���������������������������������-������������������������
রাষ্ট্রপতির ‘এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ’ গ্রন্থের ইংরেজি অনুবাদ প্রকাশ
রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন রচিত ‘এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ’ গ্রন্থের ইংরেজি সংস্করণ ‘বাংলাদেশ উইল গো এ লং ওয়ে’ প্রকাশিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে দুপুরে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির কাছে বইটি হস্তান্তর করেন আগামী প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী ও প্রকাশক ওসমান গনি ও বইটির সম্পাদনা সমন্বয়ক ড. এম আবদুল আলীম।
বইটি অনুবাদ করেছেন দুলাল আল মনসুর।
রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন তার রচিত গ্রন্থের ইংরেজি সংস্করণ ‘বাংলাদেশ উইল গো এ লং ওয়ে’ প্রকাশ করায় সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানান।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশি শ্রমিক নিয়োগে সৌদি আরবের প্রতি রাষ্ট্রপতির আহ্বান
তিনি আশা প্রকাশ করেন, বইটির মাধ্যমে পাঠক সমাজ বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ, আওয়ামী লীগের ইতিহাস, শেখ হাসিনার নেতৃত্ব, পদ্মা সেতুর কাল্পনিক দুর্নীতি, সমসাময়িক রাজনীতি, আর্থ-সামাজিক বাস্তবতা ও দিন বদলের পালাসহ বাংলাদেশের উন্নয়ন সম্পর্কে জানতে পারবেন।
তিনি আরও বলেন, বইটি পাঠকপ্রিয়তা পেলে তার এ প্রচেষ্টা সার্থক হবে এবং ভবিষ্যতে লেখালেখির জন্য আরও আগ্রহ ও অনুপ্রেরণা পাবেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন রাষ্ট্রপতির সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস এম সালাহ উদ্দিন ইসলাম, প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন, সচিব সংযুক্ত মো. ওয়াহিদুল ইসলাম খান এবং অনুবাদক দুলাল আল মনসুর।
আরও পড়ুন: মানসম্মত উচ্চশিক্ষা প্রদানের আহ্বান রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিনের
মানসম্মত উচ্চশিক্ষা প্রদানের আহ্বান রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিনের
উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়ানোর পাশাপাশি মানসম্মত শিক্ষা প্রদানের আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন।
বৃহস্পতিবার(১৫ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীরের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎকালে তিনি এ কথা বলেন।
রাষ্টপতির প্রেস সেক্রেটারি জয়নাল আবেদীন ইউএনবি জানান, প্রতিনিধি দলের সদস্যরা ইউজিসির ৪৯তম বার্ষিক প্রতিবেদন তার কাছে হস্তান্তর করেছেন।
রাষ্ট্রপতি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে গবেষণা কার্যক্রম বাড়াতে ইউজিসিকে বাড়তি উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: নারীর ক্ষমতায়নে শেখ হাসিনার প্রশংসা করেছেন ভারতের রাষ্ট্রপতি
তিনি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও উপ-উপাচার্য নিয়োগের নীতিমালা অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষকে একটি প্যানেল গঠনের পরামর্শ দেন।
রাষ্ট্রপতি 'স্মার্ট বাংলাদেশ' গড়ার সরকারের লক্ষ্যকে স্বাগত জানান। তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশ এখন স্মার্ট বাংলাদেশ হওয়ার পথে। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে হলে প্রতিটি শিক্ষার্থীকেও স্মার্ট হতে হবে।’
তিনি ইউজিসিকে প্রতিটি সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ও সামগ্রিক উচ্চশিক্ষা কার্যক্রম কঠোরভাবে মনিটরিং করার নির্দেশ দেন।
সারাদেশে উচ্চশিক্ষা সম্প্রসারণে ইউজিসিকে কার্যকর ভূমিকা পালনের নির্দেশ দেন রাষ্ট্রপতি।
সাক্ষাৎকালে ইউজিসির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান কমিশনের সার্বিক কার্যক্রম, ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ও প্রতিবেদনের বিভিন্ন দিক সম্পর্কে রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেন।
ইউজিসি প্রতিনিধিদল দেশে উচ্চশিক্ষা প্রসারে রাষ্ট্রপতির কাছে ১৪ দফা সুপারিশ পেশ করেন।
প্রতিনিধি দলের সদস্যরা ইউজিসির কার্যক্রমে সহযোগিতার জন্য রাষ্ট্রপতিকে ধন্যবাদ জানান এবং ভবিষ্যতের কর্মসূচিতে তার দিকনির্দেশনা কামনা করেন।
বৈঠকে রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সংশ্লিষ্ট সচিবরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সিইসির সাক্ষাৎ
রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সিইসির সাক্ষাৎ
রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল।
মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) বঙ্গভবনে এই সাক্ষাৎ শেষে রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদীন সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
কমিশনের সার্বিক কার্যক্রম বিশেষ করে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বিভিন্ন দিক সম্পর্কে রাষ্ট্রপতিকে জানান প্রধান নির্বাচন কমিশনার।
আরও পড়ুন: দুর্নীতি ও আর্থিক খাতের সংস্কারে কঠোর পদক্ষেপ নিন: রাষ্ট্রপতি
তিনি নির্বাচন পরিচালনায় সার্বিক সহযোগিতার জন্য রাষ্ট্রপতিকে ধন্যবাদ জানান।
দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করার জন্য নির্বাচন কমিশনকে ধন্যবাদ জানান রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন।
রাষ্ট্রপতি আশা প্রকাশ করেন, নির্বাচন কমিশন ভবিষ্যতে স্থানীয় সরকার নির্বাচনসহ বিভিন্ন নির্বাচন সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণভাবে পরিচালনা করতে সক্ষম হবে।
বৈঠকে রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব সম্পদ বড়ুয়া, সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস এম সালাহউদ্দিন ইসলাম এবং সচিব (সংযুক্ত) মো.ওয়াহিদুল ইসলাম খান উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশি শ্রমিক নিয়োগে সৌদি আরবের প্রতি রাষ্ট্রপতির আহ্বান
বাংলাদেশি শ্রমিক নিয়োগে সৌদি আরবের প্রতি রাষ্ট্রপতির আহ্বান
বিভিন্ন খাতে আরও বাংলাদেশি কর্মী নিয়োগের জন্য সৌদি আরবের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন।
বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) সৌদি আরবের শুরা কাউন্সিলের স্পিকার ড. আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ ইব্রাহিম আল শেখের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এ আহ্বান জানান।
সাক্ষাৎ শেষে রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদীন বৈঠকের বিষয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন বলেন, বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক অত্যন্ত চমৎকার এবং ধর্মীয়, সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্কও শক্তিশালী।
সৌদি আরবকে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় শ্রমবাজার উল্লেখ করে তিনি বলেন, সৌদি আরবে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিরা দু'দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।
আরও পড়ুন: পাবনায় স্বজনদের কবর জিয়ারত করেছেন রাষ্ট্রপতি
রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন বলেন, বাংলাদেশে সৌদি বিনিয়োগ ও দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। আগামীতে এ বাণিজ্য আরও বাড়বে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
তিনি আরও বলেন, স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবিকে দৃঢ়ভাবে সমর্থন করে বাংলাদেশ এবং গাজায় ইসরায়েলি হামলার তীব্র নিন্দা জানায়।
রাষ্ট্রপতি মুসলিম উম্মাহর শান্তি ও ঐক্য প্রতিষ্ঠায় সৌদি আরবের নেতৃত্বেরও প্রশংসা করেন।
সাক্ষাৎকালে সৌদি আরবের শুরা কাউন্সিলের স্পিকার বলেন, সৌদি সরকার ও জনগণ বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নকে অত্যন্ত গুরুত্ব দেয়।
এছাড়া প্রতিনিধি দল বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের প্রশংসা করে বলে, বাংলাদেশের উন্নয়নে তাদের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।
বৈঠকে শুরা কাউন্সিলের সদস্য খালেদ বিন মোহাম্মদ আল বাওয়ারদি, বাংলাদেশে সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত খালেদ বিন মোহাম্মদ আল সাইফ এবং রাষ্ট্রপতির সচিবরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: দুর্নীতি ও আর্থিক খাতের সংস্কারে কঠোর পদক্ষেপ নিন: রাষ্ট্রপতি
দুর্নীতি ও আর্থিক খাতের সংস্কারে কঠোর পদক্ষেপ নিন: রাষ্ট্রপতি
আর্থিক খাতের সংস্কারের পাশাপাশি দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন।
তিনি বলেন, ‘ভূ-রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার কারণে বিশ্ব অর্থনীতিতে অনিশ্চয়তা বাড়ছে। এক্ষেত্রে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দা দেখা দিলে তার প্রভাব আমাদের ওপরও পড়বে।’
নবনির্বাচিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদের উদ্বোধনী অধিবেশনে রাষ্ট্রপতি এসব কথা বলেন।
এর আগে তিনি সংবিধানের ৭২ অনুচ্ছেদের (১) ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে ২০২৪ সালের প্রথম সংসদ অধিবেশন আহ্বান করেন।
রাষ্ট্রপতির ভাষণ মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত হয়েছে।
৭ জানুয়ারির জাতীয় নির্বাচনের মাধ্যমে বর্তমান সংসদ গঠিত হয়।
তিনি আসন্ন বৈশ্বিক সংকট মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
তিনি বলেন, উচ্চমূল্যের ফসল উৎপাদনের ওপর গুরুত্ব দিয়ে কৃষি খাতের উৎপাদন ব্যবস্থা টিকিয়ে রাখতে হবে।
উৎপাদন বাড়াতে উন্নত কৃষি প্রযুক্তি ব্যবহারেরও আহ্বান জানান রাষ্ট্রপতি।
তিনি আরও বলেন, শস্য গুদাম ও কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্পের উন্নয়ন করতে হবে।
আরও পড়ুন: শপথ নিলেন ২৫ মন্ত্রী ও ১১ প্রতিমন্ত্রী
তিনি বলেন, রপ্তানি বাজারে বাংলাদেশি পণ্যের শুল্কমুক্ত সুবিধা প্রাপ্তির জন্য দ্বিপক্ষীয় এবং আঞ্চলিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ চুক্তি সই ও বাস্তবায়ন করা প্রয়োজন।
তিনি জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে গভীর সমুদ্রে গ্যাস ও তেল অনুসন্ধান কার্যক্রম জোরদারের ওপরও গুরুত্বারোপ করেন।
রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন বলেন, 'দক্ষ মানবসম্পদ তৈরির পাশাপাশি দক্ষ শ্রম রফতানি করতে যাতে নতুন শ্রমবাজার অনুসন্ধান করা যায়।’
নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, একটি মহল সহিংসতা ও সংঘাত সৃষ্টি করে গণতন্ত্রের শান্তিপূর্ণ ধারাকে বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করেছে। তাদের গণতন্ত্রবিরোধী ও সহিংস কর্মকাণ্ড জনগণকে সাময়িকভাবে উদ্বেগের মধ্যে ফেললেও গণতন্ত্রের চেতনা ভোটারদের ভোটদানে বিরত রাখতে পারেনি।
তিনি বলেন, সরকার ও নির্বাচন কমিশনের গৃহীত সকল পদক্ষেপ গণমানুষের স্বতঃস্ফূর্ততা ও সক্রিয় অংশগ্রহণের কারণে সুফল বয়ে এনেছে।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচনে অংশগ্রহণ থেকে বিরত থাকা দলগুলো নির্বিঘ্নে রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করেছে।
তিনি আশা প্রকাশ করেন, দেশের রাজনৈতিক দলগুলো সহিংসতা ও নৈরাজ্য পরিহার করে সাংবিধানিক অধিকার প্রতিষ্ঠা, জনগণের কল্যাণ ও গণতন্ত্রের কল্যাণে অহিংসভাবে গঠনমূলক কর্মসূচি পালন করবে।
আরও পড়ুন: ৩ দিনের সফরে পাবনায় গেছেন রাষ্ট্রপতি
সরকারও এ বিষয়ে যথাযথ ভূমিকা পালন করবে বলে আশা করা যায়।
২৯৯টি আসনের মধ্যে আওয়ামী লীগ ২২৩টি, জাতীয় পার্টি ১১টি, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি ১টি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) ১টি ও বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি ১টি করে এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ৬২টি আসনে জয়ী হয়েছেন। তবে ৫৮ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী ক্ষমতাসীন দলের সদস্য।
অধিবেশনের শুরুতে সংসদের স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকার নির্বাচিত হন এবং রাষ্ট্রপতি তাদের শপথ পাঠ করান।
এর আগে আওয়ামী লীগরে সংসদীয় দল স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী ও ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকুকে ওই পদগুলোতে মনোনয়ন দেয়।
জাতীয় সংসদের প্রেসিডেন্ট বক্সে ফার্স্ট লেডি ড. রেবেকা সুলতানা এবং রাষ্ট্রপতির সংশ্লিষ্ট সচিবরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: পাবনায় স্বজনদের কবর জিয়ারত করেছেন রাষ্ট্রপতি
পাবনায় স্বজনদের কবর জিয়ারত করেছেন রাষ্ট্রপতি
পাবনা সফরের দ্বিতীয় দিনে রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন আরিফপুরে পাবনা সদর কবরস্থানে তার বাবা-মা ও শশুর-শাশুড়ির কবর জিয়ারত করেছেন।
বুধবার (১৭ জানুয়ারি) তিনি কবর জিয়ারত ও দোয়া করেন।
এ সময় রাষ্ট্রপতি তার বাবা-মা, শশুর- শাশুড়ি, পরিবারের সদস্যসহ সকল কবরবাসীর আত্নার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করেন।
তিন দিনের সফরে গতকাল নিজ জেলা পাবনা পৌঁছান রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন।
ঢাকা থেকে পাবনা যাওয়ার পথে ঘন কুয়াশার কারণে রাষ্ট্রপতিকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি ঈশ্বরদী বিমানবন্দর অবতরণ করে। বিকালে সেখান থেকে গাড়িতে করে পাবনা যান রাষ্ট্রপতি।
আরও পড়ুন: শপথ নিলেন ২৫ মন্ত্রী ও ১১ প্রতিমন্ত্রী
রাষ্ট্রপতির সহধর্মিনী ড. রেবেকা সুলতানা এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন।
পাবনা জেলা সার্কিট হাউজে পৌঁছালে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও নেতারা রাষ্ট্রপতিকে স্বাগত জানান।
এ সময় রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও নেতাদের সঙ্গে কুশল ও শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
আরও পড়ুন: ৩ দিনের সফরে পাবনায় গেছেন রাষ্ট্রপতি
৩ দিনের সফরে পাবনায় গেছেন রাষ্ট্রপতি
তিন দিনের সফরে নিজ জেলা পাবনায় গেছেন রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন।
মঙ্গলবার(১৬ জানুয়ারি) ঢাকা থেকে পাবনা যাওয়ার পথে ঘন কুয়াশার কারণে রাষ্ট্রপতিকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি ঈশ্বরদী বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
পরে বিকালে সেখান থেকে গাড়িতে পাবনার উদ্দেশে রওনা দেন রাষ্ট্রপতি।
রাষ্ট্রপতির সহধর্মিনী ড. রেবেকা সুলতানা এসময় তার সঙ্গে ছিলেন।
আরও পড়ুন: পঞ্চমবারের মতো বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন শেখ হাসিনা
পাবনা জেলা সার্কিট হাউজে পৌঁছালে রাষ্ট্রপতিকে স্বাগত জানান স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও নেতারা।
এসময় রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও নেতাদের সঙ্গে কুশল ও শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
আরও পড়ুন: শপথ নিলেন ২৫ মন্ত্রী ও ১১ প্রতিমন্ত্রী
শপথ নিলেন ২৫ মন্ত্রী ও ১১ প্রতিমন্ত্রী
নতুন মন্ত্রিসভায় ২৫ জন মন্ত্রী ও ১১ জন প্রতিমন্ত্রী শপথ নিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টায় বঙ্গভবনে মন্ত্রীদের শপথ বাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন।
মন্ত্রীরা হলেন- আ ক ম মোজাম্মেল হক, ওবায়দুল কাদের, নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, আসাদুজ্জামান খান কামাল, ডা.দীপু মনি, তাজুল ইসলাম, ফারুক খান, আবুল হাসান মাহমুদ আলী, অ্যাডভোকেট আনিসুল হক, ড. হাছান মাহমুদ, আবদুস শহীদ, সাধন চন্দ্র মজুমদার, র. আ. ম. উবায়দুল মোখতাদির চৌধুরী, আবদুর রহমান, নারায়ণ চন্দ্র চন্দ, আবদুস সালাম, মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, ফরহাদ হোসেন, ফরিদুল হক খান, জিল্লুল হাকিম, সাবের হোসেন চৌধুরী, জাহাঙ্গীর কবির নানক, নাজমুল হাসান পাপন, ইয়াফেস ওসমান ও ড. সামন্ত লাল সেন।
আরও পড়ুন: নতুন মন্ত্রিসভায় ২৫ মন্ত্রী, ১১ প্রতিমন্ত্রী নিয়োগ দিলেন রাষ্ট্রপতি
তাদের মধ্যে ইয়াফেস ওসমান ও ড. সামন্ত লাল সেন টেকনোক্র্যাট মন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন।
প্রতিমন্ত্রীরা হলেন- বেগম সিমিন হোমেন (রিমি), নসরুল হামিদ, জুনাইদ আহমেদ পলক, মোহাম্মদ আলী আরাফাত, মো. মহিববুর রহমান, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, জাহিদ ফারুক, কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, রুমানা আলী, শফিকুর রহমান চৌধুরী ও আহসানুল ইসলাম (টিটু)।
এর আগে রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিনের পক্ষ থেকে নতুন মন্ত্রিসভায় আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী এবং ২৫ জন মন্ত্রী ও ১১ জন প্রতিমন্ত্রীকে নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
আরও পড়ুন: পঞ্চমবারের মতো বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন শেখ হাসিনা
পঞ্চমবারের মতো বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন শেখ হাসিনা
গত ৭ জানুয়ারির জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ বিপুল ভোটে বিজয়ী হওয়ার পর টানা চতুর্থবার এবং মোট পঞ্চমবারের মতো বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন শেখ হাসিনা।
বিদেশি কূটনীতিক, উচ্চপদস্থ বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তা এবং নগরীর গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন ৭৬ বছর বয়সী প্রধানমন্ত্রীকে শপথ বাক্য পাঠ করান।
আওয়ামী লীগের সংসদীয় দল (এএলপি) সর্বসম্মতিক্রমে শেখ হাসিনাকে সংসদ নেতা নির্বাচিত করার একদিন পর এই শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্যে দিয়ে শেখ হাসিনা পঞ্চমবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হলেন, যা বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি রেকর্ড।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ কন্যা শেখ হাসিনা গত ৭ জানুয়ারি গোপালগঞ্জ-৩ আসন থেকে বিপুল ভোটে বিজয়ী হন। ১৯৮৬ সালে প্রথম প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার পর থেকে তিনি তার নিজের জেলার এই আসন থেকে কখনও হারেননি।
শেখ হাসিনা ও তার ছোট বোন শেখ রেহানা ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের ভয়াবহ তাণ্ডবে প্রাণে বেঁচে যান। তখন তারা জার্মানিতে ছুটি কাটাতে গিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধু পরিবারের একমাত্র বেঁচে যাওয়া এই দুই বোন জার্মানি থেকে ভারতে পাড়ি জমান।সেখানে প্রায় ছয় বছর নির্বাসিত জীবন কাটান তারা।
ভারতে নির্বাসনে থাকা অবস্থায় শেখ হাসিনা ৩৪ বছর বয়সে আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন। তিনি ১৯৮১ সালের ১৭ মে ভারত থেকে দেশে ফিরে আসেন এবং অবিলম্বে সামরিক শাসক জিয়াউর রহমানের শাসনের বিরুদ্ধে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য প্রচার শুরু করেন।
পরে তিনি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের স্বৈরাচারী শাসনের বিরুদ্ধে গণতন্ত্রপন্থী আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন, যার ফলে ১৯৯০ সালে সামরিক শাসনের পতন ঘটে। তবে ১৯৯১ সালের সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ তার চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী খালেদা জিয়ার নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের কাছে পরাজিত হয়।
১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর প্রথমবারের মতো ১৯৯৬ সালের জুনে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ বিজয়ী হয়।
২০০১ সালে শেখ হাসিনা প্রথম নেতা হিসেবে পাঁচ বছরের পূর্ণ মেয়াদে দায়িত্ব পালনের পর শান্তিপূর্ণভাবে পদত্যাগ করেন এবং সংবিধান অনুযায়ী তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করেন। ২০০১ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে পরিচালিত নির্বাচনে তার দল পরাজিত হয়।
আরও পড়ুন: মন্ত্রিসভা গঠনে শেখ হাসিনাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি
সামরিক সমর্থিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের তত্ত্বাবধানে ২০০৮ সালের নির্বাচনে তিনি পুনরায় তার দল নিরঙ্কুশ বিজয় লাভ করে। ২০০৯ সালে তিনি দ্বিতীয়বারের মতো দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তিনি ২০১৪, ২০১৮ এবং সর্বশেষ ২০২৩ সালের ৭ জানুয়ারির তিনটি নির্বাচনেও জয়ী হন।
২০১৪ সালে বিএনপি নেতৃত্বাধীন বিরোধী দলের বর্জনের কারণে শেখ হাসিনার দল বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ৩০০টি সংসদীয় আসনের মধ্যে ১৫৩ টিতে জয়লাভ করে। বিএনপি ২০১৮ সালের নির্বাচনে অংশ নিলেও ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ অস্বীকার করেছে আওয়ামী লীগ। সরকার নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি প্রত্যাখ্যান করায় বিএনপি ৭ জানুয়ারির নির্বাচন থেকেও দূরে ছিল।
২০১৪ সালে বিএনপি নেতৃত্বাধীন বিরোধী দলের বয়কটের কারণে শেখ হাসিনার দল বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ৩০০ টি সংসদীয় আসনের মধ্যে ১৫৩ টিতে জয়লাভ করে। বিএনপি ২০১৮ সালের নির্বাচনে অংশ নিলেও ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ তুলে। তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছে আওয়ামী লীগ। সরকার নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি প্রত্যাখ্যান করায় বিএনপি ৭ জানুয়ারির নির্বাচন থেকেও দূরে ছিল।
৭ জানুয়ারির নির্বাচনে আওয়ামী লীগ পায় ২২২টি আসন। আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থীরা পেয়েছেন ৬২টি এবং জিএম কাদেরের নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টি পেয়েছে মাত্র ১১টি আসন।
আরও পড়ুন: নতুন মন্ত্রিসভায় ২৫ মন্ত্রী, ১১ প্রতিমন্ত্রী নিয়োগ দিলেন রাষ্ট্রপতি
নতুন মন্ত্রিসভায় ২৫ মন্ত্রী, ১১ প্রতিমন্ত্রী নিয়োগ দিলেন রাষ্ট্রপতি
নতুন মন্ত্রিসভার জন্য ২৫ জন মন্ত্রী এবং ১১ জন প্রতিমন্ত্রীকে নিয়োগ দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন।
বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেনের সই করা এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।
মন্ত্রিসভার সদস্যরা হলেন-
আ ক ম মোজাম্মেল হক, ওবায়দুল কাদের, নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন, আসাদুজ্জামান খান কামাল, ডা. দীপু মনি, মো. তাজুল ইসলাম, ফারুক খান, আবুল হাসান মাহমুদ আলী, আনিসুল হক, ড. হাছান মাহমুদ, আব্দুস শহীদ, সাধন চন্দ্র মজুমদার, আরএএম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, মো. আব্দুর রহমান, নারায়ণ চন্দ্র চন্দ, আব্দুস সালাম, মহিবুল হাসান চেীধুরী, ফরহাদ হোসেন, মো. ফরিদুল হক খান, মো. জিল্লুর হাকিম, সাবের হোসেন চেীধুরী, জাহাঙ্গীর কবির নানক, নাজমুল হাসান, ইয়াফেস ওসমান ও সামন্ত লাল সেন।
আরও পড়ুন: পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে ভোট দিলেন রাষ্ট্রপতি
প্রতিমন্ত্রী
সিমিন হোসেন (রিমি), নসরুল হামিদ, জুনাইদ আহমেদ পলক, মোহাম্মদ আলী আরাফাত, মো. মহিববুর রহমান, খালিদ মাহমুদ চেীধুরী, জাহিদ ফারুক, কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, বেগম রুমানা আলী, শফিকুর রহমান চেীধুরী, আহসানুল ইসলাম (টিটু)।
তাদের মধ্যে ইয়াফেস ওসমান ও ড. সামন্ত লাল সেন টেকনোক্র্যাট মন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবেন।
আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন নতুন মন্ত্রিসভার শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান আজ সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত হবে।
আরও পড়ুন: মন্ত্রিসভা গঠনে শেখ হাসিনাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি