প্রধানমন্ত্রীর-কার্যালয়
ফজলে রাব্বির প্রশংসায় প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রয়াত সাবেক ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বি মিয়ার প্রশংসা করে বলেন, তিনি খুবই জনপ্রিয়, জনগণের বিশ্বস্ত ও নির্ভরযোগ্য ব্যক্তি ছিলেন। তাই বারবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।
তিনি বলেন, ‘তিনি টানা কয়েকবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। এমনকি তিনি দল বদল করেও সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। এর মানে হলো জনগণের কাছে তিনি ব্যক্তিগতভাবে জনপ্রিয় ও গ্রহণযোগ্য ছিলেন, যা অতুলনীয়।’
সাবেক ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বি মিয়া ও সাবেক পাঁচ এমপি এবং জাপানের সাবেক প্রধানমন্ত্রীর মৃত্যুতে শোক প্রস্তাবের বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ফজলে রাব্বি দক্ষতার সঙ্গে ডেপুটি স্পিকার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
সংসদ নেতা হাসিনা বলেন, ‘যে কোন রাজনৈতিক নেতার ওপর জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যা তিনি (ফজলে রাব্বি মিয়া) সফলতার সঙ্গে অর্জন করেছিলেন।’
তিনি বলেন, তিনি তার নির্বাচনী এলাকার উন্নয়নে সর্বদা আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করতেন। ‘সমাজের উন্নয়নে তিনি বিভিন্নভাবে নিবেদিত প্রাণ ছিলেন। তার মৃত্যু আমাদের জন্য বিরাট ক্ষতি,’ প্রধানমন্ত্রী বলেন।
শেখ হাসিনা ফজলে রাব্বির মেয়েসহ শোকাহত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর শোক প্রকাশ করেন।
জাপানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে’র মৃত্যুতে গভীর দুঃখ প্রকাশ করে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাপানের এই নেতা বাংলাদেশের প্রকৃত বন্ধু ছিলেন।
মারা যাওয়া সাবেক সংসদ সদস্যরা হলেন- মুক্তিযোদ্ধা এম আবু সালেহ(গণপরিষদ সদস্য), আব্বাস আলি মন্ডল, আলহাজ্ব মো. করিম উদ্দিন বাশার, মোহাম্মদ শোয়ায়েব ও খুরশিদ আরা হক।
পরে শোক প্রস্তাবটি কন্ঠভোটে পাস হয়।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গাদের স্বদেশে মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত করতে মিয়ানমারের প্রতি আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
শেখ কামাল জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার প্রদান করলেন প্রধানমন্ত্রী
রেলের ৪৩৩ মিলিয়ন ডলারের দুটি উন্নয়ন প্রকল্প চুক্তি স্বাক্ষর
বাংলাদেশ রেলওয়ের নুতন দুটি প্রকল্পের কনসাল্টেন্সি সার্ভিসের জন্য চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। প্রকল্প দুটি হলো-‘খুলনা-দর্শনা জংশন সেকশনের মধ্যে ডাবল লাইন রেল ট্র্যাক নির্মাণ’ ও ‘বাংলাদেশ রেলওয়ের পার্বতীপুর-কাউনিয়া সেকশনে মিটারগেজ লাইনকে ডুয়েল গেজ লাইনে রূপান্তর’।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর রেলভবনে এ চুক্তি স্বাক্ষর করা হয়।
উভয় প্রকল্পই ভারত সরকারের দ্বিতীয় লাইন অব ক্রেডিট (এলওসি)-এর অধীনে বাংলাদেশ সরকারকে প্রদত্ত দুই বিলিয়ন ডলার রেয়াতি ঋণের সহায়তায় সূচিত হতে যাচ্ছে। ভারত সরকারের লাইন অব ক্রেডিট পোর্টফোলিও’র প্রায় এক-চতুর্থাংশ নিয়ে বাংলাদেশ বর্তমানে ভারতের অন্যতম উন্নয়ন অংশীদার।
এছাড়া খুলনা-দর্শনা রেললাইন প্রকল্পটি ভারত সরকারের লাইন অব ক্রেডিটের অধীনে মোট ৩১২ দশমিক ৪৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয়ে বাস্তবায়িত হচ্ছে। এই রেললাইনের মোট দৈর্ঘ্য হল ১২৬ দশমিক ২৫ কিলোমিটার (ডাবল লাইন) যার মাঝে রয়েছে ১৪ দশমিক ৪০ কিলোমিটার লুপ লাইন এবং ১৪৭টি গার্ডার ব্রিজ ও কালভার্ট। এই প্রকল্পটি খুলনা-ঢাকা, খুলনা-চিলাহাটি, খুলনা-রাজশাহী রুটে এবং মোংলা বন্দর ও দর্শনা-গেদের মধ্যে যোগাযোগকে উন্নত করার পাশাপাশি পণ্য পরিবহনের সক্ষমতা বৃদ্ধি করবে।
এটি হরিয়ান, ভেড়ামারা, সান্তাহার, বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম স্টেশন, আমানুরা, ফরিদপুর, ঠাকুরগাঁও এবং রংপুরে প্রস্তাবিত জ্বালানি ভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রসমূহে জ্বালানি পরিবহনকে সহজ করে দেবে।
কনসালটেন্সি সার্ভিসের জন্য চুক্তিটি করা হয়েছে এসটিইউপি কনসালট্যান্ট প্রাইভেট লিমিটেড, এএআরভিইই অ্যাসোসিয়েটস্ আর্কিটেক্টস্ ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যান্ড কনসালট্যান্টস্ প্রাইভেট লিমিটেড এবং ডিজাইন কনসালটেন্টস লিমিটেডের যৌথ উদ্যোগের সঙ্গে (বাংলাদেশি অংশীদার)।
পার্বতীপুর-কাউনিয়া রেললাইন প্রকল্পটি ভারত সরকারের লাইন অব ক্রেডিটের অধীনে মোট ১২০.৪১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয়ে বাস্তবায়িত হচ্ছে। এই প্রকল্পের লক্ষ্য হল পার্বতীপুর এবং কাউনিয়া জংশনের মধ্যে ৫৭ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের একটি ডুয়েল গেজ রেলপথ নির্মাণ করা যার মাধ্যমে বাংলাদেশ রেলওয়ের লালমনিরহাট-কাউনিয়া-রংপুর-পার্বতীপুর-কাঞ্চন-পঞ্চগড় সেকশন, কাঞ্চন-বিরল সীমান্ত সেকশন এবং শান্তাহার-বগুড়া-কাউনিয়া-রংপুর-পার্বতীপুর-কাঞ্চন-পঞ্চগড় করিডোর অংশের সক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে ও লাইনের পরিবহন ক্ষমতার উন্নয়ন ঘটবে। এটি বিরল সীমান্ত দিয়ে আন্তসীমান্ত যাতায়াত সহজ করতেও সহায়তা করবে। এছাড়াও এই প্রকল্পের কাজ শেষ হলে খুলনা অঞ্চল থেকে সরাসরি রংপুর বিভাগে জ্বালানি পরিবহন করা যাবে। কনসালটেন্সি সার্ভিসের জন্য চুক্তিটি করা হয়েছে এসটিইউপি কনসালট্যান্ট প্রাইভেট লিমিটেড, এএআরভিইই অ্যাসোসিয়েটস্ আর্কিটেক্টস্ ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যান্ড কনসালট্যান্টস্ প্রাইভেট লিমিটেড এবং ডিজাইন কনসালটেন্টস লিমিটেডের যৌথ উদ্যোগের সঙ্গে (বাংলাদেশি অংশীদার)।
ভারত সরকারের রেয়াতযোগ্য লাইন অব ক্রেডিটের অধীনে পরিচালিত এই গুরুত্বপূর্ণ রেল সংযোগ প্রকল্পসমূহের জন্য কনসাল্টেন্সি সার্ভিসের চুক্তি স্বাক্ষরের ফলে উপ-আঞ্চলিক যোগাযোগ, ব্যবসা-বাণিজ্য এবং সমগ্র অঞ্চলের উন্নতি ত্বরান্বিত হবে বলে আশা করছে সংশ্লিষ্টরা।
আরও পড়ুন: টঙ্গীতে রেললাইন অবরোধ করে বিক্ষোভ, এক ঘণ্টা রেল যোগাযোগ বন্ধ
ঢাকা-ভাঙ্গা রেল চলাচল শুরু জুনে: রেলমন্ত্রী
রোহিঙ্গাদের স্বদেশে মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত করতে মিয়ানমারের প্রতি আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবর্তনের জন্য একটি উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করতে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোকে রাখাইন রাজ্যে কাজ করতে দেয়া উচিত মিয়ানমারের।
তিনি বলেন, ‘মিয়ানমারের উচিত আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোকে রাখাইন রাজ্যে কাজ করার অনুমতি দেয়া।’
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিমের প্রেস ব্রিফিং অনুসারে মিয়ানমারের জন্য জাতিসংঘের বিশেষ দূত নোলিন হাইজার বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে দেখা করার সময় প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রীকে উদ্ধৃত করে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব বলেন,‘আমরা মিয়ানমারের সঙ্গে এটি নিয়ে আলোচনা করেছি। কিন্তু এখনও কোনো সাড়া পাইনি। আমরা এর সমাধান চাই। আমরা কতদিন এত লোককে আতিথ্য করতে পারি?’
তিনি বলেন, কিছু রোহিঙ্গা মাদক, মানব পাচার ও অন্যান্য সামাজিক সমস্যার সঙ্গে জড়িত।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের উন্নয়নের প্রশংসা বিশ্বব্যাংকের
এ প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা উল্লেখ করেন, ১৯৯৭ সালে পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরের মাধ্যমে বাংলাদেশ পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকার শরণার্থীদের ভারত থেকে ফিরিয়ে এনেছে।
জাতিসংঘের বিশেষ দূত বলেন, তিনি কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেছেন এবং রোহিঙ্গাদের সঙ্গে কথা বলেছেন।
তিনি বলেন, এখন মিয়ানমারে তাদের মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবর্তনের উপযোগী পরিবেশ তৈরি করা অপরিহার্য।
তিনি বলেন, জাতিসংঘের সংস্থা ও এনজিওসহ সবাই ক্যাম্পে রোহিঙ্গাদের জন্য কাজ করছে।
রোহিঙ্গা ব্যবস্থাপনার জন্য বাংলাদেশের প্রশংসা করে জাতিসংঘের দূত বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যু মোকাবিলায় ঢাকার অনেক সমর্থন প্রয়োজন।
হেইজার বলেন, তিনি মিয়ানমার সফর করেছেন এবং রোহিঙ্গা সঙ্কটের সমাধান খুঁজতে দেশটির সামরিক সরকারকে বলেছেন।
তিনি রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে আসিয়ান-বাংলাদেশ উদ্যোগের আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, আসিয়ান পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের ফোরামে রোহিঙ্গা ইস্যুটি একটি এজেন্ডা হওয়া উচিত।
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আহমদ কায়কাউস এবং প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: জনগণের কল্যাণে কাজ করুন: সরকারি কর্মকর্তাদের প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের উন্নয়নের প্রশংসা বিশ্বব্যাংকের
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নারীর ক্ষমতায়নসহ বাংলাদেশের সামগ্রিক আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন বিশ্বব্যাংকের বিদায়ী কান্ট্রি ডিরেক্টর মার্সি মিয়াং টেম্বন।
বুধবার গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বিদায়ী সাক্ষাৎকালে টেম্বন এ কথা বলেন।
সাক্ষাৎ শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
বিশ্বব্যাংকের এই কর্মকর্তা জানান, তিনি বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থান পরিদর্শন করেছেন এবং তৃণমূলের উন্নয়নে অভিভূত হয়েছেন।
গৃহহীনদের ঘর দেয়ায় প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্পের উদ্যোগের প্রশংসা করেন টেম্বন।
এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় পাওয়া স্বামী-স্ত্রী দুজনেই ঘরের মালিক এবং তারা তাদের জমিতে সবজি চাষ করে ব্যবহার করছেন।
কোভিড-১৯ মহামারি চলাকালীন শিক্ষার্থী এবং অন্যান্য লোক কৃষকদের স্বেচ্ছায় ধান কেটে দেয়ার প্রশংসা করেন টেম্বন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা তাদের রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী কাজ করেছেন।
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আহমদ কায়কাউস উপস্থিত ছিলেন।
পড়ুন: রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফিরে যেতে হবে: জাতিসংঘ মানবাধিকার প্রধানকে শেখ হাসিনা
পরে আন্তর্জাতিক ডায়াবেটিক ফেডারেশনের সভাপতি অধ্যাপক আখতার হোসেন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
বিশ্ব ডায়াবেটিক ফেডারেশন সম্মেলনে যোগ দেয়ার জন্য আখতার প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমন্ত্রণপত্র তুলে দেন।
আগামী ডিসেম্বরে পর্তুগালে এই সম্মেলনে অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ডায়াবেটিসের প্রথম গ্লোবাল অ্যাম্বাসেডর হিসেবে সম্মানিত করা হবে।
সর্বসম্মতিক্রমে এই উপাধিতে ভূষিত করায় শেখ হাসিনা বিশ্ব ডায়াবেটিস ফেডারেশনের গভর্নিং বডিকে ধন্যবাদ জানান।
তিনি খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন এবং জনসাধারণের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টির মাধ্যমে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের পদক্ষেপের ওপর জোর দেন।
আন্তর্জাতিক ডায়াবেটিক ফেডারেশনের সভাপতি প্রধানমন্ত্রীকে সংস্থাটির কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত করেন।
এ সময় জাতীয় অধ্যাপক ড. আবুল কালাম আজাদ খান উপস্থিত ছিলেন।
পড়ুন: ২১ আগস্ট হত্যাকাণ্ডের জন্য বিএনপি-জামায়াত সরকার দায়ী: প্রধানমন্ত্রী
জনগণের কল্যাণে কাজ করুন: সরকারি কর্মকর্তাদের প্রধানমন্ত্রী
সরকারি অফিস সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৩টা
বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে সকল সরকারি ও স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানের নতুন সূচী নির্ধারণ করেছে সরকার। নতুন সূচী অনুযায়ী সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত চলবে অফিসের কার্যক্রম। একই সাথে সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ব্যাংকগুলোর কার্যক্রম চলবে।
সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়েছিলেন।
মন্ত্রিপরিষদের অন্য সদস্যরা সচিবালয়ের কনফারেন্স রুম থেকে বৈঠকে যোগ দেন।
বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘বুধবার থেকে অফিসের নতুন সূচী কার্যকর হবে।’
তিনি আরও বলেন, পাশাপাশি সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সপ্তাহে দু’দিন বন্ধ থাকবে। শিক্ষামন্ত্রী এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করবেন।
মন্ত্রিপরিষদ বৈঠকে প্রত্যন্ত অঞ্চলে কৃষি ক্ষেতে সেচের জন্য ১০-১৫ দিন মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করতে বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়কে বলা হয়।
আরও পড়ুন: জনগণের কল্যাণে কাজ করুন: সরকারি কর্মকর্তাদের প্রধানমন্ত্রী
সরকার নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম কমানোর উপায় বের করছে: প্রধানমন্ত্রী
জনগণের কল্যাণে কাজ করুন: সরকারি কর্মকর্তাদের প্রধানমন্ত্রী
জাতীয় উন্নয়নের সুফল ভোগ করতে জনগণের কল্যাণে কাজ করার জন্য সরকারি কর্মকর্তাদের আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘আপনাদেরকে জনগণের সেবক হতে হবে। মানুষের সেবা করাই সবচেয়ে বড় বিষয়। আপনাদের সবাইকে সেই নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করতে হবে।’
সোমবার (২২ আগস্ট) সাভারে বাংলাদেশ পাবলিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ট্রেনিং সেন্টারে (বিওএটিসি) ৭৩তম ফাউন্ডেশন ট্রেনিং কোর্সের কোর্স সনদ বিতরণ ও কোর্স সমাপ্তি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
তিনি গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এদেশের মানুষের কল্যাণ নিশ্চিত করা সবার দায়িত্ব।
তিনি বলেন, ‘এটা আমাদের দেশ। দেশের সব জনগণের কল্যাণ নিশ্চিত করা আমাদের দায়িত্ব। সব সময় এটা আপনাদের মনে রাখতে হবে।’
তিনিনবীন সরকারি কর্মকর্তাদের জনগণের কল্যাণ ও দেশের উন্নয়নে আত্মনিয়োগ করার আহ্বান জানান।
সরকারপ্রধান বলেন, ‘তৃণমূল পর্যায়ের মানুষ ভালো থাকলে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন অনিবার্য হয়ে ওঠে। এটা কেউ আটকাতে পারবে না।’
অনুষ্ঠানে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কেএম আলী আজম এবং বিপিএটিসির রেক্টর রামেন্দ্র নাথ বিশ্বাস বক্তব্য দেন।
প্রশিক্ষানার্থীদের পক্ষে আল মাহমুদ হাসান এবং ফারজানা ইয়াসমিন বক্তব্য দেন।
৭৩তম ফাউন্ডেশন ট্রেনিং কোর্সে একটি অডিও ভিজ্যুয়াল প্রদর্শন করা হয়।
প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে সনদপত্র বিতরণ করেন।
পড়ুন: ২১ আগস্ট হত্যাকাণ্ডের জন্য বিএনপি-জামায়াত সরকার দায়ী: প্রধানমন্ত্রী
রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফিরে যেতে হবে: জাতিসংঘ মানবাধিকার প্রধানকে শেখ হাসিনা
সরকার নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম কমানোর উপায় বের করছে: প্রধানমন্ত্রী
২১ আগস্ট হত্যাকাণ্ডের জন্য বিএনপি-জামায়াত সরকার দায়ী: প্রধানমন্ত্রী
আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতৃত্বকে নিশ্চিহ্ন করতে বিএনপি-জামায়াত সরকারের সরাসরি পৃষ্ঠপোষকতায় ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা চালানো হয়েছিল বলে অভিযোগ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘কোনো সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা না থাকলে এ ধরনের জঘন্য হামলা হতে পারত না। লক্ষ্য ছিল আমাকে মেরে আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করা।’
রবিবার বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে তৎকালীন বিরোধী দল আওয়ামী লীগ আয়োজিত সন্ত্রাসবিরোধী সমাবেশে গ্রেনেড হামলা উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
হামলায় দলের তৎকালীন মহিলা বিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের স্ত্রী আইভি রহমানসহ ২৪ জন প্রাণ হারান। অল্পের জন্য ওই হামলা থেকে বতর্মান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বেঁচে ফিরলেও, তার শ্রবণশক্তি মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
শেখ হাসিনা বলেন, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া হত্যাকাণ্ডের পর দুই খুনিকে দেশ ছাড়তে সহায়তা করেছিলেন। এটি বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে জঘন্য রাজনৈতিক সহিংসতার একটি।
তিনি বলেন, ‘এটাই বাস্তবতা। অনেকেই জানেন ডালিম ও রশিদ ঢাকায় ছিলেন। আমি জানি না সবাই এই বিষয়ে জানতেন কি না। তাদের আত্মীয়স্বজন আছে, আপনারা তা সহজেই জানতে পারেন।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারা যখন জানতে পারে যে হামলায় আমি মারা যাইনি, তখন তারা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যায়।
তৎকালীন বিএনপি সরকার উদ্যোগ না নিলে তাদের এখানে কে নিয়ে এসেছে? তারা এসেছিল এবং তারা চলে গেছে।
পড়ুন: ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার ১৮তম বার্ষিকী আজ
তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, হত্যা করা বিএনপির চরিত্র এবং এখন আমাদের তাদের সাথে বসতে হবে এবং তাদের আতিথেয়তা দিতে হবে যাতে তারা নির্বাচনে আসে। কেন? আমি বুঝতে পারছি না। বাংলাদেশে কি আর কোনো মানুষ নেই?
তিনি বলেন, বাংলাদেশের জনগণকে এখনই সন্ত্রাসের রাজনীতি ও উন্নয়নের মধ্যে থেকে বেছে নিতে হবে।
সরকারপ্রধান বলেন, জনগণকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে তারা সন্ত্রাসের যুগে ফিরে যেতে চায় নাকি বর্তমান উন্নয়নের পথে থাকতে চায়।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী হত্যাকাণ্ডের ঘটনাস্থলে নির্মিত অস্থায়ী স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে ভয়াবহ গ্রেনেড হামলায় নিহতদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
এরপর তিনি ওই হামলায় আহত ও নিহতদের স্বজনদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। নিহতদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া শেষে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
পড়ুন: ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা: রায় কার্যকর দেখে মরতে চান রেনু
রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফিরে যেতে হবে: জাতিসংঘ মানবাধিকার প্রধানকে শেখ হাসিনা
বাংলাদেশে অস্থায়ীভাবে আশ্রয় নেয়া ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গা নাগরিককে দেশে ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমারের প্রতি আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার (১৭ আগস্ট) প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে সফররত জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার মিশেল ব্যাচেলেট সৌজন্য সাক্ষাত করতে গেলে শেখ হাসিনা বলেন, ‘রোহিঙ্গারা মিয়ানমারের নাগরিক এবং তাদের সেখানে ফিরিয়ে নিতে হবে। ‘
বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মিয়ানমার তাদের রোহিঙ্গা নাগরিকদের অস্বীকার করছে না, আবার তাদের স্বদেশে ফিরিয়েও নিচ্ছে না।
চিলির সাবেক প্রেসিডেন্ট ব্যাচেলেট বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গা নাগরিকদের শিক্ষার এবং কাজের সুযোগ বাড়ানো প্রস্তাব করেন।
কক্সবাজারে এ ধরনের উদ্যোগ সম্ভব নয় জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী সফররত জাতিসংঘ মানবাধিকার প্রধানকে জানান, ভাষানচরে এমন পদক্ষেপ নেয়া যেতে পারে। সেখানে তাদের উন্নত মৌলিক সুবিধা দেয়া হচ্ছে। যেখানে ইতোমধ্যে ২০ হাজারেরও বেশি রোহিঙ্গাকে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
প্রেস সচিব বলেন, তারা উভয়ে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, রোহিঙ্গা সংকট, জলবায়ু পরিবর্তন এবং নারীর ক্ষমতায়নসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘের হাইকমিশনারকে বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর মৌলিক ও মানবাধিকার লঙ্ঘন করে বাংলাদেশ দীর্ঘকাল সামরিক শাসনের অধীনে ছিল।
হত্যাকাণ্ডের পর ক্ষমতা দখলকারী শাসকদের মাধ্যমে যেকোনো আদালতের বিচার থেকে খুনিদের ক্ষতিপূরণ দেয়া হয়েছে। ১৫ আগস্টের গণহত্যার পর খুনি ও যুদ্ধাপরাধীদের রাজনীতিতে পুনর্বাসন করা হয়।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বাবা-মাসহ পরিবারের সবাইকে হারানো আবেং বিদেশে থাকায় তিনি ও তার ছোট বোন প্রাণে বেঁচে থাকার কথা প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন।
এ সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, মুখ্য সচিব আহমদ কায়কাউস এবং ঢাকায় জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক গোয়ান লুইস উপস্থিত ছিলেন।
পড়ুন: দিল্লিতে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেবে ভারত
রোহিঙ্গাদের ত্যাগ করবেন না, সহযোগিতা বাড়ান: আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি ব্যাচেলেট
উত্তরায় গার্ডার দুর্ঘটনায় জড়িতদের খুঁজে বের করার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
উত্তরা বিআরটি গার্ডার দুর্ঘটনার তদন্ত সাপেক্ষে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে মঙ্গলবার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় সভাপতিত্বকালে এ নির্দেশনা দেন। এনইসি সম্মেলন কক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট অন্যান্য মন্ত্রী ও কর্মকর্তারা যুক্ত ছিলেন।
বৈঠক শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
‘দুর্ঘটনাকে দুঃখজনক আখ্যায়িত করে প্রধানমন্ত্রী বিস্ময় প্রকাশ করেন, প্রকল্প পরিচালক, ঠিকাদার এবং অন্যান্য সংশ্লিষ্টরা নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত না করে কীভাবে এটি করলেন। একটি পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত পরিচালনা করতে হবে এবং ব্যবস্থা নিতে হবে’, প্রধানমন্ত্রীর উদ্ধৃতি দিয়ে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: উত্তরায় ক্রেন দুর্ঘটনা: বিআরটির ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা
সোমবার বিকালে উত্তরা এলাকায় নির্মাণাধীন বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্পের একটি গার্ডার প্রাইভেট কারের ওপর পড়ে গেলে দুই শিশুসহ পাঁচজন নিহত হয়।
পুলিশ জানায়, দুর্ঘটনার পর গাড়ির দুই আরোহী গুরুতর আহত অবস্থায় বেরিয়ে আসতে সক্ষম হয় এবং তাদের স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তারা হলেন-হৃদয় (২৬) ও রিয়া মনি (২১)।
উত্তরা পশ্চিম থানার পরিদর্শক ইয়াসিন গাজী জানান, নিহতরা হলেন রুবেল (৫০), ফাহিমা (৪০), তার বোন ঝর্ণা (২৮) এবং ঝর্ণার দুই শিশু জান্নাত (৬) ও জাকারিয়া (২)।
এক পুলিশ সদস্য জানান, বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে গাজীপুর প্যারাডাইস টাওয়ারের সামনে বক্সগার্ডার ওঠানোর সময় ভারসাম্য রাখতে না পারায় বহনকারী ক্রেন একদিকে কাত হয়ে যায়। তখন এক্সপ্রেসওয়ের গার্ডারটি গাজীপুরগামী একটি প্রাইভেট কারের ওপর পড়ে গেলে হতাহতের ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: উত্তরায় গার্ডার ট্র্যাজেডি: প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদন জমা
সাড়ে ৫ ঘণ্টা পর ঢাকা ও উত্তরাঞ্চলে রেল যোগাযোগ চালু
সরকার নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম কমানোর উপায় বের করছে: প্রধানমন্ত্রী
জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির পর সাধারণের নাগালের বাইরে চলে যাওয়া নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম কমিয়ে আনার উপায় নিয়ে ভাবছে সরকার।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মঙ্গলবার তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এনইসিতে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) নিয়মিত বৈঠকে এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম সহনীয় পর্যায়ে এবং সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে নামিয়ে আনা এখন গুরুত্বপূর্ণ।’
তিনি সরকারের ৫০ লাখ পরিবারের মধ্যে ১৫ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রির কথা উল্লেখ করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা এক কোটি মানুষকে বিশেষ পরিবার কার্ড দেবো, যার মাধ্যমে তারা ন্যায্য মূল্যে প্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে সক্ষম হবে। আমরা এই পদক্ষেপ নিচ্ছি।’
শেখ হাসিনা বলেন, সাম্প্রতিক মূল্যবৃদ্ধির কারণে নিম্ন-মধ্যম আয়ের জনগোষ্ঠীকে ভোগান্তি থেকে বাঁচাতে সরকারকে আরও কিছু পদক্ষেপ নিতে হবে বলে তিনি মনে করেন।
আরও পড়ুন: ডলার সাশ্রয়ে টেলিটকের ২৩৬ কোটি টাকার প্রকল্প স্থগিত
জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির কারণে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে বলে তিনি জানান।
তিনি আরও বলেন, ‘মানুষ দুর্ভোগ পোহাচ্ছে, নিম্ন-আয়ের মানুষ, মধ্যম-আয়ের মানুষ এবং সীমাবদ্ধ আয়কারী মানুষ মারাত্মক সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। আমরা তা বুঝতে পারি।’
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তিনি জনগণের জন্য তার রাজনীতি করেন এবং যখনই জনগণের কষ্ট হয়, তিনিও কষ্ট অনুভব করেন।
প্রধানমন্ত্রী আমদানি নির্ভরতা কমাতে দেশীয় উৎপাদন বাড়ানোর আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেন।
তিনি বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, নিষেধাজ্ঞা ও পাল্টা নিষেধাজ্ঞার ফলে বিশ্ববাজারে বিভিন্ন পণ্যের দাম বেড়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের ক্রয় করার ক্ষমতা ছিল, কিন্তু দাম আমাদের ক্রয় ক্ষমতার নাগালের বাইরে চলে গেছে।’
তিনি বলেন, বাংলাদেশ যখনই এগিয়ে যেতে শুরু করেছে এবং জনগণের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন করেছে; তখনই বিভিন্ন ষড়যন্ত্রের কারণে এই ধরনের অনিশ্চয়তা আঘাত হেনেছে।
আরও পড়ুন: আ.লীগের প্রতি জনগণের আস্থা সরকারের সাফল্যের চাবিকাঠি: প্রধানমন্ত্রী
তরুণদের উদ্যোক্তা হতে দক্ষতা অর্জনের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর