সচিবালয়ে দেশের চাল কল মালিক ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক শেষে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘রমজানের জন্য পর্যাপ্ত খাদ্যদ্রব্য মজুদ আছে। কোথাও সংকট হওয়ার কথা নয়। এর পরও কেউ সংকট সৃষ্টি করতে চাইলে তার বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
রমজানে বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কী উদ্যোগ নিচ্ছে এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, রমজানে যেসব খাদ্য-দ্রব্যের চাহিদা বাড়ে তা হচ্ছে- চাল, মুসুরের ডাল, তেল, চিনি ও ছোলা। এসব খাদ্য-দ্রব্য আমাদের কাছে পর্যাপ্ত মজুদ আছে। এসবের মূল্য বৃদ্ধির কোনো সম্ভাবনা নেই।
এসময় টিসিবির খোলা বাজারে পণ্য বিক্রি রামজানে আরও জোরদার করা হবে বলে জানান টিপু মুনশী।
সড়কে চাঁদাবাজির বিষয়ে তিনি বলেন, সড়কে পণ্য পরিবহনের সময় চাঁদাবাজি বন্ধে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে কঠোর নির্দেশনা দিয়ে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারদের চিঠি দেয়া হবে।
মন্ত্রী বলেন, ‘ব্যবসায়ীরা আমাদের কাছে আগেই অভিযোগ করেছেন, তাদের পণ্যবাহী পরিবহনে পথে পথে চাঁদা দিতে হয়। বিষয়টি কঠোর হস্তে দমন করা হবে। সড়কে পণ্য পরিবহনের সময় চাঁদাবাজি বন্ধে দ্রুত জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারদের পদক্ষেপ নিতে সরকারের পক্ষ থেকে চিঠি দেয়া হবে।’
বৈঠকে চাল কল মালিকরা মন্ত্রীকে জানান, দেশে চালের প্রচুর উৎপাদন ও মজুদ আছে। তারা বিদেশে চাল রপ্তানি করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
‘দেশের চাল কল মালিক ও চাল ব্যবসায়ীরা আমাকে বলেছেন, আমরা যদি এই মুহূর্তে চাল রপ্তানি না করি, তবে চালের মূল্য আরও পড়ে যাবে। এতে করে কৃষকরা মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হবেন,’ বলেন টিপু মুনশী।
তিনি বলেন, ‘আমরা তাদের আশ্বাস দিয়েছি। বিষয়টি নিয়ে শিগগিরই খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করে দেখবো। যদি বেশি চাল থেকে থাকে, তবে কৃষকদের স্বার্থে রপ্তানির উদ্যোগ নেয়া হবে।’