করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার চরম ঝুঁকি নিয়ে ফেরি, নৌকা ও ট্রলারে করেই হাজার হাজার মানুষ ভোলায় প্রবেশ করায় স্থানীয়দের মাঝে চরম আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
বুধবার সকালে লক্ষ্মীপুরের মৌজু চৌধুরীর ঘাট থেকে বিআইডব্লিউটিসির একটি ফেরিতে ভোলার ইলিশা ঘাটে এসেছেন প্রায় ৭ হাজার যাত্রী। দিনভর একইভাবে নৌকা, ট্রলার ও স্পিডবোটে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ভোলায় যাত্রী আসলেও, তাদের নিয়ন্ত্রণে প্রশাসন বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে তেমন কোনো পদক্ষেপ দেখা যায়নি ঘাটগুলোতে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, লক্ষ্মীপুর থেকে ইলিশা ঘাটে ফেরি আসার পর সকাল সাড়ে ৮টা থেকে ভোলা-ইলিশা ফেরিঘাটের রাস্তায় হাজারো মানুষকে দলবেঁধে ছুটতে দেখা যায়। ঈদের মতো মানুষের ঢল নামে। সরকারি ছুটির ঘোষণায় ঢাকা, চট্টগ্রাম, লক্ষ্মীপুরসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা এসব যাত্রীদের করোনাভাইরাস প্রতিরোধের কোনো ব্যবস্থাই ছিল না।
বিআইডব্লিউটিসির ফেরি কনপচাঁপার মাস্টার আজিজুর রহমান জানান, ভোররাত ৩টায় লক্ষ্মীপুরের মজুচৌধুরীর ঘাটে ফেরি ভিড়ানোর সাথে সাথেই হাজার হাজার যাত্রী ফেরিতে উঠে। নিরুপায় হয়ে বাস-ট্রাকের পরিবর্তে প্রায় ৭ হাজার যাত্রী নিয়ে ফেরিটি ইলিশা ঘাটে পৌঁছায়।
অপরদিকে ভোলা শহরে ওষুধ, মুদি ও কাঁচা বাজার ছাড়া সব দোকান বন্ধ থাকলেও মানুষের রাস্তাঘাটে চলাফেরা ছিল চোখে পড়ার মতো।