এছাড়া, নতুন করে ২ হাজার ৯০৭ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। যার ফলে মোট আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছেছে ২ লাখ ৬০ হাজার ৫০৭ জনে।
সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত অনলাইন ব্রিফিংয়ে অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক ডা. নাসিমা সুলতানা এসব তথ্য জানান।
তার দেয়া তথ্য অনুযায়ী, করোনা শনাক্তের জন্য দেশের সরকারি ও বেসরকারি ল্যাবগুলোতে গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১২ হাজার ৮৫৫টি এবং পরীক্ষা করা হয়েছে ১২ হাজার ৮৪৯টি। এ নিয়ে মোট নমুনা পরীক্ষা করা হলো ১২ লাখ ৭৩ হাজার ১৬৮টি।
২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ২২.৬২ শতাংশ। আর মোট পরীক্ষার ক্ষেত্রে শনাক্ত হয়েছেন ২০.৪৬ শতাংশ।
নতুন যে ৩৯ জন মারা গেছেন তাদের মধ্যে পুরুষ ৩৫ এবং নারী চারজন। এখন পর্যন্ত মোট মারা যাওয়াদের মধ্যে পুরুষ ২ হাজার ৭২১ জন বা ৭৯.১৪ শতাংশ এবং নারী ৭১৭ জন বা ২০.৮৬ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার ১.৩২ শতাংশ।
এদিকে, করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও ২ হাজার ৬৭ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৫০ হাজার ৪৩৭ জন। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার এখন পর্যন্ত ৫৭ দশমিক ৭৫ শতাংশ।
গত ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্তের পর ১৮ মার্চ প্রথম একজনের মৃত্যু হয়।
বিশ্ব পরিস্থিতি:
জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর সিস্টেমস সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের (সিএসএসই) তথ্য অনুসারে, এখন পর্যন্ত মোট করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে ১ কোটি ৯৬ লাখ ৯৬ হাজার ৯৬১ জন এবং মোট মৃত্যু হয়েছে ৭ লাখ ২৭ হাজার মানুষের।
সেই সাথে ১ কোটি ২০ লাখের অধিক রোগী সুস্থতা লাভ করেছেন।
করোনাভাইরাসে বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ যুক্তরাষ্ট্রে কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৫০ লাখ ছাড়িয়ে গেছে। সেখানে এখন পর্যন্ত ৫০ লাখ ১৭ হাজার ১৫০ জন করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছেন এবং মৃত্যু হয়েছে ১ লাখ ৬২ হাজার ৬৩৫ জনের।
এপির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ মহামারি নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী দেশ যুক্তরাষ্ট্রের ব্যর্থতায় অবাক এবং শঙ্কিত ইউরোপ।
যুক্তরাষ্ট্রের পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ক্ষতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় রয়েছে ব্রাজিল। দেশটিতে ৩০ লাখেরও বেশি করোনা রোগী শনাক্ত এবং প্রায় এক লাখ মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
দক্ষিণ এশিয়ার দেশ ভারতেও করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ২০ লাখ ছাড়িয়ে গেছে।