প্রধানমন্ত্রীর-কার্যালয়
চাল মজুদকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
ফসল কাটার মৌসুমে চালের দামের ঊর্ধ্বগতি রোধে সোমবার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে তার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠক থেকে এই নির্দেশনা দেয়া হয়।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম জানান, বৈঠকে দেশের ভোজ্যতেল মজুদকারীদের বিরুদ্ধে চালানো সাম্প্রতিক অভিযানের মতো অবৈধ চাল মজুদকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘যদি কেউ অননুমোদিতভাবে ব্যবসা এবং চাল মজুদ করে থাকে তাহলে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
আনোয়ারুল বলেন, ভরা মৌসুমে কেন চালের দাম বেড়েছে এবং চাল মজুদ করা হচ্ছে কি না এবং কেউ অবৈধভাবে চালের ব্যবসায় জড়িত কি না তা জানতে বাজার সার্ভে করার পর পদক্ষেপ নেয়ার নির্দেশ দিয়েছে দেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, এমন তথ্য রয়েছে যে কিছু (ব্যবসায়ী বা কোম্পানি) সমিতির স্মারকলিপি ভেঙে চালের ব্যবসায় জড়িত হতে পারে। তাই, বৈঠকে চালের বাজার জোরালোভাবে পর্যবেক্ষণ ও তদারকি করতে বলা হয়েছে।
চালের দাম বাড়ার পেছনে কারণ জানতে বাণিজ্যমন্ত্রী, খাদ্যমন্ত্রী, বাণিজ্য সচিব, খাদ্য সচিব এবং কৃষি সচিবকে শিগগিরিই মার্কেট সার্ভে পরিচালনার জন্য বৈঠকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: উন্নয়ন প্রকল্পে পরিবেশের ওপর গুরুত্ব দেয়ার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
রেলওয়ে এখন লাভজনক প্রতিষ্ঠান: প্রধানমন্ত্রী
ডেল্টা প্ল্যান ২১০০ বাস্তবায়নে আন্তর্জাতিক সহায়তার ওপর জোর প্রধানমন্ত্রীর
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের ডেল্টা প্ল্যান ২১০০ বাস্তবায়নে বন্ধুত্বপূর্ণ দেশ ও উন্নয়ন সহযোগীদের সহায়তার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর হোটেল প্যান প্যাসিফিক সেনারগাঁওয়ে আয়োজিত ‘বাংলাদেশ ডেলটা প্ল্যান-২১০০ ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স: বাস্তবায়নে সমস্যা ও প্রতিবন্ধকতা’- শীর্ষক সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে সম্মেলনে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন। সম্মেলনে দেশ-বিদেশের নীতিনির্ধারক, গবেষক, শিক্ষক, উন্নয়ন কর্মী এবং উন্নয়ন সহযোগীরা অংশগ্রহণে করে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘অর্থায়ন থেকে শুরু করে জ্ঞান, প্রযুক্তি ও অভিজ্ঞতা বিনিময়ের প্রতিটি ক্ষেত্রে দেশে ও বিদেশে আমাদের বন্ধুত্বপূর্ণ দেশ বা উন্নয়ন অংশীদার সকলের সহযোগিতা বা অংশগ্রহণ খুবই অপরিহার্য।’
আরও পড়ুন: উন্নয়ন প্রকল্পে পরিবেশের ওপর গুরুত্ব দেয়ার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
উন্নয়ন প্রকল্পে পরিবেশের ওপর গুরুত্ব দেয়ার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
যে কোনো উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণের সময় পরিবেশ ও বাস্তুসংস্থানের সর্বোচ্চ যত্ন নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘যে কোনো প্রকল্পে পরিবেশের দিকে সবাইকে নজর দিতে হবে। পানির জলাশয়, পর্যাপ্ত সবুজ এলাকা ও বৃষ্টির পানি সংগ্রহের ব্যবস্থা রেখে প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে হবে।’
বুধবার প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবনে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় এবং রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) উপস্থাপিত চারটি প্রকল্পের নকশা প্রত্যক্ষ করে এ নির্দেশনা দেন। প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: ২৫ জুন পদ্মা সেতুর উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী
প্রকল্প চারটি হলো- কেরানীগঞ্জ ওয়াটার ফ্রন্ট স্মার্ট সিটি, কনজারভেশন অব ফ্লাড ফ্লো জোন অ্যাট তুরাগ রিভার অ্যান্ড কম্প্যাক্ট টাউনশিপ ডেভলপমেন্ট, পদ্মা সেতুর জাজিরা প্রান্তের শিবচরে শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টার নির্মাণ এবং ঢাকার শের-ই-বাংলা নগরে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য বহুতল আবাসিক ভবন নির্মাণ।
অপরিকল্পিতভাবে যেন শিল্প-কারখানা গড়ে না উঠে তা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, প্রতিটি এলাকায় একটি নির্দিষ্ট শিল্প জোনে শিল্প প্রতিষ্ঠান স্থাপন করতে হবে।
তিনি বলেন, ‘অপরিকল্পিতভাবে যত্রযত্র শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা যাবে না। এই বিষয়টি অবশ্যই গুরুত্ব সহকারে নেয়া উচিত।’
নতুন শিল্প প্রতিষ্ঠান স্থাপনের ক্ষেত্রে বৈচিত্র্য বাড়ানোর ওপর জোর দিয়ে তিনি বলেন, কৃষি প্রক্রিয়াকরণ ও আইটি ডিভাইস-সংক্রান্ত শিল্প প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নে গুরুত্ব দিতে হবে।
আরও পড়ুন: ফ্রান্সের নতুন প্রধানমন্ত্রীকে শেখ হাসিনার অভিনন্দন
এ ক্ষেত্রে রপ্তানি বৃদ্ধি ও ক্ষুদ্র শিল্পে ভর্তুকি দেয়ার প্রয়োজনীয়তার ওপরও জোর দেন প্রধানমন্ত্রী।
এ সময় চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী, আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আব্দুস সোবহান গোলাপ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের জ্যৈষ্ঠ সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া, গৃহায়ন ও গণপূর্ত সচিব মো. শহীদ উল্লা খন্দকার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
ফ্রান্সের নতুন প্রধানমন্ত্রীকে শেখ হাসিনার অভিনন্দন
ফ্রান্সের নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসাবে নিয়োগ পাওয়া এলিজাবেথ বর্নিকে অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
৩০ বছরের মধ্যে দেশটির প্রথম নারী হিসেবে এই পদে অধিষ্ঠিত হওয়ার গৌরব অর্জন করেছেন এলিজাবেথ বর্নি।
মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের প্রেস উইংয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী একটি অভিনন্দন পত্রে নতুন ফরাসি প্রতিপক্ষের প্রতি তার আস্থা প্রকাশ করেছেন।
আরও পড়ুন: দক্ষিণ কোরিয়ার নবনির্বাচিত প্রধানমন্ত্রীকে শেখ হাসিনার অভিনন্দন
প্রধানমন্ত্রী বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, ‘একজন রাজনীতিবিদ ও প্রশাসক হিসাবে আপনার অভিজ্ঞতা দায়িত্বগুলো কার্যকরভাবে পালনে আপনাকে সহায়তা করবে।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের অংশীদারিত্বের বিষয়বস্তুকে আরও বৈচিত্র্যময় করতে আমি আপনার সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
তিনি নতুন ফরাসি প্রধানমন্ত্রীর সুস্বাস্থ্য, সুখ এবং সাফল্য এবং ফরাসি প্রজাতন্ত্রের বন্ধুত্বপূর্ণ জনগণের অব্যাহত শান্তি, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি কামনা করেন।
আরও পড়ুন: ইউএই’র নতুন প্রেসিডেন্ট শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদকে প্রধানমন্ত্রীর অভিনন্দন
অনিশ্চিত প্রত্যাবাসন রোহিঙ্গাদের অপরাধের দিকে ঠেলে দিতে পারে: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, প্রত্যাবাসন নিয়ে দীর্ঘ অনিশ্চয়তার কারণে রোহিঙ্গা শরণার্থীরা হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়ছে।
তিনি তার সরকারি বাসভবন গণভবনে সাক্ষাৎে যাওয়া জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার ফিলিপ্পো গ্রান্ডিকে বলেন, এই ধরনের অনিশ্চয়তার একটি বড় আশঙ্কাজনক ঝুঁকি রয়েছে কেননা এটি অনেক রোহিঙ্গাকে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়াতে প্ররোচিত করছে।
মঙ্গলবার সাক্ষাৎ শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, মিয়ানমারের পাঠ্যক্রম ও ভাষা এবং দক্ষতা উন্নয়ন কার্যক্রম অনুসরণ করে অনানুষ্ঠানিক শিক্ষার সুবিধা দিচ্ছে বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিশ্চিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের আরও সক্রিয় সমর্থন চান প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, এই ১১ লাখের বেশি বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিকদের কারণে উখিয়ার গভীর বনভূমি ধ্বংস করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারা গাছ কাটার মাধ্যমে বন হ্রাস করছে এবং এলাকায় পরিবেশগত বিপর্যয় সৃষ্টি করেছে।
শেখ হাসিনা বলেন, সরকার সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করে ভাসানচর দ্বীপে রোহিঙ্গাদের জন্য অস্থায়ী আশ্রয়ের ব্যবস্থা করেছে।এ পর্যন্ত ৩০ হাজার রোহিঙ্গাকে সেখানে স্থানান্তর করা হয়েছে।
তিনি আরও উল্লেখ করেন যে প্রতি বছর বাংলাদেশের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে প্রায় ৪৫ হাজার শিশুর জন্ম হয়।
প্রধানমন্ত্রী বিশ্বব্যাপী উদ্বাস্তু, রাষ্ট্রহীন ও বাস্তুচ্যুত ব্যক্তিদের সহায়তায় ইউএনএইচসিআরের ভূমিকার প্রশংসা করেন।
বৈঠকে অ্যাম্বাসেডর অ্যাট লার্জ মো. জিয়াউদ্দিন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সিনিয়র সচিব এম তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া, ইউএনএইচসিআর বাংলাদেশের প্রতিনিধি জোহানেস ভ্যান ডার ক্লাউ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: করোনার টিকাকে ‘বৈশ্বিক পাবলিক পণ্য’ ঘোষণার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
নির্বাচনে জয়ে অস্ট্রেলিয়ার লেবার পার্টির নেতা অ্যালবানিজকে প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা
ফেডারেল নির্বাচনে দলের জয়ে অস্ট্রেলিয়ার লেবার পার্টির নেতা অ্যান্থনি নরম্যান অ্যালবানিজকে অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, এই বিজয় অ্যান্থনি নরম্যান অ্যালবানিজের নেতৃত্বে দলটির প্রতি অস্ট্রেলিয়ার জনগণের আস্থা প্রকাশ করেছে, যাতে তারা (লেবার পার্টি)দেশকে অন্তর্ভুক্তি, শান্তি ও সমৃদ্ধির দিকে নিয়ে যায়।
এসময় প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের স্বাধীনতার প্রতি অস্ট্রেলিয়ার দ্বিপক্ষীয় সমর্থন এবং কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের পর থেকে উদার সহায়তার কথা কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করেন।
তিনি বলেন,‘আমাদের সম্পর্ক আরও গভীর হয়েছে এবং বাণিজ্য, অর্থনীতি, সংস্কৃতি ও শিক্ষার বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা বৃদ্ধির মাধ্যমে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সম্পর্ক আরও মজবুত হয়েছে। ক্লিন এনার্জি, মেরিটাইম সিকিউরিটি, ওসিয়ান গভর্নেন্স এবং ব্লু ইকোনমিতে সহযোগিতার অপার সম্ভাবনা রয়েছে আমাদের।’
তিনি আরও বলেন, দুটি দেশ তাদের বন্ধুত্বের ৫০ বছর পালন করেছে।
আরও পড়ুন: অস্ট্রেলিয়ার নতুন প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন অ্যালবানিজ
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা পারস্পরিক স্বার্থ, পরিপূরকতা এবং পারস্পরিক নির্ভরতার নতুন ক্ষেত্রগুলো অন্বেষণ করব, যাতে আমাদের সম্পর্কগুলো মূল অংশীদারিত্বের মতো উন্নীত হতে পারে। একসঙ্গে আমরা ভারত মহাসাগর অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রচার করতে পারি এবং নিয়ম-ভিত্তিক আন্তর্জাতিক শৃঙ্খলা রক্ষা করতে পারি।’
তিনি আশা প্রকাশ করেন, অস্ট্রেলিয়ার নতুন প্রধানমন্ত্রী ১৯৭৫ সালে বাংলাদেশ সফরে আসা প্রধানমন্ত্রী গফ হুইটলামের পর দ্বিতীয় অস্ট্রেলিয়ান প্রধানমন্ত্রী হিসেবে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বাংলাদেশ সফর করবেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘এই ধরনের উচ্চ-স্তরের মিথস্ক্রিয়া আমাদের বন্ধুত্বের বিদ্যমান বন্ধনকে আরও দৃঢ় করবে এবং দ্বিপক্ষীয় স্বার্থ এবং সমসাময়িক আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক সমস্যাগুলোর বিষয়ে একটি সাধারণ বোঝাপড়া তৈরি করতে সাহায্য করবে।’
আরও পড়ুন: ইউরোপীয় বাজারে পণ্যের ন্যায্য মূল্য চায় বাংলাদেশ
রোহিঙ্গাদের সমর্থনের আহ্বান জানাতে বাংলাদেশে ফিলিপ্পো গ্র্যান্ডি
একনেকে ৫ হাজার ৮২৬ কোটি টাকার ১১টি প্রকল্পের অনুমোদন
জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) পাঁচ হাজার ৮২৬ কোটি টাকার মোট ১১টি উন্নয়ন প্রকল্প অনুমোদন করেছে।
শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মঙ্গলবার শেরে বাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় এসব প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়।
মঙ্গলবার এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় এ অনুমোদন দেয়া হয়।
প্রধানমন্ত্রী এবং একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি এতে যোগ দেন।
সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘আজ আমরা তিনটি সংশোধিত প্রকল্পসহ ১১টি প্রকল্প অনুমোদন করেছি।’ প্রকল্পগুলোর সামগ্রিক আনুমানিক ব্যয় পাঁচ হাজার ৮২৫ দশমিক ৭৫ কোটি টাকা (সংশোধিত প্রকল্পের অতিরিক্ত ব্যয়সহ)।
মোট ব্যয়ের মধ্যে তিন হাজার ৯৬৩ দশমিক ৩৮ কোটি টাকা অর্থায়ন করা হবে সরকারের তহবিল থেকে, এক হাজার ২২০ দশমিক ৪৬ কোটি টাকা আসবে সংশ্লিষ্ট সংস্থার তহবিল থেকে এবং বাকি ৬৪১ দশমিক ৯০ কোটি টাকা বৈদেশিক উৎস থেকে আসবে।
প্রকল্পগুলোর মধ্যে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় তিনটি প্রকল্প; স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রনালয়ের অন্য দুটি; নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, ডাক, টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় এবং তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের একটি করে প্রকল্প দিয়েছে।
আরও পড়ুন: নারীদের আইটি দক্ষতা বাড়াতে ২৫০ কোটি টাকার একনেক প্রকল্প অনুমোদন
ব্যয়ের নিরিখে তিনটি বৃহত্তম নতুন প্রকল্প হল- শেরপুর (কানাসাখোলা)-ভীমগঞ্জ-নারায়ণখোলা-পরাণগঞ্জ-ময়মনসিংহ (রহমতপুর) সড়ক উন্নয়ন প্রকল্প; যার ব্যয় এক হাজার ৮৪২ কোটি টাকা; এক হাজার ১১৫ কোটি টাকায় শেখ কামাল আইটি প্রশিক্ষণ ইনকিউবেশন সেন্টার স্থাপন (১৪টি); এবং বিআরইবি (ফেজ-১) প্রকল্পে বিদ্যমান ৩৩/১১কেভি কাঠের খুঁটি মাউন্টেড সাবস্টেশনগুলোর সংস্কার ও আধুনিকীকরণ; যার আনুমানিক ব্যয় ৬৮০ কোটি টাকা।
অন্য পাঁচটি নতুন প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে- ২৪১ কোটি টাকায় নেসকো এলাকায় স্মার্ট ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেম বাস্তবায়ন; ১৯৯ কোটি টাকায় শেখ জহুরুল হক পল্লী উন্নয়ন একাডেমি, যশোর প্রতিষ্ঠাকরণ; ৩৪২ কোটি টাকায় মিঠামইন উপজেলার ঘোড়াউতরা, বোলাই-শ্রীগাং নদীর অংশবিশেষ ও ইটনা উপজেলার ধনু নদী, নামাকুড়া নদী এবং অষ্টগ্রাম উপজেলার ধলেশ্বরী নদীর অংশ বিশেষের নাব্যতা উন্নয়ন ও পুনরুদ্ধার।
৬৫ কোটি টাকায় আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর অস্ত্রাগার নির্মাণ (প্রথম পর্যায়ে ৪০টি) প্রকল্প; এবং দিনাজপুর সড়ক বিভাগাধীন হিলি (স্থলবন্দর)-ডুগডুগি-ঘোড়াঘাট জাতীয় মহাসড়কের যথাযথ মানে উন্নীতকরণসহ ৩টি গুরুত্বপূর্ণ সড়কের বিদ্যমান সরু/জরাজীর্ণ কালভার্ট পুনঃনির্মাণ এবং বাজার অংশে রিজিড পেভমেন্ট ও ড্রেন নির্মাণ’ প্রকল্প এবং দিনাজপুরের বাজার এলাকায় রাস্তার জন্য পাকা ফুটপাত ও ড্রেনেজ নির্মাণ প্রকল্পে ৪৬৪ কোটি টাকা।
তিনটি সংশোধিত প্রকল্প হল- ইনস্টলেশন অব সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং (এসপিএম) উইথ ডাবল পাইপ লাইন (৩য় সংশোধিত)’ প্রকল্প, যার অতিরিক্ত ব্যয় ৫৫৬ কোটি টাকা (দ্বিতীয় সংশোধনে ছয় হাজার ৫৬৮ কোটি টাকা থেকে এখন ব্যয় দাঁড়িয়েছে সাত হাজার ১২৫ কোটি টাকা); লোকাল গভর্নমেন্ট ইনিশিয়েটিভ অন ক্লাইমেট চেঞ্জ (লজিক) (প্রথম সংশোধিত) প্রকল্পের অতিরিক্ত ব্যয় ১৩৭ কোটি টাকা (মূল বিন্যাসে ১৬৭ কোটি টাকা থেকে ব্যয় বেড়ে ৩০৪ কোটি টাকা হয়েছে) এবং ১৮৪ কোটি টাকা অতিরিক্ত ব্যয়ে একশটি উপজেলায় একটি করে টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ স্থাপন (২য় সংশোধিত) প্রকল্প (প্রথম সংশোধনে দুই হাজার ৩৩৬ কোটি টাকা থেকে খরচ বেড়ে দুই হাজার ৫২০ কোটি টাকা হয়েছে)।
আরও পড়ুন: ১২ হাজার ১৭ কোটি টাকার ১২টি প্রকল্প অনুমোদন করেছে একনেক
একনেকে চতুর্থ এইচপিএনএসপি প্রকল্পের ব্যয় বাড়ল ৩০ হাজার ৪৪৯ কোটি টাকা
ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোকে চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহারের প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রীর
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে যোগাযোগ জোরদারের মাধ্যমে ভারতের আসাম ও ত্রিপুরার মতো উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলো নিজেদের প্রয়োজনে বাংলাদেশের চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর ব্যবহার করতে পারবে।
তিনি বলেন, ‘যদি যোগাযোগ বাড়ানো যায় তাহলে আসাম ও ত্রিপুরার মতো ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলো চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর ব্যবহারের অনুমোদন পেতে পারে।’
বৃহস্পতিবার বিকালে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে গণভবনে সাক্ষাতের সময় প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
শেখ হাসিনা বলেন, ইতোমধ্যে ১৯৬৫ সালে বন্ধ হয়ে যাওয়া আন্তঃসীমান্ত রুটগুলো পুনরায় চালু করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
বৈঠকে তারা উভয়েই দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের অবস্থান নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন।
আরও পড়ুন: রেলওয়ে এখন লাভজনক প্রতিষ্ঠান: প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা বলেন, দুই দেশের মধ্যে উচ্চ পর্যায়ের সফর সম্পর্ককে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রেরণা যোগায়।
জয়শঙ্কর বলেন, (এ সফরে) দ্বিপক্ষীয় বিষয়গুলো পর্যালোচনা করা হচ্ছে এবং এটি (আলোচনা) ভালোভাবে এগোচ্ছে।
এছাড়া প্রতিরক্ষা সহযোগিতা, কুশিয়ারা ও ফেনী নদীর পানি বণ্টন, বর্তমান করোনা পরিস্থিতি এবং বিশ্ব অর্থনীতিতে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবসহ বিভিন্ন বিষয় আলোচনায় এসেছে।
এ সময় পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের জ্যৈষ্ঠ সচিব মো. তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী উপস্থিত ছিলেন।
জয়শঙ্কর এক দিনের সফরে বৃহস্পতিবার ঢাকায় এসেছেন।
আরও পড়ুন: দীর্ঘ মেয়াদে কাতার থেকে এলএনজি কিনতে চায় বাংলাদেশ: প্রধানমন্ত্রী
বাংলাদেশের বৈদেশিক ঋণ ঝুঁকি সীমার অনেক নিচে: অর্থনৈতিক পর্যালোচনায় প্রধানমন্ত্রীকে জানানো হয়
রেলওয়ে এখন লাভজনক প্রতিষ্ঠান: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তার সরকার রাষ্ট্র পরিচালিত বাংলাদেশ রেলওয়েকে একটি লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করেছে, যা বিগত বিএনপি শাসনামলে ভেঙে পড়েছিল।
তিনি বলেন, ‘আমরা বিআরটিসিকে যেমন লাভজনক করেছি, আজ আমরা প্রমাণ করেছি যে রেল পরিষেবা লাভজনক করা যায়।’
বুধবার দুটি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মোবাইল রেল জাদুঘর এবং ৪৬টি লোকোমোটিভের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে কেউ গৃহহীন থাকবে না: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্বব্যাংকের পরামর্শে বিএনপি সরকার বিভিন্ন রুটে ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দিয়েছিল।
তিনি বলেন, এখন বাংলাদেশ রেলওয়ে একটি লাভজনক সংস্থা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
বাংলাদেশে কেউ গৃহহীন থাকবে না: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সকল গৃহহীন মানুষের জন্য ঘর নিশ্চিত করার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
তিনি বলেন, আমরা শতভাগ মানুষের জন্য বিদ্যুৎ নিশ্চিত করতে পেরেছি। এবার শতভাগ (গৃহহীন) মানুষ ঘর পাবে। বাংলাদেশে কেউ ভূমি ও আশ্রয়হীন থাকবে না।
ঈদ উপহার হিসেবে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের তৃতীয় ধাপের আওতায় সারাদেশে ৩২ হাজার ৯০৪টি গৃহ ও ভূমিহীন পরিবারের মধ্যে ঘর বিতরণ অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: আশ্রয়ণ-২: প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার পেল ৩৩ হাজার পরিবার
মঙ্গলবার সকালে তিনি তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে একটি ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে আধা-পাকা আবাস বিতরণের উদ্বোধন করেন।
শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলা, বরগুনা সদর উপজেলা, সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা এবং চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায় চারটি গুচ্ছ আবাসন স্থানের সুবিধাভোগীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্বের অন্য কোনো দেশে এমন আবাসন উদ্যোগ নেয়া হয়েছে কিনা তা তিনি জানেন না।
তিনি বলেন,‘আমার কাছে ক্ষমতা হল মানুষের সেবা করা এবং মানুষের জন্য কাজ করা। সুতরাং, আজ আমি কাজ করছি যাতে বাংলাদেশে একজন মানুষও গৃহহীন বা আশ্রয়হীন না থাকে।’
আরও পড়ুন: দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে যথাসাধ্য চেষ্টা করছে সরকার: প্রধানমন্ত্রী