স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, সারা দেশে ছড়িয়ে পড়া ডেঙ্গুর শিকার হয়ে ১ জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত হাসপাতালগুলোতে সর্বমোট ৪৮ হাজার ২৮০ জন রোগী ভর্তি হন। তাদের মধ্যে চিকিৎসা শেষে ছাড়পত্র নিয়ে চলে গেছেন ৪০ হাজার ৬৭০ জন।
ডেঙ্গু রোগে এ যাবত ৪০ জন মারা যাওয়ার কথা সরকার জানালেও বেসরকারি অনুমান অনুযায়ী সংখ্যাটি অনেক বেশি।
বর্তমানে দেশের হাসপাতাগুলোতে ভর্তি থাকা ডেঙ্গু রোগী আছেন সাত হাজার ৫৭০ জন। যার মধ্যে ঢাকা বিভাগে তিন হাজার ৯১০ জন।
ঢাকা, মাগুরা ও চাঁদপুরে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে তিনজন মারা যাওয়ার নতুন খবর পাওয়া গেছে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে বৃহস্পতিবার ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মৌসুমী আক্তার (২৫) নামে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। তিনি পিরোজপুরের মো. মামুনের স্ত্রী।
পরিবারের সদস্যদের বরাত দিয়ে ঢামেক পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বাচ্চু মিয়া জানান, বেলা ১১টা ৪০ মিনিটের দিকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) মৌসুমী মারা যান। তিনি কয়েকদিন ধরে জ্বরে আক্রান্ত থাকার পর বুধবার রাজধানীর মহাখালীর টিবি হাসপাতালে গেলে তার ডেঙ্গু ধরা পরে। সেখান থেকে তাকে প্রথমে সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং পরে অবস্থার অবনতি হলে ঢামেক হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
মাগুরা সদরে বৃহস্পতিবার দুপুরে নিজ বাড়িতে মারা গেছেন জয়নাল শরীফ (৫৩) নামে এক ব্যক্তি। তিনি নরসিংহাটি গ্রামের বাসিন্দা।
জেলা সিভিল সার্জন প্রদীপ কুমার সাহা জানান, ঢাকায় বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করা জয়নাল ৭ আগস্ট সেখানে হাসপাতালে যান এবং রক্ত পরীক্ষায় ডেঙ্গু শনাক্ত হয়। পরে তিনি বাড়িতে ফিরে আসেন এবং ১০ আগস্ট মাগুরা হাসপাতালে ভর্তি হন। এখান থেকে তাকে ঢাকায় স্থানান্তর করা হলেও তিনি বাড়িতে ছিলেন।
এদিকে, চাঁদপুরের শাহরাস্তিতে আবু বকর সিহাব (১৪) নামে এক মাদ্রাসাছাত্র মারা গেছে। ঢাকা নেয়ার পথে বুধবার বিকালে তার মৃত্যু হয়। সে উপজেলার টামটা পশ্চিমপাড়ার জাকির হোসেনের ছেলে।
জাকির হোসেন জানান, ঈদের কয়েক দিন আগে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত সিহাবকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তির পর অবস্থার অবনতি হলে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখান থেকে আরও অসুস্থ হয়ে যাওয়া সিহাবকে বুধবার বিকালে ঢাকায় নেয়ার পথে দাউদকান্দি সেতু পার হওয়ার পর তার মৃত্যু হয়।