প্রধানমন্ত্রীর-কার্যালয়
পদ্মা সেতু ষড়যন্ত্রকারীদের জন্য উপযুক্ত জবাব: প্রধানমন্ত্রী
খরস্রোতা পদ্মা নদীর ওপর দেশের দীর্ঘতম সেতু নির্মাণে সফলতার প্রশংসা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, এর মাধ্যমে (পদ্মা সেতু নির্মাণ) ষড়যন্ত্রকারীদের উপযুক্ত জবাব দেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমাদের নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণে যারা বাধা দেয়ার চেষ্টা করেছিল. তাদের আমরা উপযুক্ত জবাব দিতে পেরেছি।’
শনিবার মাদারীপুর জেলার শিবচর উপজেলার কাঁঠালবাড়িতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক বিশাল জনসভায় সভাপতির ভাষণে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মাওয়া প্রান্তে বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানে ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পরপরই সভায় উপস্থিত হন।
স্বপ্নের পদ্মা সেতু দিয়ে গাড়ি চালানোর আগে দেশের প্রথম ব্যক্তি হিসেবে ৭৫০ টাকা টোল দেন প্রধানমন্ত্রী।
আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা আবারও অঙ্গীকার ব্যক্ত করে বলেন, তিনি দেশের উন্নয়ন ও জনগণের কল্যাণে যেকোনো ত্যাগ স্বীকার করতে প্রস্তুত।
তিনি আরও বলেন, ‘আপনাদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে, ভাগ্য পরিবর্তন করতে আমি যে কোনও ত্যাগ স্বীকার করতে সর্বদা প্রস্তুত। আমি আগেও আপনাদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম যে যদি প্রয়োজন হয়, আমি আপনাদের জন্য আমার নিজের জীবন উৎসর্গ করব।’
উল্লসিত লাখো জনতার করতালি এবং ‘জয় বাংলা’ ও ‘জয় বঙ্গবন্ধু’ স্লোগানের মধ্যদিয়ে তিনি তার বক্তৃতা শেষ করেন।
আরও পড়ুন: উচ্ছ্বসিত জনতার অভিবাদনে পদ্মা সেতুর উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি পরবর্তী প্রজন্মের জন্য উন্নত জীবনযাত্রা নিশ্চিত করতে কাজ করবেন।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের মানুষের জন্য স্বাধীনতা অর্জন করেছিলেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, তার সরকার বাংলাদেশকে একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে তুলবে।
তিনি আরও বলেন, ‘আমি নিশ্চিত করব যে আমাদের দেশের শিশুরা আরও উন্নত জীবন পাবে। এটা আপনাদের কাছে আমার প্রতিশ্রুতি।’
প্রধানমন্ত্রী মাওয়া ও জাজিরা উভয় প্রান্তে ফলক ও ম্যুরাল উন্মোচনের মাধ্যমে ডাবল ডেক সড়ক ও রেলসেতু উদ্বোধনের পর দুপুর ১২টা ৫০ মিনিটে সমাবেশস্থলে পৌঁছান।
এসময় উচ্ছ্বসিত জনতা প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানিয়ে বিভিন্ন স্লোগান দেয়।
এর আগে সকাল থেকেই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিশেষ করে দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ বর্ণিল ব্যানার, ফেস্টুন ও আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রতীক নৌকা নিয়ে সমাবেশস্থলে ভিড় করলে সমাবেশে উৎসবমুখর রূপ ধারণ করে। এসময় আ.লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের সর্বস্তরের মানুষ ও নেতাকর্মীরা সমাবেশস্থলে উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতুর উদ্বোধন ঘিরে মাওয়া ও জাজিরায় উৎসবের আমেজ
পুরুষরা রঙিন টি-শার্ট পরে এবং নারীরা রঙিন শাড়ি পরে বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার বড় বড় প্রতিকৃতি, প্ল্যাকার্ড, ফেস্টুন ও ব্যানার নিয়ে সমাবেশে আসেন।
বর্ণিল ফেস্টুন, প্ল্যাকার্ড, ডিজিটাল ব্যানারে সজ্জিত করা হয়েছে অনুষ্ঠানস্থল ও আশপাশের এলাকা। সমাবেশের কার্যক্রম সম্প্রচারের জন্য সমাবেশের বিভিন্ন স্থানে বড় স্ক্রিন বসানো হয়েছে।
এসময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, তিনি ২০০১ সালে এই পদ্মা সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন, কিন্তু খালেদা জিয়া ক্ষমতায় এসে এর কাজ বন্ধ করে দেন। আওয়ামী লীগ সরকার ২০০৯ সালে ক্ষমতায় এসে পুনরায় এর কাজ শুরু করে। অথচ বিএনপি নেতারা বলেছিলেন আওয়ামী লীগ কখনো পদ্মা সেতু নির্মাণ করতে পারবে না।
খালেদা জিয়ার দিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, ‘আসুন, দেখুন পদ্মা সেতু হয়েছে কি না।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, অর্থনীতিবিদ ও সাবেক আমলাসহ স্থানীয় লোকজনের একাংশ মন্তব্য করেছিলেন বাংলাদেশের নিজস্ব অর্থায়নে সেতু নির্মাণ সম্ভব নয়। কিন্তু বাংলাদেশের জনগণ তাকে ম্যান্ডেট দিয়েছে এবং তার পাশে দাঁড়িয়েছে বলে তার সরকার নিজস্ব অর্থায়নে সেতুটি নির্মাণ করতে সক্ষম হয়েছে।
পদ্মা সেতু প্রকল্পে বিশ্বব্যাংকের আনা দুর্নীতির অভিযোগ উল্লেখ করে তিনি বলেন, তারা কোনো অর্থ দেয়নি, কিন্তু দুর্নীতির ষড়যন্ত্রের অভিযোগে অর্থায়ন বন্ধ করে দিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সেতুটি আমাদের হৃদয়ের এবং সেতুটির সঙ্গে আমাদের দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের ভাগ্য জড়িত। এখানে দুর্নীতি হবে কেন?
তিনি বলেন, সরকার যখন এই পদ্মা সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছিলো তখন তাকে এবং তার ছোট বোন শেখ রেহানাকে অসম্মান ও মানহানি করার অনেক চেষ্টা করা হয়েছিল। এছাড়াও তার অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান, যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন ও যোগাযোগ সচিব মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়াকে মিথ্যা অভিযোগ এনে লাঞ্ছিত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন:পদ্মা সেতুর উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা বলেন, তার ছেলে সজিব ওয়াজেদ জয় ও মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের পাশাপাশি শেখ রেহানার ছেলে রেদওয়ান মুজিব সিদ্দিকও এ ব্যাপারে চরম মানসিক যন্ত্রণার শিকার হয়েছেন।
তিনি বলেন, তারা আমাদের যতোই মানসিক যন্ত্রণা দিক না কেনো, আমরা ফিরে এসেছি। আমাদের লক্ষ্য ছিল দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করব।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আপনারা আমাকে সেতু নির্মাণের সাহস ও শক্তি দিয়েছেন। আমি আপনাদের পাশে আছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার সেতুটি নির্মাণ করায় দক্ষিণাঞ্চলের মানুষকে উত্তাল পদ্মা নদী পারাপারে আর দুর্ভোগ পোহাতে ও প্রিয়জনকে হারাতে হবে না।
তিনি বলেন, দক্ষিণাঞ্চলে কর্মসংস্থান সৃষ্টি, শিল্প কারখানা ও কলকারখানা গড়ে উঠবে। এখানে কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্প গড়ে উঠবে এবং এ অঞ্চলের মানুষ তাদের প্রক্রিয়াজাত পণ্য রপ্তানি করতে পারবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, অন্তত ২১ জেলার মানুষের ভাগ্যের উন্নয়ন হবে। আমরা এটা করতে সক্ষম হব।
আ’লীগ ক্ষমতায় থাকলে দেশের উন্নয়ন কেউ থামাতে পারবে না: সংসদে প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৃহস্পতিবার বলেছেন, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রণীত পরিকল্পনা অনুযায়ী দেশ চালালে বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা কেউ থামাতে পারবে না।
তিনি বলেন, ‘দেশ যদি এই পরিকল্পনা নিয়ে চলে তাহলে দেশের অগ্রযাত্রাকে কেউ থামাতে পারবে না। এটা আমার দৃঢ় বিশ্বাস।’
আওয়ামী লীগের ৭৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয় সংসদে এক অনির্ধারিত আলোচনায় তিনি এ কথা বলেন।
সংসদ নেতা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার আগামীতে বাংলাদেশকে একটি উন্নত দেশে পরিণত করার পরিকল্পনা প্রণয়ন করেছে।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ডেল্টা প্ল্যান ২১০০ গ্রহণ করেছে এবং ২০৪১ সালের মধ্যে দেশকে সমৃদ্ধ ও উন্নত করার পরিকল্পনা প্রণয়ন করেছে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ জনগণের সেবা করে ক্ষমতায় থাকলে ভবিষ্যতে বাংলাদেশ অবশ্যই একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশ হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ মানে বাংলাদেশের স্বাধীনতা, মাতৃভাষায় কথা বলার অধিকার, উন্নত ও সোনার বাংলাদেশ।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের জন্ম একটি বিশেষ কারণে।
তিনি উল্লেখ করেন, পাকিস্তান সৃষ্টির মাত্র সাত মাস পর পাকিস্তানি শাসকরা তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান (বর্তমানে বাংলাদেশ) এবং এর জনগণের প্রতি বৈরী মনোভাব দেখায়।
তিনি বলেন, তৎকালীন পাকিস্তানি শাসকরা বাঙালিদের মাতৃভাষায় কথা বলতে বাধা দেয়, বাঙালিদের আর্থ-সামাজিকভাবে শোষণ ও নির্যাতন করে।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘এ প্রেক্ষাপটে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ভাষা আন্দোলনেতৃত্ব দেন, ছাত্রলীগ প্রতিষ্ঠা করেন এবং আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠিত হয়।’
পড়ুন: তারেক রহমানের নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন প্রধানমন্ত্রী
তিনি আরও উল্লেখ করেন, আওয়ামী লীগ ১৯৪৯ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে এদেশের মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় নিয়োজিত রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের জনগণের সংগঠন। আওয়ামী লীগ সবসময় দেশের নির্যাতিত ও অবহেলিত মানুষের জন্য আন্দোলন করেছে। এর জন্য আ.লীগের অনেক নেতাকর্মী জীবন দিয়েছেন।’
সরকারপ্রধান বলেন, যে কোনো দুর্যোগে আ.লীগের নেতাকর্মীরা সবসময় দেশের মানুষের পাশে আছে।
তিনি বলেন, ‘জনগণের সেবা করা আমাদের দায়িত্ব এবং কর্তব্য। এটা আমাদের আদর্শ।’
শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর সামরিক শাসকদের ছিনিয়ে নেয়ার পর আওয়ামী লীগ দেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করেছে।
তিনি বলেন, গণতন্ত্র অব্যাহত থাকায় বাংলাদেশের উন্নয়ন হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের নিজস্ব সম্পদে পদ্মা সেতু নির্মিত হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘এভাবে বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে এবং কখনই অন্যের উপর নির্ভরশীল হবে না এবং কখনও কারও কাছে ভিক্ষা চাইবে না। বাংলাদেশ তার নিজস্ব মর্যাদায় বিশ্ব অঙ্গনে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে।’
আলোচনায় অংশ নেন আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আমির হোসেন আমু ও তোফায়েল আহমেদ।
পড়ুন: পদ্মা সেতু আমাদের জাতীয় গর্ব: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
পদ্মা সেতু আমাদের জাতীয় গর্ব: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
পদ্মা সেতুকে জাতীয় গর্বের প্রতীক হিসেবে আখ্যায়িত করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আগামী ২৫ জুন উদ্বোধন হতে যাওয়া বহুমুখী পদ্মা সেতুর মান নিয়ে কেউ প্রশ্ন তুলতে পারবে না।
বুধবার তার কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী বলেন,পদ্মা সেতু নির্মাণে আমরা মান নিয়ে কোনো আপোস করিনি। বিশ্বের সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ও উপকরণ দিয়ে সেতুটি নির্মাণ করা হয়েছে। পুরো নির্মাণ প্রক্রিয়া সর্বোচ্চ মান বজায় রেখে সম্পন্ন হয়েছে।
সেতু ইস্যুতে সরকারের কিছু সমালোচকের মন্তব্যের বরাত দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি আশা করি পদ্মা সেতুর মান নিয়ে কেউ কোনো সমালোচনা করতে পারবে না।’
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিশ্বব্যাংক প্রকল্প থেকে সরে যাওয়ার পর সাহসী পদক্ষেপে নিজস্ব অর্থায়নে দেশের দীর্ঘতম সেতু
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি তাদের (বিশ্বব্যাংক) ধন্যবাদ জানাই। ওই ঘটনা ঘটার কারণেই আমরা সাহসের সঙ্গে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ করেছি; আজ বাংলাদেশ তার মর্যাদা ফিরে পেয়েছে।’
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতু দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের জন্য আশীর্বাদ হয়ে আসবে: প্রধানমন্ত্রী
দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শনে প্রধানমন্ত্রী
দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শনে প্রধানমন্ত্রী
হেলিকপ্টার থেকে ‘লো-ফ্লাই মুডে’ মঙ্গলবার সিলেট, সুনামগঞ্জ, নেত্রকোণা ও তৎসংলগ্ন এলাকার বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি লো-ফ্লাই মুড বা নিচু হয়ে উড়েছিল। এতে তিনি দুর্গত এলাকা প্রত্যক্ষ করেন।
পরে প্রধানমন্ত্রী সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে সিলেট সার্কিট হাউসে যান। যেখানে বিভাগীয়, জেলা প্রশাসন ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করার কথা রয়েছে।
এর আগে, বন্যার পানিতে বিস্তীর্ণ এলাকা সমুদ্রে পরিণত হওয়ায় বিশেষ করে সিলেটের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বন্যার্তদের সরিয়ে নিতে এবং অসহায় মানুষকে সহায়তার জন্য বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা করতে কর্তৃপক্ষ সেনাবাহিনীর প্রতি আহ্বান জানায়, একইসাথে নৌবাহিনী ও বিমান বাহিনীর ইউনিটগুলোকে ডাকা হয়েছে।
শনিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সরকার ১৫ থেকে ১৮ জুন বন্যাকবলিত জেলাগুলোর জেলা প্রশাসকদের তাৎক্ষণিক মানবিক সহায়তা হিসেবে নগদ ২২.৫ মিলিয়ন টাকা, ৪০০ মেট্রিক টন চাল এবং ৪১ হাজার প্যাকেট শুকনো ও অন্যান্য খাবার বরাদ্দ দিয়েছে।
পড়ুন: সরকারের নিষ্ক্রিয়তায় বন্যার্তরা ত্রাণের জন্য হাহাকার করছে: বিএনপি
সিলেটে কমছে বন্যার পানি, বাড়ছে দুর্ভোগ
বুধবার সংবাদ সম্মেলন করবেন প্রধানমন্ত্রী: পিএমও
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বুধবার সংবাদ সম্মেলন করবেন বলে জানানো হয়েছে।
পিএমও প্রেস উইং থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সকাল ১১টায় তার কার্যালয়ে (পিএমও) সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। তবে সংবাদ সম্মেলনের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কিছু উল্লেখ করা হয়নি।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, সংবাদ সম্মেলনের কেন্দ্রবিন্দু হতে পারে দেশের সাম্প্রতিক বন্যা পরিস্থিতি এবং ২৫ জুন পদ্মা সেতুর উদ্বোধন।
আরও পড়ুন: মঙ্গলবার উত্তরাঞ্চলের বন্যার ভয়াবহতা পরিদর্শন করবেন প্রধানমন্ত্রী
পদ্মা সেতু দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের জন্য আশীর্বাদ হয়ে আসবে: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগে দ্রুত সহায়তা করার ক্ষেত্রে পদ্মা সেতুর উদ্বোধন দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের জন্য স্বর্গীয় আশীর্বাদ হিসাবে আসবে।
তিনি বলেন,আগামী ২৫ জুন আমরা পদ্মা সেতু খুলে দেব। আমি মনে করি, উদ্বোধনটি আল্লাহর রহমত হিসাবে আসবে। আমরা দক্ষিণাঞ্চলের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা, পণ্য পরিবহন, বন্যা মোকাবিলা এবং বন্যা কবলিত মানুষের পাশে দাঁড়াতে সক্ষম হব। আমরা তাদের সাহায্য করার জন্য একটি বড় সুযোগ পাব।
রবিবার নিজ কার্যালয়ে ২০২১ সালের সাফ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ মহিলা জাতীয় ফুটবল দলের এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কখা বলেন।
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতুর উদ্বোধন বানচালের ষড়যন্ত্র নস্যাতে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকুন: প্রধানমন্ত্রী
ভারতের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর জন্য আম পাঠালেন শেখ হাসিনা
ভারতের রাষ্ট্রপতি রাম নাথ কোবিন্দ ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে উপহার হিসেবে এক মেট্রিক টন আম্রপালি আম পাঠিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শুক্রবার এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, কূটনৈতিক চ্যানেলের মাধ্যমে ভারতের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর কাছে আম পাঠানো হয়েছে।
গত বছরও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীসহ পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা ও আসামের মুখ্যমন্ত্রীদের উপহার হিসেবে আম পাঠিয়েছিলেন।
মেগা প্রকল্প অর্থনীতিতে বিরূপ প্রভাব ফেলবে না: প্রধানমন্ত্রী
মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নের কারণে দেশের অর্থনীতি ও বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে বিরূপ প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি সংসদে বলেন, ‘মেগা প্রকল্প নেয়ার আগে যথাযথ আর্থিক ও অর্থনৈতিক বিশ্লেষণ করা হয়েছে। তাই এই প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নের ফলে বিরূপ প্রভাব পড়ার কোনো সম্ভাবনা নেই।’
বুধবার জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য ফখরুল ইমামের (ময়মনসিংহ-৮) এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
অধিকাংশ মেগা প্রকল্প বৈদেশিক ঋণ বা অনুদানে হাতে নেয়া হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এগুলো তুলনামূলকভাবে খুব কম সুদের হার, দীর্ঘ পরিশোধের মেয়াদ ও ঋণ পরিশোধের বাড়তি সময়ের উল্লেখসহ নেয়া সহজ ঋণ।
তাছাড়া উন্নয়ন সংস্থাগুলোর ঋণ তহবিল ছাড়ার ক্ষেত্রে বড় ধরনের কোনো জটিলতা লক্ষ্য করা যায়নি বলেও জানান শেখ হাসিনা।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী পদ্মা বহুমুখী সেতু নির্মাণ প্রকল্প, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র ও রামপাল ১৩২০ মেগাওয়াট মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্রকল্পসহ ১৬টি মেগা প্রকল্পের বাস্তবায়ন অগ্রগতি ও বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে বিস্তারিত উল্লেখ করেন।
অন্যান্য প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে- মাতারবাড়ি ১২০০ মেগাওয়াট আল্ট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প, ঢাকা ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট ডেভেলপমেন্ট, এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণ ও গ্যাস পাইপলাইন স্থাপন প্রকল্প, পায়রা গভীর সমুদ্র বন্দর, পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্প ও দোহাজারী থেকে রামু হয়ে কক্সবাজার এবং রামু থেকে ঘুনদুম পর্যন্ত সিঙ্গেল লাইন ডুয়েল গেজ ট্র্যাক নির্মাণ।
বাকি মেগা প্রকল্পগুলো হলো- পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র, ভাঙ্গা জংশন (ফরিদপুর) থেকে পায়রা বন্দর এবং কুয়াকাটা হয়ে বরিশাল পর্যন্ত ব্রড-গেজ রেললাইন নির্মাণ, কক্সবাজার বিমানবন্দর উন্নয়ন প্রকল্প, অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা, আশ্রয়ণ-২ প্রকল্প, কর্ণফুলী নদীর তলদেশে মাল্টি-লেন সড়ক টানেল প্রকল্প এবং এসএএসইসি ঢাকা-সিলেট করিডোর সড়ক উন্নয়ন প্রকল্প।
আরও পড়ুন: আ’লীগ সব সময় নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি পূরণ করে: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নের সময় বিপুল কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে এবং ব্যাকওয়ার্ড ও ফরোয়ার্ড লিঙ্কেজ শিল্প ও ব্যবসা গড়ে উঠেছে।
তিনি বলেন, ‘তাই, প্রকৃতপক্ষে প্রকল্পগুলোর মাধ্যমে বাধাগ্রস্ত হওয়ার পরিবর্তে দেশের অগ্রগতি সরাসরি ত্বরান্বিত হচ্ছে।’
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘এছাড়া যেহেতু প্রকল্পগুলো (পদ্মা বহুমুখী সেতু নির্মাণ ও পায়রা গভীর সমুদ্র বন্দর প্রকল্প ব্যতীত) বিদেশি উৎস থেকে অর্থায়ন পাচ্ছে, তাই প্রকল্প সম্পর্কিত আমদানি ব্যয় দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের ওপর কোনও বিরূপ প্রভাব ফেলবে না।’
তিনি বলেন, দেশের অর্থনৈতিক, সামাজিক ও অন্যান্য সকল ক্ষেত্রে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে প্রয়োজন অনুযায়ী প্রকল্পগুলো হাতে নেয়া হচ্ছে।
অসাধু ব্যক্তিরা অবৈধ মজুদ ও নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের মূল্য বৃদ্ধির চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে:
ট্রেজারি বেঞ্চের সদস্য একেএম রহমতুল্লাহর (ঢাকা-১১) অপর এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পৃথিবীব্যাপী কোভিড-১৯ ও যুদ্ধের ফলে সৃষ্ট বৈশ্বিক মুদ্রাস্ফীতির সুযোগ নিয়ে কিছু অসাধু ব্যক্তি দেশে অবৈধ মজুদ ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়ানোর চেষ্টা করছে।
আরও পড়ুন: চাল মজুদকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনাভাইরাস মহামারির কারণে বিশ্বজুড়ে খাদ্যসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের উৎপাদন ও সরবরাহ কমে গেছে। এছাড়া রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্বব্যাপী মুদ্রাস্ফীতি সৃষ্টি হয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, যুদ্ধের ফলে উৎপাদন ও সরবরাহ ব্যবস্থার অবনতি হয়েছে, যার ফলে বিশ্বব্যাপী মূল্যস্ফীতি ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি হয়েছে। বাংলাদেশও এর ব্যতিক্রম নয়।
কিন্তু সরকারের সময়োপযোগী পদক্ষেপের কারণে বাংলাদেশে পণ্যের উৎপাদন বৃদ্ধি ও সরবরাহ অব্যাহত রাখা সম্ভব হয়েছে বলে তিনি জানান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন,‘দুর্ভাগ্যের বিষয় হলো কিছু অসাধু ব্যক্তি এই সুযোগ নিয়ে দেশে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের অবৈধ মজুদ ও মূল্য বৃদ্ধির অপচেষ্টা চালাচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, মূল্যবৃদ্ধি, অবৈধ মজুতদারি ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজার ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সরকার ইতোমধ্যে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে।
আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়নের (লক্ষ্মীপুর-২) এক প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, রাজধানীর যানজট নিরসনে ৮৫ কিলোমিটার অভ্যন্তরীণ সার্কুলার রোড নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের।
আরও পড়ুন: উন্নয়ন প্রকল্পে পরিবেশের ওপর গুরুত্ব দেয়ার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
আইন প্রণয়ন, সার্বজনীন পেনশন প্রকল্পের জন্য কর্তৃপক্ষ গঠন চলছে:
আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য মো. মামুনুর রশিদ কিরনের (নোয়াখালী-৩) প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সর্বজনীন পেনশন প্রকল্প সংক্রান্ত একটি আইন প্রণয়ন ও আইনের অধীনে একটি কর্তৃপক্ষ গঠন প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
তিনি বলেন, একটি টেকসই ও সংগঠিত সামাজিক নিরাপত্তা কাঠামোর আওতায় এনে দেশের বয়স্ক ব্যক্তিদের আর্থিক অনুমান নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সরকার সর্বজনীন পেনশন স্কিম গঠনের উদ্যোগ নিয়েছে।
রেমিট্যান্স প্রবাহ প্রাক-কোভিড স্বাভাবিক ধারায় ফিরে আসতে শুরু করেছে:
জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য রুস্তুম আলী ফরাজীর এক প্রশ্নের উত্তরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, রেমিট্যান্সের প্রবাহ কোভিড-পূর্ব পরিস্থিতির স্বাভাবিক ধারায় ফিরে আসতে শুরু করেছে।
তিনি বলেন, ২০২১-২০২২ অর্থবছরের জুলাই থেকে এপ্রিল পর্যন্ত ১০ মাসে রেমিট্যান্সের প্রবাহ কিছুটা কমে ১৭ দশমিক ৩০ বিলিয়ন ডলার হয়েছে, যা আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ১৬ দশমিক ২৫ শতাংশ কম।
তিনি আরও বলেন, ২০১৯-২০, ২০১৮-১৯ এবং ২০১৭-১১৮ অর্থবছরের প্রথম মাসে গড় রেমিট্যান্স প্রবাহ ছিল ১৩ দশমিক ৪২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। সুতরাং, দেখা যাচ্ছে চলতি অর্থবছরের প্রথম দশ মাসে প্রাপ্ত রেমিট্যান্সের পরিমাণ প্রাক-কোভিড তিন অর্থবছরের একই সময়ে প্রাপ্ত রেমিট্যান্সের গড় প্রবাহের তুলনায় ২৮ দশমিক ৯১ শতাংশ বেশি। তাই বলা যায়, রেমিট্যান্সের প্রবাহ কমেনি, বরং কোভিড-পূর্ব সময়ের স্বাভাবিক ধারায় প্রবাহ ফিরে আসতে শুরু করেছে।
জনশুমারি শুরুর প্রাক্কালে ১৪ জুন জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশব্যাপী জনশুমারি ও গৃহগণনা শুরুর প্রাক্কালে ১৪ জুন জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন। সোমবার সংসদে এ তথ্য জানিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) দেশের সব মানুষের আর্থ-সামাজিক তথ্য সংগ্রহের জন্য ১৫ থেকে ২১ জুন সাত দিন একযোগে জনসংখ্যা ও গৃহশুমারি পরিচালনা করবে।
জনগণ যাতে জনশুমারি ও গৃহগণনাতে সক্রিয় অংশগ্রহণ করতে পারে সেজন্য মন্ত্রী সংসদের সকল সদস্যের সহায়তা কামনা করেন।
সংসদের কার্যপ্রণালী বিধির ৩০০ ধারায় বক্তৃতাকালে জ্যেষ্ঠ এ মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি জানান, তিনি ব্যক্তিগতভাবে স্পিকার, ডেপুটি স্পিকার, চিফ হুইপ, হুইপ, বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ, মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, উপমন্ত্রী এবং বিরোধীদলীয় নেতা ও সংসদ সদস্যদের কাছে একটি ডেমি অফিসিয়াল (ডিও) চিঠি পাঠিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, ‘আমি আবার সংসদে আমার আবেদন পুনর্ব্যক্ত করছি।’
আরও পড়ুন: বাড়ি থেকে অনলাইনে বিশেষায়িত স্বাস্থ্যসেবা পাবেন গ্রামবাসী: প্রধানমন্ত্রী
দেশবাসীর জন্য দোয়া করুন, হজযাত্রীদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী
আ’লীগ সব সময় নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি পূরণ করে: প্রধানমন্ত্রী
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার জনগণের কাছে দেয়া নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে পেরেছে বলে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
বুধবার (১ জুন) প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে সূচনা বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
সভার শুরুতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, জাতীয় চার নেতা, ১৫ আগস্টের শহীদ এবং উপদেষ্টা পরিষদের প্রয়াত সদস্যদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
ক্ষমতাসীন দলের সভানেত্রী শেখ হাসিনা বলেন, সরকার গঠনের পর আওয়ামী লীগ তার নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি ভুলে যায় না।
তিনি বলেন, প্রতিবার ইশতেহার ঘোষণার সময় আমরা মূল্যায়ন করি নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে আমরা কতটা অগ্রগতি করেছি।
আওয়ামী লীগ সরকার বাজেট ঘোষণার সময় অসমাপ্ত নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি কীভাবে বাস্তবায়ন করা যায় তা বিবেচনা করে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
তিনি বলেন, সরকার তৃণমূল পর্যায় থেকে শুরু করে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: ডেল্টা প্ল্যান ২১০০ বাস্তবায়নে আন্তর্জাতিক সহায়তার ওপর জোর প্রধানমন্ত্রীর
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট হত্যার পর জনগণ যে ভয়াবহ দিনগুলোর মুখোমুখি হয়েছিল তার কথা স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তখন ক্ষমতা জনগণের হাতে ছিল না।
তিনি বলেন, ‘ক্ষমতা ছিল সামরিক স্বৈরশাসকদের হাতে যারা ইউনিফর্ম পরে অবৈধভাবে রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করেছিল এবং ফলস্বরূপ তারা নিজেদের উন্নয়নের সাথে সাথে দেশের উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হয়েছিল।
তিনি বলেন, সামরিক শাসনামলে ১৯-২০টি সামরিক অভ্যুত্থান হয়েছিল এবং অস্ত্রের ঝনঝনানির মধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সেশনজট ছিল।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার ৯০ শতাংশ নিজস্ব উৎস দিয়ে গ্রামীণ পর্যায় থেকে দেশের উন্নয়ন করেছে।
বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
পদ্মা সেতু নিয়ে কথা বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, উদ্দেশ্য সৎ থাকায় তার সরকার চ্যালেঞ্জ নিতে পেরেছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা আমাদের নিজস্ব অর্থে সেতুটি তৈরি করেছি। ইনশাআল্লাহ আমি ২৫ জুন সেতুটি উদ্বোধন করব।’
তিনি আরও বলেন, কানাডার একটি আদালতে এই প্রকল্প সংক্রান্ত সব অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন ঘোষণা করেছে।
এ প্রসঙ্গে তিনি উল্লেখ করেন, গ্রামীণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পদের জন্য ড. মুহাম্মদ ইউনূস ষড়যন্ত্র করেছেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি ৭১ বছর বয়সে অবৈধভাবে গ্রামীণ ব্যাংকের এমডি পদে ছিলেন। এ বিষয়ে তিনি মামলা করেন এবং হেরে যান।
তিনি অভিযোগ করেন, বিশ্বব্যাংক ড. ইউনূসের অনুরোধে প্রকল্পের অর্থায়ণ বাতিল করে এবং পরে আওয়ামী লীগ সরকার দেশের নিজস্ব অর্থে সেতুটি নির্মাণ করে।
চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে আওয়ামী লীগের পরবর্তী কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হবে প্রধানমন্ত্রী জানান।
আরও পড়ুন: উন্নয়ন প্রকল্পে পরিবেশের ওপর গুরুত্ব দেয়ার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
অনিশ্চিত প্রত্যাবাসন রোহিঙ্গাদের অপরাধের দিকে ঠেলে দিতে পারে: প্রধানমন্ত্রী