রবিবার রাতে ত্রাণ বিতরণ করা হয় সদর উপজেলার কীর্ত্তিপুর, বর্ষাইল আদিবাসী পল্লি ও আশপাশের এলাকায়। কর্মসূচির নেতৃত্ব দেন জেলা প্রশাসক (ডিসি) হারুন অর রশিদ।
এ সময় তার সাথে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবদুল্লাহ আল মামুন ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মাহবুবুর রহমান রাতভর দরিদ্র পরিবারগুলোতে চাল, ডাল, ভোজ্য তেল, চিড়া ও অন্যান্য খাদ্যসামগ্রীর ২৫ কেজি ওজনের একেকটি প্যাকেট বিতরণ করেন।
জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, করোনা মোকাবিলায় কয়েক দিন ধরে বন্ধ রয়েছে যানবাহন চলাচল। বন্ধ হয়ে গেছে অনেক কলকারখানা ও দোকানপাট। কেউ ঘর থেকে বের হচ্ছেন না। অসহায় হয়ে পড়েছেন অনেক দিনমজুর, দরিদ্র ও নিম্ন আয়ের মানুষ। জনসমাগম এড়িয়ে এসব অসহায় মানুষকে সহযোগিতা করতে রাতের আঁধারে ছুটছে জেলা প্রশাসন।
দরিদ্র মানুষের তালিকা ধরে নওগাঁর ১১ উপজেলায় এ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
ডিসি হারুন অর রশিদ বলেন, ‘জেলায় করোনা প্রতিরোধে নেয়া পদক্ষেপের ফলে যেসব দরিদ্র জনগোষ্ঠী ক্ষতির শিকার হয়েছেন তাদের সহযোগিতায় এখন পর্যন্ত ১৪ লাখ ৩৫ হাজার টাকা এবং ৩৯১ মেট্রিক টন চাল সরকারিভাবে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। বরাদ্দকৃত এ অর্থ এবং চাল বিতরণের কার্যক্রম ইতোমধ্যে জেলা জুড়ে শুরু হয়েছে।’