যাত্রীদের কাছ থেকে দ্বিগুণ ভাড়ার বিনিময়ে প্রতি দুই সিটে একজন যাত্রী করে নিলেও, বাসে যাত্রী উঠানোর সময় দেয়া হচ্ছে না হ্যান্ড স্যানিটাইজার। সিটেও ব্যবহার করা হচ্ছে না জীবাণুনাশক স্প্রে। ফলে যাত্রীরা করোনাভাইরাসে সংক্রামিত হওয়ার প্রবল ঝুঁকিতে রয়েছেন।
কুমিল্লার চান্দিনা-মাধাইয়াসহ কয়েকটি বাস স্টেশন ঘুরে দেখা যায়, বাসের হেলপাররা ভাড়া নিয়ে দর কষাকষি করে যাত্রীদের হাতে ধরে টেনেই গাড়িতে তুলছেন। আবার বাসের অধিকাংশ যাত্রী এবং চালক ও হেলপারদের মুখেই নেই মাস্ক। থাকলেও তা মুখের পরিবর্তে থুতনি বা গলায় সাথেই বেশি দেখা গেছে।
মিজানুর রহমান নামে ঢাকাগামী এক যাত্রী বলেন, ‘আমি ক্যান্টনমেন্ট থেকে ২০০ টাকা ভাড়ায় বাসে উঠেছি। বাসে ওঠার আগে কোনো রকম স্প্রে করতে দেখিনি।’
ইকবাল হোসেন নামে অপর এক যাত্রী বলেন, ‘কুমিল্লা থেকে ইলিয়টগঞ্জ যাওয়ার জন্য শাসনগাছা থেকে ৮০ টাকা ভাড়া দিয়ে গাড়িতে উঠেছি। শাসনগাছা বাস স্ট্যান্ড থেকে মাধাইয়া পর্যন্ত কোনো যাত্রীর হাতে স্যানিটাইজার দেয়া বা সিটগুলোতে জীবাণানাশক স্প্রে করতে দেখিনি।’
তবে একাধিক বাস চালক ও হেলপার স্প্রের বোতল দেখিয়ে বলেন, ‘আমাদের কাছে স্প্রে আছে। স্ট্যান্ড থেকে যাত্রী উঠানোর আগেই এগুলো ছিটাই।’
এ বিষয়ে চান্দিনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবুল ফয়সল বলেন, ‘অধিকাংশ গণপরিবহনে স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে না। কিন্তু মহাসড়কটি যেহেতু হাইওয়ে পুলিশের অধীনে তাই আমাদের তেমন কিছু করার সুযোগ নেই।’
হাইওয়ে পুলিশ ময়নামতি ক্রসিং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাফায়াত হোসেন বলেন, ‘আমাদের নিয়মিত অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তবে স্বাস্থ্যবিধি অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়ায় সুনির্দিষ্ট কোনো ক্ষমতা আমাদের কাছে নেই। মহাসড়কে যদি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা বৃদ্ধি করা হয় তাহলে কিছুটা হলেও স্বাস্থ্যবিধি মানতে বাধ্য হবে সংশ্লিষ্টরা।’