রাষ্ট্রপতির-কার্যালয়
সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে ঘরে বসে না থেকে মাঠে নামার আহ্বান রাষ্ট্রপতির
সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে রাজনৈতিক দলগুলোকে ঘরে বসে না থেকে মাঠে নামার আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।
তিনি বলেন, ‘রাজনীতিকে সঠিক পথে পরিচালিত করতে হলে রাজনৈতিক দলগুলোকেই এগিয়ে আসতে হবে। এক্ষেত্রে শুধু সদিচ্ছা ব্যক্ত করাই যথেষ্ট নয়। ঘরে বসে না থেকে মাঠে নেমে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করতে পারলে সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন সম্ভব।’
নির্বাচন কমিশন (ইসি) পুনর্গঠন নিয়ে চলমান সংলাপের অংশ হিসেবে সোমবার সন্ধ্যায় খেলাফত মজলিসের সাথে আলোচনায় রাষ্ট্রপতি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: ইসি নিয়ে রাষ্ট্রপতির সংলাপ: সুশীল সমাজকেও চায় তরিকত
আলোচনায় খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদেরের নেতৃত্বে ৮ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল বঙ্গভবনের দরবার হলে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে আলোচনায় অংশ নেন।
এসময় রাষ্ট্রপতি বলেন, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনের স্বার্থে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন কমিশন গঠন গুরুত্বপূর্ণ। রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত এ ব্যাপারে কার্যকর অবদান রাখতে পারে।
খেলাফত মজলিসের প্রতিনিধিদল নির্বাচন কমিশন আইন প্রণয়ন, নির্বাচন কমিশনকে নিরপেক্ষ ও শক্তিশালীকরণ, নির্বাচনের পরিবেশ রক্ষাসহ পাঁচ দফা প্রস্তাব পেশ করেন।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতির সংলাপ: ইসি গঠনে আইন চায় ন্যাপ
তারা নির্বাচন কমিশনকে স্বাধীন ও নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করার জন্য প্রয়োজনীয় বাজেটের সংস্থান, জনশক্তি নিয়োগ ও দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য প্রশিক্ষণের সুযোগ সৃষ্টির প্রস্তাব দেন।
রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব সম্পদ বড়ুয়া, সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস এম সালাহ উদ্দিন ইসলাম, রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন এবং সচিব (সংযুক্ত) মো. ওয়াহিদুল ইসলাম খান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
দেশের সব আদালত ভার্চুয়াল করার আহ্বান রাষ্ট্রপতির
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ দেশের সব আদালতের কার্যক্রম ডিজিটাল পদ্ধতিতে পরিচালনার জন্য সংশ্লিষ্টদের উদ্যোগ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। শনিবার ‘বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট দিবস-২০২১’ উপলক্ষে বঙ্গভবন থেকে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি দেয়া বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানিয়েছেন।
এসময় তিনি বলেন, বাংলাদেশের সব আদালতের কার্যক্রম ভার্চুয়াল করার জন্য পদক্ষেপ নেয়া জরুরি। এতে আমাদের বিচার ব্যবস্থায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসবে।
তিনি বলেন, ইতোমধ্যে অনলাইনে জামিন নিশ্চিতকরণ ব্যবস্থা কার্যকরি করার জন্য সুপ্রিম কোর্টে একটি অনলাইন কারণ তালিকা চালু করা হয়েছে।
রাষ্ট্রপতি আরও বলেন, যেহেতু সুপ্রিম কোর্ট একটি রেকর্ড আদালত, তাই এটির সমস্ত নথি ডিজিটাল নথিতে রূপান্তর করার উদ্যোগ নিতে হবে এবং মামলা দায়ের থেকে রায় ঘোষণা পর্যন্ত সমস্ত কার্যক্রমের ডিজিটাল সংরক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে।
আরও পড়ুন: দেশের উন্নয়নে সকলের দায়িত্ব রয়েছে: রাষ্ট্রপতি
আবদুল হামিদ বলেন, সরকার বিচার বিভাগের আধুনিকায়নে অত্যন্ত আন্তরিক এবং ই-জুডিশিয়ারি প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, আধুনিক তথ্য প্রযুক্তির এই ডিজিটাল যুগে আদালত ব্যবস্থাপনায়ও আমূল পরিবর্তন এসেছে। রাষ্ট্রপতি তথ্য প্রযুক্তির সব সুযোগ-সুবিধা ব্যবহার করে মামলার বিচারিক কার্যক্রমে গতিশীলতা আনার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।
জনগণের জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে বিচার পরিচালনার জন্যে আদালত ২০২০ সালের ৯মে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার অধ্যাদেশ জারি করেছিল, যা পরবর্তীতে আইনে পরিণত হয়।
করোনা মহামারি চলাকালীন ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে বিচারিক কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে ন্যায়বিচার প্রত্যাশী জনগণকে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করায় বিচার বিভাগকে ধন্যবাদ জানান রাষ্ট্রপতি।
তিনি বলেন, দেশবাসী আশা করে, বিচারকেরা তাদের মেধা ও চিন্তা-চেতনার মাধ্যমে আইনের শাসন ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করবেন। কারণ তারা দেশ, জনগণ ও সংবিধানের প্রতি দায়বদ্ধ।
আরও পড়ুন: ইসি গঠন: আগামী সপ্তাহে সংলাপ শুরু করবেন রাষ্ট্রপতি
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী, প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন এবং আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক।
সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের বিচারপতি, অ্যাটর্নি জেনারেল,সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল, সিনিয়র আইনজীবী, অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল, অনুষ্ঠানে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাহী কমিটির সদস্যসহ অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
১৯৭২ সালের ১৬ তারিখ স্বাধীন বাংলাদেশে সুপ্রিম কোর্ট প্রতিষ্ঠিত হয়। দিনটি সরকারি ছুটি থাকায় ১৮ ডিসেম্বর আদালতে প্রথম শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন: বেকারত্ব ঘোচাতে দক্ষতার ব্যবধান কমিয়ে আনতে হবে: রাষ্ট্রপতি
বেকারত্ব ঘোচাতে দক্ষতার ব্যবধান কমিয়ে আনতে হবে: রাষ্ট্রপতি
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বাংলাদেশের তরুণদের বেকারত্ব দূর করতে শিক্ষা ব্যবস্থার সংস্কারের মাধ্যমে দক্ষতার ব্যবধান চিহ্নিতকরণ ও কমানোর প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘আমাদের দক্ষতার ফাঁকা জায়গাগুলো শনাক্ত করতে হবে এবং বিশ্বব্যাপী প্রতিযোগিতামূলক, উদ্ভাবনী ও দক্ষ থাকার জন্য দ্রুত উচ্চ শিক্ষা ব্যবস্থা নতুন করে সাজাতে হবে।’
শুক্রবার (১০ ডিসেম্বর) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) ‘ফোর্থ ইন্ডাস্ট্রিয়াল রেভ্যুলেশন অ্যান্ড বিয়ন্ড (আইসি৪আইআর)-২০২১’ বিষয়ক দুদিনব্যাপী সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভার্চুয়াল ভাষণে রাষ্ট্রপতি এসব কথা বলেন। স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে এ সম্মেলনের আয়োজন করে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)।
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেন, ‘বাংলাদেশে গ্রেজুয়েটদের মধ্যে বেকারত্বের হার অনেক বেশি, যা দক্ষতার অমিলকে নির্দেশ করে। আমাদের চাকরির বাজারে বিদেশিরা আধিপত্য বিস্তার করছে, বিশেষ করে কারিগরি ও ব্যবস্থাপনা পর্যায়ে, কর্পোরেট সংস্থা এবং বহু-জাতিক কোম্পানিতে। এই প্রবণতার ফলে বাংলাদেশ থেকে যথেষ্ট পরিমাণে রেমিটেন্স আউটফ্লো হয়।’
সম্মেলনে বিশেষজ্ঞদের আলোচনা থেকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও সুপারিশ আসবে
আরও পড়ুন: একাডেমিক ডিগ্রির পাশাপাশি আন্তর্জাতিক মান অর্জনের আহ্বান রাষ্ট্রপতির
বলে আশাবাদ ব্যক্ত করে তিনি বলেন, ‘আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে স্থানীয় ও বৈশ্বিক চাকরির বাজারের চাহিদা মেটাতে দক্ষ জনশক্তি তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে সহায়তা করবে।’
চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের পরিবর্তনগুলোর সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেয়ার ওপর জোর দিয়ে তিনি বলেন, ‘ যদিও আমরা কৃষি, অটোমেশন, সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট, ফ্রিল্যান্সিং এবং অন্যান্য অনেক খাতে ক্রমবর্ধমান উন্নতি করছি। তবে আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় র্যাঙ্কিংয়ে আরও বেশি জোর দিতে হবে।’
সম্মেলনের পাশাপাশি আরও দুটি ইভেন্ট হচ্ছে- ‘মুজিব ১০০ আইডিয়া কনটেস্ট’ এবং ‘মুজিব ১০০ ইন্ডাস্ট্রিয়াল এক্সিবিট’।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, উপ-শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, ইউজিসি চেয়ারম্যান প্রমুখ।
আরও পড়ুন: সশস্ত্র বাহিনীর শহীদদের প্রতি রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
বৈষম্য দূর করতে সবার সমান সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিতের আহ্বান রাষ্ট্রপতির
দুর্নীতিবাজদের সামাজিকভাবে বয়কটের আহ্বান রাষ্ট্রপতির
দুর্নীতিবাজদের সামাজিকভাবে বয়কটের আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। ৯ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবস উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘কোনো মানুষই দুর্নীতিবাজ হিসেবে জন্মগ্রহণ করে না। পারিবারিক, সামাজিক ও আশপাশের পরিবেশই মানুষের জীবনে সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলে। তাই দুর্নীতিবিরোধী অভিযান নিজের ঘর থেকেই শুরু করতে হবে। দুর্নীতি ও দুর্নীতিবাজদের সামাজিকভাবে বয়কট করতে হবে।’
বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমিতে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: একাডেমিক ডিগ্রির পাশাপাশি আন্তর্জাতিক মান অর্জনের আহ্বান রাষ্ট্রপতির
এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য হলো ‘আপনার অধিকার, আপনার দায়িত্ব: দুর্নীতিকে না বলুন’।
রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘সৎ, আন্তরিক ও নিষ্ঠাবানদের সামাজিকভাবে মূল্যায়ন করতে হবে। তাহলেই সমাজে দুর্নীতি হ্রাস পাবে।’
তিনি বলেন, ‘মানুষের চাহিদার সীমা থাকে, কিন্তু লোভ সীমাহীন। দুর্নীতি এমন একটি বিষয় যা প্রত্যেক সমাজে প্রচলিত আছে। পৃথিবীর কোনো দেশই এর কুপ্রভাব থেকে সম্পূর্ণ মুক্ত নয়। ’
রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘সামাজিকভাবে দুর্নীতিবিরোধী মনোভাব জাগ্রত না হলে কেবল দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) একার পক্ষে দুর্নীতি দমন করা সম্ভব নয়।’
আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার ওপর জোর দিয়ে আবদুল হামিদ বলেন, ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যাপক প্রতিরোধ গড়ে তোলা ছাড়া এর কোনো বিকল্প নেই। মানুষের মাঝে দুর্নীতিবিরোধী সচেতনতা তৈরি এবং দুর্নীতগ্রস্ত ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির মাধ্যমেই কেবলমাত্র দুর্নীতিকে সহনশীল মাত্রায় কমিয়ে আনা সম্ভব।’
তিনি কমিশনের সকল পর্যায়ে কর্মচারীদেরকে তাদের দায়িত্ব পালনে সর্বোচ্চ নিরপেক্ষতা ও নৈতিকতা প্রদর্শনের আহ্বান জানান।
রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘অন্যের দুর্নীতি চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনার আগে আপনাকে নিজের অনিয়ম ও অসততা দূর করতে হবে। যারা রাষ্ট্র কর্তৃক অর্পিত দায়িত্ব ও ক্ষমতার অপব্যবহার করবে তাদের কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করে প্রচলিত আইনের মাধ্যমে বিচারের আওতায় আনতে হবে।’
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়তে জাতীয় ঐক্যের জন্য মতভেদ দূর করুন: রাষ্ট্রপতি
তিনি বলেন, ‘দুর্নীতি করলে শাস্তি পেতে হবে এবং দুর্নীতি করে কেউ পার পাবে না জনমনে এমন ধারণা জন্মাতে পারলেই দুদকের ওপর জনগণের আস্থা বাড়বে।’
দিবসটি উপলক্ষে দুদক রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় আলোচনা অনুষ্ঠানের পাশাপাশি মানববন্ধনের আয়োজন করেছে।
এ উপলক্ষে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) কার্টুন প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে।
দুর্নীতিকে বৈশ্বিক সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করে তা প্রতিরোধে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার উদ্যোগের ফলে ২০০৩ সালের ৩১ অক্টোবর জাতিসংঘে দুর্নীতিবিরোধী সনদ আনকাক গৃহীত হয়।
দুর্নীতির বিরুদ্ধে গণসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে ৯ ডিসেম্বরকে আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবস হিসেবে পালন করা হচ্ছে।
একাডেমিক ডিগ্রির পাশাপাশি আন্তর্জাতিক মান অর্জনের আহ্বান রাষ্ট্রপতির
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বুধবার প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে একাডেমিক ডিগ্রির পাশাপাশি আন্তর্জাতিক মান অর্জনের আহ্বান জানিয়েছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠা শতবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত ১৬ দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
রাষ্ট্রপতি ভার্চুয়ালি বঙ্গবন থেকে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর সংখ্যা সময়ের সাথে সাথে যেমন বেড়েছে, তেমনি এর অবকাঠামো ও শিক্ষা কার্যক্রমের পরিধিও বেড়েছে। আধুনিক বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তির সুবিধার জন্য প্রতিযোগিতাকেও আন্তর্জাতিকীকরণ করা হয়েছে। তাই একজন শিক্ষার্থীকে ডিগ্রীর পাশাপাশি আন্তর্জাতিক মান অর্জন করতে হবে।
আবদুল হামিদ বলেন, কারিকুলাম ও পাঠদান নির্ধারণে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকেও বিশ্বমানের বিবেচনা করতে হবে।
রাষ্ট্রপতি বলেন, উচ্চ আশা ও আকাঙ্খা নিয়ে অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠান। এছাড়া দেশ ও জনগণ তাদের শিক্ষিত করার জন্য বিনিয়োগ করে।
তিনি আরও বলেন, ছাত্রদের পরিবার, দেশ ও জনগণের আশা-আকাঙ্খা পূরণের সক্ষমতা অর্জন করতে হবে।
আবদুল হামিদ বলেন, অবকাঠামো, শিক্ষক-শিক্ষার্থী, বিভাগ ও ইনস্টিটিউটের সম্প্রসারণ একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নে অবদান রাখে। তবে শিক্ষা ও গবেষণার মানই প্রধান সূচক।
এসময় রাষ্ট্রপতি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক শ্রমবাজারের চাহিদা ও যোগ্যতা বিবেচনায় রেখে শিক্ষার মান ও শিক্ষার্থীদের সক্ষমতা বাড়াতে বিশ্ববিদ্যালয়সহ উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। এ যাত্রায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
আরও পড়ুন: আজ শুরু হচ্ছে ঢাবির ১৬ দিনব্যাপী শতবর্ষ উদযাপন
১৯২১ সালের ১ জুলাই যাত্রা শুরু করা দেশের প্রাচীনতম এই পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়। শিক্ষার সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ এবং গণতান্ত্রিক আন্দোলনে নেতৃত্ব দানকারী এই প্রতিষ্ঠান শততম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করছে।
করোনা মহামারিরর কারণে উদযাপনটি পাঁচ মাস বিলম্বিত হয়েছে। আজ বুধবার থেকে ক্যাম্পাসে শুরু হওয়া জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠান চলবে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে যোগ দেন জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী।
রাষ্ট্রপতি বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষ উপলক্ষে বিশেষ বই, ফটোগ্রাফি অ্যালবাম ও ওয়েবসাইট উন্মোচন করেন।
উদযাপনের উদ্বোধনী দিনে শতবর্ষ উপলক্ষে একটি তথ্যচিত্র এবং একটি থিম গানও প্রকাশ করা হয় এবং ভুটানের প্রধানমন্ত্রী লোটে শেরিংয়ের একটি শুভেচ্ছা বার্তাও অনুষ্ঠান উপস্থাপন করা হয়।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড.আখতারুজ্জামান।
অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী ড. দীপু মনি, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে এম আব্দুল মোমেন, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. কাজী শহীদুল্লাহ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এ কে আজাদ বক্তব্য দেন।
৩ ডিসেম্বর জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী বাপ্পা মজুমদারের নেতৃত্বে দলছুট ব্যান্ড, বিশ্ববিদ্যালয়ের থিয়েটার অ্যান্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ এবং নৃত্যকলা বিভাগের শিক্ষার্থীরা সাংস্কৃতিক পরিবেশনায় অংশগ্রহণ করবেন।
পড়ুন: বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়তে জাতীয় ঐক্যের জন্য মতভেদ দূর করুন: রাষ্ট্রপতি
৪ ডিসেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. শাহাদাত আলীর সভাপতিত্বে এক আলোচনা সভায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন ও শিক্ষাবিদ রাশেদা কে চৌধুরী অংশ নেবেন।
১২ ডিসেম্বর সকালে অপরাজেয় বাংলা প্রাঙ্গণ থেকে শহীদ মিনার পর্যন্ত শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অংশগ্রহণে বিজয় মিছিল অনুষ্ঠিত হবে।
আগামী ১৬ ডিসেম্বর সকাল ৭টায় মহান বিজয় দিবসে উপাচার্যের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অপর্ণ করবেন। সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে ‘লেজার শো’ এর মধ্য দিয়ে শেষ হবে ১৬ দিনব্যাপী এই উৎসব।
বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়তে জাতীয় ঐক্যের জন্য মতভেদ দূর করুন: রাষ্ট্রপতি
বাংলাদেশকে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলায় রূপান্তরের স্বপ্ন বাস্তবায়নে সাম্প্রদায়িকতা ও অগণতান্ত্রিক চর্চার বিরুদ্ধে শক্তিশালী জাতীয় ঐক্যের আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ।
বুধবার বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে সংসদের দুই দিনব্যাপী বিশেষ অধিবেশনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি এসব কথা বলেন।
এসময় তিনি রাজনৈতিক দল-মত নির্বিশেষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ অনুসরণ করে সহনশীলতা ও পারস্পরিক শ্রদ্ধার সংস্কৃতি গড়ে তুলে দেশকে এগিয়ে নেয়ার আহ্বান জানান।
স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীর গৌরবময় অনুষ্ঠানে জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে দেশের গণতান্ত্রিক যাত্রা ও দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করার জন্য তিনি সকলের প্রতি আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: মন্ত্রিসভায় রাষ্ট্রপতির খসড়া ভাষণ অনুমোদন
রাষ্ট্রপতি বলেন, দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চলছে। দুর্নীতি দমন কমিশন, জাতীয় মানবাধিকার কমিশন ও তথ্য কমিশন সক্রিয়ভাবে তাদের দায়িত্ব পালন করছে।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলা, যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারসহ চাঞ্চল্যকর অন্যান্য মামলার রায় দ্রুত নিষ্পত্তি করে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
আব্দুল হামিদ বলেন, দুর্নীতি, মাদকাসক্তি, জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদ ও সাম্প্রদায়িকতা দমনের লক্ষ্যে সরকারের 'জিরো টলারেন্স' নীতি দেশে স্বস্তি এনেছে, যা বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত হচ্ছে।
সুশাসন নিশ্চিত করার জন্য প্রতিটি সরকারি প্রতিষ্ঠানকে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার আওতায় আনার জন্য বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি, অভিযোগ নিষ্পত্তি ব্যবস্থাপনা, নাগরিক সনদ এবং সততা কৌশল বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: সশস্ত্র বাহিনীর শহীদদের প্রতি রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় আমাদের খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা, শিল্পায়ন, অর্থনৈতিক সমন্বয়, অবকাঠামোগত উন্নয়ন এবং একটি যোগ্যতাভিত্তিক সমাজ গড়ে তুলতে হবে। আর এ লক্ষ্যে সবাইকে নিরলসভাবে কাজ করতে হবে।
রাষ্ট্রপতি বলেন, উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় চতুর্থ শিল্প বিপ্লবকে কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশের চলমান উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে হবে।
জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বিশেষ অধিবেশনে সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: সশস্ত্র বাহিনীর শহীদদের প্রতি রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
মন্ত্রিসভায় রাষ্ট্রপতির খসড়া ভাষণ অনুমোদন
স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আগামী ২৪ নভেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদের ১৫তম অধিবেশনে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের ভাষণের খসড়া সোমবার অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ভার্চুয়াল মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ অনুমোদন দেয়া হয়।
প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে বৈঠকে যোগ দেন। এছাড়া মন্ত্রিসভার সদস্যরা বাংলাদেশ সচিবালয় থেকে যুক্ত ছিলেন।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, দেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে ২৪ নভেম্বর জাতীয় সংসদে বিশেষ আলোচনায় রাষ্ট্রপতি ভাষণ দিবেন। মন্ত্রিসভায় আজ সেটি অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
দেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর বছরব্যাপী উদযাপনের অংশ হিসেবে আগামী ২৪ ও ২৫ নভেম্বর বিশেষ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে।
আরও পড়ুন: ২৪ নভেম্বর সংসদে ভাষণ দিবেন রাষ্ট্রপতি
নৌবাহিনীকে সমুদ্র অর্থনীতির পতাকাবাহী হওয়ার আহ্বান রাষ্ট্রপতির
৭ দিনের সফরে কিশোরগঞ্জে রাষ্ট্রপতি
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ সাত দিনের সফরের প্রথম দিনে শুক্রবার কিশোরগঞ্জ জেলার মিঠামইন উপজেলায় তার পৈতৃক গ্রাম কামালপুরে পৌঁছেছেন।
প্রায় দুই বছর আগে দেশে কোভিড-১৯ মহামারির প্রাদুর্ভাবের পর এই প্রথম বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর হেলিকপ্টারে করে তাকে কিশোরগঞ্জে নিয়ে যাওয়া হয়।
এরপর জেলা পরিষদের নতুন ডাক বাংলোতে তাকে ‘গার্ড অব অনার’ দেয়া হয়।
এছাড়াও এদিন তিনি উপজেলার ‘গোরা উতরা’ নামের স্থানীয় একটি সেতু পরিদর্শন করেন।
রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদীন জানান, ৪৮ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ৩৬৫ মিটার দীর্ঘ সেতুটি হাওরের এলাকাগুলোকে কিশোরগঞ্জ সদরের সাথে সংযুক্ত করবে এবং এলাকার আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে।
সাত দিনের সফর শেষে রাষ্ট্রপতি আগামী ১৮ নভেম্বর বঙ্গভবনে ফিরবেন বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: নৌবাহিনীকে সমুদ্র অর্থনীতির পতাকাবাহী হওয়ার আহ্বান রাষ্ট্রপতির
চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরলেন রাষ্ট্রপতি
জার্মানি ও যুক্তরাজ্যে স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে মঙ্গলবার দেশে ফিরবেন রাষ্ট্রপতি
নৌবাহিনীকে সমুদ্র অর্থনীতির পতাকাবাহী হওয়ার আহ্বান রাষ্ট্রপতির
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বাংলাদেশ নৌবাহিনীর প্রতিটি সদস্যকে জাতির সার্বিক সমৃদ্ধির জন্য দেশের সমুদ্র অর্থনীতির পতাকাবাহী হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, নৌবাহিনীর প্রতিটি সদস্যকে অবশ্যই দেশের সমুদ্রভিত্তিক অর্থনীতির বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন এবং সমুদ্র ও উপকূলীয় এলাকায় মানব পাচার ও চোরাচালান রোধ, জেলেদের নিরাপত্তা ও বাণিজ্যিক জাহাজের নিরাপদ যাতায়াত নিশ্চিতসহ সামগ্রিক অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য আরও দায়িত্বশীলতার সাথে কাজ করতে হবে।
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ নৌবাহিনীর জাহাজ (বিএনএস) শহীদ মোয়াজ্জেমকে নৌবাহিনীতে অসামান্য সেবার স্বীকৃতিস্বরূপ ন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড উপাধিতে ভূষিত করার পর তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরলেন রাষ্ট্রপতি
রাঙামাটি পার্বত্য জেলার কাপ্তাইয়ের পাহাড়ি এলাকায় অবস্থিত ঘাঁটিতে এই জাতীয় পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ বঙ্গভবন থেকে ভার্চুয়ালি যোগদান করেন।
অনুষ্ঠান চলাকালে রাষ্ট্রপতির পক্ষে নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল এম শাহীন ইকবাল বিএনএস শহীদ মোয়াজ্জেমের কাছে ন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড হস্তান্তর করেন।
তিনি বলেন, প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর বিশাল সমুদ্রের ওপর আমরা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে নির্ভরশীল। এ কারণে একটি উন্নয়ন-বান্ধব পরিবেশ বজায় রাখা এবং সমুদ্র এলাকায় নিরাপত্তা নিশ্চিত করা জাতীয় ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
আরও পড়ুন: মানবাধিকার কমিশনকে আরও সক্রিয় হতে বললেন রাষ্ট্রপতি
রাষ্ট্রপতি নৌবাহিনীর সদস্যদের সততা ও আন্তরিকতার সাথে তাদের দায়িত্ব পালন অব্যাহত রাখার জন্যও আহ্বান জানান।
আব্দুল হামিদ বলেন, দেশের অর্থনীতিকে সচল রাখা এবং সমুদ্রে বাণিজ্যিক জাহাজের নিরাপত্তাসহ সামুদ্রিক সম্পদ ব্যবহারের জন্য পরিবেশ তৈরি ও রক্ষা করার দায়িত্ব আপনাদের।
দেশের সার্বভৌমত্ব ও আত্মসম্মান রক্ষায় নৌবাহিনীর প্রতিটি সদস্যকে যে কোনো ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানিয়ে রাষ্ট্রপতি হামিদ বলেন, নৌবাহিনীকে আধুনিক কৌশল ও তথ্য প্রযুক্তিতে দক্ষ ও পারদর্শী হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।
আরও পড়ুন: দুর্নীতিবাজদের শাস্তি নিশ্চিত করার আহ্বান রাষ্ট্রপতির
একাদশ জাতীয় সংসদের ১৫তম অধিবেশন শুরু ১৪ নভেম্বর
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ১৪ নভেম্বর বিকাল ৪টায় ঢাকার শেরে বাংলা নগরে অবস্থিত জাতীয় সংসদ ভবনের সংসদ কক্ষে একাদশ জাতীয় সংসদের পঞ্চদশ অধিবেশন আহ্বান করেছেন।
সংবিধানের ৭২ অনুচ্ছেদের (১) দফায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে প্রেসিডেন্ট এ অধিবেশন আহ্বান করেছেন।
সংবিধান অনুযায়ী, একটি অধিবেশন শেষ হওয়ার ৬০ দিনের মধ্যে পরবর্তী অধিবেশন আহ্বান করতে হয়।
মাত্র সাতটি বৈঠকের পর একাদশ সংসদের চতুর্দশ অধিবেশন ১৬ সেপ্টেম্বর স্থগিত করা হয়েছিল। করোনা মহামারির মধ্যে এটি সংক্ষিপ্ত আরেকটি অধিবেশন ছিল।
আরও পড়ুন: এমপির 'হাস্যকর' প্রস্তাবে সংসদে হাসির রোল
সংসদে স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে ‘নির্লজ্জ’ আখ্যা দিয়ে পদত্যাগ দাবি