%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%AA%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%B0-%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A7%9F
সুশাসন নিশ্চিত করতে আইনজীবীরা বড় ভূমিকা রাখতে পারেন: রাষ্ট্রপতি
দেশে সুশাসন নিশ্চিত করতে আইনজীবীদের তাদের দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন।
বুধবার পাবনা জেলা বারের আইনজীবীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ‘সরকার দেশে সুশাসন নিশ্চিত করতে চায়... এ ক্ষেত্রে আইনজীবীদের তাদের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, বর্তমান সরকার আইনের শাসনে বিশ্বাসী, তাই দেশের বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা হয়েছে।
সাবেক বিচারপতি ও আইনজীবী সাহাবুদ্দিন বলেন, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নির্ভর করে বিচারক ও আইনজীবীদের সহযোগিতার ওপর।
তিনি বলেন, আইনজীবী ও বিচারকদের মধ্যে সুসম্পর্ক থাকলে আইনের শাসন নিশ্চিত হয়।
আইনজীবীদের উদ্দেশে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘এখানে বিশুদ্ধতা সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন। আইনজীবীরা সেই বেঞ্চকে সহায়তা করতে পারে না যেখানে দুর্নীতি সমাজকে কলঙ্কিত করে।’
আইনজীবী শুধু বিচারকদের তাদের আইনি কাজে সহায়তা করেন না, মাঝে মাঝে তাদের পথপ্রদর্শনও করেন, তিনি উল্লেখ করেন।
রাষ্ট্রপতি বলেন, সাধারণ মানুষের কল্যাণে আইন প্রবর্তন করা হয়।
তিনি বলেন, আইনকে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করা, আইনের সুস্পষ্ট ও সঠিক ব্যাখ্যা দেওয়া আইনজীবীদের কাজ।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পাবনা জেলা বারের সভাপতি অ্যাডভোকেট আখতারুজ্জামান।
আরও পড়ুন: জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী বাংলাদেশ গড়তে হবে: রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন
এর আগে রাষ্ট্রপতি পাবনা জেলা ও দায়রা জজ আদালত প্রাঙ্গণে ‘বঙ্গবন্ধু কর্নারে’ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতির ফলক উন্মোচন করেন।
তিনি সেখানে জেলা ও দায়রা জজ আদালত জাদুঘর পরিদর্শন করেন। এর আগে রাষ্ট্রপতি আদালত প্রাঙ্গণে পৌঁছালে জেলা ও দায়রা জজ বেগম শামীম আহমেদের নেতৃত্বে সিনিয়র বিচারপতিরা তাকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান।
রাষ্ট্রপতি ‘মুক্তিযোদ্ধা সাহাবুদ্দিন চুপ্পু বিনোদন পার্ক’ পরিদর্শন করেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে গণতন্ত্র টিকিয়ে রাখতে দেশি-বিদেশি অপশক্তিকে প্রতিহত করুন: রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন
বাংলাদেশে গণতন্ত্র টিকিয়ে রাখতে দেশি-বিদেশি অপশক্তিকে প্রতিহত করুন: রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন
গণতন্ত্র ও উন্নয়নের পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিকারী দেশ-বিদেশের অপশক্তিকে প্রতিহত করার জন্য দেশের প্রতিটি নাগরিকের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন।
দেশের রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে প্রথমবারের মতো তার নিজ জেলা পাবনায় চারদিনের সফরের তৃতীয় দিনে বুধবার সকালে 'পাবনা ডায়াবেটিক অ্যাসোসিয়েশন' পরিদর্শন শেষে মতবিনিময়কালে তিনি এ আহ্বান জানান।
চলতি বছরের শেষ বা জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনকে ঘিরে সব ধরনের ষড়যন্ত্র ও নৈরাজ্যকে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করার আহ্বানও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী বাংলাদেশ গড়তে হবে: রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন
জনগণই সকল ক্ষমতার উৎস উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘বাংলাদেশের অগ্রগতির পথে বাধা সৃষ্টিকারী সকল অপশক্তিকে আমরা প্রতিহত করব এবং তাদের মাথা উঁচু করার কোনো সুযোগ দেবো না।’
তবেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে উচ্চ প্রত্যাশা নিয়ে অর্জিত স্বাধীনতা অর্জিত বাংলাদেশ গড়তে কোনো বাধা থাকবে না, বলেন এই মুক্তিযোদ্ধা।
নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আইন অনুযায়ী একটি স্বাধীন নির্বাচন কমিশনের অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে।
রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘বর্তমানে অনির্বাচিত সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনা নেই। সংবিধান অনুযায়ী জাতীয় নির্বাচন হবে।’
রাষ্ট্রপতি সব রাজনৈতিক দলকে আলোচনা ও সমঝোতার মাধ্যমে নিজেদের দ্বন্দ্ব নিরসনে নির্বাচনে অংশগ্রহণের অনুরোধ জানান।
সাহাবুদ্দিন বলেন, ‘বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের শিখরে রয়েছে। সরকার তার ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছে এবং জনগণের অবস্থার উন্নতি করেছে বলে বাংলাদেশ আজ গর্বিতভাবে জাতিসত্তায় মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে।’
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশে চলমান গণতান্ত্রিক উন্নয়ন ও গণতন্ত্র বজায় রাখতে হবে।
এর আগে স্থানীয় সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক প্রিন্স ও সমিতির সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা বেবি ইসলাম ডায়াবেটিক সোসাইটিতে পৌঁছালে রাষ্ট্রপতিকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান।
এছাড়া তিনি পাবনা স্বাস্থ্যসেবা হাসপাতালের আওতাধীন ডায়াবেটিক সমিতির কার্যালয় পরিদর্শন করেন এবং সেখানে কর্মকর্তা ও চিকিৎসকদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন।
আরও পড়ুন: ৩ দিনের সফরে পাবনা যাচ্ছেন রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন
জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী বাংলাদেশ গড়তে হবে: রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন
রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন বলেছেন, জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী সমাজ গড়তে হবে। মঙ্গলবার পাবনা প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি দেশের সর্বোচ্চ পদে দায়িত্ব পালনে দলীয় অঙ্গীকার ও মতাদর্শ থেকে স্বাধীনভাবে গণমাধ্যমের সহযোগিতা কামনা করেন।
পাবনা প্রেসক্লাবের একজন আজীবন সদস্য হিসেবে রাষ্ট্রপতি তার রাজনৈতিক জীবন, ছাত্ররাজনীতি এবং অধুনালুপ্ত দৈনিক বাংলার বাণী থেকে শুরু হওয়া তার সাংবাদিকতা জীবনের কথা বলেন।
মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন সত্তরের দশকের ছাত্র রাজনীতিতে তার দিনগুলোর স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে অনেক মেধাবী সাংবাদিক ও বিভিন্ন বামপন্থী সংগঠনের নেতাদের স্মরণ করেন।
তিনি বলেন, আমি অনেক মতবাদ দেখেছি কিন্তু শেখ মুজিব বা মুজিববাদের আদর্শে আস্থা রেখে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছি।
তখন কোনো মতবাদ কাজে লাগেনি বলে জানান এই বীর মুক্তিযোদ্ধা।
আরও পড়ুন: বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষার্থীদের জন্য কর্মমুখী শিক্ষা বাড়াতে হবে: রাষ্ট্রপতি
তিনি বলেন, ‘শুধুমাত্র জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের চিন্তাধারা পুরোপুরি কাজ করেছিল। তার নেতৃত্বে আমরা মুক্তিযুদ্ধে গিয়ে দেশ স্বাধীন করেছি।’
রাষ্ট্রপতি তার সাংবাদিক জীবনের নানা স্মৃতি স্মরণ করে বলেন, এই প্রেসক্লাবে অনেক উজ্জ্বল দিন কাটিয়েছি।
তিনি সাংবাদিকদের জানান, বিভিন্ন সময়ে জনগণের প্রয়োজনে তিনি পাশে থেকেছেন এবং কোনো উপহার বা ঘুষ ছাড়াই ৭০-৭৫ জনকে চাকরি দিয়েছেন।
সাহাবুদ্দিন বলেন, আমি সবসময় ভোগের রাজনীতির পরিবর্তে ত্যাগের রাজনীতি করেছি।
গত ২৪ এপ্রিল দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নেওয়ার পর এটিই তার নিজ শহর পাবনায় প্রথম সফর।
এর আগে সভাপতি পাবনা প্রেসক্লাবে পৌঁছালে সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ তাকে ফুলের তোড়া দিয়ে স্বাগত জানান।
পাবনা প্রেসক্লাবের সভাপতি এবিএম ফজলুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মাছরাঙা টেলিভিশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও পাবনা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি অঞ্জন চৌধুরী পিন্টু, প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ শিবজিৎ নাগ, প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি রবিউল ইসলাম রবি ও সাধারণ সম্পাদক সৈকত আফরোজ আসাদ প্রমুখ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।
আরও পড়ুন: জনগণের অর্থের যথাযথ ব্যয় নিশ্চিত করুন: রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন
সবার জন্য ভালো কিছু করুন, বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের নেতাদের উদ্দেশে রাষ্ট্রপতি
বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে নৌবাহিনী প্রধানের সাক্ষাৎ
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন নৌবাহিনী প্রধান এডমিরাল এম শাহীন ইকবাল।
বৃহস্পতিবার দুপুরে বঙ্গভবনে সাক্ষাৎকালে নৌবাহিনী প্রধান নৌবাহিনী্র সার্বিক কর্মকাণ্ড সম্পর্কে রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেন।
বাংলাদেশের সামুদ্রিক এলাকার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নৌবাহিনীর গৃহীত নানা পদক্ষেপ তুলে ধরেন তিনি।
সামুদ্রিক এলাকায় সুনীল অর্থনীতির সম্ভাবনা খুবই উজ্জ্বল উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে এ সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে সামুদ্রিক এলাকার নিরাপত্তা নিশ্চিতের কোনো বিকল্প নেই।
রাষ্ট্রপতি বলেন দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার পাশাপাশি নৌবাহিনীকে সুনীল অর্থনীতির সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে নিরলস প্রয়াস চালাতে হবে।
রাষ্ট্রপতি আশা করেন আগামীতে নৌবাহিনী দেশ ও জনগণের স্বার্থে দক্ষতা ও আন্তরিকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করবে।
সাক্ষাৎকালে নৌবাহিনী প্রধান দায়িত্ব পালনে রাষ্ট্রপতির দিকনির্দেশনা ও সহযোগিতা কামনা করেন।
রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব সম্পদ বড়ুয়া, প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন এবং সচিব সংযুক্ত মো. ওয়াহিদুল ইসলাম খান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
শিগগিরই থিম্পু-ঢাকা জলবিদ্যুৎ সহযোগিতা চুক্তি সই: ভুটানের রাষ্ট্রদূত
ভুটান এবং বাংলাদেশ দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে জলবিদ্যুতে সহযোগিতার বিষয়ে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সইয়ের কাছাকাছি রয়েছে।
মঙ্গলবার বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে এ কথা বলেন ভুটানের রাষ্ট্রদূত রিনচেন কেনসি।
আরও পড়ুন: আগামী মাসে পিটিএ সই করবে ঢাকা-থিম্পু: ভুটানের রাষ্ট্রদূত
বৈঠক শেষে রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদীন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন বলেন, জলবিদ্যুৎ খাতে সহযোগিতার বিষয়ে একটি দ্বিপক্ষীয় সমঝোতা স্মারক সইয়ের ফলে দুই দেশের সম্পর্ক আরও মজবুত হবে।
রাষ্ট্রপতি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে ভুটানের জনগণের অটল সমর্থনের কথা স্মরণ করেন।
তিনি বলেন, ঢাকা ভুটানের সঙ্গে সম্পর্ককে বিশেষ গুরুত্ব দেয়। কারণ আমাদের মুক্তিযুদ্ধে চূড়ান্ত বিজয়ের আগেই প্রথম দেশ হিসেবে ১৯৭১ সালেন ৬ ডিসেম্বর ভুটান বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়।
তিনি বলেন, দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে চমৎকার সম্পর্ক আগামী দিনে আরও নতুন উচ্চতায় উন্নীত হবে।
এছাড়া সমগ্র অঞ্চলের সুবিধার জন্য বিদ্যমান সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে দুই দেশ বিভিন্ন আঞ্চলিক ও বহুপক্ষীয় ফোরামে সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে।
তিনি সম্ভাবনাগুলি অন্বেষণ করতে দুই দেশের মধ্যে সংযোগ বাড়ানোর ওপরও জোর দেন।
ভুটান বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদার উল্লেখ করে তিনি বলেন, হিমালয় রাজ্যের বাজারে পোশাকসহ অনেক বাংলাদেশি পণ্য প্রদর্শন করা হয়।
এছাড়া বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রাষ্ট্রপতির সংশ্লিষ্ট সচিবরা।
আরও পড়ুন: সৌদি সহায়তায় ৮ বিভাগে নির্মিত হবে আট ‘আইকনিক মসজিদ’: প্রধানমন্ত্রী
১৫ দিনের বিদেশ সফর শেষ করে দেশের উদ্দেশে লন্ডন ত্যাগ করেছেন প্রধানমন্ত্রী
বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষার্থীদের জন্য কর্মমুখী শিক্ষা বাড়াতে হবে: রাষ্ট্রপতি
শিক্ষার্থীদের কর্মসংস্থানের জন্য কর্মমুখী শিক্ষার বিষয়ে মনোযোগ বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন।
তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে কর্মমুখী শিক্ষা বাড়াতে হবে, যাতে শিক্ষার্থীরা ডিগ্রি অর্জনের সঙ্গে সঙ্গে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে পারে।
সোমবার জাতীয় কবি নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সৌমিত্র শেখর এবং ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য সৈয়দ মাহফুজুল আজিজ বঙ্গভবনে তার সঙ্গে পৃথকভাবে সাক্ষাৎকালে তিনি এ কথা বলেন।
রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান।
বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে উদ্ভাবনী কার্যক্রম বাড়ানোর আহ্বান জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, উদ্ভাবন যেন দেশের জন্য টেকসই হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
আরও পড়ুন: জনগণের অর্থের যথাযথ ব্যয় নিশ্চিত করুন: রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন
এসময় ভিসি সৌমিত্র শেখর বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও উন্নয়ন কর্মকাণ্ড সম্পর্কে রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেন।
জনগণের অর্থের যথাযথ ব্যয় নিশ্চিত করুন: রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন
রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন জনগণের অর্থ সঠিকভাবে ব্যয় করা নিশ্চিত করার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছেন।
রবিবার রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদীন জানান, বঙ্গভবনে বাংলাদেশের কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল (সিএজি) মোহাম্মদ মুসলিম চৌধুরী বার্ষিক নিরীক্ষা ও হিসাব প্রতিবেদন উপস্থাপনকালে রাষ্ট্রপতি এ কথা বলেন।
সাহাবুদ্দিন বলেন, আর্থিক খাতে শৃঙ্খলা নিশ্চিত করতে অডিটের গুরুত্ব অপরিসীম।
এছাড়া অডিট আপত্তি নিরসনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আরও তৎপর হওয়ার নির্দেশ দেন রাষ্ট্রপতি।
সিএজি রিপোর্টের বিভিন্ন দিক সম্পর্কে রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেন।
তিনি রাষ্ট্রপতির কাছে ৪৭টি অডিট ও অ্যাকাউন্টিং রিপোর্ট জমা দেন।
রাষ্ট্রপতির দপ্তর সম্পাদক সম্পদ বড়ুয়া, সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস এম সালাহ উদ্দিন ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: সবার জন্য ভালো কিছু করুন, বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের নেতাদের উদ্দেশে রাষ্ট্রপতি
বঙ্গভবনের ইতিহাস সমুন্নত রাখতে জনগণের জন্য কাজ করুন: রাষ্ট্রপতি
দেশের উন্নয়নে কারিগরি ও প্রযুক্তিগত শিক্ষার ওপর গুরুত্বারোপ রাষ্ট্রপতির
রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সেনাপ্রধানের সাক্ষাৎ
সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ রবিবার বিকালে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
বৈঠক শেষে রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদীন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
সাক্ষাৎকালে সেনাপ্রধান রাষ্ট্রপতিকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সার্বিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত করেন।
তিনি সেনাবাহিনীর উন্নয়নে গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপ ও বাস্তবায়নের অগ্রগতির কথা তুলে ধরেন।
আরও পড়ুন: সবার জন্য ভালো কিছু করুন, বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের নেতাদের উদ্দেশে রাষ্ট্রপতি
রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন সেনাবাহিনীর কার্যক্রমে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, ফোর্সেস গোল-২০৩০ এর আলোকে সেনাবাহিনীর উন্নয়ন কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর গৌরব উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি আশা প্রকাশ করেন, সেনাবাহিনী দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার পাশাপাশি আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে তাদের কার্যক্রম অব্যাহত রাখবে।
বৈঠকে সেনাপ্রধান রাষ্ট্রপতিকে তার সাম্প্রতিক ভারত সফরের বিভিন্ন দিক সম্পর্কে অবহিত করেন।
আরও পড়ুন: বঙ্গভবনের ইতিহাস সমুন্নত রাখতে জনগণের জন্য কাজ করুন: রাষ্ট্রপতি
রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিনকে বিডিইউ উপাচার্যের অভিনন্দন
সবার জন্য ভালো কিছু করুন, বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের নেতাদের উদ্দেশে রাষ্ট্রপতি
রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন বৃহস্পতিবার দেশবাসীকে সবার জন্য ভালো কিছু করার চিন্তা করার আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘শুধু নিজের এবং পরিবারের জন্য ভালো কিছু করার কথা ভাববেন না। সবার জন্য ভালো কিছু করার চিন্তা করতে হবে।’
বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব 'বুদ্ধ পূর্ণিমা' উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ভবনের সনদ হলে বৌদ্ধ নেতৃবৃন্দের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি দেশ ও জনগণের কল্যাণে কাজ করার জন্য বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি আরও বলেন, জনগণকে আলো দেখান এবং দেশ ও জনগণের কল্যাণে কাজ করুন।
তিনি আরও বলেন, বিশ্বের সব ধর্মই সর্বদা মানুষের কল্যাণের কথা বলে এবং প্রতিটি ধর্মেরই ভালো জিনিস রয়েছে।
গৌতম বুদ্ধকে মানবতা ও স্বাধীনতার প্রতীক হিসেবে আখ্যায়িত করে তিনি সকল বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের মানুষকে ধর্ম থেকে সেরা জিনিসটি গ্রহণ করার পরামর্শ দেন।
তিনি বৌদ্ধ নেতাদের উদ্দেশে বলেন, ‘আপনারা বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম ধর্মীয় সম্প্রদায়ের অংশ... এই অঞ্চলে তথা বিশ্বে শান্তি ও সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠা করার জন্য আপনাদের অনেক দায়িত্ব ও কর্তব্য রয়েছে।’
বঙ্গভবনের ইতিহাস সমুন্নত রাখতে জনগণের জন্য কাজ করুন: রাষ্ট্রপতি
রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন বঙ্গভবনের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীকে তাদের দায়িত্বের প্রতিটি স্তরে নিরপেক্ষতা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘বঙ্গভবনের সুনাম বাড়ানোর কথা আমাদের ভাবতে হবে কারণ এর দীর্ঘ ইতিহাস ও ঐতিহ্য রয়েছে। আপনারা সবাই বঙ্গভবনের ইতিহাস ও ঐতিহ্যের অংশ। আপনারাও বঙ্গভবনের প্রতিনিধি।’
বুধবার সকালে বঙ্গভবনের দরবার হলে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে রাষ্ট্রপতি এ নির্দেশনা দেন।
রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব নেওয়ার পর এই প্রথম তিনি বঙ্গভবনে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করলেন।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিনকে বিডিইউ উপাচার্যের অভিনন্দন
তারা জনগণের সেবক, তাদের প্রভু নয় উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, তাদের এমনভাবে কাজ করতে হবে যাতে জনগণ তাদের প্রত্যাশিত সেবা সহজে পায়।
তিনি বলেন, ‘সুতরাং আপনার (বঙ্গভবনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের) প্রতিটি কর্মকাণ্ড সেবামুখী হওয়া উচিত যাতে জনগণ আপনার ওপর আস্থা ও বিশ্বাস রাখতে পারে।
বঙ্গভবনের ইতিহাস তুলে ধরে রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন আশা প্রকাশ করেন, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বঙ্গভবনের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতে নিষ্ঠা, সততা ও আন্তরিকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করবেন।
দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় সততা ও ন্যায়ভিত্তিক, জ্ঞানভিত্তিক ও আলোকিত জনপ্রশাসনের কোনো বিকল্প নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আপনারা সরকারের আইন, বিধি-বিধান দ্বারা পরিচালিত হবেন।
তিনি আরও বলেন, মনে রাখবেন সব আইন জনগণের কল্যাণের জন্য প্রণীত হয়।
বঙ্গভবনকে দেশের ইতিহাস ও ঐতিহ্যের নিদর্শন উল্লেখ করে তিনি বলেন, এখানে কর্মরত প্রতিটি কর্মীর কঠোর শ্রম, মেধা ও আন্তরিকতা মিশে আছে।
দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে বঙ্গভবনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবেন বলে আশা প্রকাশ করেন রাষ্ট্রপতি।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডের কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘বঙ্গভবনের ইতিহাস শুধু গৌরব ও মর্যাদারই নয়, কিছু জঘন্য অপরাধেরও সাক্ষী। খুনি চক্রের সদস্যরা এই বঙ্গভবনে বসে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার গভীর ষড়যন্ত্র করেছিল।’
তারা জনগণের সেবক, তাদের প্রভু নয় উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, তাদের এমনভাবে কাজ করতে হবে যাতে জনগণ তাদের প্রত্যাশিত সেবা সহজে পায়।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মাধ্যমে তারা বাংলার মাটি ও মানুষের হৃদয় থেকে তার আদর্শকে মুছে দিতে চেয়েছিল কিন্তু তারা তা করতে পারেনি।
সাহাবুদ্দিন বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু আজ শুধু বাংলাদেশিদের জন্য নয়, সারা বিশ্বের মুক্তিকামী মানুষের অনুপ্রেরণার উৎস।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন আজ বাস্তবায়নের পথে। তাই বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে সবাইকে ভূমিকা রাখতে বলেন রাষ্ট্রপতি।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ ইতোমধ্যে অনুন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে যোগ দিয়েছে।
উন্নয়নের এ ধারা অব্যাহত রাখতে সবাইকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে সক্রিয় ভূমিকা পালনের আহ্বানও জানান রাষ্ট্রপতি।
রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব সম্পদ বড়ুয়া, সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস এম সালাহ উদ্দিন ইসলাম, প্রেস সচিব জয়নাল আবেদীনসহ বঙ্গভবনের সকল স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে ভারতকে আরও বড় ভূমিকা রাখার আহ্বান রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিনের
সশস্ত্র বাহিনীর শহীদদের প্রতি রাষ্ট্রপতির গভীর শ্রদ্ধা