তিনি বলেন, ‘বিএনপি নির্বাচনকে আন্দোলনের অংশ হিসেবে নিয়েছে। আর বিএনপির আন্দোলন মানেই জ্বালাও-পোড়াও, অগ্নিসংযোগ। তাই এ বছর ঢাকার দুই সিটি নির্বাচনে বিএনপির হামলার আশঙ্কায় ভোটার উপস্থিতি কম ছিল। ভোটাররা কেন্দ্রে ভোট দিতে আসেননি।’
রাজশাহী শিল্পকলা একাডেমির মিলনায়তনে জেলা আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি সভায় দলের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ এসব কথা বলেন।
তবে তার মতে, ভোটার উপস্থিতি কম হলেও উপমহাদেশের মানদণ্ডে এ দুই সিটিতে সবচেয়ে ভালো নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট হওয়ার কারণে এখন আর কোনো দলেরই পোলিং এজেন্ট দরকার হওয়ার কথা না। কারণ ইভিএম নিজেই পোলিং এজেন্ট হিসেবে কাজ করে।’
সব সময় সমালোচনা করাকে বিএনপির কাজ হিসেবে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘ইভিএম নিয়েও তাদের সমালোচনার শেষ নেই। ইভিএমে ভোট কারচুপি তো দূরের কথা আঙুলের ছাপ না মিললে ভোট দেয়ারও সুযোগ নেই। স্বয়ং প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ জাতীয় পর্যায়ের কয়েকজন নেতার আঙুলের ছাপ না মেলার কারণে ভোট দিতে সমস্যায় পড়তে হয়েছে। অথচ বিএনপির সমালোচনার শেষ নেই। বিএনপি সব সময় প্রযুক্তির বিরুদ্ধে।’
২০১৪ সালের পর বিএনপির যেসব নেতা-কর্মী পিঠ বাঁচানোর জন্য আওয়ামী লীগে এসেছেন তারা যেন কোনোক্রমেই দলীয় পদ না পায় তার নির্দেশ দিয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, যারা পদে রয়েছেন তাদের বাদ দিতে হবে। এমনকি গত নির্বাচনগুলোতে যারা বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করেছেন তাদেরও কোনো ইউনিটের সভাপতি-সম্পাদকের পদ দেয়া যাবে না।
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেনসহ রাজশাহীর সংসদ সদস্য, জেলা, উপজেলা ও পৌরসভা আওয়ামী লীগের নেতারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।