তিনি বলেন, ‘শিশুদের অশুভ প্রতিযোগিতায় ঠেলে দেবেন না। জিপিএ-৫ আর গোল্ডেন জিপিএ’র পেছনে না ছুটে শিশুদের প্রকৃতি থেকে শিক্ষা নেয়ার সুযোগ দিন। তাদের মানবিক মূল্যবোধসম্পন্ন মানুষ হিসেবে গড়ে তুলুন। দেখবেন বড় হয়ে তারা দেশ ও জাতির জন্য অমূল্য সম্পদ হয়ে উঠবে।’
বাংলাদেশ শিশু একাডেমি অডিটোরিয়ামে জাতীয় শিশু প্রতিযোগিতা ২০১৯-এর পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি এসব কথা বলেন।
আবদুল হামিদ স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে নিজেদের জীবনে লালন করতে শিশুদের প্রতি আহ্বান জানান।
‘আগামী বছর ২০২০ সালে যথাযোগ্য মর্যাদায় বছরব্যাপী বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী পালিত হবে। তোমরাও জন্মশতবার্ষিকী পালনে অংশীদার হবে। বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে জানবে। বিশেষ করে তার নীতি-আদর্শ, পরোপকারী মনোভাব, নেতৃত্বের গুণাবলী সম্পর্কে জানবে এবং নিজের জীবনে তা প্রতিফলিত করবে,’ যোগ করেন তিনি।
জাতির পিতা সম্পর্কে রাষ্ট্রপতি আরও বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শুধু আমাদের স্বাধীনতাই এনে দেননি। স্বাধীনতার সুফল ধনী-দরিদ্র, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে তিনি একটি ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সমৃদ্ধ দেশ গড়ার সার্বিক পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। কিন্ত স্বাধীনতাবিরোধী চক্র বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মাধ্যমে তা হতে দেয়নি।’
দেশ এখন উন্নয়ন ও অগ্রগতির পথে এগিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে তিনি শিশুদের উদ্দেশে বলেন, ‘অগ্রগতির যাত্রাপথে তোমাদেরও শরীক হতে হবে। নিজেদের প্রস্তুত করতে হবে যোগ্য অংশীদার হিসেবে।’
দেশকে ভালোবাসতে শেখা এবং অন্যায় ও অসত্যের সাথে কখনো আপস না করার ওপর গুরুত্বারোপ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, সত্য, সুন্দর ও ন্যায়ের পথে চলবে, তাহলেই জীবনে প্রতিষ্ঠিত হবে।
মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব কামরুন নাহারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মেহের আফরোজ চুমকি, বিশিষ্ট কথা সাহিত্যিক সেলিনা হোসেন ও বাংলাদেশ শিশু একাডেমির পরিচালক আনজীর লিটন।