প্রধানমন্ত্রীর-কার্যালয়
সোমবার ঐতিহাসিক ৭ মার্চ
বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে স্মরণীয় দিন হিসেবে সোমবার যথাযোগ্য মর্যাদায় দেশব্যাপী ঐতিহাসিক ৭ মার্চ পালিত হবে।
১৯৭১ সালের এই দিনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) এক বিশাল জনসমুদ্রের সামনে যে যুগান্তকারী ভাষণ দিয়েছিলেন, তাতে উদ্বুদ্ধ হয়ে বাংলার দামাল ছেলেরা হাতে অস্ত্র তুলে নিয়েছিল। সে দিনটি থেকে নতুন করে অনুপ্রেরণা পাওয়ার জন্য প্রতিবছর দিবসটি পালিত হয়।
লক্ষাধিক স্বাধীনতাকামী জনতার সামনে বঙ্গবন্ধু তার ১৯ মিনিটের অসামান্য ভাষণে শোষক পাকিস্তানি শাসন থেকে দেশকে মুক্ত করতে জাতিকে স্বাধীনতা যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হওয়ার জন্য অসহযোগ আন্দোলনের আহ্বান জানিয়েছিলেন।
বিশাল জনসভা থেকে বঙ্গবন্ধু ঘোষণা করেন,‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম, জয় বাংলা’।
তার এই ভাষণকে প্রায়ই মার্কিন প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিংকনের ঐতিহাসিক গেটিসবার্গের ভাষণের সঙ্গে তুলনা করা হয়। বঙ্গবন্ধু সেদিন বলেছিলেন. যেহেতু আমরা রক্ত দিতে শিখেছি, আমরা আরও রক্ত দেব। ইনশাআল্লাহ, এদেশের মানুষকে মুক্ত করতেই হবে...প্রতিটি ঘরকে দুর্গে পরিণত করব। তোমাদের যা কিছু আছে, তাই নিয়ে (শত্রু) মোকাবিলা কর।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক আদর্শে বাংলাদেশ পরিচালিত হবে: প্রধানমন্ত্রী
সেদিন বঙ্গবন্ধুর দেয়া সেই ভাষণ জাদুমন্ত্রের মতো কাজ করেছিল, যা সমগ্র জাতিকে তৎকালীন পাকিস্তানি সামরিক জান্তার স্বৈরাচারী ও দমনমূলক শাসন থেকে স্বাধীনতার সংগ্রামে যোগ দিতে অনুপ্রাণিত করেছিল।
সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘ঐতিহাসিক ৭ মার্চ, ২০২২’ অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যোগ দেবেন।
দিবসটি উপলক্ষে আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন সামাজিক-রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
বাংলাদেশ বেতার ও বাংলাদেশ টেলিভিশনের পাশাপাশি দেশের বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল,রেডিও স্টেশন ও জাতীয় দৈনিকগুলোতে দিবসটি উপলক্ষে বিশেষ আয়োজন করা হয়েছে।
এদিকে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণের মাধ্যমে জাতির স্বাধীনতার যাত্রাকে বাস্তবায়িত করার সাহসী ও দূরদর্শী নেতৃত্বকে কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করে পৃথক বাণী দিয়েছেন।
এক বাণীতে রাষ্ট্রপতি বলেন, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ শুধু আমাদের জন্য নয়, সারা বিশ্বের স্বাধীনতাকামী মানুষের জন্য অনুপ্রেরণার চিরন্তন উৎস হয়ে থাকবে।
রাষ্ট্রপতি হামিদ বলেন, বঙ্গবন্ধুর জীবনের স্বপ্ন ছিল স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশকে একটি সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলায় পরিণত করা। ‘আমাদের মহান নেতার সেই স্বপ্ন পূরণে আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে।’
আরও পড়ুন: টোকিওতে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উদযাপন
তিনি বাংলাদেশকে ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গৃহীত ‘রূপকল্প ২০৪১’ বাস্তবায়নে অবদান রাখার জন্য রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি নির্বিশেষে সকলের প্রতি আহ্বান জানান।
প্রধানমন্ত্রী তার বাণীতে বলেন, ‘জাতির পিতার ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের বিশ্বব্যাপী স্বীকৃতি, আজ বাঙালি জাতির জন্য এক বিরল সম্মান ও গর্বের।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘গত বছর আমরা ৭ই মার্চের এই মহান ভাষণের সুবর্ণজয়ন্তী ও স্বাধীনতা উদযাপন করেছি। এ বছর আমরা ভাষা আন্দোলনের ৭০ বছর ও মুজিববর্ষ উদযাপন করছি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের সরকারের গৃহীত উদ্যোগের ফলে বাংলাদেশ আজ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে।’
তিনি জাতির পিতার মহান আদর্শ অনুসরণ করে তার স্বপ্নের ‘সোনার বাংলাদেশ’ গড়ার অঙ্গীকার করারও আহ্বান জানান।
২০১৭ সালে জাতিসংঘের শিক্ষা, বৈজ্ঞানিক ও সাংস্কৃতিক সংস্থা (ইউনেস্কো) জাতির পিতার ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণকে বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।
২০২০ সালের ৭ অক্টোবর মন্ত্রিপরিষদ ৭ মার্চকে ‘জাতীয় ঐতিহাসিক দিবস’-এর পরিবর্তে ‘ঐতিহাসিক দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করে, তাই দিবসটি এখন জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে পালিত হয়।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ঢাবি ছাত্রলীগের হল নেতাদের শ্রদ্ধা
সরকার বাংলাদেশের বিহারীদের জীবনমান উন্নয়নে পরিকল্পনা করছে: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন মানবিক বিবেচনায় তার সরকার দেশে আটকে পড়া বিহারীদের উন্নত জীবন দেয়ার পরিকল্পনা করছে, যদিও তারা বাংলাদেশের স্বাধীনতার পরে পাকিস্তানের নাগরিকত্ব বেছে নিয়েছিল।
তিনি বলেন, ‘আমরা একজন মানুষকে মানুষ হিসেবে দেখতে চাই। হয়তো তারা এখানে থাকতে চায়নি, কিন্তু তারা এখন কোথায় যাবে? তাদের পরবর্তী প্রজন্ম এই দেশে জন্ম নিয়েছে। আমাদেরই তাদের জন্য কিছু করতে হবে।’
রবিবার ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৪৪ নং ওয়ার্ডের কাঁচকুড়া হাইস্কুল মাঠে আয়োজিত ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের নবনির্মিত ১৮টি ওয়ার্ডের সড়ক অবকাঠামো ও ড্রেনেজ ব্যবস্থা নির্মাণ ও উন্নয়ন (ফেজ-১) উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী ভার্চুয়ালি যুক্ত এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘তারা পাকিস্তানে যেতে চেয়েছিল এবং স্বাধীনতার পর পাকিস্তানি নাগরিকত্ব নিতে চেয়েছিল। কিন্তু পাকিস্তান কখনই তাদের গ্রহণ করেনি।’
আরও পড়ুন: সামুদ্রিক সম্পদ আহরণে মেরিন ক্যাডেটদের ভূমিকা চান প্রধানমন্ত্রী
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘অনেক প্রতিষ্ঠান তাদের জন্য বিপুল পরিমাণ অর্থ সংগ্রহ করেছে। কিন্তু তাদের ভাগ্যের কোনো পরিবর্তন হয়নি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তারা এখন তাদের সন্তান ও নাতি-নাতনি নিয়ে বাংলাদেশে বসবাস করছে। তারা জেনেভা ক্যাম্পের ছোট জায়গায় অমানবিক জীবনযাপন করছে।’
এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিহারীরা অনেক পরিশ্রমী এবং তারা কারুশিল্পে অনেক দক্ষ।
তিনি বলেন, এজন্য আমি তাদের জন্য উন্নত বাসস্থানের ব্যবস্থা করতে চেয়েছিলাম এবং যে কাজে তাদের দক্ষতা আছে,তাদেরকে সে কাজেই লাগাতে চেয়েছিলাম; যাতে তারা জীবিকা নির্বাহ করতে পারে।
তিনি বলেন, ঢাকায় এটা করা যায় না, তার জন্য দরকার একটা সুবিধাজনক ভালো জায়গা। যেখানে শিল্প আছে বা তাদের চাকরির সুযোগ আছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাদের জন্য কর্মসংস্থানের জন্য আমাদের সুযোগ তৈরি করতে হবে। আমি চাই, তারা যেন একটি সুন্দর মানবিক জীবন পায়।
রাজধানী ঢাকায় কারও জমি বা ফ্ল্যাট না থাকলে জীবন অর্থহীন বলে দেশের মানুষের মানসিকতারও সমালোচনা করেন শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন,এই ধরনের চিন্তাভাবনা অবশ্যই মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলা উচিত।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা সম্পর্ক আরও দৃঢ় হবে: প্রধানমন্ত্রী
দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থার অনেক উন্নতি হয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন,‘আমরা রেল, সড়ক ও বিমান যোগাযোগের উন্নয়ন করছি। লোকজন তাদের কাজ শেষ করে সহজেই তাদের বাড়িতে ফিরে যেতে পারে। আমরা পরিকল্পিতভাবে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন করছি।
শেখ হাসিনা বলেন, তার ব্যক্তিগত উদ্যোগে গুলশান এলাকায় ১০ বিঘা জমির একটি অংশ বের করেছেন, যেখানে একটি খেলার মাঠ তৈরি করা হবে।
প্রধানমন্ত্রী আবারও দেশের জনগণকে বিদ্যুৎ ও পানি ব্যবহারে সচেতন হওয়ার অনুরোধ করেন, কারণ সরকার এই ইউটিলিটিগুলোতে ভর্তুকি হিসাবে বিপুল পরিমাণ অর্থ দিচ্ছে।
তিনি বলেন, আমরা বিশাল ভর্তুকি দিচ্ছি, এগুলো সব জনগণের ট্যাক্সের টাকা।
তিনি বলেন, জনগণের জীবনমান উন্নয়নে সরকার ভর্তুকি দিচ্ছে।
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এসএম শফিউদ্দিন আহমেদ, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম এবং স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলাল উদ্দিন আহমেদ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: গবেষণালব্ধ জ্ঞান মানুষের কল্যাণে ব্যবহার করতে হবে: প্রধানমন্ত্রী
সামুদ্রিক সম্পদ আহরণে মেরিন ক্যাডেটদের ভূমিকা চান প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, টেকসই উন্নয়নে সামুদ্রিক সম্পদ ব্যবহার করে মেরিন ফিশারিজ একাডেমির ক্যাডেটদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা সরকারকে এসডিজি-১৪ অর্জনে সহায়তা করবে।
তিনি বলেন, ‘টেকসই উন্নয়নের জন্য সামুদ্রিক সম্পদ ব্যবহার করে এসডিজি-১৪-এর লক্ষ্য অর্জনে সরকার বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। আমি আশা করি সরকারের এই লক্ষ্য অর্জনে আপনাদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ।’
রবিবার মেরিন ফিশারিজ একাডেমির ৪১তম ব্যাচের ‘মুজিববর্ষের পাসিং আউট প্যারেড’ অনুষ্ঠানে দেয়া ভার্চুয়াল এক ভাষণে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: গবেষণালব্ধ জ্ঞান মানুষের কল্যাণে ব্যবহার করতে হবে: প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে কঠোর পরিশ্রম, অধ্যবসায় ও নিবিড় প্রশিক্ষণের মাধ্যমে অর্জিত এই জ্ঞান আপনাদের ভবিষ্যতের কাজে সহায়ক হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি আশা করি এই নিরন্তর পরিবর্তনশীল এবং প্রতিযোগিতামূলক আধুনিক বিশ্বে টিকে থাকার জন্য আপনারা ইতোমধ্যে আপনাদের অর্জিত জ্ঞান দিয়ে নিজেকে প্রস্তুত করেছেন।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কর্মজীবনে উন্নতির মূল ভিত্তি হলো কঠোর পরিশ্রম, সময়ানুবর্তিতা, সততা, কর্মদক্ষতা, মূল্যবোধ ও দেশ ও জাতির প্রতি নিষ্ঠা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি মনে করি, আপনারা এই গুণাবলী অর্জন করে ভবিষ্যতের কর্মক্ষেত্রে নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করবেন।’
আরও পড়ুন: মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করলেন প্রধানমন্ত্রী
ভারত ও মিয়ানমার থেকে বিস্তীর্ণ সমুদ্র এলাকা পুনরুদ্ধারের কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার সুনীল অর্থনীতির (ব্লু ইকোনমি) ওপর বিশেষ জোর দিয়েছে এবং সমুদ্র থেকে সম্পদ আহরণ বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের এক নতুন দ্বার উন্মোচন করেছে।
তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি আপনাদের সক্রিয় অংশগ্রহণের মাধ্যমে, সামুদ্রিক সম্পদ আহরণ আরও উন্নত হবে, যা সরকারের ‘ব্লু ইকোনমির লক্ষ্য অর্জনে সহায়তা করার পাশাপাশি আমাদের অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করবে।
অনুষ্ঠানে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ. ম রেজাউল করিম, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: বীমার সুবিধা সম্পর্কে জনসচেতনতা বাড়ানোর আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা সম্পর্ক আরও দৃঢ় হবে: প্রধানমন্ত্রী
বহুমুখী খাতে সহযোগিতার মাধ্যমে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা সম্পর্ক আরও দৃঢ় হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আমাদের দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা বিস্তৃত হয়েছে। আমার দৃঢ় বিশ্বাস এটি বহুমুখী সহযোগিতার মাধ্যমে বিশেষ করে কৃষি, বাণিজ্য, নৌপরিবহন, জনগণের মধ্যে সম্পর্ক তৈরির মাধ্যমে আরও বাড়বে।’
শনিবার বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার কূটনৈতিক সম্পর্কের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে দেয়া এক ভিডিও বার্তায় তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: গবেষণালব্ধ জ্ঞান মানুষের কল্যাণে ব্যবহার করতে হবে: প্রধানমন্ত্রী
১৯৭২ সালের এই দিনে শ্রীলঙ্কা বাংলাদেশকে একটি সার্বভৌম ও স্বাধীন দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।
তিনি বলেন, গত ৫০ বছর দুই প্রতিবেশি দক্ষিণ এশীয় দেশের অংশীদারিত্বের একটি শক্ত ভিত্তি তৈরি করেছে।
আমি নিশ্চিত যে আমরা আগামী ৫০ বছর এবং তারপরেও সমৃদ্ধ ও শান্তিপূর্ণ অঞ্চল গড়ে তুলতে একসঙ্গে কাজ করব,’ বলেন প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা বলেন, গৌরবময় মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নে উদ্বুদ্ধ হয়ে বাংলাদেশের জনগণ গত ১৩ বছরে উল্লেখযোগ্য আর্থ-সামাজিক সাফল্য অর্জন করেছে।
তিনি বলেন, আর্থ-সামাজিক মুক্তির লক্ষ্যে আমাদের অবিশ্বাস্য যাত্রায় আমরা শ্রীলঙ্কার অংশীদারিত্বকে গভীরভাবে মূল্যায়ন করি।
এসময় তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং গত বছর বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনে যোগ দিতে শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট মাহিন্দা রাজাপাকসের বাংলাদেশ সফরের কথাও কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করেন।
আরও পড়ুন: বীমার সুবিধা সম্পর্কে জনসচেতনতা বাড়ানোর আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
গবেষণালব্ধ জ্ঞান মানুষের কল্যাণে ব্যবহার করতে হবে: প্রধানমন্ত্রী
দেশের জনগণের কল্যাণে গবেষকদের প্রতি গবেষণালব্ধ জ্ঞানের ব্যবহারিক প্রয়োগ নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, `আপনাদের উদ্ভাবিত জ্ঞানের ব্যবহারিক প্রয়োগ জনগণের কল্যাণে ব্যবহার হওয়া উচিত। আমিও দেখতে চাই, আপনারা এখন যে গবেষণা করছেন তার প্রভাব কী হয়।‘
বৃহস্পতিবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় আয়োজিত বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, বিজ্ঞানী, গবেষক এবং বিজ্ঞান শিক্ষার্থীদের মধ্যে ‘বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেলোশিপ’, ‘এনএসটি ফেলোশিপ’ এবং বিশেষ গবেষণা অনুদান প্রদানকালে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। তিনি গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠানে যুক্ত হন।
এসময় প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান পুরস্কারপ্রাপ্তদের হাতে ফেলোশিপ ও অনুদানের চেক হস্তান্তর করেন।
আরও পড়ুন: মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করলেন প্রধানমন্ত্রী
বর্তমানে চতুর্থ শিল্প বিপ্লব দরজায় কড়া নাড়ছে মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের এর জন্য (চতুর্থ শিল্প বিপ্লব) দক্ষ জনশক্তি তৈরি করতে হবে। আমরা এ বিষয়টি মাথায় রেখে আপনাদের (গবেষক ও শিক্ষার্থীদের) সহায়তা করছি। আমরা চাই দেশের জনগণ আপনাদের কাছ থেকে সহায়তা পাবে।’
ফেলোশিপ ও গবেষণা অনুদান সরকারের রাজস্ব তহবিল থেকে প্রদান করা হয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আপনারা যারা ফেলোশিপ পাচ্ছেন, জাতির উন্নয়নে তাদের সর্বোচ্চ দায়িত্ব নিয়ে কঠোর পরিশ্রম করতে হবে।’
বিশ্ব নতুন নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবনে এগিয়ে যাচ্ছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের এই গতির (দ্রুত পরিবর্তনশীল বিশ্বের গতি) সঙ্গে মানিয়ে নিতে হবে।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জিয়াউল হাসান অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: বীমার সুবিধা সম্পর্কে জনসচেতনতা বাড়ানোর আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
নতুন প্রজন্মকে ত্যাগ ও সংগ্রামের কথা জানতে হবে: প্রধানমন্ত্রী
মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করলেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের মাধ্যমে জনগণের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে তার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছেন। তিনি বলেন, আমি একটি লক্ষ্য অর্জনের জন্য কাজ করছি... আমার বাবা যে আদর্শ নিয়ে দেশ স্বাধীন করেছিলেন সেই আদর্শ বাস্তবায়ন করতে হবে, করতেই হবে। এটাই আমার প্রতিশ্রুতি।
বুধবার এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) সভায় সভাপতিত্বকালে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, তিনি চান বাংলাদেশের মানুষের জীবনকে সুন্দর ও মর্যাদাপূর্ণ করতে। যাতে তারা বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে চলতে পারে। আর এটাই জাতির পিতা সবসময় চাইতেন ও বলতেন।
গত ১৩ বছরে বাংলাদেশের উন্নয়নের কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ ইতোমধ্যে এলডিসি থেকে উন্নীত হয়ে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা অর্জন করেছে।
প্রধানমন্ত্রী জোর দিয়ে বলেন, আমরা একটি উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে এগিয়ে যাব এবং ভবিষ্যতে একটি উন্নত দেশে পরিণত হবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশকে এখন কেউ সহানুভূতির চোখে দেখে না, বরং সম্মানের চোখে দেখে।
আরও পড়ুন: বীমার সুবিধা সম্পর্কে জনসচেতনতা বাড়ানোর আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ, ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন এবং ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসের কারণে মার্চ মাসের ঘটনাবহুল তাৎপর্যও তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি উল্লেখ করেন, এই মাসটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এই মাসেই সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জন্মগ্রহণ করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু একটি স্বাধীন জাতি হিসেবে জাতিকে স্বাধীনতা ও আত্মমর্যাদা দিয়েছেন।
যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশ পুনর্গঠনে বঙ্গবন্ধুর অবদানের কথা স্মরণ করে শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করে সরকার ব্যাপক উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে এবং তা বাস্তবায়ন করছে।
তিনি বলেন, আমরা জাতির পিতার আদর্শ অনুসরণ করে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি।
করোনা মহামারির সময়েও বাংলাদেশের অর্থনীতি এগিয়ে যাচ্ছে বলেও এসময় উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।
বাংলাদেশের জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে তিনি বলেন, যারা এই কঠিন সময়েও আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করে সাফল্য অর্জন করেছেন।
আরও পড়ুন: নতুন প্রজন্মকে ত্যাগ ও সংগ্রামের কথা জানতে হবে: প্রধানমন্ত্রী
তরুণরাই রূপকল্প ২০৪১ এর নেতৃত্ব দেবে: প্রধানমন্ত্রী
বীমার সুবিধা সম্পর্কে জনসচেতনতা বাড়ানোর আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বীমা কোম্পানিগুলোর প্রতি বীমা পলিসির সুবিধা সম্পর্কে জনসচেতনতা বাড়াতে উদ্যোগ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘বিমার সুবিধা সম্পর্কে মানুষের মধ্যে সচেতনতার অভাব রয়েছে। আমি আশা করি মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে বীমা খাতের সংশ্লিষ্টরা যথাযথ উদ্যোগ নেবেন।’
মঙ্গলবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) জাতীয় বীমা দিবস ২০২২ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। তিনি তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি এ কর্মসূচিতে যোগ দেন।
অর্থ মন্ত্রণালয় ও বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ) যৌথভাবে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
আরও পড়ুন: নতুন প্রজন্মকে ত্যাগ ও সংগ্রামের কথা জানতে হবে: প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা বলেন, পলিসি হোল্ডারদের সুবিধার জন্য বীমা খাতকে পুরোপুরি ডিজিটাল করতে হবে এবং অটোমেশনের আওতায় আনতে হবে।
তিনি বলেন, প্রিমিয়াম পরিশোধ ডিজিটালভাবে বা অনলাইন সিস্টেমের মাধ্যমে করা গেলে সবাই আগ্রহী হবে। বীমা খাতে প্রযুক্তি অন্তর্ভুক্ত করা এবং এটি সম্পর্কে ব্যাপক প্রচার করা উচিত।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বীমার ব্যাপারে মানুষকে উৎসাহিত করতে হবে এবং পলিসি হোল্ডারদের এ খাতে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিতে হবে।
মানুষকে আগ্রহী করে তুলতে নতুন কৌশল অবলম্বন করতে হবে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, বীমা খাতে আরও আস্থা তৈরির ওপর জোর দিতে হবে।
আরও পড়ুন: আসিয়ানের সঙ্গে সম্পৃক্ততা বাড়াতে আগ্রহী বাংলাদেশ: প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, মানুষ যদি তাদের নাগালের মধ্যে বীমা পরিষেবা পেতে পারে তবে তারা আগ্রহ বোধ করবে এবং তাদের জীবন সুরক্ষিত হবে। এর জন্য সরকারি ও বেসরকারি খাতের বীমা কোম্পানিগুলোকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বীমার অর্থের মিথ্যা দাবিদার সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সতর্ক থাকতে হবে।
বীমা খাতের উন্নয়নের কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, সরকার অ্যাকচুয়ারিতে (বিমা-গাণনিক) বিদেশ থেকে একাডেমিক ডিগ্রি নেয়ার জন্য কিছু লোক পাঠাবে। তাদের পড়াশোনার খরচ সরকার দেবে কিন্তু তাদের পড়াশোনা ও কাজ শেষ করে দেশে ফিরতে হবে।
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব শেখ মোহাম্মদ সলীম উল্লাহ।
অনুষ্ঠানে বীমা খাতের ওপর একটি ভিডিও ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়।
আরও পড়ুন: বিমানকে পরিষেবার উন্নতির আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
নতুন প্রজন্মকে ত্যাগ ও সংগ্রামের কথা জানতে হবে: প্রধানমন্ত্রী
দেশের অর্জনের পেছনের সংগ্রাম ও ত্যাগ সম্পর্কে নতুন প্রজন্মকে জানানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘ভবিষ্যত প্রজন্ম যদি এসব ত্যাগ ও সংগ্রামের কথা জানে তাহলে তারা দেশপ্রেমের মূল্য শিখবে। তাদের যোগ্যতা, জ্ঞান এবং সৃজনশীলতার বিকাশ ঘটবে।’
রবিবার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনের ওপর নির্মিত ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব: মহাজীবন পট’ শীর্ষক ১৫০ ফুট দীর্ঘ স্ক্রল পেইন্টিংয়ের উদ্বোধনকালে শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।
শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যোগ দেন।
তিনি বলেন, সরকার ২০০৯ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত দেশের মানুষের জীবনযাত্রায় উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন এনেছে।
তিনি উল্লেখ করেন, গ্রামীণ এলাকায় উন্নয়ন ছড়িয়ে দেয়ায় দারিদ্র্য হ্রাস পেয়েছে এবং মানুষ শিক্ষা ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছে।
আরও পড়ুন: তরুণরাই রূপকল্প ২০৪১ এর নেতৃত্ব দেবে: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এই উন্নয়নের সাথে আমি মনে করি যে এই অর্জনগুলোর পেছনে ত্যাগ ও সংগ্রাম জনগণকে জানতে হবে।’
তিনি জনগণের সংগ্রাম এবং যুদ্ধের মাধ্যমে দেশ স্বাধীন করতে নিরস্ত্র বাঙালিদের সাহসিকতার কথাও স্মরণ করেন।
তিনি বলেন, ‘আমাদের অনেক ঐতিহাসিক ঘটনা রয়েছে। আমাদের শিশু, যুবক ও নতুন প্রজন্মকে এই ইতিহাস জানতে হবে। এটা জানলে তারা দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হবে এবং জনগণের কল্যাণে তাদের উৎসর্গ করতে অনুপ্রাণিত হবে।’
সরকারপ্রধান বলেন, ‘তারা দেশের জনগণের সেবা করার চেতনায় উদ্বুদ্ধ হবে এবং এটি আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে নির্মমভাবে হত্যার পর দেশের ইতিহাস থেকে বঙ্গবন্ধুর নাম এবং তার সংগ্রাম ও আত্মত্যাগকে মুছে ফেলার অপচেষ্টা হয়েছে।
পড়ুন: বিমানকে পরিষেবার উন্নতির আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
তিনি বলেন, কিন্তু জাতির পিতার নাম দেশের ইতিহাস থেকে মুছে ফেলা যায়নি, সত্যের জয় হয়েছে।
বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মের চিত্র তুলে ধরে দেশের দীর্ঘতম স্ক্রল পেইন্টিং এঁকেছেন শাহজাহান আহমেদ বিকাশ। জাতীয় জাদুঘরের নলিনীকান্ত ভট্টশালী গ্যালারিতে দুই সপ্তাহ ধরে প্রদর্শনী চলবে।
অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, প্রদর্শনীর আয়োজক সহযোগী বিজ্ঞাপনী সংস্থা ‘মাত্রা’র পক্ষ থেকে ম্যানেজিং পার্টনার শিল্পী আফজাল হোসেন, বাংলাদেশ চারুশিল্পী সংসদের সভাপতি শিল্পী জামাল আহমেদ বক্তব্য দেন।
স্বাগত বক্তব্য দেন জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী।
অনুষ্ঠানের শুরুতে মুজিববর্ষের থিমসং এবং স্ক্রল পেইন্টিংযের ওপর একটি ভিডিও ডকুমেন্টারি পরিবেশিত হয়।
পড়ুন: ‘এরা জমির আগাছা’- দেশের অর্জনকে অস্বীকার করে যারা তাদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী
তরুণরাই রূপকল্প ২০৪১ এর নেতৃত্ব দেবে: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, নতুন প্রজন্ম দেশকে এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যাবে কেননা তরুণরা রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়নের অগ্রদূত।
তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন,‘দেশপ্রেমের চেতনায় ও জাতির পিতার আদর্শে উদ্বুদ্ধ নতুন প্রজন্ম বাংলাদেশকে সমৃদ্ধির পথে নিয়ে যাবে।’
বৃহস্পতিবার রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের (আইএমএলআই) মিলনায়তনে বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে 'মুজিব বর্ষে' প্রকাশিত ১১টি বইয়ের মোড়ক উন্মোচনকালে শেখ হাসিনা এ কথা বলেন। তিনি সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি এতে যোগ দেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশকে একটি সমৃদ্ধ ও মর্যাদাপূর্ণ দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে সরকার রূপকল্প ২০৪১ প্রণয়ন করেছে। নতুন প্রজন্ম সেই সূত্র ধরে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। আমরা ধীরে ধীরে উন্নয়নশীল দেশ থেকে উন্নত দেশে পরিণত হব।’
আরও পড়ুন: ডি-৮ এর শক্তিশালী অর্থনৈতিক জোট হওয়ার সক্ষমতা রয়েছে: প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন,‘ ২০৪১ সালের মধ্যে দেশকে উন্নত দেশে পরিণত করা কঠিন কাজ হবে না। ইনশাআল্লাহ, আমরা তা পারব।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ২০০৯ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত দারিদ্র্য হ্রাস, সাক্ষরতার হার বৃদ্ধি এবং খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করার মাধ্যমে দেশে ব্যাপক পরিবর্তন আনতে সক্ষম হয়েছে।আমরা আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারকে গুরুত্ব দিয়েছি এবং সেই লক্ষ্যে আমরা সফলও হয়েছি।
শেখ হাসিনা বলেন, উন্নয়ন আজ আর নগরকেন্দ্রিক নয় কেননা সরকার তৃণমূল পর্যায় থেকে উন্নয়নের ওপর নজর দিচ্ছে।
আরও পড়ুন: ‘এরা জমির আগাছা’- দেশের অর্জনকে অস্বীকার করে যারা তাদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী ‘বঙ্গবন্ধু স্কলার’ বৃত্তি প্রদান করেন ও ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব কুইজ’ প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন।
প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে নির্বাচিত ১৩ জন মেধাবী শিক্ষার্থীকে ‘বঙ্গবন্ধু স্কলার’ বৃত্তি ও ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব কুইজ’ প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার তুলে দেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।
বিমানকে পরিষেবার উন্নতির আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সকে আরও লাভজনক করতে বিশ্বমানের যাত্রী ও কার্গো সেবা প্রদানে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষ্যে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন,দক্ষ গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং সিস্টেমের জন্য আমরা একটি পৃথক ইউনিট তৈরি করতে চাই। এই জন্য প্রশিক্ষণ ও জনবল প্রয়োজন।
তিনি বলেন,যত তাড়াতাড়ি সম্ভব পৃথক ইউনিট তৈরি করা প্রয়োজন যাতে সরকার উন্নত যাত্রী পরিষেবা নিশ্চিত করতে উপযুক্ত জনবল সরবরাহ করতে পারে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন,তিনি চান বিমান আন্তর্জাতিকভাবে নিজস্ব প্লেন দিয়ে কার্গো সার্ভিস পরিচালনা করবে।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন,কমপক্ষে দুটি কার্গো প্লেন ক্রয় জরুরিভাবে প্রয়োজন,আমি মনে করি সঠিকভাবে উদ্যোগ নিলে এটি করা সম্ভব হবে এবং বিমানের কার্গো সার্ভিস অব্যাহত থাকলে আরও লাভজনক হবে।
আরও পড়ুন: ডি-৮ এর শক্তিশালী অর্থনৈতিক জোট হওয়ার সক্ষমতা রয়েছে: প্রধানমন্ত্রী
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে কার্গো সার্ভিস যোগাযোগ স্থাপন জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োজন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন,কার্গো হ্যান্ডলিং ও ফ্লাইট হ্যান্ডলিং আন্তর্জাতিক মানের হবে।
এ সময় তিনি শুল্ক ব্যবস্থার সম্পূর্ণ ডিজিটালাইজেশনের উপর জোর দেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন,প্রবাসীরা যাতে বিমানবন্দরে কোনো ঝামেলার সম্মুখীন না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
আরও পড়ুন: বিমান বাংলাদেশের সুবর্ণজয়ন্তী: স্মারক ডাকটিকিট অবমুক্ত করলেন প্রধানমন্ত্রী