শুক্রবার এক ব্রিফিংয়ে জাতিসংঘের জরুরি কর্মসূচির প্রধান ডা. মাইক রায়ান জানান, মহামারিটি রোধে একযোগে ব্যবস্থা নেয়া না হলে এই সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে। খবর: বিবিসি।
চীনে করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) আবিষ্কার হওয়ার পর প্রায় নয় মাসে এ ভাইরাসে মৃত্যুর সংখ্যা প্রায় ১০ লাখে পৌঁছেছে উল্লেখ করে ডা. মাইক বলেন, ‘আমরা যদি কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ না করি তবে আপনি যে সংখ্যা সম্পর্কে কথা বলছেন তা কেবল কল্পনাযোগ্যই নয়, তবে দুর্ভাগ্যজনকভাবে এবং দু:খের বিষয় যে এটি অবশ্যম্ভাবী।’
উত্তর গোলার্ধের অনেক দেশেই শীত আসার সাথে সাথে দ্বিতীয় দফায় করোনাভাইরাস সংক্রমণ দেখা গেছে।
ডা. রায়ান ইউরোপে সংক্রমণ বৃদ্ধির বিষয়টি উল্লেখ করে বলেন, ‘সামগ্রিকভাবে আমরা এই বিশাল অঞ্চলের মধ্যে কোভিড-১৯ এর উদ্বেগজনক বৃদ্ধি দেখতে পাচ্ছি।’
তিনি ইউরোপের নাগরিকদের নিজেদের জিজ্ঞাসা করার আহ্বান জানিয়েছেন যে তারা লকডাউনের প্রয়োজনীয়তা এড়াতে পর্যাপ্ত কাজ করেছে কিনা এবং পরীক্ষা ও শনাক্ত, কোয়ারেন্টাইন বা সামাজিক দূরত্বের মতো বিষয়গুলো কার্যকর করা হয়েছে কিনা।
‘এই সংখ্যা এড়াতে যা করা দরকার তা করার জন্য কি আমরা প্রস্তুত?,’ কোভিড-১৯ নিয়ন্ত্রণে সরকারকে সব কিছু করার আহ্বান জানিয়ে এই প্রশ্ন রাখেন ডা. মাইক রায়ান।
আরও পড়ুন: কোভিড-১৯: বিশ্বব্যাপী মৃতের সংখ্যা প্রায় ১০ লাখ
ব্শ্বি করোন পরিস্থিতি:
জন্স হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের (জেএইচইউ) তথ্য অনুযায়ী, শনিবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৯ লাখ ৮৮ হাজার ৮৮৯ জনে দাঁড়িয়েছে।
জেএইচইউর তথ্য অনুসারে, এ পর্যন্ত কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা পৌঁছেছে ৩ কোটি ২৪ লাখ ৭৬ হাজার ৭১৩ জনে।
সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত যুক্তরাষ্ট্রে এ পর্যন্ত ৭০ লাখের বেশি করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে এবং মৃতের সংখ্যা দুই লাখ ছাড়িয়েছে।
সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত দেশের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ভারত। দক্ষিণ এশিয়ার এ দেশটিতে করোনা রোগীর সংখ্যা ৫৮ লাখ ছাড়িয়েছে এবং মারা গেছেন ৯২ হাজার ২৯০ জন।
ক্ষতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে ব্রাজিল। এ পর্যন্ত দেশটিতে আক্রান্ত হয়েছেন ৪৬ লাখ ৮৯ হাজার ৬১৩ জন এবং মৃত্যু হয়েছে এক লাখ ৪০ হাজারের বেশি মানুষের।