জেএইচইউ’র তথ্য অনুযায়ী, সারা বিশ্বে কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে বেড়ে ৪ কোটি ১৬ লাখ ৪০ হাজার ২৯৫ জনে।
এছাড়া করোনা সংক্রমণ থেকে সুস্থ হয়েছেন তিন কোটিরও বেশি মানুষ।
আরও পড়ুন: মৃত্যুর ঘটনার মধ্যেই অক্সফোর্ড ভ্যাকসিনের পরীক্ষা অব্যাহত
করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, দক্ষিণ এশিয়ার দেশ ভারত এবং ল্যাটিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল। মোট করোনা আক্রান্তের অর্ধেকের বেশি এই তিন দেশে।
সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যার দিক দিয়ে শীর্ষে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৮৪ লাখের বেশি মানুষ এবং ২ লাখ ২৩ হাজার ২৪ জন মারা গেছেন।
বিশ্বের দ্বিতীয় জনবহুল দেশ ভারতে মোট আক্রান্ত ৭৭ লাখ ৬ হাজার ৯৪৬ বেশি মানুষ এবং মারা গেছেন ১ লাখ ১৬ হাজার ৬১৬ জন। তৃতীয় সর্বোচ্চ ক্ষতিগ্রস্ত দেশ ব্রাজিলে মোট শনাক্ত রোগী ৫৩ লাখের বেশি এবং মৃত্যু হয়েছে ১ লাখ ৫৫ হাজার ৯০০ জনের।
বাংলাদেশ পরিস্থিতি:
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আরও ২৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৭৪৭ জনে।
এছাড়া, নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে ১ হাজার ৬৯৬ জনের শরীরে। যার ফলে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৩ লাখ ৯৪ হাজার ৮২৭ জনে পৌঁছেছে।
আরও পড়ুন: ঢামেক হাসপাতালকে ৫ হাজার শয্যায় উন্নীত করা হচ্ছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে বৃহস্পতিবার পাঠানো করোনা সংক্রান্ত নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, করোনা শনাক্তের জন্য গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সরকারি ও বেসরকারি ১১০টি ল্যাবে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১৪ হাজার ৬১১টি এবং পরীক্ষা করা হয়েছে ১৪ হাজার ৯৫৮টি। এ নিয়ে মোট নমুনা পরীক্ষা করা হলো ২২ লাখ ২১ হাজার ৩৬৯টি।
নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ১১.৩৪ শতাংশ। আর মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্ত হয়েছেন ১৭.৭৭ শতাংশ।
নতুন যে ২৪ জন মারা গেছেন তাদের মধ্যে পুরুষ ১৮ এবং নারী ৬ জন। শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার ১.৪৬ শতাংশ।
এদিকে, আরও ১ হাজার ৬৮৭ জন করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা ৩ লাখ ১০ হাজার ৫৩২ জনে দাঁড়িয়েছে। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার এখন পর্যন্ত ৭৮.৬৫ শতাংশ।
গত ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্তের পর ১৮ মার্চ প্রথম একজনের মৃত্যু হয়।