গোয়েন্দা রমনা বিভাগের একটি টিম বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে সোমবার লহ্মীপুর-নোয়াখালী জেলার সীমান্ত এলাকা হতে তাদেরকে গ্রেপ্তার করে।
ক্রেস্ট সিকিউরিটি লিমিটেড ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের একটি ব্রোকার হাউজ।
মঙ্গলবার রাজধানীর মিন্টো রোডের ডিএমপির গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি) কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবি) মো. আবদুল বাতেন।
তিনি বলেন, এই ব্রোকার হাউজে প্রায় ২২ হাজার বিও একাউন্টধারী শেয়ার কেনা-বেচা করতেন। গ্রেপ্তাররা তাদের প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ২২ হাজার ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীর অগোচরে ১৮ কোটি টাকা অন্য একাউন্টে সরিয়ে নেয়। ২২ জুন ব্রোকার হাউজটি বন্ধ করে তারা পালিয়ে যায়। উক্ত ঘটনায় পল্টন থানায় তাদের বিরুদ্ধে দুটি মামলা রুজু হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্য সম্পর্কে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার ডিবি বলেন, তাদের প্রতিষ্ঠান ক্রেস্ট সিকিউরিটি লিমিটেডে ২২ হাজার বিও একাউন্টধারীর প্রায় ১০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ রয়েছে। উক্ত শতকোটির টাকার মধ্যে তারা ১৮ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে বলে আমাদের জানিয়েছে।
এছাড়াও ৪৪-৪৫ জন ব্যক্তির নিকট হতে তারা মুনাফা প্রদানের শর্তে ৩০ কোটি টাকা ঋণ গ্রহণ করেছেন। উক্ত টাকা আত্মসাৎপূর্বক তারা আত্মগোপন করেন।