রবিবার নাগপুরের বিদর্ভ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়ামে রোববার তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে হেরে ২-১ ব্যবধানে সিরিজও হারল টাইগাররা।
ভারতের করা ১৭৪ রানের জবাবে বাংলাদেশ চার বল বাকি থাকতে গুটিয়ে যায় ১৪৪ রানে। দীপক চাহারের রেকর্ড বোলিংয়ের কাছে ধরাসহী হয় বাংলাদেশ। অসাধারণ বোলিং করা চাহার মাত্র ৭ রানে নেন ৬ উইকেট। টি-টোয়েন্টির ইতিহাসে এটাই সেরা বোলিং।
টাইগারদের হয়ে তরুণ নাঈম (৮১) একাই লড়ে যাচ্ছিলেন। মন্থর শুরুর পর চড়াও হন বোলারদের ওপর। মোহাম্মদ মিঠুনের সঙ্গে তার বড় জুটিতে চিন্তায় ফেলে দেয় স্বাগতিকদের। কিন্তু একা নাঈম আর মিঠুন ছাড়া আর বোলার মতো স্কোর করতে পারেননি কেউ।
টস হেরে প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৭৪ রান করে স্বাগতিকরা। শুরুটা দারুন করে বাংলাদেশ।
৩৫ রানের মধ্যে দুই ওপেনার রোহিত শর্মা (২) এবং শেখর ধাওয়ানকে (১৯) ফিরিয়ে দেন শফিউল ইসলাম। কিন্তু লোকেশ রাহুল (৫২) এবং শ্রেয়াস আয়ার (৬২) দলকে শক্ত অবস্থানে নিয়ে যান।
শ্রেয়াস আয়ার রানের খাতা খোলার আগেই ক্যাচ দিয়েছিলেন। কিন্তু ধরতে ব্যর্থ হন আমিনুল ইসলাম বিপ্লব। রাহুল ৩৫ বলে ৭টি চারে ৫২ এবং শ্রেয়াস ৩৩ বলে ৫টি ছক্কা ও ৩টি চারে ৬২ রান করেন। এছাড়া মানিশ পান্ডে ১৩ বলে ২২* রান করেন।
টাইগারদের পক্ষে শফিউল এবং সৌম্য যথাক্রমে ৩২ এবং ২৯ রান খরচায় ২টি করে উইকেট পান। আল-আমিন হোসেন ৪ ওভারে ২২ রান দিয়ে নেন ১টি উইকেট।
তিন ম্যাচের টি২০ সিরিজের প্রথমটিতে গত ৩ নভেম্বর ভারতকে ৭ উইকেটে হারায় বাংলাদেশ। তবে ৭ নভেম্বর দ্বিতীয় ম্যাচেই ঘুরে দাঁড়ায় স্বাগতিকরা। ৮ উইকেটের বড় ব্যবধানে জয় তুলে নেয় রোহিত শর্মার দল।
বাংলাদেশ দলে একটি পরিবর্তন আনা হয়েছে। ইনজুরির কারণে দলে নেই মোসাদ্দেক হোসেন। তার পরিবর্তে একাদশে ঢুকেছেন মোহাম্মদ মিথুন। ভারত দলেও একটি পরিবর্তন রয়েছে। ক্রনাল পান্ডিয়ার পরিবর্তে একাদশে সুযোগ পেয়েছেন মানিশ পান্ডে।