তিনি বলেন, ‘আজ বিএনপির লোকেরা ক্যাসিনো নিয়ে অনেক বেশি সোচ্চার। শেখ হাসিনার সাহস আছে অন্যায়কারীদের ধরার, সে যে দলেরই হোক। যারা এতিমের টাকা মেরে খায়, বিএনপি তাদের বাদ দেয়ার সাহস করতে পারে না। যারা দুর্নীতি করে, তাদের বিরুদ্ধে একমাত্র শেখ হাসিনাই ব্যবস্থা নিতে পারেন। তিনিই পারেন বাংলাদেশকে দুর্নীতিমুক্ত করতে।’
বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত ‘ইনডেমনিটি: এক কালো অধ্যায়, ভুলিনি এবং ভুলবো না’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
বিএনপির উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘দলের আরেকজন যিনি দুর্নীতির কারণে মুচলেকা দিয়ে বিদেশে পলাতক, তাকে দুটো গালিও দিতে পারে না বিএনপি। শুধু বড় বড় কথা বলতে পারেন আপনারা। দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি আমাদের শেখাবেন না। তার কারণ হচ্ছে আপনাদের নেতা থেকে শুরু করে, আপনাদের দলের প্রত্যেকের মাথা পর্যন্ত দুর্নীতিতে ডুবে আছে। আমরা আপনাদের বিচার করছি বলেই আজকে আপনাদের এত চিল্লাচিল্লি।’
বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের সাথে জিয়াউর রহমানের জড়িত থাকার প্রসঙ্গ উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘কর্নেল ফারুক ও রশিদ যখন জিয়াউর রহমানকে গিয়ে বলেন যে তারা শেখ মুজিবকে হত্যা করতে চান, তখন জিয়াউর রহমান বলেছিলেন, আমি তো করতে পারব না, তোমরা করলে আমাদের অসুবিধা নেই। এটা খুনিরাই স্বীকার করে গেছেন। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের অন্যতম ষড়যন্ত্রকারী জিয়াউর রহমান।’
‘আমরা দেখেছি জিয়াউর রহমানের আমলে কী হয়েছিল। আমরা দেখেছি আমাদের পিতা-মাতা কীভাবে অত্যাচারের শিকার হতেন। আমাদের লজ্জা ঢাকার জায়গা ছিল না যখন খুনি রশিদ, খুনি ফারুক বক্তৃতা দিত ফ্রিডম পার্টির নামে। আমরা এসব দেখেছি। কিন্তু আমাদের বর্তমান প্রজন্ম, ভবিষ্যৎ প্রজন্ম এগুলো দেখেনি। তাদের এসব জানাতে হবে,’ যোগ করেন তিনি।
বঙ্গবন্ধুর খুনের বিচার বন্ধে জারি করা ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ প্রসঙ্গে আনিসুল হক বলেন, শেখ হাসিনা আইনের শাসন মানেন বলেই আইনের মাধ্যমে ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ যে একটি কালো আইন সেটা প্রমাণ করার সুযোগ দিয়েছেন এবং প্রমাণ করেছেন। শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার বিচার করিয়েছেন। জাতীয় চার নেতা হত্যার বিচার হয়েছে শেখ হাসিনার জন্য। যুদ্ধাপরাধী এবং মানবতাবিরোধী অপরাধ যারা করেছেন তাদেরও বিচার হয়েছে শেখ হাসিনার কারণে। ‘আমরা দেখেছি যত অন্যায় আছে সবকিছুর বিচার কিন্তু শেখ হাসিনার আমলেই হয়েছে।’
বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের উদ্দেশে তিনি বলেন, ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি উপলক্ষে প্রতি বছর ২৬ সেপ্টেম্বর থেকে কালো দিবস পালন করার একটি পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। ২৬ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হবে সেই দিবস পালন করা এবং শেষ হবে ১২ নভেম্বর। কারণ ১৯৯৬ সালের ১২ নভেম্বর ইনডেমনিটি আইন বাতিল করা হয়।
সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিমের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য দেন অভিনেতা ড. এনামুল হক, আজিজুল হাকিম, রিয়াজ, আমিরুল হক চৌধুরী, মান্নান হিরা প্রমুখ।