শনিবার লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে সফরকারীদের দেয়া ১৩৭ রানের লক্ষ্যমাত্রায় ১৬ ওভার ৪ বলে পৌঁছে যায় স্বাগতিকরা। হারায় মাত্র একটি উইকেট।
বাংলাদেশের বোলাররা শুরুটা করেছিলেন ভালো। দ্বিতীয় ওভারে পাকিস্তানের খাতায় ৬ রান থাকার সময় ওপেনার আহসান আলীকে শূন্য রানে মাহমুদুল্লাহর ক্যাচ বানান শফিউল ইসলাম। কিন্তু আরেক ওপেনার বাবর আজম পরের জুটিতে মোহাম্মদ হাফিজকে সাথে নিয়ে দলকে পৌঁছে দেন জয়ের বন্দরে।
বাবর ৪৪ বলে ১ ছয় ও ৭ চারের মারে করেন ৬৬ রান। হাফিজের ব্যাট থেকে আসে ৬৭ রান। তিনি ৪৯ বলের ইনিংসে ১ ছয় ও ৯ চারের দেখা পান।
এর আগে বাংলাদেশ সময় বেলা ৩টায় শুরু হওয়া ম্যাচে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করে তামিম ইকবালের ৬৫ রানের কল্যাণে ছয় উইকেটের বিনিময়ে ১৩৬ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ। ব্যাটিংয়ে নেমেই হোঁচট খায় টাইগাররা। দ্বিতীয় ওভারে দলীয় ৫ রানের মাথায় শাহিন আফ্রিদির বলে ক্যাচ দিয়ে শূন্য রানে ফিরে যান ওপেনার মোহাম্মদ নাঈম।
আরেক ওপেনার তামিমকে সঙ্গ দিতে আসা মেহেদী হাসান ৯ রান করে দলীয় ২২ রানের সময় পঞ্চম ওভারে মোহাম্মদ হাসনাইনের বলে ক্যাচ তুলে দেন। অষ্টম ওভারে শাদব খানের এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়েন ৮ রান করা লিটন দাস। এ সময় দলীয় রান ছিল ৪১।
পরবর্তীতে তামিমের সাথে ম্যাচের সর্বোচ্চ ৪৫ রানের জুটি করা আফিফ হোসেন (২১) দলীয় রান ৮৬-তে রেখে হাসনাইনের বলে তালুবন্দী হন ১৫তম ওভারে। আর দলের পক্ষে ৫৩ বলে সর্বোচ্চ ৬৫ রান করা তামিম ১৮তম ওভারে রানআউটের শিকার হন।
অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ ১৯তম ওভারে হারিস রউফের শিকার হওয়ার আগে করেন ৬ রান। শেষ পর্যন্ত সৌম্য সরকার ও আমিনুল ইসলাম অপরাজিত ছিলেন যথাক্রমে ৫ ও ৮ রান।
স্বাগতিকদের পক্ষে হাসনাইন দুটি এবং শাহিন, রউফ ও শাদব একটি করে উইকেট পান।
শুক্রবার প্রথম টি-২০ ম্যাচে বাংলাদেশকে পাঁচ উইকেটে হারায় স্বাগতিকরা। ওই ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে বাংলাদেশ মাত্র ১৪১ রান করে। যদিও প্রথম উইকেট জুটিতে বাংলাদেশ ১০ ওভারের বেশি খেলেছিল। এরপর পাকিস্তান ১৯.৩ ওভারে পাঁচ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে যায়।
সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচ সোমবার একই মাঠে অনুষ্ঠিত হবে।