প্রধানমন্ত্রীর-কার্যালয়
বিএনপিও জানে জিয়ার লাশ চন্দ্রিমা উদ্যানে নেই: প্রধানমন্ত্রী
সম্প্রতি রাজধানীর চন্দ্রিমা উদ্যানে বিএনপি ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সেখানে জিয়াউর রহমানের লাশ নেই তা খুব ভালোভাবে জানা সত্ত্বেও কেন বিএনপি কর্মীরা বিশৃঙ্খলায় জড়িয়ে পড়ে।
বৃহস্পতিবার (২৬ আগস্ট) জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগ ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ শাখা আয়োজিত এক সভায় প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়া ও তার সরকার গ্রেনেড হামলা করেছিল: প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘বিএনপি চন্দ্রিমা উদ্যানে বিশৃঙ্খলায় লিপ্ত হয়েছে। বিএনপি কি জানে না এখানে জিয়ার কবর বা লাশ নেই, তারা এটা খুব ভালো করেই জানে! যদি তাই হয়, তাহলে তারা নাটক করবে কেন? খালেদা জিয়াও এ বিষয়ে সচেতন।’
১৭ আগস্ট জিয়াউর রহমানের কবর জিয়ারত করার সময় চন্দ্রিমা উদ্যানের সামনে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির কর্মীদের সংঘর্ষ হয়।
আরও পড়ুন: ২১ আগস্ট হামলায় নিহতদের লাশ গুমের চেষ্টা করেছিল খালেদা সরকার: প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা বলেন, খালেদা জিয়া বা তারেক জিয়া কি দাবি করতে পারবেন যে তারা জিয়ার লাশ বাক্সে দেখেছেন (যা চট্টগ্রাম থেকে আনা হয়েছিল) গুলিবিদ্ধ লাশ হিসেবে সহজেই চিনতে পারে। তিনি বলেন, তবে বাক্সে জিয়ার মৃতদেহ না থাকায় কেউ তা দেখেনি।
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, তিনি এইচএম এরশাদের কাছ থেকে শুনেছেন যে বাক্সে একটি যুদ্ধের পোশাক রয়েছে। বিএনপির লোকেরা কি জানে না যে রাষ্ট্রপতি যুদ্ধের পোশাক পরতে পারেন না? তারপরও তারা সেখানে সংঘর্ষে জড়ানোর অভ্যাস ত্যাগ করেনি।
আরও পড়ুন: সরকারি কর্মচারীরা দুর্নীতি করলে কঠোর শাস্তি: প্রধানমন্ত্রী
কার্যকর অ্যান্টিবায়োটিক নিশ্চিতে প্রযুক্তি বিনিময়ের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
সাশ্রয়ী মূল্যে কার্যকর অ্যান্টিবায়োটিক এবং অন্যান্য চিকিৎসা সুবিধায় ন্যায়সঙ্গত প্রবেশাধিকার নিশ্চিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্ব নেতাদের প্রতি প্রযুক্তি বিনিময় ও অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেছেন, ‘আসুন আমরা এই সময়ে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স (এএমআর) প্রতিরোধে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে বিনিয়োগ করি।’
মঙ্গলবার অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স (এএমআর) বিষয়ক গ্লোবাল লিডারস গ্রুপের (জিএলজি) দ্বিতীয় সভায় আগে থেকে ধারণ করা ভাষণে প্রধানমন্ত্রী এই আহ্বান জানান।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘এএমআর চ্যালেঞ্জে মোকাবিলায় বিভিন্ন সেক্টরে ধারাবাহিক পদক্ষেপ প্রয়োজন। এই বিষয়ে কর্মপরিকল্পনা চূড়ান্ত হয়েছে দেখে আমি সন্তুষ্ট। ওয়ান হেলথ প্রস্তাবসহ বহুখাতের ন্যাশনাল অ্যাকশন প্ল্যানে অর্থায়ন ও বাস্তবায়নে জন্য জিএলজির অগ্রাধিকারকে সমর্থন দিতে পেরেও আমি আনন্দিত।’
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিলেই স্কুল খুলতে প্রস্তুত আছি: গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা বিভিন্ন নেটওয়ার্কের মাধ্যমে জিএলজির কাজের পরিধি বাড়ানোর জন্য আমাদের ভূমিকা পালন করব।’
এসময় প্রধানমন্ত্রী জাতীয় কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন, গবেষণা ও উন্নয়ন এবং নতুন উদ্ভাবনে ন্যায়সঙ্গত প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করার জন্য পর্যাপ্ত তহবিল প্রাপ্তি নিশ্চিত করার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব দেন।
নিজের দেশ সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স কন্টেন্টমেন্টের ওপর বাংলাদেশ একটি ছয় বছরের (২০১৭-২২) জাতীয় কৌশলগত পরিকল্পনা এবং জাতীয় কর্ম পরিকল্পনা তৈরি করেছে। বাংলাদেশে এএমআর রেসপন্স এলায়েন্স গঠন করা হয়েছে।
আর পড়ুন: নিউমোনিয়া আক্রান্ত শিশুদের অ্যান্টিবায়োটিক কাজ করছে না: আইসিডিডিআর,বি
২১ আগস্ট হামলায় নিহতদের লাশ গুমের চেষ্টা করেছিল খালেদা সরকার: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মঙ্গলবার অভিযোগ করে বলেছেন, ‘তৎকালীন খালেদা জিয়া সরকার ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় নিহতদের লাশ তাদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করতে চায়নি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তারা শুধু হত্যার চেষ্টাই করেনি বরং হত্যার পর লাশের সাথে জঘন্য কার্যকলাপও করেছে।’
রাজধানীর আগারগাঁওয়ের জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ (এনইসি) অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় সূচনা বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়া ও তার সরকার গ্রেনেড হামলা করেছিল: প্রধানমন্ত্রী
বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি এবং প্রয়াত রাষ্ট্রপতি এম জিল্লুর রহমানের স্ত্রী আইভি রহমানের ১৭ তম মৃত্যুবার্ষিকী প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘চিকিৎসার জন্য তাকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। আমি জানি না কখন তিনি (আইভি) মারা গেছেন। খালেদা জিয়া তাকে দেখতে গিয়েছিলেন। তাঁর চলে যাওয়ার পর আইভি রহমানকে মৃত ঘোষণা করা হয়। ‘
শেখ হাসিনা বলেন,‘হাসপাতালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া থাকাকালীন আইভি রহমানের তিন সন্তান-পাপন (বর্তমান বিসিবি সভাপতি), তানিয়া এবং ময়নাকে একটি কক্ষে ৩ থেকে ৪ ঘণ্টা তালাবন্ধ করে রাখা হয়েছিল ।’
আরও পড়ুন: কারখানার শ্রমিক ও তাদের পরিবারকে দ্রুত টিকাদানের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
শেখ হাসিনা শুরু থেকেই বলেছেন, তিনি ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় নিহত ও আহতদের পরিবারকে সাহায্য করার চেষ্টা করছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্ট থেকে তাদের সাহায্য করে আসছি।’
উল্লেখ্য বাংলাদেশ মহিলা সমিতির সাবেক সভাপতি আইভি রহমান ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সমাবেশে ভয়াবহ গ্রেনেড হামলার সময় গুরুতর আহত হন এবং ২৪ আগস্ট মারা যান।
আরও পড়ুন: সরকারি কর্মচারীরা দুর্নীতি করলে কঠোর শাস্তি: প্রধানমন্ত্রী
কারখানার শ্রমিক ও তাদের পরিবারকে দ্রুত টিকাদানের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
কারখানায় কর্মরত শ্রমিক এবং তাদের পরিবারকে দ্রুত কোভিড-১৯ টিকাদানের আওতায় আনতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে একটি পৃথক কর্মসূচি প্রণয়নের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সোমবার ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে সভাপতিত্বকালে প্রধানমন্ত্রী এই নির্দেশনা দেন বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।
আরও পড়ুনঃ টিকা বিক্রিতে জড়িত থাকলে ব্যবস্থা
এসময় প্রধানমন্ত্রী দুটি টিকার ডোজের মধ্যে বিদ্যমান দুই মাসের ব্যবধানকে কমিয়ে আনা সম্ভব কি না সে ব্যাপারেও বিশেষ নির্দেশনা দিয়েছেন।
আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘আজ কারখানা শ্রমিকদের নিয়ে একটি বিশেষ আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। যেহেতু স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় স্বাক্ষরিত একটি চুক্তি অনুসারে বাংলাদেশ সিনোফার্ম থেকে ছয় কোটি ডোজ ভ্যাকসিন পাবে, তাই প্রধানমন্ত্রী তাদের একটি পৃথক কর্মসূচির আওতায় এনে শ্রমিকদের দ্রুত টিকা দেয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন।
আরও পড়ুনঃ দেশে পৌঁছেছে অ্যাস্ট্রাজেনেকার আরও প্রায় ৮ লাখ টিকা
এছাড়া, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, তিনি নিজেই বিষয়টি তদারকি করবেন।
আনোয়ারুল ইসলাম আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শুধু শ্রমিকদেরই নয়, তাদের পরিবারের সদস্যদেরও টিকা দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
আরও পড়ুনঃ বিদেশগামী শিক্ষার্থীদের টিকার আবেদনের সময় বাড়ল
শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলা: পলাতক আসামি ঢাকায় গ্রেপ্তার
২০০২ সালে সাতক্ষীরায় তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলায় ১০ বছরের কারাদণ্ড পাওয়া এক পলাতক আসামি গ্রেপ্তার হয়েছে। শুক্রবার রাজধানীর হাজারীবাগ এলাকা থেকে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখা আসামি আরিফুর রহমান রঞ্জুকে আটক করে।
২০০২ সালের ৩০ আগস্ট সাতক্ষীরার কলারোয়ায় হামলা চালানোর জন্য ৫০ জনের একটি দলের নেতৃত্ব দেয়ার কথা স্বীকার করেছেন সাবেক ছাত্রদল নেতা রঞ্জু। কলারোয়ায় একটি সভায় যোগ দিয়ে ঢাকায় ফিরছিলেন শেখ হাসিনা।
বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা মামলায় খুলনার একটি আদালত রঞ্জুসহ ৫০ জনের বিচার করেন।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলা: দণ্ডিত ৭ আসামির জামিন স্থগিতই থাকছে
গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) অতিরিক্ত কমিশনার একেএম হাফিজ আক্তার শনিবার ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে সাংবাদিকদের বলেন, রঞ্জু ১৯৯৩ সালে কলারোয়া কলেজে ছাত্র রাজনীতি শুরু করেন। তিনি কলেজে ছাত্রদলের নেতৃত্ব দিতেন।
হাফিজ আক্তার বলেন, তদন্তের পর ৫০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয়া হয়। ৩ ফেব্রুয়ারি আদালত রঞ্জুকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেন। রঞ্জু তখন থেকেই পলাতক ছিলেন।
অতিরিক্ত কমিশনার আরও জানান, আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য রঞ্জুকে শনিবার সাতক্ষীরার আদালতে তোলা হবে।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনার গাড়ি বহরে হামলা: কলারোয়ায় মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ পুনরায় শুরু
খালেদা জিয়া ও তার সরকার গ্রেনেড হামলা করেছিল: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিএনপি-জামায়াত সরকারের সরাসরি পৃষ্ঠপোষকতা ছাড়া ২০০৪ সালের ২১ আগস্টের মতো হামলা চালানো সম্ভব ছিল না। বর্বর সেই হত্যাকাণ্ডের কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া এবং তার সরকার গ্রেনেড হামলা করেছিল, কারণ হত্যাকাণ্ড তাদের অভ্যাস।
শনিবার ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। তিনি গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।
আরও পড়ুনঃ সরকারি কর্মচারীরা দুর্নীতি করলে কঠোর শাস্তি: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তারা (বিএনপি-জামায়াত সরকার) ভেবেছিল গ্রেনেড হামলায় আমার মৃত্যু হয়েছে, কিন্তু যখন তারা জানতে পারে যে আমি মারা যাইনি তখন তারা চারজন অপরাধীকে দেশ ছেড়ে পালানোর সুযোগ দিয়েছিল।
তিনি বলেন, তৎকালীন বিএনপি-জামায়াত সরকার এই ধরনের হামলা চালানোর জন্য সন্ত্রাসী ও জঙ্গিদের একত্র করেছিল এবং তাদের বিদেশে পালানোর জন্য নিরাপদ ব্যবস্থা করে দিয়েছিল।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘কেউ স্বপ্নেও সাহস করেনি যে দিনের আলোতে সমাবেশে গ্রেনেড হামলা করা হবে।’
আরও পড়ুনঃ উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখুন: সচিবদের প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যাকারী ফারুক ও রশিদ ওই অপরাধীদের মধ্যে ছিল এবং অন্য দুজন জঙ্গি তাজুল এবং একজন কারারক্ষী।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, পুলিশ ভুক্তভোগীদের উদ্ধারের পরিবর্তে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের ওপর টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ এবং লাঠিচার্জ করেছিল।
আরও পড়ুনঃ বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়াই মূল লক্ষ্য: প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা বলেন, এমনকি বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত চিকিৎসকরাও আহত আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সেবা দেননি এবং কোনো রোগীকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি।
সরকারি কর্মচারীরা দুর্নীতি করলে কঠোর শাস্তি: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত থাকলে সরকারি কর্মচারীদের কঠোর শাস্তির পেতে হবে। তিনি বলেন, যেহেতু আমরা বিভিন্ন সুযোগ -সুবিধা দিচ্ছি, আমরা কোনো দুর্নীতি সহ্য করব না।
বুধবার রাজধানীর জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ-এনইসির সম্মেলন কক্ষে সচিবদের সঙ্গে এক সভায় সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, সরকার একটি দক্ষ, সেবা-ভিত্তিক ও জবাবদিহিমূলক প্রশাসন গড়ে তুলতে চায়, যা দেশের উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করবে। এটা অনেক বেশি কার্যকর হবে। কারণ আমরা দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে চাই।
আরও পড়ুন: উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখুন: সচিবদের প্রধানমন্ত্রী
দুর্নীতিকে একটি রোগ হিসেবে অভিহিত করে শেখ হাসিনা এই বিপদ থেকে মুক্তি পাওয়ার ওপর জোর দেন। তিনি সচিবদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনাদের এর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে, যখনই আপনারা কাউকে দুর্নীতিতে লিপ্ত হতে দেখবেন, তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নিবেন। যে কোনো ভালো কাজের জন্য অবশ্যই পুরস্কার আছে। কিন্তু দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত থাকার জন্য অবশ্যই শাস্তি পেতে হবে।
করোনা ভাইরাসের টিকা সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার দেশে টিকা উৎপাদনের পদক্ষেপ নিয়েছে। তাছাড়া, আমরা যতটুকু টিকা প্রয়োজন তা সংগ্রহ করব। এ ব্যাপারেও আমরা পদক্ষেপ নিয়েছি।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়াই মূল লক্ষ্য: প্রধানমন্ত্রী
উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখুন: সচিবদের প্রধানমন্ত্রী
দেশের বর্তমান উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে সচিবদের কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে ভবিষ্যতেও যেন এগিয়ে যেতে পারে সেইভাবেই আমাদের কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে হবে।’
বুধবার এনইসির সম্মেলন কক্ষে সচিব সভায় প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে তিনি বৈঠকে যোগ দেন।
তিনি বলেন, আগামী দিনে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য আমরা ভিত্তিটা তৈরি করেছি।
ডেল্টা প্ল্যান পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ভবিষ্যতে আমাদের আরও অনেক উন্নত হতে হবে, আমরা সেই পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি।
উন্নয়ন পরিকল্পনা যথাযথ বাস্তবায়নে তিনি সচিবদের কাজ করার নির্দেশ দেন।
শেখ হাসিনা বলেন, সরকারের প্রধান কাজ হচ্ছে তৃণমূলের মানুষকে উন্নত জীবন দেয়া।
তিনি বলেন, মানুষ যাতে দরিদ্র্য থেকে মুক্তি পায়, উন্নত জীবন, খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, চিকিৎসা এবং শিক্ষাসহ সকল মৌলিক অধিকার লাভের সুযোগ পেতে পারে সে লক্ষেই সরকার কাজ করছে।
শেখ হাসিনা বলেন, সবাইকে আন্তরিকতার সাথে কাজ করতে হবে যাতে লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতা ব্যর্থ না হয়।
তিনি বলেন, আমরা বাংলাদেশকে একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে এগিয়ে নিয়ে যাব কারণ আমরা ইতোমধ্যে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছি।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়াই মূল লক্ষ্য: প্রধানমন্ত্রী
বঙ্গবন্ধু হত্যার ষড়যন্ত্রকারীদের খুঁজে বের করার সংকল্প প্রধানমন্ত্রীর
গ্রামে ৫জি সম্প্রসারণসহ একনেকে ১০ প্রকল্পের অনুমোদন
বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়াই মূল লক্ষ্য: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মঙ্গলবার বলেছেন, তার প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে একটি সুখী ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলা এবং ১৫ আগস্টের ট্র্যাজেডিকে শক্তির উৎসে রূপান্তরিত করে জনগণের উন্নতি করা।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ হবে আমার বাবার স্বপ্নের মতো ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ সোনার বাংলা। ইনশাআল্লাহ, সেই স্বপ্ন বাস্তবায়িত হবে।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের ৪৬ তম শাহাদতবার্ষিকী এবং জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে একটি অনুষ্ঠানে পূর্বে রেকর্ড করা ভাষণে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। বঙ্গবন্ধুর শততম জন্মবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটি এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান এবং যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ।
বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ কন্যা শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশকে সোনার বাংলায় পরিণত করার স্বপ্ন পূরণে তিনি তাঁর বাবার আদর্শ অনুসরণ করছেন। তিনি (বঙ্গবন্ধু) এদেশের মানুষের জন্য তাঁর রক্ত দিয়েছেন এবং আমাদের সবাইকে তাঁর রক্তের কাছে ঋণী করে গেছেন। আমাদের রক্তের এই ঋণ শোধ করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, জাতির পিতার আত্মত্যাগ বৃথা যাবে না। দেশের মানুষের জীবনযাত্রার উন্নতি করাই তাঁর একমাত্র লক্ষ্য। কেউ দারিদ্র্যের শিকার হবে না এবং কেউ ভূমিহীন থাকবে না।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধু হত্যার ষড়যন্ত্রকারীদের খুঁজে বের করার সংকল্প প্রধানমন্ত্রীর
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার জনগণের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা সুবিধা নিশ্চিত করেছে এবং শিক্ষার আলো প্রতিটি ঘরে পৌঁছেছে। বাংলাদেশ সারা বিশ্বের কাছে উন্নয়নের বিস্ময়।
বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সদস্যদের নির্মম হত্যাকাণ্ডের কথা বলতে গিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ১৫ আগস্ট বাঙালি জাতির জন্য সবকিছু হারানোর দিন।
তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, যারা দেশের স্বাধীনতা এবং বাঙালির বিজয় চায়নি তারা জাতির পিতাকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। কিছু লোক বিশ্বাসঘাতক এবং ভণ্ড ছিল। এটি আমাদের জন্য সবচেয়ে দুর্ভাগ্যজনক।
আরও পড়ুন: ১৫ আগস্ট: শোক দিবসে জাতির পিতাকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করা হবে
বিএনপি নেতৃত্ব সংকটে ভুগছে: প্রধানমন্ত্রী
বঙ্গবন্ধু হত্যার ষড়যন্ত্রকারীদের খুঁজে বের করার সংকল্প প্রধানমন্ত্রীর
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডের মূল ষড়যন্ত্রকারীদের খুঁজে বের করে অদূর ভবিষ্যতে বিচারের সম্মুখীন করার সংকল্প ব্যক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘প্রথমে হত্যাকারীদের বিচার করা খুবই জরুরি ছিল, আমরা সেটা করেছি। এই হত্যাকাণ্ডের পেছনে কারা জড়িত ছিল সেটাও একদিন বেরিয়ে আসবে। সেই দিনও বেশি দূরে নয়।’
সোমবার (১৬ আগস্ট) জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আয়োজিত স্মরণ সভায় সভাপতির ভাষণে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মূল অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি অংশগ্রহণ করেন।
তিনি বলেন, যারা নৃশংস হত্যাকাণ্ডে অংশ নিয়েছিল এবং যারা খুনিদের পাশে ছিল বা যারা এর জন্য ক্ষেত্র প্রস্তুত করেছিল তারা সবাই সমানভাবে দোষী।
নিষ্ঠুরতম হত্যাকাণ্ডের মূল ষড়যন্ত্রকারীদের খুঁজে বের করার জন্য একটি কমিশনের দাবির বিষয়ে শেখ হাসিনা বলেন, সেদিনের সংবাদপত্রগুলো পড়লেই বিষয়গুলো সবার কাছে খুব স্পষ্ট হবে।
বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ কন্যা বলেন, জাতির পিতা ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি দেশে ফেরেন এবং যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ পুনর্গঠনে তাকে সময় না দিয়ে একই বছর তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু হয়।
তিনি বলেন, ‘একটি যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশকে পুনর্গঠনে করতে অনেক বছর লেগে যায়, কিন্তু মাত্র এক বছরেই তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু হয়।’
আরও পড়ুন: গ্রামে ৫জি সম্প্রসারণসহ একনেকে ১০ প্রকল্পের অনুমোদন
বাবা-মা এবং ভাইদের কী অপরাধ ছিল: প্রধানমন্ত্রী
রাষ্ট্রপতির ছেলে হয়েও কামাল সাদাসিধে জীবন-যাপন করত: হাসিনা