বিএনপি-জামায়াতের ভোট বর্জন এবং ভোটারদের অনিহার কারণে ভোটার উপস্থিতি ছিল হতাশাজনক।
সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হলেও বেলা ১১টা পর্যন্ত অনেক বুথ ও কেন্দ্রে কোনো ভোট পড়েনি।
সদর উপজেলার শাখারিয়া, শেখেরকোলা, গোকুল ও পৌর এলাকার কমপক্ষে ২০টি কেন্দ্রে এই প্রতিবেদক ঘুরে দেখেছেন, ভোটার উপস্থিত নেই বলেই চলে। প্রার্থীদের এজেন্ট, কর্মী, আইনশৃংখলা বাহিনী ও ভোটগ্রহণ কর্মকর্তারা অলস সময় পার করছেন। কাজের ব্যস্ততা না থাকায় অনেকে ভোটের বুথেই ঘুমিয়ে পড়েন।
বগুড়া পৌরসভার ২০নং ওয়ার্ডের নারুরী উত্তরণ উচ্চ বিদ্যালয় নারী কেন্দ্রের ১নং বুথে এবং পুরুষ কেন্দ্রের ৮নং বুথে বেলা ১১টা পর্যন্ত কোনো ভোট পড়েনি বলে জানান সংশ্লিষ্ট নির্বাচন পরিচালনা কর্মকর্তারা।। অপরদিকে দুপুর আড়াইটার দিকে গোকুল তছলিম উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের দুটি কেন্দ্রে ভোট পড়েছে ৫-১০ ভাগ।
তবে সদরের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী সাবেক বিএনপি নেতা মাফতুন আহমেদ খান রুবেলের নিজ কেন্দ্র ধাওয়াকোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে দুপুর পর্যন্ত ৫০ শতাংশ ভোট পড়েছে।
আওয়ামী লীগ প্রার্থী আবু সুফিয়ান সফিকের নিজ এলাকার কেন্দ্র মানিক চক উচ্চ বিদ্যালয়ে দুপুর ১২টার দিকে ভোট পড়েছে ৫০ শতাংশের ওপরে। এ ছাড়া তার প্রভাবিত পল্লী মঙ্গল উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে নৌকার কর্মীরা প্রকাশ্যে সিল মেরেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
সদরের ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী মাহিদুল ইসলাম গফুর অভিযোগ করেন, শাখারিয়া ইউনিয়নের কুটুরবাড়ী কেন্দ্র থেকে তার এক এজেন্টকে বের করে দিয়েছে লাঙ্গলের প্রার্থী ইকবাল হোসেন।
সারিয়াকান্দি উপজেলায় আওয়ামী লীগ প্রার্থী মুনজিল আলীর সমর্থকদের সাথে যুবলীগ প্রার্থী আব্দুস সালামের কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষে দুইজন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।