এ নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪ হাজার ৪৪৭ জনে দাঁড়িয়েছে এবং মোট আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছেছে ৩ লাখ ২৩ হাজার ৫৬৫ জনে।
শনিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনা সংক্রান্ত নিয়মিত স্বাস্থ্য সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, করোনা শনাক্তের জন্য দেশের সরকারি ও বেসরকারি ৯৩টি ল্যাবে গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১২ হাজার ৩১৮টি এবং পরীক্ষা করা হয়েছে ১২ হাজার ৮৪৭টি। এ নিয়ে মোট নমুনা পরীক্ষা করা হলো ১৬ লাখ ১৭ হাজার ৯৫৮টি।
২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৫.১৮ শতাংশ। আর মোট পরীক্ষার ক্ষেত্রে শনাক্ত হয়েছেন ২০ শতাংশ।
নতুন যে ৩৫ জন মারা গেছেন তাদের মধ্যে পুরুষ ২৫ এবং নারী ১০ জন। এখন পর্যন্ত মোট মারা যাওয়াদের মধ্যে পুরুষ ৩ হাজার ৪৭৯ জন বা ৭৮.২৩ শতাংশ এবং নারী ৯৬৮ জন বা ২১.৭৭ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার ১.৩৭ শতাংশ।
এদিকে, করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও ১ হাজার ৬৬১ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ১৭ হাজার ৮৫২ জন। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার এখন পর্যন্ত ৬৭.৩৩ শতাংশ।
গত ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্তের পর ১৮ মার্চ প্রথম একজনের মৃত্যু হয়।
বিশ্ব পরিস্থিতি
জন্স হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের (জেএইচইউ) দেয়া তথ্য অনুযায়ী, শনিবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৮ লাখ ৭৩ হাজার ২৭০ জনে।
জেএইচইউর তথ্য অনুসারে, এ পর্যন্ত মোট করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে ২ কোটি ৬৫ লাখ ২২ হাজার ৩৯৩ জন।
করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় যুক্তরাষ্ট্রের পর দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ব্রাজিল। এ পর্যন্ত দেশটিতে আক্রান্ত হয়েছেন ৪০ লাখ ৯১ হাজার ৮০১ জন এবং মৃত্যু হয়েছে এক লাখ ২৫ হাজার ৫০২ জনের।
এদিকে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত দেশের তালিকায় তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে ভারত। দক্ষিণ এশিয়ার এ দেশটিতে শনাক্ত করোনা রোগীর সংখ্যা ৩৯ লাখ ৩৬ হাজার ৭৪৭ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৬৯ হাজার ৫৬১ জনের।
করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত যুক্তরাষ্ট্রে এ পর্যন্ত ৬২ লাখের বেশি করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে এবং মারা গেছেন ১ লাখ ৮৭ হাজার ৭৫৫ জন।
গত বছরের ডিসেম্বরে চীন থেকে সংক্রমণ শুরু হয় প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের। গত ১১ মার্চ করোনাভাইরাস সংকটকে মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।