বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ। পরে শুক্রবার ভোরে কুয়াশার তীব্রতা কমে গেলে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক হয়।
বিআইডব্লিউটিসি আরিচা সেক্টরের ডিজিএম (ভারপ্রাপ্ত) জিল্লুর রহমান জানান, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে ঘন কুয়াশার তীব্রতা বেড়ে পুরো নৌপথ ঢেকে যায়। এতে নৌ-দুর্ঘটনা এড়াতে ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়। এ সময় মাঝ নদীতে শাহজালাল, মতিউর রহমান, হাসনাহেনা ও রজনীগন্ধা নামের চারটি ফেরি আটকে পড়ে। এছাড়া পাটুরিয়ায় ও দৌলতদিয়াঘাটে আরও ১০টি ফেরিকে পন্টুনে বেঁধে রাখা হয়। শুক্রবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে কুয়াশা কমে গেলে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক হয়।
তবে দীর্ঘ সময় ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় পাটুরিয়া ঘাটে বাস, ট্রাক, প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস মিলে দুই শতাধিক যানবাহন পারের অপেক্ষায় রয়েছে। ১৪টি ফেরি দিয়ে সেগুলো পারাপার করা হচ্ছে।
তিনি জানান, নৈশ কোচগুলো বেলা ১১টায়ও পার হতে পারেনি।
ঘাট কর্তৃপক্ষ অগ্রাধিকার ভিত্তিতে অ্যাম্বুলেন্স, রোগীবাহী গাড়ি, ব্যক্তিগত প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস, পণ্য বোঝাই ট্রাক ও যাত্রীবাহী বাস পারাপার করছে। এর মধ্যে পণ্যবোঝাই ট্রাক দীর্ঘ সময় আটকে থাকতে হচ্ছে। দুপুর ১২টা পর্যন্ত পাটুরিয়া তিন কিলোমিটার পর্যন্ত যানবাহনের দীর্ঘ লাইন দেখা গেছে।