প্রধানমন্ত্রীর-কার্যালয়
চলতি বছরের শেষে যান চলাচলের জন্য পদ্মা সেতু খুলে দেয়া হবে: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তার সরকারের স্বপ্নের প্রকল্প পদ্মা সেতু চলতি বছরের শেষ নাগাদ যান চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হবে।
বুধবার প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্নোত্তর পর্বে ক্ষমতাসীন দলের সংসদ সদস্য (নওগাঁ-২) শহীদুজ্জামান সরকারের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
এসময় শেখ হাসিনা বলেন, পদ্মা সেতু বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং প্রকল্প। বাংলাদেশের কেন্দ্রের সঙ্গে দক্ষিণের জেলাগুলোর মধ্যে সংযোগকারী ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এই সেতু নির্মাণ তার সরকারের একটি সাহসী পদক্ষেপ যা অনেক বাধা অতিক্রম করেছে।
তিনি বলেন, প্রকল্পের দুই প্রান্তে অ্যাপ্রোচ রোড ও সার্ভিস এরিয়া নির্মাণের শতভাগ কাজ শেষ হয়েছে।
তিনি বলেন, মূল সেতুর ভৌত কাজ ৯৬ দশমিক ৫০ শতাংশ শেষ হয়েছে।
আরও পড়ুন: পানি সংরক্ষণে সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করুন: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে কার্পেটিং, ভায়াডাক্ট কার্পেটিং, ওয়াটারপ্রুফ মেমব্রেন, মূল সেতু ও ভায়াডাক্টের মুভমেন্ট জয়েন্ট, ল্যাম্পপোস্ট, অ্যালুমিনিয়াম রেলিং, গ্যাস পাইপলাইন, ৪০০ কেভিএ বিদ্যুৎ ও রেললাইনের কাজ চলছে।
তিনি সংসদকে বলেন, পদ্মা সেতু প্রকল্পের সংশোধিত বাজেট দাঁড়িয়েছে ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি ৩৯ লাখ টাকা।
এর আগে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জানিয়েছিলেন, চলতি বছরের জুনে পদ্মা সেতু যান চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হবে।
এদিন সংসদ নেতা শেখ হাসিনা আরও বলেন, দেশের উন্নয়নে সরকারের নেয়া ১৭টি উল্লেখযোগ্য মেগা প্রকল্পের কাজ চলছে।
মেগা প্রকল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে- পদ্মা বহুমুখী সেতু নির্মাণ প্রকল্প, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্রজেক্ট (রামপাল), ঢাকা ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট, এলএনজি টার্মিনাল ও গ্যাস পাইপলাইন নির্মাণ প্রকল্প, পায়রা সমুদ্র বন্দর, পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র, পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্প, কক্সবাজার বিমানবন্দর উন্নয়ন প্রকল্প এবং আশ্রয়ণ প্রকল্প।
আরও পড়ুন: বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুরা বোঝা নয়: প্রধানমন্ত্রী
জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে বিচারহীনতার সংস্কৃতি দূর করতে পেরেছি: প্রধানমন্ত্রী
পানি সংরক্ষণে সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করুন: প্রধানমন্ত্রী
সরকার ভূপৃষ্ঠের পানির যথাযথ ব্যবহার এবং ভূগর্ভ থেকে পানি উত্তোলন কমানোর পরিকল্পনা নিয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘পানির আরেক নাম জীবন, আমরা ভূ-পৃষ্ঠের পানির ব্যবহার বাড়ানো এবং ভূগর্ভস্থ পানির ব্যবহার কমানোর পরিকল্পনা নিয়েছি, সবাইকে এই বিষয়টির দিকে নজর দিতে হবে।
সোমবার ২০২২ সালের বিশ্ব পানি দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় শহরের গ্রিন রোডের পানি ভবনে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে এবং প্রধানমন্ত্রী সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠানে যোগদান করেন।
এবারের দিবসের প্রতিপাদ্য ‘ভূগর্ভস্থ পানি:অদৃশ্য সম্পদ,দৃশ্যমান প্রভাব’।
আরও পড়ুন: মানুষ যেন সরকারি সেবা থেকে বঞ্চিত না হয়: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী বলেন,বিশ্বে দুই বিলিয়ন মানুষ নিরাপদ পানীয় জলের সমস্যায় ভুগছে।
তিনি বলেন,যদি আমরা এই সম্পদকে সঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারি তাহলে আমাদের দেশের মানুষের কোন দুর্ভোগ থাকবে না। এবং আমরা বিশ্বে নিরাপদ পানি সরবরাহ করতে পারব।এটা মাথায় রেখেই আমাদের কাজ করতে হবে।
তিনি বলেন, সরকার ইতোমধ্যে নদী থেকে পানি পরিশোধন করে সরবরাহ শুরু করেছে।এমনকি জেলা পর্যায়েও ভূগর্ভস্থ পানি সংরক্ষণের জন্য সরকার নদী থেকে পানি পরিশোধন করে সরবরাহ করছে।
শেখ হাসিনা বলেন,আমরা ভূগর্ভস্থ পানির ব্যবহার সীমিত করার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছি।
আরও পড়ুন: সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বেড়ে উঠুক অটিজম শিশুরা: প্রধানমন্ত্রী
মানুষ যেন সরকারি সেবা থেকে বঞ্চিত না হয়: প্রধানমন্ত্রী
দেশের মানুষ যেন সরকারি সেবা থেকে বঞ্চিত না হয় তা নিশ্চিত করতে প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রবিবার (৩ এপ্রিল) ১২১, ১২২ এবং ১২৩তম আইন ও প্রশাসন প্রশিক্ষণ কোর্সের সনদ প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ যেন কখনই সেবা থেকে বঞ্চিত না হয় সেটি আপনাকে নিশ্চিত করতে হবে। মনে রাখবেন, তাদের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্যই আমাদের এই স্বাধীনতা।’
শাহবাগে বিসিএস প্রশাসন একাডেমিতে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যোগ দিয়ে এসব কথা বলেন।
তিনি প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের উদ্দেশে বলেন, স্বাধীনতার ফল দেশের প্রতিটি ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে হবে এবং এটাই সরকারের লক্ষ্য।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আপনি যখনই কাজ করবেন আপনাকে সব সময় দেশের মানুষের কথা চিন্তা করতে হবে।
শেখ হাসিনা সরকারের উন্নয়ন কর্মসূচী যথাসময়ে বাস্তবায়ন ও ভালো ফলাফল পাওয়ার জন্য কার্যকর সমন্বয়ের ওপর জোর দেন।
তিনি আরও বলেন, কোনো এলাকায় সরকারের কোনো উন্নয়ন কর্মসূচি নিয়ে সমস্যা দেখা দিলে তা সফলভাবে সম্পন্ন করার জন্য সংশ্লিষ্ট মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সমন্বয় করতে হবে।
তিনি ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি উন্নত দেশ হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্য অর্জনে তরুণ সরকারি কর্মকর্তাদের চালিকাশক্তি হিসেবে অভিহিত করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, আপনাদেরকে এখন থেকেই সেভাবে কাজ করতে হবে।
এ প্রসঙ্গে তিনি তাদের মেধা ও শক্তিকে দেশের কল্যাণে কাজে লাগানোর নির্দেশ দেন।
পড়ুন: বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুরা বোঝা নয়: প্রধানমন্ত্রী
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এইচ এন আশিকুর রহমান, সিনিয়র সচিব কে এম আলী আজম ও বিসিএস প্রশাসন একাডেমির রেক্টর মোমিনুর রশিদ আমিন অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।
প্রশিক্ষণার্থীদের পক্ষে ১২১তম ব্যাচের এম নাভিদ রেজওয়ানুল কবির, ১২২তম ব্যাচের এম রাহিবুল হাসান এবং ১২৩ তম ব্যাচের রেজওয়ানা হাশিম অনুষ্ঠানে অনুভূতি ব্যক্ত করেন।
অনুষ্ঠানে বিসিএস প্রশাসন একাডেমির ওপর একটি ভিডিও ডকুমেন্টারি প্রদর্শিত হয়।
প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে অংশগ্রহণকারী ও বিজয়ীদের মধ্যে পদক, সনদ ও ক্রেস্ট বিতরণ করেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী।
পড়ুন: রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম সহনীয় পর্যায়ে থাকবে: প্রধানমন্ত্রী
জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে বিচারহীনতার সংস্কৃতি দূর করতে পেরেছি: প্রধানমন্ত্রী
বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুরা বোঝা নয়: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন বা শারীরিকভাবে প্রতিবন্ধী শিশুরা সমাজের বোঝা নয় বরং ‘তাদের জন্য আমাদের গর্ববোধ করা উচিত’।
তিনি বলেন, ‘শারীরিক প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা আমাদেরই একজন, এটা সবচেয়ে বড় কথা।’
বৃহস্পতিবার কক্সবাজারের শেখ কামাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বঙ্গবন্ধু চার জাতি শারীরিক প্রতিবন্ধী ক্রিকেট টুর্নামেন্ট ২০২২-এর পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ব্যক্তিরা এই সমাজের অংশ, তাই তাদের বিচ্ছিন্ন করা উচিত নয়।
তিনি বলেন, সবাইকে মনে রাখতে হবে, তারা আমাদের সন্তান; আমাদেরই তাদের সব ধরনের সহযোগিতা দিতে হবে।
আরও পড়ুন: জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে বিচারহীনতার সংস্কৃতি দূর করতে পেরেছি: প্রধানমন্ত্রী
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব মেসবাহ উদ্দিন।
চূড়ান্ত ম্যাচে স্বাগতিক বাংলাদেশ ভারতকে ৯ উইকেটে হারিয়েছে।
চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ দলের প্রত্যেক খেলোয়াড়কে পাঁচ লাখ টাকা করে পুরস্কার দেয়ার ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী।
এ সময় তিনি শারীরিক প্রতিবন্ধী ব্যক্তি এবং বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের খেলাধুলার উদ্দেশ্যে ১০ কোটি টাকার তহবিল গঠনের ঘোষণা দেন।
তিনি চ্যাম্পিয়ন দলের সকল খেলোয়াড় ও ম্যাচ কর্মকর্তাদের অভিনন্দন জানান।
প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে প্রতিমন্ত্রী চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ ও রানার্সআপ ভারতীয় দলের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন।
আরও পড়ুন: রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম সহনীয় পর্যায়ে থাকবে: প্রধানমন্ত্রী
র্যাবের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞায় স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠীকে দুষলেন প্রধানমন্ত্রী
জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে বিচারহীনতার সংস্কৃতি দূর করতে পেরেছি: প্রধানমন্ত্রী
জনগণের ভোটে ক্ষমতায় আসার পরই সরকার সামরিক বাহিনীর প্রতিষ্ঠিত বিচারহীনতার চলমান সংস্কৃতি দূর করতে পেরেছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের ‘বিজয় ৭১’ এর ১২ তলা ভবনের ভার্চুয়াল উদ্বোধনকালে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিচারহীনতার সংস্কৃতি দূর করে ন্যায়ের সংস্কৃতি ফিরিয়ে আনতে তাকে এবং তার সরকারকে অনেক বাধা-বিপত্তির মুখোমুখি হতে হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতাকে হত্যার পর সামরিক শাসক জিয়াউর রহমান দেশে অন্যায়ের সংস্কৃতি কায়েম করেছিলেন এবং তার স্ত্রী খালেদা জিয়া তা সফলভাবে চালিয়ে গেছেন।
আরও পড়ুন: রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম সহনীয় পর্যায়ে থাকবে: প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘দেশে যে অন্যায়ের সংস্কৃতি চালু হয়েছিল তা জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর পরিবর্তন করতে সক্ষম হয়েছে।’
শেখ হাসিনা উল্লেখ করেন যে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পর তৎকালীন সরকার খুনিদের বাঁচাতে ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করে। এর মাধ্যমে খুনিদের বিদেশে বিভিন্ন মিশনে চাকরি দেয়ার মাধ্যমে পুরস্কৃত করা হয়েছিল।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সে সময় যুদ্ধাপরাধীদের বিচার, সাত খুনের মামলার বিচার বন্ধ করা হয়েছে, তাদের মুক্ত করে রাজনীতি করার সুযোগ দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: র্যাবের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞায় স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠীকে দুষলেন প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, তারা জাতির পিতার খুনি, যুদ্ধাপরাধী, নারী ও শিশু হত্যাকারীদের পুরস্কৃত করেছে। তারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও আদর্শকে ধ্বংস করেছে।
সমস্ত সামরিক শাসকের শাসন এবং তাদের রাষ্ট্র ক্ষমতা দখলের পদক্ষেপ অবৈধ ঘোষণা করায় তিনি বিচার বিভাগের প্রশংসা করেন।
শে হাসিনা বলেন, আমি মনে করি এই রায়ের মাধ্যমে বাংলাদেশের জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার সুরক্ষিত হয়েছে।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী, অ্যাটর্নি জেনারেল আবু মোহাম্মদ আমিন উদ্দিন এবং আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার।
আরও পড়ুন: জাতিসংঘে ইউক্রেনের পক্ষে মানবিক কারণে ভোট দিয়েছে বাংলাদেশ: প্রধানমন্ত্রী
রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম সহনীয় পর্যায়ে থাকবে: প্রধানমন্ত্রী
রমজান মাসে দেশে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম সহনীয় পর্যায়ে থাকবে বলে আশ্বস্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘পণ্যের দাম বর্তমানে সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে। আমরা আশা করি আসন্ন রমজান মাসে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম স্থিতিশীল এবং সহনীয় থাকবে।’
বুধবার জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য ফখরুল ইমামের (ময়মনসিংহ-৮) এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা বিশ্বব্যাপী মূল্যবৃদ্ধির মধ্যে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সরকারের গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন।
আরও পড়ুন: র্যাবের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞায় স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠীকে দুষলেন প্রধানমন্ত্রী
র্যাবের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞায় স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠীকে দুষলেন প্রধানমন্ত্রী
র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) এবং এর সাত বর্তমান ও সাবেক কর্মকর্তার ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞার জন্য বাংলাদেশি একটি স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠীকে দায়ী করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘কিছু মানুষ বিদেশে নিজের দেশের মানহানি করলে, বলার কিছু নেই…। এদেশের কিছু মানুষ এর পেছনে ভূমিকা রাখায় র্যাবের ওপর এই নিষেধাজ্ঞা এসেছে।’
বুধবার জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে কিশোরগঞ্জ-৩ আসনের জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য মো. মুজিবুল হকের একটি সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী স্মরণ করেন, ৯/১১ হামলার পর যুক্তরাষ্ট্র সন্ত্রাস দমনের জন্য বিভিন্ন দেশকে অনুরোধ করেছিল এবং তাদের পরামর্শে তৎকালীন বিএনপি সরকার র্যাব প্রতিষ্ঠা করেছিল।
তিনি বলেন, সন্দেহ নেই যে তারা (বিএনপি) র্যাবকে নির্বিচারে ব্যবহার করেছে।
শেখ হাসিনা অবশ্য বলেন, আওয়ামী লীগের শাসনামলে সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, নারী নির্যাতন দমন এবং হত্যার মতো ধারাবাহিক অপরাধের সুষ্ঠু তদন্তে র্যাব কাজ করেছে।
আরও পড়ুন: উপজেলায় দগ্ধ রোগীদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে: প্রধানমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, দেশে এমন কিছু মানুষ আছেন যারা দেশে যখনই কোনো অগণতান্ত্রিক সরকার ক্ষমতায় আসেন, তারা তখন ভালো থাকেন। কিন্তু দেশে যখন কোনো গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া চলতে থাকে, তখন তারা এর বিরোধিতা করতে শুরু করে।
তিনি বলেন, সরকার যত ভালো কাজই করুক না কেন তারা তা দেখতে চায় না। তারা সবসময় বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে এবং র্যাবের বিরুদ্ধেও তাদের অনেক অভিযোগ রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সেই সব স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠীর কিছু মানুষ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গিয়েছিল এবং মার্কিন বিচার বিভাগ এবং অন্যান্য জায়গায় তাদের অভিযোগ জানিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এসব বৈঠকে বাংলাদেশ দূতাবাসের কোনো কর্মকর্তার উপসি্থতির অনুমতি দেয়া হয়নি। আর এভাবেই নিষেধাজ্ঞাগুলো দেয়া হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশই একমাত্র দেশ, যারা র্যাবের কেউ অন্যায় করলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেয়। এমনকি একজন মন্ত্রীর জামাই, যিনি একজন সেনা কর্মকর্তা ছিলেন; তাকেও রেহাই দেয়া হয়নি। তাকেও বিচারের আওতায় আনা হয়েছিল। আমরা তাকেও ক্ষমা করিনি, শাস্তি দিয়েছি।
তিনি স্পষ্ট করে বলেন, যে যত ক্ষমতাধরই হোক না কেন, আওয়ামী লীগ সরকার কাউকে অন্যায় কাজ করতে দেয় না।
আরও পড়ুন: শত্রুর আক্রমণ থেকে দেশ রক্ষায় সর্বদা প্রস্তুত থাকুন: প্রধানমন্ত্রী
র্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা ‘জঘন্য পদক্ষেপ’: প্রধানমন্ত্রী
উপজেলায় দগ্ধ রোগীদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তার সরকার গ্রামীণ জনগণের সুবিধার্থে উপজেলায় অগ্নিদগ্ধ রোগীদের প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা চালু করার পরিকল্পনা করছে।
তিনি বলেন, আমরা দগ্ধ রোগীদের জন্য এই সেবাটি উপজেলা পর্যায়ে চালু করতে চাই। যাতে গ্রামের মানুষ সেখানে দ্রুত প্রাথমিক চিকিৎসা পেতে পারে।
মঙ্গলবার শেখ হাসিনা ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি (এসএইচএনআইবিপিএস) এ সোসাইটি অব প্লাস্টিক সার্জনস অব বাংলাদেশের (এসপিএসবি) ‘প্লাস্টিকন ২০২২’ শীর্ষক ষষ্ঠ আন্তর্জাতিক সম্মেলনের উদ্বোধনকালে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, সরকার উপজেলা হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা চালু করার কথা ভাবছে।
আরও পড়ুন: শত্রুর আক্রমণ থেকে দেশ রক্ষায় সর্বদা প্রস্তুত থাকুন: প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা দাহ্য পদার্থের ব্যবহার এবং আগুনে পোড়ার দুর্ঘটনার প্রাথমিক চিকিৎসা বিষয়ে জনসচেতনতামূলক প্রচারণার ওপর জোর দেন।
এসপিএসবি সভাপতি ও এসএইচএনআইবিপিএস পরিচালক ডা. আব্দুল কালামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক, এসপিএসবি-এর সাবেক সভাপতি এবং সকল বার্ন প্রকল্পের প্রধান সমন্বয়কারী ডা. সামন্ত লাল সেন এবং এসপিএসবি মহাসচিব (ভারপ্রাপ্ত) ডা. মো. হেদায়েত আলী খান।
মুজিববর্ষ উপলক্ষে ইনস্টিটিউটে স্থাপিত মুজিব কর্নার ও বঙ্গবন্ধু গ্যালারিও উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: র্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা ‘জঘন্য পদক্ষেপ’: প্রধানমন্ত্রী
বাংলাদেশের সঙ্গে কেউ ফাউল করতে পারবে না: প্রধানমন্ত্রী
শত্রুর আক্রমণ থেকে দেশ রক্ষায় সর্বদা প্রস্তুত থাকুন: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতি যে কোনো হুমকি নস্যাৎ করতে সশস্ত্র বাহিনীকে সর্বদা প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে। যদি বাইরে থেকে শত্রু আমাদের আক্রমণ করে, তবে আমাদের অবশ্যই তা যথাযথভাবে প্রতিহত করতে হবে।’
মঙ্গলবার শরীয়তপুরের জাজিরায় শেখ রাসেল সেনানিবাসের উদ্বোধনকালে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে দেয়া বক্তব্যে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী বলেন,জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রণীত ‘সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারো সঙ্গে বিদ্বেষ নয়' পররাষ্ট্রনীতিতে বাংলাদেশ বিশ্বাস করে। আমরা কারও সঙ্গে যুদ্ধ করতে চাই না। আমরা যুদ্ধে জড়াব না,তবে আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, সরকার সশস্ত্র বাহিনীর মানোন্নয়ন, প্রশিক্ষিত ও সমৃদ্ধ করার পদক্ষেপ নিয়েছে।
এসময় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ।
বঙ্গবন্ধুকে হত্যার ২১ বছর পর ১৯৯৬ সালে তিনি ক্ষমতায় আসার পর আওয়ামী লীগ সরকার যেসব পদক্ষেপ নিয়েছিল তার তালিকা দেন প্রধানমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: র্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা ‘জঘন্য পদক্ষেপ’: প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, সরকার সশস্ত্র বাহিনীর উন্নয়ন ও আধুনিকীকরণ পরিকল্পনা গ্রহণ করে এবং ১৯৯৮ সালে ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজ এবং মিলিটারি ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি প্রতিষ্ঠা করে,১৯৯৯ সালে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অফ পিস সাপোর্ট অপারেশনস ট্রেনিং এবং আর্মড ফোর্সেস মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠা করে।
এছাড়া তিনি বলেন, তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার প্রথমবার ২০০০ সালে সেনাবাহিনী, নৌ ও বিমান বাহিনীতে নারী কর্মকর্তাদের নিয়োগ দেয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০৮ সাল থেকে একটানা নির্বাচনে জয়লাভের পর সরকার একটি প্রশিক্ষিত ও যুগোপযোগী সশস্ত্র বাহিনী গড়ে তুলতে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছে।
এ জন্য বঙ্গবন্ধু কর্তৃক প্রণীত জাতীয় প্রতিরক্ষা নীতি-১৯৭৪-এর ভিত্তিতে ‘ফোর্সেস গোল-২০৩০’ চালু করা হয়েছে।
তিনি বলেন, সরকার ২০১৬ সালে বাংলাদেশ পিস বিল্ডিং সেন্টার প্রতিষ্ঠা করে এবং ‘জাতীয় প্রতিরক্ষা নীতি,২০১৮’ প্রণয়ন করে।
র্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা ‘জঘন্য পদক্ষেপ’: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সোমবার র্যাব ও এর কয়েকজন কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেছেন, এটা একটি জঘন্য পদক্ষেপ।
তিনি বলেন, জঙ্গি দমন, মাদক নিয়ন্ত্রণ, সুন্দরবন দস্যুমুক্ত এবং সন্ত্রাসী কার্যক্রম বন্ধ করার ক্ষেত্রে র্যাবের ভূমিকা প্রশংসার দাবিদার। আমি মনে করি এই সমস্ত সাফল্যের পর র্যাব এবং এর কিছু কর্মকর্তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা অত্যন্ত জঘন্য কাজ।’
র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) ১৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
র্যাব ফোর্সেস হেডকোয়ার্টার্সের শহীদ লেফটেন্যান্ট কর্নেল আজাদ মেমোরিয়াল হলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যোগ দেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কোনো সদস্য কোনো ধরনের অপরাধে জড়িত হলে শাস্তির বিধান রয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘কিন্তু এটা দুঃখের বিষয় যে তারা কোনো দোষ বা কারণ ছাড়াই কিছু র্যাব সদস্যের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। তাদের দেশে তারা তাদের বাহিনীর কোনো সদস্যের বিরুদ্ধে তাদের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের জন্য কোনো ব্যবস্থা নেয় না।’
এই প্রসঙ্গে তিনি উল্লেখ করেছেন যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে শুধুমাত্র পকেটে হাত দেয়ার জন্য এক শিশুকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল এবং অন্য একটি ঘটনায় আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্য রাস্তায় একজনকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছিল।
তিনি বলেন, এই কারণে তারা শাস্তি পায়নি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সারা বিশ্বে বাংলাদেশই একমাত্র যেখানে যে কোনো অপরাধে জড়িত থাকলে অবশ্যই শাস্তি পেতে হবে।
পড়ুন: র্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা একটি জটিল বিষয়: যুক্তরাষ্ট্র