প্রধানমন্ত্রীর-কার্যালয়
খাদ্য অপচয় বন্ধের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শনিবার সবাইকে খাদ্য অপচয় বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন। কেননা বিশ্বের অনেক দেশ দুর্ভিক্ষের মতো পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, খাবার নষ্ট করা কমাতে হবে। পৃথিবীর একদিকে খাদ্যের অভাব এবং অন্যদিকে ভারী অপচয়। এক্ষেত্রে কোনও খাদ্য নষ্ট করা উচিত নয়।
হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে আয়োজিত বিশ্ব খাদ্য দিবসের এক অনুষ্টানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রী একথা বলেন।
আরও পড়ুন: কুমিল্লার ঘটনায় অপরাধীদের খুঁজে বের করার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
বিশ্ব খাদ্য দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য হচ্ছে, ‘আমাদের কর্মই আমাদের ভবিষ্যৎ-ভালো উৎপাদনে ভালো পুষ্টি,আর ভালো পরিবেশই উন্নত জীবন।’
প্রধানমন্ত্রী বিজ্ঞানীদের প্রতি অতিরিক্ত খাবারের পুনব্যবহারের বিষয়ে চিন্তা করার এবং এ বিষয়ে গবেষণা চালানোর আহ্বান জানান।
বাংলাদেশ কখনো যেনো খাদ্য সংকটে না পড়ে এবং কেউ দেশকে যাতে দুর্ভিক্ষের দিকে ঠেলে দেয়ার ষড়যন্ত্র করতে না পারে সেজন্য তিনি সকলকে সতর্ক থাকতে বলেন। তিনি বলেন,সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। ইনশাআল্লাহ, আমরা খাদ্যের চাহিদা পূরণ করব এবং খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করব।’
আরও পড়ুন: উঁচু ভবনে অগ্নি নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন: প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা আরও বলেন, দেশে খাদ্য সংকট থাকবে না কারণ সরকার এ বিষয়ে অসংখ্য কর্মসূচি ও প্রকল্প গ্রহণ করেছে।
গবেষণার গুরুত্বকে তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘গবেষণার কাজগুলোকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া প্রয়োজন কারণ এটি একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া।’
খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে বাংলাদেশী বিজ্ঞানীদের অর্জন তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি বাংলাদেশের বিজ্ঞানীরা বিশ্বের সেরা।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার দেশের আবাদযোগ্য জমি রক্ষার জন্য ভূমি জোনিং ব্যবস্থা চালু করেছে। তিনি বলেন, ‘আমরা অবশ্যই উন্নয়ন করব কিন্তু আবাদি জমি সংরক্ষণ করে।’
আরও পড়ুন: দুর্যোগ মোকাবিলায় বাংলাদেশ বিশ্বের আদর্শ: প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা উল্লেখ করেন, আসন্ন চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সময় দেশ যাতে খাদ্য উৎপাদনে পিছিয়ে না থাকে সেজন্য সরকার বিভিন্ন ধরনের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
তিনি বলেন, আমাদের লক্ষ্য পুষ্টির পাশাপাশি খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। এজন্য আমরা প্রোটিন উৎপাদনে গুরুত্ব দিয়েছি।
গত ১২ বছরে বাংলাদেশের খাদ্য উৎপাদনে উল্লেখযোগ্য সাফল্যের বর্ণনা দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, স্থানীয় চাহিদা পূরণের পর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের জন্য বাংলাদেশ খাদ্য সামগ্রী রপ্তানি করবে।
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, কৃষিমন্ত্রী ড. মুহাম্মদ আবদুর রাজ্জাক, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী এস এম রেজাউল করিম এবং কৃষিমন্ত্রীর সিনিয়র সচিব মো. মেসবাহুল ইসলামও অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে দেশের খাদ্য উৎপাদন সংক্রান্ত একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
আরও পড়ুন: ইউনেস্কো-বঙ্গবন্ধু পুরস্কার: নভেম্বরে প্যারিস যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী
এসময় শেখ হাসিনা বাংলাদেশের কৃষি নিয়ে একটি বইয়ের মোড়ক এবং বিআইআরআরআই বিজ্ঞানীদের উদ্ভাবিত নতুন জাতের ধান ‘বঙ্গবন্ধু ধান ১০০’ দিয়ে নির্মিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি উন্মোচন করেন।
কুমিল্লার ঘটনায় অপরাধীদের খুঁজে বের করার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৃহস্পতিবার কুমিল্লার ঘটনায় অপরাধীদের খুঁজে বের করার আহ্বান জানিয়েছেন। এই ধরনের সাম্প্রদায়িক কর্মকাণ্ডের পুনরাবৃত্তি বন্ধ করতে ঘটনার পেছনে যারা আছে তাদের উপযুক্ত শাস্তি দেয়ার জন্য খুঁজে বের করা হবে বলে জানান তিনি।
কুমিল্লার ঘটনাটি উল্লেখ করে তিনি বলেন, একটি পুর্ণাঙ্গ তদন্ত চলছে। আমরা অনেক তথ্য পাচ্ছি। এই সময়টি প্রযুক্তির যুগ, যারা এই ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে আমরা অবশ্যই তাদের খুঁজে বের করব।
আরও পড়ুন: কুমিল্লার ঘটনায় কয়েকজনকে চিহ্ণিত করা হয়েছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
দুর্গাপূজা উপলক্ষে সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভাচুর্য়ালি যুক্ত হয়ে ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে প্রধানমন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, দোষীদের বিরুদ্ধে অবশ্যই যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে, তারা যে ধর্মেরই হোক না কেন।
তিনি বলেন, দোষীদের খুঁজে বের করতে হবে। আমরা অতীতেও তাই করেছি এবং ভবিষ্যতেও করব। তাদের অবশ্যই উপযুক্ত শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে। আমরা এমন শাস্তি চাই যাতে ভবিষ্যতে কেউ এমন করতে না পারে।
আরও পড়ুন: কুমিল্লার ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে: ওবায়দুল কাদের
ইউনেস্কো-বঙ্গবন্ধু পুরস্কার: নভেম্বরে প্যারিস যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘সৃজনশীল অর্থনীতির জন্য ইউনেস্কো-বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আন্তর্জাতিক পুরস্কার’ বিতরণী অনুষ্ঠানে যোগ দিতে নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে যাচ্ছেন। এর আগে তিনি গ্লাসগোতে জলবায়ু শীর্ষ সম্মেলন কপ২৬-এ অংশ নিবেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন তার সাম্প্রতিক রোমানিয়া ও সার্বিয়া সফর নিয়ে নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলার সময় এই তথ্য জানান।
প্রধানমন্ত্রী পুরস্কারটি হস্তান্তর করবেন কি না জানতে চাইলে ড. মোমেন বলেন, তারা চান প্রধানমন্ত্রী এটি হস্তান্তর করুন। আমরাও চাই প্রধানমন্ত্রী পুরস্কারটি হস্তান্তর করুন।
আরও পড়ুন: উঁচু ভবনে অগ্নি নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন: প্রধানমন্ত্রী
ইউনিসেফ-এর পরিচালনায় পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানটি ১১ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দ্বিবার্ষিক ভিত্তিতে ৫০ হাজার মার্কিন ডলার পুরস্কার দেয়া হবে।
ইউনেস্কোর তথ্য অনুসারে, সৃজনশীল অর্থনীতির জন্য ‘ইউনেস্কো-বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আন্তর্জাতিক পুরস্কার’ যোগাযোগের মাধ্যমে জ্ঞান-ভাগাভাগি, সৃজনশীল উদ্যোক্তা বিকাশে সর্বোত্তম অনুশীলনকে ধারণ ও উদযাপন করবে।
দুর্যোগ মোকাবিলায় বাংলাদেশ বিশ্বের আদর্শ: প্রধানমন্ত্রী
দুর্যোগ মোকাবিলায় বাংলাদেশ বিশ্বে একটি আদর্শ দেশ বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার গণভবন থেকে এক ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘আমরা চাই আমাদের দেশটা এগিয়ে যাক। কাজেই আজ এতটুকুই বলব জাতির পিতা আমাদেরকে যা শিখিয়েছেন সেই পদাংক অনুসরণ করে আমরা উদ্যোগ নিয়েছি।’
ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির (সিপিপি) ৫০ বছর এবং দুর্যোগ হ্রাসের আন্তর্জাতিক দিবস ২০২১ উপলক্ষে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় এই কর্মসূচির আয়োজন করে। এসময় রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তন এবং কক্সবাজারের মুক্তিযুদ্ধ মাঠ থেকে দর্শকরা সরাসরি যুক্ত ছিলেন।
আরও পড়ুন: দ্বিতীয় পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে রাশিয়ার সহায়তা চাইলেন প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট সকলকে সচেতন থাকতে এবং যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলেছেন যাতে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় ‘আদর্শ দেশ’ হিসেবে যে সম্মান বাংলাদেশ অর্জন করেছে তা কোনোভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।
তিনি বলেন, আমরা ২১০০ সালের ডেল্টা পরিকল্পনা করেছি এবং সে অনুয়ায়ী আওয়ামী লীগ সরকার ৮০টি প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ শুরু করেছে।
আরও পড়ুন: দ্বিতীয় পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য জমি খোঁজা হচ্ছে: প্রধানমন্ত্রী
দ্বিতীয় পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য জমি খোঁজা হচ্ছে: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশের মানুষের ক্রমবর্মান বিদ্যুতের চাহিদা পূরণের জন্য দেশের দক্ষিণাঞ্চলে আরেকটি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের জন্য উপযুক্ত জায়গা খোঁজা হচ্ছে।
রবিবার (১০ অক্টোবর) পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার রূপপুরে নির্মাণাধীন দেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের মূল যন্ত্র পারমাণবিক চুল্লিপাত্র (রিঅ্যাক্টর প্রেসার ভেসেল-আরএনপিপি) স্থাপন কাজের উদ্বোধনকালে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে যুক্ত হন।
শেখ হাসিনা বলেন, সরকার রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের কাজ শেষ করার পর আরেকটি বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যদি উপযুক্ত স্থান পাওয়া যায়, তবে আমরা অবশ্যই প্রকল্পের কাজে হাত দেব। আমার ইচ্ছা পদ্মা নদীর অপর পাড়ে অর্থাৎ দক্ষিণাঞ্চলের কোনও জেলায় এটি নির্মাণ করা হোক।’
তিনি বলেন, আমরা ইতোমধ্যে দক্ষিণাঞ্চলে জায়গা খুঁজছি। কিন্তু প্রয়োজনীয় শক্ত-মজবুত জমি পাওয়া কষ্টকর। তবে আমরা বিভিন্ন জায়গায় অনুসন্ধান চালিয়ে যাচ্ছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, যদি আমরা আরেকটি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করতে পারি, তবে দেশে আর আর বিদ্যুতের ঘাটতি থাকবে না।
শেখ হাসিনা বলেন, আমরা বর্তমানে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে আছি, তবে এই শেষ নয়। আগামী ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত দেশের কাতারে নেয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে সরকার।
তিনি বলেন, ২০৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীণতা প্রাপ্তির শতবর্ষ উদযাপিত হবে। ততদিনে অবশ্যই আমাদের নতুন প্রজন্ম আমাদের দেশটাকে আরও সুন্দর, উন্নত, সমৃদ্ধ ও আধুনিক প্রযুক্তি জ্ঞানসম্পন্ন দেশে রূপান্তরিত করবে।
আরও পড়ুন: সুশাসন প্রতিষ্ঠায় কাজ করুন: নবীন সরকারি কর্মকর্তাদের প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার ২১০০ সালের জন্য ডেল্টা পরিকল্পনা প্রণয়ন করেছে। যাতে করে কখনোই আমাদের দেশের উন্নয়নের অগ্রযাত্রা ব্যাহত না হয়। আমরা চাই বাংলাদেশের এই ক্রমবর্ধমান উন্নয়নের অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকুক।
সূত্র অনুযায়ী, ইউনিট-১ এর ভৌত কাঠামোর ভেতরে রিয়্যাক্টর প্রেসার ভেসেল স্থাপনের মাধ্যমে প্রায় সব ধরনের পারমাণবিক যন্ত্রাংশ স্থাপন সম্পন্ন হবে। এর ফলে এই ইউনিটের রিয়্যাক্টর ভবনের ভেতরের কাজ প্রায় শেষ হবে। ২০২৩ সালে প্রথম ইউনিট থেকে জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ সরবরাহ করার লক্ষ্যে কাজ চলছে।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন রোসাটমের মহাপরিচালক অ্যালেক্সি লিখাচেভ। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সচিব জিয়াউল হাসান স্বাগত বক্তব্য দেন।
অনুষ্ঠানে নির্মাণাধীন বিদ্যুৎকেন্দ্রের ওপর একটি ভিডিও চিত্র পরিবেশিত হয়।
পড়ুন: কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ প্রকল্পে ধীরগতি: ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
রূপপুর পারমাণবিক প্রকল্পে চুল্লি থেকে পড়ে ২ শ্রমিক নিহত
সুশাসন প্রতিষ্ঠায় কাজ করুন: নবীন সরকারি কর্মকর্তাদের প্রধানমন্ত্রী
সুশাসন প্রতিষ্ঠায় জনগণের সেবায় কাজ করতে নবীন সরকারি কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি আপনারা সাংবিধানিক দায়িত্বের প্রতি বিশ্বস্ত থেকে জনগণের সেবায় আত্মনিয়োগ করবেন।’
রাজধানীর শাহবাগে বিসিএস প্রশাসন একাডেমির ১১৯ ও ১২০তম আইন ও প্রশাসন প্রশিক্ষণ কোর্সের সমাপনী ও সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রীর তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে যুক্ত হন।
সংবিধানের ৭ম অনুচ্ছেদের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জনগণই দেশের মালিক এবং বাংলাদেশের সংবিধানের ২১ (২) অনুচ্ছেদে অনুযায়ী সরকারি কর্মচারীরা ২৪ ঘণ্টা জনগণের সেবা প্রদানে বাধ্য।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আইনের যথাযথ প্রয়োগের মাধ্যমে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় কাজ করবেন। জনগণের পাশে থাকুন এবং জনগণ যাতে ন্যায়বিচার পায়, একজন মানুষও যেন অনাহারে না ভোগে, গৃহহীন না থাকে, চিকিৎসা ও শিক্ষা থেকে বঞ্চিত না হয় তা নিশ্চিত করুন।’
শেখ হাসিনা বলেন, বিশ্বায়নের যুগে সবার সাথে তাল মিলিয়ে চলতে সরকার দেশের কর্মকর্তাদের উন্নত করতে চায়।
পড়ুন: কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ প্রকল্পে ধীরগতি: ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
তিনি প্রশিক্ষিত কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ কোর্সে অর্জিত জ্ঞানকে দেশের উন্নয়নে কাজে লাগানোর পরামর্শ দেন।
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কে এম আলী আজম এবং বিসিএস প্রশাসনের রেক্টর মোমিনুর রশিদ আমিন বক্তব্য দেন।
প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে ফরহাদ হোসেন যথাক্রমে ১১৯তম এবং ১২০তম প্রশিক্ষণ কোর্সের শীর্ষ স্থান অর্জনকারীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।
অনুষ্ঠানে বিসিএস প্রশিক্ষণ একাডেমির কর্মকাণ্ডের ওপর একটি ভিডিও চিত্র প্রদর্শিত হয়।
পড়ুন: বিএনপি আগামী নির্বাচন বিতর্কিত করার চেষ্টা করছে: প্রধানমন্ত্রী
বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় জিয়াকে আসামি করতে চেয়েছিলাম: শেখ হাসিনা
কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ প্রকল্পে ধীরগতি: ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল প্রকল্প বাস্তবায়নে ধীরগতির জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় ৭১.৩৮ কোটি টাকা অতিরিক্ত ব্যয় সম্বলিত প্রকল্পটির দ্বিতীয় সংশোধনের অনুমোদন দেয়ার সময় তিনি এই নির্দেশ দেন।
মঙ্গলবার একনেক চেয়ারপার্সন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে একনেকের সাপ্তাহিক সভায় এর অনুমোদন দেয়া হয়। সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এবং একনেকের অন্য সদস্যরা এনইসি ভবন থেকে যুক্ত ছিলেন।
পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের বলেন, ‘কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজের কাজ শেষ করার জন্য চূড়ান্ত নোটিশ দেয়া হয়েছিল। নিয়ম অনুযায়ী অনিয়ম ও বিচ্যুতির অভিযোগে দায়ী ব্যক্তিদের শাস্তি দিতে পরিকল্পনা কমিশনকে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন।’
তিনি বলেন, কলেজের কাজে অনিয়মের অভিযোগের পর আইএমইডি তদন্ত শুরু করে এবং শেষে তাদের প্রতিবেদন জমা দেয়।
মান্নান বলেন, ‘তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রী প্রকল্পটি বাস্তবায়নে অনিয়মের সঙ্গে জড়িত সকলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন, এমনকি জড়িতদের মধ্যে কেউ অবসরে গেলেও তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিতে বলেছেন।’
পড়ুন: কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ স্থাপন প্রকল্পে কেন বিলম্ব, জানতে চাইলেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোকে নতুন সময়সীমা অনুযায়ী কাজ শেষ করতে বলেছেন।
এদিকে একনেক সভায় আজ ৬ হাজার ৫৫১ কোটি ২৭ লাখ টাকা ব্যয়ে মোট নয়টি প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘মোট ব্যয়ের মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ৩ হাজার ৭৫২ কোটি ২৯ লাখ টাকা, সংস্থার নিজস্ব তহবিল থেকে ২৬ কোটি ২২ লাখ টাকা এবং বৈদেশিক ঋণ ২ হাজার ৭৮২ কোটি ৭৬ লাখ টাকা।
নয়টি প্রকল্পের মধ্যে চারটি নতুন, আর পাঁচটি সংশোধিত প্রকল্প।
পড়ুন: গ্রামে ৫জি সম্প্রসারণসহ একনেকে ১০ প্রকল্পের অনুমোদন
বিএনপি আগামী নির্বাচন বিতর্কিত করার চেষ্টা করছে: প্রধানমন্ত্রী
বিএনপি আগামী নির্বাচন বিতর্কিত করার চেষ্টা করছে: প্রধানমন্ত্রী
জেতার কোনো সম্ভাবনা না থাকায় বিএনপি আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনিবলেন, ‘তারা জানে নির্বাচনে তাদের জেতার কোনো সম্ভবনা নেই। তাই তাদের চেষ্টা হলো এটাকে বিতর্কিত করা। জনগণের মাঝে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করা এবং যে কোনো উপায়ে তাদের (জনগণের) ক্ষতি করা।’
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশন উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর সাম্প্রতিক যুক্তরাষ্ট্র সফর নিয়ে সোমবার বিকালে গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর জাতিসংঘ সফরের ফলাফল শূন্য: মির্জা ফখরুল
শেখ হাসিনার বিএনপির নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেন, ‘একজন (খালেদা জিয়া) এতিমের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে সাজাপ্রাপ্ত এবং আরেকজন (তারেক রহমান) ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা ও ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলাসহ বিভিন্ন অপরাধে সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি।’
আওয়ামী লীগ সভানেত্রী বলেন, ‘তারা জানে তারা জিততে পারবে না। একটা দল কীভাবে জিতে? এর নেতৃত্ব কোথায়? একজন এতিমের টাকা আত্মসাত করে সাজাপ্রাপ্ত আসামি এবং আরেকজন ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা ও ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে পলাতক। তারা এখনও (দলের) নেতৃত্বে। জনগণ কোন ভরসায় তাদের ভোট দেবে।’
বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া ও তার ছেলে তারেক রহমান নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।
পড়ুন: বাংলাদেশ ‘উন্নয়নের বিস্ময়’: বললেন জাতিসংঘের মহাসচিব
জাতিসংঘের ৭৬তম অধিবেশনের উদ্বোধনী পর্বে প্রধানমন্ত্রী
রাতে দেশে ফিরছেন প্রধানমন্ত্রী
যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন থেকে দেশে আসার পথে ফিনল্যান্ডের রাজধানী হেলসিঙ্কিতে সংক্ষিপ্ত যাত্রা বিরতি শেষে দেশের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এর আগে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের (ইউএনজিএ) ৭৬তম অধিবেশনে যোগদানের জন্য দুই সপ্তাহের সরকারি সফর শেষে স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটন থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম জানান, প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ভিভিআইপি চার্টার্ড ফ্লাইট ফিনল্যান্ডের রাজধানী হেলসিঙ্কি থেকে স্থানীয় সময় সকাল ১০.৫৫ মিনিটে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয়েছে।
শুক্রবার রাত সোয়া ১০টায় বিমানটি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের কথা রয়েছে।
১৭ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের ৭৬তম অধিবেশনে যোগ দিতে প্রধানমন্ত্রী ঢাকা ত্যাগ করেছিলেন। ফিনল্যান্ডে দুই দিনের বিরতির পর তিনি ১৯ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে পৌঁছেছিলেন।
পড়ুন: ওয়াশিংটন থেকে দেশের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী
১৯ থেকে ২৪ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে অবস্থানকালে শেখ হাসিনা জাতিসংঘ সাধারণ বিতর্কে বক্তব্য দেয়ার পাশাপাশি উচ্চ পর্যায়ের অনুষ্ঠানে যোগ দেন এবং সরকার, দেশ ও সংস্থার প্রধানদের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় আলোচনায় অংশ নেন।
তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে জাতিসংঘের বাগানে একটি বেঞ্চ উন্মোচন করেন। পরে, প্রধানমন্ত্রী ২৫ সেপ্টেম্বর ওয়াশিংটন ডিসিতে যান।
ওয়াশিংটনে থাকার সময় শেখ হাসিনা নবনির্মিত ‘বাংলাদেশ হাউস’ উদ্বোধন করেন।
পড়ুন: জাতিসংঘের ৭৬তম অধিবেশনের উদ্বোধনী পর্বে প্রধানমন্ত্রী
জলবায়ুর প্রভাব মোকাবিলায় জোরালো পদক্ষেপ চান প্রধানমন্ত্রী
জাতিসংঘ অধিবেশনে যোগ দিতে ঢাকা ত্যাগ প্রধানমন্ত্রীর
করোনা মহামারি শুরুর পর এই প্রথম বিদেশ সফরে গেলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নিউইয়র্কে জাতিসংঘের ৭৬তম সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিতে দুই সপ্তাহের সরকারি সফরে শুক্রবার ঢাকা ছেড়েছেন প্রধানমন্ত্রী। সফরের শুরুতে তিনি ফিনল্যান্ডে অবস্থান করবেন।
প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ভিভিআইপি বিশেষ ফ্লাইট সকাল ৯টা ১০ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ফিনল্যান্ডের রাজধানী হেলসিঙ্কির উদ্দেশে রওনা হয়েছেন।
বিমানটি স্থানীয় সময় বিকাল ৪টার সময় হেলসিঙ্কি-ভান্তা বিমানবন্দরে অবতরণের কথা রয়েছে।
২০২০ সালের মার্চে কোভিড-১৯ মহামারি প্রাদুর্ভাবের পর এটি প্রধানমন্ত্রীর প্রথম বিদেশ সফর। তিনি বাংলাদেশ সরকারের প্রধান হিসেবে ১৮তম বারের মতো জাতিসংঘ অধিবেশনে যোগ দেবেন এবং ২৪ সেপ্টেম্বর অধিবেশনের সাধারণ বিতর্কে ভাষণ দেবেন।
আরও পড়ুন: জাতিসংঘ অধিবেশনে যোগ দিতে শুক্রবার ঢাকা ছাড়ছেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী ১৯ সেপ্টেম্বর বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ভিভিআইপি ফ্লাইটে বিকাল ৪টায় (হেলসিঙ্কি সময়) হেলসিঙ্কি থেকে নিউইয়র্কের উদ্দেশ্যে রওনা হবেন। ফ্লাইটটি নিউইয়র্কের জন এফ কেনেডি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সন্ধ্যা ৬টায় (স্থানীয় সময়) অবতরণের কথা রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী ১৯-২৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নিউইয়র্কের হোটেল লোটে প্যালেসে অবস্থান করবেন।
২০ সেপ্টেম্বর (সোমবার) নিউইর্য়ক সময় সকাল ৯টায় রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানদের জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক একটি ছোট দলের সঙ্গে বৈঠকে অংশ নেবেন প্রধানমন্ত্রী। বেলা সাড়ে ১১টায় তিনি একটি গাছ লাগাবেন এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে তার সম্মানে জাতিসংঘ সদর দপ্তরের উত্তর লনে ইউএন গার্ডেনে একটি বেঞ্চ উৎসর্গ করবেন।
সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টায় শেখ হাসিনা ইইউ কাউন্সিলের সভাপতি চার্লস মিশেলের সঙ্গে এবং পৌনে ৩টায় বার্বাডোসের প্রধানমন্ত্রী মিয়া আমোর মোটলির সঙ্গে পৃথক বৈঠকে যোগ দেবেন। এছাড়া তিনি বিকাল ৪টায় সাসটেইনবল ডেভেলপমেন্ট সলিউশন নেটওয়ার্ক শীর্ষক একটি ভার্চুয়াল ইভেন্টে যোগ দেবেন।
২১ সেপ্টেম্বর (মঙ্গলবার) প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘ সদর দপ্তরে সাধারণ বিতর্কের উদ্বোধনী অধিবেশনে যোগ দেবেন। বিকালে ডেনমার্কের প্রধানমন্ত্রী মেটে ফ্রেডরিক্সেনের সাথে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন এবং বিকাল ৪টায় ‘যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিলের ব্যবসায়িক গোলটেবিলে অংশ নেবেন।
২২ সেপ্টেম্বর (বুধবার) হাসিনা তিনটি অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। সকাল ৯টায় ডারবান ডিক্লারেশন এবং কর্মসূচী গ্রহণের ২০তম বার্ষিকী, ‘হোয়াইট হাউস গ্লোবাল কোভিড-১ ৯ সামিট এবং রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে বিকাল ৩টায় উচ্চ পর্যায়ের একটি বৈঠকে অংশগ্রহণ করবেন।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় জিয়াকে আসামি করতে চেয়েছিলাম: শেখ হাসিনা
১২ বছরের বেশি বয়সী শিক্ষার্থীদের টিকা দেয়া হবে: প্রধানমন্ত্রী
২৩ সেপ্টেম্বর (বৃহস্পতিবার) বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘের সুইডিশ মিশন আয়োজিত ‘জাতিসংঘের সাধারণ কর্মসূচী: সমতা ও অন্তর্ভুক্তি অর্জনের পদক্ষেপ’ শীর্ষক নেতাদের নেটওয়ার্কের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। তিনি জাতিসংঘ সদর দপ্তরে ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে দশক কর্মসূচির অংশ হিসাবে খাদ্য ব্যবস্থা শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেবেন। দুপুরে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে পর্যায়ক্রমে মালদ্বীপের রাষ্ট্রপতি ইব্রাহিম মোহামেদ সলিহ্, জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তেনিও গুতেরেস এবং ভিয়েতনামের প্রেসিডেন্ট নগুইয়েন জুয়ান ফুকের সঙ্গে বৈঠক করবেন শেখ হাসিনা।
২৪ সেপ্টেম্বর (শুক্রবার) প্রধানমন্ত্রী সকালে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৬তম অধিবেশনে বক্তব্য দেবেন। দুপুরে নেদারল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুটের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন এবং রাতে বাংলাদেশ কমিউনিটি আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন।
২৫ সেপ্টেম্বর (শনিবার) হাসিনা সকাল ৮টায় বিমানের একটি ফ্লাইটে ওয়াশিংটন ডিসির উদ্দেশে নিউইয়র্ক ত্যাগ করবেন। তিনি ২৫ থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ওয়াশিংটন ডিসিতে অবস্থান করবেন।
শেখ হাসিনা ৩০ সেপ্টেম্বর ওয়াশিংটন থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হবেন এবং ফিনল্যান্ডে কিছুক্ষণ বিরতির পর ১ অক্টোবর দেশে ফিরবেন।