ইশবপুর, নোয়াগাঁও, মুন্সিরগাঁও, ভ্রামনঝুলি, পাঠনচক, আমতৈল গাজীর মোকাম, সোনালী বাংলাবাজার, বৈরাগীবাজার এলাকার কৃষক, শ্রমিক, শিশু, বৃদ্ধ, রোগী, ছাত্রছাত্রী ও গর্ভবতীসহ শত শত মানুষকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হয় নড়বড়ে ওই সাঁকো দিয়েই।
বর্ষাকালে নদীর পানি বৃদ্ধি পেলে যোগাযোগ ব্যবস্থা আরও কঠিন হয়ে পড়ে।
স্থানীয়রা বলছেন, দীর্ঘদিন ধরে নদীর ওপর ব্রিজ নির্মাণের দাবি জানিয়ে আসছেন এলাকাবাসী। কিন্তু এতে কোনো ফল হয়নি। বাধ্য হয়ে তারা চাঁদা তুলে নদীর ওপর বাঁশের সাঁকো তৈরি করেন।
এলাকার কৃষক কামাল উদ্দিন এবং বুলবুল মিয়া জানান, উপজেলা শহর থেকে কেশসা নদী প্রায় ১০ কিলোমিটারের পথ হলেও নদীর ওপর একটি সেতুর অভাবে তাদের যোগাযোগ ব্যবস্থা কঠিন করে দিয়েছে।
বাবুল বলেন, ‘শুধু একটি ব্রিজ আমাদের পিছিয়ে রেখেছে। এটুকু রাস্তা যেতে আমাদের কাছে মনে হয় শত কিলোমিটারের পথ। স্বাধীনতার প্রায় ৪৮ বছর পেরিয়ে গেলেও এখানে উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি।’
লামাকাজি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কবির হোসেন ধলা মিয়া বলেন, এলাকার মানুষ বিভিন্ন উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত রয়েছে।
‘যোগাযোগ ব্যবস্থাকে আরও উন্নত করতে আমার প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। কেশসা নদীর ওপর একটি ব্রিজ নির্মিত হলে এ এলাকার মানুষ উপকৃত হবে,’ বলেন তিনি।