সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বেইজিংয়ের চায়না ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের (সিআইআইএস) নির্বাহী সহ-সভাপতি ড. রুয়ান জংজি।
সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব সিঙ্গাপুরের ইনস্টিটিউট অব সাউথ এশিয়ান স্টাডিজের (আইএসএএস) প্রিন্সিপাল রিসার্চ ফেলো ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ড. ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী।
কসমস গ্রুপের জনহিতকর প্রতিষ্ঠান- কসমস ফাউন্ডেশনের আয়োজনে অনুষ্ঠিত এ সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য দেন কসমস গ্রুপের চেয়ারম্যান আমানউল্লাহ খান।
সেমিনারের আলোচনায় বাংলাদেশ ও চীনের দ্বি-পাক্ষিক সম্পর্ক, আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক মেরুকরণ সংক্রান্ত বিষয়াবলী, অর্থনৈতিক বিশ্বায়ন, সামাজিক আধুনিকায়ন ও সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য উঠে আসে।
বর্তমানে বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে ভালো সম্পর্ক বিদ্যমান। চীনের প্রস্তাবিত বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভে (বিআরআই) বাংলাদেশ অন্যতম অংশীদার। তাছাড়া, বাংলাদেশের অবস্থান, বিশাল জনগোষ্ঠী, বাজার সম্ভাবনা ও সহযোগিতার ক্ষেত্রগুলোসহ বিভিন্ন কারণে বাংলাদেশ চীনের কাছে গুরুত্বপূর্ণ।
২০১৬ সালের অক্টোবরে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিংপিং-এর ঐতিহাসিক বাংলাদেশ সফরে বংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও চীনের প্রেসিডেন্ট ঢাকা-বেইজিং সম্পর্ককে ‘সহযোগিতার কৌশলগত অংশীদার’ পর্যায়ে উন্নীত করেন।
চীনের প্রেসিডেন্টের ওই বাংলাদেশ সফরে, ২০১৩ সালে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিংপিং এর উচ্চাভিলাসী অবকাঠামো ও বিনিয়োগ কৌশল বিআরআই-তে বাংলাদেশ আনুষ্ঠানিকভাবে যোগ দেয়।
ঢাকা ইতোমধ্যে পরিষ্কার করে দিয়েছে যে, চীনের বিআরআই বাংলাদেশের জাতীয় অগ্রাধিকার খাতের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ এবং প্রতিবেশী অন্যান্য দেশগুলোর সম্পর্কের ক্ষেত্রে কোনো প্রভাব পড়বে না।
জাতিসংঘের সংস্থা ইউনাইটেড ন্যাশনস কনফারেন্স অন ট্রেড অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (আঙ্কটাড) হিসাবে, ২০১৮ সালে দেশে ৩৬১ কোটি মার্কিন ডলারের বেশি বিনিয়োগ এসেছে, যা আগের বছরের চেয়ে ৬৮ শতাংশ বেশি। আর বিনিয়োগের ২৮ শতাংশ বা ১০৩ কোটি ডলারই চীনের। একক দেশ হিসেবে বাংলাদেশে চীনের বিনিয়োগই সর্বোচ্চ।