খুলনায় লঞ্চের লস্কর আইয়ুব আলী (৪০) হত্যা মামলায় রায়হান সরদার নামের এক আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
একই সাথে তাকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এ মামলার অপর আসামি প্রাপ্ত বয়স্ক না হওয়ায় শিশু আদালতে তার বিচার কাজ চলছে।
মঙ্গলবার দুপুরে খুলনা জেলা ও দায়রা জজ মো. মশিউর রহমান চৌধুরী এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। আসামি যশোরের চাঁচড়া এলাকার মৃত হাকিম সরদারের ছেলে।
আরও পড়ুন: যশোরে স্বর্ণ চোরাচালান মামলায় ২ জনের যাবজ্জীবন
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর সকাল পৌনে ৬ টায় লঞ্চ কয়রা উপজেলার ভান্ডার পোল এলাকায় পৌঁছায়। যাত্রীরা লঞ্চ থেকে নামতে শুরু করলে দু’জন যাত্রী তাদের টিকিট দেখাতে পারেনি। তাদের জিজ্ঞাসা করা হলে উত্তর দেয় চালনা থেকে এসেছে। তখন লঞ্চের লস্কর আইয়ুব আলী বলেন যে তারা খুলনা থেকে উঠেছে। এ সময় ক্ষিপ্ত হয়ে রায়হান পকেট থেকে ছুরি বের করে আইয়ুবের তল পেটে ছুরি ঢুকিয়ে দিলে তিনি লঞ্চের ওপর লুটিয়ে পড়েন। পরে কেরানি এগিয়ে আসলে অপর আসামি তামিম হাসান আকাশ পকেট থেকে ছুরি বের করে তার ওপরও চড়াও হয়।
আরও পড়ুন: সিলেটে স্ত্রী হত্যায় স্বামীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
স্থানীয়রা তাদের দুজনকে গণধোলাই দিয়ে আমাদি পুলিশ ক্যাম্পে সোপর্দ করে। আহত আইয়ুব আলীকে প্রথমে জায়গীর মহল হাসপাতালে ভর্তি করা হয় পরে অবস্থার অবনতি হলে তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: ছাত্রী ধর্ষণ মামলায় বাগেরহাটে মাদরাসা সুপারের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
পরের দিন ওই ঘটনায় লঞ্চ মাষ্টার মো. আলমগীর মোল্লা বাদী হয়ে কয়রা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা একই বছরের ৩০ নভেম্বর রায়হান সরদারকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশীট দাখিল করে।