; এবং ৫৫২ দশমিক ৪৯ কোটি টাকা ব্যয়ে শরীয়তপুর জেলার ভেদরগঞ্জ উপজেলায় পদ্মা নদীর ভাঙন রোধে নদীর তীর রক্ষা।
আরও পড়ুন: একনেকে ২ হাজার ২১৭ কোটি টাকার ১০টি প্রকল্প অনুমোদন
নারীদের আইটি দক্ষতা বাড়াতে ২৫০ কোটি টাকার একনেক প্রকল্প অনুমোদন
সামনের কঠিন দিনগুলো মোকাবিলা করার জন্য খাদ্য উৎপাদন বাড়ান: প্রধানমন্ত্রী
আগামী বছর বিশ্বে ভয়াবহ খাদ্য সংকট ও দুর্ভিক্ষের প্রবল সম্ভাবনা থাকার কারণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবাইকে খাদ্য উৎপাদন বাড়ানোর জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালানোর আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘...যুক্তরাজ্য ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আমার সাম্প্রতিক সফরের সময় আমি অনেক বিশ্বনেতা ও সংস্থার প্রধানদের সঙ্গে কথা বলেছি। প্রত্যেকেই এই বিষয়টি (খাদ্য নিরাপত্তা) নিয়ে খুব উদ্বিগ্ন ছিলেন। তারা মনে করেন যে ২০২৩ সাল একটি খুব ভয়াবহ বছর হবে। এ বছরে খাদ্য সংকট ও দুর্ভিক্ষ হতে পারে।’
মঙ্গলবার রাজধানীর এনইসি ভবনে অনুষ্ঠিত জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সাপ্তাহিক সভায় দেয়া সূচনা বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। এসময় প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি বৈঠকে যুক্ত হন। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অধীনস্থ একটি নির্বাহী কমিটি একনেক, যা সকল জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন প্রকল্প যাচাই করে এবং অনুমোদন দেয়।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের অবশ্যই খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে হবে এবং সেগুলো (খাদ্য) সংরক্ষণ করতে হবে। খাদ্য সংরক্ষণ ও প্রক্রিয়াজাতকরণে আমাদের বিশেষ মনোযোগ দিতে হবে। আমাদের মাটি খুবই উর্বর এবং (উর্বর ভূমি ব্যবহার করে) আমাদের খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে হবে।’
অপ্রয়োজনীয় ব্যয় এড়িয়ে জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে মিতব্যয়িতা বজায় রাখার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: সব অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ কাটিয়ে উঠব: প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে এবং বিদ্যুৎ, জ্বালানি, পানি, গ্যাস এবং অন্য সবকিছু ব্যবহারেই মিতব্যয়িতা বজায় রাখতে হবে। আমি প্রত্যেক পরিবারকে অনুরোধ করব; তারা যেন যতটুকু পারেন, সঞ্চয় করেন। এবং এটি আমাদের সরকারের জন্যও প্রযোজ্য।’
শেখ হাসিনা বলেন, সরকার কোনো অপ্রয়োজনীয় ব্যয় করবে না।
তিনি বলেন, ‘আমরা যা প্রয়োজন তা ব্যবহার করব, এর বেশি না। এর বাইরে কিছু করার সুযোগ আমাদের নেই। কারণ আমি বিশ্বনেতা ও সংস্থা প্রধানদের মধ্যে উদ্বেগ দেখেছি। তাই, আমাদের অবশ্যই সতর্কতামূলক পদক্ষেপগুলো মেনে চলতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সব প্রতিকূলতা কাটিয়ে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।
তিনি বলেন, ‘তারা (জনগণ) আমাদের সবচেয়ে বড় শক্তি। যতদিন মানুষ আমাদের সঙ্গে থাকবে, ততদিন আমাদের কোনো চিন্তা নেই। করোনাভাইরাস মহামারি মোকাবিলা করার সময়ের মতো জনগণকে আমাদের উৎসাহ দিতে হবে এবং তাদেরকে কাজে লাগাতে হবে।’
তিনি বলেন, ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে দেশে যে মন্দার প্রভাব পড়ছে, তা থেকে দেশকে মুক্ত করতে হবে।
প্রতিবার মূল্যস্ফীতি নিয়ে আলোচনা করতে পরিকল্পনা কমিশনকে তাদের মূল্যবান সময় ব্যয় না করারও অনুরোধ করেন শেখ হাসিনা।
আরও পড়ুন: আ.লীগ দেশে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া অব্যাহত রেখেছে: শেখ হাসিনা
তিনি বলেন, ‘কারণ বিশ্বের অনেক দেশ এই বিষয়ে আলোচনা করে না (খুব বেশি)। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় দেশগুলো ... তাদের নিজেদের দেশে বিষয়টি নিয়ে খুব বেশি আলোচনা করে না।’
তিনি বলেন, ‘আমাদেরও এই বিষয়ে কোনও বিস্তারিত আলোচনার প্রয়োজন নেই। তবে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম মানুষের নাগালের মধ্যে রাখার চেষ্টা করা উচিত। যা প্রয়োজন আমরা তাই করব।’
যে কোনো প্রকল্প গ্রহণের বিষয়ে তিনি বলেন, জনগণের সর্বোচ্চ সুবিধা নিয়ে সবাইকে ভাবতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ‘ফান্ড পাওয়া গেলেও কোনো অপ্রয়োজনীয় প্রকল্প হাতে নিতে ঝাঁপিয়ে পড়ার দরকার নেই। আমাদের যে কোনো প্রকল্প খুব সতর্কতার সঙ্গে যাচাই-বাছাই করে নিতে হয়, যাতে সেই প্রকল্প থেকে আমরা কিছু রিটার্ন পেতে পারি; যা দেশের উপকারে আসে। আমরা (এখন শুধু) এই ধরনের প্রকল্প হাতে নেবো।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি সেরকম কোনো প্রজেক্ট নিইনি। আমরা এ ব্যাপারে সবসময় সতর্ক ছিলাম। ভবিষ্যতেও আমাদের সতর্ক থাকতে হবে।’
তিনি বলেন, জনগণের প্রতি তার প্রশাসনের দায়িত্ব রয়েছে। ‘আমরা এটি মনে করি, আর আমরা এজন্যই কাজ করি।’
কিছু অতিরিক্ত অর্থের প্রয়োজন হলেও চলমান প্রকল্পগুলো যত দ্রুত সম্ভব শেষ করার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘প্রকল্পগুলো সম্পন্ন করলে আমরা সেসব প্রকল্পের সুফল পাবো এবং দেশের অর্থনীতিতে এর ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। আমাদের এই প্রকল্পগুলো বাছাই করতে হবে এবং দ্রুত সেগুলোর বাস্তবায়ন করতে হবে।’
যেসব প্রকল্প কিছুটা ধীরে ধীরে বাস্তবায়ন করা যেতে পারে সেগুলোকে চিহ্নিত করতে সব মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা বলেন, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার ধারাবাহিকতা ছাড়া কোনো দেশের উন্নয়ন সম্ভব নয়।
তিনি বলেন, ‘২১ বছর দেশের জনগণের হাতে রাষ্ট্রক্ষমতা ছিল না। ক্ষমতা ছিল প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে সেনানিবাসের ভেতরে। দেশের সংবিধানকে উপেক্ষা করে সামরিক অধ্যাদেশ দ্বারা দেশ পরিচালিত হয়েছিল।’
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, গণতন্ত্রের নামে প্রহসন হয়েছে এবং ভোট কারচুপি তখনস্বাভাবিক একটা নিয়ম হয়ে গিয়েছিল। ‘আমরা এগুলো দেখেছি। এসব কারণে বাংলাদেশ এগোতে পারেনি।’
তিনি বলেন, ২০০৮ সালে ক্ষমতায় আসার পর সরকার বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘এই সাফল্যের পেছনে একটি কারণ আছে। আর তা হলো বাংলাদেশের ইতিহাসে কোনো বাধা ছাড়াই এতদিন গণতন্ত্রের ধারা অব্যাহত রয়েছে। গণতন্ত্রের নিরবচ্ছিন্ন ধারাবাহিকতার কারণেই আমরা এই সাফল্য অর্জন করতে পেরেছি।’
আরও পড়ুন: ‘আসুন আমরা সবাই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করি’
আ.লীগ দেশে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া অব্যাহত রেখেছে: শেখ হাসিনা
আওয়ামী লীগ সব সময় নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের রায়ে ক্ষমতায় আসে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘ইতিহাস জুড়ে আওয়ামী লীগ সব সময় জনগণের সমর্থনে নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসেছে।’
সোমবার শীতলক্ষ্যা নদীর ওপর মুক্তিযোদ্ধা একেএম নাসিম ওসমান সেতু এবং মধুমতি নদীর ওপর বাংলাদেশের প্রথম ছয় লেনের সেতু উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সেতু দুটির উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ দেশে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া অব্যাহত রেখেছে।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করে নপ্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি এবং সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত ইশা ইউসেফ আল দুহাইলান বক্তব্য দেন।
সেতুগুলোর সংক্ষিপ্ত বিবরণ দেন সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এবিএম আমিন উল্লাহ নূরী।
অনুষ্ঠানে সেতু প্রকল্পের ওপর একটি ভিডিও ডকুমেন্টারি প্রদর্শিত হয়।
পড়ুন: দেশের প্রথম ৬ লেনের সেতু উদ্বোধন প্রধানমন্ত্রীর
তৃতীয় শীতলক্ষ্যা সেতু উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন প্রধানমন্ত্রী ও তার পরিবারের সদস্যদের
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শুক্রবার টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এসময় তার বোন শেখ রেহানাও তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন।
এসময় প্রধানমন্ত্রী ও তার পরিবারের সদস্যরা বঙ্গবন্ধু এবং ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট গণহত্যার অন্যান্য শহীদদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে ফাতেহা পাঠ ও মোনাজাত করেন।
এরপর শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যদের সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনার পাশাপাশি দেশের শান্তি, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি কামনা করে মোনাজাত করা হয়।
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে থাকা প্রধানমন্ত্রীর সহকারী প্রেস সচিব এম এম ইমরুল কায়াস বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: টুঙ্গিপাড়ার পথে প্রধানমন্ত্রী
এর আগে প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান।
পুষ্পস্তবক অর্পণের পর তিনি বঙ্গবন্ধুর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধার নিদর্শন হিসেবে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট রাতে কিছু বিপথগামী সেনা সদস্যদের হাতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং তার পরিবারের সদস্যরা নির্মমভাবে নিহত হন।
শ্রদ্ধা নিবেদনের সময় প্রধানমন্ত্রীর পরিবারের সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন।
পদ্মা বহুমুখী সেতু পার হয়ে সকাল ১০টা ১০ মিনিটে সড়কপথে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী।
এর আগে সকাল সোয়া ৭টার দিকে শেখ হাসিনা ও তার ছোট বোন শেখ রেহানা তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে টুঙ্গিপাড়ার উদ্দেশে যাত্রা করেন।
পদ্মা সেতু পার হওয়ার আগে দুজনেই টোল পরিশোধ করেন।
২৫ জুন নিজস্ব অর্থায়নে নির্মিত দেশের দীর্ঘতম পদ্মা বহুমুখী সেতু উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: র্যাবের সন্ত্রাস দমনে যুক্তরাষ্ট্র কি অসন্তুষ্ট?: প্রশ্ন প্রধানমন্ত্রীর
সাইবার অপরাধ সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করুন: প্রধানমন্ত্রী
টুঙ্গিপাড়ার পথে প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার ছোট বোন শেখ রেহানা তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে সড়ক পথে টুঙ্গিপাড়ার উদ্দেশে যাত্রা করেছেন। শুক্রবার সকাল ৭টা ১৫ মিনিটে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বার্তায় তাদের গণভবন ত্যাগ করার খবর জানানো হয়।
টুঙ্গিপাড়া যাওয়ার পথে পদ্মা সেতুর জাজিরা পয়েন্টের সার্ভিস এরিয়ায় তারা কিছুক্ষণ বিরতি নিতে পারেন।
২৫ জুন প্রধানমন্ত্রী নিজস্ব অর্থায়নে নির্মিত দেশের দীর্ঘতম পদ্মা বহুমুখী সেতু উদ্বোধন করেন।
প্রধানমন্ত্রী ও তার বোন রেহানা আজ বিকালে টুঙ্গিপাড়া থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হওয়ার কথা রয়েছে।
গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়ায় তাদের গ্রামের বাড়ি। তাদের পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট হত্যার পর এখানে সমাহিত করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে আইন সচিবের শ্রদ্ধা
টুঙ্গিপাড়া যাওয়ার পথে পদ্মা সেতু পরিদর্শন কূটনীতিকদের
র্যাবের সন্ত্রাস দমনে যুক্তরাষ্ট্র কি অসন্তুষ্ট?: প্রশ্ন প্রধানমন্ত্রীর
র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞাকে আবারও নিন্দা জানিয়ে ওয়াশিংটনের এই পদক্ষেপের পেছনের উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী দেশে সন্ত্রাস দমনে এলিট বাহিনীর ভূমিকার প্রশংসা করে বলেন, ‘আমরা তাদের দিয়ে এদেশে সন্ত্রাস দমন করেছি। তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের মানে কি? (এটা কি) সন্ত্রাসীদের সমর্থন করা? আমার প্রশ্ন হল সন্ত্রাস দমনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অসন্তুষ্ট কিনা’?
বৃহস্পতিবার সম্প্রতি যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রে তার সরকারি সফরের ফলাফল নিয়ে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: র্যাব কে সৃষ্টি করেছে?: প্রশ্ন প্রধানমন্ত্রীর
শেখ হাসিনা বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সুপারিশে র্যাব গঠন করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র তাদের (র্যাবের কর্মীদের) প্রশিক্ষণ, অস্ত্র, হেলিকপ্টার, এমনকি ডিজিটাল সিস্টেম এবং আইসিটি সিস্টেম সহ সবকিছু প্রদান করে।
তিনি বলেন,‘যুক্তরাষ্ট্র যখন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে, কোনো কথা বা অভিযোগ তোলে, তখন আমি একটি কথা বলতে চাই যে তারা (র্যাব) যে প্রশিক্ষণ পেয়েছে, সে অনুযায়ী তাদের কাজ করেছে।
তিনি বলেন, র্যাব-পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কোনো সদস্য কোনো অপরাধ করলে বাংলাদেশে তার বিচার হয়। কিন্তু মার্কিন পুলিশ যদি ইচ্ছামতো কাউকে হত্যা করে, তবে সেখানে (যুক্তরাষ্ট্রে) তাদের (পুলিশ সদস্যদের) সবসময় বিচার করা হয় না।’
শেখ হাসিনা বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জনগণ যখন এর বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছিল তখন শুধুমাত্র একটি ঘটনার বিচার করা হয়েছিল।
তিনি বলেন যে তারা (মার্কিন পুলিশ) একটি তুচ্ছ বিষয়ের জন্য মানুষকে গুলি করে। তারা পকেটে হাত রাখার জন্য বা খেলনা পিস্তল বহন করার জন্য একটি নাবালক শিশুকে হত্যা করেছে।
হাসিনা বলেন, সেখানে কত বাঙালিকে হত্যা করা হয়েছে সে সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্র কিছুই বলে না।
তিনি আরও বলেন, ‘আমি তাদের এই বিষয়গুলো পরিষ্কারভাবে বলেছি, আমি অলস বসে থাকিনি।’
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র গত বছরের ডিসেম্বরে র্যাব এবং এর সাতজন সাবেক ও বর্তমান কর্মকর্তাকে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে নিষেধাজ্ঞা দেয়। তবে শুরু থেকেই এই অভিযোগ ঢাকা দৃঢ়ভাবে অস্বীকার করেছে র্যাব।
আরও পড়ুন: জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ সফল হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী
‘আসুন আমরা সবাই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করি’