এসময় আহত হয়েছে তার তিন সন্তান ইমন (১৭), সুমী (১৯) ও মীম (৮)। এদিকে ওই ট্রেনেই অন্য বগিতে থাকায় বেঁচে গেছেন জাহেদার আরেক ছেলে সুমন।
তিনি মুঠোফোনে বলেন, ‘আমি অন্য বগিতে থাকায় বেঁচে গেছি।’
সোমবার রাত পৌনে ৩টার দিকে চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী তূর্ণা নিশীথা আর সিলেট থেকে ছেড়ে আসা চট্টগ্রামগামী উদয়ন এক্সপ্রেসের সংঘর্ষে কয়েকটি বগি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। এতে ১৬ জন নিহত ও শতাধিক আহত হয়েছেন।
সুমন বলেন, ‘গত বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের কদমরসুলে জাহাজে কাজ করার সময় আমার বাবা নিহত হন। উনার লাশ নিয়ে আমরা গ্রামের বাড়িতে দাফন করতে যাই, এরপর কুলখানি শেষ করে আবার ট্রেনে করে চট্টগ্রামে ফিরে যাওয়ার সময় দুই ট্রেনের সংঘর্ষে অন্য ১৫ জনের সাথে আমার মা মারা যান।’
সুমনদের গ্রামের বাড়ি শ্রীমঙ্গল উপজেলার গাজীপুর এলাকার রামনগরে হলেও তারা ৪৫ বছর ধরে সীতাকুণ্ডের কদমরসুল এলাকায় থাকেন।
নিহত জাহেদার ননদ হাসিনা খাতুন জানান, মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার গাজীপুর এলাকার রামনগরের মুসলিম মিয়া পরিবার পরিজন নিয়ে কর্মসূত্রে চট্টগ্রামের পাহাড়তলীতে বসবাস করতেন। জাহাজকাটা শিল্পে কাজ করতেন তিনি।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার ছোট কুমিরা এলাকায় সাগর উপকূলে একটি শিপ ব্রেকিং ইয়ার্ডে মাথায় প্লেট পড়ে মুসলিম নিহত হন।