প্রধানমন্ত্রীর-কার্যালয়
শুধু অপরাধ নয়, শাস্তির কথাও বিবেচনা করুন: প্রধানমন্ত্রী
কোনো ধর্মের পরিপন্থী কোনো ঘটনাকে বড় করে না দেখাতে, বরং সরকারের নেয়া শাস্তিমূলক ব্যবস্থার দিকে সকলকে নজর দিতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘যে কোনো এলাকায় (দেশের) ঘটে যাওয়া কোনো ঘটনাকে বড় করে দেখাবেন না, বরং সেই ঘটনার বিরুদ্ধে সরকারের শাস্তিমূলক ব্যবস্থা দেখার জন্য আমি আপনাদের অনুরোধ করব।
মঙ্গলবার রাজধানীর ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির প্রাঙ্গণে হিন্দু সম্প্রদায়ের ধর্মীয় উৎসব দুর্গা পূজার শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে অনুষ্ঠানটিতে ভার্চুয়ালি যোগ দেন।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনে ‘ফেসবুকে অসম্মানজনক স্ট্যাটাস’, যুবক আটক
দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে হিন্দুসহ সকলের সহযোগিতাও চেয়েছেন শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, আমি এ ব্যাপারে আপনাদের সহযোগিতা চাইব এবং আশা করি আপনারা সহযোগিতা করবেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার সর্বদা দেশের অসাম্প্রদায়িক চেতনা বা ধর্মনিরপেক্ষ চরিত্রকে সমুন্নত রাখার চেষ্টা করে এবং তা বজায় রেখে সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে যায়।
প্রধানমন্ত্রী আবারও সুস্পষ্টভাবে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, কাউকে কারো ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করতে দেয়া হবে না।
তিনি আরও বলেন, ‘অন্যের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে এমন কিছু (অপমানজনক) কাউকে বলতে দেয়া হবে না। এটি যে কোনও ধর্মের জন্য প্রযোজ্য’।
তিনি বলেন, ধর্ম মানেই বিশ্বাস। ‘আল্লাহ বা স্রষ্টার প্রতি মানুষের বিশ্বাস, সেই বিশ্বাস নিয়েই চলতে হবে।’
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ইসলাম একটি অত্যন্ত মুক্ত ও উদার ধর্ম এবং ইসলামে অন্য সব ধর্মের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের নির্দেশ রয়েছে।
সূরা কাফিরুনের কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, যেখানে বলা হয়েছে যে প্রত্যেক ব্যক্তি নিজ নিজ ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান পালন করবে এবং সকল ধর্মের মানুষ সমান অধিকার ভোগ করবে। ‘আমরা এটি আমাদের হৃদয় থেকে বিশ্বাস করি’।
আরও পড়ুন: লন্ডন পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী
রাষ্ট্রবিরোধী অপপ্রচারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হোন: প্রধানমন্ত্রী
লন্ডন পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী একটি ভিভিআইপি চার্টার্ড ফ্লাইট ঢাকার পথে সংক্ষিপ্ত যাত্রাবিরতির জন্য লন্ডন স্ট্যানস্টেড বিমানবন্দরে পৌঁছেছে।
সোমবার (৩ অক্টোবর) স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ৭টায় তিনি লন্ডনে পৌঁছান।
লন্ডনে বাংলাদেশ হাইকমিশন জানিয়েছে, যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান।
আরও পড়ুন: যুক্তরাজ্যের নতুন রাজাকে প্রধানমন্ত্রীর অভিনন্দন
এর আগে, প্রধানমন্ত্রী যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রে তার ১৮ দিনের সরকারি সফর শেষ করে রবিবার (স্থানীয় সময়) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ওয়াশিংটন ডিসি ত্যাগ করেন।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৬তম জন্মদিন বুধবার
সাংবাদিক তোয়াব খানের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
একুশে পদকপ্রাপ্ত প্রবীণ সাংবাদিক তোয়াব খানের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শনিবার এক শোক বার্তায় তিনি গভীর শোক প্রকাশ করেন।
শোক বার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দৈনিক বাংলা’-এর সম্পাদক তোয়াব খান মুক্তিযুদ্ধের সময় স্বাধীন বেতার কেন্দ্রের একজন শব্দ নায়কের ভূমিকা পালন করেছেন।
তিনি এতে আরও উল্লেখ করেন, বিশিষ্ট সাংবাদিক বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর গণমাধ্যমের বিভিন্ন ক্ষেত্রে দেশপ্রেম ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করেছেন।
তোয়াব খান দৈনিক বাংলার সম্পাদক, প্রধান তথ্য কর্মকর্তা, প্রেস ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশের মহাপরিচালক এবং দৈনিক জনকণ্ঠের উপদেষ্টা সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রেস সেক্রেটারি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। শেখ হাসিনা বলেন, ‘আজীবনের এই যোদ্ধা ও প্রতিভাবান সাংবাদিক তার নিজের কাজের জন্য স্মরণীয় হয়ে থাকবেন।
প্রধানমন্ত্রী মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
দুপুর সাড়ে ১২টায় নগরীর ইউনাইটেড হাসপাতালে বার্ধক্যজনিত জটিলতায় মারা যান ৮৭ বছর বয়সী তোয়াব খান।
খান ১৯৫৩ সালে তার সাংবাদিকতা জীবন শুরু করেন এবং ১৯৫৫ সালে দৈনিক সংবাদে যোগ দেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৬তম জন্মদিন বুধবার
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৬তম জন্মদিন পালিত হবে বুধবার (২৮ সেপ্টেম্বর)।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবের পাঁচ সন্তানের মধ্যে সবচেয়ে বড় শেখ হাসিনা। তিনি ১৯৪৭ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন।
প্রধানমন্ত্রী এখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে রয়েছেন। সেখানে তিনি জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের (ইউএনজিএ) ৭৭তম অধিবেশনে ভাষণ দেয়ার পাশাপাশি অন্যান্য অনুষ্ঠানে যোগদান করেছেন।
আরও পড়ুন: বিএনপির শাসনামলে প্রতিটি ধাপে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী
আওয়ামী লীগ এবং এর সহযোগী ও সমমনা সংগঠনগুলো তার জীবন ও অর্জনকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিবসটি উদযাপন করবে।
রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে আলোচনা, দোয়া ও মিলাদ-মাহফিল এবং বিশেষ মোনাজাতের মাধ্যমে জন্মদিন উদযাপন করা হবে।
তিনি ১৯৯৬-২০০১ সালে প্রথমবার, ২০০৯-২০১৩ সালে দ্বিতীয়বার এবং ২০১৪-২০১৮ সালে তৃতীয় মেয়াদে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।
সবশেষে ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর-এ অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তার দলের নেতৃত্বাধীন মহাজোট জয়ী হওয়ার পর ২০১৯ সালের ৭ জানুয়ারি শেখ হাসিনা চতুর্থবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
এছাড়াও তিনি তিনবার বিরোধীদলীয় নেতার দায়িত্ব পালন করেন।
শেখ হাসিনার শৈশবের অনেকটা সময় কেটেছে তার জন্মস্থান গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়ায়। বঙ্গবন্ধু মন্ত্রী নির্বাচিত হলে, তার পরিবার ১৯৫৪ সালে ঢাকায় চলে আসে। তিনি ১৯৭৩ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) থেকে স্নাতক হন।
তিনি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে তৎকালীন সরকারি ইন্টামেডিয়েট গার্লস কলেজের ছাত্রী সংসদের সহসভাপতি ছিলেন। তিনি এই কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এবং পরের বছর সভাপতি ছিলেন।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর অসাধারণ নেতৃত্বের প্রশংসা করে বিশেষ প্রকাশনা উন্মোচন
শেখ হাসিনা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ছাত্রলীগের একজন সদস্য এবং ছাত্রলীগের রোকেয়া হল শাখার সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ছাত্রজীবন থেকেই শেখ হাসিনা সকল গণআন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট রাতে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সদস্যদের নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। হাসিনা ও তার ছোট বোন শেখ রেহানা সেই সময় জার্মানিতে থাকায় হত্যাকাণ্ড থেকে বেঁচে যান।
শেখ হাসিনা নির্বাসনে থাকাকালীন তার অনুপস্থিতিতে ১৯৮১ সালে সর্বসম্মতিক্রমে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন। অবশেষে তিনি ১৯৮১ সালের ১৭ মে দেশে ফিরে আসেন। এরমধ্যে দিয়ে তার ছয় বছরের নির্বাসন শেষ হয়।
১৯৮১ সালে শেখ হাসিনার অনুপস্থিতিতে তাকে সর্বসম্মতিক্রমে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত করা হয়। ছয় বছরের নির্বাসিত জীবন শেষ করে অবশেষে তিনি ১৯৮১ সালের ১৭ মে দেশে ফিরে আসেন।
১৯৮১ সালে দেশে ফিরে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সংগ্রামে লিপ্ত হওয়ার পরপরই তিনি শাসকগোষ্ঠীর রোষানলে পড়েন। তাকে বারবার কারান্তরীণ করা হয়। তাঁকে হত্যার জন্য কমপক্ষে ২২ বার সশস্ত্র হামলা করা হয়।
আরও পড়ুন: একুশে পদকপ্রাপ্ত সাংবাদিক রণেশ মৈত্রের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
যুক্তরাজ্যের নতুন রাজাকে প্রধানমন্ত্রীর অভিনন্দন
সিংহাসনে আরোহণ করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সোমবার যুক্তরাজ্যের নতুন রাজা তৃতীয় চার্লসকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
বাংলাদেশের জনগণ ও সরকারের পক্ষ থেকে একটি সাক্ষরিত চিঠিতে তিনি বলেন: ‘আমি আত্মবিশ্বাসী যে আপনার দূরদর্শী শাসনাকার্যে, যুক্তরাজ্যের জনগণ আপনার প্রিয় মা প্রয়াত মহামান্য রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের উত্তরাধিকারের ওপর ভিত্তি করে একটি চির-উন্নত ভবিষ্যৎ উপভোগ করতে থাকবে।’
আরও পড়ুন: রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় যোগ দিতে পারেন প্রধানমন্ত্রী
এসময় প্রধানমন্ত্রী দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান চমৎকার বন্ধুত্ব ও সহযোগিতাকে আরও জোরদার করতে এবং কমনওয়েলথকে কাঙ্ক্ষিত পথে পরিচালিত করতে রাজাকে তার আন্তরিক সমর্থন জানান।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজার সহধর্মিনী, কুইন কনসর্ট এবং রাজপরিবারের সকলের মঙ্গলময় স্বাস্থ্য, সুখ ও দীর্ঘায়ু কামনা করেন এবং যুক্তরাজ্যের বন্ধুবাৎসল জনগণের জন্য অব্যাহত শান্তি, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি কামনা করেন।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর পরবর্তী সংবাদ সম্মেলন বুধবার
রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ এর মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর পরবর্তী সংবাদ সম্মেলন বুধবার
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সাম্প্রতিক চারদিনের ভারত সফরের ফলাফল বিষয়ে বুধবার বিকালে একটি সংবাদ সম্মেলন করবেন। সোমবার প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম বলেন, বুধবার বিকাল ৪টায় সংবাদ সম্মেলন শুরু হবে।
গত ৫ সেপ্টেম্বর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে দেশটিতে চারদিনের সফরে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এসময় তিনি নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় আলোচনা করেন এবং পৃথকভাবে দেমটির রাষ্ট্রপতি দ্রুপদি মুর্মু ও উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখরের সঙ্গে দেখা করেন।
আরও পড়ুন: ৪ দিনের ভারত সফর শেষে দেশে ফিরছেন প্রধানমন্ত্রী
সফরকালে কুশিয়ারা নদীর পানি বন্টন সহ বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে সহযোগিতা বৃদ্ধির জন্য ঢাকা-দিল্লি সাতটি সমঝোতা স্মারক সই করেন।
অন্যান্য সমঝোতা স্মারকগুলো হলো- মহাকাশ সংক্রান্ত গবেষণা প্রযুক্তি, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, রেলওয়ে, বিচার বিভাগ ও সম্প্রচারের ক্ষেত্রে সহযোগিতা।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর অত্যন্ত ফলপ্রসূ: তথ্যমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরে দৃশ্যমান কোনো অর্জন নেই: বিএনপি
সিলেট গ্যাসফিল্ডের ১০ নম্বর কূপে খনন করবে চীনের ‘সিনোপেক’
সিলেট গ্যাস ফিল্ড লিমিটেডের (এসজিএফএল) ১০ নম্বর কূপে গ্যাস খনন করবে চীনের সিনোপেক ইন্টারন্যাশনাল পেট্রোলিয়াম সার্ভিস করপোরেশন।
রবিবার ভার্চুয়ালি এ সংক্রান্ত একটি চুক্তি সই হয়। এসময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
তিনি তার বক্তব্যে তিনি বলেন, প্রাকৃতিক গ্যাস অনুসন্ধান ও উৎপাদনে অগ্রাধিকার দেয়া অব্যাহত রাখবে সরকার।
এই বিষয়ে প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন ত্বরান্বিত করার জন্য কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, সময়সীমার আগেই পরিকল্পনাগুলো সম্পন্ন করা অপরিহার্য।
এসজিএফএল-এর সঙ্গে চীনের সিনোপেক-এর চুক্তির আওতায় ঠিকাদার হিসেবে প্রকল্পে ভূমি উন্নয়ন ও সিভিল কাজ, লজিস্টিক যন্ত্রপাতি সরবরাহ, তৃতীয় পক্ষেরে প্রকৌশলী পরিষেবা এবং খননে প্রয়োজনীয় সকল প্রকার কাজ করবে।
আরও পড়ুন: কেরানীগঞ্জে গ্যাস পাইপলাইন বিস্ফোরণ: মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৬
কর্মকর্তারা আশা করছেন খননের পর কূপ থেকে দৈনিক প্রায় এক কোটি কিউবিক ফুট গ্যাস উৎপাদন করতে পারবে।
প্রতিমন্ত্রী আশা প্রকাশ করে বলেন, কূপ থেকে যে পরিমাণ গ্যাসই পাওয়া যাক বা উৎপাদন হোক না কেন, তা দেশের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
তিনি গ্যাস আবিস্কার ও উৎপাদনে বাস্তবসম্মত পদক্ষেপ নেয়ার ওপর জোর দেন।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব জাকির হোসেন, পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান নাজমুল আহসান এবং সিলেট গ্যাস ফিল্ড লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিজানুর রহমান।
আরও পড়ুন: ‘টবগী-১’ খনন শুরু, গ্যাস সংকট কাটাতে সহায়তার আশা
কর্ণফুলী গ্যাসের সাবেক উপমহাব্যবস্থাপকের স্ত্রী কারাগারে
ভারত থেকে দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী
ভারতে চার দিনের সরকারি সফর শেষে বৃহস্পতিবার রাতে দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ভিভিআইপি ফ্লাইট রাত ৮টা ০৬ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
এর আগে, ফ্লাইটটি রাজস্থানের জয়পুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে স্থানীয় সময় বিকাল ৫টা ৩০ মিনিটে (বাংলাদেশি সময় সন্ধ্যা ৬টা) যাত্রা করে। যেখানে রাজস্থানের শিক্ষামন্ত্রী বুলাকি দাস কাল্লা ও ভারতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার মুহাম্মদ ইমরান প্রধানমন্ত্রীকে বিদায় জানান।
এর আগে সকালে, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ভারত সফরের শেষ দিনে সুফি মঈনুদ্দিন চিশতীর মাজার (রওজা) খাজা গরীব নওয়াজ দরগাহ শরীফে নামাজ পড়তে রাজস্থানের আজমির শরীফে পৌঁছান।
আরও পড়ুন: ৪ দিনের ভারত সফর শেষে দেশে ফিরছেন প্রধানমন্ত্রী
গত সোমবার ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে তিন বছর পর ভারত সফরে যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী এসময় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বিভিন্ন দ্বিপক্ষীয় বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন এবং মঙ্গলবার পৃথকভাবে ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু ও ভারতের উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।
এসময় দুই নেতার মধ্যে দ্বিপক্ষীয় আলোচনার পর ঢাকা ও দিল্লি কুশিয়ারা নদীর পানি বণ্টনসহ সাতটি সমঝোতা স্মারক সই করে।
অন্যান্য সমঝোতা স্মারকগুলো হলো- মহাকাশ প্রযুক্তি, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, রেলওয়ে, বিচার বিভাগ ও সম্প্রচারের ক্ষেত্রে সহযোগিতা।
এছাড়া রামপালে মৈত্রী বিদ্যুৎকেন্দ্রের ইউনিট-১ এবং খুলনায় ৫ দশমিক ১৩ কিলোমিটার দীর্ঘ রূপসা সেতুর উদ্বোধন করেন দুই নেতা।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাতের আমন্ত্রণ না পেয়ে মোদি সরকারের সমালোচনায় মমতা
শেখ হাসিনা ভারতে অবস্থানকালে দেশটির প্রধান বিরোধীদল কংগ্রেসের সাবেক সভাপতি রাহুল গান্ধী, ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর, ভারতের উত্তর-পূর্ব অঞ্চলের উন্নয়ন মন্ত্রী জি কিষাণ রেড্ডি, নোবেল বিজয়ী কৈলাশ সত্যার্থী, আদানি গ্রুপের চেয়ারম্যান গৌতম আদানি এবং ভারতের প্রয়াত রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জির মেয়ে শর্মিষ্ঠা মুখার্জি তার সঙ্গে সাক্ষাত করেন।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ভারতের জাতির পিতার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে মহাত্মা গান্ধীর সমাধি (স্মৃতিস্থল) পরিদর্শন করেন।
শেখ হাসিনা দিল্লিতে নিজামুদ্দিন আউলিয়া দরগা পরিদর্শন করেন ও ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বারস অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই) এবং কনফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান ইন্ডাস্ট্রি (সিআইআই) যৌথভাবে নয়াদিল্লিতে আয়োজিত একটি ব্যবসায়িক অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
শেখ হাসিনা ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে প্রাণ উৎসর্গকারী ভারতীয় সেনাদের বংশধরদের মধ্যে ২০০ শিক্ষার্থীকে মুজিব বৃত্তি প্রদান করেন।
আরও পড়ুন: আশা করি তিস্তা চুক্তিসহ সব অমীমাংসিত সমস্যার দ্রুত সমাধান হবে: প্রধানমন্ত্রী
আশা করি তিস্তা চুক্তিসহ সব অমীমাংসিত সমস্যার দ্রুত সমাধান হবে: প্রধানমন্ত্রী
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে ভারত সফররত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ, ভারত ও এই অঞ্চলে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি টেকসই এবং শান্তি, নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সহযোগিতামূলক প্রচেষ্টার ওপর জোর দিয়েছেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও ভারত অংশীদার হিসেবে একসঙ্গে কাজ করতে পারলে এটি শুধু দুই দেশের জন্যই নয়, এ অঞ্চলে শান্তি ও সমৃদ্ধি নিশ্চিত করবে।
দিল্লির হায়দ্রাবাদ হাউজে দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় আলোচনার পর এক প্রেস বিবৃতিতে তিনি বলেন, ৫৪টি নদীর দ্বারা সংযুক্ত এবং চার হাজার কিলোমিটার সীমান্ত ভাগ করে নেয়া, বাংলাদেশ ও ভারত দুই দেশের সম্মিলিত সমৃদ্ধি সাধনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ-ভারত দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক প্রতিবেশি কূটনীতির রোল মডেল হিসেবে প্রশংসিত।
তিনি বলেন, গত এক দশকে উভয় দেশই বিভিন্ন ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দুই দেশ বন্ধুত্ব ও সহযোগিতার চেতনায় অনেক অসামান্য সমস্যার সমাধান করেছে।
আরও পড়ুন: ভারত প্রয়োজনে সব সময় বাংলাদেশকে সাহায্য করে: প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘আমরা আশা করি তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি স্বাক্ষর সহ সকল অমীমাংসিত সমস্যা দ্রুত সমাধান হবে।’
শেখ হাসিনা বলেন, গত ৫০ বছরে একটি শক্তিশালী অংশীদারিত্ব গড়ে তোলার পর বর্তমানে বাংলাদেশ ও ভারত পারস্পরিক স্বার্থে ক্রমবর্ধমান বৃহৎ পরিসরে কাজ করছে।
তিনি ভারতের স্বাধীনতার ৭৫তম বছর উপলক্ষে বছরব্যাপী উদযাপন ‘আজাদি কা অমৃত মহোৎসব’-এর সফল সমাপ্তির জন্য ভারতকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী তাদের এই দ্বিপক্ষীয় বৈঠককে আরেকটি ফলপ্রসূ আলোচনা হিসেবে অভিহিত করেন এবং আশা প্রকাশ করেন যে এই বৈঠকের ফলাফল উভয় দেশের জনগণের জন্য সুফল বয়ে আনবে।
শেখ হাসিনা বলেন, পারস্পরিক যোগাযোগ, ব্যবসা-বাণিজ্য, বিনিয়োগ, পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনা, নিরাপত্তা ও ঋণ সহ কয়েকটি বিষয়ে তারা আলোচনা করেছেন।
তিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারত সরকার ও জনগণের অমূল্য সমর্থনের জন্য আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘এরপর থেকে, বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক পারস্পরিক ইতিহাস ও সংস্কৃতি, পারস্পরিক আস্থা ও সম্মান, দীর্ঘস্থায়ী বন্ধুত্ব এবং অব্যাহত সহযোগিতার পথে যাত্রা অব্যাহত রেখেছে।’
এসময় শেখ হাসিনা নরেন্দ্র মোদির দূরদর্শী নেতৃত্বের প্রশংসা করেন, যা দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে আরও গতিশীল করে চলেছে।
তিনি পুনর্ব্যক্ত করেন যে ভারত বাংলাদেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও নিকটতম প্রতিবেশি।
আরও পড়ুন: ঢাকা-দিল্লি ৭ সমঝোতা স্মারক সই
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়শঙ্করের সাক্ষাৎ
৪ দিনের সফরে ভারতের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রীর ঢাকা ত্যাগ
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে চার দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে সোমবার সকালে নয়াদিল্লির উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ইউক্রেন সংকট, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দা এবং চলমান কোভিড-১৯ মহামারির মধ্যে এই সফরকে খুব গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে দেখা হচ্ছে। কেননা দক্ষিণ এশিয়ার এই দুই প্রতিবেশী দেশ চ্যালেঞ্জগুলো কাটিয়ে ওঠার জন্য বর্ধিত সহযোগিতা বাড়াতে চায়।
প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ভিভিআইপি চার্টার্ড ফ্লাইট সকাল ১০টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে।
বাংলাদেশ সময় দুপুর ১২টায় ফ্লাইটটি নয়াদিল্লির পালাম বিমানবন্দরে অবতরণের কথা রয়েছে। বিমানবন্দরে ভারতের রেল ও বস্ত্র প্রতিমন্ত্রী দর্শনা বিক্রম জারদোশ এবং ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মুহাম্মদ ইমরান প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানাবেন।
৬ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আনুষ্ঠানিকভাবে অভ্যর্থনা জানানো হবে এবং রাষ্ট্রপতি ভবনে তাকে গার্ড অব অনার প্রদান করা হবে।
একই দিন হায়দরাবাদ হাউসে মোদির সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় আলোচনা এবং ওয়ান টু ওয়ান বৈঠক করার কথা রয়েছে।
হায়দরাবাদ হাউসে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মধ্যকার আলোচনায় নিরাপত্তা সহযোগিতা, বিনিয়োগ, ক্রমবর্ধমান বাণিজ্য সম্পর্ক, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের সহযোগিতা, অভিন্ন নদীর পানি বণ্টন, পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনা, সীমান্ত ব্যবস্থাপনা, মাদক চোরাচালান ও মানব পাচার রোধ সংক্রান্ত বিষয়গুলো অগ্রাধিকার পাবে।
দ্বিপক্ষীয় আলোচনার পর বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে পানি ব্যবস্থাপনা, রেলপথ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ও তথ্য ও সম্প্রচার বিষয়ে সাতটি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের সম্ভাবনা রয়েছে।
পরে সেখানে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর দেয়া মধ্যাহ্নভোজে শেখ হাসিনা যোগ দেয়ার কথা রয়েছে।
একই দিনে ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু এবং উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়ার সঙ্গে সঙ্গে পৃথকভাবে সাক্ষাৎ করবেন শেখ হাসিনা।
এছাড়াও ৫ সেপ্টেম্বর ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর, আদানি গ্রুপের চেয়ারম্যান গৌতম আদানি পৃথকভাবে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সাথে দেখা করবেন। ৭ সেপ্টেম্বর ভারতের উত্তর-পূর্ব অঞ্চলের উন্নয়নমন্ত্রী জি কিষান রেড্ডি এবং নোবেল বিজয়ী কৈলাশ সত্যার্থী তার সাথে পৃথকভাবে বৈঠক করবেন।
প্রধানমন্ত্রী সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর) দিল্লির নিজামুদ্দিন আউলিয়া দরগাহ, খাজা গরীব নওয়াজ দরগাহ শরীফ এবং ৮ সেপ্টেম্বর রাজস্থানের আজমির (আজমির শরীফ দরগা) পরিদর্শন করবেন।
আগামী ৭ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের ব্যবসায়ী সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে হাসিনা বাংলাদেশ-ভারত বিজনেস ফোরামে যোগ দেবেন।
পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর: দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা নিয়ে বেশ কিছু চুক্তির সম্ভাবনা
একই দিনে প্রধানমন্ত্রী ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় শহীদ ও গুরুতর আহত ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর ২০০ জন সদস্যের বংশধরদের বাংলাদেশ সরকারের একটি উদ্যোগ মুজিব বৃত্তি প্রদান করবেন।
এর আগে কোভিড-১৯ মহামারি শুরু হওয়ার আগে ২০১৯ সালে ভারত সফর করেছেন প্রধানমন্ত্রী।
সফরে প্রধানমন্ত্রী একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেবেন, যেখানে বেশ কয়েকজন মন্ত্রী, উপদেষ্টা, সচিব এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা রয়েছেন।
প্রতিনিধি দলের সদস্যদের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, রেলমন্ত্রী মোঃ নুরুল ইসলাম সুজন, প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মোঃ শাহরিয়ার আলম, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ এবং পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহেদ ফারুক রয়েছেন।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর: ঢাকা-দিল্লির ৭টি চুক্তি, সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের সম্ভাবনা
‘আলোচনার মাধ্যমে মতপার্থক্য দূর করা যায়, বাংলাদেশ-ভারত সেটাই করছে’: এএনআইকে প্রধানমন্ত্রী