তিনি বলেন, ‘এ অনিয়মগুলো আমরা নিশ্চয়ই মানব না। সে যেই হোক তার বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি। এবং তা অব্যাহত থাকবে।’
একাদশ সংসদের অষ্টম অধিবেশনের সমাপনী বক্তব্যে এ স্পষ্ট বার্তা দেন প্রধানমন্ত্রী।
সংসদে বিরোধী দলের উপনেতা জিএম কাদেরসহ কয়েকজন বিরোধী দলীয় সংসদ সদস্য স্বাস্থ্য ও আর্থিক খাতের দুর্নীতি নিয়ে প্রশ্ন তুললে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সামরিক শাসকরা ১৯৭৫ সালের পরে তাদের ক্ষমতা কুক্ষিগত করতে বছরের পর বছর মানুষের চরিত্র নষ্ট করার মাধ্যমে সমাজকে কলুষিত করে গেছেন।
‘তারা মানুষকে দুর্নীতি করা, কালো টাকা উপার্জন ও ঋণখেলাপি হওয়া শিখিয়েছেন। সার্বিকভাবে তারা অবৈধভাবে দখল করা ক্ষমতাকে নিষ্কণ্টক করতে সমাজকে কলুষিত করেছেন,’ বলেন শেখ হাসিনা।
আরও পড়ুন: প্রবাসী শ্রমিকদের ফেরাতে সরকার চাপের মুখে: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী বলেন, মানুষ আগে সাধারণত একটি আদর্শ ও নীতি নিয়ে চলত, কিন্তু সামরিক একনায়করা তাদের ক্ষমতাটাকে নিষ্কণ্টক করতে মানুষের চরিত্র হরণ করেছেন।
তিনি বলেন, ক্ষমতায় আসার পর আওয়ামী লীগ সরকার দুর্নীতি ও অনিয়মের সাথে জড়িতদের দলীয় পরিচয় বিবেচনা না করেই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া শুরু করে। ‘কে কোন দলের সেটি (আমাদের কাছে) বড় কথা নয়।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দুর্নীতি বন্ধ করতে গিয়ে সরকারকে উল্টো দুর্নীতির দোষ দেয়া হচ্ছে। ‘আমরা (দুর্নীতিবাজদের) ধরছি। আর চোর ধরে যেন আমরাই চোর হয়ে যাচ্ছি।’
তবে, আওয়ামী লীগ সরকার অনিয়ম বন্ধে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকবে বলে জানান শেখ হাসিনা।