গোয়াইনঘাট থানায় এক চাকরি প্রার্থীর দায়ের করা মামলায় সোমবার সকালে নায়েক খোরশেদকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে তোলা হয়। এর আগে রবিবার রাতে তাকে আটক করা হয়।
থানা সূত্রে জানা গেছে, পুলিশ নিয়োগের আগে অনৈতিক চুক্তি করে সাতজনকে সিলেটে রেখে নিয়োগ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করান তিনি। এদের মধ্যে ছয়জন লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন এবং চূড়ান্তভাবে মনোনীত হন পাঁচজন।
এদিকে অভিযোগ পেয়ে তদন্তে নামে পুলিশ। তদন্তে ঘুষ গ্রহণের সত্যতা পাওয়ায় ররিবার রাতে আটক করা হয় এই পুলিশ সদস্যকে।
সিলেট কোর্ট পরিদর্শক মুজিবুর রহমান চৌধুরী জানান, খোরশেদকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচদিনের রিমান্ড চাওয়া হলে আদালত তা মঞ্জুর করেন।
সিলেটের পুলিশ সুপার ফরিদ উদ্দিন জানান, কনস্টেবল নিয়োগ পরীক্ষায় যারা উত্তীর্ণ হয়েছে তারা পরীক্ষা দিয়েই উত্তীর্ণ হয়েছে। এরপরই টাকার জন্য তাদের পরিবারকে চাপ দিচ্ছিল খোরশেদ। এই চক্রের সাথে আর কারা জড়িত, তাদের খুঁজে বের করতেই তাকে রিমান্ডে আনা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ৩০ জুন সিলেট পুলিশ লাইন্স স্কুল ও সরকারি আলীয়া মাদরাসা কেন্দ্রে কনস্টেবল পদে বাছাইকৃত প্রার্থীদের লিখিত পরীক্ষা গ্রহণ করা হয়। পরে ৩ জুলাই লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়। একই দিন উত্তীর্ণ প্রার্থীদের মৌখিক পরীক্ষা গ্রহণ করে পরের দিন ৪ জুলাই সন্ধ্যায় অংশগ্রহণকারী পরীক্ষার্থীদের চূড়ান্ত ফল ঘোষণা করা হয়।