সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার এমন চিত্র এখন প্রতিদিনের। বাজারগুলোতেও স্বাভাবিক সময়ের মতো মানুষের জটলা লেগে আছে। এতে ঝুঁকি বাড়ছে ভাইরাস সংক্রমণের। কিন্তু আইনশৃংখলা বাহিনীর তৎপরতায়ও মানুষের বিচরণ কমছে না।
এলাকার লোকজন সরকারের নির্দেশনা মেনে প্রথম দিকে তেমন একটা ঘরের বাইরে যায়নি। নিত্যপণ্য ছাড়া বন্ধ ছিল সব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। রাস্তায় যানবাহন ছিল না। কিন্তু কয়েক দিন যেতে না যেতেই ঘর ছেড়ে বেরিয়ে এসেছে মানুষ। পুলিশ-সেনাবাহিনী দেখলেই নামছে দোকানের সাটার, দৌড়ে আশপাশে লুকিয়ে থাকছেন সবাই। আইনশৃংখলা বাহিনী ফিরে যাওয়ার পর ফের রাস্তায় নামছে মানুষ।
বিশ্বনাথের সচেতন মহল বলছেন, সরকারি নিদের্শনা অমান্য করে, আইনশৃংখলা বাহিনীকে ফাঁকি দিয়ে ‘তামাশা’ করা লোকদের আইনের আওতায় নেয়া উচিত। দ্রুত এ বিষয়ে কঠোর পদক্ষেপ না নিলে দিতে হবে চরম মূল্য।
বিশ্বনাথ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামীম মূসা বলেন, ‘রাস্তায় বের হওয়ায় ইতোমধ্যে সাতটি যানবাহনকে মামলা ও আরও ৮-১০টি জব্দ করা হয়েছে। দেশ ও মানুষের স্বার্থে আরও কঠোর অবস্থানে যাব আমরা।’
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মো. কামরুজ্জামান বলেন, ‘এ কয়েক দিন মানুষকে সচেতন করতে একযোগে কাজ করেছি আমরা। তবুও ঘরে ফিরছে না কিছু মানুষ। এখন অপ্রয়োজনে ঘোরাফেরা করলেই শাস্তি ও জরিমানা করব।’